বাক্সবন্দী চিঠি পর্ব -১৫

গল্প: #বাক্সবন্দী_চিঠি
লেখক: Ninika Jaman Noor
পর্ব: ১৫
ইতু কিছুক্ষন চুপ করে বসে রইলো। আবিরেকে ঠিক বুঝে উঠতে পারছেনা। দুই বছরে এমন কি হলো আবির ওকে ভালোবেসে ফেললো? কুহুকে এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলো কি করে? আবিরের প্রথম ভালোবাসার নাম কুহু। দুই বছরের ব্যবধানে তাকে ভুলে ইতুকে ভালোবাসতে শুরু করলো? কই ইতু তো পারেনি আবিরকে ভুলতে।আবির তাকে এতো অবহেলা,অপমান করার পরও ইতু তাকে ভুলতে পারেনি। মুখে যতোই বলুক সে আবিরকে ভালোবাসেনা কিন্তু মনে কোনে যত্ন করে তার প্রতি ভালোবাসা তুলে রেখেছে।এখনো আবিরকে দেখলে বুকের ভিতর শিরশির করে।বারংবার তার প্রেমে হোচট খেয়ে পড়ে। ইতু ফ্রেশ হয়ে নিচে নামলো। ব্রেকফাস্ট টেবিলে গিয়ে দেখলো সবাই বসে আছে ইতুর পরিবার ও আছে। ইতু তার বাবা মার দিকে অভিমান ভরা চোখে তাকিয়ে চেয়ার টেনে বসলো। তারা মেয়ের অভিমান বুঝতে পেরেও চুপ করে নাস্তা খেতে লাগলো।ইতুর ডান পাশে বসেছে আবির আর বাম পাশে অনু। কুয়াশা কালরাতে আবির আর ইতুর বিয়ের পরপর চলে গেছে।
ইতুকে গম্ভীর মুখে খেতে দেখে কণা আফরোজ গলা খাকারি দিয়ে সংসার জীবন নিয়ে উপদেশ দিতে লাগলেন।হঠাত্‍ কোমরে কারোর স্পর্শ পেয়ে ইতু খাবার মুখে নিয়ে চোখ বড়বড় করে সোজা হয়ে বসলো। ইতুর শাড়ির ফাঁকে কোমরের খোলা জায়গাটায় আবির আঙ্গুল বুলিয়ে যাচ্ছে।ইতু দাঁতে দাঁত চেপে বসে আছে।আবির মুচকি হেসে কোমরের পাশাপাশি ইতু পায়ে আক্রমন করলো।নিজের পা দিয়ে ইতুর পায়ে স্লাইড করতে লাগলো।ইতুর ইচ্ছা করছে আবিরকে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে। ইতু না পারছে বসে থাকতে না পারছে সেখান থেকে উঠে যেতে।পাশেই অনু পা দুলিয়ে দুলিয়ে মনে সুখে খাচ্ছে আবার কিছুক্ষন পর পর মিটমিট করে হাসছে।
ইতু কপালে বিরক্তির ভাজ ফেলে অনুর দিকে তাকালো। ইতুর তাকানোকে তোয়াক্কা না করেই অনু হেসেই যাচ্ছে। ইতু দাঁতে দাঁত চেপে মুখে জোর পূর্বক হাসি এনে বললো,”কি ব্যাপার অনু এতো হাসছিস কেনো? দুলাভাই যাওয়ার আগে কি মিষ্টি দিয়ে গেছে তোকে?”
