প্রেমময় প্রহর পর্ব ৪

#প্রেমময় প্রহর (deewana 2)
Urme prema (sajiana monir)
পর্ব :৪

সায়রা রেডি হয়ে বাহিরে আসতেই দেখে আরসাল দাড়িয়ে আছে তার পাশেই একটি লোক দাড়িয়ে আছে ।এই লোকটি আর কেউ নয় কালকের ভিডিতে আরসালের সাথে যে সায়রীর বন্ধুকে মারছিলো ঐ লোকই !
সায়রাকে দেখে ঐ লোকটি নিজের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলতে লাগে
-“হ্যালো ভাবিজী আমি নিহাল আরসালের বন্ধু !”
সায়রা ভয়ে ভয়ে আরসালের দিকে তাকাচ্ছে না জানি আরসাল আবার কি করে বসে তাই ।সায়রার এমন চাহনি দেখে নিহালও আরসালের দিকে তাকায় ।দেখে আরসাল ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে আছে নিহালের দিকে ।নিহাল শব্দ করে হেসে বলে
-“রিলেক্স লাভার বয় !
আমি মজা করছিলাম ।”
আরসাল নিহালের কাধেঁ হাত রেখে বাকাঁ হেসে বলে
-“এমন মজা দ্বিতীয়বার করলে এর ফল ভালো হবেনা !
আমার সায়রা কে দেখার স্পর্শ করার অধিকার কেবল মাত্র আমারই রয়েছে ।”
নিহাল আরসালের এমন পজেসিভনেস দেখে হাসতে লাগে ।সায়রা লজ্জায় মাথা নিচু করে আরসালকে উদ্দেশ্য করে আলতো স্বরে বলতে লাগে
-”রিদ্ধিদি সায়রী ওরা সবাই কোথায় ?”
-“বাকি সবাই চলে গেছে !
তুমি আমার সাথে যাবে ।”
আরসালের এমন কথা শুনে সায়রা মাথা তুলে আরসালের দিকে তাকায় ।তার বেশ কান্না আসছে সবাই কি করে তাকে এই লোকের কাছে ফেলে চলে গেল !
তাদের মনে কি একটুও দয়া মায়া হয়নি ।
সায়রা কাদোঁ কাদোঁ গলায় বলে
-“আপনার সাথে যাবো মানে ?”
-“কেন শুনতে পাওনি ?”
-“না মানে আরকি আমার তো রিদ্ধি দি আর সায়রীর সাথে যাওয়ার কথা ছিল ।”
-“রিদ্ধি সায়নের সাথে চলে গেছে তারা নাকি অন্যকোথাও যাবে তাদের নাকি কিছু কাজ আছে তা শেষ করেই শপিং মলে আসবে আর সায়রী আদিল (সায়রীর হবু স্বামী )সাথে কিছু সময় পূর্বে বেরিয়েছে !”
সায়রার সব শুনে কান্না আসছে ।এখন কি করে এই হিটলারের সাথে যাবে ।ইচ্ছে করছে চিৎকার করে ব্যা ব্যা করে কান্না করতে ।
এই লোকের জন্য তার কোনদিন শান্তি হবেনা মনে মনে সায়রা আরসালকে বকতে বকতে গাড়ির ভিতরে যেয়ে বসে ।আরসালও পিছন সিটে সায়রার পাশে একদম তার গাঁ ঘেষে বসে ।সায়রা ছোট ছোট চোখ করে তার রাগি দৃষ্টিতে আরসালের দিকে তাকিয়ে বলে
-“আপনি এখানে বসলে গাড়ি চালাবে কে ?”
-“কেন নিহাল !”
-“হোয়ার্ট ?”
-“আজকাল কি কানে কম শুনছো ?
ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবো !?”
সায়রা মিন মিন করে বলে
-“আমার কান না মাথা সিউর নস্ট হয়ে যাবে আর এর পিছনে পুরো অবদানও আপনার‍ই থাকবে !”
আরসালের কান পর্যন্ত সায়রার এই মিনমিন করা আওয়াজ ঠি কই পৌছায় ।আরসাল মুচকি হেসে সায়রার কানের কাছে নিজের মুখ এনে ফিসফিস করে বলতে লাগে
-“মাথা নস্ট হলেও আমি তোমাকে ছাড়ছিনা !
যেমনই থাকনা কেন তুমি আমারই থাকবে ।”
সায়রার এবার নিজের মাথায় বারি মারতে ইচ্ছে করছে ।সায়রা রেগে জানালার কাছে ঘেষে বসে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে আরসালও সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে সায়রার কমোড় টেনে নিজের কাছে এনে একদম বুকের সাথে মিশিয়ে নেয় সায়রা শত চেস্টা করেও ছুটতে পারছেনা ।নিজের পুরো শক্তি দিয়ে চেস্টা করে যাচ্ছে কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা আরসাল আগের মতই নিজের সাথে চেপে ধরে আছে ।
এদিকে নিহাল সামনে তাকিয়ে হেসে বলছে
-“লাভ বার্ডস তোমরা তোমাদের মত ইনজয় করতে পারো আমি কিন্তু পিছনে তাকাচ্ছিনা !”
সায়রা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে আরসাল সিটে ভালো করে শরীর হেলিয়ে দিয়ে সায়রার কাধেঁ মাথা পরোপুরি ভাবে হেলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে সায়রার চুলের সুভাস নিতে লাগে ।

