#বিকেলে_ভোরের_ফুল
#পর্ব_৪
#Ishita_Rahman_Sanjida(Simran)
স্পর্শ তাকিয়ে দেখে ফুর চেয়ারসহ উল্টে পড়ে আছে। স্পর্শ তাড়াতাড়ি গিয়ে ফুলকে টেনে তোলে মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব ভয় পেয়ে আছে ফুল তাই তাড়াতাড়ি ওর বাঁধন খুলে দিল। ফুল রিতিমত হাপাচ্ছে। স্পর্শ ফুলের কাঁধে হাত রাখতেই ফুল কেঁপে উঠলো।
–“কি হয়েছে তোমার??ভয় পেয়েছ??”
ফুল কোন কথা বলছে না। স্পর্শ ভেবে পাচ্ছে না যে ফুল কি দেখে ভয় পেয়েছে?? মেয়ে মানুষ তো আবার ভূতের ভয় পায়। স্পর্শ বারবার ফুলকে জিজ্ঞেস করছে কি হয়েছে কিন্তু ফুল কিছুই বলছে না। স্পর্শ বিরক্ত হয়ে একটা ধমক দিয়ে বলল,
–“এই মেয়ে হয়েছে কি তোমার বুড়ো মানুষের মতো কাপছো কেন??”
ফুল ভয়ে ভয়ে বলল,
–“ও ওখানে,,,,”
স্পর্শ পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করল ওখানে কি আছে??
–“কি ওখানে??”
ফুল কেঁদে দিয়ে বলল,
–“ওখানে একটা কালো বিড়াল।”
ফুলের কান্নার বেগ আরও বেড়ে গেল। স্পর্শ কপাল চাপড়ে বলল,
–“উফফ এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারিনা। কালো বিড়াল তো কি হয়েছে??”
–“আমি কালো বিড়ালকে খুব ভয় পাই। চোখগুলো কেমন জ্বলজ্বল করে আমার খুব ভয় লাগে।”
–“হুম সেইজন্য চেয়ারে বাঁধা অবস্থায় লাফালাফি করে উল্টে পড়ে গেছ তাই তো??”
ফুল নিচু স্বরে বলল,–“হুম”
–“যতসব উটকো ঝামেলা। কোথায় বিড়াল দেখি।”
স্পর্শ উঠে চারিদিকে খুঁজল কিন্তু কোথাও কোন কালো বিড়াল পেল না। স্পর্শ ফুলের সামনে এসে দাড়িয়ে বলল,
–“তোমার কালো বিড়াল চলে গেছে এখন ঘুমাও আর আমাকেও ঘুমাতে দাও।”
স্পর্শ দড়ি হাতে নিতেই ফুল কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,
–“প্লিজ আমাকে চেয়ারের সাথে বাঁধবেন না আমি এভাবে ঘুমাতে পারি না। মুখ বাঁধলে আমার নিঃশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয় মনে হয় এখুনি মরে যাব।”
ফুলের মুখে মরে যাওয়ার কথাটা স্পর্শর ভালো লাগলো না। ফুলের মতো সুন্দর মুখটার প্রতি ওর মায়া হলেও তা প্রকাশ করল না।
–“আচ্ছা তুমি বিছানায় ঘুমাও তবে সাবধান কোন উল্টাপাল্টা কাজ করার চেষ্টা ও করবে না মাইন্ড ইট।”
ফুল মাথা ঝাঁকিয়ে তাড়াতাড়ি গিয়ে বিছানায় শুয়ে পরল। আর স্পর্শ চেয়ারে বসে রইল। এভাবে বসে বসে ঘুমাতে স্পর্শর ও কষ্ট হচ্ছে তবুও কিছু করার নেই।
সকালে স্পর্শর আগেই ফুলের ঘুম ভাঙল। ফুল তাকিয়ে দেখে স্পর্শ চেয়ারে হেলান দিয়ে গভীর ঘুমে মগ্ন। ফুল ভাবল এটাই পালানোর মক্ষম সুযোগ। এই সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করা যাবে না। ফুল আস্তে আস্তে দরজার দিকে এগোতেই দেখল দরজায় ইয়া বড় তালা ঝুলছে। হতাশ হয়ে ফিরে এলো ফুল। কিন্তু হাল ছাড়লো না স্পর্শর ব্যাগের ভেতর চাবি খুঁজতে লাগল। খুব সাবধানেই চাবির সন্ধান করছে ফুল। কিন্তু ব্যাগে চাবি পেল না ভাবল হয়তো স্পর্শর পকেটেই আছে তাই ও আস্তে আস্তে স্পর্শর দিকে এগিয়ে গেল। স্পর্শকে ভালো করে দেখে তারপর আস্তে করে স্পর্শর বুক পকেটে হাত দিলো। স্পর্শ একটু নড়েচড়ে উঠতেই ফুল ভয়ে হাত সরিয়ে নিল। স্পর্শ একটু নড়েচড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ল। ফুল স্পর্শর পকেটে হাত ঢুকিয়ে আস্তে করে চাবিটা বের করে। চাবিটা হাতে পেয়েই ফুলের ঠোঁটের কোণে হাঁসি ফুটে উঠল।
চাবি নিয়ে পিছনে ঘুরতেই স্পর্শ ওর হাতটা খপ করে ধরল আরেক হাতে ফুলের চুলের মুঠি ধরে টেনে চেয়ারে বসিয়ে দিল। তারপর ওর হাত থেকে চাবিটা নিয়ে নিল। ফুল তো ভয়ে শেষ। স্পর্শ এখন কি করবে??মারবে কি??
