ভালোবাসা তুই পর্ব -২৭+২৮

#ভালোবাসা_তুই
#পর্বঃ২৭
#লেখিকা_নিদ্রানী_নিদ্রা

[ কপি করা নিষেধ ]

আপু কান্নাকাটি করে চলে গেল । প্রচন্ড মন খারাপ নিয়ে বিকেলটা পার করলাম । রাতে বিষন্ন মনে ছাদের রেলিং ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি । আকাশে অজস্র তারার মেলা । দক্ষিনা বাতাস শরীরটা ছুঁয়ে ঠান্ডা করে দিচ্ছে।

শুভ্র ভাই আমার পাশে এসে দাঁড়ালো। আমি আড়চোখে একবার শুভ্র ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আবারও আকাশ পানে তাকালাম । শুভ্র ভাই আমার কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বলল,

” এখানে কি কেউ মন খারাপ করে আছে ?

শুভ্র ভাইয়ের গরম নিঃশ্বাস আমার ঘাড়ে পড়ছে। শরীরটা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে গেছে । শুভ্র ভাই আমার অস্বস্তি বুঝতে পেরে আমার কাছ থেকে সরে দাঁড়ালো । আমি শুভ্র ভাইয়ের কথার প্রসঙ্গে বললাম,

” হুম ভীষণ !

শুভ্র ভাই একটু মুচকি হেসে বললেন,

” তাকে যে মন খারাপে প্রচুর বেমানান লাগে। তাকে তো মানায় তার মিষ্টি হাসিতে , তার চঞ্চলতায় , রাগী রাগী সেই অসাধারণ মুখটাতে ! মুখ ফুলিয়ে বসে থাকা শুভ্রতাকে অপূর্ব লাগে ! তাকে কখনো অভিমানী চেহারায় দেখার ভাগ্য আমার হয়নি ! কিন্তু খুব শীঘ্রই সেই ভাগ্য আমার হবে ।

আমি শুভ্র ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছি । এই মানুষটাকে আমার কেন জানি আমার সুখের চাবিকাঠি মনে হয় । আমার মন খারাপ কে ভালো করার একমাত্র ওষুধ শুভ্র ভাই । অদ্ভুত ভাবে আমার সব মন খারাপ কিভাবে যেন উনার সান্নিধ্যে থাকলে চট করে উড়ে যায়। শুভ্র ভাই আমার দিকে তাকিয়ে আবারও বলে উঠলো,

” আমার সে যে অত্যাধিক পরিমাণে অবুঝ। এখনো আমায় বুঝতেই পারে না । আমি যে তাকে কাছে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি । কবে অবসান ঘটবে এই অপেক্ষার ?? কবে সে আমার ব্যাক্তিগত সে হয়ে উঠবে ? আমি যে তার বিরহে কাতর হয়ে আছি কবে বুঝবে সে ?

আজ যেন হঠাৎ করেই আমি শুভ্র ভাইয়ের প্রত্যেকটা কথার মানে বুঝতে পারছি। শুভ্র ভাইয়ের বলা ” আমার ব্যাক্তিগত সে ” বলতে আমাকেই বুঝিয়েছেন । কথাটা মনে হতেই আমার মনের মধ্যে এক ঝাঁক সুখের ঝাড়বাতি জ্বলে উঠলো । শুভ্র ভাই আমাকে ভালোবাসেন ! ইশশশ আমার যে কি ভালো লাগছে ! মনের মধ্যে কেমন অদ্ভুত ফিলিংস হচ্ছে ! যা আজকের আগে কখনো হয়নি । শুভ্র ভাই আবারও বলে উঠলো ,

” আমাকে প্রতিদিন সকালে তার ঘুমন্ত মুখটা দেখার সুযোগ কি দেবে ?? তার সুখে- দুঃখে আজীবন পাশে থাকার সুযোগ দেবে আমায় ?? আমার প্রতি তার জমে থাকা অভিমানের পাহাড় ভাঙ্গানোর সুযোগ কি দেবে আমাকে ??

আমি শুভ্র ভাইয়ের কথায় একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেলাম। ঘোরের মধ্যে থেকেই বললাম ,

” অবশ্যই দেবে !

শুভ্র ভাই আমার কথায় প্রশান্তির হাসি হাসলো । আমার কাছে এসে কপালে একটা চুমু খেয়ে বললো,

” রুমের মধ্যে গিয়ে ঘুমিয়ে পড় অনেক রাত হয়েছে !

আমি শুভ্র ভাইয়ের কথায় আমার রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম । সকালে আম্মু ডেকে ঘুম থেকে তুলে একটা শাড়ি আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল,

” তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে শাড়ি টা পরে নে !

” আম্মু আমি শাড়ি কেন পড়বো ।

” বেশি কথা না বলে যা বলছি তা কর !

আম্মু কথাটা বলেই দ্রুতগতিতে রুম থেকে চলে গেল। আমার আর কিছু বলার সুযোগই দিলো না । আমি আম্মুর কথা মতো ফ্রেস হয়ে শাড়িটা পড়ে নিলাম। আম্মু কিছুক্ষণ পর এসে আমার মাথায় ঘোমটা দিয়ে বলল,

” নিচে আয় ! পাএ পক্ষ তোকে যা জিজ্ঞেস করবে সুন্দর করে কথার উত্তর দিবি ।

আম্মু কথায় আমার মাথায় বাজ ভেঙে পড়লো । কি বলছে আম্মু পাএ পক্ষ আমায় দেখতে আসছে মানে ? আম্মুকি আমাকে এখনই বিয়ে দিয়ে দিতে চাইছে ? শুভ্র ভাই কোথায় ? উনি কেন কিছু বলছে না ? আমি আম্মুকে বললাম ,

” আম্মু কালকেই তো আপুর বিয়ে হলো তুমি আজকে কেন আমাকে পাএ পক্ষের সামনে নিয়ে যাচ্ছো ? আমাকে এতো তাড়াতাড়ি পর করে দিবে ?

” কালকে বিয়েতে পাএ তোকে দেখে পছন্দ করেছে তাই আজকেই সবাইকে নিয়ে হাজির হয়েছে । ছেলেটা দেখতে শুনতে খুব ভালো । নম্র- ভদ্র তাই তোকে যেতে বলছি ! চল এখন !

আমি আম্মুকে বলেও কিছু করতে পারলাম না । আম্মু আমাকে নিচে নিয়ে গেল । আমি নিজে গিয়ে দেখি মামনিও আছে । মামনির দিকে আমি করুন দৃষ্টিতে তাকালাম । আমাকে নিয়ে পাএ পক্ষের সামনে বসানো হলো । আমি চারিদিকে তাকিয়ে শুভ্র ভাইকে খুঁজলাম কিন্তু কোথাও তার দেখা পেলাম না । আমি সামনে তাকিয়ে দেখি কালকের সেই বদলটা সামনে বসে আছে। বলদটার পাশে একজন মধ্যবয়স্ক পুরুষ আরেকজন মধ্যবয়স্ক মহিলা । সাথে একটা আমার বয়েসি ছেলেও আছে । মহিলাটি আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলল,

” মাশাআল্লাহ ! আমার ছেলের তো দেখি পছন্দ আছে! আমার অনেক পছন্দ হয়েছে !

মহিলাটি পুরুষটির দিকে তাকিয়ে বলল,

” আপনার কোনো আপত্তি আছে ?

” না ! আমার কোনো আপত্তি নেই !

তারপর আব্বু সাথে কথা লাগলো । পাএ পক্ষ আসলে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করে । আপুকে দেখতে এসেও তুষার ভাইয়ের আম্মু আর ফুপ্পি সেই কি প্রশ্ন করেছিল! কিন্তু আমাকে তো কিছুই জিঙ্গেস করল না । মূর্তির মতো খালি বসেই থাকলাম আমি । বলদটা আমার দিকে তাকিয়ে লাজুক হাসছে । আমার তো এই বলদটাকে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে । কিন্তু এই মুহূর্তে আমি কিছুই করতে পারছি না ।

আব্বুর সাথে আমাকে সামনে রেখে আজকেই সিদ্ধান্ত নিলো আমাকে এই ছেলের সাথে বিয়ে দিবে । আমি কি আব্বু – আম্মুর বোঝা হয়ে গেলাম ? কালকে আপুকে বিয়ে দিয়ে আজকে আমাকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করছে! আমার বুক ফেটে চিৎকার আসছে । বারবার শুধু শুভ্র ভাইয়ের কথা মনে পড়ছে । আজকে কোথায় গেলেন উনি ? উনার শুভ্রতাকে মে উনার কাছ থেকে আলাদা করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে উনি কি বুঝতে পারছে না ?

আমি এখানে থেকে উঠে প্রথমে শুভ্র ভাইয়ের রুমে গেলাম। কিন্তু রুমে গিয়ে শুভ্র ভাই আর নিশাত ভাইয়া দুজনের কাউকেই খুঁজে পেলাম না । আমি দৌড়ে ছাদে গেলাম ! সেখান গিয়ে নিরাশ হয়ে গেলাম শুভ্র ভাই নেই ছাদে ! আমার হাতে থাকা ফোনটা দিয়ে শুভ্র ভাইয়ের নাম্বারে ডায়াল করলাম ! এবার ও আমাকে নিরাশ হতে হলো শুভ্র ভাইয়ের নাম্বারটা বন্ধ বলছে ।

#চলবে

[ দেরি করে গল্প দেওয়ার জন্য সরি ! আজকে চেষ্টা করবো দুই পার্ট দেওয়ার ! সবাই প্লিজ নেক্সট নেক্সট না করে গঠন মূলক মন্তব্যে করবেন ]#ভালোবাসা_তুই
#পর্বঃ২৮
#লেখিকা_নিদ্রানী_নিদ্রা

[ কপি করা নিষেধ ]

সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই প্রথমেই নিশাত ভাইয়ার কথা মনে পড়লো । কালকে রাতে আমি যখন রুমে আসবো তখন গেস্ট রুম থেকে কেউ একজন হেঁচকা টান দিয়ে আমায় রুমের ভিতর নিয়ে গেল । ভয়ে আমার প্রান যায় যায় অবস্থা। আমি সামনে তাকিয়ে দেখি নিশাত ভাইয়া । আমি উনাকে দেখে কপট রাগ দেখিয়ে বললাম,

” এভাবে কেউ টান দিয়ে আনে এক্ষুনি তো আমি ভয়ে হার্ট অ্যাটাক করে মরে যেতাম !

নিশাত ভাইয়া আমাকে দেয়ালের সাথে লাগিয়ে আমার ডান দিকে উনার বাম হাতটা দিয়ে আমার দিকে ঝুঁকে বলল ,

” এইটুকুই হার্ট অ্যাটাক করে মরে যেতে !

নিশাত ভাইয়ার গরম নিঃশ্বাস আমার মুখে আছড়ে পড়ছে। শরীরের মধ্যে অদ্ভুত এক শিহরণ বয়ে গেল । আগে কখনো এইরকম পরিস্থিতিতে পড়িনি ! আমি নিশাত ভাইয়াকে বললাম,

” আপনার কাছে ব্যাপারটা এইটুকু হলেও আমার কাছে মোটেও তা না !

” আমার ফিউচার ওয়াইফকে এতো ভিতু হলে তো চলবে না ! তাকে প্রচন্ড পরিমানে সাহসী হতে হবে ।

” আপনার ফিউচার ওয়াইফ একটুও ভিতু না । প্রচন্ড পরিমানে সাহস তার আছে !

” হুম তা তো দেখতেই পেলাম !

” আচ্ছা এখন আমার সামনে থেকে সরে দাঁড়ান কেউ দেখে ফেললে কি হবে?

” এখন কেউ এই রুমে আসবে না ! শুভ্র এখন ছাদে শুভ্রতার সাথে কথা বলছে তাই শুভ্রর ও আসার চান্স নেই !

” আপনি কি জ্যোতিষী নাকি শুভ্র ভাই কখন আসবে তা আগে থেকেই বলে দিচ্ছেন !

” তোমার যা মনে হয় তাই !

নিশাত ভাইয়া কথাটা বলে আমার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে আছেন । এভাবে তাকিয়ে থাকাতে আমার প্রচুর অস্বস্তি ফিল হচ্ছে। আমি নিচের দিকে তাকিয়ে আছি ! উনি আমার অস্বস্তি বুঝতে পেরে ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে । কিছুক্ষণ পর উনি বললেন,

” কালকে চট্টগ্রাম যাচ্ছি !

নিশাত ভাইয়ার কথায় আমার মন খারাপ হয়ে গেল। আমি উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,

” কয়েক দিন থেকে যান !

” কিছু কাজ আছে আর শুভ্রও আমার সাথে চট্টগ্রাম যাচ্ছে !

” আবার কবে দেখতে পাব আপনার ?

” খুব শীঘ্রই !

নিশাত ভাইয়া কথাটা বলার পরও আমার কিছুতেই শান্তি লাগছে না । প্রচন্ড মন খারাপ ঘিরে রেখেছে আমার মনটাকে ! আমাকে অশান্ত দেখে নিশাত ভাইয়া বলল ,

” মন খারাপ করো না ! খুব তাড়াতাড়িই তোমাকে আমার রাজ্যের রানী করে নিয়ে যাবো!

নিশাত ভাইয়ার মুখে এই কথা শুনে ভীষণ লজ্জা পেলাম । লজ্জায় উনার মুখের দিকে তাকাতে পারছি না । আমার লজ্জা মিশ্রিত মুখ থেকে নিশাত ভাইয়া হেসে বলল,

” আমার লজ্জাবতীকে লজ্জা পেলে দারুন লাগে !

