গল্প : #বেস্টফ্রেন্ড_যখন_বউ
পর্ব : ২+৩
লেখক: –
#Md_Anwar_Hussain
জান্নাত বলল ” দূর
আমিত মজা করছিলাম!!
কিন্ত জান্নাতের চোখ
মুখে ফুটে উঠেছে ও
আমাকে পছন্দ করে বাট
ফ্রেন্ডশিপ নষ্ট হওয়ার
ভয়ে কিছু বলতে পারছে
নাহ্!
।।
।।
।।
।।
।।
।।
।।
সেদিন এর মত বাসায়
চলে আসলেও মনের
মধ্যে এক রকমের খুচখুচ
সৃষ্টি হচ্ছে!
কারন জান্নাতের সাথে
আমার অনেক দিনের
ফ্রেন্ডশিপ প্রায় ৪
বছরের কাছাকাছি!!
তবে এত লম্বা সময়েও
কখনো বুঝতে পারিনি
জান্নাত আমাকে
ভালোবাসে!ও এত
রিলেশন করতে চায়
কিসের জন্য সেটা এখন
বুঝতে পেরেছি!!
জান্নাত দেখতে চায় ও
রিলেশন করলে আমি
কোন রিয়াক্ট করি কি
না!!আমি সত্যিই খুব
বোকা এতদিন পর এত বড়
সত্যিটা যানতে
পেরেছি!!
এগুলা ভাবতে ভাবতে
সিঁড়ি দিয়ে উপরে
উঠছিলাম!
এমন সময় দুলাভাই এর
বোন আখির সাথে
ধাক্কা লাগলো!!
আমি খুব ভালো করেই
বুঝেছি, এটা হঠাৎ
ধাক্কা না! আখি ইচ্ছে
করেই দিয়েছে!!
আখি বলল : কি চোখে
দেখেন না নাকি!
আমি : সরি,
আখি : সরি মানে?
এভাবে হবে না, আপনি
বলেন, আমার ভুল
হয়েছে প্লিজ মাফ করে
দেন!!
আমি : ওকে মাফ করে
দিয়েছি এবার যেতে
দাও!!
আখি : উফফ!! আমি কি
ভাবে ক্ষমা চাইতে হয়
সেটা বলছি!!
আমি আর কিছু না বলেই
রুমে এসে দরজা লক
করে দিলাম!
কিছুক্ষন পর সিগারেট
খেতে ছাদে গেলাম,
গিয়ে সিগারেট
জ্বালিয়ে খেতে
লাগলাম!
এমন সময় ছাদে আখির
উপস্থিতি টের পেলাম!
পিছন ফিরে দেখে
সত্যি আখি দাড়িয়ে
আছে!!
আখি বলে উঠল : এ, মা
আপনি সিগারেট খান?
আমি : কেনো চোখে
দেখেন না? খাবেন
নাকি??
আখি : হুম খাবো!!
আমি : পাগলামো না
করে নিচে যাও একটু
পরে এসো!!
আখি : না আমি
খাবোই, অনেক দিনের
ইচ্ছে সিগারেট খাবো
কিন্ত কোথাও পাইনা
তাই খেতেও পারি না!
আজ যখন হাতের কাছে
পাইছি তখন আর ছাড়ছি
না!!
আমি : ওকে আসো
খেয়ে যাও!!
আখির হাতে সিগারেট
ধরিয়ে দিলাম,
আখির হাত রীতিমত
কাপতে শুরু করে
দিয়েছে!
আমি বললাম! হয়ছে
হয়ছে আর খেতে হবে
না,
বুঝে গেছি তুমি কত
পারবে, এই বলে আখির
হাত থেকে সিগারেট টা
নিয়ে আমি খেতে
লাগলাম ,
আর ওর দিকে তাকিয়ে
হাসতে থাকলাম!
রাগে আখির চোখ মুখ
লাল হয়ে গেছে!
হঠাৎ করেই আমার হাত
থেকে সিগারেট মুখে
নিয়ে জুড়ে এক টান
মারলো আখি !
এরপর কি আর বলবো, ৮০
বছরের বুড়ার মত কাশতে
শুধু করলো!কাশতে
কাশতে শ্বাস নিতেও
পারছে না!!
