প্রেমের শুরু পর্ব ৯+১০

#গল্পের_নাম_প্রেমের_শুরু
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্বঃ৯
ফোন রিসিভ করতেই কেউ পুরুষালী কন্ঠে বলে উঠলো,
~ইলহাম,তোমার সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দিলে আমরা সবকিছুর প্রস্তুতি নিতে পারবো।
অমিত হাওলাদারের কথা শুনে ইলহাম একটু ভেবে জবাব দিলো যে,
~স্যার,আমি কালকে অফিসে জানিয়ে দিবো।
অমিত হাওলাদার বললেন,
~শোনো ইলহাম আমি জানি তুমি এই সিদ্ধান্তটা নিতে কেনো এতো দ্বিধাবোধ করছো।তোমার স্ত্রীর জন্য আর শুনেছি তোমার বোনও প্রেগন্যান্ট তাই হয়তো তুমি পিছিয়ে যাচ্ছো।
ইলহাম দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
~জ্বী স্যার।
অমিত হাওলাদার বললেন,
~কিন্তু ক্যারিয়ারের জন্য এখন একটু দুরত্বে যেতে হবে সবসময় বুদ্ধি দিয়ে কাজ নিতে হবে ইলহাম।
ইলহাম বললো,
~স্যার আমি কালকেই আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবো।
অমিত হাওলাদার বললেন,
~ঠিক আছে।
বলেই সে ফোন রেখে দিলো ইলহাম কান থেকে ফোন নামিয়ে বারান্দা থেকে বাহিরে যেতে নিবে তখনই তার নজর পরলো হেমন্তির উপর।হেমন্তি তার পিছনে দাড়িয়ে ছিল তা সে খেয়াল করেনি হেমন্তি হাসি হাসি মুখ করে বললো,
~তানভীররা চলে যাবে আপনার সাথে দেখা করবে।
ইলহাম আলতো হেসে বললো,
~ঠিক আছে চলো।
ইলহাম আর হেমন্তি বাহিরে হলরুমে এসে পরলো তানভীরদের বিদায় দিয়ে তারাও বাসায় উদ্দেশ্যে বের হলো।রিক্সায় হেমন্তি আর ইলহাম চুপ করে বসে আছে হেমন্তির ইলহামের এমন চুপ থাকা টাকে ভালো নজরে দেখছেনা।
কেনজানি মনে হচ্ছে ইলহামের মনটা অনেক খারাপ হেমন্তি ইলহামের দিকে তাকিয়ে বললো,
~আপনার মনটা কী খারাপ?
ইলহাম বললো,
~নাহ।
হেমন্তি ইলহামের জবাব শুনে সন্তুষ্ট হলো না কিন্তু আর কিছুই বললো না।ইলহাম আর হেমন্তি বাসায় পৌছে ফ্রেশ হয়ে দুজনই চুপচাপ বিছানায় শুয়ে পরলো।হেমন্তি চোখ বন্ধ করে আছে তার ঘুম আসছেনা হঠাৎ তার পেটে ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেয়ে কেঁপে উঠলো সে।ইলহাম হেমন্তির ঘাড়ে মুখ গুজতেই হেমন্তি চোখ বড় বড় করে ইলহামকে সরানোর চেষ্টা করতে লাগলো।ইলহাম হেমন্তিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
~তোমাকে একটা কথা বলার আছে।
ইলহামের গম্ভীর কন্ঠ শুনে হেমন্তি আর কিছুই করলোনা।ইলহাম নিজ হাতটাকে একটু নরম করলো এতে হেমন্তি তার দিকে ফিরে তাকালো।

