প্রাণ_ভোমরা পর্ব ৪৮

#প্রাণ_ভোমরা
#রোকসানা_রাহমান

পর্ব (৪৮)

শরীফা খন্দকার ভ্রমরের খুঁজে তার রুমে আসেন। মেয়ের দিকে চোখ পড়তে আঁতকে উঠেন! ভ্রমর হলুদের শাড়ি খুলে খাটের মাঝখানে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে। অবিরত বয়ে চলছে চোখের জল। কাজল,লিপস্টিক ল্যাপ্টে একাকার অবস্থা! হাঁটু ভাঁজ করায় ছায়ার নিম্নাংশ গোড়ালির উপর উঠে আছে। মেয়ের এমন নাশপ্রাপ্ত চেহারায় তাঁর বুক ধক করে উঠল আরও এক বার। শশব্যস্ততায় ছুটে আসেন। নিচ থেকে শাড়ি তুলে নিয়ে মেয়ের শরীর ঢেকে জড়িয়ে নিলেন। ভীষণ উৎকণ্ঠায় সুধালেন,
” তোর কী হয়েছে, মা? ”

ভ্রমর উত্তর দিল না। ভেজা চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকল। সেই শান্ত চাহনির গভীর ব্যথা শরীফা খন্দকারের উদ্বিগ্ন আরও বাড়িয়ে দিল যেন। ব্যাকুল হয়ে বললেন,
” খুকুসোনা, আমার মা। বল আমায় কী হয়েছে? ”

ভ্রমর এবারও উত্তর দিল না। শান্ত চাহনি ডুবে গেল নরম অশ্রুতে! অকস্মাৎ মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে হাউমাউ কান্নায় ভেঙে পড়ল। শরীফা খন্দকারের বুকের অস্থিরতা বেড়ে গেল কয়েক গুণ। না পারছে মেয়ের কান্না থামাতে, না পারছে কান্নার কারণ জানতে। ভ্রমরের চেয়েও বেশি অসহায় বোধ করছেন এই মুহূর্তে। কোনো উপায় না পেয়ে চুপচাপ মেয়ের চুলে-পিঠে হাত বুলিয়ে চললেন। বেশ কতক্ষণ পর ভ্রমর নিজেই বলল,
” হৃদ্য ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে না, আম্মু। ”

শরীফা খন্দকারের চঞ্চল হাত স্থির হলো। চিন্তা-ভাবনা প্রতিহত থাকল কিছু সময়। সহসা মেয়ের মুখ তুলে জিজ্ঞেস করলেন,
” হৃদ্য তোকে এ কথা বলেছে? ”

ভ্রমর চোখের পানি মুছতে মুছতে বলল,
” রিধি আপুর কাছে বলছে। আমি তার কিছু হই না। ”

শরীফা খন্দকার মেয়েকে ছেড়ে দাঁড়ালেন। অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। সেভাবে থম মেরে থাকলেন অনেক্ষণ। মনে মনে কিছু একটা ভেবে বললেন,
” আমি আসছি। ”
” কোথায় যাচ্ছো, আম্মু? ”

শরীফা খন্দকার দাঁড়ালেন না। পিছু ঘুরে মেয়ের প্রশ্নের উত্তরও দিলেন না। সোজা হেঁটে চলেছেন মূল দরজার দিকে। দরজায় পা ফেলার ঠিক আগ মুহূর্তে কেউ একজন বলল,
” শরীফা? ”

এই ডাক উপেক্ষা করে বাইরে পা রাখতে পারলেন না শরীফা খন্দকার। পেছন ঘুরে দাঁড়াতে মীর খন্দকার এগিয়ে আসলেন। এক বার বাইরে তাকিয়ে দৃষ্টি ফিরিয়ে এনে বললেন,
” কোথায় যাচ্ছো? ”

মুহূর্তে বিচলিত হয়ে পড়েন শরীফা খন্দকার। আমতা আমতা শুরু করলে মীর খন্দকার বললেন,
” নেও কথা বলো। ”

শরীফা খন্দকার খানিকটা চমকালেন। স্বামীর বাড়িয়ে দেওয়া মোবাইলের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
” কার সাথে কথা বলব? ”
” কথা বললেই বুঝবে। ”

শরীফা খন্দকার আড়ষ্ট ভঙ্গিতে ফোন হাতে নিলেন। কানে চেপে ধরে বললেন,
” আসসালামু আলাইকুম। ”

ওপাশ থেকে ভাঙা ভাঙা কণ্ঠ ভেসে এলো,
” ওয়া আলাইকুমুস সালাম। কেমন আছ বউমা? ”

