ভোরের শিশির পর্ব ৯

#ভোরের_শিশির
#সাহিরাহ_আনজুম_ইউশা
পার্ট:৯

রাধিকার ভয়ে প্রাণ যায় যায় অবস্হা।চাঁদের আলোতে পুরুষের অবয়বের মুখটা ভেসে ওঠল।রাধিকা দৌড়ে গিয়ে জরিয়ে ধরে।ফুঁপিয়ে কেঁদে বলে আপনি এসেছেন!জানেন আপনাকে কত মিস করেছি।

মাহিন রাধিকার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো আমিও তোমাকে খুব মিস করেছি।তুমি চলে আসার পর থেকে একটা রাতেও আমি ঘুমাতে পারেনি।আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।

রাধিকা আবেগে মাহিনকে জরিয়ে ধরলেও পরক্ষনে লজ্জায় ছেড়ে দিয়ে মাথা নত করে ফেলে।মাহিন রাধিকার কাঁধে হস্ত স্হাপন করে বললো আমি শুনে খুব খুশি হয়ছি,যে তুমিও আমাকে মিস করেছো।আমি ভেবেছি তোমার সাথে দেখাই করতে পারবো না।

আপনি এটা কিভাবে ভাবলেন?আমার খুব কষ্ট হয়েছে আপনাকে ছেড়ে আসতে।

তোমার কষ্ট দূর করতেই চলে আসলাম।

আপনি কি করে আমার বাড়ি চিনলেন?

শ্বশুড়বাড়ি জামাই চিনবে না তো অন্য কেউ চিনবে।খুব ক্লান্ত লাগছে।বাহিরে কি দাঁড় করিয়ে রাখবে?

ঘরে আম্মু আছে।যদি জেনে যায় আপনি এত রাতে আসছেন তাহলে খারাপ কিছু ভাববে।

তাহলে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকবো ?

আপনি একটু দাঁড়ান আমি বসার কিছু আনছি।

রাধিকা ঘর থেকে মাদুর নিয়ে আসে।একটা গাছের ছায়ার নিচে তা বিছিয়ে দেয়।যাতে তারা যে এখানে আছে কেউ না বুজতে পারে।মাহিন আর রাধিকা দুজনেই মাদুরের ওপর বসে।মাহিন কাধ থেকে ব্যাগ নামিয়ে তা থেকে বড় গিফ্ট বের করে।মৃদ হেসে বলে তোমার জন্য এনেছি।দেখ তো তোমার পছন্দ হয় কি না।রাধিকা গিফ্ট মুড়ানো কাগজটা খোলে দেখে অনেকগুলো চকলেট।এতগুলো চকলেট এক সাথে দেখে রাধিকার মুখ হাস্যজ্জল্য হয়ে যায়।আর একটু নিচে দেখে একটা ডায়েরি।মাহিন একগুচ্ছ গোলাপ রাধিকার হাতে দিয়ে বললো এই সবগুলো তোমার।আমার প্রতি রাগ , অভিমান,আমাকে দেখতে ইচ্ছা হলে এই ডায়েরিতে তা লেখবে।আমি একদিন সময় মত পড়ে নিবো।

রাধিকা উৎফুল্ল হয়ে বলে আগে কেনো বলেন নাই আপনি আমাকে ভালোবাসেন?

ভেবেছিলাম তুমি বড় হলে বলবো।আমি জানতাম না তার আগেই তুমি চলে আসবে।

মাহিন রাধিকার বিক্ষিপ্ত চুলগুলো কানে গুজে বললো দূর থেকে ভালোবাসাটা গাঢ় থাকে।আমি তোমাকে মনে করবো আর তুমি আমাকে।দুজন দুজনকে ভালোবাসবো , কিন্তু কেউ কাউকে দেখতে পাবো না।

দুই ধারের শস্যক্ষেত্রের মাঝখান দিয়ে সংকীর্ণ পথ চাঁদের আলোয় আলোকিত হয়ে আছে।চারপাশ থেকে ইরি ধানের ঘ্রান তীব্র ভাবে আসছে।ধানের মনমুগ্ধকর ঘ্রানে চারপাশ মহিত।হালকা বাতাসে ধানের গুচ্ছগুলো দুলছে।চাঁদের কিরণে তা স্বর্ণের মত চমকাচ্ছে।হাওরের বালিগুলোও চাঁদের কিরণে রৌপ্যের মত চিকচিক করছে।গাছে গাছে ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ যেনো আরও মুগ্ধকর।ছিন্নবিচ্ছিন্ন মেঘগুলো ভাসতে ভাসতে দূরে হারিয়ে যাচ্ছে।আড়ালিয়া গ্রামের নদীতে মাঝে স্টিমার যাওয়া শব্দ আসছে।নদীর ঢেউয়ের শব্দগুলো কলকল করছে।এই সব যেনো প্রকৃতির পক্ষ থেকে মাহিন আর রাধিকার জন্য উপহার।রাধিকার কোলে মাথা রেখে মাহিন শুয়ে আকাশ পানে তাকিয়ে আছে।রাধিকা আলতো করে মাহিনের চুলে হাত বুলাচ্ছে।মাহিন রাধিকার দিকে দৃষ্টি দিয়ে বলে শহরের আলোতে চাঁদটাকে আমার কাছে কৃত্রিম লাগে।প্রকৃতির মাঝে চাঁদ যে এত সুন্দর তা আজ না দেখলে জানতাম না।
পরিবেশটা আজ খুব সুন্দর।আকাশে চাঁদ,চারপাশে ধানের মন কেড়ে নেওয়ার ঘ্রান,বাতাসে তান্ডব,পানির ধ্বনি সব যেন আমার আর তোমার জন্য আয়োজন।