ইলহাম হেমন্তির চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,
~অফিস থেকে আমাকে ২মাসের জন্য থাইল্যান্ড পাঠাতে চায়।
ইলহামের কথা শুনে হেমন্তির বুকে চিনচিন ব্যাথা শুরু হলো তার চোখে পানি এসে পরলো।ইলহাম তা দেখে বললো,
~প্লিজ কাঁদবে না তোমার এই অবস্থা হলে আমি যেতে পারবোনা।আর আমি মাত্র ২মাসের জন্য যাচ্ছি এই কয়েকদিন তোমাকে সব সামলাতে হবে।
হেমন্তি কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বললো,
~আমাকে ছাড়া থাকতে পারবেন আপনি?
হেমন্তির প্রশ্নের কোনো জবাব ইলহামের কাছে নেই হেমন্তি আবার বললো,
~আমি আপনার কাজের পথে কোনো বাঁধা হতে চাই না আপনার সাফল্য যদি এটাতেই হয় তাহলে ঠিক আছে আপনি থাইল্যান্ড চলে যান।
এতটুকু বলে হেমন্তি অন্যপাশে মুখ করে শুয়ে পরলো হেমন্তির এমন ব্যবহারে ইলহাম অনেক কষ্ট পেলো সে হেমন্তিকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে বললো,
~আমার সাথে রাগ করবেনা একদম আমি কিন্তু তোমার রাগ সহ্য করবোনা।
হেমন্তি বললো,
~আমি আপনার সাথে রাগ করিনি আমি চাই আপনি দূর্বল হয়ে না বরং শক্ত মনে নিজ কাজের প্রস্তুতি নিয়ে এখান থেকে চলে যান।
ইলহাম হেমন্তির কাঁধের চুলগুলো সরিয়ে সেখানে মুখ গুজে বললো,
~আজ যদি তোমার কাছে কিছু চাই তাহলে আমাকল দিবে?
হেমন্তির চোখের কোণ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরলো সে বললো,
~আমার কাছে কিছুই নেই আপনাকে দেওয়ার মতো।
ইলহাম কাঁধ থেকে মুখ উঠিয়ে বললো,
~তোমার কাছেই সবচেয়ে বড় জিনিসটা রয়েছে।
হেমন্তি ইলহামের দিকে তাকিয়ে তার কথা বোঝার চেষ্টা করলো ইলহাম হেমন্তির কপালে ওষ্ঠজোড়া ছুঁইয়ে বললো,
~আমাকে একটু ভালোবাসা দেবে হেমন্তি রাণী।
হেমন্তি কী বলবে বুঝতে পারছেনা যেমন কষ্ট লাগছে তেমনি লজ্জাও লাগছে। হেমন্তি ফুপাতে ফুপাতে ইলহামকে জড়িয়ে ধরলো ইলহাম হেমন্তির সম্মতি পেয়ে মুচকি হেসে হেমন্তির কানে কানে বললো,
~আমাকে ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ প্রিয়তমা।

____♥_____

রাত যতো গভীর হচ্ছে তাদের মধ্যকার দুরত্ব ততো কমে যাচ্ছে এই শীতের রাত তাদের ভালোবাসার সাক্ষী হয়ে রইলো।দূরে কোথাও পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজ আসছে তারাও আজ খুশী হেমন্তি আর ইলহামের মিলন দেখে। এভাবেই যাতে তারা সুখে থাকুক ভালোবাসায় ঘিরে থাকুক তাদের জীবন কিন্তু এখন এই ভালোবাসার থেকে দূরেও যেতে হবে পারবে কী তারা আলাদা থাকতে।পারবে কী ইলহাম সেই দূর দেশে থেকে হেমন্তিকে আগলে রাখতে?এসব সময় জবাব দিবে সময়ই সব কথা পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দিবে তাদের।
ভোর হয়েছে কিন্তু কুয়াশা দিয়ে পুরো আকাশ ডাকা যার কারণে পুরোপুরি আলো ছড়িয়ে পরেনি।শীতল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে এই সময়টা ঠান্ডা একটু বেশীই অনুভব হয়।কাঁথা মুড়ি দিয়ে অনেকেই এখন বিভোর ঘুমে রয়েছে মিষ্টি স্বপ্ন দেখতে ব্যস্ত এর ব্যতিক্রম ঘটেনি ইলহাম আর হেমন্তির ক্ষেত্রেও।তারা ঘুমের দেশে তলিয়ে আছে হেমন্তি ইলহামের বুকের সাথে লেপ্টে আছে।কাল রাতের পর হয়তো হেমন্তি আর ইলহামের মধ্যে আর কোনে দুরত্ব থাকার কথা না।
হেমন্তি পিটপিট করে চোখ খুলে নিজেকে ইলহামের বাহুডরে আবিষ্কার করলো হেমন্তি চোখ ছোট ছোট করে ইলহামের ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকালো। প্রথমে সে কিছুই বুঝতে পারলোনো সে ইলহামের বুক থেকে সরে আসলো তারপর শোয়া থেকে উঠে বসতেই তার কাল রাতের সব কথা মনে পরে গেলো পরক্ষণেই হেমন্তির ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো।লজ্জায় তার গাল দুটো লাল হয়ে গেলো একবার ইলহামের দিকে তাকিয়ে সে শাড়ি ঠিক করে বিছানা ছেড়ে উঠে পরলো।কার্বাড থেকে কাপড় বের করে ওয়াশরুমে আসতেই তার মনে পরলো ইলহামের বলা সেই কথাটি ইলহামকে চলে যেতে হবে।এ কথাটি মনে পরতেই হেমন্তির মনটা বিষাদে ভরে উঠলো এতো নিষ্ঠুর কেনো হলো এই প্রকৃতি তাদের সাথে।হেমন্তি শাওয়ার নিয়ে শাড়ি পরে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসলো ইলহামের সব প্রয়োজনীয় জিনিস সাজিয়ে রেখে সে রান্নাঘরে চলে গেলো।নাস্তা তৈরি করতে করতে কলিংবেল বেজে উঠলো হেমন্তি হাতের কাজ রেখে দরজার কাছে গিয়ল দরজাটা খুলে দিলো ফিরোজাকে দেখে হেমন্তি বললো,
~আপা,আজ এতো তাড়াতাড়ি?
ফিরোজা পান খাওয়া লাল দাঁত বের করে হাসি দিয়ে বললো,
~আইজ একটু বাইত কাম আছে তাই তাড়াতাড়ি আয়া পরসি।
হেমন্তি বললো,
~তাহলে আপনি আজ চলে যান আমি বাকি কাজ করতে পারবো।
ফিরোজা বললো,
~না না ভাবিজান আমি করতে পারুম ওইযে আমার ননদের বাচ্চা হইছে পোলা হইছে তাই ওইহানে যাইতে হইবো।
হেমন্তি বললো,
~আজ আপনি চলে যান আপনার বাসায় থাকাটা জরুরি বেশি আর এখানে দাড়ান আমি আসছি।
বলেই হেমন্তি রুমের দিকে চলে গেলো রুমে গিয়ে তার ব্যাগ থেকে ৫০০ টাকা বের করে ফিরোজার কাছে গিয়ে তার হাতে দিয়ে বললো,
~আপনার ননদের জন্য কিছু কিনে নিয়ে যাবেন।
ফিরোজা কৃতজ্ঞতার হাসি দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো হেমন্তি দরজা বন্ধ করে কাজে লেগে পরলো।

