প্রেয়ন পৃথুর প্রেমসুতা পর্ব -১০+১১+১২

#প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো💖
#পর্ব_১০(অতিরিক্ত)
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
রাতে,
আমি রুমের জানালার কাছে বসে আছি।
জানালার পাশে খানিকটা উঁচু জায়গা আছে ওখান থেকে চাঁদটা খুব সুন্দর ভাবে দেখা যায়।
বসে আছি আমি সেখানে।

এরি মধ্যে প্রেয়ন ঘরে আসলো। বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে আঁচল ঝুলিয়ে বসে আছে পৃথুলা৷
চাঁদের আলোতে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে পৃথুলাকে।
প্রেয়নে কাছে এটা তো একটা পরির থেকে কম কেউ নয়৷
বুকের মধ্যে ধুকপুক শব্দ শুনা যাচ্ছে।
থম থম পরিবেশ।
পরিকে যেন নিরবতা দেখতে আরো বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে।
প্রয়ন এক পা, এক পা করে পৃথুলার কাছে এগিয়ে আসে।
এটা হয়তো ভালোবাসা।
–( না না এ আমি কি ভাবছি)
–আপনি এসে গেছেন।
–তো কি সারা দিন বাইরে থাকবো (কড়া মেজাজে)
–না সেটা বলি নি। (আস্তে)
–তো তুই আমাকে কি বলছিস আমি বুঝি নি বলছিস। অসভ্য।
–অসভ্যতামি আমাকে আমার বাবা শেখান নি মি.খান মুখ সামলে কথা বলুন।
কথাটা বলে আমি ওনাকে পাশ কাটিয়ে চলে এলাম।
–কেন এমন করে আমি কি খারাপ কিছু বলেছি।
এদিকে,
–ক্ষমা করে দিস চাইলেও #প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো গাঁথতে পারবো না।
(তবে কি কারনের জন্য #প্রেমসুতো গাঁথা হচ্ছে না কারনটা আস্তে আস্তে বুঝা যাবে)



–এতো পড়া আমি কি করে শেষ করবো।
ও আপু তুই কই গেলি তুই আমাকে অনেক হেল্প করতি রে সোনা।
–মে আই হেল্প উ।
হটাৎ নিজের পেছনে চেনা কোন ছেলের কন্ঠ পেয়ে চমকে উঠে রাইমা৷
এতো রাতে তার রুমে কে?
–ক কে?
–নীল।
–নীল!
রাইমা পেছনে ফিরে অবাকের চরম সীমায় পৌঁছে গেল৷
সত্যি তার পেছনে নীল দাঁড়িয়ে।
–এগুলা কি হচ্ছে। আপনি আমার রুমে কি করছেন?
–কি করবো এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম ভাবলাম তোমার সাথে দেখা করে যাই।
(রাইমার দিকে এগোতে এগোতে)
–দ দেখুন আমি বাবাকে ডাক দিবো কিন্তু আপনি আমার বাড়ি আসলেন কি করে?
–জানালা খুলা রাখলে যা হয় আর কি।
–আপনি জানালা বেয়ে এসেছেন,!
–হ্যাঁ তো কি তেমার বাবা আমার জন্য মেইন ডোর খুলা রেখেছে নাকি।
উপস সরি তেমার বাবা তো আবার প্যারালাইসেস এর রুগি৷
সো সেড।
–বেরোন আমার বাড়ি থেকে এক্ষুনি বেরোন।
–সত্যি (রাইমার অনেক কাছে গিয়ে)
–থাপ্পড় চিনেন।
–ওই পিচ্চি হাতে ১ না ১০০ টা থাপ্পড় খাইলেও সমস্যা হবে না।
–বেয়াদব ছেলে বেরোন লজ্জা লাগে না মাঝ রাতে একটা একা মেয়ের বাসায় আসতে।
–অন্য মেয়ে হলে লজ্জা লাগতো কিন্তু এটা তুমি না তাই লাগছে না।
আচ্ছা যা-ই হোক মুল কথায় আসি।
এর পর থেকে জানালা ৮ টা বাজার পর খোলা দেখলে তোমার খবর আছে।
কাল থেকে তোমায় কোচিং আমি নিয়ে যাবো আসার সময় নিয়ে আসবো।
বাই।
–মামা বাড়ির মোয়া নাকি।
রাইমার কথা না শুনেই নীল তার আসার জায়গা দিয়ে চলে গেল।
–ও মা এই ছেলে কে এগুলা কি হচ্ছে।
আপুকে বলবো।
না এমনি অনেক সমস্যা আর সমস্যা দেবো না।



