বউ পর্ব ৪

গল্পঃ বউ ( ৪র্থ পর্ব )

মীরার চিৎকার শুনে দৌড়ে নিচে এলাম, মিম’ও আমার পেছন পেছন আসলো, এসে দেখলাম ইরা আপা ধরাধরি করে মীরাকে সোফায় বসালো। আমি হন্তদন্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম ইরা আপাকে,– কি হয়েছে মীরার।

ইরা আপা বললো,– বাথরুমে আরশোলা দেখে ভয়ে দ্রুত বেরিয়ে আসতে গিয়ে পা ফসকে পড়ে গিয়েছে। তেমন সমস্যা নেই পা মচকে গেছে হয়তো।

আমি বললাম,– চব্বিশ ঘন্টা যে মেয়ে স্বামীকে কিলের ওপর রাখতে পারে, সেই মেয়ের আরশোলা দেখে ভয় পাওয়া বিলাসিতা ছাড়া আর কি।

ইরা আপা ফিক করে হেসে ফেললো। মীরা আড়চোখে এমন ভাবে আমার দিকে তাকালো যেন গিলে ফেলবে।

সকালে আমরা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ড্রইং রুমে সবাই বসে আছি। মিম আমার দিকে তাকাচ্ছে, আমি মীরার দিকে, মীরা একবার আমার দিকে একবার মিমের দিকে তাকাচ্ছে, ইরা আপার চোখদুটো মার্বেলের মতো আমাদের সবার ওপর ঘুরছে। কি একটা অবস্থা! মনে হচ্ছে আজ কথা বলতে মানা, আজকে তাকাতাকি দিবস।

নীরবতা ভেঙে ইরা আপা বললো,– কি অবস্থা কি, তোদের ফলো করতে গিয়ে চোখ ঘুরাতে ঘুরাতে আমার এখন মাথা ঘুরছে। কোনো গায়েবি শক্তি তোদের কণ্ঠস্বর গায়েব করে ফেলছে, নাকি কথা বললে কেউ ক্রসফায়ার করবে।

মীরা বললো,– আপা গান আছেনা– চোখ যে মনের, কথা বলে। সেরকম কিছু বুঝে নাও, নতুন প্রেমের আলাপন চিল্লায়া করন যাইবো। যা কিছু চোখে চোখে হচ্ছে।

মীরা কথাটা আমাকে আর মিমকে উদ্দেশ্য করে বলেছে বুঝতে পারলাম।

আমি বললাম,– বিবাহের বয়স তো ভালোই হলো, প্রাকটিকাল ভাবে বুঝতে চেষ্টা করছি মীরা আমার চোখের ভাষা কতটুকু বোঝে।

মীরা ভেংচি কেটে বললো,– আমি তো আপনার চোখের ভাষা বুঝবার মতো নই, আপনি দেখেন তো মিমের চোখের ভাষা বুঝতে পারেন কিনা, ওর চোখদুটো মনে হচ্ছে মাইক নিয়ে চিল্লাইয়া কিছু বলতে চায়।

মিম হকচকিয়ে উঠে বললো,– ইয়ে মানে বলতে তো চাই, ওমুক মার্কেটে জামা সেলাই করতে দিয়ে আসছি, বাইরে গেলে ভাইয়া যদি একটু নিয়ে আসতেন।

আমি আর কথা বাড়ালাম না, মীরা যে পাগলের পাগল, বেশি কিছু বললে ইজ্জত প্যাকেট ছাড়াই চাঁদ অথবা মঙ্গলে নয়, প্লুটোয় পাঠিয়ে ফ্রাই করে ছাড়বে। প্লুটোর তাপমাত্রা তো সবারই জানা।

আবার সবাই নীরব।

নীরবতা ভাঙলো আমার বয়েসী এক যুবকের খটাত্ করে দরজা খুলে রুমে ঢোকার শব্দে। দুই হাতে তার তিনটা ব্যাগ, কাঁধে একটা এবং পিঠে একটা।

