ভালোবাসার রংধনু পর্ব -০৫

#গল্পঃভালোবাসার_রংধনু
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_০৫

নিহাদের বন্ধুরা একটা ভ্যান নিয়ে আসে।রিনি প্রথমে যেতে নারাজ ছিলো।রাহুল নিহাদকে ফোন করে জানাতেই নিহাদ বলল,ওদের সাথে শোভাও যাচ্ছে,রিনি একা নয়।শোভা যাবে শুনে রিনিও যেতে রাজি হলো।এখানে আসা নিয়ে রিনির বাবা রিনিকে একদফা কথা শুনিয়ে দিলো।দিনদিন মেয়ের বয়স হচ্ছে পড়ালেখা ও শেষ কিন্তু বিয়ে করতে নারাজ।বড় ভাইয়ের ত্রিশ পেরিয়েছে সেও এখনো বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না।সব মিলিয়ে রিনির বাবা অতিষ্ঠ হয়ে রিনিকে কিছুক্ষণ বকাঝকা করলেন।
ভ্যান এসে থামতেই আশিক নেমে পড়ে শোভা আর নিহাদকে জায়গা করে দিলো।রিনি জানালার পাশেই ছিলো তারপাশে শোভা বসে।আর শোভার অপর পাশে নিহাদ বসে।
ওরা মেয়ে দুজন আর ছেলে চারজন যাচ্ছে।

শোভা মিষ্টি হেসে বলল,কেমন আছেন আপু?
রিনি প্রথমে বিরক্ত হলো শোভার কথায় তবুও মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল,ভালো,তুমি কেমন আছো জিজ্ঞেস করে উত্তরের অপেক্ষা না করেই ফোন বের করে এমনিই টিপতে লাগলো।যেন এটাই এখন তারকাছে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।নিহাদ আড়চোখে একবার রিনির অভিব্যক্তি পর্যবেক্ষণ করে শোভাকে উদ্দেশ্য করে বলল,ভালোকরে চাদর মুড়িয়ে নাও।গাড়ির বাতাসে ঠান্ডা লাগবে।
রিনি কানপেতে নিহাদের কথা শুনে ঠোঁট বাঁকালো।গাড়িতে সবাই আনন্দ করতে করতেই রাহুলদের বাসায় পৌঁছালো।শোভা চুপচাপ ছিলো পুরো রাস্তায়।নিহাদরা সবাই বন্ধু,ওদের সাথে শোভা কি আনন্দ করবে?
তিনঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে একটা একতলা বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামে।ঘড়ির কাটা প্রায় ১২টা ছুঁই ছুঁই।বাড়ির সামনে বড় লাইট জালানো।ভেতর থেকে একজন পঞ্চাশোর্ধ লোক দৌঁড়ে এসে সবাইকে ভেতরে নিয়ে গেলো।উনি এই বাড়ির দেখাশোনা করেন।রাহুল উনাকে আনোয়ার চাচা বলে ডাকে।নিহাদের একহাতে ট্রলি,অন্যহাতে শোভার হাত ধরে রেখেছে।বাকিরা নিজেদের ব্যাগ নিয়েই ভেতরে ঢুকলো।গাড়িতে সবাই হালকা পাতলা কোক,চিপস এসব খেয়েছে।পেটে ক্ষুধা আছে।সবাইকে রুম দেখিয়ে দেওয়া হলো।শোভা আর রিনি একঘরে,রাহুল-নিহাদএকঘরে আর আশিক-শিফাত আরেকটা ঘরে থাকবে।
ফ্রেশ হয়ে নিয়ে সবাই খেতে ডায়নিং এ গেলো।