কফি দুই মগ শেষ করেও আমার মাথা ব্যাথা কমছে না।
আমার জীবনে এই প্রেয়ন নামে গিট টা খোলার কেন নামি নাই।
যতো সময় যাচ্ছে তত গিটটা শক্ত হতে আছে।
ধুর আর ভালো লাগে না।
–এতো কফি খেলে আর ঘুমানো দরকার হবে না৷
–আপনার কি৷
–আমার কি হবে আমার কিছু না।
কথাটা বলেই প্রেয়ন আমাকে পাজকোলে তুলে নিলো।
–কি করছেন কি ছাড়ুন।
–বেশি বললে ফেলে দিবো কিন্তু।
–(কি সমস্যা কি এই লোকের ও মা আমার মথার উপর দিয়ে যায়)
উনি আমাকে রুমে এনে শুইয়ে দিয়ে আমার পাশে সুন্দর করে শুয়ে পরলেন।
বুঝলাম আমাকে এখন ঘুমতে হবে।
কিন্তু এমন কেন এই মানুষ টা আল্লাহ আমাকে কেউ সাহায্য করো।



সকালে,
–আমি বুঝতে পারছি না আমি কি করবো কেউ যদি আমাকে ওই ছেলের সাথে দেখে সত্যি ভাব্বে আমি প্রেম করি৷
সঙ্গে সঙ্গে কথাটা ভাইয়া জানবে।
আমাকে তো বিয়ে দিয়ে দিবে।
লোকটা যেভাবে রাতে এসে ধমক দিলো তাতে মনে হচ্ছে নিশ্চিত আসবে৷
ও আল্লাহ আমি কি করবো।
রাইমা পায়চারি করছে সারা ঘর ভরে।
এদিকে পড়তে যাবার সময় হয়ে আসছে।
–নাহ আমি কি করবো।
–রাইমা।
–কে?
–আমি আফিয়া।
–আফিয়া দোস্ত তুই আসছিস।
–হুম কিন্তু আমাদের লেট হচ্ছে তুই চল।
–আফিয়া আমি ফেঁসে গেছি।
–মানে।
–মানে শুন তবে,
রাইমা গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত সব খুলে বললো।
–সে কি এতো সমস্যা তুই আপুকে সব খুলে বল।
–আপু অসুস্থ রে আরো সমস্যা হটাৎ বিয়েটা হলো আমার মনে হয় না এর মধ্যে ওকে এসব জানানো উচিত।
–তাও ঠিক৷
আচ্ছা তুই চল তো দেখি কি সমস্যা নাও আসতে পারে।
–সত্যি
–হুম চল।
–আচ্ছা চল।



