ভালোবাসা তুই পর্ব ৬

#ভালবাসা_তুই
#পর্বঃ৬
#লেখিকাঃসাদিয়ে_আক্তার

_____________________
প্রিন্সিপালের রুমের বাইরে এককোণে গুটিসুটি মেরে দাঁড়িয়ে আছে ইরা তার পাশে চৈতী। এক হাত দিয়ে আরেক হাত ঘষে যাচ্ছে ইরা তবু্ও পানিগুলো এসে হাতের তালুরগুলো মাঝে বার বার জমছে,না চাওয়া শর্তেও হার্টটা খুব জোরে জোরে বিট করছে।চৈতী ইরাকে ধাক্কাছে রুমে ঢুকার জন্যে।শেষমেষ ভয়কে ছুড়ে ফেলে নক করতে লাগলো দরজায়।রুমের ভিতর থেকে কেউ একজন বলেই উঠলো,
—-ইয়েস?
ইরা ভয়টাকে হাসি দিয়ে চেপে বলল,
—-মে আই কাম ইন স্যার?
—-ইয়েস।কাম।
রুমের ভিতর প্রিন্সিপাল রাশেদ হোসেনের পাশে বসে আছে তার ছেলে মিস্টার আমির হোসেন। বাব ছেলে দুইজন বসে চা খাচ্ছে আর হাসি আড্ডায় মেতে উঠছে।আর আড্ডায় মেতে উঠবেনই না কেনো?ছেলে এতো বছর পর বাইরে পড়ালেখা করে একমাস হলো এসেছে দেশে।দেশে এসে বিজনেস শুরু করেছে।এই ভার্সিটিতে পড়ুয়া স্নাতক প্রাপ্ত ছেলেমেয়েদের চাকরির সন্ধনে যাতে এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করতে না হয় তাই তাদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা নিশ্চিত পরিকল্পনাতে আমির নতুন বিজনেস শুরু করবেন।আর সেখানে কর্মী হিসেবে তাদের জন্যে আসন বরাদ্দ করা হবে।এইসব জানাতেই আজ বাবার কলেজে আসা।আমিরের এই চিন্তা ভাবনা দেখে বেশ খুশিই হলেন তিনি।কজ আজকাল যেখানে বাংলাদেশে চাকরির খোঁজে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে হাজারো বেকার শিক্ষিত যুবকদের সেখানে এমন একটা পরিকল্পনা জেনে রাশদ হোসেন মুগ্ধ।নতুন প্রজন্মের এই উদ্যোগ জানাতে নবীণবরণ অনুষ্ঠানে আমিরকে প্রধান অতিথি হিসেবে ইনভাইট করা হয়েছে।

ইরা ঠাই মেরে এখনো দাঁড়িয়ে আছে রোবটের মত তাদের সামনে।রাশেদ এবার বলে,
—কি?কিছু বলতে এসেছ?
—জ জ্বি স্যার।
—হ্যা বলো তাহলে।
ইরা রাশেদ স্যারের সামনে তারই ছেলেকে কিভাবে সরি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না।কিন্তু আমির বুঝতে পেরেছে ইরার আচরণ দেখে।হঠাৎ রাশেদের ফোনে রিং বেজে উঠে।তা রিসিভ করে রাশেদ রুমের বাইরে বেলকনিতে চলে যায়।ইরার এখন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।আর কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,
—–স স্যার।আ আমি আজকে স সকালে আপনার স সাথে না জেনে যে ব বাজে ব বিভেবটা করেছি।তা করা আমার উচিৎ হয়নি।আ আই অ্যাম সরি স স্যার।প্লিজ আমাকে এই কলেজ থেকে টিসি দিবেন না স্যার!

