প্রেমময় আসক্তি ২ পর্ব ৯+১০+১১

#প্রেমময়_আসক্তি_২
#বোনাস_পর্ব
#নন্দিনী_চৌধুরী

🥀

আরিয়ানরা আজকে ফিরে এসেছে ঢাকা। এসে সবাই ক্লান্ত তাই ফ্রেশ হয়ে যে যার মতো রুমে চলে যায় খেয়ে। আরিয়ান রুমে এসে কল লাগায় একজনকে,,,

আরিয়ানঃহ্যা কি করছে? খেয়েছে রাতে? আর কোনো ব্যাথা উঠেনিতো?

……………….

আরিয়ানঃআচ্ছা ঢাকা আসছে কবে সবাই?

……………

আরিয়ানঃআচ্ছা খেয়াল রেখো।

আরিয়ান ফোন রেখে বারান্দায় এসে বসে। আজকের চাঁদটা অনেক সুন্দর উঠেছে। আরিয়ান চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলে,,

আরিয়ানঃ”তুমি চাঁদ সবার কাছে সুন্দর হলেও আমার কাছে তুমি তত সুন্দর না যতটা আমার পান্ডা আমার কাছে সুন্দর। এক আলাদা মাদকতা আছে তার মাঝে যা তোমার মাঝে নেই চাঁদ। ”

আরিয়ান বসে ছিলো তখন ওর রুমে মিস্টার হাসান আসেন। মিস্টার হাসান রুমের বাহিরে দাঁড়িয়ে নোক করলেন,,

মিস্টার হাসানঃআরিয়ান কি ঘুমিয়ে গেছো বেটা?
আরিয়ান বাবার কণ্ঠ শুনে বারান্দা থেকেই বললো,
আরিয়ানঃনা ড্যাড আমি বারান্দায় তুমি আসো।
মিস্টার হাসান রুমে ঢুকে বারান্দায় গেলেন। আরিয়ানের পাশের সোফায় বসে পরেন তিনি। আরিয়ান বাবার দিকে তাকিয়ে বলে,

আরিয়ানঃবলো ড্যাড এতো রাতে তুমি। কোনো জরুলি দরকার?
মিস্টার হাসানঃহ্যা ব্যাপারটা অনেকটা জরুলিই তাই দেড়ি না করে এখন আসলাম।
আরিয়ানঃহ্যা বলো ড্যাড।
মিস্টার হাসানঃ দেখো আরিয়ান আমার বয়স হয়েছে তোমার মায়ের ও বয়স হয়েছে। সব বাবা মায়েরই ইচ্ছা থাকে তার সন্তানের বিয়ে দেখার। আমাদেরও তোমার বিয়ে দেখার ইচ্ছা আছে। তাই আমি চাচ্ছি তোমার আর রিয়ার বিয়েটা দ্রুত দিয়ে দিতে। রুহি তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড তুমি ওকে পছন্দ করো রুহিও তোমাকে পছন্দ করে। তাই আমি আর দেড়ি করতে চাচ্ছিনা।

মিস্টার হাসানের কথা শুনে আরিয়ান চমকে গেলো। মিস্টার হাসান যে এমন কিছু বলবে সেটা সে আশা করেনি। আরিয়ান বাবার দিকে তাকিয়ে বলে,,

আরিয়ানঃড্যাড বিয়ে!
মিস্টার হাসানঃহ্যা বিয়ে।
আরিয়ানঃকিন্তু ড্যাড আমি রুহিকে পছন্দ করি এটা তোমাকে কে বললো। হ্যা রিয়া আমার ফ্রেন্ড গত কয়েক মাস ধরে। অস্ট্রেলিয়ায় থাকার কারনে আমি ওকে ফ্রেন্ড বানিয়ে ছিলাম কিন্তু ওকে আমি পছন্দ করি এমন কিছু নয়। ড্যাড তুমি আমাকে বিয়ে দিতে চাও আমি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু আমি রিয়াকে বিয়ে করতে পারবোনা।
মিস্টার হাসানঃতাহলে কি তোমার কোনো পছন্দ আছে?
আরিয়ানঃহ্যা আছে।
মিস্টার হাসানঃকে সে?
আরিয়ানঃসময় হক। আমি নিজেই বলবো।
মিস্টার হাসানঃকিন্তু……
আরিয়ানঃপ্লিজ ড্যাড।
মিস্টার হাসানঃওকে।

মিস্টার হাসান উঠে আসলেন বারান্দা থেকে তারপর চলে আসেন তার রুমে।
আরিয়ান বারান্দায় বসে ভাবছে সে কি করবে। এটা নিশ্চই রুহির কথায় বাবা বলতে এসেছে। আরিয়ান নিজের ফোন বের করে আবার কাউকে কল লাগায়,,,,

আরিয়ানঃহ্যা কাজ কত দূর?
……………
আরিয়ানঃঠিক আছে আসছে ১৮ তারিখ মানে আজ ১০ তারিখ আর ৮দিন পর সব কাজ শেষ হবে Got It!