রাহুলরা আসবে শুনে আনোয়ারের স্ত্রী বলে দিয়েছে ওরা যাতে রাতের খাবার এখানে এসে খায় উনি রান্না করে রাখবেন।সবাই খেতে বসেছে।শোভা খাবেনা বলে ঘরেই শুয়ে পড়লো।রিনিকে একা বেরিয়ে আসতে দেখে নিহাদ জিজ্ঞেস করলো শোভা কই?ওকে ডাকিসনি?
রিনি স্থিরচিত্তে জবাব দিলো,ডেকেছি তোর বউ নাকি খাবেনা।সবাই নিহাদকে বলল,যাহ ডেকে নিয়ে আয়।রাতের বেলায় না খেয়ে থাকবে নাকি?
শোভা দরজা হালকা চাপিয়ে শুয়ে ছিলো।নিহাদ দরজায় নক না করেই রুমে ঢুকে পড়লো।শোভাকে শুয়ে থাকতে দেখে হাত ধরে উঠিয়ে দিয়ে বলল,খেতে গেলেনা কেনো?
শোভা বিরক্তিতে”চ”শব্দ করে বলল,এরকম করেন কেনো?আমার এখন ইচ্ছে করেনা খেতে।
নিহাদ ত্যাড়া হয়ে বলল,ভালোলাগবে খেতে চলো।রাতে না খেয়ে থাকা ভালো নয়।শোভা নিহাদের থেকে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে আবার শুয়ে পড়ে।
তুমি না খেলে না খাও।অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে ক্যাঁ ক্যাঁ করো বলেই জেদ করে চলে গেলো।শোভা চুপচাপ শুয়ে রইলো।
নিহাদকে একা আসতে দেখে সবাই জিজ্ঞেস করলো,কিরে ভাবি আসেনি।নিহাদ চেয়ার একটা টেনে বলল,অনেক রাত হয়েছে খেয়ে শুয়ে পড়।শোভা খাবেনা বলেই মুখ গোল করে নিঃশ্বাস ফেললো।কেউ কথা না বাড়িয়ে খেয়ে নিলো।রিনি রুমে গিয়ে শোভার অপর পাশে শুয়ে পড়লো।

নিহাদ রাহুলের সাথে ঘুমিয়েছে।রাহুলের ঘুমানোর ঠিক নেই।এক পা একদিকে দিয়ে রাখছে।কম্বল সব নিজের পায়ের নিচে ঢুকিয়ে রাখছে।নিহাদ উঠে বসে পড়লো।রাগ উঠছে রাহুলের উপর।দাঁড়িয়ে রাহুলকে একটা লাথি মেরে রুমের দরজা খুলে বেরিয়ে যায়।শোভা আর রিনি যেই ঘরে ঘুমিয়েছে সেখানে গিয়ে দরজায় টোকা দেয় কয়েকবার।এখনো শোভার চোখে ভালো করে ঘুম আসেনি।দরজায় টোকার আওয়াজে শোভা ঘাবড়ে যায়।আওয়াজ থামছেইনা বরং বাড়ছে।তাই শোভা সাহস সঞ্চার করে বলে উঠলো,কে?

নিহাদ নিচু স্বরে বলল,আমি নিহাদ,দরজা খোলো।এখন নিহাদ এখানে কেনো এসেছে কথাটা ভাবতেই শোভার ভ্রু কুঁচকে এলো।নিহাদ আবারো দরজায় টোকা মেরে বলল,কি হলো দরজা খোলো।শোভা উঠে শাড়ি ঠিক করে দরজা খুলে দিয়ে উৎকন্ঠা নিয়ে বলল,এতরাতে এখানে কি করছেন?
তোমাকেই দেখতে এলাম বলে শোভাকে ঠেলে রুমের ভেতর ঢুকে গেলো নিহাদ।শোভা বেক্কলের মতো দাঁড়িয়ে রইলো।নিহাদ ট্রলি থেকে তার একটা জ্যাকেট বের করে বেরিয়ে যেতে যেতে বলল,দরজা লক করে ঘুমিয়ে পড়ো।
জ্যাকেটের জন্য এসেছে এটা ত্যাড়াভাবে বলার কি আছে ভেবে পায়না শোভা।
শোভা দরজা লক করে এসে শুয়ে পড়ে।বিপরীত পাশ থেকে রিনি বলে ওঠে,তোমাকেই দেখতে এসেছিলো।মনে ধরে গেছে তোমাকে।
শোভা চমকে উঠে রিনির কথায়।রিনিতো ঘুমিয়ে পড়েছিলো হঠাৎ কথা বলায় শোভা একটু চমকালো।রিনি হেসে তাকিয়ে রইলো শোভার দিকে।তার তাকানো দেখে শোভাও হালকা হাসলো।পরপরই মুড়ি দিয়ে বলল,মেয়েটার মাথায় গন্ডগোল আছে মনে হয়।এই আমাকে ইগনোর করেতো এখন আবার নিজ থেকে কথা বলে।

