#বৈধ_সম্পর্ক
#সিজন_২
#পর্ব_৯
#Saji_Afroz
.
.
.
-এই যে শুনছেন?
-হু শুনছি মুনিরা।
-একমাস ধরে চেষ্টা করে আমি একটা কবিতা লিখেছি।
-আমার জন্য?
-হু, আপনার জন্য। শোনাবো?
-নিশ্চয়।
– জীবনে চলার পথে
কাউকে না কাউকে ভালবাসতে হবে,
তা ভেবে ভালবাসিনি।
তোমাকে পেতেই হবে,
তা ভেবে ভালবাসিনি।
ভালবেসে অমর হবো
তাও ভাবিনি,
ভালবেসে ভুলে যাব,
তাও ভাবিনি।
ভালবেসেছি ভাল লাগে বলে,
ভালবেসেছি ভালবাসি বলে,
কেন ভালবাসি তা জানার জন্য,
কতটুকু ভালবাসা যায়
তা বোঝার জন্য,
আত্মার পূণ্যতা লাভের আশায় শুধু ভালবেসেছি তোমায়।
.
.
মুনিরার শোনানো কবিতাটি কানে বাজছে আফরানের। চোখে ভেসে আসছে তার সাথে কাটানো দিনগুলি।
সায়নীকে ভালোবাসার পরে তার মনে আর কেউ জায়গা করে নিবে এমনটা কখনো ভাবেনি আফরান। কিন্তু মুনিরা নামের মায়াবতী এটা করেছে। এটাই হয়তো বৈধ সম্পর্কের টান!
এমন একটা সময়ে আফরান তার পাশে নেই। ঠিক আছে তো মেয়েটা! আর সায়নী? একাএকা সামলাতে পারবে তো সবটা?
.
সবে মাত্র চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠেছে আফরান।
চিন্তায় অস্থির হয়ে আছে তার মনটা। কখন যে হাসপাতালে পৌছতে পারবে সে!
.
.
.
মুনিরার হাতে চুমু খেয়ে ডাক্তারের কাছে ছুটে এলো সায়নী।
ডাক্তার তার উদ্দেশ্যে বললেন-
রোগী জেদ করছিলো তাই আপনাকে এখানে আনা হলো। তবে আমরা রোগীর কথা শুনে অপারেশনের কাজ শুরু করবো না। অবশ্যই তার ফ্যামিলি মেম্বারের কথা শুনে করবো। তার জন্য একটা সাইনও দরকার। এবার বলুন আপনি রোগীর কি হন?
.
কোনো সংকোচ ছাড়াই সায়নী জবাব দিলো-
বড় বোন।
-ওকে ফাইন, ইতিমধ্যে জেনেছেন যেকোনো একজন কে বাঁচাতে পারবো আমরা।
.
ডাক্তারের কথা শুনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সায়নী বললো-
এমনটা বলবেন না প্লিজ! যত টাকা লাগে আমি দিবো। দুজনকেই বাঁচান।
-দেখুন টাকা দিয়েতো সব হয়না। নিজেকে সামলে নিন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো দুজনেরই যেনো কোনো ক্ষতি না হয়। তবুও যদি একজন কে বাঁচাতে হয় কাকে বাঁচাবো? আপনারা তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে জানান।
-আপনারা?
-মানে উনার হাসবেন্ড বা পরিবারের…
-আমি যা বলি তা। দুজনকেই বাঁচাতে হবে।
-ম্যাম দেরী হয়ে যাচ্ছে। প্লিজ আমাদের তাড়াতাড়ি বলুন যেকোন একজন টা কে হবে? রোগী কিন্তু পরবর্তীতে আর মা হতে পারবেনা। সো ভেবেই বলুন।
.
একবার মুনিরার দিকে তাকিয়ে আর কিছু না ভেবেই সায়নী বললো-
যদি একজনকেই বাঁচাতে হয় তবে রোগীকেই বাঁচাবেন।
.
