ফিলোফোবিয়া পর্ব -০৫

ফিলোফোবিয়া

ঊর্মি প্রেমা (সাজিয়ানা মুনির)

৫.

( কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ)

পরদিন বিকালে ঠিক চারটায় শতাব্দ এলো। প্রিয় তখন বারান্ধার দোলনায় ঝুলছিল। শতাব্দকে দেখেই চোখমুখ কুঁচকে নিলো। পড়বেনা পড়বেনা বলেও, খালার ধমকে পড়ার টেবিলে বসতে হলো। ব্যাগ খুলে গণিত বই বের করে টেবিলে রাখল। খাতা কলমটাও কপাল কুঁচকে এগিয়ে দিলো। বইয়ের প্রথম অধ্যায় বাস্তব সংখ্যা থেকে শতাব্দ পড়ানো শুরু করল। ঘাড় নিচু করে বসে আছে প্রিয়। দৃষ্টি বইয়ের পাতায় থাকলেও মনযোগ অন্য কোথাও। কেন জানি শতাব্দের আশেপাশে থাকলে অদ্ভুত অস্বস্তি হয় তার। চাইলেও স্বাভাবিক থাকতে পারেনা। হয়তো প্রথম পরিচয়টা ভীষণ বিব্রতকর ছিল বলেই। প্রথম পরিচয়ের কথা ভাবতেই, দুই- আড়াই বছর আগের কথা মনে পড়ল।
তখন সবে ক্লাস সিক্সে পড়ে প্রিয়। সেইবার গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে বোনদের সাথে ইমান্দিপুর এসেছিল। পাশের গ্রামে তখন বিরাট মেলা চলছিল। মেলায় যাওয়ার বায়না ধরলে, খালা সাফ মানা করল। কিন্তু বড় আপা কি তা শুনলো ? নিষি*দ্ধ জিনিসের প্রতি বরাবরই ঝোঁক ছিল তার। ছোট থেকেই ভীষণ দুরন্ত। ‘সেদিনই মেলায় যাবে’ মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করলো। এখানে আসার পর দাস পাড়ার সিমা’র সাথে বড় আপার বেশ ভালো সখ্যতা হয়েছিল। খালাকে মোরে ফুচকা খাওয়া কথা বলে প্রিয় প্রভা নিয়ে সিমার সাথে পাশের গ্রামে মেলা দেখতে চলে গেল। শহুরে পরিবেশ থেকে একদম ভিন্ন গ্রাম্য মেলা দেখে তিনবোন বেশ উপভোগ করছিল। কিন্তু হ্ঠাৎ অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা ঘটলো। লোকের ধাক্কাধাক্কিতে আচমকা প্রিয়’র হাত ছুটে গেল। চারদিকে অন্ধকার নামতে শুরু হয়েছে তখন। এত লোকের ভীড়ে প্রিয় ভীষণ ঘাবড়ে গেল। একটি পিঠার দোকানের পাশে যেয়ে চুপচাপ দাঁড়ালো। দোকানী অর্ধবয়স্ক লোক। প্রিয়কে ভিতরে এসে বসতে বলল। ভালো মানুষ ভেবে, সামনে বিছিয়ে রাখা বেঞ্চে গিয়ে বসলো প্রিয়। তার পরই মুখোশের আড়ালে লোকটার কুৎসিত চেহারা বেরিয়ে এলো। প্রিয়’র নাম ঠিকানা জানার বাহানায় গায়ে হাত বোলাতে লাগল। বাড়ি ফেরার চিন্তায় অসচেতন লাপাত্তা প্রিয়’র সেই খেয়াল কি ছিল! এমন সময়ই কেউ এসে লোকটার কলার পেঁচিয়ে ধরল। গলা চেপে চেঁচিয়ে বলল,
‘ বুড়া বয়সে লুইচ্*চামি করছ? বাচ্চা মাইয়া পাইয়া যা ইচ্ছা তাই..কু*ত্তার বাচ্চা।’
