বেলাশেষে পর্ব -১৩

#বেলা_শেষে। [১৩]

– আহা জানেমান কি করছো। ওটা নিচে রাখো বলছি। আজ নিজেকে শেষ করে দিয়েও আমার হাত থেকে বাঁচতে পারবে না। কথাগুলো বলেই পৈশাচিক হাসি দিলো মাহিন।মাহিনের কথা শুনে মাথা নাড়িয়ে স্মিত হাসলো ভূৃমিকা। তারপর বলল,

-তোর কি মনে হয় আমি নিজেকে শেষ করে দিবো? তোর ভয়ে আমি আমার প্রান দিবো। যদি তুই এটাই ভেবে থাকিস তাহলে ভুল ভাবছিস।তোদের কাছে আমার প্রাণের মূল্য নাই থাকতে পারে। কিন্ত আমার পরিবার আছে, আপনজন জন আছে। আমি জানি আমি কতটা মূল্যবান তাদের কাছে।তোর মতো একটা অমানুষের জন্যে নিজের শেষ করে দিবো সেটা ভাবলি কি করে। গ্রামের মেয়ে আমি। এই হাতে যে ভাবে কলম চালাতে পারি ঠিক সেই ভাবে লাঠিও চালাতে পারি আমি। বিশ্বাস কর তোর মতো নরকীটকে মারতে আমার একটুও খারাপ লাগবে না।শুধু একটাই আফসোস হবে আমার নামের সাথে খুনি শব্দটা জুরে যাবে। যেটা আমি কিছুতেই চাইনা। কিন্তুু, কিন্তুু তোর মতো নরকের কীটকে মেরে খুনি তকমা পেয়েও গর্ব করে বাঁচতে পারবো। আমি আমার সম্মান নষ্ট হতে দেয়নি।মেরে ফেলেছি তাকে চিৎকার করে কথাগুলো বলে ওয়াইনের বোতলটা দেয়ালের সাথে বারি দিয়ে ভেঙে নিলো।

ওয়াইনের বোতলগুলো মাহিন নিয়ে এসেছিলো। কেননা ড্রিংক করে মৌন নেশাটা বেশী উপভোগ করা যায়। ভূমিকা চোখমুখ শক্তকরে দাঁড়িয়ে রাগে কাপাকাপি করছে। ওর একহাতে ভাঙা ওয়াইনের বোতল। মাহিন শয়তানি হাসি হাসলো। হাত দিয়ে দাড়িতে হাত বুলিয়ে ভূমিকার কাছে আসতে আসতে বলল,

-এই তেজের জন্যেই তোমার এতটা ভালো লাগে আমার। আমি তোমার সব তেজ শেষ করে দিবো। ভূমিকার কাছে এসে দাঁড়ালে ভূমিকা ভাঙা বোতল দিয়ে মাহিনকে আঘাত করতে নেয়। আনফোরটোনাটলি মাহিন ভূমিকার হাত ধরে ফেলে। তারপর ভূমিকার হাত থেকে বোতলা টা নিয়ে সেটা ছুঁড়ে ফেলে দিলো। ভূমিকা রাগে কটমট করছে আর নিজেকে ছাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। মাহিন ভূমিকাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। ভূমিকা শত ধস্তাধস্তি করেও নিজেকে ছাড়াতে পারে না। পা দিয়ে এলোপাথাড়ি লাথি দিচ্ছে মাহিনকে তখনি ভূৃমিকার পায়ের সাথে একটা লাঠি সংঘর্ষণ হয়। ভূমিকা নিজেকে শান্তকরে স্থির হয়ে দাঁড়ায়। মাহিন মুচকি হাসে তার ধারনা ভূৃমিকে নিজেকে তার কাছে সুপে দিয়েছে। ভূমিকা লাঠিটা তার পায়ে বাজিয়ে নিঃশব্দ উঠেয়ে হাতে নেয়।তারপর মাহিনের মাথার পিছনের দিকে আঘাত করে। ঘটনাক্রমে মাহিন মাথায় হাত দিয়ে পিছিয়ে যায়। আর ভূমিকা মাহিনকে লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকে। একসময় মাহিন লাঠিটা ভূমিকার হাত থেকে নিয়ে সেটা দূরে ছুঁড়ে দেয়। তখনি ভূমিকা একটা ওয়াইনের বোতল নিয়ে সেটা দিয়ে মাহিনের মাথায় আঘাত করে। আর মাহিনের মাথায় কেটে সেখান থেকো রক্ত ঝরতে থাকে। মাহিন ফ্লোরে শুয়ে পরে। ভূমিকা বোতলটা হাত থেকে ফেলে দিলো। তারপর বলল,,
এই নরকের কীটটা কি মরে গেলো নাকি। এই মরলে তো আবার আমাকে জেলে যেতে হবে। এই রকম একটা পশুর জন্যে আমি কেন শাস্তি পাবো। এই কাচের বোতল দিয়ে মারাটা ঠিক হবে না। তারপর সে আবার লাঠি নিজের হাতে তুলে নিলো আর মাহিনকে মারতে লাগলো।

