প্রিয় প্রেমাসক্তা পর্ব -শেষ

#প্রিয়_প্রেমাসক্তা
পর্ব:১১
লেখিকা: #রুবাইদা_হৃদি
রাওনাফ হাত সযত্নে ছাড়িয়ে নিলো সায়াহ্ন। তাচ্ছিল্য করে বলল,

‘করুনা চাই না মিস্টার.।আমি আমার জীবন নিয়ে যথেষ্ট ভালো আছি।’

রাওনাফের কেন যেন হ্ঠাৎ করে রাগ লাগছে। এই মেয়েটা এতো বেশি বুঝে কেন! মেজাজ খারাপ করে দিচ্ছে একেকটা অদ্ভুত কথা বলে।
সে চাইছে তাকে ভরসা জোগাতে। আর এই মেয়ে আছে নিজের ভাবনার জগত নিয়ে। রাওনাফ ঘুরে মুখে গাম্ভীর্যপূর্ণ রেশ টেনে বলল,

‘চুপ থাকবেন আপনি।’

‘আমাকে বুঝার চেষ্টা করুন রাওনাফ। আমি কোনোভাবেই নিজের অতীত স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারি না।’

সায়াহ্ন কাতর স্বরে বলল। রাওনাফের উঠা রাগ টা নিভে যেতেই সে চেয়ারে বসে পড়লো। সায়াহ্ন কে ইশারায় পাশের চেয়ারে বসতে বলল। সায়াহ্ন চুপটি করে রাওনাফের পাশের চেয়ারে বসতেই রাওনাফ আশ্বস্ত স্বরে বলল,

‘ডায়েরি চিনেন মিস?’

‘হুঁ।’ সায়াহ্ন ছোটো করে জবাব দিতেই রাওনাফ তার দুই হাটুতে দু হাত রেখে মাথা ঝাকিয়ে বলল,

‘ভাবুন আমি একটা ডায়েরি। আপনি আপনার সব কষ্ট এই ডায়েরির পাতায় বিশ্বাস করে লেখতে পারেন।’

সায়াহ্ন অবাক চোখে তাকালো। রাওনাফের মুখভঙ্গি দেখে বুঝার উপায় নেই সে মজা করছে না-কী সত্যি সত্যি বলছে। রাওনাফ ভ্রুকুটি করে বলল,

‘আমি সত্যি এবং তিন সত্যি করে বলছি।’

সায়াহ্ন তবুও চুপ। রাওনাফ মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। এই মেয়েটাকে বুঝাতে গেলে সে এলোমেলো হয়ে যায়। মেয়েটার চোখেমুখে কেমন দুঃখ ভাসে। অব্যক্ত সব দুঃখ।
যার ভাগ রাওনাফ নিজ নামে লেখিত করার প্রয়াসে বারংবার ব্যর্থ। রাওনাফ অভিসন্ধান করতে আজকেও ব্যর্থ। তবে তার ধারণা ভুল প্রমাণিত করে বৈশাখের আসা হ্ঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টির মতো সায়াহ্নের চোখ দিয়ে অশ্রুবর্ষণ হলো। সে কাঁদছে। লুকিয়ে রাখা সব কান্না বিসর্জন দেওয়ার দিনে আজ তার পাশে রাওনাফ আছে। রাওনাফ উঠে তার পাশে আসতে চাইলেই সায়াহ্ন ইশারায় থামিয়ে দেয়। হেঁচকি তুলছে অনবরত।
গোল গোল চোখ গুলো রক্তবর্ণ ধারণ করেছে। এ যেন এক রক্তিম চাঁদ। রাওনাফ চোখ সরালো না। কিঞ্চিৎ শঙ্কা এবং আলাদা এক অনুভূতি নিয়ে সে তাকিয়ে রইলো সায়াহ্নের কান্না ভেজা চোখের দিকে। আজ সেই চোখ রাওনাফ পড়তে পারছে। সেই সাথে পড়তে পারছে সায়াহ্নের বেদনের কিছু কথা । সায়াহ্ন মুখ দিয়ে ‘দ’ জাতীয় শব্দ করে থেমে গেলো। কান্নার তোড়ে তার কথা জড়িয়ে আসছে।
রাওনাফ বিনা শব্দে পানির গ্লাসটা এগিয়ে দিতেই সায়াহ্ন মুখ খুললো। গলার স্বর খাদে ফেলে বলল,

‘একটা মেয়ের সব থেকে গর্বের বিষয় কি জানেন মি.রাওনাফ?’

