#ভালোবাসা_তুই
#পর্বঃ২৩
#লেখিকা_নিদ্রানী_নিদ্রা
[ কপি করা নিষেধ ]
আমি নিজে গিয়ে শুভ্র ভাইয়ের সামনে গিয়ে বসলাম। কিন্তু শুভ্র ভাই আমার দিকে একবার তাকাচ্ছে ও না। অন্য সময় তো আমাকে দেখলেই শুধু ঝগড়া করতো কিন্তু আজকে একদম চুপচাপ। শুভ্র ভাইকে এভাবে চুপ থাকতে দেখে আমার একটু ও ভালো লাগছে না । উনাকে বিরক্ত করতে ইচ্ছে হচ্ছে। আমি আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম কেউ আছে কিনা । কিন্তু না কেউ নেই। এখনই তো সুযোগ উনাকে বিরক্ত করার । আমি একেবারে শুভ্র ভাইয়ের গা ঘেঁষে বসলাম । তারপর উনাকে বললাম,
” শুভ্র ভাই একটু মাথাটা টিপে দিন না । আমার না অনেক মাথা ব্যথা করছে ।
আমার আসলে কোনো মাথা ব্যথা করছে না শুভ্র ভাইকে একটু বিরক্ত করার জন্য মিথ্যা কথা বললাম। কিন্তু শুভ্র ভাই কোনো কিছুই বলছে না । একইভাবে বসে আছে । আমি যে উনাকে কিছু বললাম উনি পাত্তাই দিলেন না । একবার ফিরে ও তাকালো না আমার দিকে। আমি আবার ও বললাম,
” শুভ্র ভাই একটু টিপে দিন না মাথাটা ।
এবার শুভ্র ভাই আমার দিকে তাকালো। উনাকে তাকাতে দেখে আমি একটা হাসি দিলাম । উনি আবারও অন্য দিকে তাকালো। আমাকে কিছুই বলল না । একে তো উনি কিছু না জেনেই আমার অবুঝ হাতটা কে এভাবে ব্যাথা দিয়েছে। তার উপর এখন আবার আমার সাথে ভাব দেখানো হচ্ছে । আমি ও উনাকে ছাড়ে দেওয়ার পাএী না । এবার একটু রাগি কন্ঠে বললাম,
” আপনাকে কিছু বলছি তো আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন না ?
” দেখ শুভ্রতা আমার কাছে নাটক করবি না । আমি জানি তোর কোনো মাথা ব্যথা নেই ।
” আপনি বললেই হলো নাকি ? আমি বলছি আমার মাথা ব্যথা করছে আর আপনি বলছেন করছে না । বলি কি মাথা ব্যথাটা আমার করছে আপনি কি করে জানবেন আমার মাথা ব্যথা করছে নাকি করছে না ?
” তোর বিষয়ে তোর থেকে বেশি আমি জানি ।
” কচু জানেন ।
কথাটা বলেই আমি শুভ্র ভাইয়ের কোলে মাথা রাখলাম। তারপর শুভ্র ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললাম,
” টিপে দিন তো মাথাটা ।
শুভ্র ভাই কিচ্ছু বলছে না । আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর আমি বললাম,
” কি হলো কিছু বললাম তো আপনাকে !
উনি কোনো কথাই বলছে না । আমি চোখ বন্ধ করে শুভ্র ভাইয়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে রইলাম। হঠাৎ করে উনি টুপ করে আমার গালে একটা কিস দিয়ে দিলো। সামনে থেকে কেউ বলল,
” সরি সরি আমি কিন্তু কিছু দেখিনি ।
আমি সামনে তাকিয়ে দেখি নিশি । কথাটা বলেই উপরে চলে গেছে ।
ইশশশ কি লজ্জা ! অসভ্য শুভ্র ভাই । আমি এখানে এসেছিলাম উনাকে বিরক্ত করতে আর উনি এটা কি করলো ? আসলেই শয়তান কখনোই ভালো হয় না । শয়তান শয়তানই থাকে। কিন্তু এখন আমার কি হবে ? আমি আমার জামাইকে মুখ দেখাবো কিভাবে ?
আমি গালে হাত দিয়ে যখন কথা গুলো ভাবছি তখন শুভ্র ভাই বলে উঠলো,
” আমাকে বিরক্ত করতে আসা এখন দেখ কেমন লাগে। আমাকে ভুলেও বিরক্ত করতে আসবি না !
” আপনি আমার সাথে এমন কেন করলেন। অসভ্য কোথাকার।
” শুধু তো একটা কিস করেছি তাতেই অসভ্য ? আরো কিছু করলে কি বলবি ?