আমাকে বলে আপনি
এগুলা খান কেমন করে
একের পর এক, আমি
বললাম শয়তান আগুন
দেখে ভয় পায় আর আগুন
মুখে নিয়েছো তাহলে
তো এ রকম হবেই তাই
না!!
আখি : কী?? আমাকে
শয়তান বললেন?
আমি : আমি কখন
তোমাকে শয়তান
বললাম?
আখি : আপনার কথায়
বুঝে নিয়েছি!
আমি : ওহ্ তাই বুঝি!!
আখি : হুমম আমি
আজকেই ভাইয়া কে
বলে দিবো আপনি
সিগারেট খান!!
আমি : তোমার ভাই
আমার সাথে বসে
সিগারেট খায় ওকে!!
আর তুমি যে একটু আগে
সিগারেট টানছিলে ঐ
টা আমি ভিডিও করে
রেখেছি এমনকি তুমি
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
যা কিছু বলেছো বা
করেছো! সব ভিডিও
করা শেষ!
তখন আখি নিজেরই
মাথার চুল টানতে
টানতে নিচে চলে যায়!
আমি আবার মনের সুখে
সিগারেট টানতে
থাকলাম,এমন সময়
কুত্তাটার ফোন, সরি
জান্নাতের ফোন!৮,৯
বার ফোন দেওয়ার পর
রিসিভ করলাম!
আমি : হ্যালো,, কি
হয়ছে বল!!
জান্নাত : এমন ভাবে
কথা বলছিস কেনো!
আমি : ওকে, বাবা সরি
এবার বলেন!
জান্নাত : ফোন দরতে
লেট করলি কেন??
আমি : বাথরুমে ছিলাম
তাই! ( একটি অসাধারণ
মিথ্যা কথা বললাম )
জান্নাত : ওহ্ তোর
বাসার ছাদেও বুঝি
বাথরুম আছে?? মনে তো
হয় নেই! তাহলে কী
ছাদের এক কর্নারে
বসে পরছিলি!!
আমি : আলতু ফালতু কথা
রাখ, আমি বাসার ছাদে
এটা তোকে কে
বলেছে??সেদিন এর মত
আজকেও কি বাসার
সামনে এসে হাজির
হয়ছিস??
জান্নাত : আমার বয়েই
গেছে তোর বাসার
সামনে গিয়ে তোকে
চেক দিতে
যাবো,তোকে ফোনে না
পেয়ে আন্টিকে ফোন
করেছি আন্টি বললো,
তুই নাকি ছাদে হাওয়া
খাচ্ছিস”!
আমি : হুম হাওয়াই তো
খাচ্ছি তবে কোন
হাওয়া খাচ্ছি সেটা
তো আর আম্মু যানেনা!
আচ্ছা তুই কি বলবি
যেনো??
জান্নাত : আচ্ছা হুসাইন
মেয়েরা কোন কার্লার
এর শাড়ী পড়লে তোর
ভালো লাগে!!
আমি : অবশ্যই নীল,
তবে তুই এগুলা শুনে কি
করবি??
জান্নাত : কিছুনা
তাহলে তোর নীল শাড়ী
পছন্দ!!
আমি : হুম খুব পছন্দ !!
জান্নাত : আচ্ছা
আজকে বিকাল বেলায়
ফোন দিলে লেকের
পাড়ে আছিস তো একটু!
আমি : ফ্রী থাকলে
আসবো!
জান্নাত : তোর আবার
কি কাজ আসতে বলছি
আসবি বেশি বকবক
করবি না!!
আমি : ওক্কে””””
নিচে চলে আসলাম
আমার রুমে,কেমন
যেনো রুমটা অগোছালো
হয়ে আছে!অনেক দিন
হলো রুমটা কেও
পরিস্কার করেনি..আর
আমি তো আমিই!!
তাই আখি কে ডাক
দিয়ে বললাম,আমি
বাহিরে যাচ্ছি আমার
রুমটা সুন্দর করে গুছিয়ে
রেখো আমি এসে
দেখবো!!
আখি : বাহ্ আপনার
সাহস আছে বলতে হবে!
আমার রুম আম্মুকে দিয়ে
গুছাই আর আপনি
আমাকে বলছেন, হাহহা
তাছাড়া আমি এ বাসার
মেহমান সো আমাকে
এসব বলে লাভ নেই,
আমি গেলাম!!
আমি : ওহ্ কাজ করবে
না তাহলে??