ইলহামের ঘুম ভাঙ্গতেই সে তার পাশে হেমন্তিকে খুজতে লাগলো চোখ খুলে দেখলো হেমন্তি তার জায়গায় নেই।ইলহাম বুঝতে পারলো হেমন্তি উঠে পরেছে আর কাজেও লেগে পরেছে।ইলহাম বিছানা থেকে উঠে দেখলো তার প্রয়োজনীয় সব জিনিস রেডি করে রাখা আছে।ইলহাম ওয়াশরুমে চলে গেলো শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে তৈরি হয়ে পরলে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো ৮.২০বাজে।ইলহাম রুম থেকে বের হয়ে হেমন্তিকে খুজতে লাগলো কোথাও না পেয়ে সে অন্য রুমে চলে আসলো বারান্দায় উঁকি দিতেই দেখতে পেলো হেমন্তি ধোয়া কাপড় শুকাতে দিচ্ছে।ইলহাম ধীর পায়ে বারান্দায় গিয়ে বললো,
~তুমি এসব করছো কেন?
ইলহামের কন্ঠশুনে হেমন্তি পিছন ফিরে দেখলো সে দাড়িয়ে আছে হেমন্তি বললো,
~ফিরোজার ননদের বাবু হয়েছে তাই তাকে সেখানে যেতে হবে কাজ করতে এসেছিল আমি ছুটি দিয়েছি।
ইলহাম হেমন্তির কাছে গিয়ে তার হাত ধরে কাছে টেনে নিয়ে বললো,
~তোমার কী মন খারাপ?
হেমন্তি মাথা নেড়ে না বোঝালো ইলহাম হেমন্তির কপালে কপাল ঠেকিয়ে বললো,
~আজ আমি অফিসে গিয়ে বসকে বলে দিবো আমি যাচ্ছি থাইল্যান্ড।
হেমন্তি চোখ তুলে ইলহামের দিকে তাকিয়ে বললো,
~আমার মতে এটাই ভালো হয় আর দুরত্ব অনেক সময় একে অপরকে আরো কাছে নিয়ে আসে।
ইলহাম আলতো হেসে বললো,
~আমি চাচ্ছি সবাইকে দাওয়াত করে এই খবরটা দিতে তোমার কী মতামত?
হেমন্তি বললো,
~আপনি যেটা ভালো বুঝেন।
ইলহাম বললো,
~কেয়ার বিয়ের পর আমি চলে যাবো কেয়ার বিয়েটা আমি মিস করতে চাইনা।
হেমন্তি বললো,
~কেয়া শুনে খুশী হবে।
ইলহাম হেমন্তির চুলগুলো খুলে দিয়ে বললো,
~ভেজা চুল কেন বেঁধে রেখেছো?
হেমন্তি কিছুই বললো না ইলহাম বললো,
~টেবিলে নাস্তা দেও ক্ষুধা লেগেছে।
হেমন্তি মাথা নেড়ে বারান্দা থেকে চলে গেলো রান্নাঘরে সব নাস্তা টেবিলে সাজিয়ে সে ইলহামকে ডাকতে চলে গেলো।