শপিং মলে সামনে গাড়ি থামতেই সায়রা দেখে রিদ্ধি সায়ন সায়রী আদিল দাড়িয়ে আছে । সায়রা গাড়ি থেকে নেমে তাদের কাছে যায় ।সায়রাকে সায়রী আদিলের সাথে পরিচয় করিয়ে ।হঠাৎ দূর থেকে আদি হাতে কেন্ডি নিয়ে মাম্মাম বলে দৌড় দিয়ে সায়রাকে জরিয়ে ধরে ।সায়রাও আদিকে কোলে তুলে নিয়ে তার গালে চুমু খায় !
আদি আদো আদো গলায় বলতে লাগে
-“জানো ম্মামাম আমি তোমাকে কততততত মিস করছিলাম ।”
-“তাহলে আমাকে রেখে এসেছো কেন বাবাই ?”
-“আম্মুই তো আমাকে নিয়ে এসেছে আমি বলেছিলাম তোমার সাথে আসবো কিন্তু তারা জোর করে আমাকে নিয়ে এসেছে ।
জানো মাম্মাম আমরা আজ নানু বাসায় গিয়েছিলাম মুন আন্টিকে আনতে ।”
সায়রা কপাল কুচঁকিয়ে বলে
-“মুন আন্টি কোথায় ?”
আদি শপিং সেন্টারের দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলে
-“ঐ যে মুন আন্টি আসছে ।”
সায়রা মুনকে দেখে খুব খুশি হয়ে যায় যে বেশ মিস করছিল মুন কে ।মুন ভ্রু নাচিয়ে বলে
-“কেমন আছিস বালিকা বধূ ?”
-“প্লিজ ইয়ার ঐ নামে একদম ডাকবিনা ।”
-“তুই বালিকা বধূ তো তোকে কি বলবো ?”
সায়রা নাক ফুলিয়ে বলতে লাগে
-“উফফফ তোর সাথে কথা বলাই ব্যর্থ ।”
সবাই দুই বোনের দুস্টুমি দেখে হাসতে লাগে ।তারপর সবাই ভিতরে চলে যায় শপিং করতে ।ভিতরে যেতেই সবাই কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পরে । সায়রাকে কেনাকাটা করতে সায়রী আর রিদ্ধি বেশ জোরাজুরি করে ।কিন্তু সায়রার একই কথা সে কিছু নিবেনা তার সব আছে ।
আরসাল এত সময় ধরে বাহিরে দাড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলো ভিতরে প্রবেশ করে দেখে সায়রা সায়রী আর রিদ্ধিকে ড্রেস চুজ করতে হেল্প করছে ।
তারা বার বার সায়রাকে নিজের জন্য ড্রেস চুজ করতে বলেছে সায়রা বার বারই তাদের না করে যাচ্ছে ।
হঠাৎই আদি বায়না ধরে সে আইসক্রিম খাবে তাই সায়রা আদিকে বাহিরে নিয়ে যায় তাদের পিছনে পিছনে আরসালও যায় ।
আরসাল আইসক্রিমের বিল মিটিয়ে সায়রার দিকে তাকিয়ে দেখে সায়রা পাশের একটা শপে পায়েল দেখছে ।
হঠাৎ আদির কান্নার কারনে তা না কিনে সেখানেই রেখে চলে যায় ।
আরসালও সায়রা আর আদিকে পিছন পিছন চলে যায় ।কারন সে এক মুহূর্তের জন্যও সায়রাকে একা ছাড়তে চায় না ।
সবাই শপিং করে দুপুরের লান্চ সেড়ে বাসায় যাওয়ার জন্যে রওনা দেয় ।
মুন নিহাল সায়রা আর আরসাল এক গাড়িতে যায় ।মুন সামনে নিহালের পাশের সিটে বসেছে আর সায়রা আর আরসাল পিছনের সিটে ।সায়রা গাড়িতে বসতেই ঘুমে তলিয়ে যায় আর সে খুব বেশি টায়ার্ড সায়রা ঘুমিয়ে গেলে আরসাল তার বুকে টেনে নেয় সায়রা আরসালের বুকে মাথা রেখে শান্ত ভাবে ঘুমাচ্ছে ।আরসাল বার বার নিজের রূপমোহিনীকে দেখে যাচ্ছে ।তার রূপমোহিনাকে ঘুমন্ত ভাবে আরো বেশি মায়াবিনী লাগে ।
প্রতিবারই তার মায়ায় পরে !