নিহাদ দুইটা জ্যাকেট একসাথে পড়েছে।রাহুলের কাছ থেকে টেনেটুনে একটু কম্বল নিয়ে কোনোরকম পা গুটিয়ে শুয়েছে।রাহুল আবার কখন কম্বল ধরে টান দেয় বলা যায়না।যাতে শীত কম লাগে তাই নিহাদ কম্বল বাদে সম্বল হিসেবে দুইটা জ্যাকেট পড়েছে।

ফজরের সময় উঠে শোভা নামায পড়ে নিলো।রিনিকে কয়েকবার ডাকার পরও উঠলোনা।তাই শোভা একা একাই নামায পড়ে আবার শুয়েছে।আজ আর নিহাদও নামায পড়তে উঠেনি।
সকালের নাস্তা সেরে সবাই এখন এলাকাটা ঘুরে দেখবে বলে ঠিক করে।সবাই রেডি হতে নিজ নিজ রুমে গেলো।নিহাদ সোজা শোভা যে রুমে থাকে সে রুমে গেলো।ওর জামাকাপড় সব শোভার জামাকাপড়ের সাথে ট্রলিতেই আছে।নিহাদকে এই রুমে আসতে দেখে রিনি সূক্ষ্ম চোখে তাকিয়ে রইলো নিহাদের দিকে।নিহাদ বলল,এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?আমাকে এখন আবার ভাল্লাগে?ব্যাক করতে চাস?তাহলে বলবো সেই সুযোগ আর নেই আমার এখন বউ আছে।যা সর তোকে দেখলে মন চায় ইট মারতে।

রিনি চাপা রাগ ঝেড়ে বলল,শোন,বাজে বকিসনা।এই রুমে তোর এতবার আসতে হবে কেনো?কি কাজ তোর এই রুমে?
নিহাদ ভাবলেশহীন ভাবে বলল,আমার বউ এই ঘরে থাকে।তাই আমি চাইলে একশবার এইঘরে আসতে পারি।
শোভা তীক্ষ্ণ চোখে একবার নিহাদকে পরোখ করে বলল,এখানে কি চাই আপনার?
নিহাদ রসিকতা করে বলল,বউ চাই।তারপর হেসে দিয়ে বলল,আমার জামাকাপড় সব এইঘরে।শোভা খোঁচা মেরে বলল,ট্রলিসহ আমাকে রেখে আসলে এখন জামাকাপড় কোথায় পেতেন?
নিহাদ কথার উত্তর না দিয়ে জামাকাপড় নিয়ে বেরিয়ে গেলো।উত্তর দেওয়ার মতো শব্দ আপাতত তার ভান্ডারে নেই।শোভা আর রিনি একসাথে তৈরি হয়ে বের হলো।সবাই বাইরে দাঁড়িয়েছিলো রিনি আর শোভা আসতেই হাঁটা ধরে।রিনি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল,এক কাজ কর নিহাদকে শোভার সাথে থাকতে দে,তোরা তিনজন একঘরে থাক আর আমাকে একটা ঘর ছেড়ে দে।নিহাদ বারবার নানা বাহানায় শোভাকে দেখতে যায়।তাই বলি কি এত বাহানার দরকার নেই ওর বউটা ওর সাথেই থাক।চোখের সামনে ঘুরঘুর করুক।

রিনির কথা শুনে আশিক ফোঁড়ন কেটে বলল,তা অবশ্য মন্দ হয়না।নিহাদ আশিকের পিঠে কিল বসিয়ে বলল,আমি কি করবো না করবো সেটা নিয়ে তোরা আমাকে জ্ঞান দিতে আসবিনা।শোভা অস্বস্তি নিয়ে সবার সাথে হাঁটছে।নিহাদ খেঁয়াল করলো শোভা কম্ফোর্ট না সবার সাথে তাই শোভার হাত ধরে পিছনে নিয়ে গিয়ে হাঁটা ধরলো।শোভা নিহাদের চোখের দিকে তাকাতেই নিহাদ সামনের দিকে তাকিয়ে বলল,এজন্য বলেছিলাম আমার সাথে এসোনা,এখানে সব ছেলেরা আছে।শোভা মিনমিন স্বরে বলল,আমি কি জানতাম নাকি
এখানে সব আপনার বন্ধুরা,আমিতো ভাবলাম আপনি একা কোথাও যাচ্ছেন।
নিহাদ খোঁচা মেরে বলল,একা ভেবেছিলে নাকি কোনো মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছি ভেবেছিলে?
শোভা সরুচোখে তাকাতেই নিহাদ বলল,এভাবে তাকাও কেনো?ভয় লাগে………………….না।

শোভা মুখ ঘুরিয়ে হাঁটতে লাগলো।সামনে থেকে শিফাত নিহাদ আর শোভাকে দূরে দেখে তাড়াতাড়ি আসার জন্য ডাকতেই নিহাদ বলল,তোরা যা আমরা এদিকেই আছি।ওরা ঠিক আছে বলে সামনে এগিয়ে গেলো।শোভা হাত ছাড়িয়ে নিয়ে দুই ভ্রু কুঁচকে ফেলে বলল,উনাদেরকে চলে যেতে বললেন কেনো?আমরা যাবোনা উনাদের সাথে?

নিহাদ শোভার ঘাড়ের উপর একহাত হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলল,চলো মাইয়া!আজকে তোমাকে নদীর পানিতে চুবিয়ে মারবো।তারপর বাসায় গিয়ে বলবো তুমি নিজে নিজে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরেছো।বাহ ভালো আইডিয়া আমার প্রতিশোধ নেওয়া ও হয়ে যাবে।
শোভা ঘাড়ের উপর থেকে হাত সরিয়ে আতঙ্কিত চোখে বলল,আমি কিন্তু সাতার জানিনা।
নিহাদ বিশ্বজয়ের হাসি দিয়ে বলল,আজ তোমাকে কে বাঁচায় আমি দেখবো।তুমি আমার সাথে এসে ভালোই করেছো।এখন আমার কাজ আরো সহজ হলো বলে খপ করে শোভার হাত ধরতে গেলে শোভা উল্টো দৌঁড় দেয়।নিহাদ ওর পিছু পিছু ছুট লাগায়।গ্রামের আশেপাশে লোকজন তাকিয়ে আছে হা করে।কেউ অবাক হচ্ছে এতবড় ছেলেমেয়ের দৌঁড়ানো দেখে,কেউ শহরের ছেলেমেয়ে বলে স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছে ব্যাপারটা।
দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে অসাবধানতাবশত শোভা শাড়ির সাথে পা বেজে পানিতে গিয়ে পড়ে।শোভাকে পড়তে দেখে নিহাদ পানিতে ঝাঁপ দেয়।সেতো মজা করে বলেছিলো শোভাকে চুবিয়ে মারবে।মেয়েটা সাঁতার জানেনা যদি কিছু হয়ে যায়?পানিতে নেমে নিহাদ এদিক ওদিক তাকায়ে শোভাকে না দেখে ভয় পেয়ে গেলো।এত তাড়াতাড়ি মানুষ ডুবে যায় কিভাবে?

শোভা পাড়ের উপর উঠে বসে নিহাদকে দেখছে আর মুখে হাত চেপে হাসছে।শোভা সাঁতার জানে তবুও মিথ্যে বলল।নিহাদের ভয়ার্ত চেহারা দেখে শোভা জোরেই হেসে দিলো।শোভার হাসার শব্দ পেয়ে নিহাদ পাড়ের দিকে তাকিয়ে তার চোখ উল্টে বেরিয়ে আসার উপক্রম।মেয়েটাকে খুঁজে না পেয়ে নিহাদ এতটাই ভয় পেয়েছিলো যে পানিতে ডুবে গেছে ভেবে পানিতেই খুঁজতে শুরু করেছে।অথচ সে পাড়ের উপর বসে হে হে করে হাসছে।অসভ্য মেয়ে।
পাড়ের দিকে উঠে এসে নিহাদ শোভার চুল ধরে টান দিয়ে বলল,তুমি নাকি সাঁতার জানোনা?তুমি জানো আমি ভয়ে শেষ।বাসায় গিয়ে কি জবাব দিতাম আমি?
শোভা চুল ছাড়িয়ে বলল,কথায় কথায় চুল ধরে টানেন কেনো?নিহাদ শোভার কিছু চুল হাতের তালুতে নিয়ে বলল,তোমার চুলগুলো নুডলসের মতো বাঁকা বাঁকা তাই টানতে ভাল্লাগে।
শোভা কিছু চুল সামনে এনে নিহাদের মুখে ঢুকিয়ে দিয়ে বলল,এই নিন নুডলস খান।
নিহাদ ওয়াক থু করে আবারও শোভার চুল টানতে গেলো।ওর নজর পড়লো শোভার শাড়ি ভিজে গায়ের সাথে লেপ্টে আছে।যদিও শাড়িটি সুতির মধ্যে বলে কিছু দেখা যাচ্ছে না তবুও শরীররের সাথে আটকে আছে বলে খারাপ দেখা যাচ্ছে ব্যাপারটা।নিহাদ ভেজা জ্যাকেটটা খুলে শোভার গায়ে জড়িয়ে দিলো।শোভা নিহাদের দিকে তাকাতেই নিহাদ বলল,তাড়াতাড়ি পা চালাও আশেপাশের মানুষ তাকিয়ে আছে।শোভা এবার খানিকটা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে নিলো।ওর এতক্ষণ হুস ছিলোনা।তাছাড়া খোলা জায়গা বলে রোদের তাপে এতক্ষণ তেমন শীত অনুভব হয়নি।নিহাদ শোভার হাত ধরে গরুর মতো টানতে টানতে নিয়ে গেলো।এতজোরে মানুষ হাঁটতে পারে নাকি?নিহাদের পায়ের সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটতে গিয়ে শোভা নিজেকে গরু বলে আখ্যায়িত করলো।মানুষতো গরুকে এভাবেই টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়।

বাসায় ফিরে দুজনেই জামাকাপড় পাল্টে আবার বের হলো।কিছুদূর যেতেই দেখা গেলো রিনিসহ সবাই এইদিকেই আসছে।রাহুল নিহাদ,শোভার জামাকাপড় পাল্টানো দেখে বলল,কিরে তোদের জামাকাপড় চেঞ্জ কেনো?
নিহাদ সোজা সাফটা উত্তর দিলো বাসায় গিয়ে চেঞ্জ করেছি।সবাই এক সুরে বলে উঠলো ওওওওও!
শোভা সবার ওওও এর মানে বুঝতে পেরে অস্বস্তিতে পড়লো।সবাই ব্যাপারটা অন্যভাবে নিচ্ছে।
নিহাদ ভ্রু উঁচিয়ে বলল,কি?শোভা পানিতে পড়ে গিয়েছিলো তাই চেঞ্জ করেছি আমরা।রিনি ঠোঁট টিপে হেসে বলল,একজন পানিতে পড়লে আজকাল দুজনের চেঞ্জ করা লাগে।আপডেট সবই আপডেট হয়ে গেছে।
শোভা সোজা হাঁটা ধরে দূরে গিয়ে দাঁড়ালো।এসব শুনে লজ্জার চেয়ে অস্বস্তি হচ্ছে বেশি।নিহাদ আড়চোখে শোভার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,ওকে তুলতে গিয়ে আমিও ভিজেছি গবেট কোথাকার।একটা কথাকে টেনেটুনে এর নেগেটিভ দিক তোদের বের করাই লাগে।
#চলবে……..

(ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।হ্যাপি রিডিং।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here