____♥_____

তানভীর কেয়ার বাসার সোফায় বসে আছে সে এসেছে কেয়াকে নিয়ে শপিংয়ে যাবে বলে।ইমরান খান বললো,
~তোমার মা ফোন করে আমাকে জানিয়েছে কিন্তু তুমি পছন্দ করে যেটা আনবে সেটাই কেয়ার পছন্দ হবে।
তানভীর বললো,
~মা যে বললো কেয়ার পছন্দেই সব কিনতে হবে তাই কেয়াকে নিতে হবে সথে করে।
তানভীরের কথা শুনে হালকা হেসক ইমরান খান কেয়াকে ডেকে উঠলেন।কিছুক্ষণ পর কেয়া মাথায় কাপড় দিয়ে সোফার ঘরে চলে আসলো ইমরান খান কেয়ার উদ্দেশ্যে বললেন,
~তানভীর এসেছে তোকে নিয়ে শপিংয়ে যাবে তুই তৈরি হয়ে ওর সাথে চলে যা।
কেয়ার সাথে কথা শেষ করেই ইমরান খান উঠে চলে গেলেন কেয়া বললো,
~আমি বোরখা পরে আসছি।
তানভীর মাথাদুলালো কেয়া বোরখা পরে বের হয়ে আসলো কেয়া আর তানভীর বাসা থেকে বের হয়ে রিক্সা নিয়ে মার্কেটের উদ্দেশ্যে চলে রওনা হলো।রিক্সায় বসে কেয়া বললো,
~মা না বললে আমাকে না নিয়েই শপিং করতে চলে যেতেন?
তানভীর বললো,
~হ্যা।
কেয়া বললো,
~আমাকে আপনি ভুলে যান অনেকসময়।
তানভীর বললো,
~এখন তো মনে রেখেছি তাই না।
কেয়া বললো,
~মা বলেছে তাই মনে রেখেছেন।

হিয়ার শরীরটা আজ একটু বেশি খারাপ সে বিছানায় শুয়ে আছে রেহানা বেগম তার মাথার কাছে বসে আছে।হিয়া রেহেনা বেগমের হাত ধরে বললো,
~মা আপনি টেনশন করবেন না আমি একদম ঠিক হয়ে যাবো।
রেহেনা বেগম বললেন,
~তুমি তো সকাল থেকে কিছুই খাওনি একটু কিছু খেয়ে নেও ভালো লাগবে।
হিয়া বললো,
~বমি এসে পরবে মা।
রেহেনা বেগম বললেন,
~তাও খেতে হবে মা এটা তোমার জন্য প্রয়োজনীয়।
হিয়া উঠে বসলো খাবার নিয়ে খাওয়া শুরু করলো এবার সবটি খাবার শেষ করতে পারলো তারপর আবার শুয়ে পরলো।রেহেনা বেগমের অনেক ভয় করছে হিয়ার অবস্থা করতে যদি কোনো অঘটন ঘটে যায় তখন কী হবে?
ইলহাম অফিসে গিয়ে অমিত হাওলাদারকে জানিয়ে দিলো সিদ্ধান্ত অমিত হাওলাদার খুশী হলেন আর বললেন,
~তোমার পাসপোর্ট আর যাবতীয় কাগজ পত্র জমা দিয়ে দিবে আজ থেকেই সব কাজ শুরু করা হবে।
ইলহাম সম্মতি জানিয়ে কেবিন থেকে বের হয়ে আসলো নিজ কেবিনে এসে চেয়ারে বসে পরলো আর কয়েকদিন পর সে হয়তো অনেক দূরে থাকবে এ পরিবেশ থেকে।
#গল্পের_নাম_প্রেমের_শুরু
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্বঃ১০
অফিস শেষ করে বাজার ভর্তি ব্যাগ নিয়ে বাসায় পৌছায় ইলহাম কলিংবেল বাজাতেই হেমন্তি দরজা খুলে দিলো।ইলহামের দুহাত ভর্তি বাজার দেখে হেমন্তি অবাক হলো কিন্তু কিছু না বলে হেমন্তির হাত থেকে বাজারের একটা ব্যাগ নিয়ে ভিতরে নিয়ে আসলো।ইলহাম ক্লান্ত পায়ে বাজারের ব্যাগটা রেখে সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে হেমন্তিকে বললো,
~এক গ্লাস পানি আনো তো।
হেমন্তি দ্রুত পায়ে টেবিলের কাছে গিয়ে জগ থেকে গ্লাসে পানি ডেলে ইলহামকে দিলো।ইলহাম এক নিশ্বাসে পুরো পানি শেষ করে বললো,
~তুমি একা এতে হাত দিতে যাবে না আমি ফ্রেশ হয়ে এসে সব করছি মনে থাকে যেন।
ইলহামের এমন সর্তকতার বাণী শুনে হেমন্তি বললো,
~এতো বাজার কেন করেছেন?
ইলহাম সোফা থেকে উঠে দাড়িয়ে বললো,
~পরশু ভাবছি সবাইকে ইনভাইট করবো আমার সব কাগজপত্র কালকে জমা দিতে হবে।
ইলহামের কথা শুনে হেমন্তি শুধু “ওহ” বললো ইলহাম রুমে চলে গেলো।ইলহামের কথার অবাধ্য হয়ে হেমন্তি বাজারের ব্যাগ থেকে এক এক করে সব বের করতে লাগলো।ইলহাম ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে দেখলো হেমন্তি ব্যাগ থেকে সব বের করে ফেলেছে।ইলহাম হেমন্তির পাশে বসে পরলো আর বললো,
~যাও ভালো ড্রয়ার থেকে পলিথিন নিয়ে আসো।
হেমন্তি বললো,
~আপনার করতে হবে না আপনি মাত্র অফিস থেকে এসেছেন। আপনি বিশ্রাম নিন আমি সব করতে পারবো।
ইলহাম রাগী কন্ঠে বললো,
~তোমার উপদেশ কেউ চাইনি হেমন্তি একা এতো কাজ তোমার করতে হবে না আমার এসব করে অভ্যাস আছে হিয়ার সাথে আমিও তার কাজে সাহায্য করতাম।
হেমন্তি বললো,
~এখন করতে হবে না আমারও এসব করে অভ্যাস আছে।
ইলহাম বললো,
~তুমি আমার কথা শুনবেনা?
হেমন্তি বললো,
~আপনি আমার কথা শুনছেন না মাংসে রক্ত লেগে আছে আপনাট শরীরে লেগে যেতে পারে।