আমির ইরার তোতলা মাখা কন্ঠ শুনে হেসেই দিলো।কেনো যেনো ইরাকে যতই দেখছে, যতই ওর বোকা বোকা কথা,তোতলামাখা কথাগুলো শুনছে, ততই তার প্রতি দুর্বল একটা অনুভূতি কাজ করছে।আরও ভালো লাগা শুরু করছে।আমিরের কোনো জবাব না পাওয়ায় ইরা আরও গাবড়ে গেলো। উনি মেবি আমাকে মাফ করতে চাচ্ছেন না।আমাকে এই কলেজ থেকে বের করিয়ে ছাড়বেন।এখন কি হবে?মনে মনে বলে যাচ্ছে নিজের সাথে ইরা ।
আমির বলে উঠলো,
—-মাফ করতে পারি একটা শর্তে যদি আমাকে স্যার না বলে আমির বলে ডাকো।শুধু আমির।
তা শুনে ইরার চোখ কপালে। মনে হচ্ছে আকাশ থেকে পরেছে এইমাত্র। বিশ্বাসই করতে পারছে আমির এমন কিছু বলবে।ইরা উত্তরে বলে,
—-মানে বুঝলাম না ঠিক স্যার।আমি তো ভেবেছি আপনি আমায় আরও কঠিন কোনো শাস্তি দিবেন কিন্তু এই বেপারটা ঠিক হজম হচ্ছে না।
—-হজম হচ্ছে না তো করে নাও।এটাই তোমার শান্তি।
—জ্বী স্যার।বুঝতে পেরেছি।
—আবার জ্বী স্যার।(রেগে)
—সরি স্যার।আই মিন সরি আমির।(মুচকি হেসে)
—গুড।

🍁

ইরা আর চৈতী ক্যান্টিনের একপাশে বসে চা খাচ্ছে।চৈতী ইরার জিজ্ঞেসার দৃষ্টিতে বলে,
—-সরি বলেছিস আমির স্যারকে?
কিছুটা মুখ বাকা করে বিরক্তি স্বরে ইরা বলে,
—-হুম।
—-আচ্ছা কাল তোর কি হয়েছিল বল তো?চোখগুলো ফুলে লাল দেখাচ্ছিল।গালগুলোও টমেটোর মত লাল হয়েছিলো।কেনো রে?
—-আরে তেমন কিছু না এমনি।
—-বলবি তুই?( কিছুটা রেগে)
—-কাল তোর প্রানপ্রিয় তূর্য বানোরটা আমাকে ডেকেছে কি জন্যে জানিস?সেদিন সিলেটের শপিং মলে শাড়ির টাকাটা উনি পে করে দিয়েছেন সেই টাকাটা ফিরত নিতে।কি করম বজ্জাত! আমি নাকি ভেগে যাবো টাকা টা না দিয়ে।
তা শুনে চৈতী হাসতে হাসতে লুটুপুতু খাচ্ছে।
—–হাহাহাহা! রিয়েলি দোস্ত তার জন্যে।হায়রে!বাট তার জন্যে তুই এতো কান্না করে চোখ সাগর বানিয়ে ফেলেছিলি।বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।(এক চোখ টিপে দিয়ে দাত কেলিয়ে বলল)
—-তোর দাত কেলানি বন্ধ কর।বলেই ইরা রেগে মেগে চলে গেলো।