আমি শুভ্র ভাইয়ের কথা শুনে তাড়াতাড়ি উনার কাছ থেকে সরে বসলাম । একটু ও লজ্জা সরম নেই । নির্লজ্জ লোক কোথাকার । আমি উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,
” আমি নেহাত ভালো মেয়ে টা না হলে এতক্ষণে আপনাকে মজা দেখাতাম । আমি আর আপনার সামনেই আসবো না ।
বলেই রাগে গিজগিজ করতে করতে উপরে চলে এলাম আর শুভ্র ভাই আমার কথা শুনে হাসতে লাগল । কেমন বেয়াদব লোক ।আমার মতো একটা ইনোসেন্ট মেয়ে পেয়েছে বলে এত কিছু করে নিলো । আমি একবার সুযোগ পাই তখন বুঝানো শুভ্রতা কি জিনিস ।
**************
বিকেলে আমি ঘুম থেকে উঠে নিচে নেমে দেখি দুইজন মহিলা হলুদের অনুষ্ঠানে যেসব জিনিস সাজানো লাগে ওরা সাজাচ্ছে । তরমুজের দানি বানাতে গিয়ে তরমুজটা একেবারে নষ্টই করে ফেলেছে । আমি উনাদের কাছে গিয়ে বললাম,
” আন্টি আমি করে দিই ? আমি এইগুলো করতে পারি!
আমার কথা শুনে উনারা যেন অনেক বড় বিপদ থেকে চিন্তা থেকে মুক্তি পেল । আমাকে একজন বলল,
” আমরা কখনো এগুলো করিনি তো তাই হচ্ছিল না । তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
কথাটা বলেই উনারা চলে গেলেন । আমি এখানে একা একা বসে এগুলো করতে লাগলাম । হঠাৎ করে সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি নিশাত ভাইয়া সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে । কিন্তু নিশাত ভাইয়া কখন এলো ? উনি আমার পাশে এসে বসে বলল,
” তুমি একা এইগুলো করছো ?
” হুম কিন্তু আপনি এলেন কখন ?
” আমি কিছুক্ষণ আগে এসেছি তুমি তখন ঘুমিয়ে ছিলে!
” ওহ আচ্ছা ।
” বেশ ভালো করেই তো সাজাতে পারো ।
আমি নিশাত ভাইয়ার কথা শুনে মুচকি হাসি দিলাম । আমি এগুলো সাজাচ্ছি আর নিশাত ভাইয়ার সাথে কথা বলছি । ১০ রকমের আইটেম করেছি । প্রায় ২ ঘন্টার মতো সময় লেগেছে । কিছুক্ষণ আগে শুভ্র ভাই এসে নিশাত ভাইকে নিয়ে গেছে । সবাই গায়ে হলুদের জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে । আমি সব গুলো জিনিস ঠিক করে উপরে উঠে দেখি শুভ্রতা ও এখনো তৈরি হয়নি। আমি গিয়ে শুভ্রতাকে বললাম,
” কিরে তুই এখনো তৈরি হলি না ?
” এখনই হবো ।
তারপর আমি আর শুভ্রতা তৈরি হয়ে নিলাম। আমরা দুজনেই হলুদ শাড়ি পড়লাম । কানে দুল পড়লাম। হাতে চুড়ি । ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে চুল গুলো খোঁপা করে বেলি ফুলের গজরা দিয়ে দিলাম । আমি আর শুভ্রতা একসাথে নিচে নামলাম । বাগানে হলুদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো । আমি আর শুভ্রতা বাগানে গেলাম । নিশাত ভাইয়া শুভ্র ভাইয়ের সাথে দাঁড়িয়ে ছিলো । হঠাৎ আমাকে দেখে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো । আমার অনেক লজ্জা লাগছে । শুভ্র ভাই নিশাত ভাইয়াকে কিছু বলছে কিন্তু নিশাত ভাইয়া শুনছে না দেখে আবার বলল ,
” নিশাত কথা বলছিস না কেন ?
এবার ও নিশাত ভাইয়ার কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে শুভ্র ভাই নিশাত ভাইয়ার দিকে তাকালো। তারপর নিশাত ভাইয়ার দৃষ্টি অনুসরণ করে আমাদের দিকে তাকালো । শুভ্র ভাই শুভ্রতাকে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে । কিন্তু শুভ্রতা দেখতে পাচ্ছে না শুভ্রতা তো ডেকোরেশন দেখতে ব্যস্ত ।
#চলবে#ভালোবাসা_তুই
#পর্বঃ২৪
#লেখিকা_নিদ্রানী_নিদ্রা
[ কপি করা নিষেধ ]
আমি নিশির কাছ থেকে এসে আপুর পাশে বসলাম। মে যার মতো ছবি তুলছে । গান ছেড়ে নাচানাচি করছে। আমি চারিদিকে তাকিয়ে শুভ্র ভাইকে খুঁজতে লাগলাম। তারপর একটু দূরে দেখি শুভ্র ভাই বাগানের এক সাইডে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে । আমি হাতে হলুদ নিয়ে শুভ্র ভাই যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছে সেখানে যেতে লাগলাম ।
আমি আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে হাঁটছি যাতে শুভ্র ভাই বুঝতে না পারে আমি এখানে এসেছি । আমি এখন ঠিক উনার পিছনে। আমি যখন পিছন থেকে উনার গালে হলুদ লাগাতে যাব ঠিক তখনই উনি খপ করে আমার ডান হাতটা ধরে ফেললেন । তারপর কলটা কেটে আমাকে উনার সামনে নিয়ে গেলেন। তারপর আমাকে বললেন ,
” তুই কি মনে করেছিস তুই আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে আসলেই আমি তোর উপস্থিতি টের পাব না ? তোকে আগেও বলেছি ” তোর নিঃশ্বাসের শব্দ, গায়ের গন্ধ, হাটার শব্দ সবকিছু আমাকে জানান দেয় তুই কোথায় ”
আমি ভুলেই গিয়েছিলাম উনি যে আমার উপস্থিতি আগে থেকেই টের পায় । আমি আমার বাম হাতটা দিয়ে যখন উনার মুখে হলুদ লাগাতে যাব তখন আবারও উনি আমার হাতটা ধরে ফেললেন।
শুভ্র ভাই আমার হাত থেকে হলুদ নিয়ে উনার হাতে নিয়ে নিলো । উনি আমার হাত দুটো ছেড়ে দিয়ে দুই হাতে আমার গালে হলুদ লাগিয়ে দিলো । তারপর আস্তে আস্তে উনার মুখটা আমার কাছে এগিয়ে নিয়ে আসলো। উনার হাত দুটো দিয়ে আমার কাঁধ চেপে ধরল । তারপর আমার গালের সাথে উনার গাল ঘষা দিয়ে আমার গালের হলুদ উনার গালে লাগিয়ে নিলো।
শুভ্র ভাইয়ের স্পর্শে আমি কেঁপে উঠলাম। আমি উনাকে ধাক্কা দিয়ে ও আমার কাছ থেকে সরাতে পারছি না । আমাদের দুজনকে যদি কেউ এভাবে দেখে ফেলে তাহলে কি হবে ? আমি শুভ্র ভাইকে বললাম,
” শুভ্র ভাই ছাড়ুন আমাকে কেউ দেখে ফেললে কি হবে ভাবতে পারছেন ?
” কেউ দেখবে না সবাই যার যার মতো ব্যস্ত ।
আমি চারপাশে তাকিয়ে দেখি লাল – নিল বাতি জ্বেলে সবাই যার যার মতো নাচানাচি করছে। পিক তুলছে কেউ আমাদের দিকে তাকাচ্ছে না। আমি তো এসেছিলাম উনাকে হলুদ মাখিয়ে ভুত করে ফেলতে আর উনি এটা কি করলেন ? আমি উনাকে আবার ও ধাক্কা দিয়ে বললাম,
” ছাড়ুন তো আমাকে !
কিন্তু আমার কথায় শুভ্র ভাইয়ের কোনো ভাবাবেগ দেখা গেল না । উনি আমায় আরো শক্ত করে ধরলেন। আমি একটু ও নড়াচড়া করতে পারছি না । আমি উনাকে আবার ও বললাম,
” ছেড়ে দিন না আমাকে !
” আমি যখন ইচ্ছে হবে আমি তখন তোকে ছাড়বো । যখন ইচ্ছে হবে তখন ধরবো । একদম কানের কাছে এসে বকবক করবি না ।
” আপনি কোন অধিকারে এমন করবেন ।
” তোর উপর শুধু আমার অধিকার আছে। শুধুই আমার। তুই এই শুভ্রের শুভ্রতা । এখনো সম্পূর্ণ অধিকার না থাকলে ও খুব তাড়াতাড়িই সে অধিকার আমার হবে ।
কথাটা বলেই শুভ্র ভাই আমাকে ছেড়ে দিয়ে এখান থেকে চলে গেলেন । শুভ্র ভাই চলে যাওয়ার পর আমি চারদিকে তাকিয়ে দেখছি কেউ আমাদের লক্ষ করেছে কিনা। এখানে কেউ নেই তাই আমাদের কেউই দেখেনি। আমি নিশ্চিত হয়ে এখান থেকে দৌড়ে আমার রুমে চলে গেলাম ।
**************
শুভ্রতা আমার কাছ থেকে চলে যাওয়ার পর আমি চারদিক ঘুরে ঘুরে দেখলাম। হঠাৎ করে আমার চোখ গেল নিশাত ভাইয়ার দিকে। উনি একটা মেয়ের সাথে দাঁড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলছেন। আর মেয়েটাও কেমন হাসতে হাসতে নিশাত ভাইয়ার গায়ে ঢলে পড়ছে। আমি তো বুঝতেছিনা এতো হাসার কি হলো ?