সায়রা বিকালে নিজের রুমে বসে তার বান্ধুবী মাওয়ার সাথে ফোনে কথা বলছে ।এই একজনই আছে যার সাথে সায়রা কথা বলা শুরু করলে তার দুনিয়াদারির কোন কিছুর খেয়াল থাকে না !
হঠাৎ ই সজোরে দরজা খোলায় সায়রা ভয়ে কেপেঁ উঠে পিছনে তাকিয়ে দেখে সায়নের মামি নিলুফা বেগম দাড়িয়ে আছে ।সায়রা মাওয়াকে পরে কথা বলবে বলে ফোন কেটে দেয় ।সায়রা নিলুফা বেগমের কাছে যেয়ে মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে বলতে লাগে
-“মামি কোন দরকার হলে আমাকে ডাকতেন আমি চলে আসতাম শুধু শুধু কস্ট করে আপনি কেন আসতে গেলেন ।”
নিলুফা বেগম রেগে বলতে লাগে
-“তোমার ভাবখানা তো এমন যে কোন নবাবজাদী ।ঘর থেকে তো বের হবার কোন নামই নেই ।
এই বাড়িতে এসেছো তো বাড়ির কাজে হাত লাগাও ।এমন মহারানীর মত থাকলেই তো হবেনা !”
নিলুফা বেগমের কথায় সায়রা চোখ চকচক করছে মনে হচ্ছে এখনই চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়বে কোন মতে ঠোঁটে কামড় দিয়ে ধরে নিজের চোখের জল আটকানোর চেষ্টা করছে ।সায়রা মাথা হ্যা বোধক নাড়িয়ে রুম থেকে বের হতে নেয় এমন সময়ই পিছন থেকে নিলুফা বেগমের ডাক পড়ে সায়রা থেমে পিছনে ঘুরে তাকায় ।নিলুফা বেগম চোখ মুখ শক্ত করে বলতে লাগে
-“নিচে যেয়ে আবার বলোনা আমি বলেছি !
আর হ্যা আমাকে মামী ডাকার কোন দরকার নেই আমি সায়ন সায়রী আরসালের মামী তোমার মামী নই !
মনে থাকে যেন ।”
সায়রা নিচের দিকে তাকিয়ে শান্ত স্বরে বলে
-“জ্বী মনে থাকবে !”
বলেই নিচে কিচেনে চলে যায় ।

কিচেনে যেতেই দেখে মুতাহা বেগম বিকালের নাস্তা রেডি করছে ।সায়রাকে দেখেই মুমতাহা বেগম পুরী ভাগতে ভাগতে বলতে লাগে
-“কি ব্যপার মা তুমি এখানে ?
কিছু লাগবে !”
সায়রা আমতা আমতা করে বলে
-“না আন্টি আসলে ঘরে বসে বসে বোর হচ্ছিলাম তাই ভাবলাম আপনাকে একটু হেল্প করি ।”
-“আমাকে হেল্প করতে হবেনা মা আমি সব সামলিয়ে নিবো !
আর হ্যা এবার মা বলার অভ্যাস করে নেও আন্টি ডাকলে কেমন জানো মনে হয় ।
তুমি তো আমার মেয়েই ”
সায়রা হেসে উত্তর দেয়
-“হুম আন্টি উপসস সরি মা “
দুজনই হাসতে লাগে ।সায়রা আর মুনতাহা বেশ গল্প করতে লাগে ।কিছুসময় আগে সায়রার যে মন খারাপ ছিলো তা নিমিষেই যেন ঠি ক হয়ে যায় ।মুনতাহা বেগম সায়রার হাতে নাস্তার ট্রে ধরিয়ে দিয়ে বলে
-“যাও এগুলো আরসালের রুমে নিয়ে যাও ।”
সায়রা আলতো আওয়াজে বলে
-“আমি ?”
-“হুম তুমিই !
কিছুটা সময় আমার ছেলের সাথেও কাটাও
আরসাল হয়তো তোমাকেই খুজঁছে যাও ।”
সায়রা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলে তারপর ট্রে নিয়ে আরসালের রুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় ।
বাহির থেকে সব শুনে নিলুফা বেগম রাগে ফুসতে লাগে ।