সত্যিই আজকের আবহাওয়াটা অন্য দিনের চেয়ে অন্য রকম।

মাহিন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত তিনটায় বেজে চুঁই চুঁই।রাধিকার হাতে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে ভোর হয়ে যাচ্ছে , বাসায় যাব না?আজ তাহলে আসি।

রাধিকা উদ্ভ্রান্তের ন্যায় বলে ওঠে প্লিজ আর একটু থাকেন।ফজরের আজান দিলে যান।

পাগলি , পাগলামি করছো কেনো।এখন গিয়ে ঘুমিয়ে পর।এখান থেকে আমার অফিশে যেতে হবে তো।

আজ অফিশে না যান।আমার জন্য আর একটু থাকেন।

পাগলামি কেনো করছো?আমি পাগলামি শুরু করলে আমায় আটকাতে পারবে?

এতকিছু বুজি না আপনি আরো পরে যাবে এটাই কথা।

মাহিন শুয়া থেকে ওঠে রাধিকার কপালে উষ্ণ চুমু দিয়ে বলে পাগলি একটা।আজ যে আমায় যেতেই হবে।বেশি পাগলামি করলে কিন্তু আমার সাথে নিয়ে যাবো।

রাধিকা মিইয়ে বলে আবার কখন আসবেন?
কাল আবার আসবেন তো?

এভাবে প্রতিদিন আসলে তোমার মা সন্দেহ করবে।
তার চেয়ে বরং এক মাস পর পর আসবো।

না না ,এক সাপ্তাহ পরে আসবেন।

মাহিন রাধিকার পাগলামি দেখে মৃদ হেসে বলে ওকে আসবো।ডায়েরিতে আমার নাম্বার আছে সুযোগ হলে ফোন দিবে।

মাহিন দাঁড়িয়ে বলে আসি তাহলে।নৌকা পাই কি না আল্লাহ জানে।আসার সময় মাঝি পাঁচ টাকার জায়গায় দুইশত টাকা নিয়েছে।

নিবেই তো,রাতে বেশি নেয়।

তবু এত টাকা কেউ নেয় না।

মাহিন কথাটা বলে তাকিয়ে দেখে রাধিকার চোখে জল।রাধিকার চোখের জল মুছে বলে পাগলি আমি তো আবার আসবো।
মাহিন আলতো করে ঠোঁটে পরশ রাধিকার কপালে লাগিয়ে পা বাড়ালো।

আবিব অগ্নিবর্ণচুক্ষে তমার হাত ধরে বললো রাধিকাকে কোথায় পাঠায়ছো?আমি ভালো ভাবেই উপলদ্ধি করতে পারছি , রাধিকা সরানো তোমার আইডিয়া।বল আমার রাধিকা কোথায়??

তমা জানালার দিকে থাকিয়ে ছিলো।সে বাস দিয়ে গুলশানে যাচ্ছে।আবিবের কন্ঠস্বর পেয়ে তাকিয়ে দেখে সিটের সাথে হেলান দিয়ে সে দাঁড়িয়ে আছে।তমা তাকে দেখে ধৈর্য সংবরণ করে না পেরে দাঁতে দাঁত চেপে বললো আমার বয়ে গেছে তাকে সরাতে।

তোমার সাথে ওরে দেখার পর আজ পর্যন্ত একবারও তাকে দেখেনি।তুমিই কিছু একটা করেছো।

তর রাধিকা তার গ্রামের বাড়ি চলে গেছে।আমি তো তকে ভালোবাসিই না যার জন্য জেলাসি হয়ে রাধিকাকে গোপন করবো।

আবিব মাথা ঝুঁকিয়ে বললো আমি আজ না হয় কালের ভিতরে রাধিকাকে বিয়ে করবো।

তমা খিপ্ত হয়ে বললো যা ইচ্ছা তা কর।

আবিব দৃঢ় সংকল্প করে আজকের ভিতরে রাধিকার গ্রামের বাড়ির ঠিকানা বের করে বিয়ে প্রস্তাব দিবে।সে রাধিকাকে চাই যে কোনো মূল্য সে তাকে চাই।

ইমানের বউয়ের কাছে রাধিকা এসে বললো ভাবি কেমন আছেন?