হাসতেছে তখন তাহলে এভাবে হেসে হেসে নিশাত ভাইয়ার গায়ে ঢলে পড়ারই বা কি আছে। মেয়েটা যে এমন করছে নিশাত ভাইয়া কেন কিছু বলছে না । আমার তো ওদের দুজনকে এভাবে দেখে গা টা একেবারে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে । নিশাত ভাইয়ার পাশে ওই মেয়েটাকে একদম সহ্য করতে পারছি না আমি।
আমার তো কখনো কাউকে দেখে এমন হতো না। তাহলে আজকে কেন নিশাত ভাইয়ার বেলায় এমন হচ্ছে। মন চাচ্ছে নিশাত ভাইয়াকে একেবারে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে । আমি আর এখানে দাঁড়িয়ে না থেকে নিশাত ভাইয়ার দিকে হাঁটা দিলাম । আমি নিশাত ভাইয়ার কাছে গিয়ে দাড়াতেই নিশাত ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
” নিশি কিছু বলবে ?
কিছু বলবো না আমি একটা ইট দিয়ে আপনার মাথাটা ফাটবো আর এই মেয়েটাকে নিয়ে গিয়ে পচা পানিতে চুবিয়ে রাখবো । মনে মনে এই কথাটা বলে নিশাত ভাইয়াকে বললাম ,
” হুম। আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে । একটু আমার সাথে আসুন।
তখন মেয়েটি বলল,
” তোমার সাথে কেন যাবে ? যা বলার আমার সামনেই বলো ।
আমার তো ইচ্ছে করছে মেয়েটাকে তুলে একটা আছাড় মারতে । আমি নিশাত ভাইয়ার সাথে কথা বলছি এই মেয়েকে কে বলেছে আমাদের কথার মাঝে কথা বলতে। আমি বললাম,
” আমার নিশাত ভাইয়ার সাথে পার্সোনাল কথা আছে।
আমি কথাটা বলেই নিশাত ভাইয়ার হাতটা ধরে এখান থেকে নিয়ে আসলাম । আর নিশাত ভাইয়া ভাবছে, ” নিশি কি এমন বলবে আমাকে যার জন্যে আমাকে এভাবে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ” আমি নিশাত ভাইয়াকে একটু দূরে এনে বললাম ,
” মেয়েটার সাথে এতো হেসে হেসে কথা বলার কি আছে ?
আমার কাছ থেকে এখন এই কথাটা নিশাত ভাইয়া একদমই আশা করেনি । উনি আমার দিকে বিস্ময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন ,
” এমনি একটা বিষয় নিয়ে হাসছিলাম । কিন্তু হাসাতে কি হয়েছে ?
” হেসেছেন ভালো কথা কিন্তু হাসতে হাসতে মেয়েটি এভাবে আপনার গায়ের উপর কেন পড়বে ?
নিশাত ভাইয়া আমার কথায় দুষ্টু হেসে বলল,
” তোমার কি জেলাস ফিল হচ্ছে ?
নিশাত ভাইয়ার কথায় আমি ভাবতে লাগলাম সত্যি আমার কি জেলাস ফিল হচ্ছে ? তা না হলে নিশাত ভাইয়াকে অন্য মেয়ের পাশে সহ্য কেন হবে না । আমি নিশাত ভাইয়াকে বললাম,
” আমার কেন জেলাস ফিল হবে ? আপনি যার সাথে ইচ্ছে তার সাথে কথা বলুন তাতে আমার কি ? আমি কথাই বলবো না আপনার সাথে ।
কথাটা বলে রেগে এখান থেকে চলে আসলাম। নিশাত ভাইয়া আমাকে অনেকক্ষন ডেকেছে কিন্তু আমি পাওাই দেই নি । এসে সোজা রুমে চলে গেলাম । রুমে গিয়ে দেখি ওই মেয়েটা শুভ্রতার সাথে বসে আছে । নিশাত ভাইয়াকে নিয়ে শুভ্রতাকে জিজ্ঞেস করছে ” ছেলেটি কে ? শুভ্রতার কি হয় ? ছেলেটা দেখতে অনেক স্মার্ট ! আরো অনেক কিছু আমার তো মেয়েটাকে খুন করতে ইচ্ছে করছে। আমি ফ্রেশ হয়ে সোজা গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
#চলবে