ইতুর কথাশুনে অনু আর আবির এক সঙ্গে কেঁশে উঠলো।অনুর খাবার গলায় আটকে গেছে।দ্রুত পানি খেয়ে ইতুর দিকে রাগি চোখে তাকালো। ইতু সেদিকে তোয়াক্কা না করে হেসে আবার খাবারে মনোযোগ দিলো।আবির আড়চোখে বড়দের দিকে তাকালো।আবিরের বাবা মা মিটমিট করে হেসে খাবার খাচ্ছে।ইতুর বাবা মা থতমত খেয়ে কোনো রকম খাবার খেয়ে যাচ্ছে।
ইতু কোনোদিকে না তাকিয়ে শান্তিতে খেয়ে যাচ্ছে।
আবির নাস্তা করে কোথাও বেরিয়ে গেলো।ইতুর বাবা-মা চলে যেতে নিলে ইতু বললো,”আমিও যাবো তোমাদের সাথে।”
শারমিন বেগম ভ্রু জোড়া কুঁচকে বললেন,”তুই ও যাবি মানে? এখন কেনো যাবি? দুপুরে আবির তোকে নিয়ে যাবে।”
ইতু কাঠ কাঠ গলায় বললো,”আমাকে বিয়ে করতে বলেছো আমি করেছি। এখানে থেকে সংসার করার কথা আমাকে বলো না।আমি কালই চট্রগ্রাম চলে যাবো।কিছুদিনের ছুটি নিয়ে এসেছিলাম এখানে।আমার পড়ালিখার সময় নষ্ট হচ্ছে।”
মেয়ের কথা শুনে শারমিন বেগে তেড়ে যেতে নিলে ইতুর বাবা আব্দুল কাদের আটকালেন।
তিনি এগিয়ে এসে শান্ত গলায় বললেন,”বিয়ে যখন করেছো সংসার টাও তোমাকে করতে হবে।পড়লিখা করার ইচ্ছা থাকলে আবির তোমাকে পড়াবে এটা তুমি খুব ভালো করেই যানো। আর বাড়িতে যেতে চাইছো যাবে ইচ্ছা হলে কিছুদিন থাকবে আবার এখানে ফিরে আসবে।মনে রাখবে এখন থেকে এটাই তোমার বাড়ি।তোমার কারণে আমার মাথা নিচু হবে এটা আমি মেনে নিবো না।তুমি বুদ্ধিমতি এবং শিক্ষিত একটা মেয়ে।আশা করি আমি কি বলেছি তুমি বুঝতে পেরেছো।”
ইতু মাথা নিচু করে নিরবে চোখের জল ফেলছে। বাবার বলা প্রত্যেকটা কথা তার বুকে গিয়ে বিধেছে।একদিনে ব্যবধানে তাকে কতো সহজে তারা পর করে দিয়েছে।কথার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে তার অবস্থান এখন কোথায়।সে চাইলেও এখন ওই বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে না।
ইতুর বাবা-মা চলে গেলে ইতু দৌড়ে অনুর রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিলো।
কণা আফরোজ,শফিক হাসান,অনু চুপ করে দাড়িয়ে ছিলো।বাবা মেয়ের মাঝে কিছু বলতে চায়নি তারা। ইতুর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে কণা আফরোজ করুণ স্বরে স্বামীকে বললেন,”মেয়েটার প্রতি আমরা কি অন্যায় করে ফেললাম?ছেলেটাকে তার ভালোবাসা দিতে গিয়ে মেয়েটাকে কষ্ট দিয়ে ফেললাম না তো?”
শফিক হাসান নিজেও অপরাধবোধে ভুগছেন।ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে তিনিও কোনো কিছু চিন্তা ভাবনা না করে বিয়েতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন।এখন মনে হচ্ছে ইতুর মতামত না নিয়ে মেয়েটার প্রতি অন্যায় করে ফেলেছেন।
শফিক হাসান স্ত্রীকে শান্তনা দিতে বললেন,”আমাদের ইতুটাও আবিরকে ভালোবাসে। ক্ষনিকের মান অভিমানের কারণে এমন করছে।একটু সময় দাও সব ঠিক হয়ে যাবে।”
কণা আফরোজ মন শান্ত হলো না। ইতুর জন্য মনটা খচখচ করছে।তাও স্বামীর কথা মেনে নিয়ে তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে রান্নাঘরে চলে গেলেন।