বলেই লোকটার ঘাড় চেপে ধরল। লোকটা কাচুমাচু ভ*য়ার্ত মুখ করে বলল,
‘ আমার কোন দোষ নাই। মাইয়াটা হারাইয়া গেছে। তাই…’
‘ তাই সুযোগ নিচ্ছিলি? তোর বিচার চেয়ারম্যান বাড়িতে হইবো।’
ছেলেটা চেয়ারম্যানের লোক বুঝতে বাকি রইল না প্রিয়’র। সাথে দলবল দেখে আরো ভালো মত নিশ্চিত হলো। ছেলেগুলো দোকানীকে টেনে হিঁ*চড়ে দোকান থেকে নামালো। লোকটা ভ*য়ে কাঁদোকাদো হয়ে বলল,
‘ আমার ভুল হইছে ক্ষমা কইরা দেও বাজান।’
দোকানীর আকুতি দেখে ভীষণ মায়া হলো প্রিয়’র। প্রতিবাদে চেঁচিয়েই বলল,
‘ উনাকে টানছেন কেন আপনারা? ছাড়েন।’
প্রিয় কথায় ছেলেটার যেন আরো রাগ হলো। প্রিয় আগের মত গলা উঁচিয়েই বলল,
‘ ছাড়েন উনাকে। ছা…।
আর কিছু বলার আগেই চড়া গলায় ধমক দিলো ছেলেটা । প্রিয়কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে হাত চেপে সামনে হাঁটতে লাগল। শতাব্দের বড় বড় পায়ের সাথে মিলিয়ে হাঁটতে পারছেনা প্রিয়। দৌড়ে দৌড়ে আসছে কোন রকম। শক্ত করে ধরায় হাতে নখ ডেবে যাচ্ছে। ব্যথায় কুঁ*কড়ে উঠল প্রিয়। হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে চেঁচিয়ে বলল,
‘ আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? হাত ছাড়ুন। ছাড়ছেন না কেন! আপনি ছেলেধরা! আমি আমার আপার কাছে যাবো। ছাড়েন আমাকে নয়তো মানুষ ডাকবো।’
প্রিয়’র অনবরত বকবকানিতে বিরক্ত হলো ছেলেটা। থেমে গেল। রেগে পিছন ফিরে জোরে চিৎকার করে বলল,
‘ আর একটা কথা বললে সত্যি সত্যি মে*রে নদীতে ফেলে দিবো।’
ছেলেটার রাম ধমকে প্রিয় চুপ করলেও। থামলো না চোখের জল। মেলার গেটের সামনে বড় আপাকে দেখে সাহস পেল। ঝারি দিয়ে হাত ছাড়িয়ে ছুটে গেল। আপাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল প্রিয়। কিছু বললো না। বাড়ি পৌঁছানো অবধি সারা রাস্তা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদল।
বাড়ি ফিরে খালার ভয়*ঙ্কর বকুনি শুনলো। সেই সাথে এটাও জানলো তাদের খুঁজে আনতে খালাই ছেলেটাকে পাঠিয়েছিল। ছেলেটার নাম শতাব্দ।
সেই রাতে প্রিয়’র প্রচন্ড জ্বর হলো। কোনভাবেই এক’শ দুই’র নিচে নামছিল না। পুরো তিন দিন টানা জ্বর ছিল। চারদিনের দিন জ্বর একটু কমতে গাড়ি ভাড়া করে খালা তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দিলো। এরপর কোনদিন আর ইমান্দিপুরে আসেনি। সেদিন দোকানী নোংরা ভাবে গাঁয়ে ছোঁয়ার ব্যপারটা ধরতে না পারলেও, পরে প্রিয় ঠিক বুঝেছিল। শতাব্দের রেগে যাওয়ার কারণটাও ধরতে পেরেছিল। কিন্তু প্রথম দেখাতেই তার উপর ওইদিন ওইভাবে ক্ষেপে যাওয়া, অধিকার খাটিয়ে ধমকানোর ব্যাপারটা আজো মাথায় ডুকেনি প্রিয়’র।