স্পর্শ রেগে বলল,
–“আবার পালানোর চেষ্টা করছিলে। তোমাকে কাল রাতে লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়েছিলাম বাট তুমি শোননি। এখন দেখবে আমি কি করি??”
ফুল শুকনো ঢোক গিলে বলল,
–“ক কি করবেন??”
–“সেটা পরেই বুঝতে পারবে।”
স্পর্শ দড়ি দিয়ে আবার ফুলকে বেঁধে দিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। সারারাত ওর তেমন ঘুমাতে পারেনি। তাই এখন ওর ঘুমের প্রয়োজন। আগে ঘুমাবে তারপর ফুলের একটা ব্যবস্থা করবে। স্পর্শ শোয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে গেল। ফুল চুপচাপ চেয়ারে বসে স্পর্শর দিকে তাকিয়ে আছে। মনে মনে বলছে,
–“ধ্যাত সব গেল জলে। একটা সুযোগ পেয়েছিলাম পালানোর তাও হাতছাড়া হয়ে গেল। এই কিডন্যাপারটা খুব চালাক। উফফ
আমি এখান থেকে পালাব কি করে আল্লাহ??”
বেলা দশটায় স্পর্শর ঘুম ভাঙলো চোখ ডলতে ডলতে স্পর্শ উঠে দাঁড়ালো। স্পর্শ ফ্রেশ হতে বাথরুমের দিকে এগোতেই ফুলের আওয়াজ আসলো। ফুল চেয়ার নড়াচ্ছে আর উমমমম উমমমম শব্দ করছে। স্পর্শ বিরক্ত হয়ে বলল,
–“কি হয়েছে??”
–“উমমমমমমমমমম”
–“উফফফ”
স্পর্শ ফুলের মুখ থেকে টেপ খুলে দিল। সাথে সাথেই ফুল বলে উঠলো,
–“তাড়াতাড়ি আমার হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিন।”
–“কেন??পালাবে নাকি??”
–“আরে খুলুন না?? ইমার্জেন্সি প্লিজ।”
–“কিসের ইমার্জেন্সি??”
–“আগে আমার বাঁধন খুলুন তারপর দেখাচ্ছি।”
স্পর্শ ফুলের বাঁধন খুলে দিতেই ফুল এক দৌড়ে বাথরুমে চলে গেল। স্পর্শ নির্বাক হয়ে এক মিনিট চেয়ে থেকে বোঝার চেষ্টা করল। যখন বুঝতে পারল তখন ফিক করে হেসে দিল। ফুল কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে এলো।
–“উফফ বাঁচা গেল। এই কালকের বিরিয়ানী খেয়েছিলাম বলে এত চাপপপপ দিয়ে,,,,”
বলতে বলতেই ফুল চেয়ে দেখল স্পর্শ দেওয়ালে হেলান দিয়ে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। স্পর্শকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে ফুল লজ্জায় পড়ে গেল। মাথা নিচু করে চেয়ারে গিয়ে বসল স্পর্শ এখনও ওখানে দাঁড়িয়ে ফুলের দিকে তাকিয়ে আছে। ফুল বিরক্তি নিয়ে বললো,
–“এখন ওখানে সং সেজে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?? বাঁধুন আমাকে।”
স্পর্শ তারপরও কিছু বলল না দেখে ফুল বলল,
–“ওকে ফাইন আমি নিজেই নিজেকে বাধছি।”
দড়ি হাতে নিয়ে ফুল নিজের পা বাঁধল কিন্তু সমস্যায় পড়ল হাত বাঁধতে গিয়ে। একহাত দিয়ে তো আর হাত বাঁধা যায় না। স্পর্শ ফুলের এহেম কান্ড দেখে মুচকি হেসে এগিয়ে এসে ফুলের হাত চেয়ারের সাথে বেঁধে দিল।
–“মুখে টেপ লাগাবেন না আমি চেচাব না। চেচানোর শক্তি নেই আমার।”
