প্রেয়ন পৃথুর প্রেমসুতা পর্ব -১৬+১৭+১৮

#প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো💖
#পর্ব_১৬
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
–এটা সম্ভব কি করে রাইমার এখন কোচিং এ থাকার কথা। আর তুমি বলছো ও নেই।
–স্যার ম্যাম সত্যি নেই। কোচিং ছুটি হবার ২ মিনিট আগে আমি এখানে আসছি কিন্তু ম্যাম নাকি অনেক আগেই অসুস্থ জন্য চলে গেছে।
–বেয়াদব গুলো একজনও কাজের না।
ফোন রাখো।
নীল ফোনটা কেটে দিয়ে নিজের সামনে থাকা টেবিলটা উল্টে দেয়।
–আআআ…….
রাইমা তুমি কাজটা ঠিক করো নি। আমি তোমায় ক্ষমা করবো না।


এক দিকে দৌড়াতেই আছে রাইমা লক্ষ তার মামা বাড়ি যদি এই অবস্থায় কোন হেল্প তারা করে আর তা ছাড়া রায়ান ভাই (রাইমার মামাতো ভাই)খুব ভালো তাকে খুব স্নেহ করে এতো বড়ো বিপদে রাইমাকে রায়ান হেল্প করবে সেটা রাইমার বিশ্বাস।
কিন্তু মামা বাড়ি এখান থেকে ৩ কি.মি দুরে রাস্তা বেশ চেনা তার এদিকে সে অনেক এসেছে কিন্তু দৌড়িয়ে আর পারছে না প্রচুর কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু না দৌড়ে তো আর উপায় নেই।
নীল যদি দেখে ফেলে এতো সময়ে নিশ্চিত বুঝে গেছে রাইমা নেই।
হটাৎ একটা ইটে হোচট খেয়ে রাইমা উবু হয়ে পরে।
–আউ মাগো।
রাইমা থুতনিতে বেশ ব্যাথা পেয়েছে।
–হে আল্লাহ আমাকে এখনি পরতে হলো কি করবো এবার।
আল্লাহ উনি যদি চলে আসে না না আমাকে যেতে হবে আমি ওনার সাথে থাকতে চাই না।
–কার সাথে থাকতে চাও না বৌ।
পেছনে নীলের কন্ঠ পেয়ে রাইমার হাত পা ঠান্ডা আর অবশ হয়ে আসছে।
নীল গিয়ে রাইমাকে তুলে।
–ইস থুঁতনি টায় ব্যাথা পেয়েছো চলো বাসায় চলো ব্যান্ডেজ করে দিবো।
রাইমা চুপ আছে নীলের ব্যবহার ভালো লাগছে না।
–কি হলো দাঁড়িয়ে রইলে কেন?
–আমি বাসায়,
–আমি তোমার গায়ে হাত তুলতে চাই না রাইমা আমার প্রিয় আমাকে আর রাগিও না এবার পরিনতি ভালো হবে না।
রাইমা চুপ হয়ে গেল।
নীলের সাথে চললো।
গাড়িতে বসে শুধু আল্লাহকে ডেকে চলেছে।