সায়নীর কথা স্পষ্ট শুনতে পেয়েছে মুনিরা।
এমন অবস্থার মাঝেও মুনিরার মনে হচ্ছে সায়নীর জায়গায় অন্য কোনো মেয়ে হলে কি করতো!
.
.
.
২৫বছর পর…..
আফজাল খানের রুমে বসে আছে আফরান।
বাবা মারা যাবার পর এই রুমটাতেই সে থাকে। বাবার সকল স্মৃতি ঘীরে রয়েছে এই রুমটাতে। আফরানের এখনো মনেহয়, তার বাবা তাকে দেখে বলে উঠছে-
হ্যালো ইয়াং ম্যান!
.
বাবার কথা মনে হতেই দুচোখ ছলছল করে উঠলো আফরানের।
মা মারা যাবার পর তার বাবা আর বিয়ে করেন নি। নিজেই খেয়াল রেখেছে আফরানের।
মায়ের অভাব কখনো বুঝতে দেয়নি তাকে। তার জায়গায় অন্য কোনো বাবা হলে নিশ্চয় সৎ মা নিয়ে আসতো। আনবেই না বা কেনো! টাকা পয়সার কমতি ছিলোনা তার।
সত্যিই! আফজাল খান একজন আদর্শ বাবা। যার কোনো তুলনা হয়না।
.
.
.
এলার্মের শব্দে ঘুম ভাঙলো সায়নীর।
নামাজ আদায় করে ঘুমিয়েছিলো সে।
সাধারণত নামাজের পর ঘুমোলে ৭টার আগে আর ঘুম থেকে উঠেনা সায়নী। তবে আজ ৪০মিনিট পরেই উঠে গেলো।
কেননা আজ তার প্রিয় বান্ধবী মিশিকা পুরো পরিবার নিয়ে বাংলাদেশ আসছে আমেরিকা থেকে। তাদের এয়ারপোর্টে রিসিভ করতে যাবে আরাফ।
তবে এই সকাল বেলা আরাফ কে ঘুম থেকে আদৌ উঠবে কি!
.
বিছানায় হাতড়িয়ে চোখের চশমাটা হাতে নিলো সায়নী।
শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছে নিয়ে চোখে চশমা লাগিয়ে এগিয়ে গেলো আফজাল খানের রুমের দিকে।
.
বিছানায় বসে বসে উপন্যাস লালসালু উপন্যাসটি পড়ছে আফরান।
সায়নী তার দিকে এগিয়ে যেতেই সে বললো-
বসো সায়নী।
-তুমি পড়ছো।
-তাতে কি! আসো তো, বসো।
.
আফরানের পাশে সায়নী বসে বললো-
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এর
লালসালু উপন্যাসের সাথে আমাদের জীবনের কাহিনী মিল আছে তাইনা?
-তার মানে আমি মজিদের মতো?
-তুমিও মোটেও মজিদের মতো নয়। আমি শুধু দুই বউ নিয়ে বললাম।
.
মৃদু হেসে আফরান বললো-
হু মিল আছে। রহীমার জায়গায় তুমি আর জমিলার জায়গায় মুনিরা।
-রহীমা চরিত্রটা আমাকে খুব টানে। জমিলা ছোট ছিলো বলে তার অনেক ভুল হয়ে যেতো যেসব মজিদ পছন্দ করতো না। রহীমা চাইলে মজিদকে জমিলার বিরুদ্ধ নিতে পারতো। কিন্তু সে বারবারই জমিলার অন্যায় লুকিয়ে যেতে চেষ্টা করতো।
বই এ একটা লাইন আছেনা?
জমিলাকে পেয়ে রহীমার মনে শ্বাশুড়ীর ভাব জাগে। স্নেহ-কোমল চোখে সারাক্ষণ তাকে চেয়ে চেয়ে দেখে আর যত দেখে তত ভালো লাগে তাকে।
-বাহ! সবই মুখস্ত তোমার?