ফজরের নামাজ আদায় করে ওনাকে উঠিয়ে নামাজ পড়িয়ে নিলাম।
নামাজ শেষ করে নিচে এসে দেখি মা এখনো ঘুম।
তাই সবার খাবার টা আমি তৈরি করলাম।
আমার এসব কাজ করতে ভালোই লাগে।
রুটি বেলছিলাম হটাৎ মনে হলো কেউ পেছ থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।
ঘটনা চক্রে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলেও।
তার পর্ফিউমের ঘ্রাণ আমাকে জানান দিচ্ছে সে কে।
চুপচাপ নিজের কাজে মন দিলাম।
–বাহ আমার উপস্থিতিও টের পাস নাকি।
–(নিশ্চুপ কাজ করে চলেছি)
–পৃথু তুই কিন্তু পরির মতো সুন্দর।
–(মনে মনে হাসছি কিন্তু বাইরে প্রকাশ করছি না)
–ধুর আনরোমান্টিক মেয়ে।
–১ মাসের জন্য রোমান্টিক হয়ে লাভ কি।
–পৃথুলা।
মায়ের আওয়াজ পেয়ে প্রেয়ন আমাকে ছেড়ে ছিটকে অন্য দিকে সরে গেল।
কি লজ্জা বলো তো৷
–কি রে তুই রান্না,
ও মা তুই এতো সকালে।
–এমনি তোমার বৌ মার জন্য নামাজ পড়তে উঠি না।
–বাহ পৃথুলা যা আমি কখনো করতে পারি নি তাই করে দিলি।
–না মা তুমি কান ধরে তুললে ঠিক উঠতো।
–হ্যাঁ ঠিক বলেছিস৷
–বাহ শ্বাশুড়ি বৌ মা এক হয়ে আমাকে এক দিকে ফললে।
শোধ নিবো তো।
–তুই এতে হিংসা করিস কেন বাবা আমার বৌ কে।
–বৌ টা আমার জন্য পেয়েছো তুমি মা।
–চুপ থাক তুই।
সবাই মিলে হেসে দিলাম।

ওদিকে,
চলবে,
(বানান ভুল হতে পারে তার জন্য অগ্রিম ক্ষমা প্রার্থী)#প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো💖
#পর্ব_১১
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা

ওদিকে,
–দোস্ত আমার কিন্তু ভয় হচ্ছে। (রাইমা)
–আরে চাপ নিস না আমি আছি তো। (আফিয়া)
রাইমা আর আফিয়া বাসা থেকে বের হলো।
শীতের দিন বেশ ভালোই কুয়াশা পরেছে।
এই দুই দিন শহরটা কেমন কুয়াশার তলে ঢাকা পরে থাকছে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত।
প্রচন্ড বেগে শীতল হাওয়া ও বইছে।
রাইমা আর আফিয়া হাঁটছে এর মধ্যে কোন রিকশায় উঠলে ওরা শীতে বরফ হয়ে যাবে।
–বেশ শীত না রে রাইমা।
–হুম অনেক শীত।
–তোমায় হাঁটতে তো কেউ বলে নি রাইমা আমি বলেছিলাম দাঁড়িয়ে থাকতে বাসার সামনে।
নীলের ঝাঁঝালো কন্ঠ শুনে রাইমা স্টাচু হয়ে গেল।
–রাইমা ইনি কি উনি(আস্তে করে আফিয়া)
–হু (আস্তে)
–আমি কিছু প্রশ্ন করেছি মনে হয়।
রাইমা এবার ভয় থেকে রেগে গেল।
–আপনি আমার কি হন?কিসের জন্য আমি আপনার কথা শুনবো? কি করানে?কি হন টা কি আপনি আমার? বলুন আমাকে।
সমস্যা কি আপনার আমার পিছু ছাড়া যায় না নাকি। সমস্যা টা কি বলেন আমাকে।
কি করলে আপনি আমাকে মুক্ত দিবেন বলুন।
আমার বাবা অসুস্থ মানুষ আমার আপুর বিয়ে হয়ে গেছে আমি একা থাকি বলে আপনি ভেবেছেন ইচ্ছে মতো পুতুল নাচাবো বলুন সমস্যা কি বলুন আমাকে।
(এক নিশ্বাসে কথাটা বলে ফেললো রাইমা)
নীল মুচকি হেঁসে রাইমার দিকে এক বোতল পানি এগিয়ে দিলো।
–পানি দিয়ে কি করবো আমি।
–খাবে এই যে এতো গুলো কথা বললে গলা শুকিয়ে যায় নি।
–আমি
–থাক আর রেগো না তোমার সব প্রশ্নের উত্তর দিবো আমি চলো এখন আফিয়া তুমিও চলো।
নীল ওদের জোরপূর্বক কোচিং পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
কোচিং এ এসে,
–কিরে আফিয়া তুই তো বললি সব সামলে নিবো কাজের বেলায় তো কিছু করলি না।
–কি করবো তুই ওনাকে দেখছিস ভালো করে।
লম্বা ফর্সা অসাধারণ দেখতে।
ব্লাক সার্ট এর উপরে জেকেট। দেখে তো আমার হার্টবিট থমকে গেছিলো রে।
–আফিয়া(দাঁতে দাঁত চেপে)
–স্যার আসছে।
–তোকে আমি বাইরে গিয়ে দেখছি।