শতাব্দের ডাকে ছিটকে উঠল প্রিয়। শতাব্দ কড়া গলায় জিজ্ঞেস করল,
‘ আর ইউ অলরাইট?’
কানের পিছনে চুল গুছাতে গুছাতে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ল প্রিয়।
‘ এতক্ষণ ধরে ডাকছি উত্তর দিচ্ছো না কেন!’
‘জি?’
‘ বুঝেছ?’
শতাব্দের দিক থম মেরে চেয়ে রইল প্রিয়।অঙ্ক কি বুঝবে তার ধ্যান তো অন্যকোথাও ছিল। আবার জিজ্ঞেস করল শতাব্দ,
‘ বুঝেছ?’
প্রিয় চুপ। মলিন মুখ।ফোঁস করে বিরক্তির শ্বাস ফেলে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসল শতাব্দ। কপালে আঙ্গুল বুলাতে বুলাতে জিজ্ঞেস করল,
‘ অন্যসবার সামনে ননস্টপ বকবক করো। আমি কিছু জিজ্ঞেস করলে মুখে কুলুপ এঁটো। কেন? আমার সামনে কথা বলতে সমস্যাটা কোথায়?’
‘ আমার আপনাকে পছন্দ না।’
আচমকা বলে উঠল প্রিয়। যেন উত্তরটা আগে থেকেই তার তৈরি ছিল। পিনপতন নীরব পরিবেশ। সরু দৃষ্টিতে গম্ভীর হয়ে দেখছে শতাব্দ। হাতের তালুতে নখ দিয়ে খুঁ*টাখুঁটি করছে প্রিয়। দেখতে শান্ত দেখালেও মেয়েটা ভিতর থেকে বড্ড অশান্ত। একবারের জন্যও শতাব্দের দিক তাকাচ্ছেনা। ঝুঁকে থাকা আঁখিপল্লব অস্থির হয়ে অনবরত বিচরণ করছে এদিক সেদিক। কাঠের চেয়ারটা আরেকটু সামনে টেনে আনলো শতাব্দ। প্রিয়’র মুখোমুখি বসলো। গম্ভীর চোখমুখ। রাশভারি আওয়াজ করে বলল,
‘ আমার দিকে তাকাও প্রিয়।’
চোখ তুলে একবার তাকালো প্রিয়। অদ্ভুত অনুভূতিতে মোচড় দিলো বুক। নিশ্বাসের গতি বাড়ল। ভয়ে ছোট ঢোক গিলে, সাথে সাথে দৃষ্টি নামিয়ে নিলো প্রিয়।
আগের মতই গম্ভির শতাব্দ। মিনিট দু’এক চুপ থেকে বলল,
‘লিসেন, প্রিয়! আমাকে তোমার পছন্দ হওয়া না হওয়া ডাজেন্ট ম্যাটার। ম্যাটার ইজ আমাকে সহ্য করতে হবে তোমার। তুমি করতে বাধ্য!’
‘ আপনার কাছে পড়বোনা আমি।’
নিচের দিক তাকিয়েই প্রিয় মিনমিনিয়ে বলল। ঠোঁট বাকিয়ে তীর্যক হাসলো শতাব্দ। গম্ভীর কন্ঠে আওড়াল,
‘ তোমার কথায় আমি আসিনি।’
‘ অস্বস্তি হয় আমার’
‘ হোক। এই অস্বস্তিকে আজীবন বইতে হবে তোমার।’
‘ মানে? আজীবন..
কথা কা*টল শতাব্দ। শক্ত গলায় বলল,
‘ বইয়ে মনযোগী হও।’
প্রিয় চোখমুখ কুঁচকে নিলো। ফিসফিস করে কিছু একটা বলতে বলতে বইয়ের পাতা উল্টালো।

