মায়াময়ী আপনি পর্ব ৩২-শেষ

🌹#মায়াময়ী_আপনি🌹

#লেখিকা : তারিন জান্নাত
#পার্ট : ৩২-৩৩ পর্যন্ত

আজ আহান আর ইকরার বিয়ে,,,,,,💖💝💖
,
,
,
,
,

ইকরাকে একটা গাঢ় লাল কালারের লেহেঙ্গা পড়ানো হয়,,,মেক-আপ আর্টিস্ট ইকরাকে অনেক সুন্দর একটা ব্রাইডাল লুক দিয়েছে,,,,,ম্যাচিং জুয়েলারি!!! অপূর্ব সুন্দর লাগছিলো ইকরাকে,,,,,,

সবাই ইকরাকে নিয়ে হাসি -তামাশা করছে!!!ইকরাও সব চুপচাপ শুনে নেয়,,,একসময় আহানরা চলে আসে মানে বরপক্ষ এসেছে তাই সবাই মিলে নানা ভাবে তাদের বরন করছে,,,,,,

আহান একটা গোল্ডেন কালারের শেরওয়ানি পড়ে,,,মাথায় পাগড়ি,,হাতে রিচ ওয়াচ,,,একধম রাজপুত্রের মতো লাগছিলো,,আর ইকরাকে আহানের রাজ্যের রাণী!!!!

খাওয়া দাওয়ার পর্বের পরেই বিয়ে পরানো হবে তাই সবাই তাদের আপায়নে ব্যাস্ত,,,,,সবাই সবার মতো আনন্দ করছে বেশ,

[আমার গল্পের পাঠক- পাঠিকারা সবাই বিয়ে খাইতে আসছেন ভালো কথা,,খেয়ে আবার চলে যাবেন বেশি জামেলা করবেন না কিন্তু😂😂🤣🤣🤣]

অবশেষে আহান ও ইকরার বিয়ে হয়ে যায়,,,,,এবং সব গেস্টরাও বাড়ি চলে যায়,,,, রিসোর্ট টা আহানদের বাড়ির বেশি দূরে না তাই বিয়ে পরানো শেষ হলেই ইকরাকে নিয়ে তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যায়,,,,

সাথে ইকরার মাকেও আহানের মা নিয়ে যায় অনেক জোড়াজেড়ি করে,,,তাই ইকরার তেমন মন খারাপ নেয়,,,আজ ইকরার বিয়ে কিন্তু ইকরা এক ফোটা কান্নাও করে নি,,,,ইকরার ভেতরে ভয়ে টেনশনে কান্নাও আসছিলো না,,,,,
{ আমি আগেই বলে রাখি আমার গল্পের নায়িকারা বিয়েতে কান্না করবে না,,,কারন আমি নিজেই আমার বিয়েতে কান্না করি নি,,তাই ওদের ও কাঁদাবো না😁}

সবাই বাড়ির উদ্দেশ্যে গেলেও আহিয়া যেতে পারে নি কারন আসিফ ওকে আটকে রেখেছে পরে যাবে বলে,,
অনেক্ষন ধরে গাড়ি চলছে,,,আহিয়ার বকবকানি বন্ধ হয় নি,,,,

আহিয়া : আপনার সমস্যা টা কি বলবেন??😠😠
এভাবে আমার মুখ চেপে ধরে গাড়িতে উঠানোর মানে কি,,,😡😡

আসিফ : সেগুলা চোখে পরলো আমি যে তোমার সাথে কথা বলতে চায়ছি,,,বার বার আমাকে ইগনোর করার মানেটা কি??

আহিয়া : আজব!! আমি হুদায় কেনো আপনার সাথে কথা বলতে যাবো??

আসিফ : তো কার সাথে বলতে চায়ছো কথা,,,দেখো আর একটা টু শব্দ ও করো তো তোমার ঠোঁটে আমি..

আর কিছু না বলে আসিফ চুপ হয়ে যায়,,কারন এর চেয়ে বেশি বললে আহিয়া ওকে খারাপ ভাবতে পারে,,,,

আহিয়া তো অবাক হয়ে আসিফের দিকে তাকিয়ে আছে,,, এবং কি বলতে চেয়েছে তা বুঝার চেষ্টা করছে,,,এমনিতে আহিয়ার আসিফকে দেখলে ভয় পায়,,তার কারন আসিফের তাকানো টার মানে আহিয়া বুঝতো না,,,

একটা নদীর পাশে নিয়ে আসিফ গাড়িটা থামায়!
আসিফ গাড়ি থেকে নেমে আহিয়া পাশে এসে দরজাটা খুলে দাড়ায়,,,আহিয়া তো আসিফের কার্যক্রমে ভয় ও পাচ্ছে হালকা,,,,,,,আসিফ আহিয়ার দিকে একটু ঝুকে,,তাতে আহিয়া কিছুটা পিছিয়ে যেতে চায়লে আসিফ আহিয়ার দুবাহু ধরে ফেলে,,,

আসিফ : দেখো আমাকে ভয় পেয়ো না,,আমি যাস্ট কিছু কথা বলতে চায় তোমাকে!! প্লিজ আমার কথা টা শুনো,,,

আহিয়া চুপ করে তাকিয়ে আছে আসিফের দিকে,,,

আহিয়ার কেনো যেনো আসিফের দিকে তাকাতে ভালো লাগছিলো,,,

আসিফ : আহিয়াহ!!!