আখি : না করবো না
তো??
আমি : তো আমি
সিগারেট খাওয়ার
ভিডিও টা সবাই কে
দেখিয়ে আসি!!
আখি : প্লিজ না,না, এ
রকম করবেন না ভাইয়া
আমাকে একদম মেরে
ফেলবে!
আমি : তাহলে চুপচাপ
আমি যে কাজ গুলো
দিয়েছি ওগুলা করতে
থাকো!!
আখি : অসহায় অবুঝ,
একটা মেয়ে পেয়ে এ
রকম অত্যাচার!!
আমি : চুপ! তুমিই অবুঝ!!
তারাতারি কাজ শেষ
করো আমি একটু পরেই
আসছি!!
আমি চলেই যাচ্ছিলাম
এমন সময় আখি গুণগুণ
করে বলতে থাকলো :-
এজন্যই ছেলেদের
বিশ্বাস করতে নেই!!
আমি ওর কথায় কান না
দিয়ে বাহিরে চলে
আসলাম,
ফ্রেন্ডদের সাথে
আড্ডা দিতে!তবে
আমার সব ফ্রেন্ড
কিছুদিন হলো সবাই
খারাপ নেশায় আসক্ত
হয়ে গেছে!
কেও প্রেমে ব্যার্থ হয়ে
আবার কেও কেও শখের
বশে খেতে গিয়ে
নেশায় আসক্ত হয়ে
গেছে!!
মানুষ মাত্রই অব্বাস এর
দাস আপনি কিছু দিন
একটা কাজ করবেন,
হোক সেটা ভালো
কিব্বা খারাপ, সেটার
প্রতিই আপনি একটু
হলেও আসক্ত হয়ে
পরবেন!!
ফ্রেন্ডের সাথে আড্ডা
দিচ্ছি এমন সময়
জান্নাতের ফোন
রিসিভ করতেই,
জান্নাত বলল : কই রে
তুই??
আমি : এইতো বাহিরে
ফ্রেন্ডের সাথে আড্ডা
দিচ্ছি !!
জান্নাত : তারাতারি
লেকের পাড়ে চলে আয়!
আমি বাইক নিয়ে পাচঁ
মিনিটের মধ্যে লেকের
পাড়ে পৌছে দেখতে
পেলাম! জান্নাত নীল
শাড়ী পড়ে বসে আছে!
জান্নাত কে দেখতে
এতটাই সুন্দর লাগছিলো
যে আমি বাইক সহ
মাটিতে পরে গেলাম!
এটা দেখে জান্নাত
হাসতে শুরু করে দিলো,
ওর হাসি দেখে আমার
চোখ কপালে উঠে
গেলো!!
মানুষ এতটা সুন্দর করে
হাসতে পারে যানা
ছিলো না!!
আমি বাইকটা তুলে হাত
পা থেকে ধূলাবালি
সরিয়ে, জান্নাতের
কাছে যেতে
লাগলাম,যত কাছে
যাচ্ছি ততই যেনো
বুকের ভিতর ঝড় উঠে
যাচ্ছে!
জান্নাতের পাশে বসে
কোন কথা না বলে এক
দৃষ্টিতে জান্নাতকে মন
ভরে দেখছি!!
জান্নাত : কী হলো
এভাবে কি দেখছিস?
আমি: তোকে দেখছি!!
ঠিক তখনি হালকা
হিমেল হওয়া-বাতাসে
জান্নাতের চুল গুলো
আমার মুখের উপর আছড়ে
পরলো!
জান্নাতের চুলের
মাতাল করা সুঘ্রাণ
আমাকে এক প্রকার
পাগল করেই দিচ্ছিলো!!
আমি জান্নাত কে
বললাম আমি যদি এখন
জ্ঞান হারিয়ে ফেলি,
তাহলে আমাকে একটু
কষ্ট করে বাসায় দিয়ে
আছিস তো!!
জান্নাত : হুম অব্যশই ”
আর তুই আমার দিকে
এভাবে ড্যাপড্যাপ করে
তাকাবি না আমার
লজ্জা লাগে!!
এই বলে জান্নাত ওর
হাত দিয়ে আমার চোখ
দুটো ঢেকে দিলো!!
……….চলবে……….
চলবে………..
চলবে……..
