#ভালোবাসা_তুই
#পর্বঃ১৯
#লেখিকা_নিদ্রানী_নিদ্রা
[ কপি করা নিষেধ ]
শুভ্র ভাই কি করে জানি আমার উপস্থিতি টের পেয়ে যায় । আমি তো দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি । এখন আমার দিকে না তাকিয়ে বুঝলো কিভাবে আমি এখানে আছি ? শুভ্র ভাই ভিতর থেকে আবার বলে উঠলো,
” কি হলো ভিতরে আসছিস না কেন ?
আমি আস্তে আস্তে ভিতরে গেলাম । শুভ্র ভাই বলল,
” বস এখানে ।
আমি শুভ্র ভাইয়ের কাছ থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে শুভ্র ভাইয়ের পাশে বসলাম । আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম ,
” আমি যে এখানে আছি আপনি বুঝলেন কিভাবে?
আমার প্রশ্নে উনি ” হা হা হা ” করে হেসে উঠলেন । উনার হাসি দেখে মনে হচ্ছে আমি কোনো জোকস বলেছি। যে টা শুনে উনি এভাবে হাসছেন । হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাওয়ার টাইপ হাসি । আমি উনার হাসি দেখে জিজ্ঞেস করলাম,
” এখানে হাসার কি হলো ? আমি কি হাসার মতো কিছু বলেছি আপনাকে ?
আমার কথা শুনে উনি কোনো রকম হাসি বন্ধ করে ল্যাপটপ টা অফ করে কোলে রেখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
” হাসবো না ? তুই কি বললি ” তুই যে এখানে আছিস আমি কিভাবে বুঝলাম ” ?
” হ্যাঁ কিভাবে বুঝলেন আপনি ?
” তর নিঃশ্বাসের শব্দ , তর গায়ের গন্ধ , তর হাঁটার শব্দ সবকিছু আমাকে আগে থেকেই জানান দেয় তুই কোথায় ।
আমি অবাক হয়ে বললাম,
” নিঃশ্বাসের শব্দ , গায়ের গন্ধ, হাঁটার শব্দ এইসব কি বলছেন আপনি ?
” তর বুঝার দরকার নেই । তুই একটা কাজ কর ! আলমারি খুলে দেখ একটা বক্স রাখা আছে নিয়ে আয় তো বক্স টা ।
” আপনার জিনিস আপনি নিয়ে আসুন । আমি কেন এনে দেবো ?
” বেশি কথা না বলে যা বলছি কর ।
আমি উঠে আলমারি খুলে একটা বক্স আনলাম । শুভ্র ভাইয়ের দিকে বক্সটা দিয়ে বললাম ,
” এই নিন আপনার বক্স ।
” আমাকে দিচ্ছিস কেন ?
” আপনার বক্স আপনাকে দেবো না ?
” খুলে দেখ এটাতে কি আছে ।
আমি বক্সটা খুলে দেখলাম এক জোড়া কানের দুল । দুল গুলাতে পাথরের কাজ করা । দুল গুলো অনেক সুন্দর । আমি উনাকে বললাম,
” ওয়াও দুল গুলো তো অনেক সুন্দর। এগুলো কার জন্য ?
” তর হাতে যেহেতু তর জন্যই ।
” আপনার পছন্দ আছে। দুল গুলো অনেক পছন্দ হয়েছে আমার ।
উনি একটা মুচকি হাসি দিলেন । তারপর আমাকে বললেন ,
” আজকেই চলে যাবি ?