ভাই জীবনে স্পাইডার ম্যান, ব্যাট ম্যান, সুপার ম্যান, এন্ট ম্যান, সবই দেখছি, এরকম অদ্ভুত ব্যাগ ম্যান দেখা বাকি ছিল, সেটাও আজ দেখা হলো।

তো সেই ব্যাগম্যান ইরা আপার সামনে এসেই হাস্যোজ্জ্বল মুখে বললো,– ভাবী মজনু ইজ ব্যাক, তাড়াতাড়ি মোরে ব্যাগ মুক্ত করেন, নাইলে কিন্তু জন্মের আগে যে মহাকাশে ছেলাম, ব্যাগের চাপে সেখানে আবার ব্যাকে চইল্লা যাইতে হইবে।

ইরা আপা মজনুর হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে কাঁধের ও পিঠের ব্যাগ খুলছে, আর আমরা অদ্ভুত অতিথির দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে তার মজার কথা গিলছি।

ইরা আপা মজনুকে বললো,– এত ব্যাগ কিসের মজনু, কি আছে এতে।

সোফায় ভাব নিয়ে বসে মজনু বললো,– গেরামের ক্যালা, কচু, আম, লিচু, কিচ্ছু বাদ রাহিনাই ভাবী, আপনে শুধু নষ্ট না করে সব খাবেন এইডাই মোর দাবী।

কথা শেষে মজনু চোখের চশমা খুলে চোখ বড়ো করে মীরার দিকে তাকিয়ে, মীরাকে দেখিয়ে ইরা আপুকে বললো,– হু ইজ কে ভাবী, মানে সে কেডা, কেডা এই সদ্য প্রস্ফুটিত পুষ্পের ন্যায় রুপের বাহার ছড়াইয়া দেয়া সুন্দরী, সে কি স্বর্গের অপ্সরী, কেডা, কেডা এই লেডিস ফ্লাওয়ার?

মজনুর “ সি ইউ নট ফর মাইন্ড ” টাইপের ইচ্ছা করে বলা ইংলিশ বাংলিশ কথা শুনে মীরা, মিম, ইরা আপু সবাই হেসে ফেললো। আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না। মজনুর হাবভাব সুবিধার ঠেকছে না, এসেই মীরার দিকে নজর!

ইরা আপা হাসি কন্ট্রোল করে মজনুকে বললো,– আরে ও আমার ছোট বোন মীরা।

মজনু আবার ভাব নিয়ে বললো,– মানে সে আমার বেয়াইন, একদম ফিট, আসসালামু আলাইকুম বেয়াইন সাপ।

মীরা হেসে হেসেই বললো,– ওয়ালাইকুম আসসালাম বেয়াই সাপ।

সালা মজনু তৃতীয়বার গানের সাথে মিল রেখে বললো,– কেমন আছেন বিয়াইন সাপ।

আমার ভেতরে উত্তেজনা বাড়ছে তো বাড়ছেই। মীরা আবার উত্তরে না বলে ফেলে,– বুকে বড়ো জ্বালা।

মীরা কিছু বলার আগে আমিই বলে ফেললাম,– পরিচয় পর্ব সঙ্গীতের দিকে আগাচ্ছে, পরিচিত হবার আরও অনেকেই বাকী আছে, আগে সবাই পরিচয় হই, পরে না হয় সঙ্গীতায়োজন হবে মজনু ভাই।

মজনু আমার দিকে তাকিয়ে ইরা আপাকে প্রশ্ন করলো,– কে এই বদ ভাবী, বেয়াই বেয়াইনের এমন রোমান্টিক মুহুর্তে আধোয়া বাম হস্ত প্রয়োগ করে?!

