ভিনদেশী পর্ব অন্তিম

#ভিনদেশী
#আদ্রিয়ানা নীলা
#পার্টঃ৪৭(অন্তিম পর্ব)

প্রাক্তন এর সামনে দাড়িয়ে আছে শ্রুতি। বুকটা ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে।এই প্রাক্তন প্রেমিকের কারণেই সে তার বাবা মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল এক অজানা গন্তব্য। যেখানে না ছিল বন্ধু, না ছিল বাবা মার মতো ভালোবাসার কেউ। চোখটা টলমল করছে তার।

কিছুক্ষণ আগের ঘটনা,

শ্রুতি জ্যাকের রুমে এসেছিল। উদ্দেশ্য ছিল জ্যাকের সাথে কথা বলবে। কিন্তু জ্যাককে রুমে দেখলো না। বাথরুমে পানির শব্দ পেয়ে বুঝতে পারলো জ্যাক বাথরুমে। শ্রুতি বসে জ্যাকের জন্য ওয়েট করতে লাগলো।হঠাৎ বাথরুমের দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে সে দিকে তাকালো। জ্যাক বের হচ্ছে। পড়নে একটা ট্রাউজার। কাধে তোয়ালেটা রাখা।উদাম শরীর। মাথা দিয়ে চুলের পানি পড়ে টপ টপ করে গায়ে বেয়ে নামছে৷ মুখে হালকা পানি লেগে আছে। কত স্নিগ্ধ দেখাচ্ছে!শ্রুতি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। যে দৃষ্টিতে আছে একরাশ নেশা,মাদকতা।এই মাদকতা কী জ্যাক নামক সুদর্শন পুরুষটার জন্য!

এদিকে জ্যাক শ্রুতির অবস্থা দেখে মিটিমিটি হাসলো।সে শ্রুতির অবস্হা বুঝতে পেরেছে। সে পা টিপে শ্রুতির কানের কাছে গিয়ে ঘোর কাটানোর জন্য জোরে ভাউ বলল।

শ্রুতির ঘোরের ভিতর ছিল। হঠাত্ এতো জোরে শব্দ শুনে তার বুকটা কেঁপে উঠল। সে ধপ করে নিচে পড়ে গেলো।
এদিকে জ্যাক শ্রুতিকে পড়ে যেতে দেখে হো হো হাসতে লাগলো৷ হাসতে হাসতে বিছানায় গড়াগড়ি খেতে লাগলো।
শ্রুতি বুকে থু থু দিয়ে উঠে দাড়ালো। তেমন ব্যথা পায়নি। কিন্তু জ্যাকের হাসি দেখে রাগে গা দপ দপ করছে। নিজের উপরও রাগ হচ্ছে, কেন সে ও রকম নিলজ্জের মতো জ্যাকের দিকে তাকিয়ে ছিলো। শ্রুতি দাতে দাঁত চেপে ক্রুর দৃষ্টিতে জ্যাকের দিকে তাকালো।
জ্যাক তখনও হাসতে ছিল। শ্রুতির ওরকম দৃষ্টি দেখে সে কোনো রকম উঠে বসলো। কিন্তু হাসি থামাতে পারছে না। মুখ চেপে হাসতে লাগলো।
শ্রুতি দুহাত কোমরে দিয়ে জ্যাকের সামনে দাড়ালো। জ্যাক শ্রুতির দিকে একবার তাকিয়ে আবার মুখ চেপে হাসতে লাগলো। জ্যাকের এই অবস্হা দেখে শ্রুতির রাগে কান দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে৷ শ্রুতি ক্রুদ্ধ কন্ঠে বললো,

–জ্যাক, তুমি আমার সাথে এই রকম করলে কেন? জানো আমি কতো ভয় পেয়েছি?

শ্রুতির কথা শুনে জ্যাকের বুঝতে পারলো শ্রুতি এখন রাগি মুডে আছে।এখন হাসলে আর আস্ত রাখবে না। জ্যাক কোনো মতে হাসি দমিয়ে রেখে লাজুক হয়ে বললো,

–তুমি আমার দিকে ওরকম তাকিয়ে ছিলে কেন? আমার বুঝি লজ্জা করে না?