দীর্ঘ সময় পর শাশুড়ির কণ্ঠ পেয়ে বিমূঢ় হয়ে পড়লেন শরীফা খন্দকার। অভিমান ভেসে উঠল চোখের তারায়। চোখে জলের উপস্থিতি টের পেতে দ্রুত বললেন,
” ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন, আম্মা? ”
” তোমরা কি আর ভালা থাকতে দিছ? ”

শাশুড়ির এমন জবাবে কী বলবেন বুঝতে পারলেন না শরীফা খন্দকার। চুপ থাকলে ওপাশ থেকে তিনি বললেন,
” মাইয়া মাইনসের এত জেদ ভালা না। জেদ কইরা কী লাভডা হইছে কও দেখি? আরও স্বামীর ভালোবাসা, গুছানো সংসার থেকে বঞ্চিত হইছ। এসব জিদ ভুইলা রাগ পিইষা আমার নাতি আর নাত বউয়ের লগে আইসা পড়ো। নিজে তো সংসার করতে পারলা না। মাইয়াডারে করতে দেও। বাড়িডা কেমন খালি হইয়া গেছে। দম বন্ধ হইয়া আসে। শেষ বয়সটা শান্তিতে কাটাইতে দেও। ”

শরীফা খন্দকারের অন্তর বিষিয়ে উঠল। তেজ ঝরে পড়তে চাইল কণ্ঠ থেকে। তখনই আদেশ বাক্য ভেসে এলো,
” মীর রে ফোন দেও। কখন আইব শুনি। এদিকেও তো গোছগাছ কইরা রাখতে হইব। ”

স্বামীকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন ফিরিয়ে দিলেন শরীফা খন্দকার। দরজার দিকে ঘুরে দাঁড়ালে লিলি ছুটে এলো। তার হাত ভর্তি মিষ্টির প্যাকেট। কোথায় রাখবে জানতে চাইলে শরীফা খন্দকার দেখিয়ে দিলেন। তন্মধ্যে বুটিক হাউজে কর্মরত দুজন কর্মচারী ছুটে আসলেন ভিন্ন সমস্যা নিয়ে। সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে নানাবিধ ব্যস্ততায় জড়িয়ে পড়লেন। হৃদ্যের সাথে দেখা করার কথা বেমালুম ভুলে গেলেন।

________________
গায়ে হলুদ শেষে ভ্রমরের ঘুমানোর ব্যবস্থা করলেন শরীফা খন্দকার। মেয়েকে শুয়িয়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসার সময় মাথার ভেতরটা নড়ে উঠল। মনে পড়ল ফোনে বলা শাশুড়ির কথাগুলো। অনিচ্ছায় ঠোঁট নড়ে উঠল, ‘ উনি ভ্রমরকে নাতবউ বলে সম্বোধন করলেন কেন? তাহলে কি ভ্রমরকে নাতনি হিসেবে মেনে নেয়নি এখনও? ‘

শরীফা খন্দকার আর স্থির থাকতে পারলেন না। ভ্রমরের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলেন। এক রকম ঘোরের মধ্যেই মাঝ রাতে হৃদ্যদের বাসার দিকে ছুটলেন।

________________
শ্রাবণ খাটের কিনারে বসে অনেক্ষণ যাবত রিধিকে পর্যবেক্ষণ করছে। সে পুরো রুমে চক্র কাটছে। চোখে, মুখে দুশ্চিন্তার গভীর ছাপ। ঠোঁট কামড়ে ধরে পায়চারি করা এই চিন্তিত মেয়েটির আরও এক বার প্রেমে পড়ে গেল। রিধিকে টেনে নিয়ে হাঁটুর উপর বসিয়ে বলল,
” পাঁচ মিনিট জিরিয়ে নিন, তারপর আবার চিন্তা-ভবনা করবেন। ”

রিধি কড়া চোখে তাকাল। শ্রাবণের কাছ থেকে উঠতে চাইল। শ্রাবণ ডান হাতে পেট প্যাঁচিয়ে ধরে বলল,
” এত অস্থির হলে চলে? ”
” তো হব না? আমার ভাইয়ের যে বুক খালি হয়ে যাচ্ছে! বিয়েটা আটকাতে হবে। যেভাবেই হোক। ”
” হৃদ্য তো বলল সে ভ্রমরকে ভালোবাসে না। ”
” ও বলল আর তুমি বিশ্বাস করে নিলে? অবশ্য তোমারই বা দোষ কী! তুমি তো ওদের দেখছ কয়েক দিন হলো। ”

শ্রাবণ কথার পিঠে কথা বলল না। এই ফাঁকে মেয়েটা একটু জিরোক। অতিরিক্ত হাঁটা-চলায় নিশ্বাস কেমন ঘন হয়ে এসেছে। হাঁপাচ্ছে! কপালের পাশে ঘামের বিন্দু চোখে পড়তে ঠোঁট গোল করে রিধির মুখে ফুঁ দিল। রিধি কপাল দলা করে বলল,
” এটা কী হচ্ছে? ”
” বাতাস দেওয়া হচ্ছে। আপনি ঘেমে গেছেন। ”
” এখন কি গরমকাল চলছে যে আমি ঘামব? ”
” আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না? ”
” না। ”