এদিকে সেই বাচ্চাটা এখনো পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার মা তাকে নিয়ে যেতে চাইলে সে বলছে, আন্টি আমার বেলুন আনবে তারপর যাবো। বাচ্চাটির মা কিছুই বুঝতে পারছে না। কিসের আন্টি কিসের বেলুন। সে মাথায় হাত দিয়ে বাচ্চার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। আসলে বাচ্চাদের মন খুব স্বচ্ছ আর পবিত্র। তারা একবার যেটা বিশ্বাস করে ফেলে, শত চেষ্টাকরেও সেই বিশ্বাস থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে না। যেমন এখন এই বাচ্চাটি, এখন বিশ্বাস করছে ভূমিকা তার বেলুন নিয়ে আসবে মানে আসবেই। সে এই বিশ্বাসটাই নিয়ে এখানে এখনো দাঁড়িয়ে আছে।

-বৈশাখী, তুই এখানে?? পুকুরের পাশে এসে দাঁড়িয়ে বলল, আরাভ। আরাভে কন্ঠশ্বর শুনে উৎসুক দৃষ্টিতে সামনে তাকালো সেই বাচ্চাটির মা। তারপর অভিমানী গলায় বলল,

-বৈশাখী নয় বৈশালী। তোকে কতবার বলবো আমাকে বৈশাখী ডাকবি না।

-ওই একই হলো। আমাদের মামা কোথায়?? [বৈশালী আরাভের কলেজ ফ্রেন্ড]

-ওই তো। বৈশালী তার বাচ্চাটাকে ইশারায় দেখিয়ে বলল। বাচ্চাটাকে দেখে মৃদু হাসলো আরাভ। তারপর তাকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করলো। বৈশালী আর তার বাচ্চাকে নিয়ে আরাভ ভিতরে যেতে চাইলে বাচ্চাটা জেদ ধরে বসে তার বেলুন নিয়ে না আসলে সে কোথাও যাবে না। আরাভ জিগ্যেস করে কে তোমার বেলুন নিয়েছে??

-ওই পচা আংকেলটা। আন্টি গেলে বেলুন আনতে?? বাচ্চাটার কথার আগাগোড়া কিছুই বুঝতে পারছে না আরাভ। আংকেল বেলুন নিছে, আন্টি বেলুন আনতে গেছে। ব্যপারটা তার কাছে কেমন জানি খটকা লাগছে। আরাভ আবারও জিগ্যেস করলো,

-কোথায় তোমার বেলুন, মামা?? বাচ্চাটা এবারও সেই একই রুমটা দেখিয়ে দেয়। আরাভ বাচ্চাটাকে তার কোল থেকে নামিয়ে বৈশালী বলে,

