ভালোবাস কি আমায় পর্ব ১৬+১৭

#ভালোবাস কি আমায়🍁
#Part_16
#Writer_Saima_Islam_Mariam❤️
.
🍁🍁
.

– খালামনি আমি কয়দিন নিজের বাসায় গিয়ে মাম্মি পাপ্পার কাছে থাকবো

— কিন্তু রেহান…(নিলিমা)
— মাম্মা মায়া আপু কে বাঁধা দিয়ে না..ও-কে যেতে দাও কয়দিন ঘুরে আসুক ওর ভালো লাগবে(রিফতি)

মায়া কোথাও যাবে না খালামি ইভেন তোমাদের সাথে নাও। রেহান কথা গুলো বলতে বলতে উপর থেকে নেমে আসে

— আমি কোথায় যাবো না যাবো না সেটা বলার আপনি কে ?(মায়া)

— তুই আজকে থেকে কোথায় যাবি আর কোথায় যাবি না সেটা আমি ঠিক করবো (রেহান)

— ওয়াট দ্যা? কি বলেছেন আর একবার বলুন তো আমি ঠিক শুনতে পাইনি..!(মায়া)

—- আমি বললাম তুই আজকে থেকে কোথায় যাবি আর কোথায় যাবি না সেটা আমি ঠিক করবো এন্ড তোকে সেটা শুনতে হবে।(মায়ার সামনে এগিয়ে এসে)

— লিসেন মিস্টার খান! আপনি মনে হয় ভুলে যাচ্ছেন আপনি আমার কেউ হোননা এন্ড আমিও আপনার কেউ হয় না যে আমি আপনার কথা শুনে চলবো(মায়া)

— কিছুদিন পর আমিও তো কেউ হবো এন্ড তুইও আমার কেউ হবি(রেহান)

— কি সব বলছেন আপনি, এমন মিনিংলেস কথা বলার মানে কি?(মায়া)
.
মায়ার বাবা-মা, আর রেহানের বাবা-মা…. রেহান আর মায়ার কথা গুলো শুনে মুখ টিপে হাসছে

— মাম্মা পাপ্পা, খালামনি এন্ড আঙ্কেল।মায়া কে আমার মিনিংলেস কথা গুলোর একটু মানে বলে দাও তো।(মায়ার দিকে তাকিয়ে)

রেহানের কথা শুনে মায়া চোখ বড় বড় করে রেহানের দিকে তাকায়। রেহানের মা মায়ার কাছে এসে বলে

—মায়াপরী! তোমার আর রেহানের আর ১০ দিন পর বিয়ে(নিলিমা)

— ওয়াট? খালামনি তুমি এইসব কি বলছো?

— তোমার খালামনি একদম ঠিক কথা বলছে মায়া মামণি ( মায়ার ম)

— মাম্মি! আমি কিন্তু কিছুই বোঝতে পারতেছি! কি হচ্ছে কি এইসব?

দাঁড়া আশা তোর মেয়ে কে সব বুঝিয়ে বলি।

— মায়াপরী যে দিন রেহান লন্ডন চলে গিয়েছিলো, সে দিন তোমাদের বিহেভ দেখে আমরা বুঝতে পেড়েছিলাম তোমরা একে অপরে ভালোবাস। তাই আমি আর তোমার আঙ্কেল মিলে তোমার মাম্মি পাপ্পা কে সেটা জানাই আর তোমাদের বিয়ে ফাইনাল করি।

মায়া সব শুনে রেহানের দিকে তাকাতে, রেহান মায়াকে চোখ মারে…. মায়ার চোখ গুলো অটোমেটিক বড় হয়ে যায়।

— বাট খালামনি আমি তো এই বিয়েতে রাজি না!

— মায়া মামণি তোমাকে আর কিছু বলতে হবে না….. আমি তো তোমার মাম্মি এন্ড তোমাকে এই এতোটুকু থেকে এতো বড় করেছি তাই তুমি তোমাকে যতটা বোঝ তার থেকে অনেক বেশি আমি বুঝি(মায়ার মা)

— মাম্মি প্লিজ আমার কোথা টা তো শুনো!