শফিক হাসান ও মন ভার করে অফিসের কাজে বেরিয়ে গেলেন। অনু এতোক্ষন তার বাবা মার কথা শুনছিলো।তারা চলে গেলে অনু ও ধীর পায়ে নিজের রুমের দিকে গেলো। ইতুর সামনে কোন মুখে যাবে বুঝতে পারছেনা। গতকাল রাতে সবার সাথে তাল মিলিয়ে ইতুকে সম্পূর্ণ কোন ঠাসা করে ফেলেছিলো। ইতুর তখন সব থেকে বেশি অনুকে প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু ইতুকে একলা ফেলে অনু ও আবিরদের দল যোগ দিলো। একটিবারের জন্য ইতুর পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা করেনি।বারান্দার এককোনে বসে হাটুতে মুখ গুঁজে কাঁদছে ইতু। নিজেকে বড্ড একলা মনে হচ্ছে তার। কেউ তার দিকটা একটিবার বুঝার চেষ্টা করলো। সবাইকে চিত্‍কার করে মনের অভিযোগ শুনাতে ইচ্ছা করছে ইতুর। কিন্তু শুনার মতো কেউ তার পাশে নেই। কাল রাতের কথা মনে পড়তেই ঢুকরে কেঁদে উঠলো।
গতকাল রাতে কনা আফরোজ ইতুর বাবা মাকে ডেকে আনায়। ড্রয়িং রুমে বসে তারা গম্ভীর আলোচনা করতে বসে। অন্যদিকে ইতু অনুর রুমে অনুর হাত খামছে ধরে বসে থাকে।
“আহহ ইতু লাগছে ছাড়।”
“চুপ করে বসে থাক না। টেনশনে জান চলে যাচ্ছে আমার।বুঝতে পারছিস একটু পর আমার উপর দিয়ে কি ঘুর্ণিঝড় যাবে? আম্মুর অতি প্রিয় তার মেয়ের থেকেও প্রিয় আবিরের গায়ে গরম কফি ছুড়ে ফেলার অপরাধে আম্মুর পায়ে জুতা উড়ে এসে আমার গালে পড়বে।সবার সামনে জুতোর বারি খেয়ে মান সম্মান কিছু থাকবেনা অনু।”
ইতুর কথাশুনে অনু ফিক করে হেসে দিলো।
“তুই হাসছিস? বন্ধুর বিপদে কেউ হাসে? আজ তো মামুনিকে ও আমার অচেনা লাগছে। তার আদরের ইতুর নামে নালিশ যানাতে বাবা মাকে ডেকে আনিয়েছে! এই অনু আবির ভাই এদের উপর কি যাদু করেছে বল না।”
অনু কিছু না বলে নখ কামড়ে হাসতে লাগলো।
কিছুক্ষন পর শারমিন বেগম রুমে প্রবেশ করলেন। তাকে দেখে ইতু ভয়ে চুপসে গেলো।
শারমিন বেগম মেয়ের দিকে তাকিয়ে বিছানায় একটা লাল জামদানি শাড়ি রাখলেন। থমথমে গলায় বললেন,”শাড়িটা পড়ে নে একটু পর তোর বিয়ে।”
ইতুর মাথায় যেনো বাজ পড়লো।চমকে উঠে বললো,”বিয়ে মানে? মজা করছো আমার সাথে?”
শফিক হাসান রুমে ঢুকতে ঢুকতে বললো,”কেউ মজা করছে না।একটু পর তোর আর আবিরের বিয়ে।”
ইতু চরম ক্ষোভে চেঁচিয়ে উঠলো,”আবির ভাইয়ের সাথে বিয়ে মানে? তোমরা আমাকে জিঙ্গেস করেছো একবার ও। এই বিয়ে আমি কিছুতেই করবো না।”
“গলার আওয়াজ নিচু করে কথা বলো ইতু। ভুলে যেও না কার সাথে কথা বলছো। বিয়ে তোমাকে এখনি করতে হবে তাও আবিরের সাথে। আর যদি রাজি না হও আমি ভুলে যাবো আমার কোনো মেয়ে আছে।”
নিজের বাবার এমন কঠোর রূপ দেখে ইতু থমকে গেলো। সবাই মিনতি করে বুঝানোর চেষ্টা করলো এই বিয়ে সে করবে না। কেউ শুনলো না ইতুর কথা। শেষ ভরসা হিসেবে অনুকে ও অনুরোধ করেছিলো অনু ও তাকে এই বিয়ে করতে বললো। ইতু কোনো উপায় না পেয়ে বিয়েতে রাজি হলো। কিন্তু বিয়ের আগে ইতু আবিরের সাথে একটা ডিল করে নিলো।
ইতু কাঁধে কারোর স্পর্শ পেয়ে মুখ তুলে তাকালো।
অনু করুণ মুখ করে দাড়িয়ে আছে। অনুর দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্য হেসে মুখ ঘুরিয়ে নিলো। বান্ধবিটাও তার পাশে ছিলো না।
ইতুকে এইভাবে মুখ ঘুরিয়ে নিতে দেখে অনুর কাঁদতে ইচ্ছে করছে। ইতুর ভালো করতে গিয়ে কষ্ট দিয়ে দিলো।
“কথা বলবি না আমার সাথে?”
ইতু চুপ করে রইলো। অনু ও ইতুর পাশে বসলো।
“দেখ তুই তো ভাইকে ভালোবাসিস। আমি তো নিজের চোখে দেখেছি ভাইয়ের প্রতি তোর ভালোবাসা। তাই…”
“তাই কোনো কিছু চিন্তা না করে তোরা আমাকে বাধ্য করলি বিয়েটা করতে।”
ইতু চিত্‍কারে অনুর বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো। ইতু মুখটা লাল হয়ে গেছে চোখ দুটো ফুলে আছে। কান্নার জন্য কথা জড়িয়ে যাচ্ছে।
অনু কিছু বলতে গিয়েও চুপ করে রইলো।
ইতু আবার বললো,”তোরা কেউ বুঝার চেষ্টা করলি না যে মানুষটাকে আমি এতো ভালোবাসতাম তাকে কেনো বিয়ে করতে চাইছি না।তোরা কি ভাবলি? আমি অভিমান করে এমন করছি? আমার আত্মসম্মাণ নেই? যে মানুষটা পুরো কলেজের সামনে তোদের সামনে আমাকে চড় মেরেছে,শুধু মাত্র কুহু আপুর কথা শুনে।একটি বার আমাকে জিঙ্গেস করার প্রয়োজনবোধ করেনি।একটা মেয়ের গায়ে হাত তুলতে তার হাত কাঁপেনি। আমার এই বেহায়া মনটার কারণে এখনো ওই মানুষটাকে ভালোবাসি তাই বলে জীবনে কোনোদিন তার কাছে ভালোবাসার দাবি নিয়ে যেতাম না। আর তোরা ধরে বেধে তার সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিলি?এখন বলছিস তার সাথে সুখে সংসার করতে? আমার আত্মসম্মানটা তোরা এইভাবে শেষ করতে চাইছিস? আমি তো নিজের চোখে ছোট হয়ে যাচ্ছি সেটা তোরা বুঝতে পারছিস? এমন কোনোদিন নেই আমাকে ওই ঘটনা তাড়া করেনি। রাতে ঘুমাতে গেলেই চোখের সামনে ভেসে উঠতো ওই দিনটা।তার রাগ,জেদ সবকিছু সবাইকে মেনে চলতে হবে সে যখন যা চায় তাকে তাই দিতে হবে। তার ইচ্ছা হলো আমাকে দূরে সরিয়ে দিলো এখন তার আমার প্রতি ভালোবাসা উদয় হয়েছে তাই জোর করে নিজের করে নিলো। অন্যদের মতামতের কোনো দামই নেই তার কাছে। যে মানুষটা আমাকে সম্মান করে না আমার মতামতকে সম্মান করে না এমন মানুষের সাথে আমি সংসার কি করে করবো?”
ইতু দম নিয়ে কাঁদতে লাগলো। অনু বলার মতো কিছু খুঁজে পেলো না। ইতুর বলা প্রত্যেকটা কথা সত্য। অনু বুঝতে পারছে বিয়েটা দিয়ে ইতুর আত্মসম্মানে আঘাত করে ফেলেছে।
অনু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,”এখন আর কি করার আছে ইতু? বিয়েটা তো হয়ে গেছে। এখন একটু কম্প্রোমাইজ করার চেষ্টা কর।”
“কম্রোমাইজ?” ইতু কথাটা বলে তাচ্ছিল্য করে হাসলো।

দুপুরের আগে আবির বাসায় ফিরলো।রুমে ঢুকে ইতুকে কোথাও দেখতে পেলো না। ইতুর জন্য কিছু কাপড় কিনতে গিয়েছিলো। কাল হঠাত্‍ বিয়ে হয়ে যাওয়াতে ইতুর জামা কাপড় আনা হয়নি। গতকালকে শাড়িটাই পড়ে আছে।
ইতুকে কোথাও দেখতে না পেয়ে শপিং ব্যাগগুলো বিছানায় রেখে ফ্রেশ হতে চলে গেলো। আবির গোসল করে এসে রেডি হতে লাগলো ইতুদের বাড়ি যাবে বলে।
“ইতু, কোথায় তুই? রেডি হচ্ছিস না কেনো?”
গলা ছেড়ে ডেকে ইতুর কোনো জবাব পেলো না আবির। এইবার কপালে চিন্তার ভাজ পড়লো। রুম থেকে বেরিয়ে অনুকে ডাকলো।
কিছুক্ষন পরই অনু এলো মুখ গোমড়া করে।
“কিরে কি হয়েছে তোর? আর ইতু কোথায়? এতো ডাকলাম জবাব দিলো না।এখনো মুখ ফুলিয়ে বসে আছে নাকি।”
অনু আবিরের কথার জবাব না দিয়ে কেঁদে দিলো।
অনুকে হঠাত্‍ কাঁদতে দেখে চমকে উঠলো।
“কি হয়েছে তোর কাঁদছিস কেনো? ইতু কোথায়? ও ঠিক আছে তো? কিরে কথা বলছিস না কেনো। দেখ অনু আমার ভয় লাগছে।কি হয়েছে বল।”
অনু জড়ানো গলায় বললো,”ভাই ইতুটা কষ্ট পাচ্ছে। কাল এমনটা না করলেও পারতাম। মেয়েটার চোখে অপরাধী হয়ে গেছি আমরা।”
আবির এক হাতে অনুকে জড়িয়ে ধরে বললো,”কাঁদিস না বোন। তোর ভাইকে বিশ্বাস করিস তো?”
অনু মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো।
“আমি সব ঠিক করে দিবো চিন্তা করিস না। ইতুর সব কষ্ট দূর করে দিবো একটু সময় দে।”
চলবে।
( আপনাদের কারণে আবার গল্পে ফিরে আশা,আশা করি আমাকে আগের মতোই ভালোবাসা দিবেন ধন্যবাদ ❤️)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here