ফিলোফোবিয়া পর্ব -০৪

ফিলোফোবিয়া

ঊর্মি প্রেমা ( সাজিয়ানা মুনির)

৪.

অল্প কিছুদিনে তানহার সাথে প্রিয়’র বেশ ভাব হয়েছে। সম্পর্কটা তুমি থেকে তুই’য়ে এসে ঠেকেছে। এখানে আসার পর এখন তানহাই তার এক মাত্র বন্ধু। প্রায়ই প্রিয়দের বাসায় আসাযাওয়া হয় তানহার। খালাও তাকে পছন্দ করে বেশ। আজও এসেছে। ছাদে রেলিং-এ হেলান দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে তানহা। হাতে ধোঁয়া উঠা গরম চা। চেয়ারম্যান বাড়ির দিকে আঙ্গুল তাক করে, কিছুটা আওয়াজ করে বলল,
‘ প্রিয়! ওই দেখ আমার শ্বশুরবাড়ি।’
তানহার কথায় কান দিলোনা প্রিয়। গরম পিঁয়াজু মুখে পুড়তে ব্যস্ত সে, হাতে থাকা উপন্যাসের বইয়ে দৃষ্টি তার। কিছুটা খাপছাড়া হয়েই বলল,
‘ রোজ দেখছি। এতে নতুন কি?’
‘ উফ। দেখনা একবার’
ধপ করে উপন্যাসের বইটা বন্ধ করল প্রিয়। তানহার দিক ফিরে তাকালো।বলল,
‘ কি দেখবো? এই নিয়ে তুই আমাদের বাড়ি বারোবার এসেছিস। প্রত্যেকবার এই একই কথা বলেছিস।’
তানহা কিঞ্চিত ভ্রু কুঁচকালো। মুখ বাঁকিয়ে বলল,
‘ গুনেও রেখেছিস? তুই নিরামিষ! এসবের কি বুঝবি?’
বলেই রেলিং-এর দিক আরো ঝুঁকে পড়ল। প্রিয় আড়চোখে চেয়ারম্যান বাড়ির ছাদে একবার তাকাল। আড্ডা চলছে সেখানে। আসরের মধ্যমণি যে শতাব্দ তা দূর থেকে বুঝাতে অসুবিধা হচ্ছেনা কোন। হ্ঠাৎ তানহা উত্তেজিত হয়ে উঠল, আবদার করে বলল,
‘ওরা ওই ছাদে কত মজা করছে। চল যাই?’
প্রিয় হকচকিয়ে উঠল,
‘ পাগল হয়েছিস তুই? খালা জানলে ঠ্যাং ভা*ঙ্গবে।’
‘ ভা*ঙ্গবে না চল।’
‘ এতগুলো ছেলের মাঝে দুই মেয়েজন যেয়ে কি করবো। লোকে খারাপ ভাববে। তাছাড়া সেখানকার কাউকে আমি চিনিনা।’
‘ তুই চিনিস না তো কি হয়েছে, আমিতো চিনি। সে ওই খানে আছে ,ঠিক ম্যানেজ করে নিবে।’
‘ তুই যে ওই শুধু লোকটাকেই দেখতে আমাদের বাড়িতে আসিস তা আমি বেশ জানি। তুই যা, যাবোনা আমি।’
প্রিয় সামান্য রেগে বলল। তানহা চুরি ধরা পড়ার মত করে হেসে ফেলল। চোখেমুখে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসের রেখা টেনে সিরিয়াস ভাব নিয়ে বলল,
‘ না তো। আমি শুধু তোর সাথে আড্ডা দিতে আসি।’
‘ হ্যাঁ তুমি কেন আসো তা ভালো করেই জানি। বুঝিনা এই ছেলেটার মধ্যে কি এমন আছে! যার জন্য তুই জান জীবন দিয়ে পাগল। তুই এসেছিস এতক্ষণ হলো, কই লোকটা তোর দিক একবার তাকালোও না তো!’