–পৃথুলা।
–জি মা।
–কিছু হয়েছে মা।
–না মা তেমন কিছু না।
–আমি জানি তুই রাইমাকে নিয়ে চিন্তিত কিন্তু তুই চিন্তা করিস না নীল ভালো ছেলে।
–তুমি কি করে বুঝতেছো মা।
–আমি আমি কি করে এসব বাদ দে তুই।
–মা তুমি কিছু লুকাচ্ছো।
–না মা কি লুকাবো বল।
–মা আমার রাইমা ভালে আছে তো।
–আমার তো মনে হয় খুব বেশি ভালো আছে।
–তাই যেন হয়।
–তুই এতো চিন্তা করিস না মা দিন দিন রোগাটে হয়ে যাচ্ছিস।
–কি যে বলো।
–সত্যি বলি পরের মাসে তোকে আর প্রেয়ন কে হানিমুনে পাঠাবো বুঝলি।
–পরের মাসে!
–হ্যাঁ ওমন৷ ভাবে বলছিস কেন?
–(পরের মাসে তো তোমার সাথেই থাকবো না গো মনে মনে)
–কি ভাবছিস পৃথুলা।
–কিছু না মা।
–আচ্ছা আমি এখন আসি প্রেয়ন আসবে একটু পর খাবার টা দিস হুম।
–আচ্ছা।
মা চলে গেল।
–কি অদ্ভুত তাই না পৃথিবীতে কিছুই আপন নয়।
–পৃথু।
কারোর চেনা কন্ঠ পেছনে শুনে ফিরে তাকালাম।
আমি পেছনে ফিরে প্রেয়নের অবস্থা দেখে আমি থ মেরে দাঁড়িয়ে রইলাম।
এক হাতা ভাজ ইন করা সার্ট এক পাশ বেরোনো।
হাতে মদের বোতল। ডুলছে সে।
–আপনি!
–ভালোবাসি পৃথু।
–কিহ!
–হা হা অবাক হচ্ছিস না?
অবাক হবারি কথা আমি জানি তুই অনেক রেগে আছিস কিন্তু সত্যি তোকে অনেক ভালোবাসি।
–কেন ভালোবাসেন আমি ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা রাখি না।
–হু জানিস তোকে ভালোবসেও কেন আমি দুরে সরিয়ে রাখি।
–না জানি না কিন্তু জানতে চাই সত্যি আমি জানতে চাই সবটা জানতে চাই।
–শুনবি আয় শোনাচ্ছি,
কথাটা বলে প্রেয়ন আর একটা কথা না বলে আমার কাঁধে ডলে পরলো।
–প্রেয়ন।
আজো উত্তর মিললো না।। কিন্তু এই প্রথম প্রেয়ন কে আমি ড্রিঙ্ক করতে দেখলাম।
কিন্তু কেন?
–উফ, সব কিছু কেমন এলোমেলো লাগছে।
এসবের উত্তর কে দিবে আমায়।
প্রেয়নকে শুইয়ে দিয়ে জুতা খুলে কম্বল টেনে দিলাম ওনার গায়ে।
ইচ্ছে হচ্ছে না এখন আর আমার কিছু করতে জীবনের সুতো গুলো পুরোই পেচিয়ে গেছে।



–খেয়ে নেও রাইমা।
–আম,
–আমি কথা বলতে বলি নি খেতে বলেছি যা আমি বলি শুধু তাই করবে দ্বিতীয় কোন প্রশ্ন বা কথা নয়।
রাইমা চুপচাপ খেয়ে নেয়।
কাঁদতে কাঁদতে।
–পড়তে বসো।
–প পড়া হ হবে ন না।
–কেন হবে না (ধমক শুরে)
–ভালো লাগছে না পড়া মাথায় ঢুকবে না (কেঁদে দিয়ে)
–এদিকে এসো।
রাইমা এক পা এক পা করে নীলের কাছে যায়।
নীল তার কোলে একটা বালিস দিয়ে রাইমাকে শুতে ইশারা করে৷
রাইমা শুয়ে পরে।
নীল হাত বুলিয়ে দেয়।
আস্তে আস্তে রাইমা ঘুমিয়ে যায়।
বীল রাইমার থুতনিতে মলমপটি করে দেয়।
মেয়েটা একেবারে বাচ্চা।
এই বাচ্চামিতে হয় তো নীল পাগল।
চলবে,#প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো💖
#পর্ব_১৭(রহস্য সমাধান)
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা

কেটে গেল ৩ দিন এই ৩ দিন পৃথুলা প্রেয়নের সাথে একটা কথাও বলে নি যদি কোন প্রয়োজন হয় তবে চিঠি লিখে সেটা প্রকাশ করে দেয়।
এক দিকে বাবা অসুস্থ, অন্য দিকে বোন, অন্য দিকে প্রেয়ন।
এতো গুলো চাপ পৃথুলার পক্ষে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
প্রচুর কষ্ট হচ্ছে পৃথুলার৷
এক প্রকার ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।
চনচল সভাবের পৃথুলা এক দম চুপচাপ হয়ে গেছে।
আগে থেকে রোগাটে ভাব চলে এসেছে।
চেহারার মাধর্য হারিয়ে গেছে।
পৃথুলা আর আগের মতো হাসে না।
প্রেয়ন এগুলা দেখে প্রতিনিয়ত কষ্টে মরছে কিন্তু করার কিছু নেই।
এটাই নিয়তি।

অন্যদিকে,
রাইমার সভাব ও এক। চুপচাপ হয়ে গেছে।
আগের মতো আর দুষ্টুমি করে না।
না আগের মতো লাফালাফি।
আর না করে আগের মতো পাগলামি।
নীল এগুলা দেখেও না দেখার ভান করে থাকে।
এগুলা তার উপর প্রভাব ফেলে ঠিকি কিন্তু সে এই মুহুর্তে কিছুই করতে পারবে না।



