#বিকেলে_ভোরের_ফুল
#পর্ব_২
#Ishita_Rahman_Sanjida(Simran)
ফুল ভয়ার্ত চোখে স্পর্শের দিকে তাকিয়ে আছে। না জানি স্পর্শ এখন কি করবে। স্পর্শ ফুলের সামনে এসে বসল। রাগি গলায় বলল,
–“এই মেয়ে কি হয়েছে তোমার খাচ্ছো না কেন?”
ফুল কাঁপা কাঁপা গলায় উত্তর দিল,
–“আমি খাবো না। আমাকে ছেড়ে দিন না হলে না খেয়েই আমি মরে যাব তখন দেখব আপনি কি করেন??”
–“ওকে না খেয়ে তোমার মরা লাগবে না আমার কাছে ওষুধ আছে যেটা খেলে তুমি সাথে সাথেই মরে যাবে।”
ভয়ে ফুল শুকনো ঢোক গিলে বলল,”ও ওষুধ কিসের??”
স্পর্শ কোমড়ের পিছনে হাত দিয়ে রিভালবার বের করে ফুলের সামনে ধরল।
–“এই হলো তোমার ওষুধ। একটা খেলেই তুমি শেষ। যদি মাথায় খাও তাহলে একটা আর যদি পেটে খাও তাহলে দুইটা। এবার বলো গুলি টা কি মাথায় করব নাকি পেটে??”
ফুল আমতা আমতা করে বলল,”ইয়ে মানে গুলি খেলে খুব ব্যাথা করবে কি??”
–“যদি মাথায় গুলি করি তবে বেশি ব্যাথা করবে না। অনেকটা ইনজেকশন এর মতো। আর যদি পেটে গুলি করি তাহলে একটু বেশি ব্যাথা করবে মনে হয়।”
ইনজেকশন এর কথা শুনে ফুল আরও ভয় পায়। একবার ডক্টর এর কাছ থেকে ইনজেকশন নিয়েছিল। উফফ কি ব্যাথা। গুলি করলে ইনজেকশন এর মতোই ব্যাথা পাবে ভাবতেই আরও বেশি ভয় লাগছে। ফুল ভাবল এর থেকে খেয়ে নেওয়াটাই বেটার। খাবারের প্লেটের দিকে তাকাতেই নাকমুখ কুঁচকে ফেলে। ডিম আর ব্রেড। এগুলো তো ফুল একদম পছন্দ করে না। ওর ভাত হলেই চলে। কিন্তু কিডনাপাররা এর থেকে ভালো আর কি খাওয়াতে পারে??
ভয়ে ভয়ে ফুল ব্রেড হাতে নিলো তা দেখে স্পর্শ বাঁকা হাসি দিলো। ফুল একটু ব্রেড খেল আর ডিম হাতে নিয়ে কেবল মুখে দিলো সাথে সাথেই গা গুলিয়ে উঠলো এবং বমি করে দিলো। নিজের শরীর মাখামাখি হয়ে গেছে ফুলের তবে এর সাথে স্পর্শকেও মাখিয়ে ফেলেছে। স্পর্শ নাক কুঁচকে বলল,
–“ইয়াক,,,এই মেয়ে এটা কি করলে। বমি এসেছে বলতে পারলে না??”
বমি করে ফুল হয়রান হয়ে গেছে হাঁপাতে হাঁপাতে পানির বোতল হাতে নিয়ে বলল,
–“সরি সরি আমি ইচ্ছে করে করনি।”
বলেই স্পর্শের গায়ে পানি ঢালতে লাগল। স্পর্শ এক ঝটকায় চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো। ফুল কিছুটা কেঁপে উঠল।
–“এই তুমি পানি দিলে কেন??”
–“আমি তো পরিস্কার করে দিচ্ছিলাম।”
–“তোমাকে কি আমি বলেছি পরিস্কার করতে?? আর এভাবেই বমি করলে কেন??”