–পৃথুলা।
–জি মা।
–আর কতো করবি এবার খেতে আয়।
–এক মিনিট মা এটা শেষ আমি আসছি।
সব খাবার নিয়ে এলাম টেবিলে।
–বাবা গুড মর্নিং।
–গুড মর্নিং পৃথুলা মা।
কি কি রান্না করেছিস বল তো তোর মায়ের রান্না খেতে খেতে আমি এখন বোর।
–কি বললে প্রেয়নের আব্বু।
–তুমি চেতো কেন আমি তো বৌ মার প্রশংসা করছি যাতে তোমার কষ্ট না করা লাগে।
–তাই না।
–হইছে আপনারা থামুন এখন খাবার সময়।
সবাইকে খাবার দিয়ে খেতে বসলাম।
প্রয়ন চুপচাপ খেয়ে উঠে গেল।
হটাৎ এমন চুপচাপ ব্যাবহার করছে কেন বুঝলাম না।
আমিও খাবার শেষ করে উপরে চলে গেলাম।
–কিছু হইছে।
–কার।
–আপনার
–না কি হবে।
–কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত মনে হচ্ছে।
–না তেমন কিছু না আচ্ছা পৃথু তোর থেকে আমি ডকুমেন্টস চেয়েছিলাম ওগুলা।
–হ্যাঁ আমি আসার সময় নিয়ে এসেছিলাম এক মিনিট।
আমি ওগুলা বার করে ওনাকে দিলাম।
–এই যে।
–হুম সব আছে।
–হ্যাঁ বাবার টাকা জমা দেওয়া সব স্লিপ আছে।
–আচ্ছা পৃথু তুই কি জানিস এই জয়গার মালিক কে ছিলো।
–কোন নীল চৌধুরী সম্ভবত।
–হুম ২×২=৪।
–মানে।
–মানে তুই বুঝবি না সেই নীল চৌধুরীর কোন সমস্যা হয় নি এই যে এতো বড়ো একটা ফ্রট গিরি করলো।
–না উনি কে কেউ ওনাকে দেখেন নি ওনার সাথে জড়িত আরো কিছু লোককে ধরা হয়।
আর উনি মেইন মানুষ টা অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ তাই ওনাকে ধরা হয় নি।
কিন্তু আপনি এগুলা দিয়ে কি করবেন।
–কিছু না এমনি আমি একটু শুই তুই আমার মথাটা একটু টিপে দে পৃথু
–আচ্ছা।
উনি আমার কোলে মাথা দিলেন।
ওনাকে এভাবে দেখতে বেশ ভালো লাগে মনে হয় সময়টা কেন থমকে যাচ্ছে না এভাবে ওনার সাথে আমার জীবন কাটিয়ে দিতে ইচ্ছে করে।
কিন্তু ১ মাসের ৫ দিন কেটে গেছে।
আর মাত্র ২৫ দিন বাকি।
আমি বিলি কেটে দিতে দিতে উনি ঘুমিয়ে গেলেন।
ওনার মাথায় হাত দিয়ে ওনার বুকের উপর কখন আমিও ঘুমিয়ে গেলাম টের পাই নি।