একটি বাংলো বাড়ির ভেতরে একটি টেবিলের এক পাশে বসে আছে প্রেয়ন অন্য পাশে বসে আছে নীল।
চারি দিকে গার্ড।
দুই জনি চুপ আছে।
কিছু সময় চুপচাপ থাকার পর প্রেয়ন বলে উঠলো,
–সো মি.চৌধুরী আপনি বলুন আমার সাথে আপনার শত্রুতা কি? কেন আমার স্ত্রী আর বোনের পিছনে পরে আছেন?
আমার স্ত্রী কে মারার চেষ্টা করে চলেছেন প্রতিনিয়ত।
কেন আমার বোনকে বিয়ে করে মানষিক টর্চার করছেন?
i want answer.
–দিবো সব উত্তর দিবার জন্য ই আপনাকে এখানে ডাকা।
–আমিও শুনবার জন্যই এখানে এসেছি।
–সবি বুঝাবো কিন্তু তার আগে ছোট্ট একটা সর্ত আছে।
–বলুন।
–আপনার সব গার্ড দের বাইরে পাঠান।
–মানে!
–চিন্তা করবেন না আমার গার্ড রাও এখানে থাকবে না।
–ওকে ঠিক আছে।
প্রেয়নের ইসারায় সবাই চলে যায়।
রুমে এখন শুধু নীল আর প্রেয়ন।
–মি.খান বলবো নাকি বড়ো ভাইয়া বলবো।
–আমকে বড়ো ভাই বলার অধিকার আপনার নেই।
–হুম আমি জানি আমার কোন অধিকার নেই এই জন্য তো এতো আয়োজন।
–মানে,
–মানে টা খুবই পরিষ্কার শুরু থেকে বলি,
২০০ একোড় জমি যার মালিক,
নীল চৌধুরী তার থেকে ২০০ কোটি টাকা দিয়ে আমি জমিটা কিনলাম।।
কারন পৃথুলা ভাবি বলি।
ভাবি ই তো পৃথুলা জামান আমার ভাবি এর বাবা আজিজ রায়হান তার জীবনের সমস্ত সম্পদ এই জমিতে থাকা একটা ফ্লাট এর পেছনে ইনভেস্ট করেন।
আমি জানতাম আপনি পৃথুলা আপুকে ভালোবাসেন।
আপু যখন অসহায় হয়ে পরবে তখন আপনি ওনাকে সাহায্য করবেন আর যদি আপনি ওনাকে সাহায্য করেন তবে আমি কনফার্ম আপনি ওনাকে ভালোবাসেন আর আপনি যে দিন ওনাকে সহায্য করবেন তার পরের দিন পৃথুলা আপুর লাশ আপনার বাসার সামনে প্যাকেট করে পাঠিয়ে দিবো।
আমার প্লান যখন এটা তখন আপনি আমার প্লানের উপর পানি দিয়ে ওনাকে বিয়ে করে নিজের কাছে নিয়ে গেলেন।
আমি হেরে গেলাম। ২০০ কোটি টাকার প্রোপার্টি কিনেও আমার প্লান ঠিক হলো না।
তখন আমি খবর নিয়ে বুঝলাম আপনি আপনার স্ত্রী কে ভালোবাসেন না যদিও এখন বুঝি সবটাই আপনার চালাকি কিন্তু তখন ধরতে পারি নি।
তার পর আমি আপনার বোন মানে রাইমা ওর দিকে ফোকাস করলাম আমি ওর পিছে পিছে ওর দিকে লক্ষ রাখলাম।
চাইছিলাম ওকে মারতে ওকে মারলে হয় তো তোমরা কষ্ট পাবে কিন্তু নিজের অজান্তে আমি ওকে ভালোবসে ফেলি।
ব্যাস এটুকুই আমার সব প্লান ই ফ্লপ হয়ে যায়।
এতো সময় দুহাত ভাজ করে সব গুলো কথা শুনছিলো প্রেয়ন৷
নীলের কথা শেষ হতে সে বললো,
–তারপর এগুলা তুমি কেন করেছো সেটার কি কোন উত্তর আছে।
–অবশ্যই আছে।
তোমরা আমাকে একা ছেড়ে দিয়েছিলে।
তোমার মা বাবা তো আমাও মা বাবা কথাটা কি ভুল?
–না এক দম ঠিক তুমি আমার ছোট ভাই তুমি নীল চৌধুরী না নীল খান।
–হ্যাঁ এই পরিচয় টা আমার থেকে তোমরা কেঁড়ে নিয়েছো আমি কি করে তোমাদের ছেড়ে দিবো৷।
–নীল তোমায় কতো বার বলেছিলাম তোমার থেকে কেউ কিছু কাড়ে নি তুমি হারিয়ে গেছিলে। যখন মা তোমায় খুঁজে পায় মানে ২ বছর আগে তুমি নীল। তোমায় বাসায় আনতে চেয়েছিলো কিন্তু তুমি আসো নি নীল এতে কেনো আমাদের দোষ দেও।
আর তুমি অন্যায় এর সব সীমা অতিক্রম করেছো।
–হা হা আমি কোন সীমা অতিক্রম করি নি ভাই জান আপনারা আমাকে বাদ্ধ করেছেন।
–এটা তোমার ভুল ধারনা৷
–আমার কখনো ভুল ধারনা হয় না।
–তাহলে কি তুমি আজো মানবে না।
আমরা চাইলে এক সাথে থাকতে পারি পরিবার হয়ে।
–আমি চাই না।
–তবে আমার বোনকে ছেড়ে দেও (রেগে)
–কখনো না আমি আমার জীবন কে আপনাকে দিয়ে দিতে পারি না।
–কি চাইছো তুমি নীল কি করলে মুক্তি দিবে শুধু মাত্র তুমি আমার ভাই তাই আজো বেঁচে আছো এই কথা গুলো বলার জন্য।
এমন কিছু করো না আমি যাতে ভুলে যায় তুমি আমার ভাই।
আর একটা কথা
রাইমাকে আমি ফিরিয়ে আনবো সেটা খুব জলদি।
কথাটা বলেই প্রেয়ন চলে এলো।

–সত্যি যদি ভাই মানতে তবে এমন হতো না। আর রাইমাকে আমি কখনোই আমার থেকে আলাদা করবো না।