আরিয়ান ফোন রেখে বাঁকা হাঁসলো।

~এদিকে~

মুনকে তার বাবা জলদি বাসায় আসতে বলেছে কোনো বাহানা সে আএ শুনবেনা বলে দিয়েছে। তাই অজ্ঞাত মুনকে যেতেই হবে। মুন আজকে আবার ফেজবুকে এসেছে আরাভের আইডি লাইনে দেখে বুকের ভেতর ধক করে উঠলো। কাঙ্ক্ষিত মানুষটাকে লাইনে দেখলে খুব ইচ্ছা করে ম্যাসেজ দিতে কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য দেয়াল সেই ইচ্ছাকে চাপা দিয়ে দেয়। রুবাও পারছেনা আরাভকে ম্যাসেজ দিতে। আরাভের আইডিতে গিয়ে দেখলো অনেকে তার টাইমলাইনে পোস্ট করেছে অভিনন্দন দিপা ভাবি আর আপনাকে। রুবা বুঝতে পারলো আরাভের স্ত্রীর নাম দিপা। রুবা আর থাকতে পারলোনা আইডি অফ করে বিছানায় বালিশ চেপে কাঁদতে লাগলো।

এদিকে আরাভ রুবাকে লাইনে দেখে অবাক হয়েছে খুশিও হয়েছিলো কিন্তু ম্যাসেজ করতে যেয়েও করলোনা সে। আরাভ ফেজবুকে এসেছিলো দিপা আর ওর বন্ধ যাবেরকে উইস করতে। মজার ছলে মেরিড স্টাটাস সে দিয়েছে বলে অনেকে দিপাকে তার স্ত্রী ভাবছে। তাই সে স্টাটাস ডিলেট করে দিচ্ছে।

~সকালে~

আরিয়ান তার গানের স্টুডিওতে চলে গেছে নীলাদ্র অফিসে। নন্দিনী ভার্সিটি চলে গেছে। রুহি সকালে তার বাসায় চলে গেছে।

আরিয়ান গানের স্টুডিও থেকে গান রেকর্ড করে চলে গেলো নীলাদ্রের অফিসে। সেখানে গিয়ে নিলাদ্রকে নিয়ে বেরিয়ে পরে। আজকে ওরা দুজনে ঘুরবে।

~৪দিন পর~

রোদেলারা ফিরে এসেছে বাসায়। মুনকে রাফসান দিয়ে আসতে গেছে ওদের বাড়িতে। রোদেলা তো রুবাকে যেতে দিতে চাইনি কিন্তু কি করার আংকেল ডেকেছে যেতে হবে। রুবাকে বাড়িতে দিয়ে ফিরে আসে রাফসান।

এদিকে রুবা বাসায় আসার পর তার বাবা তাকে জানায় তার পছন্দের পাত্র তাকে আগামী শুক্রুবার দেখতে আসছে। পছন্দ হলে সেদিনেই ওদের বিয়ে করিয়ে দেবেন তিনি। রুবা শুধু পাথরের মতো শুনে গেছে কি বলার আছে ওর। না কিছু বলার নেই।

এদিকে মুনের শরীরটাও ভালোনা। বমি,মাথা ঘুরানো। আজকে রোদেলাকে ডাক্তার দেখিয়ে সেও ডাক্তার দেখাবে। রোদেলাকে ডাক্তার দেখিয়ে নিজেও ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় আসে দুজনে। রোদেলার বেবিরা সুস্থ আর হেলদি আছে। টুইন বাচ্চা রোদেলার ডাক্তার একদম কনফার্ম করে বলেছে। রোদেলা অনেকদিন পর আজকে কাশুর সাথে কথা বললো। কাশু আসতেছে ঢাকা দুইদিন পর। আদৃতা এসে দেখা করে গেছে ওদের সাথে।

~শুক্রুবার~

আজকে রুবাকে দেখতে আসবে নিলয়। নিলয় রুবার বাবার বন্ধুর ছেলে। রুবাকে ওর চাচি সাজিয়ে দিচ্ছে। আর রুবা পুতুলের মতো বসে আছে। যেনো কোনো অনুভুতি কাজ করছেনা ওর। যথাসময় নিলয়রা আসলো রুবাকে দেখতে। রুবাকে নিলয়ের সামনে বসানো হলো। নিলয়ের মা বাবার রুবাকে দেখেই পছন্দ হয়ে গেলো। রুবা আর নিলয়কে আলাদা কথা বলতে দেওয়া হলো।

নিলয় রুবাকে বললো,,,

নিলয়:আপনি আরাভের ভালোবাসা রুবা তাইনা?