সায়রা আরসালের রুমের সামনে যেয়ে ভিতরে উকি মেরে দেখতে লাগে আরসাল কি করছে ।
আরসাল বেশ মনযোগ সহকারে লেপটপে কাজ করছে ।সায়রা রিদ্ধি থেকে শুনেছে যখন আরসাল অফিসের কোন কাজ করে তার অন্যকোন কিছুর ধ্যান থাকে না তাই সায়রা এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে আতলো আতলো পায়ে ভিতরে প্রবেশ করে তারপর টেবিলের উপর যেই ট্রে রেখে চলে আসতে নিবে ঠি ক সেই সময়ই পেছন থেকে আরসাল সায়রার হাত টেনে ধরে ।
সায়রা কাদোঁ কাদোঁ ফেস নিয়ে পিছনে ফিরে মনে মনে বলে
-“এই রে যার ভয় ছিল তাই হলো বলে না যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয় !”
আরসাল সায়রাকে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে ঘাড়েঁ থুতনী রেখে বলতে লাগে
-“কি ভেবেছিলে আমি কাজে ডুবে আছি আর তুমি এই সুযোগে এসব রেখে পালাবে ?
তা হবেনা জান !
এমনতো হতেই পারেনা যে তুমি আমার আসে পাশে আছো আর আমি তা বুঝতে পারবোনা ।
তোমার শরীরের এই সুভাসই আমাকে তোমার আগমন বার্তা জানিয়ে দেয় ।”
বলেই বেশ কিছু সময় সায়রাকে পিছন থেকে নিজের সাথে জরিয়ে রাখে ।
তারপর হঠাৎ সায়রাকে সোফায় বসিয়ে আরসাল নিজের কাবার্ড থেকে একটা ছোট বক্স এনে সায়রার সামনে বসে ।সায়রা আরসালের এমন কাজে বেশ অবাক হয় ।সে ড্যাব ড্যাব করে আরসালের দিকে তাকিয়ে থাকে ।আরসাল সায়রার বাম পা টা নিজের হাটুঁর উপর তুলে নিয়ে বক্স থেকে পায়েল বের করে তা সায়রার পায়ে পড়িয়ে দেয় ।পড়ানোর সময় তার চোখে এক অন্যরকম অনুভূতি ছিলো তার হাত জোড়া কাপঁছিলো ।সায়রা অবাক চোখে তাকিয়ে বলতে লাগে
-“এটা তো সেই পায়েলটা যেটা ……
আরসাল তার আগেই বলতে লাগে
-“যেটা তুমি শপিং সেন্টারে পছন্দ করেছিলে আদির জন্য তা নিতে পারোনি ।”
-“কিন্তু তা আপনি কি করে জানলেন ?”
-“তোমার উপর আমার সব সময় নজর থাকে
তোমার কোন জিনিস পছন্দ হয়েছে আর তা আমি জানবোনা এমন তো হতে পারেনা তাই না !
যেই জিনিসের উপর তোমার নজর পড়বে তা শুধুই তোমার ।আমার পুরো দুনিয়া তুমি তোমার পায়ের নিচে দুনিয়ার সকল সুখ এনে দিবো !
কারন আমার সবটা জুড়ে শুধুই তুমি
আমার নেশা ,পাগলামো ,জেদ সবকিছু তুমি
তুমিই আমার রূপমোহিনী !”
সায়রা এই প্রথমবার আরসালের প্রত্যেকটা কথা অনুভব করছে ।সে অদ্ভুদ ভাবে আরসালের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে এই চোখে নেশা রয়েছে মায়া রয়েছে যা সায়রা স্পষ্ট দেখতে পারছে ।সে যেন আরসালের নেশায় পড়ে যাচ্ছে এই চোখের মায়ায় জরিয়ে যাচ্ছে ।
না না আর বেশি সময় আরসালের সাথে থাকা যাবেনা তাহলে সে সত্যি তার জালে আটকিয়ে যাবে ।
সে তারাতারি করে সোফা থেকে উঠতে নেয় তার আগেই আরসাল সায়রার কমোড় জরিয়ে নেয় নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় ।সায়রার চোখে চোখ রেখে বলে
-“সব সময় এমন পালাও কেন তুমি কি বুঝনা আমি তোমার জন্য কতটা তোমার জন্য তৃষনার্ত্ব ।”

বলেই সায়রার আরো কাছে আসতে নেয় এর আগেই হঠাৎ কেউ দরজা খুলে দৌড় দিয়ে এসে সায়রাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে আরসালকে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে
-“ইউ নো হাও মাচ আই মিসড ইউ ?
না ফোন ধরো না মেসেজের কোন উত্তর দেও সত্যি তুমি পাল্টিয়ে গেছ ।”
সায়রা বড় বড় চোখ করে দেখছে তার মনে কোথাও কস্ট হচ্ছে অসয্য যন্ত্রনা হচ্ছে ।মনে হচ্ছে কেউ তার কলিজায় হাত দিয়েছে ।পুরোন গাঁ আবার নতুন করে জেগে উঠেছে কারন এই মেয়ে যে তার অচেনা না !