কথাটা বলেই নিশাত ভাইয়া উনার মুখটা আমার আরো কাছে নিয়ে আসছে ! উনাকে এভাবে কাছে আসতে দেখে আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম ! আমার বুকের ভিতর ধুক ধুক শব্দ হচ্ছে । নিশাত ভাইয়া আমার কাছে আসছে আর আমার হার্টবিট তরতর করে বেড়ে যাচ্ছে! নিশাত ভাইয়া যখন আমাকে কিস করতে যাবে তখন কেউ ….

” নিশাত কালকে যে চট্টগ্রাম যাব ব্যাগ গুছিয়েছিস ?

কথাটা বলতে বলতে শুভ্র ভাই রুমে ঢুকলো ! শুভ্র ভাইয়ের কন্ঠ শুনে নিশাত ভাইয়া ছিটকে দূরে সরে গেলো। আমার এই মুহূর্তে লজ্জায় মাটি ফাঁক করে মাটির ভিতরে ঢুকে যেতে ইচ্ছে করছে ! শুভ্র ভাই কি ভাববে আমাদের । সব হয়েছে নিশাত ভাইয়ার জন্য ! নিশাত ভাইয়া শুভ্র ভাইকে বলল,

” না করে রুমে আসবি না ?

” তুই কেন দরজাটা লক করলি না ? আমি কি জানতাম নাকি এখানে অন্যসব কাহিনী হচ্ছে ?

আমি আর এখানে থাকতে পারছি না । এখান থেকে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই শুভ্র ভাই আমাকে বলে উঠলো ,

” নিশি আমি আর নিশাত কালকে চট্টগ্রাম যাচ্ছি। তুমি একটু শুভ্রতাকে বলে দিও । আমার মনে ছিল না তাই বলতে পারি নি !

” আচ্ছা ভাইয়া বলে দেবো !

তারপর সেখান থেকে একদৌড়ে রুমে চলে আসলাম । আমাকে দৌড় দিতে দেখে শুভ্র ভাই নিশাত ভাইকে বলল,

” লজ্জা পেয়েছে মেয়েটা !

আমি রুমে এসে দেখি শুভ্রতা ঘুমিয়ে পড়েছিল । তাই আর বলতে পারি নি শুভ্র ভাই আজকে চট্টগ্রাম যাবে! আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে শুভ্রতার মামনির কাছে শুনলাম শুভ্রতাকে পাএপক্ষ দেখতে এসেছে । ওরা নাকি পাকা কথা দিয়ে দিয়েছে ! আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম,

” শুভ্রতা কোথায় ?

” ছাদে গেছে !

আমি আর এখানে না থেকে শুভ্রতার কাছে গেলাম ! ছাদে গিয়ে দেখলাম শুভ্রতা ছাদের মধ্যে বসে কাকে যেন বার বার কল করছে ! মনে হয় শুভ্র ভাইকে । আমি গিয়ে শুভ্রতার কাঁধে হাত রাখলাম । শুভ্রতা আমার দিকে তাকিয়ে উতলা হয়ে বলল ,

” দেখ না নিশি শুভ্র ভাইকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না । কল করছি নাম্বার ও বন্ধ বলছে । কোথায় গেছে একবার বলেও যায়নি ।

” শুভ্র ভাই আর নিশাত ভাইয়া আজ সকালে চট্টগ্রাম গেছে । শুভ্র ভাই তোকে বলতে ভুলে গিয়েছিল আর আমি ও রাতে রুমে গিয়ে দেখি তুই ঘুমিয়ে গেছিস তাই বলতে পারিনি ।

” শুভ ভাই আর নিশাত ভাইয়া তো একসাথে আছে । তুই একবার নিশাত ভাইয়াকে কল দে !

আমি নিশাত ভাইয়াকে কল দিলাম ! কিন্তু ওপাশ থেকে কলটা রিসিভ হলো না । আমি আবারও কল করলাম অনেকক্ষন রিং হওয়ার পর নিশাত ভাইয়া কল রিসিভ করেই বলল ,

” নিশি এখন ব্যস্ত আছি । ফ্রি হয়ে তোমাকে কল দিবো !

আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই নিশাত ভাইয়া কলটা কেটে দিলো ! আমি শুভ্রতার দিকে তাকিয়ে বললাম ,

” চিন্তা করিস না শুভ্র ভাই ঠিক এসে এই বিয়ে ভেঙে দিবে । তোকে অন্য কারো হতে দেবে না ।

আমার কথায় শুভ্রতা কিছুটা শান্ত হলো । আমি শুভ্রতাকে বুঝিয়ে রুমে নিয়ে আসলাম । বিকেলে শুভ্রতা আমাকে বলল,

” নিশি আম্মু ওই বলদটাকে আমার নাম্বারটা দিয়ে দিয়েছে ! এখন আমাকে বারবার কল করছে ।

” ফোনটা আমাকে দে তো !

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here