আহিয়া : হুম!!

আসিফ : দেখো আমি সোজা সাপ্টা মানুষ সোজা কথায় বলবো,,,তাই আমার কথা টা মন দিয়ে শুনো,,,

বলেই আসিফ আহিয়ার পাশে হালকা চেপে বসে দরজা টা লক করে দেয়,,,আহিয়া এমনিতে ভিতু,, তার উপর একটা ছেলে তার এতো কাছে এসে বসেছে,,,ভয়ের ছোটে কান্না করতে যাবে তার আগেই আসিফ আহিয়ার গাল ধরে,,,,বলে উঠে

আসিফ : আমি তোমাকে ভালোবাসি আহিয়া!!! আর আমি তোমাকে চায়,,,নিজের করে চায়,,,,আমাকে একটু ভালোবাসবে???

কথাগুলো শুনেই আহিয়ার কাপাকাপি আরো দিগুন বেড়ে যায়,,,ছোটতে চায়লেই আহিয়াকে আসিফ শক্ত করে ধরে রাখে!!!

আহিয়া : দেখ দেখোন আমি বাড়ি যাবো,,প্লিজ আমাকে বাড়ি দিয়ে আসেন প্লিজ!!!

আহিয়ার ভয় জরানো কন্ঠ শুনে আসিফ কিছু না বলে ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসে,,,

আসিফ : যাও আজ ছাড় দিলাম,,,কিন্তু আমার উত্তর পজেটিভ চায়,,,সে তুমি যখনই উত্তর দাও না কেনো,,আমি অপেক্ষা করবো,,,,

আহিয়ার কেনো জানি আসিফের কথা গুলো শুনতে খুব ভালো লাগছে,,,,

একসময় তারা বাড়িতে ফিরে যায়,,,,,,,
,
,
,
,
,
ইকরাকে সব রখমের নিয়ম পালন করে ঘরে তুলা হয়,,,
ইকরা ড্রইংরুমের সোফায় বসে আছে,,,আহান ও পাশে বসে আছে কিন্তু কোনো কথা বলছেনা,,,,

ইকরার এতোদিন আহানের দেওয়া মেসেজ গুলো তেমন রিয়েকশন না হলেও এখন হচ্ছে,,,, ইকরার মাথা থেকে যাচ্ছেই না বিষয়টা,,,,,,,
,
,
,

অবশেষে ইকরা আহানের রুমে আছে,,,ফুল দিয়ে সাজানো কাঠের উপর,,সব ইকরা পছন্দের গোলাপ ফুল দিয়ে সাজানো,,,ইকরা আহানের জন্য অপেক্ষা করে আছে,,,

রাত প্রায় ১ টা বাজে তবুও আহান রুমে আসেনি,,,তাই ইকরা বেলকনির দিকে পা বাড়ায়,,,সেখানে কিছুক্ষন থাকার পর নিচে বসে পরে,,,ক্লান্ত শরীর হওয়ায় ইকরা সেখানে ঘুমিয়ে পরে,,,,,

২ টার দিকে আহান ছাদ থেকে নিজের রুমে।আসে,,,এসেই দেখে ইকরা কোথাও নেয়,,,তাই আহান বেলকনির দিকে যেতেই দেখে ইকরা নিচে বসে ঘুমাচ্ছে,,,

আহান : ইসস কিভাবে ঘুমাচ্ছে!!

আহান ইকরার পাশে গিয়ে বসে ইকরাকে দেখতে থাকে,,,

আহান : {{দেখুন আজ আমাদের বিয়ে হয়েছে অথচ আগের মতো আপনকে বুকে টেনে নিতে পারছি না,,
খুব ইচ্ছে করছে আপনাকে কাছে পেতে,,,কিন্তু এখন যদি আমি আপনাকে চায় সেটা আমার অধিকার থেকে হলেও আপনার মনে আমার জন্য ভুল ধারনাও হতে পারে যেটা আমি চায়না,,, আমি তো এতোদিন অপেক্ষা করেছি আপনার জন্য দেখি আপনি পারেন কিনা,,,}}

বলেই আহান ইকরাকে কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দেয়,,,আহান তাকিয়ে দেখে কিছু ইকরা চেন্জ করেনি,,,আহান আস্তে করে জুয়েলারি গুলো খুলে নিতে যাবে,,,,,,

তখনি ইকরার ঘুম ভেঙে যায় এবং চোখ খুলে তাকায়,,ইকরার ঘুম ভেঙে যাওয়াতে আহান অপ্রস্তুত হয়ে পরে,,,আহান জানতো ইকরার ঘুম বার কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙবে ভাবেনি,,,

আহান উঠে গিয়ে কাবার্ড থেকে একটা ট্রাউজার আর টি-শার্ট ওয়াসরুমে চলে যায়,,,

ইকরাতো আহানের আচরন দেখে বোকার মত তাকিয়ে ছিলো,,

ইকরা : ( আজো কথা বলবে না তুমি আহান তাই না,,আমিও আমার চেষ্টা চালিয়ে যাবো)

তারপর আহান বের হতে ইকরা দাড়িয়ে আহানের পাশে দাড়ায়,,,,

ইকরা : আহান!!!

আহানের বুকটা মোছড় দিয়ে উঠে ইকরা মুখে তার নাম শুনে এতোদিন পর,,,,আজ আহানের খুব ইচ্ছে করছে আগের সব ভুলে ইকরাকে জড়িয়ে ধরতে,,,

ইকরা : আহান

আহান : হুম ( কাবার্ড খুলে ইকরার জন্য শাড়ি বের করে)

ইকরা : আহান আম সরি!! এবার তো কথা বলো??

আহান : এই শাড়িটা পরে নিন,,এবং ফ্রেস হয়ে শুয়ে পরুন,,,কাল রিসেপশন পার্টি আছে,,,( বলেই আহান সোফায় লেপটপ নিয়ে বসে পরে)

ইকরা আর আহানের দিকে না তাকিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়,,কালো রঙের শাড়িটা পরে ইকরা বেরিয়ে এসে বিছানায় চুপচাপ শুয়ে পরে,,,কারন এখন ইকরার মাথা ঠান্ডা করতে হবে,, আর তার জন্য একটা স্ট্রং ঘুমের দরকার,,,,

ইকরা : ( আমার সাথে ভাব দেখাও আমি বুঝতে পেরেছি তুমি এই টর্চারের কথা বলেছিলে)

আহান : ( বাহ!! এখনো আগের মতোই জেদ নিয়ে আছেন,,, ভেবেছি ফ্রেস হয়ে এসে আমার সাথে কথা বলবেন 😐😐😐)

আহান আর কিছুক্ষন অপেক্ষা করে বিছানার দিকে এগোয়,,,গিয়ে ইকরার পাশে শুয়ে পরে,,,

আরো গভীর রাতে ইকরার মনে হচ্ছে তার সারা মুখে
হালকা নরম কিছুর স্পর্শ পাচ্ছে,,,কিন্তু ঘুমের কারনে চোখ মেলতে পারে নি,,,আহান ঘুমাতে পারছিলো না তাই উঠেই ইকরা সারা মুখ চুমুতে ভরিয়ে দেয়,,,

আহান : ( আমি পারছি না আর ইকরা,,প্লিজ আপনি সব ঠিক করে দিন,,,আমি অাপনাকে অভিমান দেখাচ্ছি ঠিক কিন্তু সেটা বাইরে থেকে,,,আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি ইকরা) বলেই গালে একটা চুমু দিয়ে শুয়ে পরে,,,,
,
,
,
,

সকালে………

ইকরার মুখে পানি পরাই লাফিয়ে উঠে,,,চোখ কচলিয়ে দেখে আহান গ্লাস নিয়ে দাড়িয়ে আছে,,,তাই ইকরা বুঝতে পারে পানি আহানই দিয়েছে…

ইকরা : এসব কোন ধাচের অসভ্যতামি😠???

আহান : ১১ টা বাজে,,,উঠছেন না কেনো???

ইকরা : কিহহহহ?? বলেই তাড়াতাড়ি ওয়াসরুমে দৌড় দেয়,,,

ইকরা ফ্রেস হয়ে এসে দেখে আহান নেই,,,ফোন হাতে নিতেই ইকরার চোখ কপালে,,,,কারন মাত্র ৭: ৫৩ বাজে,,,আর আহান ওকে ১১ টা বলে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলো,,,,

আর……………

( চলবে)

🌹#মায়াময়ী_আপনি🌹

#লেখিকা : তারিন জান্নাত
#পার্ট : ৩৩. শেষ পর্ব

আর দেখে আহিয়া দাড়িয়ে আছে হাতে একটা প্যাকেট নিয়ে,,,,

আহিয়া : কাল ফার্স্ট নাইট কেমন কাটলো?

ইকরা : খুব বাজে 😕😕😕!!!

আহিয়া : কেন?? ভাইয়া কি এখনো???

ইকরা : হুমম😒

আহিয়া : তুমি ওর রাগ ভাঙাতে পারো নি!! ভাইয়া যাস্ট অভিমান করে আছে,,দেখবে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে,,,,,

ইকরা : হুম হলেই হলো!! আচ্ছা আহান কোথায় এখন??

আহিয়া : আছে ব্রেকপাস্ট টেবিলে,,,আমিও তোমাকে ডাকতে এসেছি চলো,,,

ইকরা : চলো,,,( জানিনা ছেলেটার অভিমান কখন শেষ হয়)

তারপর তারা নাস্তা শেষ করে,,,যে যার কাজে চলে যায়,,,

সন্ধ্যার দিকে আহিয়া ইকরাকে সাজাতে নিয়ে যায়,,,,
কারন আর কিছুক্ষন বাদে পার্টি স্টার্ট হবে।

সব গেস্ট আসা শুরু করে দিয়েছে,,ইকরার মা আগে থেকে ছিলো,,শুধু ইকরার ফুফিরা আসা বাকি,,,কিছুক্ষন পর তারাও চলে আসে,,,,,,

নেবি ব্লু একটা জর্জেট শাড়ি পরে ইকরা ,,,এবং শুধু লিপিস্টিক ও কাজল দেয় ব্যাস,,,,ইকরার মনটাও ভালো নেয় তাই সাজতেও ইচ্ছে করছিলো না বিধায় আহিয়াকে আর সাজাতে দেয় নি,,,

আহানও সেম নেবি ব্লু পান্জাবি আর সাদা পায়জামা,,আর ওয়াচ,,,তাতেই বেশ সুন্দর আর হ্যান্ডসাম লাগছিলো আহানকে,,,,

ইকরাকে নিচে যায় আহিয়া,,ইকরা আর আহান একেঅপরকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!!
দুজনকে অসাধরন লাগছিলো,,,,সবাই যে যার মতো করে রিসেপশন পার্টি এনজয় করে,,,

রাত ১১ টার দিকে পার্টি শেষ হলে যে যার মতো চলে যায়!! ইকরার মাকেও আহানের মা আর যেতে দেন নি,,,তিনি চান ইকরার মা যাতে এখানেই তাদের সাথে থাকে,,,দুজন দুজনের প্রাণপ্রিয় সই ও বলতে পারে,,,,

সবাই সবার রুমে চলে যায়,,আহান আর ইকরাও নিজেদের রুমের দিকে পা বাড়ায়!!! সারাদিনে একটা শব্দ কথাও বলেনি তারা,,,

রুমে গিয়ে দুজন অবাক,,,কারন রুমটা কালকের মতো করে ফুল দিয়ে সাজানো,, আহান চুপচাপ দরজা লক করে ওয়াসরুমের দিকে যেতে নিলেই ইকরা আহানকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে,,,,

মুহুর্তে আহানের মধ্যে হাজার গুন ভালোলাগা কাজ করে আহানের মাঝে,,,আহানে ও ইচ্ছে করছিলো ইকরাকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরতে কিন্তু নিজের প্রতিটা নির্ঘুম রাতের ছটপটানির কথা মনে পড়তেই নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চায়লেই,,,ইকরা আরো ঝাপটে শক্ত করে ধরে বলতে লাগে…..

ইকরা : আম সরি আহান প্লিজ এবারতো আমাকে ক্ষমা করো,,,😭😭😭

আহান : ছাড়েন,,, আর আপনি কোনো ভুলকাজ তো করেননি তাহলে ক্ষমা চায়ছেন কেনো??? ( বলেই ইকরার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়)

ইকরা : আহান আমার কথাটা তো শুনো……

আহান ইকরার দিকে ফিরে ইকরার দুবাহু শক্ত করে ধরে,,, এতে ইকরার ব্যাথাও করে,,,,

আহান : কেন শুনবো আমি আপনার কথা?? কেন?? আপনি শুনেছিলেন আমার কথা?? বলেন শুনেছিলেন,,,( ইকরাকে জোড়ে জোড়ে ঝাকিয়ে)

ইকরার চোখ দিয়ে পানি পরছিলো টপ টপ,,কিন্তু আহানের রাগের সামনে এটা তো কিছুই না,,,,

ইকরা : তাই তুমি এমন……

আহান : হ্যা তাই এমন করছি,,,আমাদের বিয়ে হয়েছে বলে এ নয় যে এখন স্বামী-স্ত্রীর মতো আমাদের আচরন করতে হবে,,,আপনি আপনার মতো থাকবেন আর আমি আমার মতো,,,বুঝেছেন??? ( চিল্লিয়ে)

তারপর ইকরাকে হালকা ধাক্কা দিয়ে আহান ওয়াসরুমে চলে যায়,,ওয়াসরুমে সাওয়ার অন করে দাড়িয়ে পরে আহান,,,,ইকরার সাথে এমন বিহেভ করাই আহানের নিজের ও কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছিলো,,,,আর কিছু না ভেবে দেওয়ালে খুব জোড়ে একটা ঘুষি মারে আহান!!

ইকরা অনেক্ষন ধরে টায় দাড়িয়েছিলো,,পরে আবার চোখের পানি মুছে,,,

ইকরা : ( আচ্ছা বেশ!! আমি আমার মতো থাকবো সেটাই তো বললে তাই না,,, ঠিক আছে থাকো তুমি তোমার মতো,,,,,হুহ ভালোবাসা!!
এটা কোনো ভালোবাসাই না যেখানে তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষকে ক্ষমা করতে না পারো,,,)

কথাটা বলে ইকরা নিজের লাগেজ থেকে একটা প্রিন্টের থ্রি-পিছ বের করে,,,জুয়েলারি গুলো খুলে ড্রেসিং টেবিলে রাখতে রাখতে আহান বের হয়,,, কিন্তু ইকরা সেদিকে চোখ ও দেয় নি,,,

আহান টাওয়াল পরা অবস্থায় বের হয়,,আর কাবার্ড খুলে একটা টি-শার্ট আর থ্রি-কোটার পেন্ট নিয়ে পরে নেয়,,,পরেই ইকরার দিখে ফিরতেই দেখে ইকরা থ্রি-পিছ নিয়ে ওয়াসরুমের দিকে যাচ্ছে,,,

আহান : শাড়ি না নিয়ে থ্রি-পিছ কেন নিয়েছেন😡?

কথাটা বলেই আহান জিভে ছোট একটা কামড় খায় একটু আগে কি বলেছিলো আর এখন,,,,,,

আহান : ( ইসসস মুখ ফসকে বেরিয়ে এলো 😒)

ইকরা আহানের দিকে না তাকিয়ে ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নেয়,,,,এবং চেন্জ করে বেরিয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে পরে,,,,

আহান : আজব রুম থেকে বের হল কেন???

ইকরা আহিয়ার রুমে গিয়ে আহিয়ার সাথে শুয়ে পরে,,
আহিয়ার রুমটা আহানের পাশে দুটো রুম বাদেই!!!

ইকরার চলে যাওয়া দেখে আহান লেপটপ নিয়ে ইকরা আসার জন্য ওয়েট করতে থাকে,, কারন ইকরা ঘুমালেই আহান ইকরাকে ঘুমের মধ্যে আদর করবে,,এমন একটা ভাবনা নিয়ে আহান বসে আছে,,,,
,
,
,
,
,
,

রাত ১২ টা ৪৫ মিনিট বেজে গেলো অথচ ইকরা এখনো রুমে আসে নি,,,আহান রুমের মধ্যে পায়চারি করতে লাগে,,,আর না পেরে রুমের বাইরে বেরিয়ে দেখে পুরো বাড়ি অন্ধকার,,,আহানের ভেতরে এবার অস্থিরতা শুরু হয়,,,

আবার রুমে গিয়ে শুয়ে পরে,,এপাশ ওপাশ করেও না ইকরা আসছে না আহানের ঘুম আসছে,,,হঠাৎ ইকরার ফোন হাতে নেওয়াটা মনে পরে,,,,

আহান আর কিছু না ভেবে ইকরার ফোনে কল দেয়,,৩ বার কল দেওয়ার পর ও ইকরা কল রিসিভ করছিলো না,,, এবার কল দিতেই ইকরা ঘুম জড়ানো কন্ঠে হ্যালো বলে উঠে,,,,

ইকরার ঘুম জড়ানো কন্ঠটা শুনেয় আহানের এক অদ্ভুদ ফিলিংস হতে শুরু করে,,,আহানের মুখ দিয়ে কথা আসছিলো না,,,,

ইকরা : হ্যালো কে???( ঘুমের ঘোরে)

আহানের ধ্যাং ভেঙে যায় ইকরার কথায়,,,,

আহান : কোথায় আপনি???

ইকরা : ঘুমাচ্ছি,,,আপনি কে??

আহান : মানে?? আমি কে চিনতে পারছেন না? 😠😠

ইকরা : না,,,,,দেখেন ভাই আমাকে ঘুমাতে দিন,,,এই রাইত-বিরাতে মানুষকে বিরক্ত কইরেন না,,,,

আহান : ইকরা আমি আহান? ( হালকা চিল্লিয়ে)

ইকরা : তো আমি কি করবো,,,আমাকে ঘুমাতে দেন রাখি!!!!

আহান : খবরদার ইকরা ফোন কাটবেন না,,,,আর আপনি কোথায়?? এক্ষুনি আমার রুমে আসুন,,,,

ইকরা : আমি ঘুমাচ্ছি,,,আমার আরামের ঘুমটা নষ্ট না করতে বলছি না 😡😡😡

আহান : প্লিজ ইকরা আপনি রুমে আসুন!!!

ইকরা : ধ্যাতততত!!!!

বলেই ইকরা কলটা কেটে দেয় এবং আহিয়া সহ হাসতে হাসতে ঘরাঘরি খেতে লাগলো,,,,

আহান রেগে ফোনটা জোড়ে আচার মারে তাতে ফোনটা টুকরা টুকরা হয়ে যায়,,,,

আহান বিছানায় শুয়ে পরে,, বুঝতে পেরেছে ইকরা হয় আহিয়ার রুমে নয়তো ইকরার মায়ের রুমে,,,,

আহান : ( কাজটা আপনি মেটেও ঠিক করেন নি ইকরা,,,আমাকে কষ্টে রেখে আপনি ঘুমাচ্ছেন,,,আপনি খুব খারাপ,,খুব খারাপ বলেই আহান চোখ বুজে নেয়)

{ইকরার হালকা টাইট দেওয়ায় আহানের আচরন আগের মতো হবে হয়তো😁😁,,,যাক ভালো}

পরেরদিন সকালে আহান ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নিচে যায় ব্রেকফাস্ট করতে,,,

আহান : গুড মর্নিং মা,,, আন্টি মা

দুজনে : গুড মর্নিং!!!

আহান : আহিয়া কোথায়???

আহানের মা : আছে কোথাও জেনো,,দেখিনি দুজনে ৩০ মি আগেই নাস্তা করেছে,,,, হ্যারে তুর কি হয়েছে চোখ মুখের অবস্থা এমন কেন?? রাতে ঘুমাসনি,,??

আহান : ঘুমিয়েছি তো ,,

দাদু : কি ব্যাপার ইয়াংম্যান,,,,

আহান : কই কি? কিছু না,,

আহান চারপাশে ইকরাকে খুঁজছে,,,আজ ইকরা কে পেলে আহান যে কি করাবে,,,

আহান : ( আপনাকে এক বার আমার হাতের নাগালে পায় বুঝবেন আমাকে একা রেখে ঘুমানোর মজা)
,
,,
,

আর কিছুদিন পরেই আহান তার অফিসে জয়েন করবে,,তাই থেকে সবকিছু বুঝে নিচ্ছেন তার দাদুর গনিষ্ট পিএ এর কাছ থেকে,,,আহান উনার সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে নিজের রুমের দিকে যায়,, জানালা দিয়ে দাড়িয়ে কথা বলতে বলতে আহানের চোখ বাগানের দিকে যায়,,,আর তখনি আহানের চোখ কপালে উঠার উপক্রম,,,,

ইকরা : ইয়াহুও!! ছক্কা ( জোড়ে চিল্লিয়ে)

আহিয়া : ভাবিমনি একটু তে ছাড় দাও তোমার এই ননদ টাকে😒😒😒

ইকরা : নো নো ১৫ রানের তার্গেট ছিলো,,,আমি দুইটা ছক্কা মারলাম,,,,এখন ফোর মারলেই আমি জিতে যাবো,,

আহিয়া : সকাল থেকে দুইবার জিতলা আর কতো,,,,

ইকরা : আনলিমিটেড জিতমু 😘😘

হলোও তাই আরেকটা ফোর মেরে ইকরা জিতে যায়,,,

আহান উপর থেকে যে ওকে দেখছে সেটা ইকরা জানতই না,,,

আহান : ( আপনি ক্রিকেট খেলতে পারেন,,, আমি তো জানতাম না,,,আর বল ব্যাট কই থেকে পেইলো ওরা)

আহান ভালো করে খেয়াল করে দেখে ব্যাট বল দুটোই তার,,,

আহান : ( বিয়ের দুইদিন হতে না হতেই ক্রিকেট!!)

,
,
,

ইকরা ঘেমে ভিজে একাকার অবস্থা তাই কাপড় পাল্টাতে হবে এখন আহান রুমে তাই যেতেও পারছেনা

ইকরা : ( মা যদি দেখে,,,উপপ বাবা হুহ আমি ভয় পায় নাকি ওকে,,,,,ও তো নিজেই বলেছে আমি আমার মতো থাকবো)

ইকরা রুমে গিয়ে দেখে আহান সোফায় বসে লেপটপে কাজ করছে,,,ইকরা কাপড় নিয়ে ওয়াসরুমে গিয়ে চেঞ্জ করে বেরিয়ে দেখে আহান দাড়িয়ে আছে,,,

ইকরা পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলেই আহান খপ করে ইকরার হাত ধরে ফেলে,,,,, ইকরা হাত ছারার জন্য ছুটাছুটি করলে আহান ইকরাকে নিয়ে সোফায় বসে পরে,,,

ইকরা : 😡😡😡😡😡

আহান : কাল রাতে কোথায় ছিলেন??

ইকরা : আমার বিএপ এর সাথে,,,,

আহান : ইকরাহ 😠😠😠

ইকরা : হাত ছাড়ো আমার নাহলে কিন্তু নাক ফাটায় দিবো😠😠

আহান : দেন ফাট…..( আর বলতে পারেনি ইকরার ফোনে একটা কল আসে)

ইকরা আহানের হাত সরিয়ে মোবাইল নিয়ে কল রিসিভ করে বেলকনির দিকে চলে যায়,,,আহানও ইকরার পেছনে এসে দাড়ায়

ইকরা : হ্যালো বাবু কেমন আছো??

সেই :………………..

ইকরা : আমি ভালো আছি জান!! আই মিস ইউ সো মাচ,,

ইকরার মুখে বাবু জান ডাক শুনে আহানের বুকটা মোছড় দিয়ে উঠে,,,

ইকরা : এইতো জান আর দুইতিন মাস পর আমি তোমার কাছে চলে আসবো,,,বাই উম্মাহ 😘😘😘

ইকরা শেষ কথাটা শুনে আহানে রেগে ইকরার কাছে গিয়ে ফোনটা কেড়ে নেয় ,,,,,,ইকরার হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে দেওয়ালের সাথে জোড়ে চেপে ধরে,,,

আহান : কাকে বলছেন এইসব হ্যা,,কাকে?? আপনি কার কাছে যাবেন দুইতিন মাস পর?? বলেন কাকে কিস দিলেন?? 😠😠😠😠

ইকরা চোখ বন্ধ করে আহানের কথাগুলো শুনছে,,,,

আহান : আমাকে আজ পর্যন্ত একটা কিস ও করেননি বরং উল্টা কষ্ট দিয়েছেন,,আর এখন বয়ফ্রেন্ডকে কিস??

ইকরা : ছাড়ো আমাকে যেতে দাও,,, তুমিই তো বললে আমাকে আমার মতো থাকতে,,, তাইতো আমি আমার বিএপ,,,,

আহান : খবরদার আর কারো নাম মুখে এনেছেন তো আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না,,,

বলেই পাশে থাকা টেবিলে জোড়ে লাথি দেয়,,,আবার এসে ইকরার দুবাহু চেপে ধরে,,,,

ইকরা : ছাড়ো বার বার গায়ে হাত দিচ্ছো কেনো??😠

আহান : ওহ এখন আমি আপনার গায়ে হাত ও দিতে পারবো না,,,,

ইকরা : না পারবে না,,,,( দেখো এবার কেমন লাগে,,,, আগে খেয়াল করা উচিৎ ছিলো তোমার😡 )

আহান : আমারি ভুল হয়েছে আমার আরো আগে আপনাকে আপন করে নেওয়া উচিৎ ছিলো,,,কিন্তু আজ রাতে আমি আর আপনাকে ছাড়বো না,,দেখি কিভাবে আপনি আমাকে বাঁধা দেন,,,আমি আর আমাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব রাখবো না,,,দেখি আপনি আমাকে কিভাবে আটকান,,,,😡😡😡😡( সিরিয়াস মোড নিয়ে)

আহানের শেষের কথা শুনে ইকরা ভয়ে চুপসে যায়,,

ইকরা : ( আরে এটা কি হলো,,এখন আহানতো প্রচুর ক্ষেপে গেছে নাজানি কি করে,,,না না এর হাত থেকে আমাকে বাঁচতে হবে)

ইকরা : আরেহ আমার বিএপ নায়তো,,, ওইট আহিয়া ছিলো,,,তুমি চেক করে দেখতে পারো,,,

আহান মোবাইল নিয়ে নাম্বার বের করে দেখে এটা আহিয়ার নাম্বার,,,,

আহান : ( যাক ভালোই হলো,,, আমি ও পারছিলাম আপনার কাছ থেকে দূরে থাকতে,,,এভাবে হলেও সমস্যা নায় আপনাকে তো পাবো,,,এখন রাতটা আসুক,,আমাকে অপেক্ষা করিয়েছিলেন না সব সুদে আসলে উসুল করে নিবো,,,,,)

আহান মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে ইকরার দিকে তাকিয়ে দেখে ইকরা নেই,,,পাশে টেবিলে চাবি নিয়ে ইকরা দরজা খুলে চলে গেছে,,,,, এটা দেখে আহান একটা হাসি দেয়,,,,

,
,
,
,

দুপুরে খাবারের টেবিলে…..

আহান : মা দাদু আমি একটু বাগানবাড়ি যেতে চায়,,

মা : সেকি হঠাৎ,,,, আগে বলতি আমরা সহ যেতাম,,

আহান : না না,,,না মানে আমি আর ইকরা…

আর কিছু বলতে হয় আহানের মা বুঝে গেছে তার ছেলে কেনো যেতে চায়ছেন,,,,তাই উনিও সায় দেয়,,

ইকরা : বলছি মা আমার না মনে হয় জ্বর আসবে,,তাই আমি যেতে পারবোনা,,,,

ইকরার কথায় আহান অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে ইকরার দিকে তাকলেই,,ইকরা ভয়ে একটা ঢোক গিলে,,,ইকরা যতই কিছু করুক না কেন আহানের রাগের সামনে ইকরা কিছুই না,,,তাই চুপ হয়ে যায়,,,বাকিরা ব্যাপরাটা বুঝে মুখটিপে টিপে হাসছে,,,,,
,
,
,
,

সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আহান আর ইকরা বেরিয়ে পরে বাগানবাড়ির উদ্দ্যশ্যে………..