–“আসলে কাল সকাল থেকে কিছু খায়নি তো?? আর খালি পেটে আমি ভাত ছাড়া আর কিছু খেতে পারিনা বমি করে দেই।”
–“হয়েছে হয়েছে আগে বললেই তো পারতে তুমি ভাত খাবে।”
–“আপনি তো কিডন্যাপার। আমার কথা শুনতেন??”
–“একদম বেশি কথা বলবে না।”
স্পর্শ একটু এগিয়ে গিয়ে একজন গার্ডকে ডাকল। গার্ড এসে বলল,”ইয়েস বস। আপনার এই অবস্থা কেন??”
–“সেসব পরে বলছি আগে এই মেয়েটাকে বেঁধে রাখ। মুখটাও বেঁধে দিবি।”
বলেই স্পর্শ বেরিয়ে গেল। লোকটা এসে ফুলের দিকে চোখ বুলালো।বমি করে ফুলের শরীর মাখিয়ে ফেলেছে। গার্ড নাক কুঁচকে ফুলকে আবার বেঁধে দিলো চেয়ারের সাথে। মুড অফ করে ফুল বসে আছে। চেয়ারে বমি মেখে আছে তার মধ্যেই ফুলকে বসিয়ে রেখেছে। ফুল মনে মনে স্পর্শকে হাজার গালি দিচ্ছে। এভাবে কেউ একটা মেয়ের সাথে ব্যাবহার করে??ফুল বসে বসে পুরো রুমটা দেখতেছে। রুমে কোন খাট নেই ফ্লোরে একটা তোশক বিছানো। একটা টিভি আছে আর আছে তিনটা চেয়ার আর একটা বাথরুম ও আছে।এই রুমে কোন জানালা নেই এই জন্যই বোধহয় কিডন্যাপাররা ওকে এই রুমে নিয়ে এসেছে যাতে ফুল সহজে পালাতে না পারে।
ফুল বসে বসে বিড়বিড় করছে,”এখান থেকে কিভাবে পালাব আল্লাহ??একটা পথ দেখাও।
আমি আর পারছি না। বদমাইশ কিডন্যাপার গুলোর নিশ্চয়ই কোন খারাপ মতলব আছে।
আমার সাথে খারাপ কিছু করবে না তো??”
এসব ভাবতে ভাবতেই দরজা খোলার শব্দ পেয়ে দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে স্পর্শ এসেছে। ফুল অবাক হয়ে স্পর্শের দিকে তাকালো। সাদা শার্ট পাল্টে স্পর্শ নেভি ব্লু রঙের একটা শার্ট পড়েছে বুকের উপরের বোতাম খোলা।চুল থেকে এখনও পানি ঝরছে
বিন্দু বিন্দু পানিতে কপাল ভিজে গেছে স্পর্শের। দেখেই মনে হচ্ছে স্পর্শ গোসল করে এসেছে। ফুল স্পর্শের থেকে চোখ নামিয়ে নিল। কারণ ছোটবেলা থেকেই ওর দাদির মুখ থেকে শুনে এসেছে বেগানা পুরুষের দিকে তাকাতে নেই। স্পর্শ তো বেগানা পুরুষই। না বেগানা পুরুষ নয় বেগানা কিডন্যাপার পুরুষ।
স্পর্শ এসে ফুলের বাঁধন খুলে দিয়ে বললো,
–“যাও গোসল করে আসো কাল থেকে এমনিতেই তোমার গা থেকে গন্ধ আসছিল। আর এখন তো বমি করে ভাসিয়ে দিয়েছো। আরও গন্ধ আসছে গো,,,,,।”
ফুল কিছু বলতে পারছে না ওর মুখে এখনও টেপ লাগানো। মুখ দিয়ে শুধু উমম উমমম শব্দ বের হচ্ছে। স্পর্শ রেগে জোরে টান মেরে টেপ খুলে ফেলল।
–“আহহহহ,,,,,,”
–“তোমার হাত তো খোলাই ছিল এটা খুলতে কি তোমাকে পারমিশন দেয়া লাগবে নাকি??”
–“না মানে আমার তো কোন পোশাক নেই তাহলে কি পরবো???”
স্পর্শ কপালে হাত দিয়ে বলল,
–“উফফফ এখন আবার পোশাক??কি যে করি??”
ফুল কাঁচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্পর্শ ফোন হাতে এগিয়ে গিয়ে গার্ডকে কল করে কিসব আনতে বললো। একটু পরেই গার্ড এসে স্পর্শকে একটা ব্যাগ ধরিয়ে দিলো। স্পর্শ ব্যাগ থেকে বড় একটা গেঞ্জি বের করে ফুলের দিকে এগিয়ে দিল। ফুল গেঞ্জিটা নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখতেছে।
–“এটা দিয়ে আমি কি করবো??”
–“নাচবে”
–“কি???”
–“কি মানে কি???এটা তোমাকে পরার জন্য দেওয়া হয়েছে বুঝেছ।”
–“আমি এত বড় আর ঢিলাঢোলা গেঞ্জি পরবো ইম্পসিবল।”
–“এক থাপ্পর মেরে সব দাঁত ফেলে দেব। আমার মুখের উপর কোন সাহসে কথা বলো তুমি। তুমি এখন এটাই পরবে পরে আমি তোমার জন্য পোশাক এনে দেব।”
ফুল ভয়ে ভয়ে বলল,
–“ওকে। কিন্তু প্যান্ট??”
স্পর্শ একটা লুঙ্গি বের করে ফুলের দিকে ছুঁড়ে মারে ফুলও সাথে সাথে ধরে ফেলে।
–“আজকের মতো এটাই পরো কাল দেখা যাবে। বাট বি কেয়ার ফুল যদি পালানোর চেষ্টা করেছো তো মরেছো। এখান থেকে পালাতে পারবেও না তুমি। এখন যাও”
ফুল তাড়াতাড়ি বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
–“উফফ বাঁচা গেল। কি কিডন্যাপার রে বাবা। এখন আমাকে এই গেঞ্জি আর লুঙ্গি পরতে হবে!!!”
ফুল তাড়াতাড়ি শাওয়ার ছেড়ে দিল। গা থেকে গয়না গুলো সব খুলে ফেলল। যদিও সব গয়না ফুলের ছিল স্বর্ণের ছিল দুহাতে চারটা রিং আর গলায় একটা চেইন। তাড়াতাড়ি গোসল শেষ করে গেঞ্জিটা পরে নিল কিন্তু সমস্যা হলো লুঙ্গি পরতে গিয়ে। ফুল কোন ভাবেই লুঙ্গির গিট্টু দিতে পারছে না বারবার খুলে যাচ্ছে।
–“উফফ এই ছেলেদের লুঙ্গি কিভাবে পরে আমি কি তা জানি নাকি???যতসব ঝামেলা। এখন কি করি??এভাবে তো বের হতেও পারব না।”
অনেকক্ষণ ভেবে একটা বুদ্ধি বের করলো ল্যাহেঙ্গার সাথে অনেক গুলো পিন ছিল সেগুলো দিয়ে লুঙ্গিটা আটকে নিল। ব্যাস হয়ে গেল ফুল তো বেজায় খুশি। গেঞ্জি টেনে নিজেকে বলল,
–“বাহ ফুল ইউ আর জিনিয়াস। কি সুন্দর লুঙ্গিটা পরে ফেললি।”
ফুল তাড়াতাড়ি বাইরে বেরিয়ে এলো। পরনের লুঙ্গিটা মাটি পর্যন্ত নুইয়ে পড়েছে তাই ফুল হাত দিয়ে ধরে রেখেছে। বাইরে আসতেই দেখলো স্পর্শ বালতি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। ফুল বের হতেই স্পর্শ ওর কাছে এসে বালতিটা এগিয়ে দিলো। ফুল বালতি নিয়ে জিজ্ঞেস করল,
–“এটা দিয়ে কি করব??”
–“এই যে তুমি বমি করে রুম ভাসিয়েছো এগুলো পরিস্কার করবে??”
একথা শুনে ফুল চোখ বড়বড় করে তাকালো।
স্পর্শ অনেকটা ধমকের সুরে বলল,
–“কি হলো???বড় লোকের মেয়ে বলে কি কোন কাজ জানো না??”
–“না না আমি করছি।”
ফুল তাড়াতাড়ি বালতি হাতে বাথরুমে গিয়ে পানি নিয়ে আসে। তারপর ফ্লোর পরিস্কার করে। স্পর্শ ওখানেই দাঁড়িয়ে আছে। ফুলের ফ্লোর পরিস্কার করা শেষে ওকে আবার চেয়ারের সাথে বেঁধে দিয়ে স্পর্শ চলে যায়। ফুল মনে মনে বলছে,
–“এমন কিডন্যাপার আমি বাপের জন্মেও দেখিনি। বেয়াদব ছেলে একটা। বাবা প্লিজ তাড়াতাড়ি আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। আমার আর ভালো লাগছে না। প্লিজ বাবা।”
♠️♠️
সোফায় মাথা নিচু করে বসে আছে আজমল চৌধুরী। ওনার পাশেই বসে আছে ফুলের দাদি নূরনাহার বেগম তার পাশে ফুলের মা রিনা বেগম তার জমজ দুই ছেলে সাইফ জাইফের কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে। সাইফ জাইফ সবে মাত্র ক্লাস এইটে পড়ে। নূরনাহার বেগম বলে উঠলো,
–“তোরে আগেই কইছিলাম ওই মাইয়ারে বিয়া দে। কিন্তু তুই আমার কোন কথা হুনলি না। এহন দেখ মাইয়া কি করলো??মুখ পোড়াইলো তোর। কি জানি কোন পোলার হাত ধইরা পলাইছে??”
রিনা বেগম বলে উঠলেন,
–“আপনি এসব কি বলতাছেন মা। ফুলের সাথে তো সবসময় গার্ড থাকতো আর বড় কথা হলো ফুল এসব করতে পারে না।”
রিনা বেগমের কথায় নূরনাহার বেগম রেগে বললেন,
–“তুমি চুপ থাহো। পোলা পয়দা কইরা কি রানি হইয়া গেছ নাকি??বড় মাইনষের লগে উঁচা গলায় কথা কও ক্যান??আর পরের মাইয়ার লাইগা তোমার এতো দরদ ক্যান। যাও ঘরে যাও।”
রিনা বেগম শ্বাশুড়ি কে বাঘের চেয়েও বেশি ভয় পায় তাই ছেলেদের নিয়ে রুমে চলে গেল। আর নূরনাহার বেগম ফুলের বিষয়ে এটা ওটা বলতেছে। আজমল চৌধুরী চুপচাপ মায়ের কথা শুনতেছে। মায়ের কথা আজমল চৌধুরী মান্য করে। মা যা বলে সবসময় তাই করে। আজমল চৌধুরী বেশ চিন্তায় আছেন মেয়েকে নিয়ে তার ভাবনা মেয়ে কিডন্যাপ হয়েছে কিন্তু কিডন্যাপাররা এখনো মুক্তিপণ দাবি করেনি কেন?? তাহলে কি ফুলই পালিয়েছে?? আজমল চৌধুরী ফুলকে নিয়ে একটুও ভাবছে না ভাবছে ওনার সম্মান নিয়ে। অনেক বড় বিজনেস তার বড়বড় লোকেদের সাথে তার ওঠাবসা। তাদেরকে কিভাবে মুখ দেখাবেন তিনি। তাই তিনি ভাবল নিজের সম্মান ফিরে পাওয়ার জন্য হলেও ফুলকে খুঁজে বের করতে হবে। উনি আস্তে আস্তে নিজের রুমে চলে গেলেন। নূরনাহার বেগম পানদানি থেকে পান সাজাতে সাজাতে বললেন,
