বড্ড ভালোবাসি পর্ব ১৩+১৪

গল্প :- বড্ড ভালোবাসি
পর্ব :- ১৩ এবং ১৪
Writer :- Labiba Islam Roja
:
:
:
বাড়িতে এসে টোটাল বেড রেস্টে আছি।ভাইয়ার কড়াকড়ি আর মা বাবার শাসন এতেই আমি হাপিঁয়ে উঠেছি।সবার অবস্থা দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় আমি অসুস্থ নই আমি ছাড়া বাকী সবাই অসুস্থ।সকলের আদর ভালোবাসায় এখন বেশ সুস্থ ।এরমধ্যে সকলেই ফোনে আমার খোঁজ খবর নিয়েছে।শুধু রাক্ষুস বাদে।
.
সকালে তিশা এসে কলেজের জন্য ডাকছে কি যেন জরুরি একটা ক্লাস আছে না গেলেই নয় তার কথায় মনে হচ্ছে আমি না গেলে মস্ত বড় অনিষ্ট হয়ে যাবে।আমিও এখন মোটামুটি সুস্থ কিন্তু ভাইয়ার আপওি আছে।ভাইয়াকে মানিয়ে কলেজে পৌছে গেলাম।সেখানে গিয়ে একটা বড় সড়ো ধাক্কা খেলাম।যখন জানলাম তিশা আমাকে মিথ্যা বলে কলেজ নিয়ে এসেছে।কিন্তু হঠাৎ ও আমাকে মিথ্যা বলল কেন?ওই বান্দরনি তুই মিথ্যা বললি কেন?
.
এই মাইয়ার ধৈর্য বলে কোনো বস্তু নাই।একটু ধৈর্য ধর বুঝতে পারবি।
.
.
রাতুল ভাইয়া এসে বলল সেদিন আমাকে যেখানে
আটকে রাখা হয়েছিলো সেখানে যেতে।কথাটা শুনেই আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ।আমি কিছুতেই ওখানে যাবো না।কিন্তু তিশা নাচোর বান্দা আমাকে জোর করে সেখানে নিয়ে গেলো।ওর হাতটা শক্ত করে ধরে যাচ্ছি।
.
সেই রুমে গিয়ে দেখলাম আমার ক্রাশ বয় একটা চেয়ারে পা দুলিয়ে বসে আছে অনেকটা ফিল্মের হিরোর স্টাইলে পাশে লিনা আপু কাঁদো কাঁদো চোঁখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।আমাকে দেখে জনাব মুচকি হেসে বলে উঠলেন __
.
তোমার জন্যই এতক্ষণ ধরে ওয়েট করছিলাম এত দেরী হলো কেন তোমার?
.
কি বলব বুঝতে পারছি না আমার জন্য এখানে ওয়েট করার মানে কি।সব আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
.
লিনা এবার শুরু কর তুই রোজকে কি বলতে চাইছিলি।এবার ফটাফট বলে দে নাহলে কিন্তু…..
.
লিনাঃসরি রোজ আমি ওইদিন তোমার সাথে যা করেছি তার জন্য সত্যি আমি অনুতপ্ত।আমি বুঝতে পারিনি ব্যাপার টা এত দূর যাবে।আমি নিজের রাগকে কনট্রোল করতে পারিনি তাই ভুলবশত হয়ে গেছে।সরি
.
উনার চোঁখ মুখ দেখে স্পষ্ট বুঝতে পারছি আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার তার বিন্দুমাএ ইচ্ছা নেই।তবে এটাও বুঝতে পারছি রাক্ষসটার চাপে পড়ে কথাগুলো বলছে।তাই আর কিছু বললাম না।একটা কথা ভেবে অবাক হচ্ছি একটা মানুষ এত বড় অন্যায় করেও তার মধ্যে কোনো অনুসুচনা নেই।এটাও কি হতে পারে….

.
তখনই উনি বলে উঠলেন দেখ লিনা প্রথমবার ভুল করেছিস বলে প্রিন্সিপালকে কিছু জানাইনি আর রোজও চায়নি সবাই সবটা জানুক।আর প্রিন্সিপাল স্যার যদি ব্যাপারটা জানতেন তাহলে আমি সিওর তোকে এই কলেজ থেকে বের করে দিতেন।এই সবকিছুর জন্য তোর রোজের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ।
.