নিলয়ের কথা শুনে চমকে গেলো রুবা।
রুবা:আপনি?
নিলয়:আরাভ আমার বন্ধু। আরাভের মুখে আপনার কথা শুনেছিলাম দেখেছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম না আমার মা বাবা যেই মেয়েকে দেখতে এসেছে সে আপনি।
রুবা:এখন এসব বলে আরকি লাভ। সেতো বিয়ে করে নিয়েছে।
নিলয়:কে বললো আপনাকে?
রুবা:আমি ফেজবুকে দেখেছি।
নিলয়:অহ সেটাতো আপনার উপর রাগ করে দিয়েছিলো। দিপা যাবেরের বউ, আরাভের না।
রুবা:কি সত্যি?
নিলয়:হ্যা।
রুবা:কিন্তু আমি বাবাকে কিভাবে বুঝাবো?
নিলয়:সেসব নিয়ে আপনি চিন্তা করবেন না আমি দেখে নিচ্ছি।

রুবা নিলয় কথা শেষ করে নিচে চলে আসলো। তারপর নিলয়ের বাবা মা রুবার বাবা মার সাথে কথা বলে। খাওয়া দাওয়া করে চলে গেলো।

______________________________

রোদেলা দাঁড়িয়ে আছে আদ্রিয়ানের মুখামুখি। আদ্রিয়ানের চোখে রাগ আর রোদেলার চোখে পানি।

আদ্রিয়ান:আজ সব সত্যি জানার পর তোমার মনে হয়েছে তোমার ভুল হয়েছে। আর এতোদিন!এতোদিন যে আমি কষ্ট পেয়েছি আমি তিলে তিলে শেষ হয়েগেছি তার কি হবে বলো কি হবে। তোমাকে আমি মাফ করবোনা রোদেলা কোনোদিন মাফ করবোনা। আমার সন্তানদের কাছেও তোমার কারনে আমি থাকতে পারিনি। I haTe you Rodela. I hate You.

রোদেলা:প্লিজ এভাবে বলবেন না। একটা বার আমাকে সুযোগ দিন প্লিজ একটা বার। আমি আমার বাচ্চাদের থেকে দূরে থাকতে পারবোনা প্লিজ। আপনাকে ছাড়াও আমি বাঁচবোনা প্লিজ।

আদ্রিয়ান রোদেলার কথা না শুনে চলে যায় বাবুদের নিয়ে আর রোদেলা সেখানে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে।
#প্রেমময়_আসক্তি_২
#পর্ব_১০
#নন্দিনী_চৌধুরী

১০.
থরথর করে কাঁপছে রোদেলার শরীল। ঘামে ভিজে গেছে পরনের গোল জামাটা। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে তার। পাশের টেবিল থেকে পানির গ্লাস নিয়ে এক শ্বাসে পানি খেয়ে নিলো সে। এক ভয়ংকর স্বপ্ন দেখেছে সে। আদ্রিয়ান ফিরে এসেছে। তার বাচ্চাদের তার কাছে থেকে নিয়ে গেছে। রোদেলা উঠে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো। স্বপ্নের কথাটা কিছুতেই ভুলতে পারছেনা সে। আচ্ছা আদ্রিয়ান কি সত্যিই ফিরে আসবে? নিয়ে যাবে বাবুদের ওর কাছ থেকে? নাহ! এটা হতে পারেনা। আদ্রিয়ান কিভাবে ফিরে আসবে। রোদেলা গিয়ে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসলো ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে ৪টা বাজে। একটু পরেই আজান দেবে। রোদেলা ওযু করে আসলো এর মধ্যেই দুরের মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি শুনা গেলো। রোদেলা জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলো। নামাজ শেষ করে মোনাজাত করে একটু কোরয়ান পড়ে নিলো রোদেলা। তারপর গিয়ে আবার বিছানায় শুয়ে পরলো। এখন মনটা কিছুটা শান্ত হয়েছে।

~সকালে~

নাস্তার টেবিলে বসে নাস্তা করছে আরিয়ানরা সবাই। নীলাদ্র আর নন্দিনীর বিয়ে তারিখ ফিক্সড হয়ে গেছে। আগামী শুক্রুবার বিয়ে ওদের। হাতে আর ১সপ্তাহ সময় এর ভেতর সব এরেঞ্জ করতে হবে। আরিয়ান সব দায়িত্ব নিয়েছে। খাবার খেতে খেতে মিস্টান খান বলেন,

মিস্টার খান: আচ্ছা রাফসান গ্রুপ ওফ কোম্পানির মালিক মিস্টার রাফসানকেও তো দাওয়াত দেওয়া উচিত আফটার ওল সে আমাদের সাথে অনেক ডিল করে।
মিস্টার হাসান: হ্যাঁ, তাকেও দাওয়াত দে। ভালো হবে ছেলেটা বেশ ভালো এবং এক্সপার্ট একজন বিজনেসম্যান।
নীলাদ্র: এই রাফসানের সাথে আমাদের বান্দরবনে দেখা হয়েছিলো।
মিস্টার খান: বাহ! তাহলে তো ভালোই হলো। প্রথম কার্ড তাহলে তাকেই দেই।
আরিয়ান: হ্যাঁ ভালো হবে।
সবাই নাস্তা করে যে যার যার মতো বেরিয়ে গেলো।