ইলহাম বললো,
~লাগলে আবার গোসল করবো এতে কোনো সমস্যা নেই।
বলেই ইলহাম শসা ভর্তি পলিথিন হাতে নিলো হেমন্তি তার হাতের পলিথিন ধরে বললো,
~আপনার এতো কাজ করতে হবেনা।
ইলহাম পলিথিন টেনে বললো,
~তোমার এতো ভাবতে হবে না।
তাদের টানাটানিতে পলিথিন ছিড়ে সব শসা নিচে পরে গেলো দুজনই চোখ বড় বড় করে দুজনার দিকে তাকালো তারপর ফিক করে হেসে দিলো।ইলহাম বললো,
~দুজনই করি তাহলে কাজটা দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।
হেমন্তি বললো,
~ঠিক আছে নাহলে সব মাটিতে পরে থাকবে।
দুজনই কাজে লেগে পরলো সব কিছু গুছাতে গুছাতে রাত ১০টা বেজে গেলো।হেমন্তি আর ইলহাম ফ্রেশ হয়ে টেবিলে বসলো খাবার খেতে হেমন্তি ইলহামের প্লেটল ভূনা খিচুরি তুলে দিতেই ইলহাম খুশী খুশী মনোভাব নিয়ে বললো,
~ভূনা খিচুরি আমার অনেক পছন্দের খাবার দেশের বাহিরে গেলে এসব খাবার নসীবে জুটবেনা।
ইলহামের কথা শুনে হেমন্তির হাতের নলাটা মুখ থেকে দূরে সরে গেলো মনটা খারাপ হয়ে গেলো চোখে পানি টইটুম্বর করতে লাগলো।ইলহাম হেমন্তির দিকে তাকাতেই বুঝতে পারলো এ কথাটি বলা উচিত হয়নি।ইলহাম খাবার রেখে একহাত হেমন্তির গালে রেখে বললো,
~তুমি এভাবে মনে কষ্ট নিয়ো না শুধু দুমাসে ব্যাপার এরপর আমি চলে আসবো কেউ যদি তোমার থেকে দূরে যেতে বলেও আমি যাবোনা।
হিয়ার পাশে ফারুক বসে আছে তারা দুজনই টিভিতে মুভি দেখতে ব্যস্ত ফারুক টিভি থেকে চোখ সরিয়ল হিয়ার দিকে তাকাতেই ওর চোখে পরলো হিয়ার ফ্যাকাশে মুখটা।ফারুক মনে মনে বললো,
~হিয়া কতোটা কষ্ট করছে আমাদের বাবুর জন্য অথচ আমি কিছুই করতে পারছিনা কাজের জন্য হিয়ার পাশে এক দন্ড বসার সুযোগ পাচ্ছিনা।এখন তো সবচেয়ে বেশি আমার সার্পোটের দরকার তার কিন্তু আমিই এখন তার থেকে দূরে দূরে থাকছি।
ফারুক হিয়াকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলো হিয়াও পরম আবেশে ফারুকের বুকে মাথা রেখে বললো,
~এতো ভালোবাসা?
ফারুক বললো,
~আমি তোমাকে সময় দিতে পারছিনা তাই বলে কী তুমি আমার উপর রেগে আছো?
হিয়া মুচকি হেসে বললো,
~কোথায় সময় দিচ্ছেন না?এই যে রাতভর জেগে আমার সাথে বসে আছেন কালকে ঘুম চোখ নিয়েই অফিসে ছুটবেন।
ফারুক হিয়ার কপালে ঠোঁট ছুইয়ে বললো,
~তোমার মন যাতে ভালো থাকুক এর জন্য আমি সব করবো।
হিয়া বললো,
~এতো ভালোবাসেন আমায়?
ফারুক বললো,
~কোনো সন্দেহ আছে?
হিয়া বললো,
~নাহ। আচ্ছা শুনুন মা আমার সাথে সারাদিন থাকে একটুও রেস্ট নিতে চায় না আপনি একটু বলে দিবেন তাকে যাতে সে সময় মতো নিজের যত্ন নেয়।নাহলে আমি তার কোনো কথা শুনবোনা চলে যাবো বাড়ি ছেড়ে।
ফারুক হেসে বললো,
~আচ্ছা মহারাণী বলে দিবো।
হিয়া বললো,
~আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি?
ফারুক বললো,
~করো?
হিয়া কিছু বলতে যাবে পরক্ষণেই কিছু চিন্তা করে বললো,
~নাহ থাক পরে বলবো।
ফারুক বললো,
~ঠিক আছে।
বলেই সে হিয়াকে নিজ বাহুডরে আবদ্ধ করে টিভির দিকে মনোযোগ দিলো।