যেতে যেতে ৯ টা বেজে যায়,,,ইকরার ভয়ের কারনে আহানের দিকে তাকাতেও পারছিলো না,,নাজানি আজ ওর কি হাল করে,,,,

আহান অনেক্ষন ধরে গাড়িতে বসে আছে ভেতরে যাচ্ছে না,,,তখনি একটা কল আসে,,,,,কথা বলেই আহান ইকরাকে নিয়ে বাড়ির ভেতরে যায়,,,

তারপর সেই রুমে নিয়ে যায় যেই রুমে আহানকে ইকরা একসেপ্ট করেছিলো,,,,,ইকরা হালকা আলোতে বুঝতে পারেনি,,,,

আহান : এই টা নিন এটা পরে আসুন ( একটা প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে)

ইকরা : আমি তো কাপড় পরাই আছি 🙄🙄,,,,

আহান কিছু না বলে লাইট টা অন করে দেয়,এবং ইকরার দিকে তাকায়,,,ইকরা চারপাশে তাকিয়ে দেখে চরম অবাক হয়,,,পুরো রুম গোলাপ ফুল দিয়ে ডেকোরেট করা,,,বিছানাটা খুব সুন্দর করে সাজানো,,,এবং বেশ গর্জিয়াস!!!

আহান : আপনি যাবেন,,, নাকি আমি রেডি করিয়ে দিবো,,,??😠

ইকরা কিছু না বলে তাড়াতাড়ি ওয়াসরুমে গিয়ে প্যাকেট টা খুলে এর ভিতর থেকে একটা নাইটি বের করে কালো রঙের নাইটিটা খুব সুন্দর কিন্তু শর্ট,,,,

ইকরা : ছিঃ আমি এইসব পরবো,,,আহান এটা দিয়েছে পরতে,,,

অনেক্ষন ধরে বসে আছে ইকরা নাইটিটা নিয়ে বসে আছে,ভাবছে,,আহানের সামনে কিভাবে যাবে এটা পরে,,,

আহান : আপনি কি ওয়াসরুমে ঘুমিয়ে পড়েছেন?? আসছেন না কেন?? না আসলে কিন্তু আমি দরজা ভেঙে ফেলবো,,,,

ইকরা তাড়াতাড়ি করে পরে নেয়,,,হাত পা সব দেখা যাচ্ছিলো তাই ইকরা ওরনাটা জড়িয়ে নেয় শরীরে,,,,

আহান একটা কালো শার্ট আর ট্রাউজার পরে,,,ওয়াসরুমের সোজা কাঠের উপর বসে দরজার দিকে তাকিয়ে আছে আহান,,,,তখনি ইকরা বের হয়,,শরীরে উরনা জরানো দেখে আহানের রাগ উঠে যায়,,,

উঠে গিয়ে ইকরার হাত ধরে টেনে পাশের দেওয়ালে চেপে ধরে উরনাটা টেনে খুলে ফেলে,,ইকরা ভয়ে চোখ কিচে বন্ধ করে ফেলে,,,,

আহান : আমার সামনে আপনাকে উরনা পরতে হবে না (নেশাক্ত কন্ঠ)
কথাটা শুনতেই ইকরার শরীরে কারেন্টের মতো শক দেয়,,

আহান ইকরার দুগাল আলতো করে ধরে কাছে টেনে আনে,,,আর ইকরা ঠোঁট জুড়া নিজে ঠোঁটের দখলে নিয়ে নেয়,,,সাথে সাথে ইকরা আহানকে খামছে ধরে
তারপর আহান ইকরার কোমড় জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় এবং ইকরার ঠোঁট জুড়ায় পাগলের মতো কিস করে যাচ্ছে,,আর ইকরার ঠোঁটের মিষ্টি স্বাদ।গ্রহন করে নিচ্ছে,,,ইকরা আর সয্য করতে না পেরে কেঁদে দেয়,,,সেটা দেখে আহান বলে উঠে,,,

আহান : বলেছিলাম না বিয়ের পর বাসর রাতে আমার প্রথম এট্যাক আপনার ঠোঁটের উপর হবে,,,,

বলেই আহান ইকরাকে কোলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দেয়,,ইকরা লজ্জায় চোখ মেলতে পারছিলো না,,

আহান : আজ আমি আমার #মায়াময়ীকে নিজের করে নিতে চায় সারাজীবনের জন্য,,,,আজকের পর থেকে আমাকে সামলানোর দায়িত্ব আপনার,,,,,,,,,,,,

আহান ইকরার কপালে একটা চুমু দেয়,,,আর ভালোবাসার চাদরে জড়িয়ে নেয় দুজন দুজনকে💖💖💖💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💝💞💞💞💞💞💞💞

সুখে থাকুক আহান আর ইকরা,,,❣❣❣

ভুল হলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন😊😊

🌹🌹🌹🌹🌹সমাপ্ত🌹🌹🌹🌹

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here