______________________________

আরাভ আজকে হাসপাতাল থেকে এসে সোজা জুঁই তুর্যকে নিয়ে রুবাদের বাসায় যাচ্ছে। নিলয় ফোন করে আরাভকে জানিয়েছে কেন রুবা ওকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলো। আরাভ যেভাবেই পারুক রুবার বাবাকে মানাবে। তাই আজকেই আরাভরা যাচ্ছে রুবাদের বাসায়।

~অন্যদিকে~

আশরাফের অবস্থা করুন। তার সব কালো সম্পত্তি সব ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন এই সম্বল ছাড়া আর কিছুই তার নেই।

আশরাফ: না এভাবে বসে থাকলে চলবেনা। আমার মনেই হচ্ছে অই ছেলেটাই আদ্রিয়ান। আর সেটা সত্যি হলে ওকে আমি ছাড়বোনা।

আশরাফ ওর ছেলেদের ডাক দেয় তারপর এক পরিকল্পনা সাজায় ওরা।

~২দিন পর~

এখন রোদেলার ৭মাস শুরু হয়েছে। পেট আগের থেকে বেশ ফুলে উঠেছে সেই সাথে বাচ্চাদের কিক তো আছেই। রোদেলার হাটতে চলতে বেশ অসুবিধা হয়। তাই রাত একদম ছায়ার মতো রোদেলার পাশে থাকে। যেনো রোদেলার কোনো সমস্যা না হয়। কাশু আজকে চলে আসছে রোদেলাদের কাছে। কাশু আর কাউসারের ফ্যামিলি ওদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে। কাউসার দেশের বাহির থেকে ফিরে আসলেই ওদের বিয়ে দিয়ে দেবে।

রাফসান রেডি হচ্ছে মুন ওকে ওর সব প্রয়োজনীয় জিনিশ এগিয়ে দিচ্ছে। রাফসান রেডি হতে হতে বলে,,

রাফসান: আমাদের সাথে ডিল করে মিস্টার খানের এক মাত্র ছেলে নীলাদ্র খানের এই শুক্রুবারে বিয়ে। আমাকে সবার আগে বিয়ে কার্ড দিয়ে গেছে। আর বলেছে আমি যেনো অবশ্যই যাই বিয়েতে স্বপরিবার নিয়ে।
মুন:এটাতো ভালো কথা।
রাফসান:হ্যা রুবাকে কল করে চলে আসতে বলো। ওকে রেখে যাবোনা।
মুন:আচ্ছা ঠিক আছে।

রাফসান রেডি হয়ে মুনকে আদর করে চলে যায় অফিসে।

____________________

আরাভ পুরো ২দিন রুবার বাবাকে বুঝিয়ে রাজী করিয়েছে ওদের বিয়ের জন্য। রুবার বাবা চায়না তার গরিব বলে মেয়ে ধনী পরিবারে গিয়ে কোনো কষ্ট পাক। তাই সে আরাভকে প্রথমে মেনে নিতে চায়নি। কিন্তু আরাভ তাকে বুঝিয়েছে আরাভ কোনোদিন রুবার অমর্যাদা করবেনা। সারাজীবন রুবার পাশে থাকবে। অবশেষে রুবার বাবা আরাভ ও রুবাকে মেনে নেয়। দিন তারিখ মতে সামনের মাসেই ওদের বিয়ে দেবে তারা। এর মাঝেই মুন রুবাকে ফোন দিয়ে জানায় আসার জন্য। রুবা বাবাকে বলে অনুমতি নেয়। আরাভের সাথেই আসার জন্য বেরিয়ে পরে সে।

~রাতে~

রোদেলার আজকেও ফিল হচ্ছে ওর পেটে কেউ চুমু দিচ্ছে কথা বলছে। রোদেলা চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে আদ্রিয়ান ওর পেটে চুমু দিচ্ছে। রোদেলা নরেচরে উঠতেই আদ্রিয়ান সরে গেলো। রোদেলা উঠে বসতেই আদ্রিয়ান হেসে বলে,,