প্রিয়’র কথায় তানহা বিরক্ত হলো। কন্ঠে বিরক্তি এঁটে বলল,
‘ বারবার লোক বলবি না তো। তার বয়স কি অত? তোর তাকে পছন্দ না মানলাম! তাই বলে মিথ্যা বলবি প্রিয়? এই নিয়ে কতবার তাকালো। দেখিসনি? শুধু শুধু কি ওকে এত ভালোবাসি? কি সুন্দর ইংরেজ নায়কদের মত চেহারা! দেখ!’
তানহার কথায় শতাব্দের দিক একবার তাকাল প্রিয়। ফর্সা লম্বা, ভালো চেহারার আর পাঁচজন ছেলের মতই সুদর্শন। হয়তো আর পাঁচজন থেকে একটু বেশিই সুদর্শন। কিন্তু আকর্ষণীয় দেখছে না কিছু।
‘ ঠিকঠাক। তবে জান জীবন দিয়ে দেওয়ার মত আহামরি তেমন কিছুও না’
প্রিয়’র কথায়, তানহা উত্তর দিলো,
‘ আমার চোখ দিয়ে দেখ।’
‘ কেন, তোর চোখে কি বিশেষ কোন চশমা লাগানো? আমার চোখ নেই?’
‘ চোখ আছে সেই চোখে প্রেম নেই!’
কিছুক্ষণ থম মেরে রইল। তারপর ঝটপট করে উত্তর দিলো প্রিয় ,
‘ বাজে কথা বন্ধ কর।’

সময় বহমান। দেখতে দেখতে অর্ধবার্ষিকী চলে এলো। প্রিয়’র টিউটোরিয়াল পরিক্ষার রেজাল্ট বড্ড খারাপ। গণিতে মাত্র তিন নাম্বার, অন্য বিষয় গুলোতে টেনেটুনে কোনোরকমে পাশ। এর মাঝে হুট করে অর্ধবার্ষিকীর রুটিন পেয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে গেল। আয়েশা বেগম স্কুলের আশেপাশে কোচিং গুলোতে খোঁজ নিলো। সবগুলো ব্যাচ ফুল। পরিক্ষার দু সাপ্তাহ আগে নতুন ছাত্র ঢোকাবে না কেউ। আয়েশা বেগমের সাহিত্যের নিয়ে পড়াশোনা। কলেজে বাংলার শিক্ষিকা। গণিতে খুব একটা পারদর্শী নন। প্রিয় অর্ধবার্ষিকীতে ফেল করলে, কোথাও মুখ রইবে না তার। লোকে হাসাহাসি করবে। বলবে খালা কলেজের শিক্ষিকা আর ভাগ্নী কি না গণিতে ফেল! চিন্তায় দিশেহারা সারা বিকাল কাটালো। সন্ধ্যায় কলিং বেল বাজলো। প্রিয় দরজা খুলে শতাব্দকে দেখল। অবাক হলো কিছুটা। শতাব্দ সচারাচর সন্ধ্যায় আসেনা। তবে আজ? পেছন থেকে খালার চড়া আওয়াজ কানে এলো,
‘ শতাব্দ এসেছে প্রিয়?’
কপাল কুঁচকে শতাব্দের দিক তাকাল। খালার মত করে গলা উঁচিয়ে উত্তর দিলো’ হ্যাঁ এসেছে’।
দরজা থেকে সরে দাঁড়াল প্রিয়। শতাব্দ ভেতরে ঢুকতেই দরজা লাগিয়ে খালার পাশে সোফায় গিয়ে বসলো। খালা শতাব্দকে দেখে হাসি মুখ করে বলল,
‘ বিকালে ফোন করেছিলাম।’
‘ বাহিরে ছিলাম দেখিনি। কোন দরকার ছিল?’
‘ হ্যাঁ, বলছি। তার আগে চা করে আনি?’