কথাগুলো যে উনার এক কান দিয়ে ঢুকে অন্যকান দিয়ে বেড়িয়ে গেছে সেটা বুঝতে আমার সমস্যা হলো না।কথাগুলো শেষ হতেই লিনা আপু আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন।আমি তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।
.
এই পেত্নী তুমি কেমন আছো?তোমাকে এই অবস্থায় এখানে নিয়ে আসার জন্য সরি।
.
আচ্ছা উনি কি জানেন উনার মুখের এই পেত্নী ডাকটাকে আমি কত মিস করছিলাম।জ্বি আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো।এসব করার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
.
কি করার প্রয়োজন আছে আর কি প্রয়োজন নেই সেটা আমাকেই বুঝতে দাও।এখন ভালো না লাগলে বাড়ি যেতে পারো।
.
না এসেছিই যখন তাহলে ক্লাস করেই বাড়ি ফিরবো।আর আমি এখন সুস্থ সমস্যা হবে না।(ব্যাটা ঘার তেরা বান্দর উল্লুক সোজা সাপ্টা একটা কথাও বলতে পারে না)
.
ওকে তোমরা ক্লাসে যাও আর তিশা শোন রোজকে সবসময় চোঁখে চোঁখে রাখবে।আর কোনো সমস্যা হলে আমাকে কল দিও।
.
আচ্ছা ভাইয়া বলে সেখান থেকে প্রস্থান করলাম।
.
.
এই কয়েকদিনে রাক্ষসের উপর আমার এক্সট্রা ফিলিংস কাজ করছে।রাক্ষসের কেয়ার সব কিছু আমার মনের উপর এফেক্ট ফেলছে।রাক্ষসেরর সাথে থাকলে কেমন একটা অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে।
.
আর চারদিন পর নবীন বরন অনুষ্ঠান।তার আয়োজন প্রায় শেষের দিকে।সব মেয়েদের এক রঙের শাড়ি আর ছেলেরা পান্জাবী পরবে।এসব নিয়ে আমি তিশা শাওন অর্ণা আলোচনা করছি।এমন সময় রাক্ষস এসে হাজির আমাদের আড্ডায় এসে বসলো।হঠাৎ আমাকে বলে উঠলো রোজ তুমি শাড়ি পরতে পারো?
.
এমন প্রশ্নে সবাই হতবাক।তিশা আর আমি একে অপরের মুখের দিকে তাকাচ্ছি।
.
আরে বাবা এত দেখাদেখির কি আছে সিম্পল একটা প্রশ্ন করলাম আর তুমি উওর দিতে এত সময় নিচ্ছ।হ্যাঁ বা না যেকোনো একটা বললেই হলো।
.
উনার কথা শুনে আর চুপ থাকতে পারলাম না।এইটা কোনো প্রশ্ন হলো বাঙালী মেয়ে যখন তাহলে নিশ্চিয়ই পারি আমি তো ইংল্যান্ড থেকে আসি নি যে পারব না।
.
ওকে থ্যাংস দেখা যাবে।বলেই চলে গেলেন।উনার ভাবে সাবে বোঝা গেল আমি শাড়ি পরতে জানি এটা উনার জিবনের সবচেয়ে বড় সফলতা।
.
পরেরদিন কলেজ এসে সব ক্লাস কমপ্লিট করে বাড়ি যাওয়ার জন্য বেড়িয়েছি তখনই হঠাৎ তিশা আমাকে যা দেখালো তা দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।চোঁখ থেকে আচমকা দু ফোঁটা পানি বেড়িয়ে এলো।মাথাটা ঘুরছে হাঁটতে ইচ্ছা করছে না।
.
সামনে রাক্ষস টার হাতে একগুচ্ছ লাল গোলাপ ফুল।সাথে একটা মেয়ে গায়ের রং ফর্সা।হাইট সাড়ে পাঁচ ফুট হবে।হেসে হেসে কথা বলছে দুজনে।রাক্ষস নিজের হাতে থাকা ফুলগুলো মেয়েটাকে এগিয়ে দিলো।মেয়েটাও সাদরে গ্রহণ করছে।বেশ মানিয়েছে ওদের দুজনকে।আর দেখতে পারছি না এসব।কেন যে আমার এত কষ্ট হচ্ছে কে জানে।উনার সাথে যে কেউ থাক তাতে আমার কি?
.