মেয়েটি লাজুকতা নিয়ে বললো হু ভালো আছি,তুমি কেমন আছো?

ভালো,ভাবি আপনার বাড়ি কই?

ইটনা,তুমি কি রাবেয়া আন্টির মেয়ে?

জি,

তোমার কথা মায়ের মুখে খুব শুনেছি।আজ দেখলাম।

আচ্ছা ভাবি তাহলে আসি।

হু আসো,আবার আসিও।

রাধিকা মাথা নেড়ে হেমতির সাথে চলে আসে।হেমতিকে নিয়ে তার রুমে ঢুকে বলে হেমতি তুই ছোট থেকেই আমার বান্ধবি,আর চাচাতো বোন।তকে আজ একটা কথা বলবো।

হেমতি উৎসাহের সাথে বললো বল কি বলবি।
রাধিকা বড় করে নিঃশ্বাস নিয়ে মাহিনের সাথে তার কি চলছে সব বললো।তা শুনে হেমতি হেসে বললো তুইও অবশেষে কাউকে ভালোবেসে ফেলেছিস।বাহ , দুলাভাইকে দেখতে হচ্ছে।

তা দেখবি তার আগে আমার কথা শুন।তুই আজ থেকে আমার সাথে থাকবি।আর তর ফোনটা রাতে দিস একটু।

হেমতি মৃদ হেসে বললো আমার ফোন দিয়ে প্রেম করবি কেনো?দুলাভাইকে বলে ফোন কিন।

তুই আসলেই গাধী।আমার কাছে ফোন থাকলে একদিন না একদিন আম্মা জেনে যাবে।ভেবেছিস তখন কি হবে।

তা ঠিক,কিন্তু আমি ফোন দিলে আমাকে কি দিবি?

রাধিকা হেমতির গলা ধরে বলে তুই আমার লক্ষি বোন।আমার আর ওর বিয়ে হলে বলবো ওর বন্ধুর সাথে তর বিয়েটা দিতে।

হেমতি দুষ্ট হাসি ঠোঁটের কোণে রেখে বললো মনে থাকে যেনো।

আবিব বহু কষ্টে রাধিকার ঠিকানা পায়।খুশি মনে তার মা শাকিরার কাছে গিয়ে বলে মা তমা তো চলেই গেছে ,তাই বলছি কি আমি যে মেয়েটাকে ভালোবাসি তাকে বিয়ে করতে চাই।

শাকিরা রাগান্বিত হয়ে বলে তমাকেও তো ভালোবাসতে , তার পরেও মেয়েটাকে কষ্ট দিয়েছো।
এখন এই মেয়েটাকেও কষ্ট দিতে চাও।

আবিবের মামা সাজ্জাত শাকিরার হাত ধরে বললো তোমার ছেলে তমাকে ভালোবাসতো না।মেয়েটাই তোমার ছেলের পিছু ছাড়তো না।আর এই মেয়েটাকে আবিব খুব ভালোবাসে।

শাকিরা ধমক দিয়ে বলে যাই বলিস তুই আমি এখন রাজি না।আবিব যদি একা বিয়ে করতে পারে তাহলে করুক।

সাজ্জাত ঠোঁট ভিজিয়ে বললো তমা মেয়েটা ভালো না।আমি নিজের চোখে দেখেছি সে অনেক ছেলের সাথে ওঠা বসা করেছে।তাই তো ভাগ্নে তাকে ডিফোর্স দিতে চায়।তাই না ভাগ্নে।

আবিব তার মামার উৎপন্নমতিত্বে খুশি হয়ে বলে হুম মামা।এটা মাকে আমি অনেক আগেই বলতে চাচ্ছিলাম কিন্তু মা তো বলার সুযোগেই দিল না।

শাকিরা বেগম সরল হওয়াই মামু ভাগ্নের কথায় প্রভাবান্তিত হয়ে পড়ে।তিনি মিইয়ে বলেন আচ্ছা কাল সকালে যাবো।

সাজ্জাত হেসে বলে বিয়ের যাবতীয় সব জিনিস নিয়ে যাব।মেয়ে তোমার পছন্দ হবেই।তাই দেখেই বিয়ে করিয়ে নিয়ে আসবো।

আচ্ছা সব বুজলাম,কিন্তু মেয়ের বাড়ি কই?