বিঃদ্রঃ…. যারা
কমেন্ট করেন,, আলতু
ফালতু অথবা মেয়েদের
কে নিয়ে খারাপ
ধারনা করে.. কমেন্ট
করলে
তার জন্য ব্লক ফ্রি…. ।
গল্প : বেস্টফ্রেন্ড যখন
বউ
পর্ব : ৩
লেখক. Md. Anwar
Hussain
জান্নাত : হুম অব্যশই ”
আর তুই আমার দিকে
এভাবে ড্যাপড্যাপ করে
তাকাবি না আমার
লজ্জা লাগে!!
এই বলে জান্নাত ওর
হাত দিয়ে আমার চোখ
দুটো ঢেকে দিলো!!
।
।
।
।
।
।
।
এই বলে জান্নাত ওর
হাত দিয়ে আমার চোখ
দুটো ঢেকে দিলো!!
কিছুক্ষন এভাবে
জান্নাতের পাশে
চুপচাপ বসে থাকার পর
জান্নাত বলে উঠল ।
জান্নাত:- কুত্তা তোর
কি আজকের দিনের
কথা একটুও মনে নেই??
আমি:- আজকে কি
যেনো!!
জান্নাত : আজকের এই
দিনে তোর সাথে আমার
পরিচয় হয়েছিলো, গত ৪
বছর আগে তোর ওয়ালেট
হারিয়ে গিয়েছিলা ,
আমি তোর ওয়ালেট
খুজে
দিয়েছিলাম,সেদিন
থেকেই আমাদের এতদিন
এর ফ্রেন্ডশিপ!তোর কী
এগুলা কিছুই মনে সেই??
আমি, মাথা চুলকাতে
চুলকাতে বললাম – হ্যা
আছে তো!!
জান্নাত, বাল আছে!!
আমি : পচা কথা বলবি
না!
জান্নাত: আচ্ছা এখন
আমার যেতে হবে আমি
আজ উঠি!!
আমি : এত সহজে তো
ছাড়ছি না!আজকে
আমাদের ফ্রেন্ডশিপ এর
৪ বছর পূর্ন হলো,এজন্য
তোকে আজ রেস্টুরেন্ট
নিয়ে খাওয়াবো যত
পারিছ, পুরোটাই আমার
ট্রিট,।
জান্নাত : তাই!!
আমি : হুমম তাই এবার
চল তো!
জান্নাত : না, রে
আমার আজ সময় নেই
তোকে একটা চিরকুট
দেবো এটা বাসায়
গিয়ে খুলবি!
আমি চিরকুট নিয়ে
পকেটে যত্নসহকারে
রেখে দিয়ে বললাম
এবার চল ”
জান্নাত তখন আমার
হাতে একটা ঘড়ি
পেরিয়ে দিচ্ছে আর
বলছে ” ঘড়িটা আমি
অনেক পছন্দ করে
কিনেছি, ভেবেছি
ঘড়িটা এমন একজন কে
দিবো যাকে আমি
কখনো ভুলতে চাই না!
তাকে ঘড়িটা দিলে
সেও একটু হলেও আমার
কথা মনে রাখবে!!
আমি চুপচাপ জান্নাতের
দিকে তাকিয়ে
তাকিয়ে দেখছি, কি
সুন্দর ঠোটঁ নাড়িয়ে কথা
বলে!!!
আমি বললাম : তোর
জন্য তো কিছু আনতে
পারেনি!!
জান্নাত : তুই যে
এখানে এসেছিস সেটাই
অনেক!!
আমি : তাই আচ্ছা
প্লিজ রেস্টুরেন্ট এ চল
না!!
জান্নাত : আমার
বাসায় যেতে হবে আমি
গেলাম!!
এই বলে জান্নাত উঠে
চলে যেতে লাগলো ”
আমি সেখানেই মন
খারাপ করে চুপচাপ বসে
রইলাম!!
কিছুক্ষন পর আমার
কাদেঁ কে যেনো হাত
রেখেছে, অনুভব
করলাম!!পিছন ফিরে
দেখি জান্নাত !!
আমি বললাম : তুই!! তুই
এখানে কি করিছ তোর
তো বাসায় থাকার
কথা!!( অনেকটা রাগি
কন্ঠে)
জান্নাত : বাব্বাহ্ এত
রাগ!
আমি : হুম এতটাই রাগ,
বাট আফসোস এই রাগ
ভাঙানোর মানুষটা
পেলাম না!!