চলবে…….❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন 😊😊😊

#প্রেমময় প্রহর (deewana 2)
Urme prema (sajiana monir)
পর্ব :৪

সায়রা রেডি হয়ে বাহিরে আসতেই দেখে আরসাল দাড়িয়ে আছে তার পাশেই একটি লোক দাড়িয়ে আছে ।এই লোকটি আর কেউ নয় কালকের ভিডিতে আরসালের সাথে যে সায়রীর বন্ধুকে মারছিলো ঐ লোকই !
সায়রাকে দেখে ঐ লোকটি নিজের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলতে লাগে
-“হ্যালো ভাবিজী আমি নিহাল আরসালের বন্ধু !”
সায়রা ভয়ে ভয়ে আরসালের দিকে তাকাচ্ছে না জানি আরসাল আবার কি করে বসে তাই ।সায়রার এমন চাহনি দেখে নিহালও আরসালের দিকে তাকায় ।দেখে আরসাল ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে আছে নিহালের দিকে ।নিহাল শব্দ করে হেসে বলে
-“রিলেক্স লাভার বয় !
আমি মজা করছিলাম ।”
আরসাল নিহালের কাধেঁ হাত রেখে বাকাঁ হেসে বলে
-“এমন মজা দ্বিতীয়বার করলে এর ফল ভালো হবেনা !
আমার সায়রা কে দেখার স্পর্শ করার অধিকার কেবল মাত্র আমারই রয়েছে ।”
নিহাল আরসালের এমন পজেসিভনেস দেখে হাসতে লাগে ।সায়রা লজ্জায় মাথা নিচু করে আরসালকে উদ্দেশ্য করে আলতো স্বরে বলতে লাগে
-”রিদ্ধিদি সায়রী ওরা সবাই কোথায় ?”
-“বাকি সবাই চলে গেছে !
তুমি আমার সাথে যাবে ।”
আরসালের এমন কথা শুনে সায়রা মাথা তুলে আরসালের দিকে তাকায় ।তার বেশ কান্না আসছে সবাই কি করে তাকে এই লোকের কাছে ফেলে চলে গেল !
তাদের মনে কি একটুও দয়া মায়া হয়নি ।
সায়রা কাদোঁ কাদোঁ গলায় বলে
-“আপনার সাথে যাবো মানে ?”
-“কেন শুনতে পাওনি ?”
-“না মানে আরকি আমার তো রিদ্ধি দি আর সায়রীর সাথে যাওয়ার কথা ছিল ।”
-“রিদ্ধি সায়নের সাথে চলে গেছে তারা নাকি অন্যকোথাও যাবে তাদের নাকি কিছু কাজ আছে তা শেষ করেই শপিং মলে আসবে আর সায়রী আদিল (সায়রীর হবু স্বামী )সাথে কিছু সময় পূর্বে বেরিয়েছে !”
সায়রার সব শুনে কান্না আসছে ।এখন কি করে এই হিটলারের সাথে যাবে ।ইচ্ছে করছে চিৎকার করে ব্যা ব্যা করে কান্না করতে ।
এই লোকের জন্য তার কোনদিন শান্তি হবেনা মনে মনে সায়রা আরসালকে বকতে বকতে গাড়ির ভিতরে যেয়ে বসে ।আরসালও পিছন সিটে সায়রার পাশে একদম তার গাঁ ঘেষে বসে ।সায়রা ছোট ছোট চোখ করে তার রাগি দৃষ্টিতে আরসালের দিকে তাকিয়ে বলে
-“আপনি এখানে বসলে গাড়ি চালাবে কে ?”
-“কেন নিহাল !”
-“হোয়ার্ট ?”
-“আজকাল কি কানে কম শুনছো ?
ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবো !?”
সায়রা মিন মিন করে বলে
-“আমার কান না মাথা সিউর নস্ট হয়ে যাবে আর এর পিছনে পুরো অবদানও আপনার‍ই থাকবে !”
আরসালের কান পর্যন্ত সায়রার এই মিনমিন করা আওয়াজ ঠি কই পৌছায় ।আরসাল মুচকি হেসে সায়রার কানের কাছে নিজের মুখ এনে ফিসফিস করে বলতে লাগে
-“মাথা নস্ট হলেও আমি তোমাকে ছাড়ছিনা !
যেমনই থাকনা কেন তুমি আমারই থাকবে ।”
সায়রার এবার নিজের মাথায় বারি মারতে ইচ্ছে করছে ।সায়রা রেগে জানালার কাছে ঘেষে বসে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে আরসালও সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে সায়রার কমোড় টেনে নিজের কাছে এনে একদম বুকের সাথে মিশিয়ে নেয় সায়রা শত চেস্টা করেও ছুটতে পারছেনা ।নিজের পুরো শক্তি দিয়ে চেস্টা করে যাচ্ছে কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা আরসাল আগের মতই নিজের সাথে চেপে ধরে আছে ।
এদিকে নিহাল সামনে তাকিয়ে হেসে বলছে
-“লাভ বার্ডস তোমরা তোমাদের মত ইনজয় করতে পারো আমি কিন্তু পিছনে তাকাচ্ছিনা !”
সায়রা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে আরসাল সিটে ভালো করে শরীর হেলিয়ে দিয়ে সায়রার কাধেঁ মাথা পরোপুরি ভাবে হেলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে সায়রার চুলের সুভাস নিতে লাগে ।