রুহির মায়ের চাচির বাড়ি যেখানে সেখানেই মেয়েটির বাড়ি।

সেটা তো গ্রামে।

হুম,কিন্তু মেয়েটি অনেক সুন্দর।দেখলে তুমি পছন্দ না করে পারবে না।

শাকিরা প্রত্যুত্তরে কিছু বলেনি।সাজ্জাত রুহির মা শৈলতাকে ফোনে সব বলে বললো রাধিকার মাকে যেনো তাদের আসার খবরটা বলে।
সাজ্জাত ফোনটা রেখে আবিবকে নিয়ে মার্কেটে চলে গেলো।বিয়ের শপিং করতে হবে বলে কথা।আবিব রাধিকাকে নিশ্চিত পাবে ভেবে মনে মনে হাসতে লাগলো।সে ভাবছে রাধিকার লজ্জামাখা দৃষ্টি,মিইয়ে কথা বলা।সে ভোরের অপেক্ষায় করতে লাগলো।কখন ভোর হবে আর তার পদ্মা পরিকে পাবে।তার আনন্দ দেখে কে।

হেমতির কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে রাধিকা মাহিনকে ফোন দেয়।মাহিন ফোনটা ধরে রাধিকার কন্ঠ পেয়ে কেটে দিয়ে পুনরায় ফোন দেয়।মৃদ হেসে বলে আমার পুষ্প পরি কি এতক্ষনে তার উম্মাদ প্রেমিকের কথা মনে হলো।

জি না,আপনাকে ফোন দেওয়ার জন্য রাতের অপেক্ষায় ছিলাম।

তাই বুজি,খুব ইচ্ছা করে কি জানো?

কি , না বললে জানবো কি করে।

সমুদ্র বিলাস করতে।তুমি পড়ন্ত বিকালে নীল শাড়ি পড়বে।পায়ে গাঢ় লাল টকটকে আলতা পড়বে।চুলে বেলি ফুলের গাজরা।চোখে কালো মেঘের মত কুচকুচে কাজল।ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক।তখন আমি তোমার হাত ধরে সমুদ্রের বালির ওপর হাটবো।সমুদ্রের দুষ্ট ঢেউগুলো তোমার পা ছুঁয়ে দিবে।তখনিই আকাশ থেকে ঝিরঝির করে বৃষ্টি হবে।তোমার ঠোঁটগুলো শীতল বাতাসের কারণে ঠান্ডায় কেঁপে ওঠবে।আমি তখন,,,

প্লিজ তাম,আর বলতে হবে না।যখন সমুদ্র বিলাস করবো তখন বাকিটা করিও।

দিলে তো আমার ভাবনায় জল ঢেলে।কত সুন্দর একটা ভাবনা ভেবেছি।

এই আপনি অফিশ থেকে আসছেন, ঘুমাবেন না।গত রাতে তো ঘুমান নি আজ ঘুমান।

আর একটু কথা বলি।

আমার খুব ঘুম পাচ্ছে রাখি।

মাহিন দুঃখিত মনে ফোনটা রাখলো।তার ইচ্ছা ছিলো আজ সারা রাত রাধিকার সাথে কথা বলবে।কিন্তু এই ঘুম সব নষ্ট করে দিলো।তার কাছে এই মূহুর্তে ঘুমকে ভিলেন লাগছে।

সকালে রাধিকা ঘুম থেকে ওঠে দেখে তার বাড়ি রান্নার আয়োজন হচ্ছে।তার মাকে প্রশ্ন করলে রাবেয়া হেসে বলে তকে দেখতে আসছে।পছন্দ হলে আজকেই বিয়ে দিয়ে দিবো।

রাধিকার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।মাহিনের সাথে কি তার মিলন হবে না?কিন্তু সে মাহিন ছাড়া কারো বউ হতে চাই না।

ঘন্টা দেরেকের মাঝে বর পক্ষের লোক চলে আসে।আবিবকে দেখে রাধিকা বিষণ অবাক হয়।ছেলেটা তার পিছু পিছু এখানে এসে পড়েছে।শাকিরার রাধিকাকে পছন্দ হওয়াই ঠিক করে আজ রাত বারোটায় ছেলে বউকে নিয়ে শহরে চলে যাবে।রাধিকার চোখে অন্ধকার ভাসছে।সে এখন কি করবে।মাহিনকে কয়েক বার ফোন দিয়ে দেখে বন্ধ।অবশেষে কি আবিবের সাথে তার বিয়েটা হয়ে যাবে।তার মায়ের খুশি দেখে সে নাও করতে পারছে না।আর সে ছাড়া তার মায়ের কেউ নেয়।রাধিকা কিছুই করে পারছে না।অগত্য হলুদের শাড়িটা তার পড়তে হলো।সে আল্লাহর ফায়সালাকে মেনে নিলো।

চলবে,,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here