আদ্রিয়ান: এইযে পান্ডা কেমন আছো?
রোদেলা: পান্ডা?
আদ্রিয়ান: হুম পান্ডা। দেখোনা তুমি পান্ডার মতো গোলগাল হয়ে গেছো একদম।
রোদেলা: আমি গোলগাল হয়ে যাইনি। আপনার বেবিগুলা আমার ভিতরে দেখে আমি মোটু হয়ে গেছি। তাই বলে আপনি আমাকে পান্ডা বলবেন🥺!
আদ্রিয়ান: হুম তুমি পান্ডা। কিন্তু পান্ডা হলেও তোমাকে সেই কিউট লাগছে। উফফ রোদেলামই কবে যা আমার বেবিগুলা দুনিয়ায় আসবে। আর আমি তাদের দেখবো আমার আর অপেক্ষা সইছেনা।
রোদেলা: 😒😒।
আদ্রিয়ান: রোদেলার কোমর জরিয়ে ধরে শুয়ে পেটে কান পেতে বাচ্চাদের অনুভব করছে হঠাৎ আদ্রিয়ান এক্সসাইটেড হয়ে বলে,
আদ্রিয়ান: রোদেলামই বেবিরা কিক করেছে। ওমাই গড আমার বেবিরা কিক করেছে।
রোদেলা: হ্যাঁ, তো এটা নতুন কি? কিক তো রোজই ৬/৭টা মারে।
আদ্রিয়ান: আমার কাছে নতুন কারন আমি আজ প্রথম তাদের কিক অনুভব করলাম।
রোদেলা: হুহ।
আদ্রিয়ান: আচ্ছা রোদেলা আমাকে মিস করোনা। আমার আদরগুলা মিস করোনা।
রোদেলা:…………।
আদ্রিয়ান: জানি তুমি আমাকে মিস করো। আমার ছবি বুকে নিয়ে বসে থাকো। যখন আমাকে ছাড়া থাকতেই পারবেনা তাহলে কেন দূরে ঠেলে দিলে।

“তুমি বীরহে পোড়াতে চাও পোড়াও, কিন্তু এমন ভাবে পুড়িওনা যে পুনরায় ফেরত আসার কোনো উপায় থাকবেনা। ভালোবাসি বিধায় এই নয় তোমার সব মেনে নেবো। ভালোবাসি বলেই বীরহে পুড়ি। কিন্তু পোড়াইনা। ভালোবাসার বিষে রোজ মৃত্যু হয়। ”

রোদেলা আদ্রিয়ানের কিছু বললোনা। কেন জানি এই বিষয়ে সে কিছু বলতে পারেনা।
আদ্রিয়ান উঠে দাঁড়ায় তারপর রোদেলার দিকে তাকিয়ে চলে যায়। না আজ কোনো ধোঁয়া নেই। আজ রোদেলার সামনে দিয়েই দরজা দিয়েই আদ্রিয়ান চলে গেছে। আর রোদেলা তাকিয়ে শুধু দেখে গেছে।

~সকালে~

মুনের হাতে ডাক্তারের রিপোর্ট। রিপোর্ট হাতে নিয়ে মুন বসে আছে চোখে তার পানি। না এই পানি কষ্টের না সুখের। এক নারীর বিশাল পূর্নতার খুশির। তার ভেতর রাফসানের একটা অংশ বেড়ে উঠেছে।
হ্যাঁ, সে মা হতে যাচ্ছে আর রাফসান বাবা। মুন বুঝতে পারছেনা কিভাবে জানাবে রাফসানকে এটা। রাফসান শুনলেতো খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাবে। মুন ভেবেছে খুব স্পেশাল ভাবে সে এটা জানাবে রাফসানকে

রুবা চলে এসেছে রোদেলাদের বাসায়। যথারিতি আবার ৪ বান্ধুবি এক সাথে।

আদৃতা আজকে এসেও রোদেলাকে দেখে গেছে। আদৃতা সামনের মাসে চলে যাচ্ছে আহনাফের সাথে ইউকে।

_________________________

আজকে নীলাদ্র আর নন্দিনীর বিয়ে। বিয়ে বাড়ি যতটা সুন্দর করে সাজানো যায় ঠিক ততটা সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আরিয়ান নিজে সব ডেকোরেশন করিয়েছে। নন্দিনীকে নিয়ে রুহি পার্লারে গেছে। বাকি সব কাজ হয়েগেছে। নীলাদ্রকে পাঞ্জাবি পরিয়ে রেডি করছে আরিয়ান।

নীলাদ্র: দুর! এইটা পাঞ্জাবি না চাইনিজ ওয়ালের কাপড়।এতো ঢোলা কেন রে বাবা!
আরিয়ান: চুপ চাপ দাঁড়িয়ে থাক কথা কম বলে।
নীলাদ্র:🙂।

আরিয়ান নীলাদ্রকে রেড়ি করে দিলো। যথাসময়ে বিয়ে শুরু হলো। নীলাদ্র নন্দিনীকে স্টেজে বসানো হলো। কাজীও চলে এসেছে। বিয়ে পড়ানো শুরু হলো। আসতে ধীরে বিয়ে সম্পুর্ন হলো। রাফসানরা সবাই এসেছে। মিস্টার খান আর হাসান রাফসানের সাথে কথা বলছে। রুবা কাশু ছবি তুলছে বর বউয়ের সাথে। রোদেলা, রাত, মুন এক জায়গায় বসা।

এর মাঝে একটা ছেলে সবার সামনে এসে বলে,,,,

লেডিস এন্ড জেন্টাল ম্যান। আজকে আমাদের RJ Niladro বিয়ে উপলখ্যে তার ভাই মানে আমাদের ফেমাস গায়ক আরিয়ান একটা গান গাবে ওকে।