শপিং মলে সামনে গাড়ি থামতেই সায়রা দেখে রিদ্ধি সায়ন সায়রী আদিল দাড়িয়ে আছে । সায়রা গাড়ি থেকে নেমে তাদের কাছে যায় ।সায়রাকে সায়রী আদিলের সাথে পরিচয় করিয়ে ।হঠাৎ দূর থেকে আদি হাতে কেন্ডি নিয়ে মাম্মাম বলে দৌড় দিয়ে সায়রাকে জরিয়ে ধরে ।সায়রাও আদিকে কোলে তুলে নিয়ে তার গালে চুমু খায় !
আদি আদো আদো গলায় বলতে লাগে
-“জানো ম্মামাম আমি তোমাকে কততততত মিস করছিলাম ।”
-“তাহলে আমাকে রেখে এসেছো কেন বাবাই ?”
-“আম্মুই তো আমাকে নিয়ে এসেছে আমি বলেছিলাম তোমার সাথে আসবো কিন্তু তারা জোর করে আমাকে নিয়ে এসেছে ।
জানো মাম্মাম আমরা আজ নানু বাসায় গিয়েছিলাম মুন আন্টিকে আনতে ।”
সায়রা কপাল কুচঁকিয়ে বলে
-“মুন আন্টি কোথায় ?”
আদি শপিং সেন্টারের দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলে
-“ঐ যে মুন আন্টি আসছে ।”
সায়রা মুনকে দেখে খুব খুশি হয়ে যায় যে বেশ মিস করছিল মুন কে ।মুন ভ্রু নাচিয়ে বলে
-“কেমন আছিস বালিকা বধূ ?”
-“প্লিজ ইয়ার ঐ নামে একদম ডাকবিনা ।”
-“তুই বালিকা বধূ তো তোকে কি বলবো ?”
সায়রা নাক ফুলিয়ে বলতে লাগে
-“উফফফ তোর সাথে কথা বলাই ব্যর্থ ।”
সবাই দুই বোনের দুস্টুমি দেখে হাসতে লাগে ।তারপর সবাই ভিতরে চলে যায় শপিং করতে ।ভিতরে যেতেই সবাই কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পরে । সায়রাকে কেনাকাটা করতে সায়রী আর রিদ্ধি বেশ জোরাজুরি করে ।কিন্তু সায়রার একই কথা সে কিছু নিবেনা তার সব আছে ।
আরসাল এত সময় ধরে বাহিরে দাড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলো ভিতরে প্রবেশ করে দেখে সায়রা সায়রী আর রিদ্ধিকে ড্রেস চুজ করতে হেল্প করছে ।
তারা বার বার সায়রাকে নিজের জন্য ড্রেস চুজ করতে বলেছে সায়রা বার বারই তাদের না করে যাচ্ছে ।
হঠাৎই আদি বায়না ধরে সে আইসক্রিম খাবে তাই সায়রা আদিকে বাহিরে নিয়ে যায় তাদের পিছনে পিছনে আরসালও যায় ।
আরসাল আইসক্রিমের বিল মিটিয়ে সায়রার দিকে তাকিয়ে দেখে সায়রা পাশের একটা শপে পায়েল দেখছে ।
হঠাৎ আদির কান্নার কারনে তা না কিনে সেখানেই রেখে চলে যায় ।
আরসালও সায়রা আর আদিকে পিছন পিছন চলে যায় ।কারন সে এক মুহূর্তের জন্যও সায়রাকে একা ছাড়তে চায় না ।
সবাই শপিং করে দুপুরের লান্চ সেড়ে বাসায় যাওয়ার জন্যে রওনা দেয় ।
মুন নিহাল সায়রা আর আরসাল এক গাড়িতে যায় ।মুন সামনে নিহালের পাশের সিটে বসেছে আর সায়রা আর আরসাল পিছনের সিটে ।সায়রা গাড়িতে বসতেই ঘুমে তলিয়ে যায় আর সে খুব বেশি টায়ার্ড সায়রা ঘুমিয়ে গেলে আরসাল তার বুকে টেনে নেয় সায়রা আরসালের বুকে মাথা রেখে শান্ত ভাবে ঘুমাচ্ছে ।আরসাল বার বার নিজের রূপমোহিনীকে দেখে যাচ্ছে ।তার রূপমোহিনাকে ঘুমন্ত ভাবে আরো বেশি মায়াবিনী লাগে ।
প্রতিবারই তার মায়ায় পরে !