____♥_____

ইলহাম সকালে রেডি হয়ে কাগজপত্র নিয়ে অফিসের দিকে রওনা হলো সেগুলো জমা দিয়ে বাসায় চলে আসবে।অমিত হাওলাদার তাকে এ কয়েকদিন বাসা থেকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে কারণ কয়েকদিন পরই অজানা শহরে রওনা দিবে তাই তাকে আপনজনের মাঝেই থাকতে বলেছে।ইলহাম অফিসে সবকিছু জমা দিয়ে সব কলিগদের সাথে দেখা করে বের হয়ে আসলো অফিস থেকে।রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আর চারদিকে চোখ বুলাচ্ছে হঠাৎ তার নজর একটা দোকানের দিকে আটকে গেলো খুব সুন্দর একটা কানের দুল সেখানে রাখা আছে।ইলহাম ভাবলো এই দুলটায় হেমন্তিকে কতোটা সুন্দর দেখাবে সে আর কিছুই না ভেবে দোকানে ডুকে পরলো সেই কানের দুলটা কিনলো হেমন্তির জন্য।
হিয়ার জন্য হাতের চুড়ি ছোটবেলা থেকেই হিয়ার চুড়ির অনেক শখ চুড়ি গুলো কিনতেই ইলহামের মনে হলে যদি হিয়ার মেয়ে বাবু হয় তাহলে কী সেও চুড়ি পছন্দ করবে?এসব ভাবতেই ইলহাম আনমনে হেসে ফেললো কেয়ার জন্য হাতের ব্রেসলেট কিনলো এরপর সেগুলো প্যাকেট করে নিয়ে দোকান থেকে বের হয়ে আসলো।ইলহাম হেমন্তির জন্য অনেক গুলে চকলেট আর গোলাপ ফুল কিনে রিক্সায় উঠে পরলে বাসার উদ্দেশ্যে।
হেমন্তি কেয়ার সাথে কথা বলছে কেয়া শপিংয়ের কথা বলছে হেমন্তি বললো,
~সবই কেনা শেষ আর তো কিছু বাকি নেই।
কেয়া বললো,
~জ্বী আপু সবই কিনেছি তানভীরের পরিবারের জন্যও কেনা হয়েছে।
হেমন্তি বললো,
~এটা ভালো কাজ হয়েছে কারণ তাদেরও তো ছেলের বিয়ে।
কেয়া বললো,
~তানভীর আর মা দুজনই অনেক ভালো আপু।আমাকে অনেক আদর করে খেয়াল রাখে আমার প্রতিটি ইচ্ছার।
হেমন্তি বারান্দায় দাড়িয়ে রেলিং ধরে বললো,
~এখন তোর দায়িত্ব তাদের খেয়াল রাখা আগলে রাখা যেমন তোর ইচ্ছাকে ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখছে ঠিক তেমনি তুইও ওনাদের ইচ্ছে গুলোকে আগলে রাখবি।
কেয়া বললো,
~চেষ্টা করবো আপু।
হেমন্তি বললো,
~আচ্ছা শোন মা-বাবার কাছে ফোনটা নিয়ে যা আর স্পিকারে রাখবি।
কেয়া বললো,
~ঠিক আছে।
কেয়া ইরিনা বেগম আর ইমরান খানের রুমে চলে গেলো এরপর ফোন স্পিকারে দিতেই হেমন্তি বললো,
~মা-বাবা আর কেয়া তিনজনই কালকে আমার বাসায় চলে আসবে উনি তোমাদের দাওয়াত দিয়েছে।উনি ফোন করে তোমাদের বলতে চেয়েছিল আমিই মানা করেছি আর বলেছি আমিই বলে দিবো।
ইমরান খান বললেন,
~আমরা অবশ্যই আসবো।
হেমন্তি বললো,
~তানভীরদের উনি ফোন করে বলে দিবেন।
ইরিনা খান বললেন,
~ হঠাৎ এতো আয়োজন কেন মা?
হেমন্তি বললো,
~কালকে আসলেই বুঝতে পারবে।
ইমরান খান বললেন,
~কোনো সমস্যা হয়েছে মা?
হেমন্তি বললো,
~নাহ এমন কিছুই না তোমরা সময় মতো চলে এসো।
বলেই ফোন রেখে দিলো হেমন্তি তারপর রান্নাঘরে গিয়ে দুপুরের খাবার টেবিলে সাজাতে রাখবে।একটুপর ইলহাম চলে আসবে তাই সে শাওয়ার নিতে চলে গেলো।হেমন্তি শাওয়ার নিয়ে বের হতেই কলিংবেল বেজে উঠলো সে রুম থেকে বের হয়ে দরজার সামনে গিয়ে তা খুলে দিতেই ইলহামের দেখা পেলো।ইলহাম হেমন্তির দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে হাতের গোলাপ গুলো এগিয়ে দিয়ে বললো,
~এগুলো তোমার জন্য।
হেমন্তির মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠলো সে হাত বাড়ি গোলাপ ফুলগুলো নিয়ে বললো,
~অনেক সুন্দর।
ইলহাম বাসায় ডুকে বললো,
~কিন্তু তোমার থেকে কম সুন্দর তুমি অনেক সুন্দর।
হেমন্তি লজ্জা পেয়ে বললো,
~এতো প্রশংসা কেন করছেন?
ইলহাম বললো,
~নিজের বউয়ের প্রশংসা করতে কোনো কারণের দরকার নেই বুঝেছো।