সবাই সেটা শুনে অনেক এক্সসাইটেড হয়ে যায়।

আরিয়ান সবার মাঝে এসে গিটার নিয়ে দাঁড়ায়। সবাই আরিয়ানকে দেখে এক্সসাইটেড শুধু রাফসানরা বাদে। তাদের চোখে বিস্ময়। রোদেলা বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায় আরিয়ানকে দেখে। মুন, রুবা, কাশু, রাফসান সবাই অবাক। রোদেলার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে,

“আদ্রিয়ান!”
#প্রেমময়_আসক্তি_২
#পর্ব_১১
#নন্দিনী_চৌধুরী

১১.
অবাক নয়নে রোদেলারা সবাই তাকিয়ে আছে আরিয়ানের দিকে। রোদেলা যেনো কথা বলতেও ভুলে গেছে আরিয়ানকে দেখে। রুবা মুনের কাছে এগিয়ে এসে বলে,

রুবা:মুন এ আমি কি দেখছি! আদ্রিয়ান ভাইয়া এখানে?
মুন:আমিওতো বুঝতে পারছিনা। উনি আদ্রিয়ান কিন্তু সবাই আরিয়ান বলছে কেন?

আরিয়ান গিটার নিয়ে বসে গান শুরু করলো,,

“Suraz huya Madham Chand zalne laga”
“asma iye hay,kiu pighalne laga”
“mein thera raha jami chalne lagi”
“dharka iye dil shans thamne lagi”
“sazna keya iye mera pehla pehla peyar hein”
“sazna keya iye mera pehla pehla peyar hein”

গান শেষ করে আরিয়ান চোখ খুললো। সবাই হাত তালি দিতে লাগলো আর প্রশংসা করতে লাগলো। রোদেলা বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। কেন যেনো ও আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেনা। মাথা কেমন ঘুরাচ্ছে। হাত পা একদম অবস হয়ে যাচ্ছে। রোদেলা আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলোনা জ্ঞান হারিয়ে পরে যেতে নিলো। কিন্তু রাত ওর পাশে থাকায় ওকে ধরে ফেললো।

রাত:রোদেলা! রোদেলা কি হলো।
রাতের কথা শুনে সবাই ওর দিকে তাকালো। রাফসান,মুন,রুবা,কাশু সবাই ওর কাছে গেলো। রাফসান রোদেলার গালে হালকা থাপ্পড় মেরে মেরে ডাকছে,

রাফসান:রোদ এই রোদ কি হলো তোর বোন।
মুন:রাফসান ওর হাত পা তো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেও ওকে।
রাফসান তাড়াতাড়ি রোদেলাকে কোলে তুলে নিলো আর বেরিয়ে গেলো। রাফসানের পেছনে বাকিরাও গেলো। পুরো ঘটনায় উপস্থিত সবাই চুপ হয়ে গেলো। আরিয়ান বুঝতে পারলো হঠাৎ শকডে রোদেলা জ্ঞান হারিয়েছে। আরিয়ান অনুষ্ঠান রেখে বেরিয়ে গেলো ওদের পিছনে পিছনে। মিস্টান খান হাসান ডাকার পরেও পিছনে না ফিরে চলে গেলো।

রাফসান রোদেলাকে নিয়ে সিটি হাসপাতালে চলে আসে। ডাক্তার রোদেলা তাড়াতাড়ি কেবিনে শিফট করে। চেকাপ করে দেখে রোদেলার পেশার লো হয়ে গেছে। তাই হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে। রোদেলা কেবিনে সেলাইন আর ঘুমের মেডিসিন দিয়ে দেওয়া হলো। তারপর ডাক্তার বাহিরে আসলো। আরিয়ান ততক্ষনে চলে আসে হাসপাতালে।

ডাক্তার বের হয়ে রাফসানকে বলে,

ডাক্তার:কোনো একটা কারনে তিনি খুব বড় শকড পেয়েছেন। মানে কোনো এমন কিছু যেটা উনি আশা করেনি কিন্তু তার সামনে হয়েছে। তাই তিনি খুব শকড পেয়েছেন। দেখুন এমন বার বার হলে কিন্তু বেবি আর ওনার জন্য রিস্ক হয়ে যাবে। তাই প্লিজ খেয়াল রাখবেন।