সায়রা বিকালে নিজের রুমে বসে তার বান্ধুবী মাওয়ার সাথে ফোনে কথা বলছে ।এই একজনই আছে যার সাথে সায়রা কথা বলা শুরু করলে তার দুনিয়াদারির কোন কিছুর খেয়াল থাকে না !
হঠাৎ ই সজোরে দরজা খোলায় সায়রা ভয়ে কেপেঁ উঠে পিছনে তাকিয়ে দেখে সায়নের মামি নিলুফা বেগম দাড়িয়ে আছে ।সায়রা মাওয়াকে পরে কথা বলবে বলে ফোন কেটে দেয় ।সায়রা নিলুফা বেগমের কাছে যেয়ে মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে বলতে লাগে
-“মামি কোন দরকার হলে আমাকে ডাকতেন আমি চলে আসতাম শুধু শুধু কস্ট করে আপনি কেন আসতে গেলেন ।”
নিলুফা বেগম রেগে বলতে লাগে
-“তোমার ভাবখানা তো এমন যে কোন নবাবজাদী ।ঘর থেকে তো বের হবার কোন নামই নেই ।
এই বাড়িতে এসেছো তো বাড়ির কাজে হাত লাগাও ।এমন মহারানীর মত থাকলেই তো হবেনা !”
নিলুফা বেগমের কথায় সায়রা চোখ চকচক করছে মনে হচ্ছে এখনই চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়বে কোন মতে ঠোঁটে কামড় দিয়ে ধরে নিজের চোখের জল আটকানোর চেষ্টা করছে ।সায়রা মাথা হ্যা বোধক নাড়িয়ে রুম থেকে বের হতে নেয় এমন সময়ই পিছন থেকে নিলুফা বেগমের ডাক পড়ে সায়রা থেমে পিছনে ঘুরে তাকায় ।নিলুফা বেগম চোখ মুখ শক্ত করে বলতে লাগে
-“নিচে যেয়ে আবার বলোনা আমি বলেছি !
আর হ্যা আমাকে মামী ডাকার কোন দরকার নেই আমি সায়ন সায়রী আরসালের মামী তোমার মামী নই !
মনে থাকে যেন ।”
সায়রা নিচের দিকে তাকিয়ে শান্ত স্বরে বলে
-“জ্বী মনে থাকবে !”
বলেই নিচে কিচেনে চলে যায় ।

কিচেনে যেতেই দেখে মুতাহা বেগম বিকালের নাস্তা রেডি করছে ।সায়রাকে দেখেই মুমতাহা বেগম পুরী ভাগতে ভাগতে বলতে লাগে
-“কি ব্যপার মা তুমি এখানে ?
কিছু লাগবে !”
সায়রা আমতা আমতা করে বলে
-“না আন্টি আসলে ঘরে বসে বসে বোর হচ্ছিলাম তাই ভাবলাম আপনাকে একটু হেল্প করি ।”
-“আমাকে হেল্প করতে হবেনা মা আমি সব সামলিয়ে নিবো !
আর হ্যা এবার মা বলার অভ্যাস করে নেও আন্টি ডাকলে কেমন জানো মনে হয় ।
তুমি তো আমার মেয়েই ”
সায়রা হেসে উত্তর দেয়
-“হুম আন্টি উপসস সরি মা “
দুজনই হাসতে লাগে ।সায়রা আর মুনতাহা বেশ গল্প করতে লাগে ।কিছুসময় আগে সায়রার যে মন খারাপ ছিলো তা নিমিষেই যেন ঠি ক হয়ে যায় ।মুনতাহা বেগম সায়রার হাতে নাস্তার ট্রে ধরিয়ে দিয়ে বলে
-“যাও এগুলো আরসালের রুমে নিয়ে যাও ।”
সায়রা আলতো আওয়াজে বলে
-“আমি ?”
-“হুম তুমিই !
কিছুটা সময় আমার ছেলের সাথেও কাটাও
আরসাল হয়তো তোমাকেই খুজঁছে যাও ।”
সায়রা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলে তারপর ট্রে নিয়ে আরসালের রুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় ।
বাহির থেকে সব শুনে নিলুফা বেগম রাগে ফুসতে লাগে ।