প্রেয়ন ড্রাইভ করে বাসায় পৌঁছে পৃথুলাকে খুঁজতে থাকে।
রুমে না পেয়ে সারা বাড়ি খুঁজে কোথাও নেই।
তার পর ছাদে গিয়ে দেখে।
হালকা গোলাপি রঙের শাড়ি পরা চুল গুলো ছেড়ে একটি মিষ্টি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
সূর্যের তেজ কমে গেছে চারিদিকে লাল আভা।
এ যেন এক অপরুপ সুন্দরী।
প্রেয়ন কোন কথা না বলেই পৃথুলাকে হটাৎ পাজকোলে করে নেয়।
–আরে কি করছেন সমস্যা কি?
–কিছু না সমস্যা চল আমার সাথে।
চলবে,#প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো💖
#পর্ব_১৮(কিছু হাসিখুশি মুহূর্ত-০১)
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
–আজব মানুষ কথা নেই বার্তা নেই এমন ব্যাবহার কেন করছেন?কি হইছে টা কি?
প্রেয়ন আমার কথা শুনেও না শোনার ভান করে আমাকে টানতে টানতে নিয়ে ঘরের মধ্যে ফেললো,
তাল সামলাতে না পেরে সোজা গিয়ে বিছানায় পরলাম।
নিজেকে সামলে উঠতে গেলে উনি এসে আমাকে চেপে ধরে।
–কি সমস্যা (রেগে)
–তুই না আমার বৌ
–জি না আমি আপনার কেউ না আমাকে ছাড়ুন।
–না ছাড়বো না।
–রাগ হচ্ছে এবার৷
–রাগ কেন হবে অন্য কেউ না তোর বর তোর কাছে আসছে।
–আপনি আমার কেউ হন না ছাড়ুন।
–সমস্যা কি তোর?
–আপনি কি ছাড়বেন?
–না।
–সমস্যা আপনার কি আমি চাই না আপনার সাথে কোন মায়ায় জড়াতে ১ মাস পর তো সেই একটা খড়কুটোর মতো ফেলে দিবেন।
–পৃথু আমি আজ তোকে সত্যি বলবো।
–কি সত্যি,
–আমার না খুব মাথা ব্যাথা হচ্ছে তোর মিষ্টি ঘ্রাণে আমি মাথা ব্যাথা ভুলে যাবো আর আমার ঘুম আসবে।
–পাগল নাকি।
–হ্যাঁ ঘুমো।
প্রেয়ন আমাকে শক্ত করে ধরে ঘুমিয়ে গেল।
কি মুসকিল এই মানুষ টা আসলে চাই টা কি।



–পড়তে বসো নি রাইমা।
ছোফায় কম্বল গায়ে জড়িয়ে বসে ছিলো রাইমা নীলের কথা শুনে সে তার দিকে এক পলক তাকিয়ে উঠে চলে আসে পড়ার টেবিলে।
–আমি কি এতেটাই খারাপ যে হু তেও কোন কথার উত্তর দেওয়া যায় না।
–…….(নিশ্চুপ)
–থাক কথা বলতে ইচ্ছে না হলে বলো না কোন ফোর্স নেই কিন্তু সত্যি তোমায় অনেক ভালোবাসি।
–পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে ভালোবাসার অত্যাচার তার মধ্যে সব থেকে ভয়াবহ।
এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না।
——–হুমায়ুন আহম্মেদ
রাইমার কথা শুনে নীল একটা মুচকি হাসি দিয়ে কাপড় নিয়ে বাথরুমে চলে যায়।
–হাসলো কেন হাসির কথা বললাম নাকি।। আমি কি ভুল পড়লাম।
রাইমা ভালো করে দেখলো।
–না তো ভুল তো না সমস্যা কি এই এলিয়েনের আমি পাগল হয়ে যাবো।
–না পাগল হলে মানুষ বলবে নীলের বৌ পাগল।
–(ওরে রাইমা বুঝে শুনে কথা বলবি তো এই ছেলে সব শুনেছে মনে মনে)
–একটা স্পেশাল গিফট আছে আমার বৌ এর জন্য।
সে যদি নিতে চাই তবে আমার কাছে আসতে পারে।
–কোন কিছুর দরকার নেই আমার। (হুহ)
–জাহ বাবা আমার বৌ যে চকলেট কে না করে দেয় এ তো জানতাম না।
–( ও আল্লাহ চকলেট না তো কি হইছে আমি কি চকলেট খোর নাকি হুহ)
–ইস রে এতো বড়ো বড়ো ৪ টা চকলেট এগুলা কে খাবে যাই দেখি বাইরে কেউকে পাই নাকি।
বৌ তো রেগে আছে।
–না কোন দরকার নেই দিন আমাকে।
রাইমা উঠে নীলের কাছে যায়।
–দিবো বলছো।
–হ্যাঁ।
–কিন্তু এভবে তো হবে না।
–মানে।
–মানে হলো।
নীল রাইমার হাত ধরে নিজের কোলে বসায়।
–কিছু নিতে গেলে কিছু দিতে হয়।
–আমার কাছে টাকা নেই থাকলে কিনে নিতাম।
–তেমার কি মনে হয় আমি টাকা চাইছি।
–তো কি চাইছেন?
–উফ তুমি সত্যি পাগল।
–ওহ আমি পাগল!
–হুম আমি চাইছি একটু কিস।
বলেই রাইমার গালে একটা ভালোবাসা একে দেয় নীল।
রাইমার ফর্সা মুখ লাল হয়ে গেছে।
নীল চকলেট গুলো হাতে দিতে রাইমা উঠে দৌড়ে।
— হা হা সত্যি পাগলি একটা।