‘ মাত্রই খেয়ে এসেছি’
‘ আরেক এক কাপ খেলে কিছু হবেনা।’
খালা চা করতে চলে গেল। প্রিয় মুখ কালো করে বসে রইল। এই লোকটার প্রতি খালার এত আদিখ্যেতা কেন? বাসায় আসলেই খালার চা করতে হবে! না করছে তবুও করতেই হবে। অ*সহ্য। মুখ বাঁকিয়ে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে প্রিয়। এর মাঝেই খালা চা বিস্কিটের ট্রে নিয়ে ফিরে এলো। টেবিলে রাখতেই ঝটপট হাতে প্রিয় দুইখানা বিস্কিট তুলে নিলো। খালা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাতেই প্রিয় মিনমিন করে বলল,
‘ এভাবে দেখছো কেন! দুইটা বিস্কুট-ই তো ।’
আয়েশা বেগম তপ্ত নিশ্বাস ফেলল। কতবার বলেছে বাড়িতে মেহমান আসলে যেন এমন ছোঁচামো স্বভাব না করে। কিন্তু কে শুনে কার কথা? কত বুঝায়! যদি একটা কথা শুনতো। মাঝেমধ্যে মনে হয় মেয়েটা তাকে রাগানোর জন্য এসব ইচ্ছাকরে করে। সরু দৃষ্টিতে প্রিয়কে দেখছে শতাব্দ। চোখে সরলতা। শুধু তার জন্যই কেন জানো তিক্ত গম্ভীরতা! মেয়েটা সত্যিই ভীষণ অদ্ভুত। একদম অন্যরকম একজন।
প্রিয়কে এড়িয়ে খালা শতাব্দকে বলল,
‘ চা ঠান্ডা হচ্ছে শতাব্দ।’
দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলো শতাব্দ। চা তুলে কাপে চুমুক দিয়ে বলল,
‘ আপনি কিছু বলছিলেন।’
আয়েশা বেগম কাচুমাচু হয়ে বলল,
‘ তোমার কাছে একটা আবদার আছে। আবদারটা রাখতে হবে বাবা।’
বলেই আড়চোখে প্রিয়’র দিক তাকাল। মনযোগ দিয়ে প্রিয় তখনো বিস্কুট খেতে ব্যস্ত। বাহিরে অন্ধকার গাড়াচ্ছে তাই জানালা বন্ধ করার বাহানায় প্রিয়’কে অন্যঘরে পাঠালো। প্রিয় যেতেই আয়েশা বেগম কাচুমাচু করতে লাগল।
‘ তুমি তো দূরের কেউ নও। আমাদের আগাগোড়া সবটাই জানো। প্রিয় আমার মেজো বোনের মেজো মেয়ে। ছোট থেকে ঢাকায় থেকেছে। বাবা মা ভাই বোনদের নিয়ে ওদের সিমসাম সুন্দর পরিবার। বছর দুয়েক আগে প্রিয়’র বড় ভাইকে পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় পাঠানো হয় কিন্তু সেখানে গিয়ে বিদেশি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। পরিবারের অমতে বিনা অনুমতিতে বিয়ে করে। প্রিয়’র বাবা শুনে তেজ্য করে ছেলেকে। তার মাঝেই এলাকায় বড় মেয়ের প্রেমের গুঞ্জন শুরু হলো। জল ঘোলা না করে, দুই পরিবার বসে দেখে শুনে দুজনের বিয়ে দেয়। সেই বিয়ে বেশি দিন টিকলো না। আটমাস গড়াতেই স্বামীর সাথে বনিবনা অশান্তি ঝামেয়া প্রিতীর ডিভোর্স হয়। সমাজের কটু কথা সহ্য করতে না পেরে গড়ায় দড়ি দিয়ে সু*ইসাইড করে। যেইরাতে প্রিতী সু*ইসাইড করে প্রিয় তার সাথেই ছিল। সকালে ঘুম ভেঙ্গে বড় বোনের বিকৃত ঝুলন্ত লাশ দেখে মেয়েটা সহ্য করতে পারেনি। মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পরে। প্যানিক এটাক ফোবিয়া ঘিরে ধরেছে ওকে। ওর ভবিষ্যৎ আর মেন্টাল হেলথের কথা চিন্তা করে ওর বাবা মা আমার সাথে এখানে পাঠিয়েছে। কিন্তু এই পরিবেশে মেয়েটা মানিয়ে নিতে নারাজ। কেমন জানো গম্ভীর রগচটা স্বভাবের হয়ে গেছে। ঢাকায় ফেরার নতুন নতুন বাহানা খুঁজছে রোজ। কখনো অসুস্থ হওয়ার নাটক করে, কখনো আবার আমাকে বিরক্ত করে। মেয়েটা আগে মোটেও এমন ছিলনা। বেশ প্রাণবন্ত মিশুক ছিল কিন্তু সেই ইন্সি*ডেন্টের পর..’