সায়রা আরসালের রুমের সামনে যেয়ে ভিতরে উকি মেরে দেখতে লাগে আরসাল কি করছে ।
আরসাল বেশ মনযোগ সহকারে লেপটপে কাজ করছে ।সায়রা রিদ্ধি থেকে শুনেছে যখন আরসাল অফিসের কোন কাজ করে তার অন্যকোন কিছুর ধ্যান থাকে না তাই সায়রা এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে আতলো আতলো পায়ে ভিতরে প্রবেশ করে তারপর টেবিলের উপর যেই ট্রে রেখে চলে আসতে নিবে ঠি ক সেই সময়ই পেছন থেকে আরসাল সায়রার হাত টেনে ধরে ।
সায়রা কাদোঁ কাদোঁ ফেস নিয়ে পিছনে ফিরে মনে মনে বলে
-“এই রে যার ভয় ছিল তাই হলো বলে না যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয় !”
আরসাল সায়রাকে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে ঘাড়েঁ থুতনী রেখে বলতে লাগে
-“কি ভেবেছিলে আমি কাজে ডুবে আছি আর তুমি এই সুযোগে এসব রেখে পালাবে ?
তা হবেনা জান !
এমনতো হতেই পারেনা যে তুমি আমার আসে পাশে আছো আর আমি তা বুঝতে পারবোনা ।
তোমার শরীরের এই সুভাসই আমাকে তোমার আগমন বার্তা জানিয়ে দেয় ।”
বলেই বেশ কিছু সময় সায়রাকে পিছন থেকে নিজের সাথে জরিয়ে রাখে ।
তারপর হঠাৎ সায়রাকে সোফায় বসিয়ে আরসাল নিজের কাবার্ড থেকে একটা ছোট বক্স এনে সায়রার সামনে বসে ।সায়রা আরসালের এমন কাজে বেশ অবাক হয় ।সে ড্যাব ড্যাব করে আরসালের দিকে তাকিয়ে থাকে ।আরসাল সায়রার বাম পা টা নিজের হাটুঁর উপর তুলে নিয়ে বক্স থেকে পায়েল বের করে তা সায়রার পায়ে পড়িয়ে দেয় ।পড়ানোর সময় তার চোখে এক অন্যরকম অনুভূতি ছিলো তার হাত জোড়া কাপঁছিলো ।সায়রা অবাক চোখে তাকিয়ে বলতে লাগে
-“এটা তো সেই পায়েলটা যেটা ……
আরসাল তার আগেই বলতে লাগে
-“যেটা তুমি শপিং সেন্টারে পছন্দ করেছিলে আদির জন্য তা নিতে পারোনি ।”
-“কিন্তু তা আপনি কি করে জানলেন ?”
-“তোমার উপর আমার সব সময় নজর থাকে
তোমার কোন জিনিস পছন্দ হয়েছে আর তা আমি জানবোনা এমন তো হতে পারেনা তাই না !
যেই জিনিসের উপর তোমার নজর পড়বে তা শুধুই তোমার ।আমার পুরো দুনিয়া তুমি তোমার পায়ের নিচে দুনিয়ার সকল সুখ এনে দিবো !
কারন আমার সবটা জুড়ে শুধুই তুমি
আমার নেশা ,পাগলামো ,জেদ সবকিছু তুমি
তুমিই আমার রূপমোহিনী !”
সায়রা এই প্রথমবার আরসালের প্রত্যেকটা কথা অনুভব করছে ।সে অদ্ভুদ ভাবে আরসালের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে এই চোখে নেশা রয়েছে মায়া রয়েছে যা সায়রা স্পষ্ট দেখতে পারছে ।সে যেন আরসালের নেশায় পড়ে যাচ্ছে এই চোখের মায়ায় জরিয়ে যাচ্ছে ।
না না আর বেশি সময় আরসালের সাথে থাকা যাবেনা তাহলে সে সত্যি তার জালে আটকিয়ে যাবে ।
সে তারাতারি করে সোফা থেকে উঠতে নেয় তার আগেই আরসাল সায়রার কমোড় জরিয়ে নেয় নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় ।সায়রার চোখে চোখ রেখে বলে
-“সব সময় এমন পালাও কেন তুমি কি বুঝনা আমি তোমার জন্য কতটা তোমার জন্য তৃষনার্ত্ব ।”

বলেই সায়রার আরো কাছে আসতে নেয় এর আগেই হঠাৎ কেউ দরজা খুলে দৌড় দিয়ে এসে সায়রাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে আরসালকে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে
-“ইউ নো হাও মাচ আই মিসড ইউ ?
না ফোন ধরো না মেসেজের কোন উত্তর দেও সত্যি তুমি পাল্টিয়ে গেছ ।”
সায়রা বড় বড় চোখ করে দেখছে তার মনে কোথাও কস্ট হচ্ছে অসয্য যন্ত্রনা হচ্ছে ।মনে হচ্ছে কেউ তার কলিজায় হাত দিয়েছে ।পুরোন গাঁ আবার নতুন করে জেগে উঠেছে কারন এই মেয়ে যে তার অচেনা না !

চলবে…….❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন 😊😊😊

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here