ঘুমের মধ্যে মুখের উপর কারোর চুল টের পেয়ে বিরক্ত বোধ হচ্ছিল প্রেয়নের।
কিন্তু চুলের মিষ্টি ঘ্রাণে আবার ভালোলাগা কাজ করছে।
সব সংকোচ কাটিয়ে প্রেয়ন চোখ টিপটিপ করে মেলে পৃথুলাকে নিজের বুকে আবিষ্কার করে।
বুকের মাঝে ভালোবাসাকে দেখতে পেয়ে এতো ভালোলাগা কাজ করতে পারে কারোী তা নিজের ভালোবাসাকে না দেখলে প্রয়ন বুঝতে পারতো না।
হ্যাঁ প্রেয়ন পৃথুলাকে ভালোবাসে সেই ছোট থেকে৷
কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলে নি পৃথু তোকে খুব ভালোবাসি।
ঘুমন্ত পৃথুলা এতো মায়াবি তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।
চলবে,
(সরি লিখা ছিলো কিন্তু আমি কি কারনে পোস্ট দেয় নি তা শুনলে সবাই হাসবে।
আসলে আমি ভুলে গেছিলাম। কাল থেকে সকালে পোস্ট দিবার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। 🤍🖤 সবাইকে আমার পক্ষ থেকে সাদা কালো ভালোবাসা🖤🤍)#প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো💖
#পর্ব_১২
#Lamiya_Rahman_Meghla

ঘুমন্ত পৃথুলাকে মায়াবি চাদরে আকরে ধরে ঘুমিয়ে যায় প্রেয়ন।
দুনিয়ার সব কিছুই ভুলে যায় যখন সে পৃথুলারা সাথে থাকে।



–বাবা নীল পাপ কারোর বাপ চিনে না বাবা জীবনে অনেক কিছু করেছিস এবার থাম।
–হুহ বাবা তাহলে একটা শিশুকে অধিকার থেকে ছিন্ন করা মহা পাপ।
–আমি কখনো তেকে বুঝতে দেয় নি তুই আমার ছেলে না।
–আমিও কাউকে বুঝতে দেয় নি সব কিছুর পেছনে কার হাত।
–যাকে কেউ দেখে না তাকে মহান আল্লাহ তায়লা দেখে।
–বাবা গেম মাত্র শুরু ভিলেন না হয় কিছু এপিসোড পরে ডিসাইড করো।
–নীল তুই নীল চৌধুরী বাবা।
–না বাবা আমার আসল পরিচয় হয়তো নীল
–স্যার ম্যামের কোচিং শেষ।
–আচ্ছা।
আমাকে আসতে হবে বাবা।
–বাবা মেয়েটা বাচ্চা আমার শিক্ষা তোকে কখনো কোন মেয়ের সাথে খেলতে শেখায় নি।
–বাবা ওকে ভালোবাসি।
–ভালোবাসলে ভালো কিন্তু পাপ কুড়াস না বাবা।
–পাপ নিয়ে ভেবো না আমি যদি পাপা করি তবে ওরা মহা পাপ করেছে।
নীল কথাটা বলেই চলে আসে।
–আল্লাহ আমার নীলকে তুমি সু পথ দেখাও একটা রাস্তা দেখাও যার দ্বারা ওকে আমি সু পথে ফিরিয়ে আনতে পারি।


–দোস্ত জলদি একটা রিকশা দেখে চলে যেতে হবে বাসায় নাহলে আবার ওই নীল চলে আসবে (রাইমা)
–হুম তুই ঠিক বলেছিস আমার কেমন এখন ভয় ভয় হচ্ছে।
রাইমা আফিয়া রিকশায় উঠতে যাবে তখন।
–রাইমা আমি আাছি তো কেন এতো তাড়া তোমার (নীল)
–দোস্ত। (চেপে)
–কি করবি উপায় নেই। (আফিয়া)
ওরা নীলের সঙ্গে বাসায় চলে আসে।