রাফসান ডাক্তারের কথা শুনে মাথা নাড়ালো। ডাক্তার চলে যাওয়ার পর আরিয়ান রাফসানদের কাছে আসলো। রাফসান আরিয়ানকে দেখে আবার অবাক হলো।
রাফসান:তুমি!
আরিয়ান:জ্বি রোদেলা কেমন আছে?
রাফসান:ভালো।
আরিয়ান:হঠাৎ এমন হলো কেনো?
রাফসান:তার আগে বলো কে তুমি?
আরিয়ান:আমি!
রাফসান:হ্যা তুমি।
আরিয়ান:আমি আরিয়ান খান। Son Of Hasan khan.
রাফসান:তুমি সত্যি আরিয়ান!
আরিয়ান:হ্যা এতে অবাক হবার কি আছে?
রাফসান:আসলে তুমি আমার বোনের স্বামী আদ্রিয়ানের মতো দেখতে হুবুহু। যে আজ থেকে ৬মাস আগে মারা গেছে। তোমাদের চেহারা একদম এক। আমি শুনেছি এতোদিন একই চেহারার দুজন মানুষ হতে পারে। কিন্তু তা যে এভাবে সত্যি হবে তা ভাবতে পারিনি। রোদেলা তোমাকে দেখে শকড হয়ে জ্ঞান হারিয়েছে। জানিনা জ্ঞান আসার পর কি হবে।
আরিয়ান:আচ্ছা ঠিক আছে। আমি আসছি সাবধানে থাকবেন।

আরিয়ান বেরিয়ে চলে আসে। গাড়িতে এসে বসে আরিয়ান হাঁসে। সেতো ইচ্ছা করেই সামনে এসেছে।

আরিয়ান:আদ্রিয়ান খান আমান এতো তাড়াতাড়ি মরবেনা। যে রোদেলাকে আমাকে মারতে বাধ্য করেছে তাকে তো আমি নিজ হাতে মারবো। রোদেলার সামনে এসেছি ইচ্ছে করেই। যাতে ও আমাকে দেখে আর জানার আগ্রহ বাড়ায়। আমি জানি আগামীকাল সকালে ও যখন জ্ঞানে আসবে তখন ও অস্থির হয়ে যাবে আমার জন্য। আর এটাই আমি চাই।

আরিয়ান গাড়ি নিয়ে চলে গেলো বাসায়। সব গেস্ট চলে গেছে। বাসায় ড্রইংরুমে সবাই বসে আছে। আরিয়ান যেতেই ওর বাবা ওকে বলে,

মিস্টার হাসান:কোথায় গেছিলে?
আরিয়ান: হাসপাতালে।
মিস্টার হাসান:কেনো?
আরিয়ান:ওই মেয়েটাকে দেখতে গেছিলাম। হঠাৎ এমন হলো তাই গেছিলাম।
মিস্টার হাসান:আচ্ছা যাও রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও।

আরিয়ান রুমে চলে গেলো।

মিস্টার খান এসে মিস্টার হাসানের কাছে এসে বললো,

মিস্টার খান:আমার কিন্তু আরিয়ানের হাবভাব ভালো লাগছেনা।
মিস্টার হাসান:মানে?
মিস্টার খান:মানে ও ওই মেয়ের জন্য এতো কেয়ারিং মনে নাই রুহিও তো সেদিন বললো।
মিস্টার হাসান:না এসব কি বলছিস তুই। আরিয়ান এমন কিছু করবেনা। পঁচা শামুকে মুখ দেওয়ার মতো ছেলে আমার আরিয়ান না।
মিস্টার খান:তাই যেনো হয়।

মিস্টার হাসান তার রুমে চলে গেলো আর মিস্টান খান তার রুমে।

____________________________

~সকালের দিকে জ্ঞান ফিরে আসে রোদেলার। আসতে করে চোখ মেলে তাকায় সে। চারিপাশে তাকিয়ে দেখে বুঝতে পারলো সে হাসপাতালে আছে। রোদেলা পাশে তাকিয়ে দেখে রুবা ওর খাটের পাশে মাথা দিয়ে ঘুমাচ্ছে। রোদেলা নড়েচড়ে উঠতেই রুবার ঘুম ভেংগে যায়। রুবা রোদেলাকে জাগনা দেখে রোদেলাকে বলে,
রুবা:রোদ এখন কেমন লাগছে তোর?
রোদেলা:হ্যা ভালো লাগছে।
রুবা:দাঁড়া আমি আরাভকে ডেকে আনছি।

রুবা আরাভকে ডাকতে যায়। আর রোদেলা আসতে করে উঠে বসে। উঠে হেলান দিয়ে বসে খাটে। রোদেলা ভাবতে লাগে কালকের কথা। আরিয়ান আর আদ্রিয়ান এর চেহারা একদম এক। এটা কি কাকতালীও নাকি আসলে অন্য কিছু ভেবে পাচ্ছেনা রোদেলা।

এর মাঝে আরাভ রুমে আসে। এসে রোদেলাকে চেকাপ করে নেয় সব ঠিক আছে। রুবাকে বলে রোদেলাকে ফ্রেশ করিয়ে নাস্তা করিয়ে দিতে। রুবা আরাভের কথা মতো রোদেলাকে ফ্রেশ করিয়ে খাবার খাইয়ে দেয়। তারপর হাসপাতালের সব ফর্মালিটি শেষ করে রোদেলাকে বাসায় নিয়ে আসা হলো।