জান্নাত : কেন আমি
আছি কি করতে!!
আমি : আমার রাগ উঠার
কারন টাই তো তুই!!
জান্নাত : ওহ্ আচ্ছা
আগে যানতান না এখন
বুঝিয়ে দিলি ওকে
আমি সত্যি সত্যি চলে
যাচ্ছি!!
জান্নাত আবারো চলে
যাচ্ছিল আমি
জান্নাতের হাত ধরে
হেঁচকা টান দিয়ে
আমার পাশে বসিয়ে!
জান্নাতের গালে,
টাস,টাস করে দুইটা
থাপ্পড় দিলাম!!
জান্নাত : তুই আমাকে
মারলি কেন ( কান্না
কান্না সুরে)
আমি জান্নাতের
প্রশ্নের উত্তর না
দিয়েই চুপচাপ সেখান
থেকে বাইক নিয়ে চলে
যাচ্ছিলাম, এমন সময়
জান্নাত বাইকের
পিছনে উঠে বসল!
আর বলল : খুব ক্ষুদা
লেগেছে রেস্টুরেন্ট
নিয়ে চল খাবো!!
আমি মুচকি হেঁসে
বললাম, গুড গার্ল!!
জান্নাত : তুই আর কথা
বলবি না, তুই আজকে
আমাকে মারছিস! সো
চুপচাপ গাড়ি চালা,!!
আমি : আচ্ছা সরি!!
জান্নাত : সরি মানে
কী হ্যা!!
এই বলে আমার পিঠে
ইচ্ছে মত কিলঘুষি
মারতে লাগলো!!
তবে একটুও ব্যাথা
লাগেনি কারন নরম
হাতের ঘুষি গুলাও নরম ই
লাগছে!!
জান্নাত কে নিয়ে
রেস্টুরেন্ট এ গেলাম।।
জান্নাত রেস্টুরেন্ট এ
গিয়েই একের পর এক
ওর্ডার করতে থাকে
“এরপর আসতে আসতে
খাওয়া শুরু করলো আমি
এখনো খাওয়াই শুরু
করেনি,
এর মধ্যে ওর অর্ধেক
খাওয়া শেষ!!
আমাকে বলে, কি ‘না
আমি নাকি আসতে
আসতে খাচ্ছি!!
কিছুক্ষন পর আমার
অনেক দিনের পুরনো এক
ফ্রেন্ড ওর বউকে নিয়ে
রেস্টুরেন্ট এ প্রবেশ
করলো!!
এখন ওরা দেশের
বাহিরে থাকে কবে
আসছে যানি না!!
তবে আমাকে দেখেই
আমার দিকে ছুটে
আসলো!
আর বলল ” কিরে কেমন
আছিস??
আমি : ওহ্ আমার কথা
মনে আছে তাহলে!!
ফ্রেন্ড : কাজের অনেক
চাপ তাই তেমন একটা
খুজ খবর নিতে পারি
না!
আমি : হুম ভালো!
ফ্রেন্ড : আচ্ছা দোস্ত
ভাবি কিন্ত অনেক
কিউট!
আমি : ভাবি মানে??!!
ফ্রেন্ড : জান্নাত কে
চোখ দিয়ে দেখিয়ে
দিলো!!
তখন জান্নাত লজ্জায়
মাথা নিচু করে ফেললো
”
আমি কিছু বলতে যাবো
এমন সময় ।
ফ্রেন্ড :- এইযে শুনেন
হুসাইন কিন্ত অনেক
ভালো ছেলে কখনো
কারো সাথেই রিলেশন
করেনি!!আমরা যখন এক
সাথে লেখাপড়া
করেছি,তখন হুসাইন কে
অনেক মেয়েই অফার
দিয়েছে! তবে ও কখনো
এসব রিলেশন এ যায়নি
তাই বলছি । এমন কোন
কাজ করবে না। যাতে ও
মনে কষ্ট পায়!!
( জান্নাত কে উদ্দেশ্য
করে বললো )
জান্নাত:- মাথা নেড়ে
হ্যা বললো!!
আমিত পুরা অবাক হয়ে
গেলাম আমার
ফ্রেন্ডের সামনে এমন
ভাব নিচ্ছে যেনো
সত্যি সত্যি ও আমার
বিয়ে করা বউ!!