স্পর্শ ফুলের মুখটা বাঁধল না। ফ্রেশ হয়ে এসে স্পর্শ গায়ের শার্টটা পাল্টে নিল তারপর ফুলের মুখে টেপ লাগিয়ে দরজায় তালা দিয়ে বেরিয়ে পড়ল। সকালে খাওয়া হয়নি ওর আর ফুলও না খেয়ে আছে। এগারোটা বেজে গেছে এখন কোন দোকানেই সকালের নাস্তা পাওয়া যাবে না। স্পর্শ পড়ল এক বিপদে এখন কি করবে??অন্য কিছু নিলে তো ফুল বমি করে সব নষ্ট করে দেবে। অনেক ভেবে স্পর্শ চারটা কাপ নুডুলস কিনল তারপর একটা ফ্লাগ্স কিনল দোকানদারের কাছ থেকে গরম পানি নিল। আর এক প্যাকেট কেক কিনে নিয়ে ফিরল। দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে সবকিছু বিছানার উপর রাখলো। তারপর নুডুলসের কাপগুলো বের করলো। চারটে কাপই খুলে তার মধ্যে মশলা দিয়ে গরম পানি দিল। তারপর কাপগুলোর ঢাকনা আটকে দিল। এভাবে পাঁচ মিনিট রাখতে হবে তাহলেই নুডুলস সিদ্ধ হয়ে যাবে। এরপর স্পর্শ গিয়ে ফুলের মুখের টেপ খুলে দিল আর ডান হাত খুলে দিয়ে ওর হাতে কেকের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বলল,
–“খেয়ে নাও এখন যদি বল যে আমি কেক খাইনা তাহলে কানের নিচে এমন একটা দেব না বাব দাদা চৌদ্দ গুষ্টি এসে কেক খাবে।”
ফুল মাথা নাড়লো। স্পর্শ আবার নিজের জায়গায় গিয়ে বসে। ফুল একহাতে কেকের প্যাকেট ছিঁড়তে চেষ্টা করতেছে কিন্তু পারছে না তাই স্পর্শকে বলল,
–“এই যে শুনুন।”
স্পর্শ ফুলের দিকে তাকিয়ে বলল,
–“কি??”
–“প্যাকেটটা ছিঁড়তে পারছি না এই হাতটা খুলে দিবেন কি??”
স্পর্শ ফুলের সামনে এসে হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে বলল,
–“না না তা হবে না। অনেক ছাড় দিয়েছি তোমাকে আর না। আমি খুলে দিচ্ছি।”
স্পর্শ কেকের প্যাকেট খুলে দিয়ে নিজে নুডুলস খেতে লাগলো। ফুল চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে স্পর্শর খাওয়া দেখতেছে। মনে মনে বলছে,
–“এই রাক্ষুসে কিডন্যাপারটা এতগুলো নুডুলস খাবে নাকি??এমন মানুষ রাক্ষস আমি জীবনে দেখিনি।”
ফুল কেক খেতে খেতে স্পর্শকে বলল,
–“এই যে শুনুন।”
স্পর্শ বিরক্ত হয়ে বলল,
–“আবার কি?? শান্তিতে খেতে দেবে না??”
–“না মানে পানি খাব।”
স্পর্শ পানির বোতলটা ছুঁড়ে মারল ফুলের দিকে ফুলও সাথে সাথে ধরে ফেলল। কিন্তু এবারও সমস্যা হলো গিয়ে পানির বোতলের ছিপি খোলা নিয়ে। একহাতে তো আর ছিপি খোলা যায় না। তাই ফুল আবার বলল,
–“একটু শুনুন।”
স্পর্শ চোখ গরম করে ফুলের দিকে তাকাতেই ফুল আমতা আমতা করে বলল,
–“না মানে পানির বোতলটা একটু,,,,”
স্পর্শ হাত উঠিয়ে ফুলকে থামিয়ে দিয়ে উঠে এসে বোতলের মুখ খুলে দিল। ফুলও পানি খেয়ে নিল। খাওয়া শেষে স্পর্শ আবার ফুলকে বেঁধে দিয়ে চলে গেল। ফুল চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে। এখন আর ওর কান্না পাচ্ছে না। কাঁদতে কাঁদতে ওর চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। ফুল ভাবছে ওকে কি কেউ উদ্ধার করতে আসবে না??