— উম,,,, আর কোনো কথা না

রিফতি মায়া কে জড়িয়ে ধরে কংগ্রেস জানায়

— মায়া আপু তুমি তো আপু থেকে এইবার আমার ভাবি হয়ে যাবে….উফফফ কি মজা(রিফতি)

মায়া চুপ করে আছে….রেহান সোফায় বসে আছে আর মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে

— আমিও দেখবো মায়া, এইবার তুই আমাকে কি ভাবে ইগনোর করিস… ভেবে ছিলাম কাল রাতে তোকে সব জানাবো বাট তুই তো আমার কথা না শুনে চলে গেলি(মনে মনে)

— আচ্ছা শুন না নিলু আপু আমাদের ট্রেনের লেট হয়ে যাচ্ছে এইবার আমাদের বের হতে হবে(আশা)

— ওহ হ্যাঁ,তাই তো(নিলিমা)

— মাম্মি আমিও তোমাদের সাথে যাবো প্লিজ আমাকেও নিয়ে চলো(মায়া)

— আশা আমি বলি কি তোমার মেয়ে কে নিয়ে যাও এমনিতে তো আর কয় একদিন পরে তোমার মেয়ে আমাদের বাসায় পার্মানেন্টলি চলে আসবে তখন আর মেয়ে কে সহজে নিজেদের কাছে পাবে না ( রেহানের বাবা)

ওনার কথা শুনে সবাই হেসে দেয়।

দেন রেহান আর তার পাপ্পা মিলে মায়া আর তার মাম্মি পাপ্পা কে ষ্টেশনানে পৌঁছে দিয়ে আসে

মায়া ট্রেনের উঠার আগে রেহান বলে

— মায়া শুন বাসায় আমাকে কল বা টেক্সট দিবি কেমন!

মায়া রেহানের কথায় কোনো আন্স না দিয়ে ট্রেনে উঠে যায়

# অন্য দিকে

নিলয় আজকে নেশা কে তার সাথে দেখা করতে বলে।

— কোথায় দেখা করবো নিলয় ভাইয়া? এন্ড কেনো দেখা করবো?

— সেটা কাল কলেজে আসলে দেখতে পাবে! এখন রাখছি। বাই এন্ড সি ইউ এগেইন।

নিলয় কল কেটে দেয়
!
!
!
মায়া বাসায় চলে এসেছে অনেকক্ষণ হলো…. রেহান কে এখনো কোনো কল বা টেক্সট দেই নাই। অন্য দিকে রেহান মায়ার কলের জন্য ওয়েট করতে করতে এক সময় নিজেই কল দেয়। অনেক বার রিং হওয়ার পর মায়া কল রিসিভ করে

— হ্যালো……..(মায়া)

— তোকে না বলেছি বাসায় পৌঁছে আমাকে কল দিতে। কল দেস নি কেনো (রাগি কন্ঠে)

—…………..

—- কি হলো চুপ করে আছিস কেন? বাসায় কখন গিয়ে পৌঁছেছিস?

—- অনেক আগে….

— তাহলে কল দেছনি কেনো?

— এমনি…..এখন কথা বলতে ইচ্ছে করতেছে না…. রাখছি বাই।।

—– মায়া….হ্যালো মায়া..হ্যালো

মায়া কল কেটে দেয়। অন্য দিকে রেহান মারাত্বক রেগে যায়।

—- শুধু একবার বিয়েটা হতে দে তারপর সব শুধে আসলে বুঝে নিবো…(রেহান)

— মায়া কল কেটে দিয়ে কান্না করে দেয়…. রেহান তুমি কি সত্যি #ভালোবাস কি আমায়। নাকি সব মিথ্যে….

# পরের দিন

কলেজের ছাদে নেশার সামনে নিলয় একগুচ্ছ লাল গোলাপ নিয়ে হাটু ঘিরে বসে আছে..

নিলয়ঃ I love you Nesha. Will you marry me?

নেশা মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, সে এখনো বিলিভ করতে পারতেছে না নিলয় নিজে তাকে প্রপোজ করেছে…….
#ভালোবাস কি আমায়🍁
#Part_17
#Writer_Saima_Islam_Mariam❤️
.
🍁🍁
.

— এমা নিলয় ভাইয়া আপনি এটা কি বলছেন?(নেশা)

— নিলয় চোখ লাল করে বলে। আমি কি বলছি শুনতে পাওনি নাকি কানে তুলো দিয়েছিলে…কোনটা?

— না ভাইয়া আমি সব শুনতে ও পেয়ে এন্ড কানে তুলো ও দিনি(মুখ টিপে হেসে)

— তাহলে বললে কেনো আমি এইসব কি বলেছি?

— সত্যি তো বললাম আপনি এইসব কি বলছেন?

— আমি তোমাকে বললাম….. আমি তোমাকে ভালোবাসি. তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?

— বাট নিলয় ভাইয়া আমি তো অন্য কাউকে ভালোবাসি.!!

— নিলয় এইবার ক্ষেপে যায়…একে তো নিলয় এতোক্ষন ধরে নেশা ভালোবাসি কথাটা বলেছে নেশা তার রিপ্লাই দেই নি দুইয়ে তো নেশা বলছে সে অন্য কাউকে ভালোবাসে…. নিলয় এতোটা ক্ষেপে যায় নে নেশাকে নিজের খুব কাছে নিয়ে এসে নেশার হাত দুইটা শক্তরে পিছন দিকে মুচড়ে ধরেছে

—আহ্! নিলয় ভাইয়া কি করছেন আমার হাতে লাগছে(নেশা)

— লাগার জন্য তো ধরেছি।কি বললে তুমি হ্যাঁ,অন্য কাউকে ভালোবাস তুমি?

— ইয়েস! আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি

— নাহ…. তুমি শুধু আমাকে ভালোবাসবে। আন্ডারস্ট্যান্ড!

— নো…. আমি আপনাকে লাভ করবো না…কি করবেন আপনি?

— আমাকে না ভালোবাসলে…আমি তোমাকে খুন করে ফেলবো।

— কি!!!!!! আপনি আমাকে খুন করবেন..?

— নিলয় নেশা কে ছেড়ে দিয়ে….. আমতা আমতা করে বলে না তোমাকে খুন করবো না…. তুমি আমাকে না ভালোবাসলে তুমি যাকে ভালোবাস তাকে খুন করে ফেলবো…. কথা গুলো বলে নিলয় হনহন করে কলেজের ছাদ থেকে নেমে যায়।

নিলয় চলে যাওয়ার পর ছাদের চিলেকোঠা থেকে একজন বেরিয়ে আসে…..তাকে দেখে নেশা আর হাসি থামাতে পারে না দুইজনে মিলে হু হা করে হেসে দেই

অজানাঃ নেশা ও-কে আরেকটু নিজের লেজে ঘুরাও.

নেশাঃ হ্যাঁ,তা তো অবশ্যই করবো…

দুইজনে আবার অট্ট হাসিতে মেতে উঠে

# মায়া তাদের বাসায় এসেছে আজকে ৬দিন হয়ে গেলে,,,,, এই ৬দিনে মায়া রেহানের সাথে একটু স্বাভাবিক হয়েছে….রেহান কল করলে সুন্দর করে কথাও বলে।

সন্ধ্যা বেলায় মায়া বাহিরে হাটতে বেরিয়েছে নিজের রাতের শহরে হাটার মজাটাই আলাদা…. মায়া ল্যাম্পপোস্ট এর আলোয় নিজের আপনমনে হাঁটছে….. আচমা একটা গাড়ি মায়ার সামনে এসে দাঁড়ায়….মায়া একটু রেগে লোকটা কে বলে

— রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হলে আপনাদের আর হুশ থাকে না তাই না? গাড়ি ড্রাইভ করার সময় কি চোখ গুলো হাতে নিয়ে দেন গাড়ি ড্রাইভ করেন….যত্তসব ফালতু লোক

— লোক্টা গাড়ি থেকে নেমে মায়ার সামনে দাঁড়াতে মায়া শক খাই!

— একি আপনি এখানে কি করে এলেন মিস্টার খান?

— উফফফ! মায়া তুই এখনো আমার উপর রেগে আছিস নাকি?(রেহান)

— না.. রেগে নেই এন্ড কেনো বা রেগে থাকবো (মুখ ভেংচি কেটে)

— তাহলে এখনও.. মিস্টার খান…আপনি..এইসব বলছিস কেনো?

— আমার ইচ্ছা তাই

— হুহ…বিয়ের পরে সব আমার ইচ্ছে হবে!!

— মায়া রেহানের কথা শুনে মাথা নিচু করে ফেলে..

রেহান মায়াকে দেখে হেসে দেয়…মায়ার মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেছে

— আপনি এখানে এখন কেনো এসেছেন?

— কাল তোকে, আর খালামনি -আঙ্কেল কে নিয়ে যেতে এসেছি

— ওহ..আচ্ছা
তাহলে বাসায় চলুন

#রাতে

রেহান আর মায়া ছাদে দোলনায় বসে আর্ধ পূর্ণিমা চাঁদের জ্যোৎস্না বিলাস করতেছে..রেহান মায়া হঠাৎ বলে উঠে

— জানিস মায়া আমি না হঠাৎ তোর মায়াই পড়ে গেছি সে খান থেকে আর উঠতে পারিনি না…সে মায়াই পড়া থেকে কখন যে তোকে ভালোবেসে ফেলাম আমি নিজেও জানি না!

— মায়া রেহানের কথা শুনে একটা মুচকি হাসি দিয়ে আবার আকাশের দিকে তাকাই তারপর বলে… আমার ক্ষেত্রেও সেম জিনিস টা হয়েছে!

— সত্যি বলছিস?

— হুম ৩ সত্যি……

#পরের দিন

মায়া আর তার মাম্মি পাপ্পাকে নিয়ে রেহান খান বিলাতে চলে আসে।।

#২দিন পর

আজ মায়া আর রেহানের মেহেদী সন্ধ্যা। অনেক ঝাকঝমক করে তাদের মেহেদী সন্ধার এরেঞ্জ করেছে। আজকে মায়ার সব ফ্রেন্ড রেহানের সব ফ্রেন্ড এসেছে।নেশা নিলয় ও এসেছে। মায়া আর নেশা দুই জনি হলুদ লেহেঙ্গা পড়েছে

মায়া হলুদ লেহেঙ্গার সাথে কাঁচা ফুলের জুয়েলারি, চোখে মোটা করে কাজল ঠোঁটে লাল লিপস্টিক, চুল গুলো খোপা করে বেলী ফুলের মালা পড়েছে।সব মিলিয়ে মায়াকে অপ্সরার মতো লাগছে

— রেহান একটা হলুদ কাবলি পড়েছে সাথে কালো ধুতিপ্যান্ট….হাতে ব্যান্ডের কালো ঘড়ি.. চুল গুলো স্পাইক করা…রেহান কেও অসম্ভব সুন্দর লাগছে..

মায়া রেহান স্টেজে বসে আছে। নিলয় আর ফাহাদ দুইজনে একসাথে নিলয়দের বাসায় ঢুকে। নিলয় তো নেশা দেখে হা করে তাকিয়ে আছে

— নেশা হলুদ লেহেঙ্গার সাথে, গলায় পাথরের নেকলেস, কানে চিলবার কালারের বড় কানের ঝুমকা হাত ভরতি কাঁচের চুড়ি ঠোঁটে হাল্কা পিংক কালারের লিপস্টিক।

নিলয় কেউ কম সুন্দর লাগছে না।একটা ব্লু কালারের পাঞ্জাবি সাথে সাথে সাদা প্যান্ট। হাতে ব্যান্ডের ঘড়ি

কিছুক্ষণ মায়া আর রেহান সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে রাত ৮টায় একটা এ্যাঙ্গেজমেন্ট পাটি আছে…বাট কাদের তা কিছু বলেনি।।

মায়া হাতে মেহেদী পড়ে বসে আছে।হঠাৎ সব লাইট অফ হয়ে যায়…মায়া ভয় পাওয়ার পরিবর্তে একটু হেসে উঠে। কজ সে জানে লাইট কেনো অফ হয়ে গেছে

অন্য দিকে নিলয়ের অবস্থা খুব খারাপ একে তো তার টেনশন এ মাথা কাজ করতেছে কার এ্যাঙ্গেজমেন্ট পাটি…..তারউপরে এই অন্ধকারে নেশা কে দেখতে পাচ্ছে না

হঠাৎ করে সব লাইট অন হয়ে যায় নিলয় এদিক ওদিক তাকায়…. দেখে সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে আর হাসছে। নিলয় সবার হাসি দেখে একটু বিরক্ত ভাব নিয়ে সমনের দিকে তাকাই…তাকিয়ে তো নিলয় পুরাই থ।

নেশা তার সামনে এক টা লাল গোলাপ নিয়ে হাটু ঘিরে বসে আছে।নিলয় তাকাতে নেশা বলে উঠে

— I love you Niloy.Do you love me? And will you marry me?

নিলয় কিছু সময় চুপ থেকে বলে

— Yes! I do love you and I will marry you

— Really!

— হুম…. নিলয় কখনো মিথ্যে কথা বলেনা।

তুমি যদি আমাক লাভ করো তাহলে ওইদিন বললে না কেনো?

—- সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম তাই।

তারপর নেশা নিলয়কে সব খুলে বলে।

— নিলয় যে দিন নেশা কে দেখা করতে বলে কল করে সেদিন নিলয় কল কেটে দেওয়ার পরে নেশা ফাহাদ কে কল করে আর ফাহাদ নেশা কে নিলয় এর প্রপোজ করার কথা বলে আর তখনি নেশা ফাহাদ কে নিয়ে প্লেন করে মায়ার মেহেদী সন্ধার দিন নিলয় কে সারপ্রাইজ দিবে… তাই নিলয়কে সে দিন মিথ্যে বলেছিলো

নেশার কথা শুনে সবাই হাত তালি দেই।নিলয় নেশার দিকে তাকিয়ে আছে।

আচমকা, মিথিলা, লিজা, ফাহাদ বলে উঠে সবাই তো মিঙ্গেল হয়ে গেলো শুধু আমরা ৩জনি সিঙ্গেল রয়ে গেলাম কি আজব

ওদের ৩জনের কথা শুনে সবাই উচ্চস্বরে হেসে উঠে….

চলবে…
[😊)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here