–পৃথু এই পৃথু।
–হুম।
–উঠ আর কতো ঘুমোবি।
–কেন জানি না প্রচুর ঘুম পাচ্ছে আমার ।
–আমাকে ঘুমোতে গিয়ে নিজে ঘুম দিলি।
–হুম।
–পৃথু উঠ এবার।
–হু (ঘুমের ঘোরে)
–পৃথু
–উঠছি।
এবার ভালো করে চোখ মেলে উঠার চেষ্টা করলাম।
কোন মতে উঠে ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এলাম।
এসে দেখি প্রেয়ন রেডি হচ্ছে।
এই দুপুর সময় কই যাবেন উনি।
–এই দুপুর বেলায় কই যাবেন?
–একটু কাজ আছে রাতে ফিরতে লেট হবে খেয়ে নিও।
–আচ্ছা।
উনি চলে যাবে ঠিক তখন,
–প্রেয়ন।
–হুম কিছু লাগবে।
–না একটা গজরা নিয়ে আসবেন বেলি ফুলের।
–বেলি ফুলের গজরা।
–হুম।
–হুম আনবো।
–ধন্যবাদ।
–আগে এনে দি তার পর ধন্যবাদ দিস।
–হুম (মুচকি হেঁসে)
উনি চলে গেল।
আমি বসার ফোন দিয়ে রাইমাকে ফোন দিলাম,
–আসসালামু আলাইকুম।
–ওলাইকুমাসলাম রাইমা বাবু কেমন আছিস?
–আপু আলহামদুলিল্লাহ তুই কেমন আছিস?
–এই তো ভালো।
–ভাইয়া ফুপি ফুপা?
–আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালো বাবার কি অবস্থা।
–আগের মতোই।
–উন্নত হচ্ছে না।
–নারে জানি না কি হচ্ছে আল্লাহ কপালে কি লিখছে।
–কিরে পিচ্চি কোন সমস্যা?
–না সমস্যা হবে কেন
–তোর কন্ঠ কেমন ভারি ভারি শোনাচ্ছে।
–নারে আপু ঠান্ডা লাগছে তাই হয় তো।
(তুই সব বুঝিস আপু তুই আমার দুনিয়া তুই ভালো থাকলেই হবে মনে, মনে)
–পিচ্চি।
–হ্যাঁ আপু।
–ভালোবাসি সেনা তোকে অনেক কিছু লুকাস না কখনো।
–হুম আপু আমিও।
–আচ্ছা রাখি।
–আল্লাহ হাফেজ।
–আল্লাহ হাফেজ।

ফোনটা কেটে দিলাম।
–রাইমার সাথে কথা বললি ভাই জান কেমন আছে?
–আগের মতোই মা।
–কাল যাবো তোর বাবাকে নিয়ে দেখতে ভাইয়াজান কে।
–আচ্ছা।


–কি হচ্ছে আমার সাথে এগুলা আমি কি করবো। এই নীল নামটাকে জীবন থেকে কি করে সরাবো।


দিন গড়িয়ে রাত হলো।
রাতের খাবার খেয়ে মা বাবা শুয়ে পরেছেন।
কিন্তু আমি অপেক্ষা করছি ওনার।
ভালো লাগছে না কেন জানি না আজ কিছু।
অস্থির বোধ হচ্ছে।
সব ভাবতে ভাবতে হটাৎ কলিং বেল এর শব্দ পেলাম,
দৌড়ে দরজা খুলে দিতে দেখি প্রেয়ন।
ওনাকে ঘরে আসতে দিলাম।
উনি হাত মুখ ধুয়ে আমার সাথে করে খেয়ে নিলো।
লোকটাকে আজ বেশ ভালে লাগছে।
আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল বাঁধছিলাম তখনি হটাৎ,

চলবে,
(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here