ইরা আপা আমার কথা বলবে এমন সময় মীরা চোখের ইশারায় নিষেধ করলো না বলতে, তাই ইরা আপা বললো,– ও আমাদের দূর সম্পর্কের কাছের আত্মীয় আবীর।

মজনু ভ্রু কুঁচকে বললো,– দূর সম্পর্কের আত্মীয় হইয়া এত কাছের সম্পর্কে বাম হস্ত প্রয়োগ করবা না আবীর, বলে দিলাম।

ইরা আপা আমাকে বললো,– আবীর, ও হচ্ছে মজনু, সবসময় হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করে, ভীষণ মজার মানুষ, ওর কথায় আবার কষ্ট পেয়ো না। ও সম্পর্কে আমার চাচাতো দেবর।

মজনু আবার রোমান্টিক মুডে পায়ের ওপর ঠ্যাং তুলে হাসিমাখা বদনে মীরাকে বললো,– বিয়াইন মজনু কিন্তু সিজনের ফল নয় যে হাজার হাজার পাবেন, আমার মতো মজনুর হয়তো যুগে দু-এক জনার আবির্ভাব ঘটে, তাই দেরি না করে এক্ষুনি ঝাপাইয়া পড়তে পারেন আমার বুকে হাহাহা।

কথা শেষ করে মজনু মীরার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো,– গাছে পাকা শসা, আপনার রূপ আমার হৃদয়ে মেরেছে প্রেমের ঘষা।

অবস্থা ভালো না দেখে আমি মজনুকে বললাম,– ধুর মিয়া বরিশাল থেকে লঞ্চের ডান্ডা-মান্ডা ধরে ঝুলে ঝুলে আসছেন, হাতে ভাইরাস থাকতে পারে, আগে বিশ মিনিট ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আসুন। নিজেও মরবেন, আর একজনকেও মারবার প্ল্যান।

মজনু আমার কথায় বিরক্ত হয়ে হাত সরিয়ে নিয়ে বললো,– ব্যাডা দূর সম্পর্কের বাড়তি আত্মীয়, লঞ্চে চড়ে কারা জানো, সাহেবেরা, এই যে মুই আসছি, কেবিন একটা ভাড়া কইরা রাজকীয় হালে, লঞ্চে চড়ার মজা তোমরা বোজবা না মনু। তোমরা তো বাসে চড়তে চড়তে পা ফুলাইয়া ক্যালাগাছ বানাও।

তারপর আবার মীরার দিকে তাকিয়ে মজনু মুচকি হেসে বললো,– বেয়াইন মুই হাতটা ধুইয়া কামিং সুন।

মজনু ভেতরে চলে গেল।

রাতে খাওয়াদাওয়া শেষ করলাম, মজনু আসায় মিম যে রুমে ঘুমাতো সেটা মজনুকে দেয়া হবে, মিম আবার ইরা আপার কাছে শোবে। তার মানে আজকে মীরা আমার সাথে থাকতে বাধ্য।

অবশেষে মীরা রুমে গিয়ে ঢুকলো, এইতো সুযোগ! আমি রান্নাঘরে এসে ট্যাব খুলে চোখে ইচ্ছামত পানি ছিটিয়ে চোখ লাল করে ফেললাম। স্লো মোশনে গিয়ে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে খাটে গিয়ে বসলাম। মীরা বলে ফেললো,– এই যে, এখানে আপনার স্থান নেই, নিচে পাটি পেতে শুয়ে পড়ুন।

আমি চোখ বড়ো করে মীরার দিকে তাকাতেই মীরা অবাক হয়ে গেল। আমি দুই হাতে মীরার দুই গাল ধরে এই প্রথম তার ঠোঁটে চুমু খেলাম। বিয়ের পরে এত কাছাকাছি আমরা কখনও আসিনি। মীরার শরীর থরথর করে কাঁপছে। থ মেরে বসে আছে আমার সামনে। আমি রুমের লাইট নিভিয়ে এসে শুয়ে মীরাকে টেনে শুইয়ে আমার বুকের সাথে চেপে ধরলাম। কিন্তু মীরা যেমন মোড়ামুড়ি শুরু করছে এত মোড়ানি সাপ, কেঁচো মনে হয় মোড়ায় না!