রাওনাফ প্রত্যুত্তর করলো না। আজ সায়াহ্ন বলুক সে চায়। রাওনাফের থেকে উত্তর না পেয়ে সায়াহ্ন শ্বাস টেনে নিজেই বলল,

‘তার সম্মান। আর সেই সম্মানে যখন তার অনুমতি সাপেক্ষে আ’ঘাত লাগে এবং সেই আঘাতের দ্বায়ভার তার উপরেই চাপিয়ে দেওয়া হয় তখন মেয়েটার বেঁচে থাকার ইচ্ছাগুলোই মরে যায়।’

সায়াহ্ন থামলো। কিয়ৎক্ষণ পূর্বের রাওনাফের এগিয়ে দেওয়া গ্লাস থেকে পানি পান করে আবার বলল,

‘আমি তখন সদ্য কিশোরী। ভর্তি যুদ্ধ নিয়ে স্বপ্ন বুনছি। তবে সেই স্বপ্নের ইতি জানেন কবে টেনেছিলাম? যখন স্যার নামক একটি মানুষ আমার সম্মানহানি করেন। তার থেকে বড় কষ্ট জানেন কখন পেয়েছিলাম?
যখন আমার অপ্রী’তিকর কিছু ছবি ওই লোকটা ধারণ করে আমার বন্ধুবান্ধব এবং আমার বাবা-ভাই সেই সাথে আত্মীয়স্বজন সবার কাছে সযত্নে প্রেরণ করেন।’

এইটুকু বলে আবারো থামলো সায়াহ্ন। ওইদিনটি ছিলো বিভীষিকা ময়। তাড়াহুড়ো করে সে কোচিং সেন্টারে কিছুটা পূর্বেই চলে গিয়েছিলো ওইদিন। স্যার নামক মানুষটাকে তার চিনতে ভুল হয়েছিলো। সে যাবার পর হুট করেই ঝড়োমেঘ এসে জড়ো হয়। সেই সাথে তার জীবনেও ওইদিন ওই লোকটা কালো মেঘে ভরিয়ে দিয়েছিলো।
কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধ’র্ষ’ণ করা হয়। ওইদিন তার আকুতি লোকটার কানে যায় নি।
না গিয়েছিলো তার চিৎকার গুলো বাইরে। দিনটি তার কাছে যন্ত্রণা সম আজ পর্যন্ত সে সেই যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছে।
তবে ঘটনার পরেও লোকটি থেমে থাকে নি। তার অপ্রীতিকর ছবি গুলো সবাইকে দিয়ে বেড়িয়েছে অচেনা নাম্বার থেকে। সায়াহ্নকে ওইদিন সে কোচিং সেন্টার থেকে বের করে অন্য একটা নির্জন জায়গায় ফেলে রেখে আসে।
সায়াহ্নের জ্ঞান ফেরার পর যখন সে নিজের শরীর এবং মনের যন্ত্রণার ভার বয়ে হসপিটালে প্রথম চোখ খুলে তখন তার দুর্বিষহ জীবনের আরেক টি অধ্যায়ের শুভারম্ভ হয়। তার রুমের প্রতিটি কোণায় বিষাদের সুর নিজ নিজ অক্ষরে লেখছিলো তার যন্ত্রণা গুলো। বাবা-মায়ের আলিঙ্গন যখন তার দরকার ছিলো তারা নিজেদের সম্মান বাঁচাতে তাকেই দোষারোপ করেছিলেন সেই সব ছবির কথা তুলে।
যখন বাবার পরম ভরসার হাত তার মাথায় থাকার দরকার ছিলো সেই হাতটি তার গালে উঠেছিলো। কারণ ছিলো,তার ছবি কেন নেট দুনিয়ায়।
মায়ের হাত যখন তার মাথায় পরম মমতায় বুলানোর দরকার ছিলো তার মা বলেছিলেন,’তুই না চাইলে কেউ এইসব জোর করে করতে পারে!’
সায়াহ্ন সেদিন আবিষ্কার করেছিলো তার ভিন্ন মা-বাবাকে। যারা কিছুদিন পূর্বেও তার সামান্য ব্যথা নিয়ে অস্থির হয়ে উঠতেন পুরো ঘর অস্থিরতায় দাপিয়ে বেড়াতেন।
কিন্তু আজ একটা মানুষ আর কিছু ছবির জন্য তার ছোটো মনের আঘাত উপেক্ষা করে তার দোষ না থাকা সত্ত্বেও তাকে দোষারোপ করছেন। সায়াহ্ন সেদিন নির্বাক ছিলো ভাবশূন্য ছিলো। অস্থিরতায় বারবার বলেছিলো,’আমার কোনো দোষ নেই বাবা।’
বাবা সেইদিন ফিরে তাকান নি। শুধু তার দায়িত্ব পালন করে গিয়েছিলেন। যে ভাইটা তাকে আগলে সেও কেমন চুপচাপ হয়ে গেলো। একদিন এসে মিনমিনে সুরে বলেছিলো,