শ্রাবণ বা’হাতে রিধির কপাল মুছে নিয়ে বলল,
” এই দেখুন। ”

রিধি আশ্চর্য হয়ে বলল,
” সত্যিই তো। ”

শ্রাবণ রিধির মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,
” আপনার আল্লাহর উপর ভরসা নেই? ”

রিধি পূর্ণ চোখে তাকাল। বলল,
” কেন? ”
” আগে বলুন আছে নাকি। ”
“হ্যাঁ। ”
” তাহলে এসব দুশ্চিন্তা রেখে ঘুমিয়ে পড়ুন। তোমার ভাইয়ের ভাগ্যে যা লিখে দিয়েছেন তাই ঘটবে। এভাবে রাতভর দুশ্চিন্তায় হেঁটে শুধু ক্লান্তই হবেন। ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবেন না। ”

রিধি কিছু একটা বলতে চাইলে শ্রাবণ দ্রুত বলল,
” ধরে নিন আপনার মতো ওদেরকেও পরীক্ষায় ফেলেছে। আপনি উত্তীর্ণ হয়েছেন। ওরাও হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা তাদের জন্য দোয়া করব। ”

রিধি চুপ হয়ে গেল। শরীর, মন শান্ত হয়ে আসছে ধীরে ধীরে। শ্রাবণের বুকে মাথা ঠেকিয়ে বলল,
” আমরা মানুষ জাতি বড্ড অধৈর্য্য! ”
” আমি মনে হয় একদম প্রথমে। ”
” মানে? ”

শ্রাবণ দুষ্টু কণ্ঠে বলল,
” বাতিটা নিভিয়ে এসে বলছি। ”

________________
হৃদ্য সারারাত বাইরে কাটিয়ে বাসায় ফিরল ভোরের আগ মুহূর্তে। নিজের রুমে ঢুকে চমকে উঠল। চকিত স্বরে বলল,
” আপনি? ”

শরীফা খন্দকার সহজ স্বরে বললেন,
” তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। ”

হৃদ্য অস্বস্তিতে কাদা হয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ ইতস্তত করে বলল,
” একটা কল করতে..”
” করেছিলাম। বন্ধ পেয়েছি। ”

হৃদ্য চুপ হয়ে গেল। অপরাধির মতো মাথা হেঁট করে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকল। শরীফা খন্দকার আর কথা বাড়াতে চাইলেন না। সরাসরি বললেন,
” ভ্রমরের বাবার সাথে তোমার কী কথা হয়েছে? ”

হৃদ্য চট করে মাথা তুলল। বিস্ময় চোখে তাকালে তিনি বললেন,
” আমি চাই না তুমি মিথ্যে বলো। তোমাদের দেখা হয়েছে এটা আমি জানি। ভ্রমরকে নিয়েই যে কথা হয়েছে তাও জানি। ”

হৃদ্য আগের ন্যায় মাথা নিচু করে ফেললে শরীফা খন্দকার বসা থেকে দাঁড়ালেন। হৃদ্যের সামনে এসে বললেন,
” ভ্রমর যতটুকু বিশ্বাস নিয়ে তোমার সাথে একা ঘুরতে চলে গিয়েছিল আমি ততটুকু বিশ্বাস নিয়ে ও কে ফিরে আসার তাগাদা দেইনি। এমনকি ফিরে আসার পর এই নিয়ে একটা কথাও বলিনি। তুমি কি চাও আমার সেই বিশ্বাসটা ভেঙে যাক? ”

হৃদ্য ভীষণ অসহায় চোখে তাকাল। চোখের কোলে পানির ছায়া পড়ছে। শরীফা খন্দকার ওর কাঁধে হাত রেখে বলল,
” আর চুপ থেকো না, বাবা। ”

হৃদ্য এবার কথা বলল। যে কথাগুলো বুকের তল দেশে লুকিয়ে রেখেছিল যাতে কেউ জানতে না পারে সে কথাগুলো কণ্ঠের সাহায্যে একে একে বেরিয়ে আসছে।

পুরোটা শোনার পর শরীফা খন্দকার গম্ভীর স্বরে বললেন,
” তুমি ভ্রমরকে বিয়ে করতে চাও? ”

হৃদ্য তাৎক্ষণিক কিছু বলল না। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
” না। ”
” আমার দিকে তাকিয়ে বলো। ”