এতটুকু বলে থামলো আয়েশা বেগম। শতাব্দ নড়েচড়ে বসলো। গম্ভীর হয়ে বসলো,
‘ আপনি কি চাইছেন?’
আয়েশা বেগম একটু চুপ রইল। বয়স কম হলেও শতাব্দ বেশ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন দায়িত্ববান একটা ছেলে। তার উপর বাবা এলাকার চেয়ারম্যান। যদিও ছোট থেকে তার সাথে অন্যরকম সম্পর্ক। ছেলের মত। তবুও শিক্ষিকা হয়ে এমন আবদার করাটা কি উচিত হবে! যদি তার আত্মসম্মানে লাগে! চুপ থেকে কিছুক্ষণ ভাবলো। তারপর নীরবতা ভেঙ্গে গম্ভীর হয়ে বলল,
‘আমি চাই তুমি কিছুদিন প্রিয়কে গার্ড করো।’
শতাব্দের চোখমুখ গম্ভীর হলো। কপালে মৃদু ভাঁজ।
‘ আমি! কেন?’
‘ তোমার উপর ভরসা আছে। ভীষণ দায়িত্ববান একটা ছেলে তুমি।’
তারপর আবার বলল,
‘জানোই তো এখানকার মানুষের চিন্তাভাবনা। প্রিয়’র চলনবলন খুব একটা ভালো চোখে দেখছেনা তারা। ওর ফ্যামিলি ক্রাইসিস সম্পর্কেও কিছু আঁচ পেয়েছে। বুঝই তো এসব কথা বেশিদিন চাপা থাকেনা। তোমাদের বাড়িতে অনেক ছেলেমেয়ে আছে। বড়দের চিন্তাভাবনাও মুক্ত স্বাধীন। বেশ ওপেন মাইন্ডেড। তাদের সাথে মিশলে পরিবারের একাকীত্ব গুছবে। হয়তো ও কিছুটা স্বাভাবিক হবে। আর তাছাড়া তোমাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করলে খারাপ চোখে দেখবেনা কেউ, না সাহস পাবে।’
মাথা নাড়াল শতাব্দ সোফা থেকে উঠতে উঠতে বলল,
‘ ভালো চিন্তা। জুবাইদাকে প্রিয়’র সাথে বন্ধুত্ব করতে বলবো।’
আয়েশা বেগম তড়িঘড়ি করে বলল,
‘ আর একটা আবদার আছে আমার’
শতাব্দ প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকালো।
‘ প্রিয়’র টিউটোরিয়াল পরিক্ষার রেজাল্ট বড্ড খারাপ। জেনারেল ম্যাথে ত্রিশে তিন পেয়েছে। টিচার খুঁজছিলাম এর মাঝেই পরিক্ষার রুটিন বেরোলো। দুই সাপ্তাহ পর অর্ধবার্ষিকী। কোন স্যার এখন পড়াতে রাজি হচ্ছেনা। তুমি ম্যাথম্যাটিকসে তুখোড়। সবসময় তোমার নাইন্টি এইট পার্সেন্ট মার্ক ছিল। এই দুই সাপ্তাহ তুমি যদি একটু এসে দেখিয়ে দিতে!’
‘ আমি?’