জ্যাকের কথা শুনে শ্রুতি বড়বড় চোখ নিয়ে জ্যাকের দিকে তাকালো। এই ছেলেরও আবার লজ্জা আছে! পরক্ষণেই নিজের উপর রাগ হলো। কেন সে তাকিয়ে ছিলো?শ্রুতি বুঝলো এখন কথা বললে আরও কথা বাড়বে। তাই সে সেখান থেকে চলে যেতে উদ্যত হলো।কয়েকপা সামনে যেতেই জ্যাক এসে সামনে দাড়ালো। শ্রুতি বুকে হাত গুঁজে অন্যদিকে তাকিয়ে বললো,

–জ্যাক সামন থেকে সরো ।

জ্যাক শ্রুতি দিকে কয়েক কদম এগিয়ে এলো। শ্রুতি সেখানেই ঠাই হয়ে অন্যদিকে মুখ করে দাড়িয়ে রইল।
জ্যাক মৃদু হেসে শ্রুতির গাল দুটো টেনে বলল,

–আমার বউ বুঝি রাগ করেছে?

শ্রুতি নিজের গাল থেকে জ্যাক হাত সরিয়ে কটমট কন্ঠে বলল,

–আমি তোমার বউ না।

জ্যাক শব্দ করে হেসে দিল।

–অর্ধেক বউ তো হয়েই গেছো। বাকি অর্ধেক হতে আর কতক্ষণ?

শ্রুতি কিড়মিড় করে কাঠ কাঠ গলায় বলল,

–জ্যাক আমি কিন্তু মজা করার মুডে নেই।

জ্যাক মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল,

–সরিই শ্রুতি।

শ্রুতি কোনো জবাব না দিয়ে উল্টো দিকে মুখ করে ঘুড়ে রইল৷
জ্যাক আদুরে গলায় বলল,

–সরিই বলেছি তো। এই দেখো কান ধরেছি৷

শ্রুতি আড়চোখে জ্যাকের দিকে তাকালো৷ জ্যাক সত্যিই কান ধরেছে৷ শ্রুতি হো হো করে হেসে দিলো। শ্রুতি হাসি দেখে জ্যাক ও হাসলো৷

–বাহ,, আমার শ্রুতি হেসেছে।রাগ ভেঙ্গেছে তাহলে হুম?

হুট করে জ্যাক শ্রুতিকে কোলে তুলে নিল৷ শ্রুতির হাসি অটোম্যাটিকালি বন্ধ হয়ে গেলো৷ বিস্ময় নিয়ে বলল,

–জ্যাক কী করছো নামাও? দরজা খোলা কেউ এসে পড়বে।

জ্যাক কথার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালো না। সে শ্রুতি বিছানার দিকে নিয়ে গেলো৷

“সরিই, ভুল সময় এসে পরলাম৷ ”

ঠিক সেই সময় পিছন থেকে কেউ বলে উঠলো।
শ্রুতি সামনে তাকিয়ে অবাক৷ সাদাফ দাড়িয়ে আছে। জ্যাক শ্রুতিকে নিচে নামিয়ে দিলো৷

_______

শ্রুতি এইসব ভাবনার মাঝেই জ্যাক ফিসফিস করে বলল,

–Who is he?

শ্রুতি ঘোর কাটলো। এতক্ষণ সাদাফের দিকেই তাকিয়ে ছিল। জ্যাকের দিকে তাকালো। সে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। শ্রুতি মাথা নিচু করে বলল,

–সাদাফ, আমার চাচাতো ভাই।

–ওহহ,ওই সাদাফ যার কথা তুমি বলেছিলে?

শ্রুতির মনে পড়লো সিয়াটলে থাকা কালে জ্যাককে সাদাফের কথা বলেছিল। কী কারণে সে এখানে পড়তে এসেছে? জ্যাকের এখনও তা মনে আছে। কী হতে চলেছে তা ভেবেই শ্রুতির ভয় হচ্ছে! শ্রুতি মৃদু মাথা নাড়ালো৷
জ্যাক শ্রুতির কাঁধে হাত রেখে বলল,

–কারো ঘরে আসার সময় নক করে আসা উচিত।তা তুমি জানো না?

শ্রুতি জ্যাক দিকে তাকালো অবাক হয়ে৷ এরকম ব্যবহার করে ঠিক করছে না। শ্রুতি মৃদু কন্ঠে বলল,
–জ্যাক চুপ করো।

তখনি সাদাফ বলে উঠল,

–দরজা খোলা ছিল।আমি শ্রুতির রুমের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন এই রুম থেকে শ্রুতির আওয়াজ শুনতে পেলাম। তাই আসলাম।ডিস্টার্ব করার জন্য সরি।আমি চলে যাচ্ছি৷

বলেই সাদাফ চলে যেতে নিলে। জ্যাক বলে উঠল,

–শ্রুতির রুমে যাচ্ছিলে কেন? ওকে দিয়ে তোমার কাজ কী?