” হুম
” আজকে থেকে যা ।
” আম্মুকে তো বলা হয়নি ।
” ফুপ্পিকে বলা লাগবে না । আমি পরে কিছু বলে দিবো ।
” না দরকার নেই । আমি এখন যাই
আমি শুভ্র ভাইয়ের রুম থেকে চলে আসলাম । মামনির কাছে যেতেই মামনি বলল ,
” আমি তর আম্মুকে ফোন দিয়ে বলে দিয়েছি তুই আজকে এখানে থাকবি ।
” আমি তো কোনো ড্রেস নিয়ে আসিনি মামনি ।
” আমার আগের ব্লাউজ গুলো তো তর গায়ে লাগবে । তুই আমার থেকে শাড়ি নিয়ে পরিস ।
” আচ্ছা মামনি ।
” আমার সাথে রুমে আয় আমি তোকে একটা শাড়ি দিচ্ছি ।
আমি মামনির সাথে গেলাম। মামনি অনেক গুলো শাড়ি বের করে বলল ,
” কোনটা নিবি ?
আমি একটা গোলাপী রঙের শাড়ি নিয়ে বললাম,
” এটা সুন্দর লাগছে ।
” তাহলে এটাই নে । রুমে গিয়ে ড্রেসটা চেঞ্জ করে শাড়ি পড়ে নে ।
” আচ্ছা যা ।
**************
রিমি আমাকে বলল ,
” এটা আমার ফুফাতো ভাই ।
আমি নিশাত ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি । রিমি এবার নিশাত ভাইয়াকে বলল ,
” ভাইয়া এটাই আমার একমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড নিশি । যার কথা তোমাকে বলেছিলাম ।
তখন রিমির ফোনটা বেজে উঠলো । রিমি আমাদের থেকে একটু দূরে গিয়ে ফোনে দুই মিনিট কথা বলে আমাদের কাছে এসে আমাকে বলল ,
” আমি এখন একটা জায়গায় যাচ্ছি তোরা কথা বল ঠিক আছে।
” আরে তুই কোথায় যাচ্ছিস ?
রিমি আমাকে একটু সাইডে টেনে নিয়ে বলল ,
” দোস্ত নিলয় দেখা করতে এসেছে । তুই একটু নিশাত ভাইয়ার সাথে কথা বল আমি দেখা করতে যাচ্ছি । জানিস তো আজকেই আমাদের প্রথম দেখা ।প্লিজ না করিস না ।
নিলয় রিমির বয়ফ্রেন্ড। ফেসবুকের মাধ্যমে ওদের পরিচয় । তারপর থেকে রিলেশন। ওরা এখনো একে অপরকে দেখেনি। আজকেই দেখা করবে তাই আমি আর না করলাম না ।
” আচ্ছা তুই যা ।
রিমি আমাকে থ্যাংকস বলে চলে গেল। আমি নিশাত ভাইয়ার কাছে গিয়ে বললাম,
” চলুন আমাদের এইদিকে একটা নদী আছে। নদীর কাছে যাই ।
” এখান থেকে কত দূর ?
” এইতো দশ মিনিট লাগবে ।
” আচ্ছা চলো ।
আমি আর নিশাত ভাইয়া পাশাপাশি হাঁটছি । চারদিকে অনেক বাতাস আমরা হাঁটতে হাঁটতে নদীর পাশে চলে এলাম । নদীর পাশে একটা বড় গাছ আছে । নিশাত ভাইয়া গাছটা দেখে বলল,
” চলো গাছটার নিচে বসি ।
আমি আর নিশাত ভাইয়া গিয়ে গাছের নিচে বসলাম। আমি নিশাত ভাইয়াকে বললাম ,
” কি অদ্ভুত তাই না ?
” কোন জিনিসটা ?