ফ্রেন্ড বলল আচ্ছা থাক
পরে দেখা হবে আজ
একটু কাজে আসছি
এখানে!আর জান্নাত
আপনাকে নীল শাড়ী
তে অনেক সুন্দর
দেখাচ্ছে!!
জান্নাত : ধন্যবাদ
ভাইয়া,,
আমি ফ্রেন্ডকে বললাম
: হয়ছে হয়ছে আর চোখ
লাগাতে হবে না!!
তখন ফ্রেন্ড ওর বউ কে
নিয়ে হাসতে হাসতে
চলে গেলো!!
আমি জান্নাত কে
বললাম: – এটা কি হলো
তুই ওকে বললি না
কেনো । তুই আমার
জাস্ট ফ্রেন্ড!!
জান্নাত বলল “‘: বা,রে
আমি বলতে যাবো
কেনে আমার তো শুনতে
ভালোই লাগছিলো!
আমি : তার মানে তোর
আমার বউ হওয়ার ইচ্ছে
আছে??
জান্নাত : হুম খুব ইচ্ছে!!
আমি : কি বললি আবার
বল!!
জান্নাত : হুম তোর বউ
হওয়ার ইচ্ছে আছে
বললাম তাই কি করবি
মারবি,, ওকে মার!!আর
আমি যে তোকে চিরকুট
দিয়েছি ওটা পড়লেই
বুঝতে পারবি!!
আমি : হুম ভালো তুই খুব
সুন্দর করে ফান করতে
পারিছ!!
তখন জান্নাত চুপ করে
রইলো আর আমার দিকে
মায়াবী দৃষ্টিতে
তাকিয়ে বলল তোর
এগুলা ফান মনে হচ্ছে!!
আমি :হুম তাছাড়া কী?
তখন জান্নাত আমাকে
চমকে দিয়ে। রেস্টুরেন্ট
এর ভিতরেই চিৎকার
চেঁচামেচি করে
আমাকে বকাঝকা করতে
শুরু করে দিলো,এমনকি
টেবিলে থাকা
প্লেট গ্লাস গুলোও
দেয়ালে ছুড়ে ছুড়ে
ভাঙতে শুরু করে
দিলো!!
অবস্তা খারাপ বুঝে
জান্নাত কে কোন
ভাবে রেস্টুরেন্ট থেকে
বের করে রেস্টুরেন্ট এর
মালিক কে জিনিস পত্র
নষ্ট করায় জরিমানা
আমাকেই দিতে
হয়েছে!!
এরপর জান্নাত কে
বাসায় নামিয়ে দিয়ে
আসলাম!
রাস্তায় ও কোন কথা
বলেনি আমিও কথা
বলার আগ্রহ দেখায়
নি!!
জান্নাত কে নামিয়ে
দিয়ে বাইক নিয়ে
বাসায় ফিরছি!!
আমাদের বাসার
সামনের রাস্তার মোড়ে
২ টা ছেলে একটা
মেয়েকে নানা রকম
ভাবে ইভটিজিং
করছে!!
দূর থেকে ভাবো ভাবে
বুঝতে পারছি না
মেয়েটা কে!!
তাই বাইক নিয়ে কাছে
দেখেই যা দেখলাম
তাতে আমার মনে
হচ্ছিল রাগে হয়তো এখন
আমার মাথা ফেটে রক্ত
বের হবে!!
দেখলাম ২ টা ছেলে
আমার বাসার মেহমান
আখিকে ইভটিজিং
করছে!!
আখির গলার উরনা ঐ দুই
ছেলের হাতে,দুই ছেলে
আখিকে দেখছে আর
জিব্বা নাড়িয়ে তাদের
ঠোট ভেজাচ্ছে!!
ওদের চোখে মুখে
শয়তান এর চাপ ভেসে
উঠেছে!!!
আমার এতটাই রাগ
উঠছিলো যে প্রথমে
বাইক থেকে আগে
হকস্টিকটা বের
করলাম!!
………… চলবে…….
চলবে…….
চলবে………….
সবাই নিয়মিত পাঁচ
ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন
সবাই আমার জন্য দোয়া
করবেন…. ভালো
থাকবেন কাছের
মানুষদের নিয়ে………
আল্লাহ হাফেজ ……..
( পরবর্তী পর্বের জন্য
অপেক্ষা করুন ধন্যবাদ )