-হু। জমিলার সাথে মুনিরার বাচ্চা মানুষীর দিকটা বড্ড মিল।
-হুম। আর আমি রহীমার মাঝে তোমার মিল খুঁজে পাই।
-কি যে বলোনা। রহীমার মতো নিঃস্বার্থ নয় আমি।
-স্বার্থপরও নও। তুমি যা করেছো কয়টা মেয়েই বা তা করতে পারে সায়নী?
মাঝেমাঝে মনেহয় তোমার সাথে অন্যায় করেছি। আবার মাঝেমধ্যে মনেহয় মুনিরার সাথে।
-কারো সাথেই করোনি। সমানভাবে তুমি দায়িত্ব পালন করেছো।
-পরিস্থিতি আসলেই মানুষকে অনেক কিছুই করতে বাধ্য করে। আমি কি কখনো ভেবেছিলাম! আমার জীবনে দুজন ভালবাসার মেয়ে থাকবে!
-আমিও কখনো ভাবিনি রহীমার মতো আমার জীবনেও জমিলা আসবে। আর সে এতোটা সুখ নিয়ে আসবে। সেও আমাদের ভালবাসার মানুষ হয়ে উঠবে।
.
মুচকি হাসলো আফরান সায়নীর কথা শুনে।
সায়নীও হেসে বললো-
তোমার গুণধর পুত্রের কাছে যাচ্ছি এখন। ঘুম থেকে উঠাতে হবে তাকে।
-আহা বেচারা! যাও তুলো। অবশ্য তোমার একটা ডাকই তার ঘুম ভাঙার জন্য যথেষ্ট।
.
.
.
-আরাফ??
.
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন আরাফ।
তবুও সায়নীর ডাক তার কানে এলো।
চোখ জোড়া না খুলে ভাঙ্গা গলায় বললো সে-
সকাল ১০টা হয়ে গেলো বড় আম্মু?
-১১টা হয়েছে।
.
সায়নীর কথা শুনে এক লাফে বসে পড়লো আরাফ।
চোখ জোড়া কচলাতে কচলাতে বললো-
কি বলো! আজ না তাসুদের এয়ারপোর্ট থেকে আনার কথা?
-হ্যাঁ তবে সেটা সকাল ১০টাই না। ৮টাই।
-তুমি তো আমাকে বলোনি ৮টাই।
-বললে যেনো তুই উঠে যেতি?
-তুমি বললে অবশ্যই উঠতাম।
.
মুচকি হাসলো সায়নী। ছেলের উদ্দেশ্যে বললো-
ফ্রেশ হয়ে নে। আমি নাস্তার ব্যবস্থা করছি।
.
কথাটি বলেই সায়নী এগুলো রান্নাঘরের দিকে।
আরাফ ফোন হাতে নিয়ে উপমার মোবাইল নাম্বারে মেসেজ দিলো-
Shuvo Sokal Jan Pakhi ta….
.
ঘুম থেকে উঠে তাকে মেসেজ না পাঠালে আরাফের দিনটা যেনো ভালো কাটেনা।
উপমা হলো আরাফের গফ। গত ১বছর ধরে সম্পর্কে আবদ্ধ আছে তারা।
আরাফ সবেমাত্র বুয়েট পাস করে বের করেছে।
বাবার সাথে বিজনেস এ হাত দেবার আগেই উপমার কথা বাসায় জানাতে চায় সে।
পরীক্ষা শেষ হবার অপেক্ষায় ছিলো আরাফ।
এখন সময় এসেছে উপমার কথা বাসায় জানানোর।
তার মা বাবারা নিশ্চয় উপমাকে দেখে পছন্দ না করে পারবেই না।
.
আপনমনে এসব বলে উঠে দাঁড়ালো আরাফ।
ফ্রেশ হয়ে নেয়া যাক চটজলদি।
.