🌺

চৈতী ইরার বাসায় এসেছে দুইঘন্টার হতে চলছে।পুরো বিছানা জুরে কাপড়ের ছড়াছড়ি। দুইজন কি পরবে বুঝতেই পারছে না।আজ তাদের ভার্সিটিতে প্রোগ্রাম। নবীণবরণ।ইরার আম্মু রুমেএ এই অবস্থা দেখে রীতিমতো রাগারাগি করেছে।তুবও দুজন ডিসাইডি করতে পারছে কোন শাড়ি পরবে।কিছুক্ষন পর ইরার ফোনে রিং বেজে উঠলো।মোবাইলের স্কিনে তূর্যের নাম ভেসে উঠছে।ইরার সেদিনের পর তূর্যের সাথে কথা বলতেই চাইনা।রেগে আছে খুব।বাট কি করবে তাকে ইগনোর করাও বড্ড কঠিন তার জন্যে।তাই এত শত না ভেবে কলটা রিসিভ করেই ইরা বলে,
—-আসসালামু আলাইকুম।
—-ওয়ালাইকুম আসসালা।আচ্ছা ইরা তুমি কি আজকে অনুষ্ঠানে এটেন্ড করবে?
ইরা একটু ছোটো বাচ্চাদের মত রাগী স্বরে বলে,
—-কেনো?আপনার জেনে লাভ?
—-না আসলে তোমাকে যে শাড়িটা চুজ করে দিয়েছিলাম সেদিন, ওইটা আমার লাগবে।আমার ফ্রেন্ড তিথির কাছে কোনো শাড়ি নেই পরার জন্যে আসলে।জানই তো ও একটু টমবয়দের মত চলে তাই এসব পোশাক নেই ওর।তুমি তো মেবি ওইটা পরবে না তাই বলছি।
—-না আমি তো ওইটাই পরবো আজ অনুষ্ঠানে তাই ঠিক করে রেখেছি।তাই আপনার ফ্রেন্ড তিথি মিথিকে বলবেন অন্য কারোর টা নিতে।বুঝেচ্ছেন।(রেগে বলে)কলটা রেখে দেই ইরা।

ফোনটা পকেটে রেখে তূর্য আবারও হেসে দিলো।আমি জানি ম্যাডাম আপনি অনেক রেগে আছেন আমার উপর।বাট কি করার বলো,তোমাকে রাগালে তোমার ওই লাল টমেটোর মত গুলুমুলু গালগুলো দেখতে বেশ লাগে।হিহিহি।আর আজও অন্য মেয়ের কথা না বললে তুমি আমার দেওয়া ওই পছন্দের শাড়িটাও যে পরতে না।তাই আবার রাগালাম।শীগ্রই তোমার সব অভিমান ভেঙে দিবো ইরু।

🍁

অডিটোরিয়াম হোলটা বেশ জাকজমক ভাবেই সাজানো হয়েছে।ভার্সিটির গেটের বাইরে কয়েকজন ছেলেমেয়ে হাতে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অতিথিদের স্বাগতম জানানোর জন্যে।আমিরকেও ফুল দিয়ে স্বাগতম জানানো হলো।সব অতিথি এসে তাদের নির্দিষ্ট স্থানে বসলো।একেক করে প্রিন্সিপাল এবং আরও অতিথি এসে তাদের প্রয়োজনীয় লেকচার দিয়েই যাচ্ছে।কিন্তু তূর্যর আর সেদিকে খেয়াল কোথায় তার চোখ আর মন সেই কখন থেকেই ইরার দিকে আটকে আছে।যবে থেকে তার দেওয়া নীল মনিপুরী শাড়িতে ইরাকে দেখেছে ক্যাম্পাসে ঢুকতে, ঠিক তার মনের মত সাজে। চুল খোলা,হালকা মেকাপ,একদম নেচারাল লুকে তখন থেকে দুটো চোখ তাকেই দেখছে। কিন্তু সামনে স্টেজে বসে থাকা আরেক ব্যাক্তিরও ঠিক একই অবস্থা।আমিরও বিভিন্ন এংগেলে চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ইরাকে দেখে যাচ্ছে লোকচক্ষুর আড়ালে।বাট ইরা অনেকটাই রেগে আছে আজ সকালে তূর্যের আচরণে।তাই আসার পর থেকেই চুপ করে বসে আছে চৈতীর সাথে।চৈতী বার বার সেলফি তুলতেই যেনো বেশি ব্যস্ত।এরই মধ্যে ভার্ষণ শেষ হলো।অডিটোরিয়ামের লাইটগুলো অফ হয়ে গেলো।হঠাৎই লাল,নীল, সবুজ রঙের বাতি গুলো জ্বলে উঠলো। পুরো ডিজে পার্টিগুলোর মতই মনে হচ্ছে ইরার কাছে এখন।খুব জোর বিটে গান বাজনা শুরু হয়ে গেলো।সব ছেলেমেয়েরা সেই গানের তালেতালে ড্যান্স দিচ্ছে।ইরা এই লাইট অফ অন হওয়ার মাঝে আশেপাশে তাকিয়ে চৈতীকে না পেয়ে খুজতে লাগলো।পিছন থেকে হঠাৎ আমিরের ডাক শুনে ইরা পিছনে তাকালো।খুব জোরে গান বাজায় ইরা ঠিকমতো কিছুই শুনতে পারছে না।তাই আমির ইরাকে হাতের আঙুলের ইশায় এককোণে দাড়াতে বলে।
আমির কিছুক্ষণ ইরার দিকে তাকিয়ে হেসে বলল,
—-আজ তোমাকে খুবই সুন্দর লাগছে।এই শাড়িতে তোমাকে দারুণ মানিয়েছে।
—-থেংক ইউ।
ইরা কিছুটা খুশি হলেও তূর্যের সকালের বিহেভিয়ারে কিছুটা হেসে চুপ হয়ে যায়।
—-যে কেউ দেখেই ক্রাশ খাওয়ার সম্ববনা রয়েছে কিন্তু। তাই সাবধানে।
—-যে ক্রাশ খাওয়ার সে তো ক্রাশ খাওয়া তো দুর একবার তাকালো না ঠিক মতো।(মাথা নিচু করে আস্তে করে বলল ইরা)
—-কি কিছু বললে?
—-না.. না।আপনি বলেন তারপর কি খবর?
তূর্যকে তার ফ্রেন্ডরা জোর করে প্রচুর নাচিয়েছে।এবার কোনোমতে হাপিয়ে বের হয়ে এলো।এসেই ইরাকে খুজতে লাগলো। হঠাৎ তূর্যের চোখ আটকে গেলো। দেখছে ইরা আমিরের সাথে বেশ হেসেই কথা বলে যাচ্ছে।তা দেখে বুকের মাঝে না চাইতেও ধুক করে উঠলো। তূর্য যতই তাদের কথোপকথনগুলো দেখছে ততোই যেনো নিজেকে সামলে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।তূর্যের ফোনে রিয়াদের কল আসে।তা রিসিভ করতেই অপরপাশ থেকে রিয়াদ ভয়ার্থ কন্ঠে বলা শুরু করে,”দোস্ত!বিপদে পরেছি রে।কিছুলোক আমাকে আর চৈতীকে হঠাৎ রাস্তা আটকিয়ে বিরক্ত করা শুরু করে দিয়েছে।আমি একা পারছি না।তুই দ্রুত আই।আমাদের ছেলেপুলেদের নিয়ে।” তা শুনে তূর্যের মাথায় আস্ত বাশ পরলো।সে কিছুই বুঝতে পারছে না।কি করবে।তাই এতো কথা জিজ্ঞেস না করে বলে,তোরা কথায় আসিস সেইটা কাইন্ডলি বল?রিয়াদ উত্তরে বলে,ভার্সিটির কিছু দুর পর যে গলিটা পরে সেইটা।
—–অকে।পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসসি।ততক্ষণ পরিস্থিতি সামলা।