” এই যে এত দিন ধরে রাজশাহীতে আছি কখনো আপনাকে দেখিনি । অথচ দেখুন ঢাকা দেখা হওয়ার পর এখানে এসে জানতে পারলাম আপনি আমার ভাইয়ার পরিচিত আবার আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আপনার মামাতো বোন ।
” হয়তো আমাদের দেখা হওয়ার কথা ছিল তাই এইসব ঘটছে ।
” হুম ।
আমি গাছের নিচ থেকে উঠে নদীর পাড়ে গেলাম । নদীর পাড়ে হাঁটতে লাগলাম । নিশাত ভাইয়াও আমার সাথে এলো । নদীর পানি আমাদের পা ভিজিয়ে দিচ্ছে । একটা অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে মনের ভিতর । আমি হঠাৎ বলে উঠলাম ,
” আমার অনেক দিনের শখ ছিল আমার প্রিয় মানুষটির সাথে একসাথে নদীর পাড়ে হাঁটবো আর নদীর পানি এসে আমাদের পা ভিজিয়ে দেবে।
” কে বলতে পারে এখন যে তোমার সাথে হাঁটছে সে হয়তো তোমার প্রিয় মানুষ হয়ে উঠবে ।
আমি উনার দিকে তাকালাম। উনি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল ,
” এভাবে তাকিয়ো না সুন্দরী ।
আমি উনার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে আনার দিকে তাকালাম । তখন নিশাত ভাইয়ার ফোনটা বেজে উঠলো । নিশাত ভাইয়া কল রিসিভ করল ওপাশ থেকে কি বলছে আমি শুনতে পাচ্ছি না । নিশাত ভাইয়া ফোনে বলল ,
” আমরা নদীর পাড়ে আছি । তুই আয় ।
বলে কলটা কেটে দিলো । আমি জিজ্ঞেস করলাম,
” রিমি কল করেছিলো ?
” হুম ।
নদীর কাছে একটা লোক বাদাম বিক্রি করছে । আমি আর নিশাত ভাইয়া বাদাম ওয়ালার কাছে গেলাম। নিশাত ভাইয়া বাদাম কিনে বলল ,
” নেও বাদাম খাও
আমি আর নিশাত ভাইয়া বাদাম খাচ্ছি । কিছুক্ষণ পর রিমি আসলো । আমাদের সাথে কিছুক্ষণ বসে বলে উঠলো,
” চল বাসায় তাই । অনেক লেইট হয়ে গেছে।
আমি একটা রিকশা করে বাসায় চলে আসলাম। নিশাত ভাইয়া আর রিমি আরেকটা রিকশা করে বাসায় চলে গেল ।
#চলবে#ভালোবাসা_তুই
#পর্বঃ২০
#লেখিকা_নিদ্রানী_নিদ্রা
[ কপি করা নিষেধ ]
আমি মামনির দেওয়া সেই গোলাপী শাড়ি পড়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি । সামনে একটা কদম গাছ আছে। কদম ফুল আমার অনেক ভালো লাগে । কদম ফুলের সুবাস তাও দারুন । মামনি আমাকে ডেকে বলল ,
” শুভ্রতা নিচে আয় তো ।
” আসছি মামনি ।
আমি নিচে গেলাম । শুভ্র ভাই সোফায় বসে মোবাইল টিপছে । আমি যাওয়ার পর মামনি বলল,
” শুভ্র আর তুই একটু বাইরে থেকে ঘুরে আয় যা।
” তোমার ছেলে কি যাবে ?
” যাবে না কেন অবশ্যই যাবে ।
তারপর শুভ্র ভাইয়ের উদ্দেশ্য বলল,
” কিরে শুভ্র! শুভ্রতা তো চলে এসেছে এবার যা। তোরা ঘুরে আয় একটু !
মামনির কথায় শুভ্র ভাই এবার আমার দিকে তাকালো। আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। শুভ্র ভাই আমাকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলো । কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর বলে উঠলো ,
” আম্মু তুমি শুভ্রতাকে শাড়ি কেন পড়ালে ?
” শুভ্রতা কোনো ড্রেস আনে নি আর শাড়ি পড়েছে তো কি হয়েছে ?
” তুমি জানো শাড়িতে শুভ্রতাকে অত্যাধিক বাজে দেখাচ্ছে । আমার সাথে আমি এভাবে ওকে নিয়ে যাবো না। তোমার ছেলের একটা সম্মান আছে না ? শুভ্রতাকে নিয়ে গেলে একটা মেয়েও আমার দিকে তাকাবে । শুভ্রতা বরং থাকুক! আমি একাই যাই।
শুভ্র ভাইয়ের কথায় আমি মামনিকে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বললাম,
” দেখছো মামনি শুভ্র ভাই কি বলছে ? আমাকে নাকি বাজে দেখাচ্ছে ! মামনি তুমিই বল আমি কি এতটাই বাজে দেখতে ?