প্রিয়’র পরিক্ষা চলছে আজ দুইদিন। হল থেকে বেরিয়ে মাঠের দিক তাকালো। বড় বটগাছটার ছায়া তলে জুবাইদাকে বসে থাকতে দেখল। আগে শুধু তানহার সাথে বন্ধুত্ব থাকলেও এখন জুবাইদার সাথেও বেশ ভালো সখ্যতা হয়েছে প্রিয়’র। জুবাইদাকে ক্লাসে দেখলেও কখনোও কথা হয়নি তাদের। হ্ঠাৎ একদিন জুবাইদা তার পাশে এসে বসলো। নিজে থেকে প্রিয়’র সাথে কথা বলতে লাগলো । সেই থেকে আস্তে আস্তে তাদের বন্ধুত্বটাও হয়ে গেল। পাশাপাশি বাসা হওয়ায় এখন রোজ এক সাথে রিকশায় করে স্কুলে আসাযাওয়া করে দুজন।
ক্লান্ত ভঙ্গিতে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে বটগাছ তলায় গিয়ে বসল প্রিয়। এদিক সেদিক তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,
‘ তানহা কোথায়?’
‘ ভাইকে দেখে, বানরের মত নাচতে নাচতে তার পিছনে গেছে।’
হাসতে হাসতে উত্তর দিলো জুবাইদা।তারপর আবার প্রশ্ন ছুঁড়ল,
‘ পরিক্ষা কেমন হলো?’
‘ ভালো, তোর?’
‘ খুব ভালো। শুননা প্রিয় তোর সাথে কথা ছিল।’
‘ শুনছি বল।’
‘ গ্রীষ্মের ছুটিতে আমাদের বাগান বাড়িতে পিকনিকের আয়োজন করবে। সবাই যাবে। তুইও চল আমাদের সাথে।’
‘ এই কাঠফাটা গরমে পিকনিক! ফ্রাই হয়ে যাবো ভাই। আর তাছাড়া তোদের ফ্যামিলি পিকনিকে আমি গিয়ে কি করবো।’
‘সবসময় শীতেকালেই হয়। কিন্তু এই ডিসেম্বরে চাচার নির্বাচন। ব্যস্ত থাকবে সবাই। তাই গ্রীষ্মের ছুটিতে করবে এবার। ঢাকা থেকে ফুপুরাও আসবে। বড়রা কেউ যাবেনা। আমরা চাচাতো ফুফাতো ভাইবোনেরা শুধু। বাস ভাড়া করা হয়েছে।’
প্রিয়’র চোখ কপালে। অবাক ভীষণ। আশ্চর্য কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
‘ বাস! তোরা চাচাতো ফুফাতো এতজন ভাইবোন?’
জুবাইদা হাতে গুনে উত্তর দিলো,
‘ চার চাচার নয় ছেলে মেয়ে। ছয় ভাই তিন বোন আমরা। তিন ফুফু’র নয় ছেলে মেয়ে। মোট আঠারো জন। বেশ বড় পরিবার আমাদের।’
জুবাইদার কথায় গোল গোল চোখ করে হতভম্ব চেয়ে রইল প্রিয়। বিস্মিত স্বরে বলল,
‘ আঠারো জন?’
প্রিয়’র বিস্মিত মুখখানা উপেক্ষা করে। প্রিয়’র হাত টেনে জুবাইদা আবদার করল আবার,
‘ চল না। টুরিস্ট বাস নিয়েছে। এসিও আছে। গরম লাগবেনা। চল না প্রিয়।’
জুবাইদার বাচ্চামো ভারী আহ্লাদী মুখ দেখে। প্রিয়’র মন একটু নরম হলো। কিছু একটা ভেবে জিজ্ঞেস করল,
‘ তোর শতাব্দ ভাইও কি যাবে?’
‘ হ্যাঁ। ভাইয়াই তো সব আয়োজন করছে।’
জুবাইদা সরল মনে উত্তর দিলো। প্রিয় শ্বাস টেনে বলল,
‘ যা’ও যাওয়ার কথা ভাবতাম। এখন তো যাবোই না!’
‘ কেন প্রিয়! আমার ভাইদের সাথে তোর সমস্যাটা কোথায়? চল না। তোর জায়গায় তানহা হলে কোনদিনও না করত না। ঠিক যেত।’
‘ তাহলে তানহাকে নিয়েই যা।’
‘পাগল হয়েছিস? এই ট্রিপের কথা ওকে একদম জানানো যাবেনা। ভাইয়ার নিষেধ। জানালে ঠ্যাং ভাঙ্গবে আমার।’
‘ কেন? সে না খুব ভালোবাসে তানহাকে। সাথে নিয়ে যেতে সমস্যা কোথায়।’
‘ ভালোবাসে ঠিক আছে। কিন্তু সেখানে আমাদের ফুফাতো ভাই বোনেরাও থাকবে। কিছু আঁচ পেলে বাড়িতে এসে আগুন লাগাবে।’
‘ যদি পরিবারের সামনে ভালোবাসার মানুষকে নাই আনতে পারে তাহলে প্রেম করছে কেন?’
‘ সময় আসলে ঠিক আনবে। এখন ছোট না?’
‘ কে ছোট? তোর ভাই?’
জুবাইদা বিরক্তির কন্ঠে বলল,
‘ হ্যাঁ’
ফিক করে হেসে উঠল প্রিয়
‘ এই দামড়া ছেলে ছোট?’
বলেই আবার হাসতে লাগল। প্রিয়কে তার ভাইকে নিয়ে উপহাস করতে দেখে সামান্য রেগে গেল জুবাইদা।বিরক্তি মুখ করে বলল,
‘ গরুর মত হাসবি না প্রিয়।দাঁত দেখানো বন্ধ কর। দেরি হচ্ছে বাড়ি যাবি না?’
জুবাইদার কথায় ধ্যান ফিরল প্রিয়’র। হাত ঘড়ির দিক তাকালো। দুইটা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি। সত্যি অনেক দেরি হয়ে গেছে। এত সময় চলে গেল কখন! চারটায় পড়াতে আসবে শতাব্দ। ঝটপট স্কুল থেকে বেরিয়ে রিকশা খুঁজে বাড়ির দিক রওনা হলো দুজন। বাড়ির সামনে এসে, প্রিয় হাত ধরে জুবাইদা কাঁদোকাঁদো আহ্লাদী মুখ করে আবারো বলল,
‘ চল না। ফুফাতো বোনদের সাথে জমে না আমার। তুই গেলে খুব ভালো হয় প্রিয়। প্রিয়… প্রিয়’রে…’
প্রিয় বিরক্তি কন্ঠে বলল,
‘ ডং করে লাভ হবে না জুবু। গোলছিনা আমি। তোর ফ্যামিলি পিকনিক তুই যা।’

চলবে……

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সবার মতামত জানাবেন। পেজের রিচ ডাউন গল্প পৌঁছালে পরবর্তী পর্বের জন্য রেসপন্স করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here