–“আগেই কইছিলাম মাইয়া বিয়া দে। না ওনার মাইয়া আইএ পাস করবে তারপর বিয়া দেবে এহন বোঝ।”
বলতে বলতে তিনি মুখে পান পুরলেন।
স্পর্শ বাজারের একটা চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে। দোকানে কিছু বয়স্ক লোক বসা। ওনারও বলাবলি করছে আজমল চৌধুরীর মেয়ের বিষয়ে। আজকাল চায়ের দোকানে সবাই কথার ঝুড়ি নিয়ে বসে। দুনিয়ার যত সব কথা আছে ওই চায়ের দোকানেই হয়। স্পর্শ লোকগুলোর কথা শুনে মুচকি হাসলো। চা শেষ করে একটা হোটেলে গিয়ে ভাত আর তরকারি কিনলো। ফুল এখনও খায়নি আর তখন তো ফুল বলেছিল যে ও ভাত খাবে। খাবারের প্যাকেট হাতে নিয়ে স্পর্শ হাঁটতেছে। মনে মনে বলছে,
–“এত সহজে তুমি তোমার মেয়েকে খুজে পাবে না আজমল চৌধুরী। আর কদিন যাক তারপর শুরু হবে আসল খেলা। তোমার মুখ দিয়েই তোমার সব পাপের কথা শিকার করাব আমি। যে খেলা তুমি শুরু করেছো সে খেলা শেষ করব আমি। তৈরি থেকো!!”
স্পর্শ খাবারের প্যাকেট হাতে একটা বাড়িতে ঢুকলো যেখানে ও ফুলকে আটকে রেখেছে। এই বাড়িতে কেউ থাকে না। বাড়িটা পুরোপুরি ভাবে তৈরি ও হয়নি। শুধু দুটো রুম আধ কম্প্লিট হয়েছে আর বাড়ির মালিকের ও খোঁজ নেই। স্পর্শ অনেক খুঁজে বাড়ির মালিকের কাছ থেকে এই বাড়িটা ভাড়া নিয়েছে। বাড়িটা থেকে জনবসতি দুই কিলোমিটার পথের ও বেশি। বাড়ির চারপাশে ঘন গাছপালা বলতে গেলে অনেকটা জঙ্গলের মতো। স্পর্শ পকেট থেকে চাবি বের করে দরজার দিকে এগিয়ে গেল।
ফুল একদৃষ্টিতে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ দরজা খোলার শব্দে চোখ তুলে তাকিয়ে দেখল স্পর্শ এসেছে। স্পর্শকে এক পলক দেখে আবার ফ্লোরের দিকে চোখ দিলো। স্পর্শ মেঝেতে পাতা তোশকের উপর বসে খাবারের প্যাকেট খুলতে লাগল। প্যাকেট খুলতে খুলতে বলল,
–“এখানে কোন প্লেট নেই তাই তোমাকে প্যাকেটে করেই খেতে হবে বুঝেছো??”
স্পর্শের কথায় ফুল কোন রেসপন্স করল না। স্পর্শ গিয়ে ফুলের বাঁধন খুলে দিল মুখ থেকে টেপ ও খুলে দিল। ফুল হাত কচলাতে কচলাতে দাড়াতেই স্পর্শ হালকা ঝুঁকে ফুলের পরনের লুঙ্গিটাতে হাত দিতেই ফুল কষে একটা চড় বসিয়ে দিল স্পর্শের গালে। সাথে সাথেই স্পর্শ চোখদুটো বন্ধ করে ফেললো। রাগে ওর মুখটা লাল হয়ে গেছে। স্পর্শকে চড় মেরে ফুল নিজেও ভয় পেয়ে যায়। এখন কি হবে??স্পর্শ ওর সাথে বাজে ব্যবহার করবে না তো?? ওকে মারবে না তো?? ভয়ে জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে রইল ফুল।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,