” আমাদের শুভ্রতা অনেক মিষ্টি দেখতে । যেই তাকাবে সেই চোখ ফেরাতে পারবে না।
তারপর শুভ্র ভাইকে বলল,
” এই তুই সুন্দরের কি বুঝিস হ্যাঁ ? শুভ্রতাকে নিয়ে যাবি না মানে কি ? শুভ্রতাকে নিয়ে না গেলে তর বাসা থেকে বের হওয়া বন্ধ।
” আচ্ছা নিয়ে যাচ্ছি ।
” হুম যা ।
আমি আর শুভ্র ভাই বাসা থেকে বের হলাম । আমরা একটা পার্কে যাব । আমি আর শুভ্র ভাই একটা রিকশায় উঠলাম । রিকশা কিছু দূর যাওয়ার পর দেখলাম কয়েকটা ছেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে । কোনো কিছু নিয়ে হয়তো দুষ্টামি করছে । আমাদের রিকশাটা যখন ছেলেগুলো পাশ দিয়ে যাচ্ছে তখন একটা ছেলে বলে উঠলো ,
” নাইস কাপল !
আরেকটি ছেলে বলল,
” আপনাদের বেশ মানিয়েছে ।
আমি শুভ্র ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে দেখি উনি মুচকি মুচকি হাসছে। আর আমার এই ছেলেগুলোর কথায় প্রচুর লজ্জা লাগছে । শুভ্র ভাই আমাকে বলল,
” ওরা এমন কিছুই বলেনি যে তোকে লজ্জায় লজ্জাবতী লতা হয়ে যেতে হবে ।
আমি শুভ্র ভাইকে কিছু বললাম না । এখানে লজ্জা পাওয়ার মতো কি নেই ? আমাকে আর শুভ্র ভাইকে বেশ মানিয়েছে কথাটা মনে হলেই তো আমার লজ্জা লাগে । আর উনি বলছে লজ্জা পাওয়ার মতো কিছু বলে নি । আমরা আর কিছুক্ষণ পরে পার্কে গিয়ে পৌঁছালাম । পার্কে গিয়ে দেখি সব কাপলরা এখানে ঘুরতে এসেছে । আমি আর শুভ্র ভাই একটা বেঞ্চে বসলাম । আমি শুভ্র ভাইকে বললাম ,
” শুভ্র ভাই আইসক্রিম খাবো !
” আচ্ছা তুই এখানে বস আমি নিয়ে আসছি ।
শুভ্র ভাই আমার জন্য একটা আইসক্রিম নিয়ে আসলো । আমি বসে বসে আইসক্রিম খাচ্ছি এমন সময় একটা মেয়ে এসে শুভ্র ভাই বলল ,
” শুভ্র কেমন আছো ?
” ভালো ! তুই কেমন আছিস ?
” ভালো ! অনেক দিন পর তোমাকে দেখলাম ।
” তোকে না বলেছি আমাকে তুই করে বলতে । তুমি করে বলবি না আমাকে ।
” শুভ্র তোমাকে আমি তুই করে বলতে পারবো না । তুমি বোঝ না তোমাকে কত ভালোবাসি আমি ?
আমি চুপ করে আইসক্রিম খাচ্ছি আর ওদের কাহিনী দেখছি । সুন্দরী হলেও মেয়েটিকে আমার একটুও ভালো লাগছে না । কেমন ছোট ছোট পোশাক পড়ে আছে । একটু ও লজ্জা নেই । শুভ্র ভাই মেয়েটিকে বলল ,
” লিজা তোকে আমি শুধু বন্ধুর নজরেই দেখি । তাই তর সাথে কথা বলি যদি আর কোনদিন ভালোবাসার কথা বলিস তাহলে আর কথাই বলল না ।
লিজা না ফিজা মেয়েটি কিছু বলতে গিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল ,
” শুভ্র এই মেয়েটি কে ?