তিশার কথায় ওর দিকে তাকালাম আচ্ছা মেয়েটা কে রে রোজ তুই চিনিস ওকে?আগে তো আমাদের কলেজে দেখিনি?
.
নিজেকে সামলে উওর দিলাম আমি কি করে চিনবো।আর এদের চিনে আমাদের কি(ঝাঝালো কন্ঠে) চল বাড়ি যাব।বলেই বাড়ির দিকে এগুচ্ছি আর ভাবছি সত্যি কি আমার কিছু না।চোঁখের পানি যেন বাধঁ মানছে না।মনে হচ্ছে বুড়িগঙ্গার সব পানি কেউ আমার চোঁখে কেউ ঢেলে দিয়েছে।নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে।
.
.
#Part :- 14
:
:
সারারাত দু চোঁখের পাতা এক করতে পারলাম না।শুধু তখনকার ছবি চোঁখের সামনে ভেসে উঠছে।ভোরের দিকে চোঁখ লেগে যাওয়ায় সকালে ঘুম থেকে উঠতে লেইট হয়ে গেল।তাই আর কলেজ গেলাম না।তিশা এসেছিলো কিন্তু এমন ঘুম ঘুমাচ্ছিলাম শুনতে পাইনি।আমি এমনিতেও ঘুম কাতুরে।।সারাদিন বাড়িতেই মা বাবার সাথে কাটালাম। পরেরদিন যথারীতি কলেজ গেলাম…..
.
কলেজ গেইটে আবির ভাইয়া আর রাক্ষস সব ফ্রেন্ডদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। দেখেই গতকালকের কথা মনে পরে গেল।তাই চোঁখ সরিয়ে আপন মনে হাঁটছি তখন রাক্ষস এসে বলল রোজ তুমি ঠিক আছ তো?আবার শরীর খারাপ করে নি তো?কাল কলেজ এলে না কেন?
.
উনার কথায় রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে কালকে একটা মেয়ের সাথে ঢলাঢলি করে আজ এসেছে আমার খবর নিতে।হারামজাদা ঝাটা মারি তোর কপালে ।অনেকটা জোরে সোড়েই বললাম না শরীর খারাপ করেনি আমার ইচ্ছা হয়নি তাই আসিনি।আর আমাকে নিয়ে আপনার এত মাথা ব্যাথা কেন। আমি একদিন কেন কলেজ আসিনি তার কৈফত আপনাকে দিতে বাধ্যও নই।
.
এভাবে কথা বলছ কেন(দাঁতে দাঁত চেপে)।সিম্পল একটা প্রশ্ন করলাম তাতে এত রাগ দেখাচ্ছ?তুমি কি সোজা কথার সোজা উওর দিতে পার না।তোমাকে নিয়ে আমার এত মাথা ব্যাথা কেন সেটা যদি তুমি বুঝতে তাহলে তো হয়েই যেত।বুঝবে কি করে মাথায় তো কিছু নেই।পুরোটা গোবরে ঠাসা।
.
আশ্চর্য ধ্যাত আপনার সাথে কথা বলাই ঠিক না এই তিশা তুই কি এখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে পাগলের প্রলাপ শুনবি নাকি ক্লাসে যাবি।এখানে এখন থাকলে কি থেকে কি বলব নিজেও জানিনা তাই কেটে পরাই মঙ্গল।
.
আমি এখনও সেখানে “থ” মেরে দাড়িয়ে আছি।আবির এসে বলল___
কি রে দোস্ত তোদের মধ্যে আবার কি কিছু হয়েছে।
.
কই না তো কালকেই তো সব ঠিক টাক ছিল তাহলে আজ কি হল এই মেয়েটাকে বোঝা বড্ড মুশকিল।কখন যে কি করে আর কি বলে নিজেই বোধহয় জানে না।
.
.
দেখতে দেখতে নবীন বরনের দিনটা চলেই এলো।আমি ভাবছিলাম আজ যাব না কিন্তু তিশাকে মানানো যাচ্ছে না।তাই অনিচ্ছা সত্বেও তিশার জোরাজোরিতে রেডি হচ্ছি।অন্যদিন হলে যেমন তেমন ভাবে শাড়িটা পরে নিতাম কিন্তু সেদিন যখন রাক্ষসকে ওভাবে বললাম তাহলে ফিটফাট করেই পরতে হবে।
.