রোদেলাকে বাসায় আনার পর রোদেলা কারো সাথেই তেমন কথা বলছেনা, আর না কেউ কালকের ঘটনার কথা ওর সামনে উঠাচ্ছে। রোদেলার শরীল ক্লান্ত লাগায় সে আবার ঘুমিয়ে যায়। রাত রোদেলার ঘুমিয়ে যাওয়ার পর কল দেয় আরিয়ানকে।

রাত:হ্যালো স্যার।
আরিয়ান:হ্যা বলো।
রাত:স্যার মেডামকে বাসায় আনা হয়েছে।
আরিয়ান:আচ্ছা কোনো সমস্যা নেইতো?
রাত:না নেই মেডামতো কালকের বিষয়ে কোনো কথা বলছেনা আর না বাসার কেউ।
আরিয়ান:আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি ওর সাথে থাকো।
রাত:আচ্ছা স্যার।

রাত কল কেটে দিলো তারপর রোদেলার গায়ে কাঁথা টেনে দিয়ে রুমের বাহিরে চলে যায়।

~এদিকে~

সায়মন জন দুজনে দাঁড়িয়ে আছে আদ্রিয়ানের সামনে। তারা যেনো বিশ্বাসই করতে পারছেনা তাদের সামনে তাদের আদ্রিয়ান স্যার দাঁড়ানো। আদ্রিয়ান দুজনের মুখ দেখে হাঁসছে। হাঁসতে হাঁসতে দুজনের দিকে হাত মেলে দিয়ে ইশারা করে। সায়মন আর জন দুজনে গিয়ে আদ্রিয়ানকে জরিয়ে ধরে কেঁদে দেয়। আদ্রিয়ান দুজনকে জরিয়ে ধরে।
সায়মন:স্যার আপনি! আপনি বেঁচে আছেন আমারতো বিশ্বাসই হচ্ছেনা। আমাদের আদ্রিয়ান স্যার বেঁচে আছে।
জন:হ্যা স্যার আপনি বাইচ্চা আছেন এটা দেইখা আমার অনেক আনন্দ হচ্ছে।
আদ্রিয়ান:আচ্ছা আর কাঁদিস না মেয়েদের মতো। এবার আগের ফর্মে ফিরে আয়। কাজে অনেক ফাঁকি মারছিস এবার আর না।

সায়মন জন সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলে,
সায়মন:খালি অর্ডার করেন স্যার কাজ আমরা করে দিচ্ছি।
আদ্রিয়ান:আমার এলেক্স রেইন,টুইংকেল টাইগার ওদের নিয়ে আয়।
সায়মন:ওকে স্যার।

আদ্রিয়ান সুইমিংপুলে চলে আসে। খাচায় করে নিয়ে আসা হয় এলেক্স রেইনকে আর পানি থেকে উঠে আসছে টুইংকেল টাইগার।
চারজনে এসে আদ্রিয়ানকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরে। আদ্রিয়ান বসে ওদের আদর করতে লাগলো। আর ওরা আদর নিচ্ছে।

আদ্রিয়ান:আমার সোনা বাচ্চারা। বাবাকে এতোদিন মিস করছিস তাইনা সোনারা। ইসস কত শুকিয়ে গেছিস তোরা। কিরে তোরা ওদের ঠিক মতো খাবার দিস নাই।
সায়মন:স্যার ওরা কি আপনাকে না দেখে খায় বলেন। এই ছয়মাসে ওরা কত পাগলামি করছে আপনার জন্য। এদের নিয়ে তাই দেশে এসে এখানে থাকছিলাম। আর আজজে আপনাকে ফিরে পাবো তা ভাবতেই পারিনি। মেডাম আপনাকে ফিরে পেয়েতো অনেক খুশি হবে। মেডামের কাছে গেছেন স্যার।
আদ্রিয়ান:হুম। নে ওদের রেখে আয়।

সায়মন ওদের রেখে আসলো।

তারপর আদ্রিয়ান ওদের সব বললো আর বুঝিয়ে দিলো ওদের কি করতে হবে।

ওদের সাথে সব কথা শেষ করে চলে আসে।

__________________________

২দিন পর,,,,

রোদেলা বসে আছে ঘরে মাথায় তার একটা জিনিশই ঘুরছে আর সেটা হলো আরিয়ান। রোদেলা বুঝতে পারছেনা কি করবে।

রোদেলা:আচ্ছা উনিকি আরিয়ান নাকি আমার আদ্রিয়ান। আমার কি খবর নেওয়া উচিত ওনার ব্যাপারে।

রোদেলা বুঝতে পারছেনা কি করবে।

রোদেলা এসব ভাবছিলো তখন ওর ফোনে একটা ম্যাসেজ আসলো অচেনা নাম্বার থেকে,

“তোমাকে হাঁসি মুখে রাখবো প্রতিমূহুর্তে ভালোবাসার মুগ্ধতায়!
-তোমাকে সারাজীবনের বাঁধনে বাঁধবো
আমি ভালোবাসার পূর্ণতায়!”

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here