” আমার বউ !
আমি শুভ্র ভাইয়ের দিকে হা করে তাকিয়ে আছি । কি বলছেন উনি ? আমি উনার বউ কেন হতে যাবো ? আমি শুভ্র ভাইকে কিছু বলতে যাবো তখন শুভ্র ভাই আমাকে বলল ,
” আমাকে ভালোবাসার কথা বলছে আর তুমি চুপ করে বসে আছো ! কেমন বউ তুমি ?
শুভ্র ভাইয়ের প্রশ্নে আমি কিছু বলতে গিয়ে ও বলতে পারলাম না । শুভ্র ভাইকে মেয়েটি বলল,
” শুভ্র এই মেয়েটির মধ্যে কি পেলে তুমি ? আমি তো ওর থেকে ও সুন্দর । তাহলে আমাকে কেন ভালোবাসলে না ?
” এখানে সিনক্রিয়েট না করে যা তো !
মেয়েটি কিছু না বলে চলে গেল । মেয়েটি চলে যেতেই আমি শুভ্র ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম ,
” আপনি বললেন কেন আমি আপনার বউ ?
” আমার কোনো শখ ছিল না তোকে বউ বলার । এখন যদি বউ না বলতাম তাহলে লিজা নাচতে নাচতে আমার সাথে আমাদের বাসায় চলে যেত । তাই বাধ্য হয়ে তোকে বউ বলেছি ।
আমি আর কিছু বললাম না উনাকে । কিছুক্ষণ এখানে ঘুরে বাসায় চলে গেলাম ।
**************
রাতে আমি খাবার খেয়ে যখন রুমে আসলাম তখন আমার ফোনটা বেজে উঠলো । আমি তাকিয়ে দেখি unknown নাম্বার থেকে কল আসছে । অন্য সময় আমি unknown নাম্বার দেখলে কল রিসিভ করি না । আজকে কেন যেন রিসিভ করতে মন চাচ্ছে । ভাবতে ভাবতে কলটা কেটে গেল । আবার ও একই নাম্বার থেকে কল আসলো । এবার আর দেরি না করে কলটা রিসিভ করলাম । ওপাশ থেকে কোনো কথা বলছে না । আমি জিজ্ঞেস করলাম ,
” কে ?
ওপাশ থেকে তাও কোনো কথা বলছে না । আমি আবার ও বললাম ,
” কথা না বললে কল কেন করেছেন । রাখছি আমি !
তখন ওপাশ থেকে বলে উঠলো,
” কি করছো ?
কন্ঠটা আমার খুব পরিচিত । নিশাত ভাইয়ার কন্ঠ কিন্তু উনি কিভাবে আমার নাম্বার পেল ? আমাকে কেন কল করল ? উনি বলে উঠলো ,
” কি হলো কথা বলছো না কেন ?
” আপনি আমার নাম্বার কোথায় পেলেন ?
” রিমির কাছ থেকে নিয়েছি । তোমার কি কথা বলতে কোনো প্রবলেম আছে ?
” প্রবলেম নেই ! আমাকে কি মনে করে কল দিলেন ?
” তোমার কথা মনে পড়ছিল তাই কলটা করেই ফেললাম ।
” ওহ আচ্ছা ! খাবার খেয়েছেন ?
” হুম তুমি ?
” হ্যাঁ !
” এখনো ঘুমাও নি ?
” ঘুমাতে আসছিলাম এখন আপনি কল দিলেন ।
” বিরক্ত করলাম ! আচ্ছা ঘুমাও তুমি ।
” না ঠিক আছে ।
এভাবে আমরা অনেকক্ষণ কথা বললাম । নিশাত ভাইয়ার সাথে কথা বলতে ভালোই লাগে ।
#চলবে
[ পাঠকগণ নিশি আর নিশাতের কাহিনিটা গুছিয়ে লিখতে পারি নি । ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ]