মায়াময়ী আপনি পর্ব ১২-২২

🌹#মায়াময়ী_আপনি🌹

#লেখিকা : তারিন জান্নাত
#পার্ট : ১২-২২ পর্যন্ত

ইকরা স্টেজে উঠে আয়ূসির গালে হলুদ লাগায়,,,আয়ূসি ও ইকরাকে হলুদ লাগাতে চায়,,কিন্তু ফাহাদ লাগাতে দেয় নি,,,
তাই আয়ূসি গাল ফুলিয়ে রাখে,,,

আয়ূসি : আমার গায়ে হলুদ,,,আর আমিই আমার বোনকে হলুদ লাগাতে পারবো না,,,,

ফাহাদ : দেখ আয়ূ ইকরাকে হলুদ আমি লাগাবো,,,

ইকরা : দূর এতো কষ্ট করে সাজলাম আর কিনা হলুদ লাগিয়ে সাজ নষ্ট করবে,,খবরদার হলুদ লাগালে কিন্তু আমি ডাইরেক্ট চলে যাবো,

ফাহাদ : ওকে ওকে,,,লাগাবো না,,,হ্যাপি,, চল কয়েকটা সেলফি তুলি,,উইথ আয়ূসি,,

ইকরা : ওকে

ফাহাদ ফোন বের করে পিক তুলতে লাগে,,,ফাহাদ পিক তুলার সময় হাত টা ইকরার কোমড়ে রাখে,,,
এবং আরো কাছে এনে পিক তুলে,,,

ফাহাদ জানে না যে ইকরা বিয়েতে না করে দিয়েছে,,,ফাহাদের মা মিথ্যা বলেই ওকে আনায়,,,এখন ইকরার সাথে ফ
ফ্রি হওয়ার জন্য হালকা টাচ করে,,,,ইকরা ও তেমন খেয়াল করে নি,,,সবার সাথে কথা বলায় ব্যস্ত,,,,

অন্যদিকে আহানের চোখ দিয়ে আগুন পড়ার মতো অবস্থা,,,তবুও চোখ মুখ শক্ত করে নিজেকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,,,,

ইকরা হঠাৎ স্টেজ থেকে নামার সময় চোখ যায় আহানের দিকে,,,দেখে আহান ওর দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে আছে,,,

ইকরা যতটানা অবাক হচ্ছে তার চেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছে,,,একে তো বিয়ে বাড়ি,,,যদি কোনো গন্ডগল করে,,,তবুও নিজেকে সামলে আহানের দিকে পা বাড়ায়,,,

আহানের দাদু এতক্ষন ধরে সব খেয়াল করে,,,এখন নিশ্চিত হওয়ার পালা,,,,ইকরাকে উনি আগেই দেখেছেন আহানের মোবাইলে,,

ইকরা : তু তুমি এখানে??

আহান : (রগী চোখে তাকায়)

ইকরা : বলছি তু…..( তার আগেই আহানের দাদু কথা বলে উঠে)

দাদু : আরে আপুমনি তুমি আহানকে চিনো??

ইকরা : হ্যাঁ.আমাদের ভার্সিটি সেম,,,আর ও আমার জুনিয়র ছোট ভাই,,,আপনি??

ইকরার কথায় আহাদের দাদু বিষম খাওয়ার অবস্থা,,,কারন ইকরা আহানকে ছোট ভাই বলেছে,,,এখন আহানের রাগ আরো বেড়ে যাবে,,,
হলোও তাই আহান আরো রেগে গেলো,,,যার ফলে চোখ মুখ লাল হয়ে আছে

দাদু : আমি আহানের দাদু,,, আর আমি আরমান সাহেব( ইকরার বড় আব্বু) বিজনেস পার্টানার,,,

ইকরা : ওহ

আহান রাগ যতটা শান্ত,, ততটা ভয়ংকর ও,,, আহান রাগে সহজে চিল্লা পাল্লা করে না,,,কন্ট্রোল হারিয়ে ফেললে করে,,,,

এবার আহান চারপাশে থাকায় এবং দেখে সবাই নাচ গানে বিজি,,,,

আহান : ইকরা আমার সাথে আসুন,

ইকরা : আসলে আমার একটা কাজ আ..( তার আগেই আহান ইকরার হাত ধরে টেনে ছাদরে উপরে নিয়ে যায়,,,

খুব জোড়েয় দেওয়ালের সাথে মেশায়,,তাতে ইকরা ভয় ব্যাথা পায়,কিন্তু আহানের সেদিকে কোনো হুস নেই,,,,

আহান : আমি আপনাকে বারন করেছিলাম ছেলেদের থেকে দূরে থাকার,,,তাহলে আবারো কেনো এমন করলেন ( চিল্লিয়ে)

আহানের চিল্লানিতে ইকরা আরো ভয় পেয়ে যায়,,,

আহান : কি হলো বলুন ( আরো কাছে গিয়ে)

এবার ইকরা অনেকটা সাহস জুগিয়ে আহানকে ধাক্কা দেয়,,,আর বলে,,,,

ইকরা : তোমার সমস্যা কি?? আমার সাথে এভাবে বিহেভ করার মানে কি?

আহান : ( চুপ করে ইকরার দিকে তাকিয়ে থাকে)

ইকরা : এখন মুখ দিয়ে আর কথা বেড় হয় না,,এতোক্ষন তো খুব চিল্লানি দিছো,,,আমি যা ইচ্ছে করবো,,,তুমি তাতে নাক গলাতে আসবে না,,,বলে দিলাম,,,,

ইকরা চলে যেতে নিলেয়,,আহান ইকরা হাত ধরে টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে,,, ইকরার কোমড়ে হাত দিয়ে আরো কাছে টেনে নেয়,,,

আহান : আমারই সমস্যা,,,আপনাকে কারো সাথে সয্য করার শক্তি হয়তো আমার খুবই কম,,,তাই নাক গলায়,,,,আমার একটা কথা আপনাকে রাখতেই হবে,,,
আপনার ওই ভাইয়ের সাথে যেনো আপনাকে না দেখি,,,, উনার থেকে দূরে থাকবেন,,,,

ইকরা : আমার যা ইচ্ছে করবো,,, ইচ্ছে হয়তো আরো গা ঘেষে থাকবো সারাক্ষন,,

আহান এবার ইকরার কোমড় জরিয়ে ধরা অবস্থায় ইকরাকে নিয়ে দেওয়ালের সাথে টেকায়,,আর গলায় মুখ গুজে একটা কামড় বসিয়ে দেয়,,,

ইকরা : আহহ,,,রাক্ষস নাকি??? কি করছো???

আহান : এটা লাভ বাইট,,,

ইকরা : ছাড়ো আমাকে,,,

আহান : ( আস্তে আস্তে ইকরার ঠোঁটের দিকে এগোয়,)

ইকরা সাথে সাথে ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,এটা দেখে আহন মুচকি হাসে,,, এবং ইকরার গালে একটা কামড় বসিয়ে দেয়,,,,,

ইকরা : আহহহহ!!

আহান : আরে রাগ করেছেন বুঝি ঠোঁটে কিস দেয় নি বলে,,,তাহলে শুনেন আপনার ঠোঁটের উপর আমার প্রথম এটাক হবে আমাদের বাসর রাতে,,,,তার আগে নয়,,,সো ডোন্ট ওয়ারি,,

ইকরা : (অবাক হয়ে তাকায়)

আহান : অবাক হচ্ছেন কেনো,,??? আপনি যে অনেক বড় মাপের গাধী সেটা আমি বুঝে,,,গেছি,,,,

যেকোনো মেয়েই বুঝে যাবে আমার পাগলামির কারন গুলো,,,শুধু আপনি বুঝেন নি,,,,

ইকরা : কি বুঝবো???

আহান : বলবো না,,,,

ইকরা : বলোওও

আহান : আমি আপনাকে ভালোবাসি,,,( চট করে কথা বলেই ইকরাকে জড়িয়ে ধরে,,,কারন আহান আর ইকরার চোখে চোখ রাখতে পারবে না,,,)

ইকরা এতক্ষন কিছু না বুঝলেও এখন সব বুঝে,,,আর সাথে সাথে আহানকে ধাক্কা দিয়ে নিচে নেমে যায়,,,

আহান অনেক ডাকে তবুও শুনেনি,,,,

ইকরার মাথায় একটা কথায় ঘুরপাক খাচ্ছে আহান কি বললো এটা,,,এটাতো খুব খারাপ,, খুব খারাপ,,,,

মনে মনে ভাবতে ভাবতে নিজের রুমে যায়,,,

ইকরাকে নিজেকে নিজে গালি দিচ্ছে,,,কারন এতক্ষন ধরে এতকিছু করলো অথচ ইকরার একটু ও খারাপ লাগেনি বরং ভালো লেগেছে,,,,

ইকরা : ( উপপ কি হচ্ছে আমার সাথে,,,আহান এটা কি বললো,,,ও আমাকে…. না না এটা সম্ভব না,,,সবাই জানলে আমার নামে খারাপ কথা বলবে)

আশ্চর্যের বিষয় আহান ইকরাকে টাচ করেছে কিন্তু ইকরার আহানের উপর একটু রাগ হচ্ছে না,,,

অনেক্ষন ভেবে ইকরা একটা ডিসিশন নেয়,আহানের থেকে দূডে থাকবে আর একটা কথাও বলবে না,,
নিজেকে সংযত রাখবে,,,,

ইকরা আর বের হয়নি,,,পরেরদিন বিয়ে তাই ঘুমিয়ে পরে,,,

আহান নিচে নেমে চারপাশে চোখ বোলায় কিন্তু ইকরাকে দেখতে পায় না,এতে আহানের মন খারাপ হয়ে যায়,,,

দাদু : কি ব্যাপার আহান???

আহান : কিছু না,,,আমি ঘুমাতে যাচ্ছি,,,তুমিও এসো,,,

দাদু : কিছু একটা তো হয়েছে,,,

পরেরদিন………

আজ আয়ূসির বিয়ে,,,ইকরা একটা গাঢ় সবুজ ফ্লর টাচ গাউন পড়ে,,সাথে ক্রিম কালারের জর্জেট উরনা,,,,চোখে গাঢ় সবুজ আই শেডো,,,গাঢ় কাজল,,,ঠোঁটে গোলাপি লিপিস্টিক,,,,সব মিলেই খিব সুন্দর লাগছে ইকরাকে,,,,

আহানতো ইকরাকে মুগ্ধ নয়নে দেখছে,,,কিন্তু ইকরা একটু ও আহানের দিকে তাকায়নি,,,তাতে আহানের বুকে চিনচিন ব্যাথা হতে শুরু হয়য়,,,

আহান : ( সবাইকে দেখছেন,,সবার সাথে বলছেন আমি বাদে,,)

( চলবে)

🌹মায়াময়ী আপনি🌹

লেখিকা : তারিন জান্নাত
পার্ট : ১৩

ইকরা : ( হুহ তাকবো না একদম,,,কথা ও বলবো না দেখি কি করো)

আহান : ( ওপপ এ মেয়েটাকে তো আমি….)

রিদা : হাই মি. হ্যান্ডসাম

আহান : ওয়াটট??

রিদা : আব আমি রিদা,,

আহান : আমি শাহরুক খান ,,,,যত্তসব ( বলেই চলে যায়,,)

এমনি তে ইকরার কান্ডে আহানের রাগ + কস্ট হচ্ছে আর এখানে এসছে ন্যাকামি দেখাতে,,তাই আহান রেগে বাজে বিহেভ করে,,,,

রিদা : (মন খারপ করে পেলে)

সবাই সবার মত ব্যাস্ত,,শুধু একজম ছটপটানির কারনে কিছুতেই স্থির থাকতে পারছে না,,আর সেটা হলো আহান,,,

বিয়েও যথা সময়ে শেষ হয়ে,,যায়,,,সবাই নিজ নিজ বাড়ি চলে আসে,,,
পরেরদিন ভার্সিটিতে আহান আগে আসে,,,এবং আগের মতো গেইটের দিকে তাকিয়ে আছে,,,

কিছু্ক্ষন পর দেখে ইকরা ও মিম আসছে,,,আহান কথা বলতে গেলেয়,,,ইকরা পাশ কাটিয়ে চলে যায়,,,
কথা বলে নি,,,এভাবে প্রায় ১ সপ্তাহ কেটে যায়,,,

এ ১ সপ্তাহ আহান পাগলের মতো হয়ে যায়,, অনেক কিটকিটে হয়ে যায়,,,,আর না পেরে আহান বেড়িয়ে পরে ইকরাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে,,,,তখন সন্ধ্যা,,,

ইকরা ইকরার রুমে ছিলো,,,আর ইকরার মা রান্না ঘরে,,,তখনি কলিংবেল ভাজে,,,

ইকরা রুমে থাকায় আসে নি,,,ইকরার মা গিয়ে দরজা খুলে,,,দেখে আহান দাড়িয়ে আছে,,,কাঁধে ব্যাগ,,,

আহানের সাথে ইকরার মার বিয়েতে বেশ ভাব হয়,,,
ইকরার মা মনে মনে আহানকে বেশ পছন্দ হয়,,,
কিন্তু আহানের বয়সের ইকরার ছোট সেটা জানেনা,,ইনপ্যাক্ট দেখলে বুঝাও যায় না,,,আহানকে ইকরার সিনিয়র মনে হয়,,,

ইকরার মা : আরে আহান তুমি ভেতরে আসো,,,

আহান : আসসালামো-আলাইকুম আন্টি,,,

ইকরার মা : ওয়ালাইকুম – আসসলাম,,,এসো

আহান : জ্বি,,, ( ডুকে চারপাশে চোখ বুলায়,,)

ইকরার মা : তুমি বসো আমি…

আহান : আন্টি ইকরা কোথায়,,,আসলে আমার একটা সাবজেক্টে প্রবলেম হচ্ছে,,তাই ইকরার থেকে সলিউশন নিতে আসলাম,,,উনি নাকি সাবজেক্টটাতে বেশ ভালো,

ইকরার মা : মানে তুমি কি সালিউশন নিবে তুমি ইকরার সিনিয়র না???

আহান : না আন্টি,,আমি অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে,,,

ইকরার মা : ওহ,,,

আহান : একটু উনাকে ডেকে দিন,,,

ইকরার মা : তুমি বরং এক কাজ করে,,ইকরা রুমেই আছে,,,ওর রুমে যাও,,,

আহান : ওকেই ( শাশু মা তো অনেক ফাস্ট)

আহান ইকরার রুমের দিকে পা বাড়ায়,,গিয়ে দেখে ইকরা সোফায় বসে ছোট টেবিলের উপর পা তুলে মোবাই ঘাটাঘাটি করছে,,,,,

আহান দরজা হালকা লাগিয়ে দেয়,,,তারপর ইকরার সামনে গিয়ে দাড়ায়,,,

আহান : ইকরাহ!!!

পুরুষালি কন্ঠ শুনেই ভয়ে লাফিয়ে উঠে,,,লাফানোতে ইকরার হাত থেকে মোবাইল পড়ে যায়,,,

আর আহান দেখেয় চমকে দাড়িয়ে যায়,,,,

ইকরা দাড়াতেই আহান দেখে ইকরা একটা নেবি ব্লু টপস আর হুয়াইট স্কার্ট পড়া,,,দেখতে একদম কিউট পিচ্চিদের মতো লাগছিলো আহানের ইকরাকে,,,

ইকরা : তুমি???

আহান : (ইকরা কথা শুনেই আহানের হুস আসে) কেমন আছেন ইকরা???

ইকরা : তুমি এখানে কি করছো,,,আর কিভাবে এসেছো মা দেখেনি,,,

আহান : আন্টিকে বলেই এসেছি,,,উনি আমাকে আসতে বলেছেন এখানে,,,

ইকরা : কিহহহ?? কিভাবে??

আহান : এভাবে ( বই দেখিয়ে)

ইকরাও বুঝে যায়,,,

ইকরা : দেখো যাও এখান থেকে ( বলেই আহানের দিকে তাকায়,একি এতো সুন্দর ছেলের অবস্থা এমন কেনো,,, চোখের নিচে হালকা কালো,,সুন্দর চোখ দুটো লাল হয়ে আছে,,,ঠোঁট জোড়া শুষ্ক হয়ে আছে,,এলোমেলো চুল,,,আহানকে এভাবে দেখে ইকরার খারাপ লাগে আর মায়াও হয়)

ইকরা নিজের অজান্তে আহনের কাছে যায়,,,ইকরা এক ঘোড়ের মধ্যে চলে যায়,আহানের সামনে দাড়ায়,,,,আর আহানের চুলে হাত দিয়ে এলোমেলো চুলগুলো ঠিক করে দেয়,,,

ইকরা আহানের কাছে আসায় আহান নিজেকে আর সামলাতে পারে নি,,,খুব শক্ত করে ইকরাকে জড়িয়ে ধরে আর ফুফিয়ে কেঁদে দেয়,,,

ইকরাতো পুরোই অবাক সাথে আহানের কান্না ইকরার সয্য হচ্ছিলো না,,,না চায়তেও ইকরার হাত জোড়া আহানের পিঠে নিয়ে যায় আর হাতত বুলিয়ে দেয়,,,

আহান আরো জোড়ে জড়িয়ে ধরে আহানের ইচ্ছে করছিলো বুকের ভিতরে লুকিয়ে রাখতে ইকরাকে,,,

আহান : আপনি খুব খারাপ ইকরা,,,আমাকে খুব কস্ট দিয়েছেন আপনি,,,জানেন আপনি কথা বলছিলেন না আমার ধম বন্ধ হয়ে যেতে চায়ছিলো,,,ইচ্ছে করছিলো নিজেকে শে….

ইকরা : স্টপ আহান,, স্টপ ( বলেই আহানের কাছ থেকে সরে যায়)

আহান ইকরার হাত ধরে নিজের দিকে ঘুরায়,,,ইকরার দিকে একবার তাকিয়ে আহান আবার চোখ সরিয়ে নেয়,,,কারন ইকরার বুকে কোনো উরনা ছিলো না,,,

আহান : আমি সরি সেদিনের বিহেভের জন্য ( অন্য দিকে তাকিয়ে)

ইকরা : ইট স ওকে,,,( অবাক হয়ে কারন আহান অন্য দিকে তাকিয়েছিলো)

আহান : আচ্ছা আমি আসছি,,,( বলে দরজার কাছে চলে যায়,,,আবার ইকরার কাছে এসে আলতো করে দুগাল ধরে কপালে চুমু দিয়ে চলে যায়)

তখনি ইকরার হুস আসে ও এতক্ষন কি করছিলো,,সাথে সাথে বসে পরে সোফায়,,,,কি করছিলো এতক্ষন,,,,, নিজেরর দিকে তাকাতেই শক খায়,,,এতক্ষন আহানের সামনে উরনা ছাড়া ছিলো ভাবতেই লজ্জায় কুকড়ে যায়,,,,

তখনি ইকরার মা আসে,,,,

ইকরা মা : ইকরা???

ইকরা : হুহ,,,

মা : আমি কিন্তু সব দেখেছি আর শুনেছি,,,,ছেলেটা তুকে কিন্তু অনেক ভালেবাসে,,,

ইকরা : মা তুমিও???

(চলবে)

🌹 মায়াময়ী আপনি🌹

লেখিকা : তারিন জান্নাত
পার্ট : ১৪

ইকরার মা : হ্যা আমিও,,,তুই ছেলেটাকে দেখেছিস একবার কি অবস্থা করেছে নিজের,,,,এতো সুন্দর ছেলেটা,,,,

ইকরা : উপপ মা থামবে,,,এসব কিছুই না,,,আহান এখনো বাচ্চা মাইন্ডের,,,তাই এমন পাগলামী করছে,,,আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে,,,

ইকরার মা : বাচ্চা মাইন্ডের?? তুই ওর চোখে দিকে ভালো করে তাকাস,,,তাহলে বুঝবি ছেলেটা তুকে কতো ভালোবাসে,,,,

ইকরা : দেখো মা আমি চক্ষু বিশেষজ্ঞ নয়,,,যে ওর চোখের দিকে তাকাবো,,,

ইকরার মা : আমিও তো বাবাকে ভালবেসে বিয়ে করেছি,,,আমাকে অনেক সুখেও রেখেছিলো,,আজ মানুষটা নেই অথচ তার ভালোবাসায় আমাকে এখনো সেই সুখ দেয় যেই আগে দিয়েছিলো,,তাই বলছি…..

ইকরা : তাই তুমি যায় বলো না কেনো তুমি বাবাকে ভালোবেসেছিল তাই এমনটা বলছো,আমি তো আর আহানকে ভালো বাসি না,,,,

ইকরার মা : ভালোবাসিস না তাই,,,আমি তোর চোখে স্পস্ট আহানের জন্য ভালোবাসা দেখছি,,মায়ের চোখকে ফাকি দেওয়া যায়না,,,,

ইকরা : তুমি আবার চোখের ডাক্তার হলে কবে থেকে ,,,,

ইকরার মা : যা আর করার কর,,,আমি আর কিচ্ছু বলবো না,,,,,,আমি চায় যে আমার মেয়েকে আহানের মতো কোনো ছেলের হাতে তুলে দিবো,,,কিন্তু তুই…..

ইকরা : মা তুমি কেনো ভুলে যাও আমি আহানের দুই বছরের সিনিয়র,,,আমি এসব কল্পনায় ও যে কোনো জুুনিয়রের সাথে,……….

ইকরার মা : কোন হাদিসে আছে যে ছেলে বয়সে ছোট হলে বিয়ে ভালোবাসা যায় না,

ইকরা : জানিনা এতো কিছু,,,,আমি আর ভাবতে চায় না,,প্লিজ টপিক চেন্জ করো,,,

ইকরার মা আর কিছু না বলে রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেলেন,,,,

ইকরা : ( মার কথাও ঠিক,,,আমি কি বলবো নিজেই তো আহানের প্রতি দুর্বল,,,ওর কাছে আসা,,, স্পর্স করা,,কথাগুলো সবি আমার ভালো লাগে,,,এটাকে কি বলবো,,,ভালোবাসা নাকি ভালোলাগা,বুঝতে পারছি না,,,,,কিন্তু আমাকে আহানের ধৈর্যের পরীক্ষা ও নিতে হবে,,,দেখি কি কি করতে পারে আহান,,,মনেমনে)

ইকরাও আর কিছু না ভেবে শুয়ে ওরে,,,

আহান তো সেই খুশী,,,,ভেবেছে ইকরা তাকে ভালোবাসে,,,,

আহান : ( আচ্ছা আমি বেশি ভাবছি নাতো,,উনি তো মুখে কিছু বলেনি,,,কিন্তু উনার আচরনটা আমার মন জানান দিচ্ছে যে উনিও আমাকে ভালো,,আহ কি শান্তি লাগছিলো যখন উনাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম,,,,আবারও জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে উনাকে,,)

রাতে ডিনার করে যে যার মতো শুয়ে পড়ে,,,ইকরাও ঘুমিয়ে পড়ে,,,ঘুম নেয় শুধু আহানের চোখে,,,ইকরার পিক গুলো সব জোম দিয়ে দেখছিলো,,,,ছবিতে করেকটা চুমু ও দেয়( পাগল পোলা)

আহান বিছানায় এপাশ ওপাশ করেও ঘুমাতে পারছিলো না,,তাই গাড়ির চাবি নিয়ে বেড়িয়ে পরে রুম থেকে,,,কিন্তু সামনে দাদুর মুখামুখি হয়,,,

দাদু : এতো রাতে কোথায় যাওয়া হচ্ছে??( গম্ভীর কন্ঠ)

আহান : দাদু তুমি এখনো ঘুমাও নি???

দাদু : এটা কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর নয়,,

আহান : ইয়ে মানে দাদু ( আমতা আমতা করে)

দাদু : হা হা হা আমি জানি হয়তো এ রাতের বেলা আমার নাতিটা কোথায় যেতে পারে,,,

আহান : হু’

দাদু : আচ্ছা,,,এভাবে আর।কতেদিন শুন তোদের বিয়েটা করিয়ে দিই কি বলিস,,,

আহান : দিলে তো ভালো হয়,,,

দাদু : যা এবার ফাজিল ছেলে,,

আহান আর এক মুহুর্ত দেড়ি না করে বেড়িয়ে পরে,,,

আগের ন্যায় এ ইকরার রুমে প্রবেশ করে আহান,,,এক মুহুর্ত দেড়ি না করে ইকরার পাশে শুয়ে পড়ে আহান,,,এবং ইকরাকে জড়িয়ে ধরে,,,
কিছুক্ষন এভাবেই থাকে আহান একদম চুপচাপ,,,ইকরার চুল আর শরীর থেকে একটা মিষ্টি ঘ্রান আসে যা আহাকে মাতাল করে তুলছে,,,,তবুও
আহান নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে,,,ইকরার দিকে তাকিয়ে তাকে,,,

ইকরার চুল কানের পাশে গুজে দিয়ে,,,ইকরার সারা মুখে ফু দিতে লাগে,,,

ইকরা মুখে ঠোঁটে গলায় স্লাইড করতে থাকে আহান,,,এক পর্যায়ে ইকরার ঘুম ভেংগে যায়,,,

চোখ মেলে আহানকে দেখতেই ভয়ে এক জোড়ে চিৎকার দিতে যাবে তার আগেয় আহান ইকরার উপর উঠে আধ শোয়া হয়ে মুখ চেপে ধরে হাত দিয়ে,,,

ইকরার তাতে চোখ বড়বড় করে তাকায়,,,,আহানের হাত সরানোর ব্যার্থ চেষ্টা করছিলো,,,

আহান : ইকরা একদম চিৎকার দিবেন না কিন্তু,,, তাহলে আমি আপনার ঠোঁটে খুব জোড়ে কামড় দিবো,,,,

ইকরা ভয় পেয়ে যায়,,,,তাই ডানে বামে মাথা নাড়িয়ে বুঝায় যে চিৎকার করবে না,,,
আহানও ইকরার মুখ থেকে হাত সরায়,,,

ইকরা : এতো রাতে এখানে আসার মানে কি আহান,

আহান : ঘুম আসছিলো না,,ঘুমাতে পারছিলাম না তাই….

ইকরা : তাই বলে এখানে চলে আসবে,,,ঘুম না আসলে স্লিপিং পিল নিতা,,,এখানে আসার মানেটা কি,,,লোকজন দেখলে নানা কথা বলবে,,,,

আহান : আমি লোকজনের খায়ও না পড়িও না,,, কে কি বলেছে তাতে কিচ্ছু আসে যায় না,,,আর এত রাতে কার ঠেকায় পরছে যে দেখার,,,যে যার মতে করে ঘুমাচ্ছে,,,,

ইকরা : প্লিজ আহান যাও,, আমার ঘুম পাচ্ছে ঘুমাবো,,,
( হালকা ধাক্কা দিয়ে)

আহান সাথে সাথে ইকরার গলায় মুখ গুজে দেয়,,আর নেশাক্ত কন্ঠে বলে উঠে,,,,

আহান : প্লিজ আমাকে এখানে থাকতে দিন,,,আমি প্রমিস করছি ভোরের আগেয় চলে যাবো,,,,,

ইকরা : না অসম্ভব,,, তুমি হয়তো জানো না একটা অবিবাহিত ছেলে আর মেয়ে একসাথে তাকা যায় না,,,এটা হারাম,,,,

আহান : জানি,,,,কিন্তু বাড়ি গিয়ে আমি আর থাকতে পারবো না ঘুম ও আসবে না,,প্লিজ,,,,

ইকরা : যাস্ট গো আহান,,,

আহান : আমি যাবো না যাবো না,,,আমাকে যদি থাকতে না দেন তাহলে আমি এখনি চিল্লিয়ে মানুষ জড় করবো আর কি কি বলব সেটা নিশ্চয় আপনাকে বলতে হবে না,,,,

আহানের কথা শোনে ইকরা যেনো আকাশ থেকে পরলো,,,

ইকরা : ( বলে কি এই ছেলে,,,আমি এখন কি করবো সত্যি যদি তাই করে,, আচ্ছা মেনে নিব,,,আচ্ছা থাক তাহলে নাহলে আবার,) ওকে এখন সর,,,

আহান : ( পাগলি মেয়ে আমি কখনো আপনার সম্মান নষ্ট করবো নাকি,,,যাক কাজ হলো,,,এখন এই টাকেই কাজে লাগাবো)

আহান ইকরার পাশে শোয়ে ইকরাকে জড়িয়ে ধরে,,,

ইকরা : এসব কি,? কথা ছিলো তাকার জড়িয়ে ধরার না ছাড়ো আমাকে,,,,

আহান : ওকে আমি সবাইকে ডা….

ইকরা : আচ্ছা আচ্ছা,,,চুপ থাকো আমি ঘুমাবো,,,,

আহান : হুম,,,

কিছুক্ষন পর…..

আহান : ইকরা??

ইকরা : হুমম,,,,

আহান : আপনি কি পারপিউম ইউস করেন???

ইকরা : মানে ( অবাক হয়ে)

আহান : মানে আপনার থেকে একটা খুব মিষ্টি স্মেল আসছে,,,আমার ভালো লাগছে,,,,,

ইকরা : হুম,,, তোমারও!!! ( আনমনে বলে ফেলে)

আহান : কি???

ইকর : না মানে আমি পারপিউম ইউস করি না,,,এবার ঘুমাও,,,,আমার ঘুম পাচ্ছে,,,(অন্য দিকে ফিরে যায়)

আহান : ওইদিকে কেনো ফিরেছেন,,, আমার দিকে ফিরেন,,, নাহলে আমার ঘুম আসবে না,,( কথা না বাড়ানোর জন্য ইকরাও আর কিছু না বলে আহানের দিকে ফিরে)

এবার দুজনে চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,ইকরার কেমন জানি ভালো লাগছে,,তবুও সেটা নিজের মনের ভিতর রেখে দেয়,,,,আহানের চোখ বন্ধ করার পর ইকরা চোখ মেলে আহানকে দেখতে লাগে,

ইকরা : ( কি কিউট ছেলেটা,,,,,,,,ঠোঁট দুটো বেশ সুন্দর গোলাপি গোলাপি …চোখের কথা তো নাই বললাম)

এরখম অনেক কথা ভাবতে ভাবতে ইকরাও ঘুমিয়ে পড়ে,,,

ভোর হওয়ার আগেই আহান ইকরার কপালে চুমু দিয়ে চলে যায়,,,,খুব শান্তির একটা ঘুম হয়েছে রাতে তাই আহান মনটা বিষন ভালো হয়ে যায়,,,,,,

সকালে…….

( চলবে)

🌹মায়াময়ী আপনি🌹

লেখিকা : তারিন জান্নাত
পার্ট : ১৫

সকালে ইকরা ঘুম থেকে উঠে পাশে তাকিয়ে দেখে আহান নায়,,,কালকের কথা মনে পড়তেই হাসি চলে আসে ইকরার,,,

তারপর ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নে ভার্সিটি যাওয়ার উদ্দেশ্যে,,,,ইকরা বাড়ি ভেতর থেকে বেড়িয়ে দেখে যে আহান দাড়িয়ে আছে,,,

ইকরা : ( এ ছেলের চোখে কি ঘুম নায়,,,এখন আবার এখানে দাড়িয়ে আছে)

ইকরা আহানের দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখে,,,আহান একটা স্কাই ব্লু শার্ট,,ব্ল্যাক জিন্স,,,,হুয়াইট লুফার,,হাতে রিচ ওয়াচ,,এবং চুল গুলো স্পাইক করা,,
(ওয়াও ) গাড়ির সাথে ঘেষে দারিয়ে মোবাইল স্ক্যান করছে,,,

ইকরা : ( সুন্দর লাগছে পাগলটা কে)

ইকরার আবার আহানের করা পাগলামির কথা মনে পড়ে,,তাই নিজেকে আহানের থেকে আড়াল করতে মাথায় কাপড় দিয়ে মুখ ডেকে আস্তে আস্তে আহানের পাশ দিয়ে চলে যায়,,,একটু দূর যেতেয়,,,

আহান : ইকরাআআ!!!

ইকরা :, (এইরে সারছে,,বুঝে গেলো মনে হয়)
ইকরা তবুও না থেমে হাটা ধরে,,,,,আহান দৌড়ে এসে ইকরার হাত ধরে ইকরাকে নিজের দিকে ঘুড়ায়,,,,

আহান : আপনি কি আমাকে দেখতে পাননি??

ইকরা : আরে আহান আমি আসলে খেয়াল করিনি,,,

আহান : আমি তো করেছি খেয়াল এখন চলেন আমার সাথে,,,

ইকরা : দেখো আমি যেতে পারবো,, তুমি যাও,,

আহান : আপনি আসবেন নাকি আমি অন্য কিছু করবো,

ইকরা আহানের রাগী লুক দেখে চুপচাপ আহানের সাথে যেতে থাকে,,,আহান ইকরা বসিয়ে নিজে ড্রাইভিং সিটে বসে,,,,,

গাড়ি চলচে আপন গতিতে,,,আর ইকরা চোখ বন্ধ করে সিটে হেলিয়ে শুয়ে আছে,,,আহান ইকরার দিকে তাকাচ্ছে কিছুক্ষন পর পর,,,ইকরাও যেনো বুঝতে পারে ব্যাপারটা,,, চোখ খুলে,,,

ইকরা : কি সমস্যা আহান??

আহান : কিহ??

ইকরা : এভাবে বারবার তাকাচ্ছো কেনো?

আহান : আমি তাকাচ্ছি,,,

ইকরা : হ্যা তুমিই তো,,,,

আহান : আপনাকে কে বলেছে আমি আপনার দিকে তাকাচ্ছি,,,,

ইকরা : আরে আমিই তো নিজের চোখে দেখেছি,,,তুমি তাকাচ্ছো,,,

আহান : ওহ তাহলে আপনিও আমাকে দেখছিলেন তাই না,,,

ইকরা : আমি,??,,মানে আমি কিভাবে,,,আব হ্যা একটু দেখেছিলাম,,,

ইকরার আমতা আমতা করা দেখে আহান হেসে দেয়,,ইকরাও অন্যদিকে মানে বাইরের দিকে ফিরে যায়,,

আহান : রাগ করেছেন,,,

ইকরা : উহু,,,

আহান : আচ্ছা আম সরি,,,

ইকরা : হুম,,,,আমাকে একটু আগে নামায় দিও,,,, তোমার সাথে গেলে সবাই দেখবে,,,

আহান : দেখলে দেখুক আমিও দেখাতে চায়,,,

ইকরা : আহান সব কিচ্ছু তে বাচ্চামি করো না, ( হালকা ধমক দিয়ে)

ইকরা এই ধমক টা আহানের খুব খারাপ লাগে,,,তাই গাল ফুলিয়ে রাখে,,,

ইকরা আহানকে চুপ থাকতে দেখে,,, আহানের দিকে তাকায়,,দেখে ছোট বাচ্চার মতো গাল ফুলিয়ে,,,

ইকরার ইচ্ছে করছিলো আহানের গালটা একটু স্পর্স করতে,,,তবুও কিছু না করে বসে থাকে,,,

আহান আর ইকরার সাথে কথা বলেনি ইকরার কথা মতো ভার্সিটির একটু আগে নামিয়ে দেয়,,,

ভার্সিটির গেইটের কাছে গিয়ে দেখে মিম ও আসিফ দাড়িয়ে আছে,,,অনেকদিন পর দেখেয়,,,ইকরা মিমকে আর আসিফ কে জড়িয়ে ধরে,,,তাদের সাথে সেখানে দাড়িয়ে কথা বলতে লাগে,,,

আহান গাড়ির ভেতর থেকে ইকরা আসিফকে জড়িয়ে ধরতে দেখে,,,আর রাগে গাড়ির স্টেয়ারিং খুব জোড়ে হাত দিয়ে বাড়ি দেয়,,,

আহান : ( আমার সাথে তো ঠিক মতন কথাও বলেন না,, খালি ধমক দেন,,, আর ওই ছেলেটার সাথে কিসুন্দর কথা বলছেন,,,)

ছলছল চোখে আহান ইকরার দিকে তাকিয়ে কথা গুলো মনে মনে ভাবে,,,

তারপর আহান গাড়ি থেকে নেমে রাগী মোড নিয়ে ক্লাসে চলে যায়,,,

ইকরা মিম আসিফ ও ক্লাসে চলে যায়,,,

ইকরা : মিম তুর সাথে কিছু কথা বলার ছিলো,,,

মিম : হ্যা বল,,,

ইকরা : এখানে না,,একটু বাইরে চল,,, সেকেন্ড ক্লাসটা করবো না,,,

তারপর তারা বেড়িয়ে যায়,,,তারপর একপাশে গার্ডেনের দিকে চলে যায়,,,

মিম : হ্যা বল কিক বলবি,,,

ইকরা : আসলে… ( আহানের বলা কথা,,কান্ড সব বলে))

মিম : ওএমজি,,,মি. হ্যান্ডসাম তো তোকে রিয়েলি লাভ করে নাহলে এমন করতো না,,,

ইকরা : আরে না,,এখন আইডিয়া দে কিভাবে পিছু চারাবো,,,

মিম : আইডিয়া,,,এতো সুন্দর ছেলেটাকে কস্ট দিতে পারবো না,,আচ্ছা আহান রোমেন্টিক বেশি তাই না,,??

ইকরা : দূররর!!!( বলেই চলে যায়)

মিম : ( এজন্য তো বলি আহান তুর কথা জানতে চায়তো তুর জন্য কতোটা পাগল আহান,,,সেটা আমি ওর চোখে মুখে অস্তিরতা দেখে বুঝেছি,,,এখন তুদের মিলানোর দায়িত্ব আমার,)

ইকরা ক্লাস শেষ করে ছুটির পর দাড়িয়ে ছিলো,,,মিম ও চলে যায়,,,মিমের বাড়ি অন্য রোড দিয়ে যায়,,তাই মিম চলে যায়,,,

ইকরা দেখে বাইক নিয়ে ফসহাদ এসেছে,,,

ফাহাদ : কিরে কেমন আছিস??

ইকরা : ভালো,,, তুমি??

ফাহাদ : ভালো,,,আই বসে পর,,তুকে নিতে এসেছি,,

ইকরা যেই বাইকে উঠতে যাবে তখনি হাতে টান অনুভব করে,,,পেছনে ফিরে দেখে আহান ইকরার হাত ধরে আছে,,,এটা দেখে ফাহাদ ভ্রু কোচকে তাকায়,,,

ইকরা : হাত ধরেছো কেনো,,,???

আহান : কোথায় যাচ্ছেন???

ইকরা : বাড়িতে,,,

আহান : আমার সবজেক্টটা এখনো Solve হয় নি,,, করে দিন,,,,

ফাহাদ : কি হয়েছে ইকরা,??

আহান : ভাইয়া আপনি চলে যান,,,ইকরাকে আমি পৌছে দেবো,,,আমার উনার সাজেশন এর দরকার,,

ফাহাদ : আচ্ছা ঠিক আছে,,,আমি আসছি,,,

ফাহাদ চলে গেলেয় আহান ইকরাকে হাত ধরা অবস্থায় টেনে গাড়িতে নিয়ে বসায়,,,

ইকরা : এসব কি আহান,,,?? সবসময় হাত ধরো কেনো,, আর আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো,,,আমি বাড়ি যাবো,,,,

আহান : সাট আপ ইকরা,,,কোথায় যাচ্ছি গেলেয় দেখতে পাবেন,,,আর একটা কথাও বললে আমি আপনার অবস্থা খুব খারাপ করে ফেলবো,,,,( চিল্লিয়ে)

আহানের রাগ দেখে ইকরা চুপ হয়ে যায়,,,

আহান ইকরাকে নিয়ে অনেকটা দূর জংগলের ভেতর দিয়ে একটা বিশাল বড় বাড়ির সামনে দাড় করায়,,,,

বাড়িটার নেমপ্লেট এ বাগান বাড়ি লেখা,,,,

আহান ইকরাকে কিছু না বলে কুলে নিয়ে নে,,,এমন করাতে ইকরা ভয়ে আহানের গলা জড়িশে ধরে,,,

তারর বাড়ির ভেতরে একটা রুমে নিয়ে যায়,,,আর সজোড়ে ইকরাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে আহান,,,,

আহান : আপনাকে বলেছিলাম না,,,ছেলেদের থেকে দূরে থাকবেনা,,,তবুও কেনো ওই ছেলেকে জড়িয়ে ধরেছিলেন,,,

ইকরাতো আহানের ভয়ংকর রুপ দেখে পেয়ে যায়,,,

আহান : আনস মি,,,( চিল্লিয়ে)

ইকরা এবার কেঁদে দেয়,,,

আহান : কান্না করছেনা তাই না,,করেন কান্না বেশি করে করেন,,,আমার ফিলিংসের কোনো দাম নেই আপনার কাছে,,,সব সময় রাগ দেখান বকেন,,,,

আমি আপনাকে চায় ইকরা,,,, খুব করে চায়,,ভালোবাসতে চায়,,,অধিকার কাটাতে চায় আপনার উপর,,,,আমি সত্যিই আমি আপনাকে ভালোবাসি,,,,

আপনি আজ হয় আমাকে একসেপ্ট করবেন নয় আমি নিজেকে আপনার চোখের সামনে শেষ করে ফেলবো,,,

ইকরা এবার ভয় পেয়ে যায়,,,এবং রেগে যায়,,, কষে একটা তাপ্পর মেরে দেয় আহানের গালে,,,

এরপর ইকরা আহানকে ধাক্কা দেয়,,,তারপর আহানের গাল ধরে খুব জোড়ে একটা কামড় বসিয়ে দেয়,,,এরপর শক্ত করে আহানকে জড়িয়ে ধরে,,,,

ইকরা কান্না করতে করতে বলতে লাগে……

( চলবে)

🌹মায়াময়ী আপনি🌹

লেখিকা : তারিন জান্নাত
পার্ট : ১৬

ইকরা :,, আমিও তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি আহান,,তোমার পাগলামি গুলোকেও ভালোবেসে ফেলেছি,,,আম সরি আহান আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি,,,সরি,,,

আহান : আপনি আমাকে ভালোবাসেন??

ইকরা : না মিথ্যা ভালোবাসি,,( আহানের পিঠ খামছে ধরে)

আহান : সে যাই হোক,,,আপনি আমাকে ভালোবাসেন এটা ভেবেই আমার খুশীতে নাচতে ইচ্ছে করছে,,,

ইকরা : নাচো তাহলে আমি দেখি,,( বলেই আহানকে ছেড়ে দিতে চায়লেই আহান আরো জড়িয়ে ধরে)

আহান : এভাবেই থাকুন প্লিজ!!!

আহানের কথা আর ইকরা ফেলেতে পারে নি,,, অনেক্ষন ধরে এভাবে দাড়িয়ে থাকার পর ইকরার নাড়াচাড়া না পেয়ে,,,বুক থেকে তুলে দেখে ইকরা ঘুমিয়ে পড়েছে,,,,

আহান : এ অবস্থাতেও ঘুমাতে পারে জানা ছিলো না,,,

ইকরা একটু টাইয়ার্ড ছিলো তাই আহানের বুকের উষ্ণ পরশ পেয়ে ইকরা ঘুমিয়ে পরে,,,

আহান ইকরাকে কোলে করে নিয়ে শুইয়ে দেয়,আর এক হাতে ভর দিয়ে ইকরাকে দেখতে থাকে,,,

আহান : ( অবশেষে আমার #মায়াময়ী আপনি হলেন)

আহান ইকরা দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে,,,

সন্ধ্যার দিকে ইকরার ঘুম ভেংগে যায়,,,উঠে আশেপাশে থাকাতেই দেখে অচেনা জায়গা,,,পাশে আহানকে বসে বসে ঘুমাতে দেখে ইকরা,,,তারপর সব মনে পড়ে

ইকরা : ইসস!! এভাবে ঘুমাচ্ছে ছেলেটা!!

ইকরা আহানকে ধরে বেডে শুইয়ে দেয়,,,তখনি আহানের ঘুম ভেংগে যায় ধরপরিয়ে উঠে যায়….

আহান : আম সরি ইকরা,,আমার চোখ লেগে আসছিলো তাই……

ইকরা : আরে এমন করছো কেনো?? আমি ঠিক আছি,,, আমাকে বাসায় যেতে হবে,,,

আহান : হুম,, আচ্ছা,,,
ইকরার বাসায় যাওয়ার কথা শুনেই আহানের মন খারাপ হয়ে যায়,,,

ইকরা উঠে ফ্রেশ হয়ে নে,,রেডি হয়ে দুজনে বেড়িয়ে পরে বাড়ির উদ্দেশ্যে,,,,,,

পুরোটা রাস্তা আহান ইকরার হাত ধরে যায়,,,

বাসায় পৌছে ইকরা গাড়ি থেকে নামতে গেলে,,,আহান ইকরা হাত ধরে আটকায়,,,

ইকরা : কি হলো??

আহান : আসলে…. আচ্ছা যান,,,ফোনে কথা বলবেন তো??

ইকরা : হ্যা,,,, আচ্ছা হাত ছাড়ো,,,

আহান : হ্যা বলছি যে…

ইকরা : হ্যা বলো শুনতে পাচ্ছি,,( ইকরার বেশ মজা লাগছে আহানের আমতা আমতা করা কথা গুলো শুনে,,,আহানযে কিছু্ চায়ছে সেটা ইকরা বেশ বুঝতে পারে)

আহান : কিছু না,,যান,( ইকরার হাত ছেড়ে অন্যদিকে তাকায়)

ইকরা তখনি চট করে আহানের গাল ধরে একটা কিস করে দৌড় দেয়,,

আহান তো পুরাই অবাক,,,ইকরা নিজ থেকে কিস করেছে ভেবে,,,

,
,
,
,
সেদিন রাতে ইকরার সাথে অনেক্ষন কথা বলে আহান,,,ভার্সিটিতে ও তারা চোখাচোখি অনেক কথা হয়,,,এভাবে ছয় মাস কেটে যায়,,,দুজনের সম্পর্কে ইকরার মা,,মিম,,,আসিফ,,,,আহানের দাদু ছাড়া কেউ জানেনা,,,

আহানতো ইকরার আংগুলে আন্টিও পড়িয়ে দেয় ওদের সামনে,,,

,
,
,
,

একদিন আহান ইকরাকে বলে বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছে করছে কোথাও,,,ইকরাকে যেতে না চায়লেও আহান তার জিদ নিয়েই বসে থাকে,,, শেষে ইকরাও রাজি হয়,,,আসলে ইকরা আহানের সাথে যেতে চায়ছিলো না,,,ও একটা ছেলে,,ইকরার সাহস হচ্ছিলো না,,তারা কক্সবাজার যাওয়ার প্ল্যান করে,,,,

পরেরদিন,,,

ইকরা তার মাকে বিদায় দিয়ে বেড়িয়ে পড়ে কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে,,

গাড়ি নিয়ে ওয়েট করছিলো আহান,,,ইকরাকে দেখেয় আহান থমকে যায়,,
ইকরা একটা গাঢ় গোলাপি রংগের গাইন পড়ে,,,চুল একপাশে সিথী করা,,,চোখে কাজন আর ঠোঁটে গোলাপি লিপিস্টিক,,,,

আহানও কম কিসে,,,হুয়াইট টি-শার্ট,,উপরে হুয়াইট ব্লেজার,,ব্ল্যাক জিন্স,, ওয়াচ,,স্পাইক করা চুল সব মিলে ভয়ংকর সুন্দর লাগছিলো দুজনকে,,,,

আহান ও ইকরা গাড়িতে বসে পড়ে,,, গাড়ি চলছে তার আপন গতীতে,,,একটা নিরবতা বিরাজ করছিলো,,
কিন্তু একজনের ভিতরে যে পরিমান জড় বয়ে চলছে সেটা শুধু সেই জানে,,,

আর সেই হচ্ছে আহান,,ইকরাকে আজ একটু বেশিই সুন্দর লাগছে,,,, তাই আহান না চায়তেও ইকরার দিকে তাকাচ্ছে,,,,,,আহান নিরিবিলি একটা জায়গায় এসে গাড়ি একপাশে করে থামায়,,,

গাড়ি থামাতেই ইকরা আহানের দিকে তাকায়,
দেখে আহান সিটে মাথাটা দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিজের ঠোঁট কামড়ে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে,,,,

ইকরা হঠাৎ ভয় পেয়ে যায় হয়তো আহানের শরীর খারাপ লাগছে ভেবে,,,,

ইকরা : আহান কি হয়েছে তোমার?? শরীর খারাপ লাগছে???

আহান চোখ খুলে ইকরার দিকে তাকায়,,,

সাথে সাথে গাড়ি থেকে নেমে ইকরার পাশে এসে ইকরার হাত ধরে নামায়,,,

ইকরা তো অবাক হয়ে যায়,,,আহানের কান্ডে,,,

ইকরা : কি হয়েছে ব…

আহান ইকরাকে গাড়ির পেছনের সিটে বসিয়ে নিজেও ইকরার পাশে বসে পড়ে,,,,আহান তখনও নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলো,,,,হাত মুঠু করে নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে

ইকরা : আহান কি হচ্ছে এসব,,কি হয়েছে বলবে তো,,আর……… ( আর বলতে পারে নি)

আহান ইকরার গলা দিয়ে চুলের ভেতরে হাত ডুকিয়ে ইকরাকে কাছে টেনে আনে,,,,আর পাগলের মতো করে কপালে, চোখে,,গালে,, চুমু দিতে থাকে,,,,
গলা থেকে হাত সরিয়ে কোমরে নিয়ে ইকরাকে আরো কাছে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে গলায় অজস্র চুমু দিতে থাকে,,,আহানের হঠাৎ আক্রমনের জন্য ইকরা একদমি প্রস্তুত ছিলো না,,,চোখ বন্ধ করে আহানের স্পর্শ গুলো ফিল করছিলো,,,,আহান চুমু দিতে দিতে ইকরার ঠোঁটের দিকে এগোয়,,,দুজনের ঠোঁট কাছাকাছি আরেকটু হলেই…..
হঠাৎ ইকরার ঠোঁটের কাছ থেকে সরে যায় এবং ইকরা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,,,

ইকরাতো আহানের এরুপ আচরনপ অবাক হয়ে যায়,,
আহান ইকরাকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় ভাবতে লাগে

আহান : ( , আপনার ওই ঠোঁট জোড়া দেখলেই নেশা ধরে যায়,,স্পর্শ পেলে তো আমি আর নিজেকে সামলাতে পারবো না,,,)

আহান : ইকরা???( জড়িয়ে থাকা অবস্থায়)

ইকরা : হুম,,,

আহান : আমার একটা রিকুয়েস্ট রাখবেন???

ইকরা : হুম,,,

আহান : আপনি আর কখনো ঠোঁটে লিপিস্টিক পড়ে আমার সামনে আসবেন না প্লিজ,,,,

ইকরা : কেনো???

আহান : কেনো জানতে চাচ্ছেন আজ আমি নিজেকে কন্ট্রোল না করলে তো অনেক বড় ব্লান্ডার হয়ে যেতো,,,

ইকরা : হুম,,,,

তারপর আহান ইকরাকে চেড়ে কপালে গভীর চুমু দেয়

এবং ড্রাইভ করতে থাকে,,,,,,,,,

( চলবে)

🌹মায়াময়ী আপনি🌹

লেখিকা : তারিন জান্নাত
পার্ট : ১৭

গাড়ি চলছে তার আপন গতীতে,,

ইকরা অনেক্ষন ধরে চুপচাপ বসে আছে,,, ইকরার আজ খুব বেশি লজ্জা লাগছে,,আহানের সামনে বসে থাকতেও হেজিটেট লাগছে,,আজ আহানের ওইভাবে ভালোবাসার স্পর্শ গুলো ইকরার মনে মধ্যে এক অজানা অনুভূতির সৃষ্টি করে,,,আগে আহান হালকা স্পর্শ করেছিলো,,,কিন্তু এবারে আহানের স্পর্শ গুলো খুবই কড়া ছিলো,,,যার জন্য ইকরা চায়লেও ভুলতে পারছেনা,,,আহানের দেওয়া ভালোবাসার পরস গুলো,,

আহান : ইকরা,,,,( সামনের দিকে তাকিয়ে)

ইকরা : (লজ্জায় কথা বলতে পারছে না)

আহান : ইকরা আপনি কি এখনো লজ্জা পাচ্ছেন??

ইকরা : (চুপ)

আহান : আপনি যদি লজ্জায় কথা বলতে না পারেন,তাহলে এইবার আমি আবারও আপনাকে তখনকার মতো আদর করবো,,,এবার কিন্তু আমি আর ছারবো না,,,

আহান কথা গুলো মজা করে বললেও ইকরা সত্যি ভাবে তাই সাথে সাথে আহানের দিকে থাকায়,,,

ইকরা : আসলে….এমনি চুপ ছিলাম,,( স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে)

আহান : হুম বলেন শুনতে পাচ্ছি,,,

ইকরা : না মানে আরে কতক্ষন??

আহান : আরো অনেক আছে……..

ইকরা : ওহ
,
,
,
,
আহান : ইকরা???

ইকরা : হুম বলো,,,

আহান : আমাদের বিয়ের পর কয়টা বাবু নিবো???

ইকরা : (চোখ বড় বড় করে তাকায়)

আহান : কি হলো বলেন না???

ইকরা : ( ছেলেটাকি পাগল,,,এখনো বিয়েও হয়নি আর বাবুর চিন্তা করছে)

আহান : দেখেন আমরা কিন্তু বিয়ের ৩ মাস এর ভিতরে বাবু নিবো,,যেভাবেই হুক,,,আমার বাবু চায়,,,,

ইকরার তো আহানের কথাগুলো হজম করতেও কষ্ট হচ্ছে,,,

ইকরা : ( না জানি বিয়ের পর কেমন করে জ্বালায় আমাকে,,আহানের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলো,,)

আহান : কিস লাগবে???

ইকরা : (থমথম খেয়ে যায়) কিসব আজেবাজে কথা বলে???

আহান : আপনিই তো আমার দিকে তাকিয়েছিলেন তাই বললাম,,,,

ইকরার তো এবার লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করছিলো,,,আহান আজ ওকে খুব লজ্জা দিচ্ছে,,,

তারপর তারা কক্সবাজার পৌছে যায়,,,,,,

হোটেলে আগে থেকে আহান রুম বুকিং দিয়ে রেখেছিলো,,কিন্তু একটা রুম,,,ইকরাও জানে না,,,

রুম খালি থাকা সত্তেও মেনেজার তাদের জানায় যে শুধু একটা রুম খালি আছে,,,তাই আহানও ইকরাকে তার ওয়াইফ বলে সম্মোধন করে

তারপর তারা রুমে যায়,,,

ইকরা : বলছি আহান অন্য কোনো হোটেল নেয়,,যেখানে দুইটা রুম খালি পাওয়া যাবে,,,

আহান : আপনার কি আমার সাথে থাকতে ইচ্ছে করছে না,, ( মুখ ফুলিয়ে)

ইকরা : আমি তা বলিনি কিন্তু…….

আহান : আচ্ছা চলেন,,অন্য হোটেলে গিয়ে রুম দেখি,,,
( গম্ভীর কন্ঠে আর গাল ফুলিয়ে বলল যার জন্য আহানকে খুব কিউট লাগছিলো)

আহান যেতে নিলেয় ইকরা আহানের শার্ট ধরে আটকে ফেলে,,,,,

আহান : কি??

ইকরা : সরি আহান,,যেতে হবে না তোমাকে এখানেই থাকবো,, তোমার সাথে,,

আহান : না না থাকতে হবে না আমার সাথে,,আমি খুব খারাপ,,আপনাকে জ্বালায়,,,( বলেই চলে যেতে নেয়)

ইকরা আহানের শার্টটা ধরে টেনে বেডে বসিয়ে দেয়,,,
আহান ইকরার দিকে তাকাচ্ছিলো না,,,তাই ইকরা আহানের দুইগাল ধরে উঠায়,,,আর নিজের নাকের সাথে আহনের নাকে ঘষা দেয়,,,আহান চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,,এবার ইকরার গাল দিয়ে আহানের গালে ঘষা দেয়,,,মুহুর্তে আহানের অভিমান কেটে যায়,,,

আহান দাড়িয়ে ইকরাকে জড়িয়ে ধরে,,,

ইকরা : পাগল,

আহান : হ্যাঁ আপনার জন্য,,,

ইকরা : হয়েছে ছাড়ো এবার,,, ফ্রেস হবো,,

আহান : ওকে আরেকটু পর সন্ধ্যা নেমে আসবে,,,
তখন সাগর দেখতে যাবো,

ইকরা : ওকে,,,,

ইকরা ফ্রেস হয়ে কিছুক্ষন নাস্তা করে রেস্ট নে,,,,

কিছুক্ষন পর,,,,

ইকরা একটা স্কাই ব্লু টপস আর স্কার্ট,,,গলায় স্কার্ফ জড়ায়,,,বেড়িয়ে আসে ওয়াসরুম থেকে,,,,

আহান ইকরাকে দেখেই বসা থেকে দাড়িয়ে যায়,,,,কতক্ষন অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো,,,পরক্ষনে কিছু একটা মনে করতেই,,,,

আহান : আপনি এভাবে বাইরে যাবেন???

ইকরা : হ্যা,,কি হয়েছে,,,

আহান : ইমপসিবল,,,আপনি এভাবে বাইরে যাবেন না,,,আমি চায় না আপনাকে এ অবস্থায় আমি ছাড়া অন্য কেউ দেখুক,,,

ইকরা আহানের কথায় যুক্তিও পায় তবে মন খারাপ করে চেন্জ করে থ্রি-পিছ পরে নেয়য়,,,

আহান : এখন ঠিক আছে,, চলুন

তারপর তারা সাগরের পাড়ে যায়,,অনেক ঘুরাঘুরি করে,,মজা করে রাতের খাবার খাওয়ার খেয়ে আসে,,,,

ইকরা ফ্রেস হলে আহান ফ্রেস হতে যায়,,,

ইকরা রুমের পাশে একটা বেলকনি আছে সেখানে গিয়ে দাড়ায়,,,,,,

তখনি হঠাৎ করে……

(চলবে)

🌹মায়াময়ী আপনি🌹

লেখিকা : তারিন জান্নাত
পার্ট : ১৮

হঠাৎই আহান এসে ইকরাকে জড়িয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে কাঁধে থুতনি রাখে,,,ইকরা চোখ বন্ধ করে ফেলে।

আহান : কি ভাবছেন???

ইকরা : কিছু না,,,,

আহান : চলেন ঘুমাবো আমার ঘুম পাচ্ছে,,,,

আহান : তুমি যাও,,,আমি আসছি,

আহান : আচ্ছা আসেন

বলেই আহান রুমে চলে যায়,,,,,,
,
,
,
,

গার্ড : স্যার আহান স্যার একটা মেয়ে সহ কক্সবাজার এসেছেন,,,

আহানের বাবা : ওয়াটট?? মেয়ে সহ মানে?? কে ওই মেয়েটা খবর নাও কুইক!!

গার্ড : ওকে স্যার,

আহানের বাবা : ( আমি যেটা ভাবছি যদি সেটা সত্যি হয় তাহলে অনেক লস হয়ে যাবে,, না না এটা কিছুতেই হতে দেওয়া যাবে না,,,আমাকে এবার দেশে ফিরতেই হবে)

,
,
,
,

ইকরার ফোনটা হঠাৎই বেজে উঠে,,,আহান আধশোয়া হয়ে ইকরার দিকে তাকিয়েছিলো এতক্ষন,,,থাই গ্লাস দিয়ে ইকরাকে স্পস্ট বুঝা যাচ্ছে,,ফোন আসতেই ফোনের দিকে তাকায়,,,,

আর ফোনকল টা দেখেয় প্রচন্ড রেগে যায় আহান,,,কারন কলটা ফাহাদ করেছিলো,,,,আহান যেই ফোন নিতে যাবে,,,তার আগেই ইকরা ফোনটা নিয়ে নেয়,,,স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কল রিসিভ করততে যাবে
তার আগেই আহান ফোনটা নিয়ে নে,,,,কল তো বেজেই চলেছে,,

ইকরা : কি শুরু করেছে আহান ফোন দাও??

আহান : দিবো না,,

ইকরা : দেখো কল বাজছে,,,তুমি আমাকে ফোনটা দিয়ে দাও আহান।

আহান : দিবো না,,,আপনি আমার সাথে এসেছেন,,আমার সাথে থাকছেন,,,এবং আমি ছাড়া আর কারো সাথে কথা বলতে পারবেন না,

ইকরা : আশ্চর্য!! এমন করছো কেনো,,আমি যাস্ট কথা বলবো,,,,

আহান : এতো উতলা হচ্ছেন কেনো কথা বলার জন্য,,,আমার সাথে বলেন কথা,,

ইকরা : বলবো না ( বলেই অন্য দিকে মুখ করে শুয়ে পরে)

ইকরা : ( কি আজব ছেলে,,,ভাইয়ার সাথে একটু কথা বলতাম কি এমন হতো যে,,,কথাই বলতে দিলো না)

আহান ও দাড়িয়ে ইকরার দিকে তাকিয়ে আছে,,,

আহান : ( ওই ছেলেটার সাথে কথা বলার জন্য আপনি আমার সাথে রাগ করছেন,,,আমার সাথে কথাও বলবেন না,,,আপনি না আমাকে ভালোবাসেন,,,,
ইকরা আমি চায় না আপনি অন্য কারো সাথে কথা বলেন,,আমি শুধু চায় আপনি শুধু আমাকেই দেখবেন আমার সাথেই কথা বলবেন)

এসব ভাবছিলো আহান দাড়িয়ে দাড়িয়ে,,,তারপর আহান ইকরার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ে,,,তখনো ইকরা অন্য পাশে ফিয়ে শুয়ে ছিলো,,,অনেক্ষন ধরে দুজনে চুপচাপ শুয়ে থাকে,,,

এক পর্যায়ে আহান উঠে ইকরাকে টেনে নিজের দিকে ফিরায়,,,ইকরার দুহাত হালকা বিছানার সাথে চেপে ধরে,,,, আহান ইকরার বুকের উপর শুয়ে পরে,,,

হঠাৎ এমন হওয়ায় ইকরা ভয় পেলেও পরক্ষনে আবার ইকরার শরীর শিউরে উঠে,,,ইকরা কাপাকাপি করতে লাগে,,,,, আহান তো ইকরার হার্ডবিট শুনতে পাচ্ছে,,,,

আহান ইকরার একহাত নিয়ে নিজের পিঠে রাখে,,,আরেক হাত নিজের চুলের ভেতরে রাখে,,,

ইকরা শুধু আহানের কান্ডগুলা দেখছে,,,

আহান : কাপাকাপি না করে আমার চুল গুলো টেনে দিন,

ইকরাও আস্তে আস্তে আহানের চুল গুলো টেনে দেয়,
আহানেরও খুব ভালো লাগছিলো,,এমনভাবে কেউ চুল টেনে দেয়য় নি,,,

আহানের ঘুম আসছিলে তাই উঠে ইকরা গালে একটা চুমু দেয়,,,,

আহান : রাগ করেছেন??চ

ইকরা : না আহান আমি রাগ করিনি,,,( ইকরা বুঝে গিয়ছে আহান ওকে হারানোর ভয় পায় তাই এমন করেছিলো))

পাগল ছেলে!!

দুজনে ঘুমিয়ে পড়ে,,,সকালে ঘুম ভেংগে ইকরা চোখ খুলে তাকাতেই দেখে আহান এক হাতের ভর দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে,,,

আহান : গুড মর্নিং,,,

ইকরা : (ভ্রু কোচকে) মর্নিং কখন উঠলে,,,

আহান : অনেক আগে!!

ইকরা : কি করছিলে এতক্ষন ধরে,,,

আহান : আপনাকে দেখছিলাম,,,

ইকরা : উপপ না ঘুমিয়ে আর কাজ পাচ্ছিলে নাকি যে আমাকেই দেখছিলে,,,,( বলেই ইকরা উঠে যেতে চায়লে)

আহান ইকরার হাত ধরে টান দিয়ে বুকে ফেলে,,ঝাপটে জড়িয়ে ধরে,,,

ইকরা : আরেহ…….

আহান : উমম!! প্লিজ এভাবে থাকেন কিছুক্ষন প্লিজ প্লিজ,,,,

ইকরাও চুপচাপ আহানের বুকে শুয়ে পরে,,,,

আরো কিছুক্ষন পর,,,,,,

আহান : রাতে আমি আপনার বুকের উপর শুয়েছিলাম,,,আর আপনি এখন,,, হিসাব বরাবর,,
এবার উঠুন,,,,

ইকরার ও ভালো লাগছিলো আহানের বুকে শুয়ে থাকতে,,,কিন্তু আহান যখন উঠতে বলল,,,তখনই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়,,,,তাই ইকরা আহানের দুহাত শক্ত করে ধরে, বিছানায় চেপে ধরে আহানের বুকে জোড়ে একটা কামড় বসিয়ে দেয়,,,,

কামড় দিয়েই ইকরা দৌড়ে দেয় বাথরুমের দিকে,,

আহান : আউচচচ!!! এটা কি ছিলো ইকরাআআ!!

ইকরা : লাভ বাইট ( বলে বাথরুমে ডুকে পরে)

আহান ইকরার কামড় দেওয়া জায়গায় আলতো করে আংগুল দিয়ে টাচ করে,,,

আহান : ( কামড় দিয়েছেন কিন্তু ব্যাথার থেকে সুখ বেশি পেয়েছি ইকরা,,,,, মুচকি হেসে)

এরপর দুজনে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে,,বেরিয়ে পরে হিমচড়ির উদ্দেশ্যে….
,
,
,
,
দুজনে বেস ১ সপ্তাহ বেড়ানোর পর রওনা দেয় ঢাকার উদ্দেশ্যে,,,,

এতোদিন খুব আনন্দে কেটেছিলো আহান ইকরার দিন,,,আহান ও যতেস্ট সময় কাটিয়েছে ইকরার সাথে,,,যা স্মৃতির পাতায় তুলা রাখতে চায় আহান,,,,,
,
,
,
,
,
আহানের বাবা ইকরার সব খবরাখবর নেয়,,,আর জানতে পারে তারা সেম ভার্সিট তে পড়ে,,,আর আহান ইকরাদের বাড়িও যায়,,,,

এতে উনি রেগেমেগে একাকার হয়ে যায়,,,,!!

আহানের বাবা : ওই ছেলেকে যে করেই হোক ফিরিয়ে আনতে হবে,,,নাহলে এইবার অনেক বড় লস হয়ে যাবে,,,,

আহানের মা : কি করবে এখন,, তুমি?? মানে প্ল্যান কি?

আহানের বাবা : দেখতে থাকো…… ( বাঁকা হেসে)

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

(চলবে)

🌹মায়াময়ী আপনি🌹

লেখিকা : তারিন জানাত
পার্ট : ১৯

ইকরা আর আহানও যথা সময়ে বাড়ি ফিরে আসে,,,
আহান ইকরাকে ড্রপ করে বাড়ি ফিরে যায়,,,, অনেকটা রাত ও হয়ে যায়,,,

সত্যি এইকয়দিন স্বপ্নের মতো ছিলো আহান আর ইকরার জন্য,,,

আহান বাড়ি ডুকতেই দেখে তার দাদু বসে বসে টিবি দেখছেন,,,,

আহান : হেই ওল্ডম্যান,,,এখনো ঘুমাও নায় কেনো???

আহানের দাদু দেখে আহান দাড়িয়ে আছে,,,

দাদু : আরে ইয়াংম্যান কেমন কাটলো হানিমুন😉!!

আহান : আরে দাদু কি বলো এসব!!!

দাদু : হা হা লজ্জা লাগছে বুঝি,,, আচ্ছা যা ফ্রেস হয় নে,,,

তারপর আহান ফ্রেস হয়ে বিছনায় শরীর এলিয়ে দেয়,,,কিন্তু ঘুম আসছিলো না,,,

রাত ঠিক ১২ টা,,,

আহান ইকরাকে কল দেয়…… কিন্তু ইকরার ফোন ওয়েটিং এ,,,,

আহান : আশ্চর্য,,, ইকরা এতো রাতে আমি বাদে কার সাথে কথা বলছে,,,(আরো পাঁচ মিনিট পর কর দিলেয় কল ওয়েটিং)

পরেরবার কল দিতেই ইকরা কল রিসিভ করে….

ইকরা : আম সরি সরি সরি আহান আসলে…….

আহান : কে ফোন করেছিলো???

ইকরা : আস আসলে…..

আহান : কি হলো বলেন,,,,

ইকরা : ফাহাদ ভাইয়া কল দিয়েছিলো…

ফাহাদের নাম শুনতেই আহান হাত মুঠু করে ফেলে,, রাগে তার শরীর ফেটে যাওয়ার উপক্রম৷

আহান : ওহ তাই আমার কল রিসিভ করতে পারছিলেন না,,,, ( দাঁতে দাঁত চেপে)

ইকরা : আরে আমি খেয়াল ক…….

আহান : কিভাবে করবেন খেয়াল,,,আমি আপনার খেয়ালে থাকলেই না খেয়াল করবেন ( রেগে চিল্লিয়ে)

আহানের এমন ব্যাবহারে ইকরা কেঁদে দেয়,,,ইকরা সাথে সাথে ফোন কেটে বন্ধ করে দেয়,,,,

ইকরা : ( কি ভেবেছেটা কি ছেলেটা,,,আমি কারো সাথে ও বলতে পারবো না),,,,(হিচকি উঠে যায় কান্নার কারনে)

আহান ইকরা কল কাটার পর কল দিলেয় দেখে ইকরা ফোন ওফ করে দিয়েছে,,,

আহান : সিট!!! এটা আমি কি করলাম?? উপপ কেনো যে এতো রাগ উঠে যায়,,,এখন কি করবো,,,,

আহান রুমে পায়চারি করতে থাকে আর ভাবছে ইকরাদের বাড়ি যাবে কিনা,,,
কিন্তু ওর শরীরটাও যে বড্ড ক্লান্ত তাই আর কিছু না ভেবে,,,শুয়ে পরে,,,

আহান : কাল ভার্সিটিতে গিয়ে আপনার রাগ ভাংগাবো,,,সরি ইকরা,,,আমি আর এমন করবো না,,,

এসব ভাবতে ভাবতে আহান ঘুমিয়ে পরে,,,,

সকালে…………

নাস্তা করেই ভার্সিটিতে চলে যায় আহান….
সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছে ঠিক কিন্তু মনটা ইকরার কাছে পরে আছে,,,,

কিছুক্ষন পর আহান দেখে ইকরা মিম আর আসিফ কথা বলে আর হাসাহাসি করে আসছে,,,,,

আহান ইকরাকেই দেখছে লেমন কালারের একটা থ্রি-পিছ,,,, চুল গুলো ছাড়া,,,চোখে হালকা কাজল,, আর ঠোঁটে সেই মন ভুলানো হাসি,,,,

আহান ইকরার দিকে তাকিয়ে আছে, পরে উঠে তাদের সামনে যায়,,,

আহান : মিম আপু আপনার সাথে একটু ইমপর্টেন্ট কথা আছে,,,একটু ওইদিকটায় আসবেন??( ইকরার দিকে তাকিয়ে)

ইকরা তখন আসিফের সাথে কথায় ব্যাস্ত যেটা আহানের মোটেও সহ্য হচ্ছে না,,,

মিম : চলো,

আহান : চলেন আপু,,,,

মিম : কি ব্যাপার আহান কিছু বলবে,???

আহান : হ্যা মানে আপনার বান্ধবি আমার সাথে রাগ করে কথা বলছে না,প্লিজ একটু হেল্প করে দিন,,,

মিম : ওওওহ!! তো এই ব্যাপার,,,আচ্ছা ঠিক আছে করবো হেল্প,,কিন্তু আমি কি পাবো???

আহান : আমার আর ইকরার বিয়েতে আপনাকে ইনবাইট করবো,,,

মিম : (আহত দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে)

,
,
,
,

তারপর তারা ক্লাসে চলে যায়,

মিম : ইকু লাইব্রেরি ত নতুন বই আসছে,,,আমি যাচ্ছি নিতে,,তুই নিলে আয়,,,,(বলেই হাটা ধরে)

ইকরা : এই এই যাবো দাড়া তুই!!!( ইকরা বই পড়তে ভালোবাসে)

ইকরা আর মিম লাইব্রেরি ডুকে,,,তারা নতুন বইগুলে দেখছিলো,,,

মিম : ইয়ার আমি একটু ওয়াসরুম থেকে আসি তুই বই দেখ,,,

ইকরা : ওকে ( বই দেখতে থাকে)

মিম যাওয়ার পর আহান ডুকে লাইব্রেরি তে,,,,
আর দরজা লক করে দেয়,,,,,,

ইকরা পেছনে ফিরতেয় আহানকে দেখে ভয় পেয়ে যায়,

তাই ইকরা বই রেখে বেরিয়ে যেতে নেয়,,,, তার আগে আহান আটকায়,,

আহান : আম সরি ইকরা,,,কাল মাথা গরম হয়ে গিয়েছিলো তাই…..

ইকরা : ( নিশ্চুপ,, চলে যেতে নিলেয়)

আহান ইকরার হাত ধরে আটকায়,আর নিজের সাথে মিশায়,,,আহানের এই অল্প স্পর্শে ইকরার রাগ অনেক কমে যায়,,,

আহান : কোথায় যাচ্ছেন হ্যা,,, আমাকে চোখে পরছেনা????

ইকরা : উপপ কি শুরু করেছেন আপনি?? আমাকে বিরক্ত করছেন কেনো?? চাড়ুন আমাকে,,,আমাকে টাচ করেছেন কোন সাহসে?

ইকরার মুখে আপনি ডাক শুনে আহান তো হতভাগ এর আগে এমনভাবে বলেনি৷

আহান : আমি আপনাকে বিরক্ত করি?? ( আমি টাচ করবো আপনাকে একশো বার করবো,,,এই অধিকার শুধুই আমার)

ইকরা : হ্যা,,,তা নয়তো কি??? অনেক বিরক্ত করেন আপনি আমাকে,,

আহান এবার ধপ করে পাশে চেয়ারে বসে পরে আহান,,, শুধু একটা কথায় ভাবছে আহান ইকরা ওকে ছেড়ে চলে যাবে নাতো,,,,

চোখ দিয়ে টুপটুপ পানি পরছে আহানের,,,
ইকরা আহানের দিকে না তাকিয়ে চলে যেতে নিলেয় আহান তাড়াতাড়ি উঠে দৌড়ে ইকরাকে পেছন থেকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে,,,,

আহান : প্লিজ ইকরা,,,এবারের মতো আমাকে ক্ষমা করে দিন,,,আমি আর কখনো আপনার সাথে রেগে কথা বলবে না,,,প্লিজ ইক…..

তখনি ইকরা আহানের দিকে ফিরে তাকিয়ে দেখে চোখ লাল হয়ে গিয়ছে৷

ইকরা চোখের পানি মুছে দেয় আংগুল দিয়ে,,,

ইকরা : এইভাবে মেয়েদের মতো কান্না করা শিখলে কিভাবে তুমি,,,লোখে জানলে কি বলবে???

আহান : জানিনা,,,দাদু বলতো সেই ছোটবেলা থেকে কান্না করতে,,,কষ্ট জমিয়ে রাখলে নাকি মনটা পাথরে পরিনত হয়,,,তাই সেই ছোটবেলা থেকে আমি যদি কষ্ট পেতাম,,তাহলে কান্না শুরু করে দিতাম,,,আর দাদু ও আমাকে শান্তনা দিতো না,,,,সেই থেকেই কষ্ট সয্য না হলে কাঁদতাম,,,,

ইকরাতো অবাক হয়ে আহানের কথা শুনছে,,

ইকরার : ( আহানের কিসের এতো কষ্ট,,, যার জন্য কান্না করতে হয়,,আচ্ছা ওর মা বাবা,,,???,)

আহান : হ্যালো কি ভাবছেন,,,আপনি আর রেগে নেয়তো???

ইকরা : রেগে আছি এখনো,

আহান : কেনো???

ইকরা : তুমি আজ আমাকে তোমার লাইফ সম্পর্কে সব বলবে,মানে তোমার মা-বাবা কোথায়??,,,জিগ্যেস করলে এড়িয়ে যাও,,,,আজ যদি না বলো,,,আমি সত্যি তোমাকে চেড়ে চলে যাবো,,,

আহান : (কিছুক্ষন চুপ থেকে) আচ্ছা বলবো এখানে না অন্য কোথাও,,,

তারপর আহান আর ইকরা বেড়িয়ে পড়ে ভার্সিটি থেকে,
,
,
,
,
অনেক্ষন ধরে ইকরা আর আহান বসে আছে ঘাসের উপর তাও আবার চুপচাপ,,,

ইকরা : কিছু বলছো না কেনো???

আহান : কি বলবো???

ইকরা : তোমার মা বাবা কোথায়??

আহান : নেই!!!

ইকরা : ( ভেতরটা ধক করে উঠে) নেই মানে কোথায়??

আহান একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে আর বলতে লাগে,,,

আহান : আমার বয়স কতো আমি জানি না,,,আমাদের পুরো পরিবার কোথাও আউটিং এ গিয়েছিলো ফেরার পথে আমাদের গাড়িটা নাকি এক্সিডেন্ট হয়,,, আমার বাবা মারা যান আর দাদুর তিনদিন কোমায় ছিলেন,,,আর মার ড্যাডবডিটা নাকি পাওয়া যায় নি,,,
তারপর থেকেই আমি আমার চাচা-চাচি,,,মানে বর্তমানে,
যাদের আমার মা-বাবা বলা হয়,,,কিন্তু ওরা আমাকে কখনো ভালোবাসে নি,,,আমার বয়স ১০ বছর হলে তারা এ দেশ ছেড়ে চলে যায়,,,আমার বাবা সব প্রপার্টি আমার নামে হুইল করে রেখেছিলেন,,,,তারপরই আমি জানতে পারি ওরা আমার মা-বাবা নয়,,,খুব কষ্ট হয়েছিলো,,,,,,

এখনো মাঝে মাঝে ফোন করে বলে তাদের কাছে যেতে,,,মানে আসল উদ্দেশ্য আমার প্রপার্টি গুলো,,,

হঠাৎ একদিন দাদু মুখ ফসকে বলে ফেলেন যে আমার মা বাবাকে মারার পেছনে ওদের হাত ছিলো,,,সেদিন ইচ্ছে করেছিলো ওদের ও খুন করতে,,,

দাদুই আমাকে আটকায়,,নানা ভাবে বুঝায়……

( চলবে)

🌹মায়াময়ী আপনি🌹

লেখিকা : তারিন জান্নাত
পার্ট :২০

সেদিন থেকেই আমি তাদের ঘৃনা করি,,, তারপর আমি নিজেকে অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছিলাম,,মা বাবার কথা ভেবে কষ্ট হলে সেই আগের ন্যায় এ কান্না করতাম,,তাতে কিছুটা হালকা লাগতো,,,

তারপর কিছু মাস আগে আপনি আমার লাইফে আসেন,,আমি কখনো ভাবিনি আমি কাউকে এতোটা চায়বো আর ভালোবাসবো……

আমি সত্যি আপনাকে খুব ভালোবাসি ইকরা,,,,প্লিজ আমাকে ছেড়ে চলে যাবেন না ,,,,,,,

আর ছেড়ে গেলেও আমি আপনাকে নিয়ে এসে আমার কাছে জোড় করে রেখে দিবো,,,কোথাও যেতে দিবো না ,,, বলেই আহান ইকরার কোলে মাথা রাখে,,,

আহানের চোখে এখন আর পানি নেয়,,,ইকরাকে মনের কথা বলেই আহান কিছুটা হালকা হয় ,, ,, কিন্তু ইকরার কান্নায় থামছে না ,,, আহানের কষ্টটা যেনো ইকরা ফিল করছিলো,,,,

ইকরা আহানের চুলে হাত দিয়ে চুল টানতে থাকে,,,কিছুক্ষন পর আহানের দিকে তাকাতেই দেখে আহান ঘুমিয়ে পড়েছে,,,

ইকরা : আরে এতো জলদি কিভাবে ঘুমিয়ে পড়লো??

আহান :(গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন)

ইকরা : আহান??? ( আহানতো ঘুম!!!অনেক শান্তির ঘুম দিচ্ছে এখন)

তাই ইকরাও আহানকে আর ডাকে নি,, আহানের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,

ইকরা : ( ইসস কি কিউট লাগছে ,, মন চায়ছে একটু) থাক পরে,,,,,

ইকরা অন্য দিকে তাকিয়ে আছে আকাশটা মেঘলা মেঘলা হয়ে আছে,,,সাথে সেই মন মাতানো বাতাস সব উপভোগ করছে,,,, শরীরে প্রশান্তি বয়ে আনে এই পরিবেশটা,,,,অনেক্ষন পর….

ইকারর চোখ যায় আহানের দিকে,,মস্তিষ্কের বিরুদ্ধে গিয়ে ইকরা হালকা ঝুকে আহানের কপালে একটা ভালোবাসার মিস্টি পরশ দিয়ে দে,,,,

আহান ও মুচকি একটা হাসি দিয়ে চোখ মেলে!!এটা দেখেয় ইকরা থমথম খেয়ে যায় ,,,,,,

আহান : আরে এতো লজ্জার কি আমিই তো,,,এবার প্লিজ আরেকটা দেন এই গালে,,,, ( গাল দেখিয়ে)

প্লিজ প্লিজ দুইটা দেন না গালে,,,,

ইকরা : এখন না একটা বললে,,,,

আহান : তিনটা দিতে বলছি তো!!

ইকরা : (হা করে তাকিয়ে থাকে)

আহান : আচ্ছা দিতে……( আর বলতে পারেনি)

ঝিরঝির বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় ,,,,,,

ইকরা : আরে এই অবেলায় বৃষ্টি????

আহান : আমিই বলেছি মনে মনে,,,যাতে আজ বৃষ্টি পড়ে,,,আপনার সাথে একসাথে ভিজবো,,,

ইকরা : আরে পাগল নাকি, চলোওও,,,এই বৃষ্টিতে ভিজলে অসুস্থ হয়ে পড়বো আমরা,,,,

আহান : মেডিসিন নিয়ে নিবো,,,প্লিজ না করবেন না,,,আর আপনি না বৃষ্টি পাগলি , তাহলে এখন কেনো এমন করছেন???

ইকরা : অবেলায় বৃষ্টি সেকারনে,,,

ইকরা অনেক বললেও আহান শুনেনি ইকরাকে নিজের বাহুতে আবদ্ধ করে,,বৃষ্টির স্পর্শ অনুভূব করে তারা !!!!!

আহান তো ইকরাকে নানা ভাবে জ্বালাচ্ছিলো,,,একসময় বৃষ্টি থেমে গেলে তারা গাড়িতে উঠে পড়ে,,,

আহান ইকরার দিকে তাকিয়ে দেখে বৃষ্টিতে ভেজার কারনে শরীরে জামা টা লেপ্টে আছে,,,,তাই ইকরার থেকে চোখ সরিয়ে পেছনে দিকে হাত বাড়িয়ে একটা ব্যাগ,,নেয়,,,

ইকরা : এটাতে কি???

আহান : কাপড়,

ইকরা : ওওহহ!!!

আহান ব্যাগ থেকে একটা শার্ট বের করে ইকরাকে এগিয়ে দেয়,

আহান : এটা পড়ে নিন,,,আসলে আপনার জামাটা লেপ্টে আছে,,,( সামনের দিকে তাকিয়ে)

ইকরা নিজের দিকে তাকাতেই লজ্জায় লাল হয়ে যায়,,আর আহানের হাত থেকে শার্ট নিয়ে পড়ে নে,,,

ইকরা : ব্যাগে তো আরো কাপড় আছে,,,চেন্জ করে নিতে,,,???

আহান : উহু!!! ঠান্ডা লাগলে দুজনের একসাথে লাগুক,,আমি এতোটা স্বার্থপর না যে নিজে শুকনে কাপড় পরবো আর আমার জান কে ভেজা রাখবো!!

আহানের মুখে জান ডাকটা শুনেই ইকরা ভেতরে প্রচন্ড রখমের ভালোলাগা শুরু হয়ে যায়,,,

তারপর তারা বাড়ি ফেরার পথে মেডিসিন শপ থেকে মেডিসিন নিয়ে বাড়ি ফিরে,,,

রাতে………….

অনেক্ষন ধরে ইকরা আর আহান কথা বলছে,,,আহান ফোন রাখতে চায়ছিলো না তবুও ইকরা রেখে দেয়,,,

তখনি একটা আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসে,,ইকরা ফোনটা রিসিভ করছিলো না দেখে অনবরত কল বেজেয় চলছে ,,, শেষ পর্যায়ে কর ধরে

ইকরা : হ্যালো আসসালামু -আলাইকুম!!

অচেনা : ওয়ালাইকুম- আসসালাম,

ইকরা ; কে বলছেন???

অচেনা : আপনি আমাকে চিনবেন না,,,!!! কাল আমার সাথে একটু দেখা করতে আসবেন,,,এড্রেস*********।
আর যদি না আসেন ক্ষতি টা আপনারই হবে,,,,আর ভুলেও কাউকে বলতে যাবেন না

,,, ভয়ের কিছু নেয় আমি আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী!!

বলেই কল কেটে দেয়,,,

ইকরা তো ভয়ে শেষ!!!!
,
,
,
,
আহানের চাচা : দেখি এবার ওই আহানের বাচ্চা কি করিস!!!!

(চলবে)

🌹মায়াময়ী আপনি🌹

লেখিকা : তারিন জান্নাত
পার্ট : ২১ ও ২২

পরেরদিন………….

ইকরা সকালে থেকেই টেনশনে পায়চারি করছে,,,যাবে কি না,,,ভয়ে আর টেনশনে ঘাম ঝরছে ,,,,,,

সকালের নাস্তাটাও ঠিক করে করেনি ইকরা ,,,, আহান তো ইকরাকে কল দিয়ে যাচ্ছে,,ইকরা ফোন রিসিভ করে শেষ পর্যায়ে,,,,

ইকরা : হ্যালো আহান???

আহান : কোথায় আপনি ইকরা,,,কতক্ষন ধরে কল দিয়ে যাচ্ছি আসছেন না কেনো???

ইকরা : আসলে আমি আজ যাবো না,,

আহান : মানে?? কেনো???

ইকরা : আসলে আমি ফুফির বাড়িতে যাচ্ছি তাই,,,

আহান : ফুফি মানে?? কোথায়??আমি আসছি ওয়েট!

ইকরা : আরে না না আহান আমি চলে এসেছি,,,রাখছি হ্যা,,,

আহান : বলছি যে….ফুফি মানে ওই ভাইয়াটার বাড়ি😐

ইকরা : হ্যা ফাহাদ ভাইয়াদের বাড়ি,,,

আহান : ওহ,,( মন খারাপ করে)

ইকরা : আহান!! আবারও???

আহান : আরে না না,,, আচ্ছা রাখছি,,,,বিকালে বেড়াতে যাবো আমরা ওকে??

ইকরা : ওকে রাখছি,,,,,
,
,
ইকরা এতক্ষন ধরে আহানকে মিথ্যা বলেছে,,, ইকরা এখন রাস্তায়,,,, খুব ভয়ে আছে ইকরা ,,,

পরক্ষনে আসিফের কথা মনে পড়ে,,তাড়াতাড়ি আসিফকে ফোন দেয়,,,

আসিফ আসলেই আসিফ ইকরাকে কালকের কলের কথা বলে,,,তাই ইকরা আর আসিফ সেই এড্রেস এ যায়,,,কিন্তু ইকরা আগে আর আসিফ পেছনে,,,,,

ইকরা এড্রেস অনুযায়ে একটা রেস্টোরেন্টে যায়,,রেস্টোরেন্ট টা অনেক নামকরা আর দামি,, সেখানে গিয়ে দেখে মানুষ জন কেউ নেয়,,,শুধু একটা টেবিলে তিনজন বসে আছে ,,, একটা মেয়ে আর দুইজন ছেলে বসে আসে,,,,আর পুরো রেস্টোরেন্ট খালি

ইকরা যে এসেছে সেটা তারা খেয়াল করে নি,,,ইকরা দাড়িয়ে দেখছে একজন বয়স্ক লোক,,আরেকজন ২৭ কি ২৮ বছরের ছেলে,,,আরেকটা মেয়ে হয় তার সেম বয়স নয়তো ছোট।

ইকরা তাদের কাছে গিয়ে তাদের সামনে দাড়ায়,,,
তারা তিনজনে ইকরাকে দেখে অবাক,,,রুপবতী লাগছিলো,,
কারন ইকরা একটা রেড কালারের গাউন পরেছে ঠোঁটে হালকা লপিস্টিক,,, ব্যাস,,,,,

একজন তো মনের অজান্তেই বলে ফলে

আনাফ : ( ওয়াও!! এতো সুন্দর মেয়ে আগে দেখিনি আমি)

ইকরা : আসসালামু-আলাইকুম,,,,

আহানের চাচা : ওয়ালাইকুম -আসসালাম,,,

সালাম নেওয়ার ধরন দেখে ইকরা বুঝে যায় যে কাল এই লোখটায় ফোন দিয়েছেন???

ইকরা : আংকেল কাল ফোন দিয়েছিলেন আজ আসার জন্য,,,,( আহানের চাচাকে উদ্দেশ্য করে)

চাচা ; হ্যা মানে বসো!!! ( এই মেয়েটা দেখি অনেক চালাক)

ইকরা : তার প্রয়োজন নেয়,,, আপনি বলেন ফেলুন,,, আমাকে যেতে হবে,,,

চাচা : এতো তাড়া কিসের অনেক কথা আছে অল্পে শেষ হবে না,,,

ইকরা : ( ইকরা বাকি দুজনের দিকে তাকিয়ে দেখে ছেলেটার পাশে সিট খালি,,,তাই ধুম করে বসে পরে)

আনাফ একটু অপ্রস্তুত হয়ে পরে,,,ইকরা পাশে বসায়,,,,

ইকরা : জ্বি বলুন ( আহানের চাচার দিকে তাকিয়ে)

চাচা : এরা দুজন আমার ভাগনি (( ভাগনি মানে আহানের চাচির ভাইয়ের ছেলে মেয়ে আনাফ আর আনায়া)

ইকরা : হ্যালো!!!( দুজনে দিকে তাকিয়ে)

আনাফ : হ্যালো….

আনায়া : হ্যালো ( ভেংচি কেটে)

যেটা দেখে ইকরার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়,,,,

ইকরা : তো বলেন?? কি বলবেন???

চাচা : আহানকে চিনো????

ইকরা আহানের নাম শুনতেই চমকে যায়,,,পরে নিজেকে সামলে,,,,,

ইকরা : হ্যা চিনি!! আপনি???

চাচা : আমি আহানের বাবা!!!

ইকরা তাকিয়ে লোকটাকে দেখে আর হালকা হাসি দিয়ে ,,,,

ইকরা : আংকেল মিথ্যা বলার কি দরকার, আপনি তো আাহনের চাচা,,,সেটা বললেও আমি আপনাকে সম্মান করতাম,,,,

ইকরা কথাটায় বেশ অপমানিত হয় রেগে যায়,,,

চাচা : ওহ তাহলে তুমি সব যানো,,, তাহলেই ভালো আমাকে আর কস্ট করতে হলো না,,,এইবার ডাইরেক্ট কথায় আসি,,,,,,তোমাকে আহানকে ছেড়ে দিতে হবে,,,,

ইকরা আহানকে ছেড়ে দেওয়ার কথা শুনতেই বুকে ব্যাথা করে উঠে,,,,

ইকরা : মানে???

চাচা : মানে খুব সোজা,,,আনায়া আহানকে পছন্দ করে,,তাই ওর সাথেই আহানকে বিয়ে দিবো

কথাগুলো শুনেই ইকরার মাথায় আকাশ ভেংগে পরে,,

ইকরা : আমি আহানকে ভালোবাসি তাই ছাড়ার কোনো প্রশ্নয় আসে না,,,,,

চাচা : এই মেয়ে এই বেশি বাড়াবাড়ি করবে না বলে দিলাম,,,

ইকরা : আহান আমাকে ভালোবাসে আর আমি আহানকে,,,আমাদের কেউ আলাদা করতে পারবে না

বলেই ইকরা দাড়িয়ে যায়,,,আর চলে যেতে নিলেয়,,,

আনায়া : হেই ইউ ওয়েট এ মিনিট!!

ইকরা দাড়ায় আর আনায়া দিকে ফিরে দেখে আনায়া ওর দিকে আসছে,

আনায়া : কাম উইথ মি(বলে ইকরার হাত ধরে একপাশে নিয়ে যায়)

আনায়া ফোন বের করে একটা ভিডিও ক্লিপ প্লে করে,,,

আনায়া : সি দিজ ভিডিও,

ভিডিওটা দেখেয় ইকরার রাগ সপ্তম আকাশে,,, এমনিতে ওর উপরে ক্ষেপে ছিলো এখন ভিডিওটা

ইকরা কিছু না ভেবেই

ইকরা : ঠাস,,,,ঠাস,,,,,(আনায়ার দুগালে দুইটা তাপ্পর মারে)

আনায়া : ইউ হাউ ডের ইউ বলে হাত তুললেই

ইকরা হাতটা ধরে মুছরে দেয়,,

ইকরা : আর ইউ মেন্টালি সিক????

( আনাফ দেখেও প্রতিবাদ করেনি,,কারন ইকরা ঠিকই বলেছে আজ ওর বোনের পাগলামির জন্য,,, ওর বাবা আহানকে আয়ানার সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য ষাট কোটি টাকার একটা ডিল দেয় আহানের চাচাকে যার লোভে পরে,,,উনি ফুলের মতো একটা সম্পর্ক নষ্ট করতে চায়ছে)

আনায়া :

ইকরা : আপনার এই পাগলামি পাগলা গারদে গিয়ে দেখান,,,আমার সামনে নয়,,,,এখন কার দিনে সামন্য একটা ভিডিও এডিট করে দেখালে আমি বিশ্বাস করে নিবো,,,সো ফানি,

কান খুলে শুনে রাখো আমি আহানকে ছারবো না,,

বলেই চলে যেতে নেয় ,,, তখনি আহানের চাচা ডাক দেয়

চাচা : তোমার সাহস দেখে।অবাক না হয়ে পারলাম না,,আচ্ছা ছারবে না ঠিক আছে,,,কিন্তু আহানের আর তোমার মায়ের কিছু ক্ষতি করে ফেলি মানে যদি মেরে ফেলি ,,,,,,,,,,,,

ইকরা বেশ ভয় পেয়ে যায়,, নিজেকে সামলে নিয়ে চাচার সামনে দাড়ায়,,,,

ইকরা : ( আমাকে এটা মানতেই হবে নাহলে আমার দুজন ভালোবাসার মানুষকে হারাতে হবে)

আমি রাজি!!

তারা তিনজনে অবাক,,,, এতক্ষনে তাহলে কাজ হলো,,

ইকরা : কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে???

চাচা : ( অবাক হয়ে) কি শর্ত???

ইকরা : আমি আহানকে ছাড়তে রাজি,,,কিন্তু এখন না আমার আর আহানের পরীক্ষার পর,,,পরীক্ষার পরে আমি চলে যাবো,,,আমি চায়না আহানের পড়ায় কোনো ক্ষতি হোক,,,,এবার আপনি শর্তে রাজি থাকলে বলুন,,,নাহলে আমাদের সবাইকে মেরে জেলের পুড়া রুটি খাইয়েন,,,আমার কোনো আপত্তি নেয়,,,,শেষে আহানের সাথে এই পাগল মেয়েটা বিয়ে হবে না,,( আফসোসের দৃষ্টিতে)

আনায়া :(রেগে তাকাই)

আহানের চাচা তো অবাক,,,,,

আহানের চাচা : ( এই মেয়েতো দেখি অনেক চালাক আমার জন্য কোনো অপশন রাখে নি,,এদের মারলে আমার কোটি টাকা লস,,যেখানে।আমি সব টাকার জন্য করছি,,,আহানকে মারলে সব প্রপার্টি এতিমদের হয়ে যাবে,,এখনো তো বিয়েও করেনি,,না না এতো বড় লস দিত পারবো না,,)

ইকরা : কি হলো রাজি কিনা বলেন???

চাচা : রাজি!!!

ইকরা একটা স্বস্তির শ্বাস নিয়ে বেড়িয়ে যায় রেস্টোরেন্ট থেকে,,,চোখের কোণা দিয়ে পানি গড়িয়ে পরছে ইকরার আহানকে ছাড়তে হবে ভেবে,,,

ইকরা : ( আমাকে ক্ষমা করো আহান আমি আমার কথা রাখতে পারলাম না,,সময় চায়লাম করওন এই কয়েক মাস তোমার সাথে যেনো কাটাতে পারি,,তারপর আমি নিজেই এমন কিছু করবো যাতে তুমি আমাকে ঘৃনা করো,,,,,তোমার চাচা অনেক ডেঞ্জেরাস মানুষ তোমার মা বাবার মতো যদি তোমাকেও…..)

আসিফ : ইকরা শুনতে পাচ্ছিস,,???

ইকরা : হ্যা হ্যা বলো,,,

আসিফ : এখন কি করবি????

ইকরা : নিয়তি যা চায়,,,আমি সব তার উপর ছেড়ে দিলাম,,,,( নিজেকে শক্ত করে নেয়)

আসিফ ও ইকরার কষ্টটা বুঝতে পারছে,,,,

ইকরা : ভিডিও টা আমাকে সেন্ড করিস!!!

আসিফ : ওকে

ইকরা যখন আহানের চাচার পরিচয় জানতে পারে তখনি আসিফকে একটা ছোট্ট মেসেজ দিয়ে দেয়,,,
তারপর সবকিছু ভিডিওতে নিয়ে নেয়,,,,,পরে যদি কাজে লাগে,,,,

ইকরা বাসায় গিয়ে রুমে দরজা লাগিয়ে অনেক কান্না করে,,,

ইকরা : ( নাহ আমি এভাবে কান্না করছি কেনো,,,আরো কিছু মাস সময় আছে আমি সেগুলা উপভোগ করবো)
আহান ইকরাকে ফোন দিলে ব্যাস্ততার।বাহানা দিয়ে না করে দেয়,,কারন ইকরার কান্নার করনে ছোখ মুখ ফোলে যায়
,
,
,
,

পরেদিন আহান ভার্সিটিতে না গিয়ে লং ড্রইবে চলে যায়

আহান সে কখন থেকে বকবক করে যাচ্ছে ইকরা শুধু আহানের দিকে তাকিয়ে ছিলো,,,কোনো কথা কান দিয়ে যায় না,,,

আহান : কি হয়েছে ইকরা আমার কথা শুনছেন???

ইকরা : হ্যা বলো

আহান : ভালোবাসি আপনাকে অনেক অনেক ভালোবাসি আমি আমার #মায়াময়ীকে ,,,,,,,,,,,

#মায়াময়ী_আপনি আমার!!!

ইকরা : আমিও ভালোবাসি তোমাকে!!!

আহান : এভাবে না একটা কিস করেন প্লিজ!!!!!

ইকরা : আগে আমাকে #তুমি করে বলো!!!

আহান : না আমার জন্য #আপনি ঠিক আছে,,,আপনি বলতে আমার খুব ভালো লাগে!!!

ইকরা : কিন্তু আমার কেমন কেমন লাগে!

আহান : কেমন লাগে,,,,

ইকরা : কিছু না এমনি বলে উঠতে নিলেয়,,

আহান হাত ধরে টান দিয়ে গালে একটা কিস করে দেয়,,,সাথে একটা কামড় ও,,,,

ইকরা : পাগল ছেলে

আহান : হ্যা আপনার জন্য

( চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here