.
.
আড়মোড়া ভেঙ্গে শোয়া থেকে উঠে বসলো মুনিরা। একটা হাই তুলে ঘড়ির দিকে তাকালো সে। দেখলো সকাল ৬টা পার হয়ে গেলো।
তাড়াহুড়ো করে উঠে সে এগিয়ে গেলো আরাফের রুমের দিকে।
.
বিছানায় আরাফকে দেখতে না পেয়ে ওয়াশরুমের পাশে এসে মুনিরা বললো-
আরাফ তুই আবার ওয়াশরুমে ঘুমিয়ে পড়লি নাকি? আজ কিন্তু এয়ারপোর্টে যেতে হবে।
.
ভেতর থেকে চেঁচিয়ে আরাফ বলে উঠলো-
বড় আম্মুর একটা ডাকেই আমি উঠে পড়েছি। নাহলে ছোট আম্মু এসে যে আরেক দফা ডাকাডাকি চলাতো ভালোই জানা আছে আমার।
.
আরাফের কথা শুনে হাসলো মুনিরা।
নিচের দিকে এগিয়ে গেলো সে।
.
.
আফরান মনোযোগ সহকারে বই পড়ে চলেছে।
মুনিরা এসে তার উদ্দেশ্যে বললো-
শুভ সকাল।
.
হাতে থাকা বইটা এক পাশে রেখে আফরান বললো-
শুভ সকাল মুনিরা। বসো।
.
আফরানের পাশে বসতে বসতে মুনিরা বললো-
আজ অফিস যাবেন না?
-হু যাবো। আরাফের হাতে দায়িত্ব তুলে না দেয়া অবধি নিশ্চিত হতে পারছিনা।
-আরাফ পারবে তো এসব সামলাতে?
-কেনো পারবেনা! আমার ছেলে সে।
-আমাদেরও ছেলে সে।
.
কথাটি বলেই মৃদু হাসলো মুনিরা।
আফরান তার দিকে তাকিয়ে বললো-
আজ তো দেশে পাবেল রা আসছে। তার মেয়ে দুইটা মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দরী তাইনা?
-হ্যাঁ। যেমন মেহেনুবা সুন্দরী তেমন তাসুও কম না। আমার তো মেহেনুবা কে আরাফের বউ হিসেবে আনার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু সায়নী আপু মেহেনুবার জন্য ডাক্তার ছেলে ঠিক করে ফেলেছে মিশিকা আপুর কথায়।
-তারাই বলেছিলো তাদের বড় মেয়েকে ডাক্তারের সাথেই বিয়ে দিতে চায়। আর আমাদের ছেলে কি কম নাকি। মেয়ের লাইন পড়ে যাবে ওর জন্য।
-এটা মন্দ বলেন নি। দেখতে একেবারেই আপনার মতো হয়েছে। আর সায়নী আপুর মতো ট্যালেন্ট।
-এবং তোমার মতো সরল।
.
মুচকি হেসে মুনিরা বললো-
সায়নী আপুর কাছে যাচ্ছি রান্না ঘরে।
.
.
.
ওয়াশরুম থেকে বেরুতেই রিং টোনের শব্দ পেলো আরাফ।
ফোন হাতে নিয়ে স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলো উপমার ফোন।
ঘুম থেকে উঠে আরাফকে ফোন দেয়া গত এক বছরের অভ্যাস উপমার।
-হ্যালো?
-গুড মনিং।
-ইউ টু। উঠেছো উপমা?
-হু উঠেছি।
-আজ এতো তাড়াতাড়ি?
-আরাফ! আজ ৮টাই ক্লাস আছে আমার। ভুলে গেলে?
-ওহো!
-আজ ক্লাস শেষে দেখা করবো।
-আজ তো পারবোনা।
-কেনো?
-তোমাকে তাসুদের কথা বলেছিলাম না? তাদের রিসিভ করতে যাবো আজ।
-ওহ। তবে শোন?
-হু বলো।
-একদম ঘেষাঘেষি করবে না মেয়েগুলোর সাথে।
.
আরাফ হেসে বললো-
কি যে বলোনা উপমা তুমি!
-আমেরিকা থেকে আসছে। নিশ্চয় দামাদামি প্রসাধনী মেখে আকর্ষণীয় হয়ে থাকবে।
-আমার উপমা প্রসাধনী ছাড়াই বেস্ট।
-সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছি। বেশি কথা বলার দরকার নেই মেয়েগুলোর সাথে।
-হু বলবোনা।
.
.
.
নাস্তা করা শেষে তৈরী হয়ে এলো আফরান ও আরাফ।
তাদের দেখে সায়নী ছেলের উদ্দেশ্যে বললো-
এক সাথে বেরুচ্ছিস?
-হুম। বাবাকে ড্রপ করে দিয়েই আমি চলে যাবো।
-ঠিক আছে।
.
আফরান ও আরাফ বেরিয়ে যাবার পর সায়নীর উদ্দেশ্যে মুনিরা বললো-
শেষ বার যখন মেহেনুবা দের দেখেছিলাম আমার মনে একটা আশা জমেছিলো। মেহেনুবাকে ছেলের বউ করবো।
-কিন্তু এটা তো সম্ভব নয়রে মুনিরা।
-তাহলে তাসুকে করা যায়না?
.
কিছুক্ষণ নীরব থেকে সায়নী বললো-
মিশি কিন্তু এই ব্যাপারে আমাকে কিছু বলেনি।
-সে তো মেয়ের মা। সে কেনো বলবে? আমরা প্রস্তাব তো দিতে পারি?
.
মৃদু হেসে সায়নী বললো-
মন্দ বলিস নি। তবে আগে আরাফের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে হবে।
-আরে আমরা যা বলি মেনে নিবে সে।
-এই ব্যাপারে মানবে বলে মনেহয় তোর? না মানে লাইফ টা ওর। বিয়ের ব্যাপারে ওর সাথে কথা বলেই আগানো উচিত।
আমাদের ছেলের উপর আমরা এমন কিছু চাপিয়ে দিতে পারিনা যাতে সে ভুল পথে পা বাড়াতে বাধ্য হয়। আমাদের নিজেদের লাইফই তো একটা শিক্ষা। তাইনা মুনিরা?
-হুম আপু।
.
ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে নিজের মনে সায়নী বললো-
আরাফের জীবনে খারাপ কিছু হোক আমি চাইনা। তাই তার জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে দেয়া হবে।
.
.
.
চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে খোলা চুলে এয়ারপোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মেহেনুবা ও তাসু।
তাদের ঠিক পাশেই দাঁড়িয়ে রইলো পাবেল ও মিশিকা।
হাত ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে পাবেল বললো-
হায়রে! কোথায় আমাদের জন্য আরাফের দাঁড়িয়ে থাকার কথা সে জায়গায় তার জন্য আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
.
বিরক্তিভরা কণ্ঠে মেহেনুবা বললো-
একটা গাড়ি ঠিক করে নিলেই পারতে আব্বু!
.
গাড়ি ঠিক করলে কি বাংলাদেশে এসেই আরাফ ভাইয়ার দেখা পেতাম?
.
কথাটি বলেই জিভে কামড় বসিয়ে দিলো তাসু।
তাসু তো আরাফ বলতেই পাগল। মেহেনুবা কে সবসময় বলতেই থাকে সে, আরাফ হলো তার ক্রাশ।
.
তাসুকে সে কিছু বলতে যাবে তখনি কারো গলার আওয়াজ শুনতে পেলো মেহেনুবা।
.
-সরি সরি, ১৫মিনিট লেইট হয়ে গেলো।
.
পেছনে ফিরে আরাফকে দেখতে পেলো তারা।
.
(চলবে)