দীর্ঘ ২বছর পর নিজ দেশে ফিরছে রেহান খান।এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে মায়াকে দেখে রেগে যায় রেহান।মায়ার সামনে এসে ঠাস করে মায়ার গালে সজোরে থাপ্পড় বাসিয়ে দেয় রেহান।আর মায়া গালে হাত দিয়ে, ছলছল দুচোখে নিয়ে রেহানের দিকে তাকিয়ে আছে।রেহানের কান্ড দেকে নিলিমা খান,রিফাত খান,রিফতি সহো এয়ারপোর্টে থাকা সকল মানুষ অবাক হয়ে রেহানের দিকে তাকিয়ে আছে।
–
মায়াঃ তুমি আমাকে মারলে কেনো..?
মায়ার প্রশ্ন শুনে জেনো রেহান আরো বেশি রেগে যায়। রাগে রেহানের চোখ দুটো রক্তলাল হয়ে যায়, রেহানের চোখ দেখে মনে হচ্ছে মুহূর্তের মধ্যে সব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দিবে।
–
রেহানঃ তুই এখানে কেনো এসেছিস?? ডং করতে নাকি সবাইকে নিজের রূপ দেখাতে?(চোখ রাঙ্গিয়ে)
–
মায়াঃ তুমি এইসব কি বলছো.?
–
রেহানঃ তোর তো দেখি সাহস কম না,তুই আমাকে তুমি করে বলছিস?
–
রিফতিঃ এইসব তুই কি বলছিস দাদাভাই? মায়া আপু তো তোকে ছোট থেকে তুমি করে বলে।(একটু অবাক হয়ে)
–
রেহানঃ তুই চুপ থাক রিফতি। এই মায়া শুন আজকে থেকে তুই আমাকে স্যার বলে ডাকবি। বুঝতে পেরেছিস। (ধমকের শুরে)
–
মায়া আর কথা না বাড়িয়ে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে দেয়।(অসহায় হয়ে)
–
নিলিমা খানঃ রেহান হচ্ছে কি এইসব? তুমি এতোদিন পরে দেশে ফিরে কি শুরু করেছো এইসব?
–
রেহানঃ মাম্মা আই এম ভেরি টায়ার্ড, সো প্লিজ আর কথা না বাড়িয়ে বাসায় চলো।
–
নিলিমা খান আর রিফাত খান তাদের ছেলে রাগ সম্পর্কে জানেন, রেহান রেগে গেলে আর কারো কথা শুনে না তাই আর কথা না বাড়িয়ে সবাই কে বলে গাড়িতে বসতে।
–
রেহানঃ ওয়েট মাম্মা! সবাই গাড়িতে বসবে মানে কি? এই মায়া ও কি আমাদের গাড়ি করে যাবে নাকি?(অবাক হয়ে)
–
রিফাত খানঃ হ্যাঁ, মায়াও আমাদের সাথে যাবে।
–
রেহানঃ এই মায়া যদি আমাদের সাথে একই গাড়িতে যায় তাহলে সরি পাপ্পা আমি এই গাড়িতে যাবো না।(রাগি কন্ঠে)
–
রিফতিঃ তাহলে মায়া আপু যাবে কি করে দাদাভাই? (জিজ্ঞাসু হয়ে)
–
রেহানঃ কেনো? অন্য গাড়ি করে যাবে না হলে হেটে যাবে।
–
রেহানের মাঃ রেহান তুমি এইসব কি বলছো। মায়া কেনো বাসায় হেটে হেটে যাবে।(একটু রেগে)
–
মায়াঃ আন্টি প্লিজ রেহান যা বলছে তাই করো।তোমার গাড়ি করে চলে যাও আমি না হয় রিকশা না হয় হেটে হেটে চলে যাবো।(অসহায় কন্ঠে)
–
রেহানঃ ওই তোকে না বলেছি আমাকে তুমি করে বলবি না। তোর মতো মেয়ের মুখে তুমি শব্দটা মানায় না।সো নেক্সট টাইম স্যার না হয় আপনি করে বলবি।(ধমকের শুরে)
–
রিফতিঃ দাদাভাই এইবার কিন্তু সত্যি একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।(একটু রেগে)
–
মায়াঃ সরি,আর ভুল হবে না আজ থেকে আমি আপনাকে আপনি করে বলবো।(মাথা নিচু করে)
–
রেহানঃ গুড গার্ল। মাম্মা পাপ্পা তাহলে বাসায় যাওয়া যাক। (বাকা হেসে)
তারপর রেহান,তার বাবা মা আর রিফতি গাড়ি করে খান ভিলা উদ্দেশ্য রওনা দেয়। আর মায়া বেচারি করুন দৃষ্টিতে রেহানের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
.
গল্পঃ# ভালোবাসো কি আমায়🍁
.
পার্টঃ০১
.
লেখনীঃ #Saima Islam Mariam❤️