–প্রেয়ন আপনি কি আমাকে ছাড়বেন।
–না ছাড়তে ধরছি নাকি।
–থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিবো সব গুলো।
–কি বললি।
–বললাম থাপ্পড় দিয়ে দাঁত সব গুলো ফেলে দিবো।
–পৃথু তোর মাথা ঠিক আছে।
–কেন ঠিক থাকবে না কেন?
–তুই আমাকে থাপ্পড় দিতে চাইলি পৃথু।
–হ্যাঁ চাইলাম তো।
–তুই কি ভাবে পারলি।
–ও মা যেভাবে বলে সে ভাবে পারলাম।
–পৃথু আজকে তোকে ছাড়তাম না।
–আজান দিছে আরো ১০ মিনিট আগে আমার নামাজ কাজা গেলে পাপ আপনার হবে দেখবেন।
–এভাবেও তো বলা যায় ওগো শোনো আজান দিছে এখন যাই ছাড়ো।
–বাবা রে বাবা আমি বলবো এভাবে?
–হুম তুই বলবি মিষ্টি করে।
–ছাড়বেন?
–নে ছাড়ছি খালি ছাড়বেন ছাড়বেন করে।
–গুড আজ আমি মায়ের কাছে ঘুমবো হুহ।
কথাটা বলেই চলে এলাম।
পাশের রুমে নামাজ পরে সোজা মায়ের কাছে চলে এলাম।
–মা কি করছো।
–পৃথুলা কিছু না রে মা এই একটু বই দেখছিলাম।
–ওহ।
–মা বাবা তো আজ আসবেন না তাই না।
–হুম।
–তো আমি তেমার সাথে থাকি।
— সে থাকতে পারিস সমস্যা নেই কিন্তু হটাৎ আমার সাথে?
–কেনো থাকতে ইচ্ছে হয় না বুঝি আগে তোমার কাছেই থাকতাম।
–হ্যাঁ তা হয় ঠিক আছে থাকিস আমার কাছে।
–আচ্ছা।
–রাতে রান্না ওরা করে দিয়েছে তোর কষ্ট করা লাগবে না একটু পর খেয়ে নিবো ঠিক আছে।
–আচ্ছা।
আমি বাইরে চলে এলাম। নিচের উদ্দেশ্যে হাঁটছি হটাৎ পেছন থেকে টান অনুভব করলাম।
–আরে সমস্যা কি।
–তুই মাকে কেন বললি তুই মায়ের সাথে থাকবি।
–আল্লাহ থাকবো তা বলবো না।
–আজ রাতে তুই মায়ের সাথে থাকলে তের ঘুম হারাম করে দিবো কিন্তু।
–দিয়েন যা ইচ্ছে করেন আজ আপনার সাথে আমি থাকবো না।
–তুই চ্যালেঞ্জ করছিস।
–হুম।
–ওকে দেখা যাক কি হয়।
–ওকে টু (হুহ)
চলবে,
(কাল কি হবে? এনি আইডা রিডার্স?😉)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here