‘বুঝলি সায়াহ্ন তোর কারণে বন্ধুমহলে যেতে পারি না।’

সায়াহ্ন নির্বিকার ভাবে ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলো। একটা দিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার সব যেনো এলোমেলো হয়ে উঠলো। বন্ধুরা সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া শুরু করলো। তবে এতো চেনা মানুষের আড়ালে অচেনা মানুষের মাঝে একজনকে সায়াহ্ন খুব করে চিনেছিলো। আর সে হচ্ছে নোভা।
নোভা তাকে ভরসা জুগিয়েছে,সাহস দিয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সাহস টা নোভার জন্যই করতে পেরেছে সে।
তার জীবনের কলঙ্ক মুছে নি। ওই ঘটনার দু মাস পরেই সে নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে আসে দূরে। বাড়িতে থাকাকালীন প্রতিনিয়ত তাকে মেরে ফেলা হতো। তার চেনা বাবা-মা,ভাই সব অচেনা । সায়াহ্ন এক রাতে সিদ্ধান্ত নেয় তাদের ছেড়ে দূরে যাবে।
হ্যাঁ সে পেরেছে দূরে আসতে। আজো পর্যন্ত নিজের কাটানো উনিশ বছরের ওই বাসগৃহে সে ফিরে যায় নি।
প্রায়শই তার বাবা আসেন তাকে নিতে। সায়াহ্ন তখন নির্বাক হয়ে তাকায়। যখন তার পাশে থাকার জন্য এই মানুষ গুলোর প্রয়োজন ছিলো তখন তারা তাকে একা করে ফেলে রেখেছিলো। তার দিন রাত সব আঁধারচিত্র ছিলো। রঙিনা আলোর ছিটেফোঁটা প্রবেশ করে নি টানা চারটি মাস।
অবশ্য এরপর ভার্সিটি এবং হল জীবনেও তাকে বারবার পিষে মারা হয়েছে। ম’রে যাবার জন্য বারবার চেষ্টা করেও বৃথা সে তার জীবনের মতোই।
যত্রতত্র ভেবে সায়াহ্ন হাসলো। অশ্রু টলমলে সেই হাসি রাওনাফের হৃদ কুঠুরে আ’ঘা’ত হানলো। সে টেবিলে দু হাত রেখে মলিন কন্ঠে বলল,

‘আপনার বাবা-মায়ের প্রতি ক্ষোভ টা মিটাবেন না আফরা?’

‘যে বাবা-মা মেয়ের পাশে না থেকে তাদের সমাজ নিয়ে মেতে ছিলো তাদের প্রতি আমার ক্ষোভ নেই মিস্টার.রাওনাফ।’

‘তারা এখন আপনার জন্য চিন্তিত।’

‘কারণ,তাদের ছেলের বিয়ে আমার কারণে দিতে পারছে না।’

বলে সায়াহ্ন মুচকি হাসলো। রাওনাফ অবাক হয়ে তাকালো। রাওনাফ এই পর্যায়ে মাথা নীচু করে ফেললো। সায়াহ্নের দৃষ্টিতে দৃষ্টি মেলানোর সাহস তার হচ্ছে না।
কিছুদিন পূর্বে সায়াহ্নের বাবা এবং ভাই তার চেম্বারে এসে যখন সায়াহ্নের চিকিৎসার জন্য কাকুতি মিনতি করেছিলো তখন রাওনাফ ভেবেছিলো মেয়েটি জে’দী। বাবা-মায়ের অবাধ্য এই জন্যই একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে দূরে সরে আছে কিংবা মানসিক রোগে ভুগছে।
সেই প্রথম রাত্রের দেখাটা কাকতালীয় ছিলো না। বরং রাওনাফ নিজেই আতিককে পাত্রী দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলো।
এরপর সায়াহ্ন কে পর্যবেক্ষণ করে বুঝেছিলো,মেয়েটার ভেতর চাপা কষ্ট রয়েছে যা সে নিজ মনে দা’ফন করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সায়াহ্নকে বুঝার জন্য সে বিভিন্ন কল করেছে । যতো সায়াহ্নের কাছাকাছি এসেছে অদ্ভুত এক মায়ার টানে আটকা পড়ে মেয়েটাকে পড়ার চেষ্টা করেছে। তবে সে ভেবেছিলো কিছুটা কষ্ট তবে আজ সে বুঝতে পারছে সায়াহ্ন আফরা মেয়েটা সাদা মেঘের মতো স্বচ্ছল হলেও ভেতরে বৃষ্টি লুকায়িত।
রাওনাফকে চুপ থাকতে দেখে সায়াহ্ন বলল,