-একটু অপেক্ষা কর আমি আসছি। আরাভ তাড়াতাড়ি করে সেখান থেকে চলে আসে। তার গন্তব্য এখন ওই বদ্ধ রুমটা। এদিকে দিগন্ত অনেক্ষণ হলো ভূমিকাকে দেখতে পায়নি। তাই সেও খুঁজছে ভূমিকাকে। আরাভ আর দিগন্ত দু-জনেই ভূমিকাকে খুজছে। শিড়ির কাছে আসতেই দু-জনের মাঝে ধাক্কা লাগে। দিগন্ত আরাভকে সরি বলে, পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইলে আরাভ দিগন্তকে ডেকে দাঁড় করায়। তারপর দিগন্তকে সঙ্গে করে নিয়ে যায় সেই বন্ধরুমের কাছে। রুমের কাছে এসে দিগন্ত দরজায় টুকা দিলো। তখন দেখলো দরজা ভেতর থেকে লক করা কিন্ত ভিতরে কি হচ্ছে না হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না কেও।

-ভাই এখন কি করবো?? দরজা তো ভিতর থেকে লক করা।

-ভাংতে হবে?? আরাভ দরজায় কয়েকটা ধাক্কাদিলো কিন্ত কোন কাজই হলো না।শুধু মাত্র তার এনার্জি লস ছাড়া। তারপর দিগন্তকে বলল,স্ক্রু ড্রাইভার লাগবো। ব্যবস্থা করো কুইক। দিগন্ত নওশাদকে কল করে স্ক্রু ড্রাইভার নিয়ে আসতে বলল। ততক্ষণ ওরা দুজনে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো। প্রায় দশ মিনিট পর নওশাদ আর তপু আসলো স্ক্রু ড্রাইভার নিয়ে। ওদের পিছন পিছন আসলো মিমি। নওশাদ স্ক্রু ড্রাইভার দিলে আরাভ নিজে একটা জানালা খুলে। জানালার ভেতর দিয়ে সবাই ক্লাসরুমের ভেতরে প্রবেশ করে

ভেতরে প্রবেশ করতেই সকলে শকড্ হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। ওদের সামনে ফ্লোরে নিথর হয়ে শুয়ে আছে মাহিন।কপাল থেকে রক্ত বের হচ্ছে তার। আর তার থেকে কিছুটা দুরত্ব বজায় রেখে ফ্লোরে হাটুগেরে বসে আছে ভূমিকা মাহিনকে মারতে মারতে নিজেই ক্লান্তহয়ে ফ্লোরে বসে পড়ে সে। নওশাদ আর তপু অস্ফুটভাবে বলল, ভূমি মাহিন তোরা এখানে??

– ভূমিকা ওদের সকলের দিকে চোখ বুলিয়ে আবার মাহিনের দিকে তাকায়। মাহিন মাথাটা হালকা উচু করে সবাইকে দেখে আবার আগের ন্যায় শুয়ে পড়ে। মিমি গিয়ে ভূমিকাকে উঠিয়ে নিজের সাথে জড়িয়ে নেয়। ভূমিকার গায়ে হাত বুলিয়ে বলে,

-তুমি ঠিক আছো?? বিনিময়ে ভূমিকা মাথা নাড়ায়। আরাভ চোখমুখে ক্রোধ নিয়ে হাতের মুঠি শক্তকরে দাঁড়িয়ে আছে। নওশাদ আর তপু গিয়ে মাহিনকে উঠিয়ে নেয়। উঠে দাঁড়াতেই মাহিন ওদের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়। ব্যাটা বজ্জাত এত মার খেয়েও দম কমেনি। দিগন্ত মাহিনের সামনে দাঁড়িয়ে বলল,

-আগেই বলেছিলাম, ভূমির পিছনে লাগিস না। নিজের বিপদ ডেকে আনিস না দিগন্তের কথা শুনে শয়তানি হাসি দিলো আরাভ। বাম হাত দিয়ে কপালের রক্তমুছে থুঁথুঁ ফেলল। তারপর বলল,

-আমার আগেই বুঝা উচিৎ ছিলো, ভূমি শুধু তোকে সার্ভিস দিবে। আড় চোখে মিমির দিকে তাকিয়ে বলল।

-ভদ্রভাবে কথা বল মাহিন। ধমক দিয়ে বলল দিগন্ত।

-ভদ্র, কাকে ভদ্রতা দিয়ে কথা বলবো তোকে নাকি তোর ওই কাজের মেয়েকে। যে কিনা কাজের নাম করে রাতের পর রাত তোর সাথে কাটায়। তুই অস্বীকার করতে পারবি, ভূমি তোর সাথে থাকে না।কেন দিনের পর রাত, রাতের পর দিন তোর বাসায় থাকে ওই মেয়েটা। কি সম্পর্ক তোদের?? নাকি আমি ধরে নিবো ভূমি কাজের মেয়ে নামক তোর রক্ষিতা। মাহিনের কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে যায় দিগন্ত। ভূৃমিকা তার দু-চোখ বন্ধকরে নিলো। তাকে এই রকম বাজে কথাও শুনতে হলো। খুব কান্না পাচ্ছে তার। অশ্রুসিক্ত নয়নে দিগন্তের দিকে তাকালো সে। শুধু একটা উত্তরের আশায়। দিগন্ত কি আজও সত্যিটা বলবে না। সবার সামনে তাকে রক্ষিতাই বানিয়ে দিবে। দিগন্ত কিছু বলছে না নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। আরাভ নিজেকে আর সামলাতে পারলো না। মাহিনের কলার চেপে ধরলো সোজা। তারপর হাতের মুঠি শক্তকরে উঠালো মাহিনের নাক বরাবার ঘুষি দেওয়ার জন্যে। কিন্তু তার আগেই পিছন থেকে দিগন্ত বলে উঠলো,

-ভূমি আমার স্ত্রী। পরপর কয়েকবার এই শব্দ তিনটে আরাভ এর কানে প্রতিধ্বনি হতে লাগলো। হাতের মুঠি নামিলে নিলো সে। তারপর তাকালো দিগন্তের দিকে, দিগন্ত আবারও বলল,

-হ্যাঁ এটাই সত্যি ভূমি আর আমার বিয়ে হয়েছে। আরাভ এবার ভূমিকার দিকালো। ভূমিকা তখন নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলো। মিমি দিগন্তের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল,

-এসব তুমি কি বলছো দিগন্ত। তোমার বিয়ে হয়েগেছে মানে?? তুমি মিথ্যে বলছো তাইনা। এই মেয়েকে বাঁচানোর জন্যে বলছো এসব। কি হলো দিগন্ত চুপ করে আছো কেন?? বল তুমি যা বলছো সব মিথ্যে।

-মিথ্যে নয় সব সত্যি। দিগন্তের এই কথাটা শুনে উপস্থিত সকলে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। নওশাদ বলে উঠলো,

-তাহলে সে দিন ভূমিকে কাজের লোক হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিলি কেন?? নওশাদের প্রশ্ন শুনের করুন চোখে মিমির দিকে তাকালো দিগন্ত। তারপর অস্পষ্ট ভাবে বলল,

-আমি মিমিকে হারাতে চাইনা তাই। দিগন্তের কথা শুনে এক সেকেন্ড ও অপেক্ষা করলো না মিমি। কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে গেলো। দিগন্ত মিমি পিছনে ছুটলো।তারপর একে একে সবাই প্রস্থান করে। ভূমিকাও চলে আসে। সবাই চলে আসার পর আরাভ দেয়ালে একটা ঘুষি দেয়। যার কারনে তার হাত কেটে যায়। কিন্তু সেদিকে খেয়াল নেই তার।তার কানের কাছে শুধু একটা কথাই বেজে যাচ্ছে ভূৃমি আমার স্ত্রী।