বেগুনী আর নীল রঙের মিশ্রণে শাড়ি ম্যাচিং চুড়ি চোঁখে হালকা কাজল ঠোঁটে লিপস্টিক চুলগুলো ছেড়ে দিয়েছি ব্যস সাজ কমপ্লিট।মেকাপে আমার এলার্জি তাই হালকা মেকাপ দিয়ে আমি আর তিশা কলেজের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়লাম।
.
কলেজ পৌছাতে খানিকটা দেরী হয়ে গেল।এতক্ষণে অনুষ্ঠানও শুরু হয়ে গেছে তাতে আমার কি।আমি তো এখানে আসতেও চাই নি।পাশ থেকে আবির ভাই এসে বলল কি বিউটিফুল লেডি শাড়িতে তো তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।উনাকে না চাইতেও ধন্যবাদ বলে মুচকি হাসলাম।আর বললাম আপনাকেও ভালো লাগছে ভাইয়া। সত্যি আবির ভাইয়াকে হ্যান্ডসাম লাগছে। উনিও ধন্যবাদ জানিয়ে কেটে পরলেন।
.
প্রায় সবাইকেই দেখতে পাচ্ছি কিন্তু যাকে দেখতে চাইছি তাকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না।অবশেষে তার দেখা পাওয়া গেল।নেভি ব্লু পাঞ্জাবি চুলগুলো স্পাইক করা হাতে ব্যান্ডের ঘড়ি অসাধারণ লাগছে।আজকে ১০-১৫ টা আবার নতুন করে এর প্রেমে পরবেই।এতে সেজেগুজে আসার কি প্রয়োজন আমার জানা নেই।মেয়েগুলো ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে।মুহূর্তেই মনটা খারাপ হয়ে গেল।অন্যের বিএফকে নিয়ে আমার ভেবে কাজ নেই।
.
.
হঠাৎ স্টেজ থেকে রাক্ষসের নাম ভেসে এল সবাই তাকে একটা গান গাওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট করছে।কিন্তু তিনি ভাব ধরে বলছেন আমি গাইব না যত্তসব।রাক্ষস যে গান গাইতে পারে জানা ছিল না।আবির ভাইয়া জোর করে তার হাতে গিটার ধরিয়ে দিলেন।এবার গাইতে শুরু করলেন…..

♪তোকে #বড্ড_ভালোবাসি সোনা জাদুরে…💞
♪আয় বুকের পিঞ্জরে রাখি আদরে😚
♥বড় বেশি ভালোবাসি সোনা পাখিরে♥
♪আয় বুকের পিঞ্জরে রাখি আদরে♪
……………………………………..
♪জনম জনম রাখব তোকে আপন করে….
♪তোকে #বড্ড_ভালোবাসি সোনা জাদুরে♪
♪আয় বুকের পিঞ্জরে রাখি আদরে😍
………………………………………..
♪আকাশের ওই তারার সাথে কথা বলব দুজনে😲
♪তোরই ছবি এঁকে নিয়েছি আমার মনের গহিনে🎨
🎶আকাশের ওই তারারর সাথে কথা বলব দুজনে
♥তোরই ছবি এঁকে নিয়েছি আমার মনের গহিনে♥
……………………………………………..
♪নীল আসমানের চাঁদ রে তুই মনের শহরে⛺
♪তোকে #বড্ড_ভালোবাসি সোনা জাদুরে♪
♪আয় বুকের পিঞ্জরে রাখি আদরে
♥বড় বেশি ভালোবাসি সোনা পাখিরে♥
♪আয় বুকের পিঞ্জরে রাখি আদরে।💑
……………………………………
♪ছুঁয়ে দিলে আমাকে তুই আমি পাগল হয়ে যাই
♪তুই ছাড়া এিভুবনে আমার আপন কেহ নাই..😑
♪তোকে ছাড়া একা আমি বাঁচি কি করে😧
………………………………………….
♪তোকে #বড্ড_ভালোবাসি সোনা জাদুরেে😙
♪আয় বুকের পিঞ্জরে রাখি আদরে
♪বড় বেশি ভালোবাসি সোনা পাখির🐦
♥আয় বুকের পিঞ্জরে রাখি আদরে……!!♥
.
.
.