শক্ত করে বুকে চেপে ধরে বললাম,– মীরা আমার প্রচন্ড ইচ্ছা একটা রাত তোমাকে বুকে নিয়ে ঘুমাবো, আজকে যদি সেই ইচ্ছা পূর্ণ হয়, কাল মরে গেলেও আমার কোনো আফসোস থাকবে না।

এই কথাটা হাই পাওয়ারি ওষুধের মতই কাজ করলো, মীরা একদম চুপচাপ বুকে মুখ গুজে শুয়ে আছে।

আমি জড়িয়ে রেখে বললাম,– মীরা যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা, যার জন্য বাঁচা, তার অবহেলা মানেই বেঁচে থেকেও মরার মতো বাঁচা। বেঁচে থাকার জন্য আমি প্রচুর ধন সম্পদের আশা করিনা, শুধু একটা সম্পদের আশা করি, আমার জীবনের স্রেষ্ঠ সম্পদ, সেটা তুমি। জানি জোর করে ভালোবাসা পাওয়া সম্ভব না। তবু জোর করে আজ চুমু খেলাম, বুকে জড়িয়ে রাখলাম এই জন্য যে, তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যদি যাও, অন্তত এসব স্মৃতি নিয়ে যেন বাঁচাতে পারি যে-কটা দিন বাঁচি। তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমার কাছে অমূল্য। কালকে তোমার মতামত তুমি জানিয়ে দিয়ো, চাপ নেবার দরকার নেই, তুমি যদি আমাকে না চাও তবে সেটা বলে দিয়ো, কালকেই আমি এখান থেকে চলে যাবো।

কিছুক্ষণ নীরবতা, মীরা সেভাবেই ঘুমিয়ে পড়লো। এই রাতটা আমার জন্য স্রেষ্ঠ, জীবনের সবচেয়ে সুখের রাত, সবচেয়ে ভালো লাগার রাত, সবচেয়ে আনন্দের রাত। প্রিয়জনকে বুকে পেলে বুঝি এমনই হয়। তাই আবার প্রিয়জনকে হারানোর দুঃখে মানুষ পাগল হয়ে যায়, সুইসাইট করে, রাতের পর রাত ছটফট করে মরে। আসলে নিজের জীবনের চেয়ে কেউ যখন বেশী দামী হয়ে যায়, তখন তার দেয়া আঘাত মৃত্যুর চেয়েও যন্ত্রণার হয়। একটা সুখের জীবন গড়তে প্রত্যেকটা মানুষের একজন প্রাণের চেয়ে প্রিয়জন দরকার, যার আশায়, যার ভালোবায় জীবন যুদ্ধে হাসি মুখে লড়াই করে এগিয়ে যাবার ইচ্ছেরা সতেজ থাকে।

খুব যত্ন করে বুকে জড়িয়ে, মীরার কপালে অসংখ্য চুমু খেয়ে মীরার মায়াবী মুখটা দেখতে দেখতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম মনে পড়ছেনা। খুব ভোরে ঘুম ভাঙতেই দেখি মীরা পাশে নেই। হয়তো আমি ঘুমিয়ে পড়ার পরে মীরা চলে গেছে, হয়তো রাতে জোর করে চুমু খাওয়ায়, জড়িয়ে রাখায় আমার প্রতি রাগ আরও বেড়েছে!

সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেয়ে ছাদে চলে এলাম, এখন শুধু মীরার সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষা। হঠাৎ মজনু ছাদে এসে উপস্থিত।

আমাকে দেখে বললো,– দূর সম্পর্কের আত্মীয় হইয়াও তুমি মীরারে লইয়া ঘুমাও, মোরে বললেই হইতে সে তোমার স্ত্রী।

আমি বললাম,– মীরা দুষ্টুমি করে ইরা আপুকে বলতে নিষেধ করেছিল।

মজনু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,– প্রেমই যদি কপালে না জোটে, মজনু নাম দিয়া ভর্তা খামু! এর চাইতে দেবদাস হওয়া ভালো ছিল।

হঠাৎ আমাদের পাসের ছাদে, মানে ইরা আপার বিল্ডিংয়ের পাসের বিল্ডিংয়ে এক সুন্দরীর উদয়, তাই দেখে মজনুর শার্টের পেছনে রাখা চশমা তড়িৎ বেগে চোখে দিলো মজনু।

আমি বললাম,– খালি চোখে তো বেশী স্পষ্ট দেখা যায়, চশমার কি দরকার।

মজনু একটু বিরক্ত হয়ে বললো,– ব্যাডা ভাব বলতে যে একটা জিনিস আছে হ্যা বোজো, নিজেকে স্মার্ট ভাবে ফুডাইয়া তোলতে না পারলে মজনু নাম লইয়াই স্বর্গে যাওয়া লাগবে, জীবনে আর বউ চোহে দ্যাহা লাগবে না।

তারপর সেই পাসের বাসার মেয়েয়েটিকে উদ্দেশ্য করে মজনু বললো,– এই যে হ্যালো, কি পাখি, তোমার খবর কী?

মেয়েটি অবাক হয়ে বললো,– আমাকে বলছেন?

: হয়, তোমাকেই বলছি সুন্দরী।

: কিন্তু আমার নাম তো পাখি না।

: তয় কি, নামডা বইল্যা ফালাও ফটাস কইররা।

: আমার নামঃ ফারাহ ইয়াসমিন আরশি।

: ও মোর আল্লাহ, তোমাদের তিন বোনের নাম জিজ্ঞাসা করিনায়, শুধু তোমার নাম কও।

: আরে এটা আমারই নাম।

: ও খোদা, বলো কি, দ্যাশে চাউলের সঙ্কট, ডাইলের সঙ্কট, এখন যদি সবাই তোমার মতো একলাই তিনডা নাম বুকিং করা শুরু করে, তাইলে কয়দিন পরে তো দেশে নামের সঙ্কট পড়বে পাখি।

মজনুর কথায় মেয়েটি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাবার উপক্রম, নিজেকে সামলে নিয়ে মেয়েটি আবার বললো,– এবার তো নাম জেনেছেন তাহলে পাখি ডাকলেন কেন?

: পাখি সুন্দর জিনিস, ফুল পবিত্র, তোমাকে এই দুইডাই মোর মনে হইতে আছে তাই। কি সুন্দর তুমি, দ্যাহোনা চোখে চশমা পড়ে রাখছি চাঁন্দে যেন নজর না লাগে তাই।

মেয়েটি আবার হেসে গড়াগড়ি খাবার উপক্রম।

মজনু আবার বললো,– আচ্ছা তোমার নাম ফারাহ ইয়াসমিন আরশি তাইনা?

: হুম তো।

: যদি মুই তোমার প্রথম দুউডা নাম কাউয়ারে দিয়া দি, মানে বাদ দিয়া শুধু আরশি ডাকি, তবে কি তাতে তোমার কোনো আপত্তি আছে?

: না, ডাকতে পারেন।

: আচ্ছা আরশি, এই আরশি শব্দ আরবি না ফারসি?

মজনুর কথা শুনে আরশি আবারও হেসে ফেললো।

এই মেয়েকে না পটিয়ে আজ মজনু ছাড়বে না।

আমি চুপচাপ নিচে চলে এলাম, মীরার সিদ্ধান্ত জানতে হবে। মীরা যদি এতকিছুর পরেও অসম্মতি জানায়, কথা না বাড়িয়ে আজই বিদায় হবো।

চলবে…

লেখা আবীর হোসেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here