‘ খুব বিপদে পড়ে আবদারটা করছি। রাখতে যদি…..মেয়েটা এবার ফেল করলে কোথাও মুখ দেখাতে পারবোনা আমি।
শেষ কথাটা আয়েশা বেশ চিন্তিত হয়েই বলল। কিছুক্ষণ চুপ রইল শতাব্দ। কিছু একটা ভেবে বলল,
‘ আমি কাল বিকালে আসবো’
আয়েশা বেগমের চোখ মুখ উজ্জ্বল। সামান্য হেসেই বলল,
‘ দেখো এই দুই সাপ্তাহে পাশ নাম্বার উঠানো যায় কি না। যদিও গাঁধা পিটালে ঘোড়া হয় না! চেষ্টা করো, দেখো।’

রাতে খাবার শেষে টিভি দেখছিল প্রিয়। দুধের গ্লাস হাতে খালা পাশে এসে দাঁড়াল। দুধের গ্লাস দেখতেই নাকমুখ কুঁচকে নিলো প্রিয়। মিনমিন করে বলল,
‘ গন্ধ লাগে, খাবো না।’
আয়শা বেগম কড়া নজরে তাকালো। গম্ভীর হয়ে বলল,
‘ রোজকার বাহানা।’
‘ খা..লা।’
আয়েশা বেগমের দৃষ্টি আরো গম্ভীর হলো। তা দেখে কাঁদোকাঁদো মুখ করে গ্লাসটা হাতে নিলো প্রিয়। খালা বিরক্তি গলায় বলল,
‘ জানিস খেতে হবে! রোজ এই নাটকটা কেন করিস?’
‘ যদি কোন ছাড় পেয়ে যাই।’
গাল ফুলিয়ে উত্তর দিলো প্রিয়।
খালা সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসলো। চ্যানেল পাল্টাতে পাল্টাতে বলল,
‘ আগামীকাল রেডি থাকিস। বিকালে শতাব্দ আসবে পড়াতে।’
বিস্মিত হলো প্রিয়। সামান্য চিৎকার করেই বলল,
‘ কেন? উনি কেন?’
‘ সমস্যা কোথায়?’
নাকে বাজিয়ে মিন মিন করে বলল প্রিয়,
‘ উনাকে আমার একদম ভালো লাগেনা’
‘ ভালো কথা! আমি চিন্তা মুক্ত থাকবো।’
খালা খাপছাড়া কন্ঠে বলল।
বিরক্ত হলো প্রিয়। ইনিয়েবিনিয়ে বলল,
‘ চেয়ারম্যানের ছেলে আমাদের বাড়িতে এসে পড়াবে। লোকে কি বলবে খালা? তাছাড়া এমন কি কোথাও হয়? তুমিই বলো!’
‘ এসব তোর না ভাবলেও চলবে প্রিয় । লোকে জানবে না। আমার ছাত্র ছিল শতাব্দ, ভালো সম্পর্ক। এবাড়িতে প্রায়ই ওর আসা যাওয়া হয়। তাছাড়া সারাবছর তো পড়াচ্ছে না। দুই সাপ্তাহ এসে গণিতটা দেখিয়ে দিবে শুধু।
কোন দিক করতে না পেরে হতাশ হলো। ক্ষু*দ্ধ হয়ে চেঁচিয়ে বলল প্রিয়,
‘উনার কাছে আমি পড়বো না খালা।’
খালা আগের মত গম্ভীর কন্ঠেই উত্তর দিলো,
‘ তোর মতামত চাইছিনা। অর্ডার করছি।’
রেগে হাত পা ঝাড়া দিয়ে সোফা ছেড়ে উঠলো প্রিয়। জিদ ঝাড়তে ঝাড়তে বলল,
‘ এখানে থাকবো না আমি। আমাকে আমার আব্বা আম্মার কাছে পাঠিয়ে দেও।’

চলবে……

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। পেজের রিচ ডাউন গল্প পৌঁছালে অবশ্যই রেসপন্স করবেন মতামত জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here