সাদাফ উল্টো দিকে ঘুরেই বলল,

–শ্রুতি চাচা এসেছে ওকে দেখতে তাই ডাকতে এসেছিলাম।

বলেই সে দপ দপ পা ফেলে চলে গেলো। সাদাফ চলে যেতেই শ্রুতি জ্যাকের দিকে তাকালো। জ্যাক ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে পকেটে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
শ্রুতি বলল,

–তুমি সাদাফ ভাইয়ার সাথে ওরকম ব্যবহার না করলেই পারতে জ্যাক।

জ্যাক রাগান্বিত হয়ে শ্রুতির দিকে তাকিয়ে বললো,

–কেন তোমার বুঝি কষ্ট হচ্ছে ওর জন্য? মায়া হচ্ছে এরকম ব্যবহার করেছি বলে?

শ্রুতি সোজাসাপ্টা উত্তর দিলো,

–ওর জন্য আমার মনে কোনো ফিলিংস নেই। আগে ছিলো এখন মরে গেছে।

জ্যাক শ্রুতির দিকে কয়েক কদম এগিয়ে এসে বলল,

–তাহলে ওর দিকে ওরকম তাকিয়ে ছিলে কেন?কান্না করছিলে কেন?

–অনেক ,,,

কথা কেটে গেলো কারো ডাক শুনে। নিচ থেকে সোহা ডাকছে। শ্রুতি জ্যাককে আসছি বলে নিচে চলে গেলো। জ্যাক ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়ল।

শ্রুতি নিচে গিয়ে দেখলো, চাচা এসেছে। শ্রুতি দৌড়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরল।

____________

মস্ত বড় একটা গোল চাঁদ তার সম্পূর্ণ আলোকরশ্মি ছড়িয়ে দিয়েছে ধরনীর বুকে। কোটি কোটি তারা বিশাল গগনের বুকে। শ্রুতি দু তলা বাড়ির ছাঁদে দাঁড়িয়ে চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করছে। এখন তারা তাদের গ্রামে বাড়ি এসেছে।শ্রুতির মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী এই খানেই সোহার বিয়ে হবে। ছেলের বাড়িও এর কাছাকাছি। তাই দ্বিমত করে নি।
হঠাৎ শ্রুতি নিজের পাশে কারো উপস্থিতি অনুভব করলো। শ্রুতি পাশে তাকালে তার চোখমুখ বিস্ময়ে ভরে গেলো। একটা শুকনো ঢোক গিলল। সাদাফ দাঁড়িয়ে আছে৷ এই ১০দিন সাদাফ তার সাথে কথা বলার জন্য অনেক ট্রাই করেছি। শ্রুতি তার সুযোগ দেয়নি। আর জ্যাক সে তো সাদাফকে শ্রুতির আশেপাশে দেখলেই শ্রুতির হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতো৷

শ্রুতি সাদাফের পাশ কাটিয়ে যেতে নিলে সাদাফ মৃদু কন্ঠে বলল,

–শ্রুতি!

শ্রুতি থমকে গেলো। তবুও কিছুই বললো না। সেখানেই ঠায় হয়ে দাড়িয়ে রইল৷ সাদাফ আবার বলে উঠল,