ওর বাবা তো অনেক বড় শিল্পপতি। সিলেটের সবচেয়ে নামিদামি লোকের সাথে ওঠাবসা তার। সব পুলিশ অফিসাররাও ওনার হাতের মুঠোয়। তাহলে ওকে খুঁজে পেতে এতো দেরি হচ্ছে কেন?? তখনই ফুলের মনে পড়ল যে ও তো একটা মেয়ে। মেয়ে হয়ে জন্মানো ওর যেন বিরাট বড় ভুল হয়েছে। তাইতো প্রাপ্ত বয়স না হওয়ায়ও ফুলের বিয়ে দিচ্ছিল ওর বাবা। আর মেয়ে কিডন্যাপ হওয়াতে বোধহয় বড় বাঁচা বেঁচে গেছে তাই কোন খোঁজখবর নিচ্ছেন না। এসব ভাবতে ভাবতেই দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে ফুল। ওর জীবনের এই করুন পরিহাস দেখে ও নিজেই হেসে ফেলে।
আজকে সন্ধ্যা নামার আগেই স্পর্শ ফিরে আসে। কারণটা হলো কালকে ফুল অন্ধকারে ভয় পেয়ে ছিল। স্পর্শ ঘরে ঢুকল হাতে ওর বড় একটা ব্যাগ। ফুল উঁকি দিয়ে দেখছে স্পর্শ ওত বড় ব্যাগে কি এনেছে?? স্পর্শ ব্যাগ থেকে বড় একটা লোহার শিকল বের করল। তা দেখে ফুল বড়বড় চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। স্পর্শ শিকলটা হাতে নিয়ে একটা খামের সাথে আটকালো তারপর ফুলের সামনে এসে ওর মুখের টেপটা খুলে দিয়ে হাতের বাঁধন খুলতে লাগলো।
–“এই শিকল দিয়ে কি হবে??”
স্পর্শ ফুলের পায়ের দড়ি খুলতে খুলতে বলল,
–“তোমাকে বাঁধা হবে। যাতে তুমি পালাতে না পারো।”
ফুল এক দৃষ্টিতে শিকলটার দিকে তাকিয়ে রইল। তা দেখে স্পর্শ বলল,
–“কি হলো ভয় পাচ্ছ নাকি??”
ফুল মুচকি হেসে বলল,
–“ভয় পাব কেন?? এতদিন অদৃশ্য শিকলে বাঁধা ছিলাম আর এখন না হয় দৃশ্যমান শিকলে আটকে থাকি।”
স্পর্শর কেমন যেন সন্দেহ হল ফুলের কথায়। এতদিন অদৃশ্য শিকলে বন্দি ছিল মানে। জানার জন্য স্পর্শ জিজ্ঞেস করল,
–“অদৃশ্য শিকলে বন্দি ছিলে মানে??”
–“আপনি তো কিডন্যাপার আপনি এতকিছু জানতে চাইছেন কেন??আপনার তো জানার কোন অধিকার নেই।”
–“উফফ একটা প্রশ্ন করেছি তাই বলে এত জ্ঞান দিচ্ছো কেন?? এখন মনে হচ্ছে তোমার বাবাকে কিডন্যাপ করলেই ভালো হতো।”
ফুল আর কিছু বলল না। স্পর্শ শিকলটা ফুলের এক পায়ে লাগিয়ে দিলো। শিকলটা খুব বড় থাকায় ফুল সারারুমে হাঁটতে দৌড়াতে এমনকি বাথরুমেও যেতে পারবে। স্পর্শ ফুলের হাতে বালতি আর ঝাড়ু দিয়ে বলল,
–“এখন থেকে কাজে লেগে পড়ো। রুমটা ঝাড়ু দিয়ে মুছে ফেল।”
ফুল মাথা নাড়ল। স্পর্শ দরজা আটকে বাইরে চলে গেল। ফুল খুব সুন্দর করে রুমটা পরিস্কার করল।
রাতে স্পর্শ খেতে বসতেই ফুল বলল,
–“আমি খাব না।”
–“কেন??”
–“আমার খিদে নেই।”
–“খিদে নেই কেন??”
–“আমি খেলাম না খেলাম সেটা দিয়ে আপনি কি করবেন?? আপনি তো আমার সেবা করার জন্য এখানে আনেননি। তাহলে খেতে বলছেন কেন??আমি না খেলে আপনার কি?”
–“ফালতু কথা বলবে না। আর আমার কি মানে?? আমি টাকা খরচ করে খাবার কিনে এনেছি তোমাকে খেতেই হবে না হলে এক থাপ্পড়ে সব দাঁত ফেলে দেব।”
স্পর্শর ধমকে ফুল পায়ে আকটানো শিকলটা টেনে স্পর্শর পাশে বসল। কিন্তু ফুল খাচ্ছে না। এক লোকমা খেয়ে আর পেটে যাচ্ছে না। ফুল খাবার নেড়ে যাচ্ছে তা দেখে স্পর্শ,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,