‘স্বার্থ মানুষের ভেতরে রাজত্ব করছে মিস্টার রাওনাফ.। আমার কাছে স্বার্থ আছে বলেই বাবা-মা,ভাই আমার পেছনে ছুটছে। আপনিই ভাবুন না,আমি বাসা থেকে চলে আসার পর যারা খোজ নেয় নি তারা কেন গত এক বছর যাবত আমার জন্য মরে যাচ্ছে?
কারণটা আমিই বলি,কারণ আমার ভাইয়ার বিয়ে গুলা বারবার ভেঙ্গে যাচ্ছে। তবে একটা কথা কি জানেন! আমার বাবা-মায়ের দোষ নেই। দোষ এই সমাজের। যারা নিজেদের মতো নিয়মকানুন বানিয়ে সবার উপর রাজত্ব করছে।’

রাওনাফ জবান দিলো না। সে নিশ্চুপ বসে আছে। তার সাজানো সব কথার পসরা আজ ফুরিয়েছে। তার সামনে যে রমণীটি বসে আছে সে একজন শক্ত মন এবং ভাঙা মনের অধিকারী।
রাওনাফকে চুপ থাকতে দেখে সায়াহ্ন আর কথা বাড়ালো না। তাদের কথা আজ ফুঁরিয়েছে। সায়াহ্ন উঠে দাঁড়ালো। ব্যাগের চেইন খুলে কিছু টাকা টেবিলে রেখে বলল,

‘বলেছিলাম আজকে খাবারের বিলটা আমার।’

রাওনাফ সেদিকেও তাকালো না। সায়াহ্ন খুব করে বলতে ইচ্ছা হচ্ছলো,

‘কিছু বলবেন না রাওনাফ?’

তবে সেইটুকু কথা সে উচ্চারণ না করেই টাকা রেখে বেরিয়ে এলো।
ইতিমধ্যে ঝড়ো হাওয়ার আবির্ভাব ঘটেছে। আকাশ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে গেলো কিছু মুহূর্তের ব্যবধানে। রাওনাফ নিজ মনে কথা সাজাচ্ছে। একের পর এক কথা সাজিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে সে।
সায়াহ্ন কুড়েঘরের বাইরে পা রাখতেই ঝম ঝম শব্দে বৃষ্টির আগমণ ঘটে। রাওনাফ তখনো ভাবনায় মশগুল। সায়াহ্ন কে বুঝানোর মতো কথার ঝুড়ি সাজাচ্ছে সে।
যখন তার ভাবনার ইতি ঘটলো উঠে দাঁড়িয়ে টেবিলে রাখা টাকা গুলো দেখে কিছুটা ভড়কে গেলো সে। বৃষ্টির দাপট তখনো সর্বত্র ছড়াচ্ছে। ঝড়ো হাওয়ায় আর বিদ্যুৎ এর চমকে পৃথিবীর বুকে তখন তান্ডব চালাচ্ছে প্রকৃতি।
রাওনাফ বুঝলো সে ভাবতে ভাবতে বড্ড দেরি করে ফেলেছে। সায়াহ্ন তখন তার থেকে অনেকটা দূরে। আবছা অন্ধকার আবার বিদ্যুৎ এর চমকে লাল রাঙা জামাটি নজরে আসতেই রাওনাফ কুড়েঘর থেকে ছুটে বেরুলো। তার চোখেমুখে বৃষ্টিরা আঁকিবুঁকি করছে। চোখের পাতায় পাতায় বৃষ্টির ফোঁটা পরতেই ভারী হয়ে উঠলো নেত্রপল্লব।
পল্লব ঝুকতেই বিদ্যুৎ এর চমকে আবছা সেই লাল রাঙা জামাটি মিলিয়ে যেতেই রাওনাফ মৃদু চিৎকার করে বলল,

‘মিস.লাল শাড়ি ওয়ালী আপনি যাবেন না। আপনি আমার প্রেমাসক্তা হয়ে থাকবেন আর আমি আপনাতে প্রেমাসক্ত হয়ে বাঁচবো।’

উঁহু! আজ রাওনাফের সেই কথাটি বৃষ্টির ছন্দে হারিয়ে যাচ্ছে সেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে সায়াহ্ন। তার একবুক সমান অভিমানের পসরা সাজিয়ে।
অভিযোগ গুলো আজ বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যাচ্ছে সায়াহ্নের। এই সমাজের মানুষ গুলো যে বড্ড স্বার্থপর….

সমাপ্ত

[অসমাপ্ত,অগোছালো একটা গল্প।আগামী কিছুদিন বা কিছুকাল পরে সায়াহ্নকে নিয়ে লেখবো।ভালো থাকবেন সকলে।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here