–শ্রুতি তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।

শ্রুতি চুপচাপ দাড়িয়েই রইল। কথার কোনো প্রতিউত্তর করল৷ সাদাফ আবার বললো,

–যা বললাম তা শুনেছিস। কথা আছে তোর সাথে৷

শ্রুতি একটু নড়েচড়ে উঠল। মুখ দিয়ে কথা বেরুচ্ছে না৷ কোনো মতে বললো,

–ব-লো।

সাদাফ বলতে শুরু করল,

–মালিহার সাথে আমার পরিচয় ভার্সিটি লাইফ থেকেই৷ ভার্সিটির প্রথম বর্ষে থাকতেই ওর সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল৷ এক ক্লাসে থাকার কারণে দুজনার মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। ও ছিল ওর বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে৷ আর আমিও ছিলাম ওর মতোই। একমাত্র ছেলে৷ দু জনই ইচ্ছা মতো টাকা উড়াতাম। ঘুরতাম, খেতাম। এইভাবে ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসায় রুপ নেই।তখন আমি দ্বিতীয় বর্ষে।তুই আমাকে ভালোবাসতিস তা আমি জানতাম। কিন্তু তোর জন্য আমার মনে কোনো অনুভূতি ছিলো না।আমার সবটা জুড়ে তখন ছিল শুধু মালিহা৷ তাই তুই আমাকে প্রপোজ করলে সব সময় রিজেক্ট করে দিতাম। সব সময় ইগনোর করতাম৷মালিহার কথা তবুও কখনো বলি নি তোকে একদিন মালিহা তোকে দেখে ফেলে আমাকে প্রপোজ করা অবস্হায়। ও অনেক অভিমান করেছিল। অতঃপর আমি ওকে সব ঘটনা খুলে বলি৷ ও আমাকে তোর সাথে ফ্লাট করার কথা বলে তাহলে নাকি তুই আমার জীবন থেকে সরে যাবি৷ আমি মালিহাকে এক কথায় মানা করে দি। তোর মতো একটা ছোট বাচ্চার সাথে এসব করার আমার কোনো ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু মালিহা মানতে চাচ্ছিল না। সে মনে করতো তুই আমাদের সম্পর্কের মাঝে বাধা তৈরি করছিস। অনেক বোঝানোর পরও বৃথা হলাম। ও একদিন বলেই ফেললো তোর সাথে ভালোবাসার খেলা না খেললে ও ব্রেক আপ করে ফেলবে। সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দিবে। ওর কথা শুনে আমার পুরো পৃথিবার ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল৷ তারপর আর কোনো উপায় না পেয়ে তোর সাথে ভালোবাসার নাটক করেছিলাম।তুই অনেক কষ্ট পেয়েছিস তা আমি জানি। কিন্তু আমার কিছুই করার ছিলো না। বিশ্বাস কর। কিন্তু সেই মালিহাই আমার সাথে প্রতারণা করলো, আমার ভালোবাসা নিয়ে খেললো।অন্যের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে, আমায় ছেড়ে চলে গেলো৷ বলেই সে মিনমিন করে কাঁদতে লাগলো।

শ্রুতি চুপচাপ সাদাফের কথা গুলো শুনেছে৷ কী বলবে ও? কী বলে শান্তনা দিবে? বুঝতে পারছে সাদাফ ভাইয়া মালিহা আপুকে কতো ভালোবাসতো। সে ভালোবাসার কারণে নিজের বোনের সাথেও নাটক করলো৷ কিন্তু সেই নষ্টা মেয়ে একজনের সাথে চলে গেছে৷
সাদাফ নিজের চোখের পানি টুকু মুছে শ্রুতির দিকে ঘুরে বলল,

–আমাকে যদি ক্ষমা করে দিস শ্রুতি। অনেক বড়ো অন্যায় করেছি তোর সাথে৷ আমার জন্য তোর বাবা -মাকে ছেড়ে ভিনদেশে চলে যেতে হয়েছে। জ্যাক তোর জন্য পার্ফেক্ট। ছেলেটা তোকে অনেক ভালোবাসে। ওকে বিয়ে করে সুখী থাক।

বলেই সে আর একমুহূর্ত অপেক্ষা না করে সেখান থেকে প্রস্হান করলো। শ্রুতি সেখানেই ঠায় হয়ে দাড়িয়ে রইল৷ আকাশের সেই গোল চাঁদটার দিকে তাকিয়ে বলল,

–কী এই ধরনী? কী তোমার এই লীলাখেলা আল্লাহ? সবাইকে সবার কর্মের ফল ভোগ করতে হয়।মুক্তি কেউ পায় না৷ একজনকে পীড়া দিলে সেই পীড়া এসে তাকেই পীড়া দেয়৷ তার সর্বস্ব কেড়ে নেয়।সত্যিই এই দুনিয়া বড় আজব। কেউ তোমার দেয়া ভাগ্যের খেলা থেকে বাঁচতে পারে না।

_________সমাপ্ত _____

[আরও দু একটা পর্ব দিতে পারতাম। শ্রুতি আর জ্যাকের বিয়ে দিয়ে। সামনে আমার পরীক্ষা। তাই তা নিয়ে বিজি আছি। এইটাই আমার প্রথম লেখা। নিজের মতো করে সাজিয়ে লিখেছি। বাহিরের একটা দেশ, তার সংস্কৃতি তুলে ধরা অনেক কঠিন। সেখানে না গেলে বা না থাকলে বোঝা যায় না। আমি একজন পিচ্চি লেখক হয়ে আমার সাধ্যমত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাই কষ্ট হলেও রিভিউ দিয়ে যাবেন। ভালো বা মন্দ দুটোই গ্রহণ করতে আমি প্রস্তুত। যারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত গল্পটা পড়েছেন তাদের অনেক অনেক ভালোবাসা এবং ধন্যবাদ। আমার পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন সবাই৷ আসসালামু আলাইকুম ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here