গান শেষে হৈ চৈ পরে গেল।সবাই মুগ্ধ তার গান শুনে।উনি স্টেজ থেকে নেমে এলেন।পুরো গান মুচকি হেসে হেসে আমার দিকে তাকিয়ে গাইছিলেন।মনে হচ্ছে আমাকে ডেডিকেট করে গাওয়া কিন্তু তা তো হবার নয় উনি তো অন্য কাউকে কথাটা মনে হতেই দুচোঁখ ভরে আসলো তাই ওয়াশরুমে চলে গেলাম।
.
ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে আসার সময় দেখলাম রাক্ষস আমার সামনে দাঁড়িয়ে।পা থেকে মাথা অবধি আমাকে দেখছেন।উনাকে দেখে আমি ভ্রু কুঁচকে তাকালাম।উনি হেসে হেসে বলে উঠলেন___
.
পেত্নীরাও আজকাল শাড়ি পরে জানা ছিল না।তবে আমি তো জানতাম পেত্নী সাদা শাড়ি পরে কিন্তু আজ দেখছি উল্টো বেগুনী আর নীল হা হা হা।
.
কি বললেন আপনি “আমি পেত্নী”
.
এই দেখ আমি তোমাকে কখন “পেত্নী” বললাম। অবশ্য তুমি যদি নিজেকে পেত্নী ভাবো তাহলে আমার কিছু করার নেই।
.
উনার কথার জবাব দেওয়ার বিন্দু মাএ ইচ্ছাও আমার নেই।অন্যদিন এরকম বললে কি কি যে বলতাম তা আমার জানা নাই।কিন্তু আজ উনাকে কিছু বলতে ইচ্ছা করছে না।তাই চুপ করেই চলে যাচ্ছিলাম হঠাৎ আমার হাত ধরে এক টান দিলেন তাল সামলাতে না পেরে উনার বুকে গিয়ে আচড়ে পরলাম।চুলগুলো উনার মুখের উপর গিয়ে পরেছে।
.
উনি পরম যত্নে চুলগুলো সরিয়ে দিচ্ছেন।আমি আর রাক্ষস একদম কাছাকাছি।আমি নিজেকে ছাড়ানোর জন্য ছটফট করছি কিন্তুু বরাবরের মত আজও আমি ব্যর্থ।উনি খানিক রেগে আমার হাত চেপে ধরে বললেন __
.
কি হয়েছে তোমার?আমাকে এভাবে ইগনোর করছ কেন?আমি যদি কিছু করে থাকি ডিরেক্টলি বল কিন্তু কথা বলা বন্ধ করো না।
.
আমি চুপ! কিই বা বলতে পারি যে আপনি অন্য কাউকে ভালোবাসেন তাই আমি আপনার সাথে কথা বলি না।
.
রোজ কথা বল আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিও না।দুহাতে গাল চেপে কি হয়েছে প্লিজ বল।লিনা কিছু বলেছে নাকি কেউ তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে।
.
চোঁখের পানি আটকে রাখতে পারছি না।তবুও নিজের চোঁখ মুখ শক্ত করে বললাম আপনার কি মেয়েদের পিছন লাগা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই।লুচু কোথাকার মুখ ভেংচি দিয়ে।
.
কি বললে আমি লুচু।তাহলে তো লুচুর কিছু প্রমাণ তোমাকে দিতেই হয়।কি বল(ভ্রু নাচিয়ে)বলেই আমার দিকে এগুচ্ছেন।
.
এই দেখুন আমি কান ধরছি আমার ভুল হয়ে গেছে প্লিজ ছেড়ে দিন আর কখনো এমন কথা বলব না।
.
কেন বলবে তো আরো বেশি করে বলবে।আর আজ এমন ব্যবস্থা করব যে তুমি আমাকে লুচু এর চাইতে ভালো কিছু ভাবতেও পারবে না।(ডেবিল হাসি দিয়ে)
.
এবার লোকটাকে সুবিধার মনে হচ্ছে।ওহহ রোজ তুই কেন এ কথা বলতে গেলি।এবার কি করবি ভাব রোজ ভাব। নিজের সব শক্তি দিয়ে ধাক্কা দেওয়ায় কিছুটা পিছিয়ে গেলেন উনি।এই ফাঁকে এক দৌড়ে বেরিয়ে গেলাম।দৌড়াতে দৌড়াতে শুনতে পাচ্ছি উনি আমায় ডাকছেন কিন্তু আমি শুনছি না।
.
বাইরে বসে আড্ডা দিচ্ছি আচমকা আমার গালে ঠাসসসস!
.
.
চলবে………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here