ভালোবাসার ভেজা সন্ধ্যে পর্ব ২

#ভালোবাসায়_ভেজা_সন্ধ্যে
#রোকসানা_রাহমান

পর্ব (২)

**রঙে ডোবা লাল ব্যাঙ
ভাঙা গলায় ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ***
#রোকসানা_রাহমান_(গল্পকন্যা)

দুলাইন লিখেই রিপ্তির চোখ ঝলমল। একটু আগের অপমানের সবটা শোধ তুলেছে এমন অনুভব হচ্ছে। প্রাণপুর্ণ অনুভূতি নিয়ে ফোনটা হাতে নিতেই দরজার কাছ থেকে আবার ভাঙা গলার সুরধ্বনি,,,

“” তোর আমায় মনে পড়লে
তুই দে না মিসকল
তোর আমায় মনে পড়লে
তুই দে না মিসকল””(মুভিসং)

রিপ্তি ফোনটা বিছানায় ছুড়ে মারলো। প্রচন্ড রাগ নিয়ে সে পেছন ঘুরে দাড়িয়েছে। না অনুভব দরজার সামনে দাড়িয়ে নেই। কিন্তু ছিলো এটা তার কন্ঠধ্বনিতে বুঝতে পেরেছে। রিপ্তি ছুটন্ত পা ফেলে দরজার কাছে এগুলো। যা ভেবেছিলো তাই। লাল ব্যাঙ ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ছেড়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে। কন্ঠে এখনো মিহি গুনগুনের সাথে হাতের আঙুল এবং মাথা নাড়াচ্ছে। রিপ্তির সহ্য হচ্ছেনা। সহ্য হওয়ার মতো কি? এক অচেনা ছেলে তার দুয়ারে এসে বারবার ইভটিজিং করছে আর সে চুপ করে থাকবে? হতে পারে বাবার পরিচিত কিন্তু তার তো নয়। মেয়ে হিসেবে না হোক,শিক্ষকের কন্যা হিসেবে তো তার মিনিমাম সম্মান পাওয়া উচিত। সম্মান করবে নাতো অপমান কেন করবে? তাও গানকলি দিয়ে? রিপ্তি আর স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকতে পারলোনা। ধপধপ পা ফেলে অনুভবের পেছন পেছন ছুটছে। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানেই অনুভবের পথ আটকে দাড়ালো রিপ্তি। কন্ঠে ধারালো ঝংকার নিয়ে বললো,,

“” সমস্যা কি আপনার? আগেরবার নাহয় আমি অপরিচিত ছিলাম তাই বাজে ইঙ্গিতের গানটা হজম করে নিয়েছি কিন্তু এবার কেন গাইলেন? আমার বাবা আপনাকে এতো পছন্দ করে তার বিনিময়ে আপনার এই প্রতিদান? তার মেয়েকে ইভটিজিং করছেন? আপনার তো আগের কান্ডের জন্য লজ্জাবোধ হওয়া উচিত। সরি বলা উচিত তা না করে একি কাজ পুনরাবৃত্তি করছেন?””

রিপ্তি রাগে ফাটছে। এতে যেন অনুভব আরো বেশি মজা পাচ্ছে। নিজের হাতদুটো লাল পকেটে পুরে সোজা হয়ে দাড়ালো। বেশ আরাম এবং মনোযোগিতে রিপ্তির দিকে চেয়ে আছে।

অনুভবের এমন শান্ত ও নিরব আচরনে রিপ্তির মেজাজ আরো খারাপ। এমন অদ্ভুত মানুষ সে দ্বিতীয়টি দেখেনি। একটা মানুষ রেগে ফেটে চৌচির আর সে চুপ। কোনো প্রতিক্রিয়া নেই? হয় উল্টো রাগ দেখাবে নাহয় বিনয়ী হবে। কিন্তু এ তো কিছুই করছেনা। নামের সাথে কোনো মিল নেই। এমন ছেলের এমন নামটা কে রেখেছে এটা জানতে ইচ্ছে রিপ্তির। কিন্তু এখন তো সে রেগে আছে। আগে রাগ ঝাড়তে হবে। এমনিতেই এই ছেলের জন্য পুরো হলুদ পার্টিটাই নষ্ট!

“” মুখে কি তালা লাগিয়েছেন? নাকি কেউ সুপার গ্লু এটে দিয়েছে? বোবাও তো নন। আমার জানামতে বোবারা গান গাইতে পারেনা। আপনি পারেন তারমানে আপনি বোবা নন। তাহলে কথা বলছেননা কেন? কথা বললে মুখ পুড়ে যাবে? আমাকে দেখে গান গাইলে মুখ পুড়ে না আর কথা বললে মুখ পুড়ে যাবে?””

রিপ্তি আরো কিছু কটু কথা শোনাবে তারমাঝেই অনুভব রিপ্তির দিকে একটু ঝুকে এলো। চোখের মনিদুটো কয়েকবার দ্রুত নাড়িয়ে ছোট্ট করে বললো,,

“” তোতাকন্ঠি!””

রিপ্তি ভ্রূ কুঁচাকালো। নিজের কথা থামিয়ে নিলো। সামনের মানুষটি বিড়বিড় করে কি বললো তাই বুঝার চেষ্টা করছে। যদি সে ভুল না করে তাহলে তোতাকন্ঠি বলেছে। কিন্তু এইটার মানে কি? তোতাপাখি তো সে শুনেছে,কিন্তু তোতাকন্ঠি! এটা তো শুনেনি। আর এইটা কেন বললো?

রিপ্তি আপনমনে গভীর ভাবনায় ডুব দিয়েছে। ও ভাবনা জগতে বিচরন করতে করতে অনুভব হাওয়া!

~~~

সমস্যার সকল জঞ্জাল ছাড়িয়ে রিপ্তি ভাইয়ের হলুদ স্টেজে হাজির। চারপাশে গানের মাতোয়ারা ধ্বনি। হলুদ হলুদ গন্ধ সাথে পরিচিত মুখের ছোটখাটো বিনয়ী বাক্য। ভালো-মন্দের খোজখবর ছেড়ে ভাইয়ার কাছে যেতেই রিপ্তির মুখে নেমে এসেছে একগাদা আক্রোশ এবং অপ্রসন্নতা। রিপ্তির ভাই রাসেলের সাথেই খোশগল্পে ব্যস্ত অনুভব। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে একে অপরের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করছে। রিপ্তির মনে অজান্তেই প্রশ্ন জেগে উঠলো,ভাইয়াও কি এই ছেলেটিকে চিনে?

মনের প্রশ্ন মনে রেখে হলুদের কৌটো থেকে একদলা হলুদ নিলো রিপ্তি। অনুভবের দিকে মুখ বাকিয়ে ভাইয়াকে হলুদ লাগাচ্ছে। একগাল শেষে আরেকগাল যাবে তখনি পেটে ঠান্ডা অনুভূতি। ভয়ে চিৎকার করে উঠবে এমন ভাবেও পৌছে গেলো। কিন্তু তার আগেই নানির কর্কশ কন্ঠ,,

“” এতো কইরা কইলাম গতরটা ধুইয়া আয়,তাও ধুইলিনা। প্যাটে যহন পচন লাগবো তহন বুঝবি!””

রিপ্তির নানি শাসনীবাক্য শেষে বয়ে আনা পানির মগে হাত ভিজিয়ে নিয়েছেন। রিপ্তির পেট ভেজাবে সাথে সাথে ও দুরে সিটকে গেলো। চারপাশে চোখ বুলিয়ে লজ্জা আর অসস্থি নিয়ে বললো,,

“” কি করছো নানি? সবাই দেখছে!””
“” পোলাডা যহন হাত দিলো তহন তো কেউ দেখলোনা। এহন ক্যান দেখবো? আর দেখলে আমার কি আমি তো আর তোরে জামাকাপড় ছাড়াইয়া গতর ধুয়াইতাছিনা…””

নানির বাক্যাংশ শেষ হওয়ার পূর্বেই রিপ্তি উনাকে টেনে আড়ালে চলে এলো। নানিকে কড়া কথা শুনাতে গিয়েও থেমে গেলো। আতঙ্ককন্ঠে বললো,,

“” নানি,তোমার গালে কি হয়েছে? এমন লাল কি করে হলো? ওমা গো,মনে তো হচ্ছে রক্ত বের হবে!””
“” তোর মাতা বাইরবো। আরে ঐ ছেমরাডা চুমা দিয়া আমার গাল নষ্ট কইরা দিছিলো তাই দুনদুলের ছোবা দিয়া ঢইলা পরিষ্কার করছি। নাহলে তোর নানাজান কষ্ট পাইবো তো। বয়েস কম অইলে কি অইবো? পোলা তো আর মাইয়া মানুষ অইয়া যাইবোনা! দেহি শাড়ীডা সরা তোর পেটটাও ঢইলা পরিষ্কার কইরা দেই!!””

নানির হাতে হলদে জালের মতো কিছু দেখতে পাচ্ছে রিপ্তি। নানির দিকে ভয়কাতুরে দৃষ্টি ফেলে ভোঁ দৌড়!!

~~~

রিপ্তি বাবার প্লেটে খাবার বেড়ে দিতেই উনি ভেজা গলায় বললেন,,,

“” আমার উপর রাগ করেছিস, মা?””

রিপ্তি বাবার দিকে তাকালোনা। রাগ তার নেই। রাগ হওয়ারও কথা না। ভালোবাসে যে শাসন করে সে। আদুরী বুলি বলতে পারলে দু/একটা কটু কথাও বলবেন এতে রাগ করার কি আছে? তবে খারাপ লেগেছে লাল ব্যাঙের সামনে বলাতে। রিপ্তি বাবার দিকে না তাকিয়েই উত্তর দিলো,,

“” না।””

কবির সাহেব মেয়েকে নিজের পাশের চেয়ারটায় বসালেন। পাতের ভাত মেখে মেয়ের মুখের দিকে বাড়িয়ে বললেন,,

“” তুই যখন হলুদ শাড়ী পড়ে আমার সামনে এলি তখন মনে হয়েছিলো তোর মা আমার সামনে দাড়িয়ে। তোর মায়ের হলুদ শাড়ী খুব পছন্দের ছিলো। ও যখন হলুদ শাড়ী পড়ে আমার সামনে ঘুরঘুর করতো আমার তখন ওকে রাগাতে ইচ্ছে করতো। আর তোর মা ও বেশ রাগী ছিলো। অল্পতেই রেগে যেতো। আমি দুটো কটু কথা বললেই নাক ফুলিয়ে গাল ভাসাতো। তোর শরীরে হলুদ শাড়ী দেখেই আমার পুরোনো অভ্যাস জেগে গিয়েছিলো। খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো তোর নাক ফুলানো রাগ দেখতে তাই…””

কবির সাহেব আর কিছু বলতে পারলেননা। গলাটা অবশ হয়ে আসছে। আজ অনেকদিন পর চোখ ভিজে উঠছে। জীবন সাথী কেন মরণ সাথী হয়না??

রিপ্তি বাবাকে জড়িয়ে ধরলো। আপন মানুষের বিরহ আপন মানুষের ছোয়াতে কিছুটা হলেও কমে!

“” অনুভব এখানে কিছুদিন থাকবে। ওকে উত্তরের রুমটা গুছিয়ে দিস তো।””

অনুভব নামটা শুনতেই রিপ্তির চোখের পানি শুকিয়ে গেলো। কঠিনসুরে বললো,,

“” পারবোনা।””
“” কেন?””
“” বাবা,তুমি জানোনা উনি আমার সাথে…””

রিপ্তি বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে আর কিছু বলতে পারছেনা। কিন্তু বাবা শোনার অপেক্ষায় আছে। রিপ্তিকে চুপ থাকতে দেখে মাথা নাড়িয়ে বাকিটা শোনার আগ্রহ প্রকাশ করলেন। রিপ্তি তবুও চুপ। পেছন থেকে রিপ্তির নানির আগমন,,

“জোয়ান পোলা,তার উপর বিয়াবাড়ী এক জায়গায় হুইয়া পড়লেই তো হয়। হ্যার লাইগা আবার উত্তর-দক্ষিণ রুমের কি দরকার?””
“” আম্মা,অনুভব অনেক দুর থেকে এসেছে। প্রায় পাঁচবছর পর দেখা। তাছাড়া এই প্রথম আমাদের বাড়িতে এসেছে একটু আপ্যায়ন তো করতেই হয়।””
“” তাই বইলা বাড়ির ভিতর হানদাবি? ঘরে যে আবিয়াত্তা মাইয়া মানুষ হেদিকে তোর কোনো খেল নাই? কোনো অঘটন..””
“”আমার বিশ্বাসের দুপিঠেই আমি অনায়াসে অনুভবকে বসাতে পারি।””

মেয়ের জামাইয়ের কথাতে নুন ছেটানোর মতো পান চিবুতে চিবুতে খাওয়ার রুম ত্যাগ করলেন পরিবানু। কবির সাহেব মেয়ের উদ্দেশ্যে বললেন,,

“”তোমার মায়ের দায়িত্ব তোমাকেই পালন করতে হবে রিপ্তি!””

~~

রিপ্তি উত্তরের রুমে এসে দাড়ালো। রুমের ঠিক মাঝখানে দাড়িয়ে সে। গোসল সেরে শাড়ী পাল্টিয়েছে। হলুদ রঙের সুতির জামা পড়নে। সুতি ওড়নাটা কোনাকুনিভাবে কোমড়ে বেধে নিলো। রুমের চারপাশটা পর্যবেক্ষণ করছে। সবকিছু গোছানোই শুধু দীর্ঘদিন কারো পা না পড়ায় ঝুলঝাল পড়ে রয়েছে। রিপ্তি সময় নিয়ে সবটা পরিষ্কার করলো। আরেকবার পরিষ্কার রুমটা পর্যবেক্ষণ করতেই ঠোঁটে দুষ্টু কামড়। চোখের তারা হাঁসছে। রিপ্তি দ্রুত বিছানার পাশে থাকা ছোট্ট টেবিলটা থেকে পানির জগটা নিলো। সবটা পানি বিছানায় ঢেলে দিলো। মগটা রেখে গ্লাসটা কোমড়ে লুকালো। বিছানার মাঝে টুল এনে ওটাতে উঠে দাড়ালো। বিশেষ মনোযোগীতে কেচি দিয়ে ফ্যানের বিদ্যাৎ সংযোগের তার কেটে দিলো। সবশেষে লাইটের সামনে এসে দাড়িয়েছে। কিন্তু টুলের উপর দাড়িয়ে পা উচু করেও লাইটের কাছে হাত পৌছুচ্ছেনা। বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েও যখন ব্যর্থ ঠিক তখনি কেউ একজন ওর কোমড় চেপে উচু করে ধরলো। রিপ্তিও খুশি মনে লাইট খুলে নিয়েছে। ফলস্বরূপ পুরো রুম অন্ধকার। তারমাঝেই সুরেলা ধ্বনি,,,

আজ এই নিশি রাতে
মন চায় তোমায় কাছে পেতে
ও সজনী
বলো তুমি রাজিনি!!
#রোকসানা_রাহমান_(গল্পকন্যা)

অনুভবের কন্ঠে রিপ্তির বুক ধুকপুকুনিতে ব্যস্ত। খুশিতে সে টেরই পায়নি সে কার হাতে বন্দী। রিপ্তির হাত থেকে লাইট পড়ে গুড়ো গুড়ো। ভয়ার্ত চাপা চিৎকার,,,

“”আমি কিছু করিনি। ছাড়ুন আমাকে!””

রিপ্তি তার কন্ঠধ্বনির সাথে ভাসছে। অন্ধকারে তাকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছে?? ভুলকিছুর সাক্ষী হতে যাচ্ছে নাতো?? রিপ্তি ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে। অনুভবের হাত থেকে ছুটার চেষ্টায় বারবার ব্যর্থ হয়ে হালকা ওজনের ধমকি,,

“” আমি কিন্তু চিৎকার করবো। আব্বুকে বলে দিবো। আপনি একটা অসভ্য। ছোট মেয়ে পেয়ে খারাপ কিছু করতে চাচ্ছেন।””

রিপ্তির কথা শেষ হতেই অনুভব ওর কোমড় ছেড়ে দিলো। কোমড়ে হালকা ব্যথার চোটে রিপ্তির আউচ! শব্দ দরজা লাগানোর শব্দে হারিয়ে গেলো। রিপ্তি ভয়ে শিউরে উঠে। চোখ মেলতেই আত্মায় ঠান্ডা পানির স্পর্শ । না সে বাইরে আছে লাল ব্যাঙ রুমের ভেতর থেকে দরজা আটকে নিয়েছে। রিপ্তি মনে মনে বিড়বিড় করলো,,না! যতটা ভেবেছিলাম ততটাও খারাপ না!

~~

গভীর নিদ্রায়মাণ রিপ্তি। সাদাকালো স্বপ্ন বুননে বিভোর। কিন্তু হঠাৎই সব স্বপ্ন গায়েব। ঘুম পাতলা হয়ে আসছে শীতল অনুভূতিতে। কেমন এক ভেজা ভেজা অনুভূতি। রিপ্তির ঘুম ভেঙে গেলো। চোখ বন্ধ করেই কোমড়ের নিচে হাত গেলো৷ বিছানা ভেজা! এখন তো পিরিয়ডের ডেট চলছেনা তাহলে এমন হওয়ার কারণ? বাচ্চামী কারণ কি? এটা কি করে সম্ভব? রিপ্তি প্রচন্ড অসস্থি আর অস্থিরতায় উঠে বসলো। বন্ধ চোখ মেলে, সাথে সাথে বন্ধ করে ফেললো। তার রুম এতো অন্ধকার কেন? তাদের রুমেতো সবসময় ড্রিমলাইট জ্বালানো থাকে। তাহলে কি নানি বন্ধ করেছে? নানির কথা মনে হতেই পাশে হাতরাচ্ছে। পাশের জায়গাটা শূন্য! নানি কোথায় গেলো? রিপ্তি ধপ করে আগের ন্যায় শুয়ে পড়লো। পাতলা কাথাটা দিয়ে নিজেকে ঢেকে নিয়েছে। সেকেন্ড কয়েক পার হতেই পুরো শরীর ঘেমে চিপচিপে। ফ্যানটাও কি অফ? বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে কি?? রিপ্তি ভয়ে কুকড়িয়ে যাচ্ছে। ঠিক তখনি কানের কাছে বাজলো,,,

ঘুমাও তুমি ঘুমাও গো জান,,,
ঘুমাও আমার কোলে,,,,
ভালোবাসার নাও দুলাবো,,,,
ভালোবাসি বলে!(গান)

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here