তারপর কেটেগেছে তিনদিন। এর মধ্যে দিগন্তের সাথে কোন কথা হয়নি তার। বেশীরভাগ সময় রুমেই কাটিয়েছে সে। কলেজেও যায়নি। দিগন্ত সারাক্ষণ মন মরা হয়ে থাকতো। কেননা মিমি তার সাথে কথা বলছে না। ভূমিকা ঠিক করেছে সে সব ঠিক করে দিবে। আজ সকাল সকাল কলেজে চলে যায় সে। বাসা থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় দিগন্ত ড্রয়িংরুমেই ছিলো। তবুও কেও কারো সাথে কথা বলেনি।

সবাই যখন একসাথে ব্রেকফাস্ট করছিলো তখন জুবাইদা আজহারকে বলল,
-বাবা আপনার নাতিকে একটু বুঝান না। আমার বান্ধুবির মেয়েটা অনেক ভালো। যেমন সুন্দর তেমনি শিক্ষিতা। ওকে একটু বলুন না মেয়েটার সাথে দেখা করতে।

-আমি বিয়ে করবো না। খাবার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল আরাভ। সকলে আরাভের কথায় শকড্। যে ছেলেটা এতদিন শুধু একটু সময় চেয়েছে সে এখন বলছে আমি বিয়ে করবো না।

-কেন করবি না তুই বিয়ে। [আজহার]

-ওকে জোর কেন করছো বাবা। তাছাড়া মহাপুরুষ গন বিয়ে করেন না। আমার ছেলে তো আর মহাপুরুষের থেকে কোন অংশে কম নয়। খাবার খেতে খেতে বললেন আদনান।

-কোন মহাপুরুষ বিয়ে করেনি শুনি। কোমড়ে হাত দিয়ে জিগ্যেস করলেন জুবাইদা

-কেন? আমাদের হিমুই তো বিয়ে করে নি। তাছাড়া,,,

-এই তুমি থামতো। সারাক্ষণ বইয়ে মুখ গুজে থাকতে থাকতে দিন দুনিয়া সব ভুলে গেছো তুমি। বেশ উৎসুক নিয়েই মহা পুরুষদের নাম শুনতে চেয়েছিলো জুবাইদা। কিন্ত প্রথমেই হিমুর নাম শুনে তার মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়। আরাভ খাবার ছেড়ে সবাইকে বিদায় জানিয়ে চলে আসে।

পরন্ত বিকাল। ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। এই অসময়ে বৃষ্টির কারন জানা নেই ভূমিকার।এই বৃষ্টিতে একমনে হেটে যাচ্ছে সে। বৃষ্টির পানি শরীরে পড়ে জামাকাপড় শরীরের সাথে লেপ্টে আছে তার। কিন্ত সেদিকে কোন খেয়ালই নেই । ভূমিকার মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে তার বেশ মন খারাপ। চোখ দু-টো লাল হয়ে আছে। তবে কি সেও এই বৃষ্টির সাথে সাথে কাঁদছে। বৃষ্টিতে ভিজে কাঁদার এই একটাই সুবিধা কোনটা বৃষ্টির পানি আর কোনটা চোখের পানি তা বুঝা যায় না। মেঘের দলের মতো সেও বোঝা সহ্য করতে না পরে চোখে বৃষ্টি ঝড়াচ্ছে। শুনেছি এক পশলা বৃষ্টির পরে সবসময়ই ভালো কিছু সকলের জন্যে অপেক্ষা করে। তাহলে কি ভূমিকার এই দুঃসময়ের পর সুসময় আসবে। আনমনে হাটছে সে। তখনি খেয়াল করলো কেও তার মাথার উপরে ছাতা ধরেছে। ভূমিকা ছাতার দিকে একপলক তাকিয়ে তার পাশে থাকা লোকটার দিকে তাকালো। লোকটিকে দেখে ভ্রু কুচকালো ভূমিকা অতঃপর বলল,

-আপনি???

চলবে,,,,,,,,,,,

#লেখিকা- মাহফুজা আফরিন শিখা।

(ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here