🍁

ইরা আমিরকে বাই দিয়ে চৈতীকে খুজতে লাগলো।ইরার কিছু ফ্রেন্ডের থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলো লাস্ট চৈতীকে তারা রিয়াদের সাথে ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে দেখেছিলো।ইরা চৈতীর ফোনটা বার বার অফ পাচ্ছে।আমির ইরাকে বার বার এদিক ওদিক পাইচারি করতে দেখে জিজ্ঞেস করলো,কি হয়েছে ইরা?এত চিন্তিত দেখাচ্ছে, কাউকে খুঁজছো?
একটু ব্যস্ত স্বরে ইরা বলে,
—“হ্যাঁ আমার ফ্রেন্ড চৈতীকে।আমি একটু মাঠের ওইদিক টাই দেখে আসসি।”
—-আমিও যাই চলো।
তারা দুজন মিলে খুজতে লাগলো চৈতীকে।হঠাৎ কেউ একজন বলছে গলিতে নাকি কিছু ছেলেপুলে রিয়াদ ভাইকে আর তার সাথে যে মেয়ে আছে তাকে আটকে মারামারি করছে।ইরা তা শুনতে পেয়ে বুঝতে বাকি ছিলো না তার ফ্রেন্ড ইরা বিপদে।তাই দৌড়ে যেতে লাগলো সেখানে।আমিরও ইরার পিছন পিছন ছুটতে লাগলো।ইরা গিয়ে দেখলো রিয়াদকে কিছু গুন্ডা টাইপস ছেলে হাত পা ধরে মারছে আর রিয়াদ যতো পারছে তাদের মাইরের পাল্টা জবাব দিয়ে চৈতীর থেকে দুরে রাখতে।আর চৈতীকে বারবার বলছে রিয়াদ, চলে যেতে সেখান থেকে।কিন্তু চৈতী কিভাবে পারবে রিয়াদকে এভাবে একা ফেলে রেখে যেতে।ইরা একছুটে চৈতীর কাছে চলে যাই কিছু না ভেবেই।গুন্ডা গুলো ইরাকে দেখে আরও বেশি খুশি হয়ে যাই।গুন্ডাগুলোর একজন বলে,
—-বাহ!ভালোই।আইজ দুই দুইডা সুন্দরী পাইচি।
এভাবে বলে তাদের দিকে তেরে আসতে থাকলো।গুন্ডাদের একজন ইরার হাত জোরে টেনে ধরে। তাকে তার সাথে গাড়িতে উঠানোর চেষ্টা করতে থাকে।পিছনে কারো এক লাথি খেয়ে মাটিতে পরে যাই গুন্ডাটা।ইরা ছলছল পানিতে টলমল করা চোখে পিছনে তাকিয়েই দেখলো তুর্য।খুশিতে ইরার ঠোঁটে হাসির রেখা ভেসে উঠে।ওদিকে চৈতীকে কিছু গুন্ডা তার সাথে অন্য গাড়িতে উঠাতে চেষ্টা করছে।ইরা ছুটে চৈতীকে তাদের থেকে ছাড়ানোর জন্যে হস্তাহস্তিতে লেগে পরে।হঠাৎ গুন্ডাদের একজন ইরার হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করায় হাতের তালু থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝরা শুরু হয়ে যাই।আমির এতোক্ষন এইসব দেখে সবার আগে পুলিশকে কল করতে বিজি হয়ে যাই।তাই ইরাকে দেখতে পায়নি।কিন্তু ইরার হাত কাটায় তার ব্যাথার কুকড়ে উঠা” আ” শব্দটি শুনে আমির আর তূর্য দুইজনেই তাকাই।তারা দুজনেই ইরার কাছে ছুটে আসতে লাগলো।কিন্তু গুন্ডাদের একজন তূর্যকে পিছন থেকে লাথি মারে। তূর্য তাদের এক ব্যবস্থা করতে আবার মারপিটে মনোযোগ দিয়ে দেয়।কিছুক্ষন পর পুলিশ আসে।গুন্ডাদের অ্যারেস্ট করতে থাকে।আমির ইরার হাতের রক্ত ঝরা দেখে আর কন্ট্রোল করতে পারছে না নিজের আবেগকে।দ্রুত ইরাকে ধরে গাড়িতে বসিয়ে ড্রাইভারকে বলে,
—ফাস্ট। ফাস্ট ড্রাইভ করো।দ্রুত পাশের হসপিটালে নিয়ে চলো।

ইরার হাতের তালুতে ব্লিডিং বেশি হওয়ায় ইরার চোখ আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম।ইরা আর তাকিয়ে থাকতে পারছে না। চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আমিরের বুকের দিকে ঢোলে পরে।তূর্য অনেকাটাই আহত হয়েছে গুন্ডাগুলোকে এতো কেলানোর পর।তারপরও এই ক্লান্তিমাখা শরীরে নিয়ে যেনো ইরাকেই খুজতে ব্যস্ত।

__________________

চলবে🌷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here