কথাটা বলেই হৃদ্যের থুতনি ধরে উপরে ঠেলে আবার বললেন,
” তুমি ভ্রমরকে ভালোবাসো না? ”

হৃদ্য শ্বাস রুদ্ধ অবস্থায় বলল,
” না। ”
” সত্যি? ”

হৃদ্য নিরুত্তর থাকলে শরীফা খন্দকার দৃঢ় স্বরে বললেন,
” এক বার হ্যাঁ বলো, আমি নিজ দায়িত্বে তোমাদের বিয়ে দেব। ”

হৃদ্য তখনও নিশ্চুপ। শরীফা খন্দকার ছোট্ট নিশ্বাস ফেললেন। পর মুহূর্তে সন্দেহ চোখে তাকালেন। বললেন,
” তুমি কি ভ্রমরের দায়িত্ব নিতে ভয় পাচ্ছো? ”

এ পর্যায়ে হৃদ্য মুখ খুলল,
” তেমনটা নয়, আন্টি। ”
” তাহলে কী? ”
” আমি ভ্রমরের খুশিটা ছিনিয়ে নেওয়ার সাহস পাচ্ছি না। ”

হৃদ্যের কথার ভাবার্থ ধরতে পারলেন না শরীফা খন্দকার। জিজ্ঞেসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন। হৃদ্য বুঝতে পেরে বলল,
” ভ্রমর আপনার সাথে কতটা মন খুলে কথা বলে আমি জানি না। কিন্তু আমার সাথে বলে। বিশেষ করে ওর বাবার কথা। আমি যতটুকু জানি উনাকে নিয়ে আপনি ওর সাথে কখনই কিছু বলেন না। ফলে বাবাকে নিয়ে যত কথা সব আমার সাথে বলা হয়। সেই প্রেক্ষিতে আমি জানি বাবার প্রতি ভ্রমর কতটা দুর্বল! বাবার অনুপস্থিতে ও যতটা কষ্টে ছিল তার থেকে হাজার গুণ খুশি আছে এখন। আমি জেনে-বুঝে সেই খুশিটা কী করে কেড়ে নিব, আন্টি? তাও যেটা একমাত্র আমিই দিতে পারি! ”
” তোমার কি মনে হয় এই বিয়েটা করার পরও ভ্রমর এমনই খুশি থাকবে? ”

হৃদ্য ঠোঁট একপাশে টেনে হাসল। বলল,
” একটু তো ঝুঁকি নিতেই হবে, আন্টি। ”
” ভ্রমর যে তোমাকে ভালোবাসে। জানো? ”
” জানি। ”
” জানার পরও বিয়েটা হতে দিচ্ছো? ওর কষ্টটা বুঝতে পারছ না? ”

হৃদ্য দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে বলল,
” ভালোবাসে বলেই বেশি ভয়। বিয়ের পর যদি কখনও জানতে পারে আমার জন্যই বাবাকে হারিয়ে ফেলেছে তখন ওর চোখের দিকে তাকাতে পারব না,আন্টি। অপরাধের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাব। ”

শরীফা খন্দকার অন্তর্নিহিত দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলেন। বুঝতে পারলেন এই ছেলে নিজ সিদ্ধান্তে অটল। তিনি নীরবে চলে যাওয়ার পা ফেলতে হঠাৎ বললেন,
” পছন্দটা ভ্রমরের উপরে ছেড়ে দিলে কেমন হয়? ”
” বুঝিনি। ”
” ধরো, ভ্রমরকে সব খুলে বলে জানতে চাইলাম তুমি কাকে চাও? ”

হৃদ্য ছুটে এসে বলল,
” একদম না। আন্টি, ভ্রমরকে কিছু বলবেন না। ”
” কেন? ”
” তাহলে ব্যাপারটা আগের মতোই হবে। উপরন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কেঁদে-কেটে বুক ভাসাবে। ওর জীবনে এমন কঠিন মুহূর্ত আসুক আমি চাই না। ”

শরীফা খন্দকার হৃদ্যের কাঁধে হাত বুলিয়ে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকালেন। আফসোসের সুরে বললেন,
” নীরব যেন তোমার মতোই ভালোবাসতে পারে! ”

শরীফা খন্দকারকে বাসার ধারে এগিয়ে দিয়ে ফিরতে ফিরতে আপন মনে বলল,
” আমি যদি ভ্রমরের পছন্দ হই তাহলে শুধু বাজান কেন, পুরো দুনিয়ার সাথে লড়বে। চিৎকার করে বলবে, ‘ আমি হৃদ্যকে নিব। আমার হৃদ্যকেই চাই। সেই লড়ায়ে আমি সাহস হব, আন্টি। অপরাধী নই। বিজয়ের পর আমি খুশি হয়ে ঝরব, কান্না হয়ে নই। ”

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here