_____♥______

হেমন্তি মুচকি হেসে বললো,
~তাই আর ওই ব্যাগে কী আছে?
ইলহাম বললো,
~হিয়ার জন্য চুড়ি,কেয়ার জন্য ব্রেসলেট, আর তোমার জন্য কানের দুল।
হেমন্তি বললো,
~সবার খেয়াল আপনি রাখেন।
ইলহাম বললো,
~এসব ছোট ছোট জিনিসে ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে।
হেমন্তি ব্যাগ থেকে কানের দুল বের করে বললো,
~আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি খাবার টেবিলে দিয়ে রেখেছি।
ইলহাম মাথা নাড়িয়ে রুমের দিকে চলে গেলো সেই ফাঁকে হেমন্তি কানের দুল গুলো পরে নিলো।ইলহাম ফ্রেশ হয়ে বের হতেই তার নজর পরলো আয়নার সামনে দাড়িয়ে থাকা হেমন্তির উপর।কানের দুলগুলো হেমন্তির কানে শোভা পাচ্ছে ইলহাম টাওয়ালটা বিছানায় রেখে ধীরপায়ে হেমন্তির দিকে এগিয়ে গেলো।হেমন্তি নিজের থেকে চোখ সরাতেই তার চোখ গেলো পিছনে দাড়িয়ে থাকা ইলহামের উপর।হেমন্তি পিছন ফিরতেই ইলহামের বুকের সাথে লেপ্টে গেলো ইলহাম দুহাত দিয়ে শক্ত করে হেমন্তিকে জড়িয়ে ধরে বললো,
~আর কতো পাগল করবে আমায়?তোমার প্রতিটি কাজে আমি শুধু মুগ্ধ হচ্ছি তুমি কী শুনতো পাচ্ছো আমার মনের শব্দ গুলো?
হেমন্তি ইলহামের বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে আছে সে ধীর শব্দে বললো,
~আপনি আমায় মনে রাখবেন তো? নাকি ভুলে যাবেন সেই শহরের চাকচিক্য দেখে?মনে রাখবেন তো আপনার এক প্রিয়তমা অপেক্ষা করছে এই চিরচেনা শহরে।
ইলহাম হেমন্তিকে বুকে থেকে উঠিয়ে তার দুগাল ধরে চোখে ঠোঁট ছুইয়ে বললো,
~এতোটা মনভোলা না যে আমি আমার প্রিয়তমাকে ভুলে যাবো এই মেয়েটার মধ্যে যে আমার প্রাণ রয়েছে।
ইলহামের কথা শুনে হেমন্তি মুগ্ধ হলো তার মনে একটা প্রশান্তিময় আবেগ কাজ করছে।
হিয়ার ফোনে ইলহাম ফোন করতেই হিয়া ফোন রিসিভ করেই বললো,
~কেমন আছিস ইলহাম?
ইলহাম আলতো হেসে বললো,
~ভালো আছি তোর কী অবস্থা?
হিয়া বললো,
~আমার অবস্থা ভালো।
ইলহাম বললো,
~আচ্ছা শোন কালকে তুই ফারুক ভাই আর আন্টি এই বাসায় চলে আসবি দুপুরের খাওয়া-দাওয়া এখানেই করবি।
হিয়া বললো,
~এই আয়োজন কেন হঠাৎ?
ইলহাম বললো,
~কালকে আসলেই বুঝবি সব।
হিয়া বললো,
~আমার মনে হচ্ছে তুই বোম ফাটাবি আমরা এতে সবাই শকড হয়ে যাবো।
ইলহাম হেসে বললো,
~কালকে আসলেই তো জানতে পারবি।
হিয়া বললো,
~ঠিক আছে।
হিয়ার সাথে কথা বলে ইলহাম তানভীরদের ফোন করেও ইনভাইট করে দেও প্রথমে তানভীর মানা করলেও ইলহামের কথায় সে রাজী হয়ে যায়।

____♥_____

সকাল থেকেই ইলহাম,হেমন্তি আর ফিরোজা তিনজনই ব্যস্ত কাজে ইলহামও তাদের সাহায্য করছে কাজে।ফিরোজা ইলহামকে দেখে অবাক হচ্ছে পুরুষ মানুষ হয়েও সে কতো সুন্দর বউকে সাহায্য করছে।হেমন্তি গরুর মাংস চড়িয়ে দিয়ে চায়ের পানি বসিয়ে দিলো ইলহামের চায়ের প্রয়োজন হবে কিছুক্ষন পর।হেমন্তি ফিরোজাকে বললো,
~আপা,আপনি মাংসটা দেখুন আমি চা টা ওনাকে দিয়ে আসি উনি রুম গুছাতে গিয়েছে।
ফিরোজা হেসে বললো,
~ভাইজান আফনারে অনেক ভালাবাসে কেমতে আফনার লগে সব কাজ করছে।
হেমন্তি বললো,
~আর কয়েকদিন এই ভালোবাসা আর দেখতে পাবেননা।
ফিরোজা মনটা খারাপ করে বললো,
~এই অলুক্ষুনে কতা কন ক্যা?
হেমন্তি বললো,
~আপনার ভাই ২মাসের জন্য থাইল্যান্ড যাচ্ছে।
ফিরোজা বললো,
~মন খারাপ কইরেননা ভাবিজান আমি বুঝবার পারিনাই।
হেমন্তি মলিন মুখে একটা হাসি দিয়ে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে চলে গেলো ইলহামের কাছে।
সব কাজ শেষ করে ফিরোজা চলে যেতে নিবে হেমন্তি ফিরোজার পরিবারের জন্য খাবার প্যাক করে দিলো।
হেমন্তি গোসল করে রেডি হয়ে নিলো আজ সে ইলহামের কিনে দেওয়া শাড়িটা পরেছে কানে তার দেওয়া দুল।ইলহামও গোসল করে রেডি হয়ে নিলো দুজনই তৈরি অপেক্ষা করছে মেহমানদের জন্য তখনই কলিংবেল বেজে উঠলো হেমন্তি দরজার কাছে গিয়ে দরজা খুলে দিলো আর দেখলো হিয়া আর ফারুক এসেছে।হেমন্তি তাদের ভিতরে আসতে দিয়ে বললো,
~আন্টি আসবে না?
হিয়া সোফায় বসে বললো,
~উনি আসবেনা শরীর ভালোনা তাই।
হেমন্তি বললো,
~ওহহ
ইলহামও এসে পরলো সোফার ঘরে তখন আবারো কলিংবেল বেজে উঠলো এবার ইলহাম গিয়ে দরজা খুলেই দেখতে পেলো

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here