মন দিয়েছে ধরা পর্ব -০২

#মন_দিয়েছে_ধরা
#পর্বঃ২
লেখনীতে#পুষ্পিতা_প্রিমা

শব্দ করে চেয়ার টেনে বসতেই সবার চোখ গেল আদির দিকে। ইশা খাবার বেড়ে দিতে শুরু করলো। আলিয়া চৌধুরী একপলক ছেলে আরেকপলক স্বামীর দিকে তাকালেন। ছেলের সাথে একসাথে খাবে বলে বসেছিলেন উনারা দু’জন। অনেকগুলো দিন একসাথে বসে খাওয়া হয় না। আফি খেয়েদেয়ে আগেভাগে ঘুমিয়ে পড়েছে। রাইনাও রেহানকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে। ইশা রাইনাকেও খেয়ে শুয়ে পড়তে বলেছিল।
শ্বশুর শ্বাশুড়ির সামনে ইশা খেতে বসে না। তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক এখনো ঠিক হয়নি। না এই বাড়ির ভেতরকার মানুষগুলোর সাথে না খান বাড়ির সাথে। কেমন অঘোষিত এক শান্তিযুক্ত চলছে প্রতিনিয়ত।

ইশা ভাত বেড়ে দিল তিনজনকে। কারো মুখে কোনো কথা নেই। ছেলের দিকে চোখা দৃষ্টিতে মাঝেমাঝেই তাকাচ্ছেন তারা। ছেলের এমন মনখারাপের কারণ, সন্তানকে কাছে না পাওয়ার কষ্ট যেন তাদের অতীতের করা ভুলগুলো তাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বারংবার। এ সহ্য করার মতো নয়। পরের মেয়ের সাথে এমন অন্যায় করার ফলগুলো আজ নিজের ছেলে ভোগ করছে। লজ্জায়, অনুতাপ, সংকোচে তারা ছেলের চোখাচোখি তাকাতে পারেনা আজকাল।

তুমি শুকনো কেন ভাত খাচ্ছ আদি? এখান থেকে..

আদি থামিয়ে দিয়ে বলল

থাক। আমার কি খেতে ভালো লাগবে সেটা আমার জানা আছে। আর উনাদের আমার জন্য জেগে থাকতে কে বলেছিল মিষ্টি?

ইশা গ্লাসে পানি ঢালতে লাগলো। কিছু বলল না।

আজিজ চৌধুরী বললেন

আমরা কি করলে তুমি খুশি হবে, ভালো থাকবে সেটা বলো। চেষ্টা করব সেটা..

থাক। জুতো মেরে গরু দান আমার চাই না।

কয়েক লোকমা খেয়ে উঠে গেল আদি। আলিয়া বেগম কাতর কন্ঠে বলল

এত কম খেলে কেন? এটুকু খেয়ে তুমি…

আদি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো। আলিয়া তাতেই চুপ হয়ে গেল।

কি করলে আমি খুশি হবো জানতে চাইছিলে না?তাহলে শোনো। আমার মেয়েকে এনে দাও। পরীকে এক্ষুনি আমার কাছে এনে দাও চিরতরের জন্য।আছে তোমাদের সেই ক্ষমতা? আছে?

গর্জে জিজ্ঞেস করতেই কেঁপে উঠলো ইশা। আলিয়া বেগমও আঁতকে উঠলো।

আপনি নাকি টাকার জোরে সবকিছু পারেন মিস্টার আজিজ চৌধুরী। পয়সার জোরে ওকে আমার কাছে এনে দেখান তো।

আজিজ চৌধুরী হতভম্ব চোখে তাকিয়ে থাকলেন। ইশা বলল

আপনি চলুন। আর কথা বাড়াবেন না।

ইশার হাত থেকে নিজেকে হ্যাঁচকা টান দিয়ে ছাড়িয়ে নিল আদি। আজিজ চৌধুরীকে বলল

আমার সামনে দরদীপনা দেখাতে আসবেন না এরপর থেকে। এত নিকৃষ্ট একজন মানুষ আমার বাবা হতে পারে না। আরেহ আমি আমার নিজের মেয়েকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারিনা সেখানে আপনি আপনার নিজের সন্তানের সাথে এতবড় অন্যায় কি করে করতে পারলেন? উত্তর আছে কোনো?

রাইনা ঘুমঘুম চোখে ছুটে এল। বলল

কি হয়েছে আবার? আদি কি হয়েছে?

আদি ক্ষিপ্ত চোখে তাকিয়ে বলল

আমার সন্তানকে কেড়ে নিয়ে এখন আমার সাথে দরদ দেখাতে এসেছে। আমার জন্য রাত জাগছে। আমার নিজের সন্তান এখন আমার কাছে দু’দিনের জন্য বেড়াতে আসে। শুধু এদের জন্য। স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক মানুষ।

রাইনা আর কিছু বলতে পারলো না। ইশার গাল বেয়ে ততক্ষণে জল গড়িয়েছে। সে হাঁটতে হাঁটতে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল। রাতে তার খাওয়া হয়নি আর।

ঘরে এসে দেখলো আদি কপালের উপর হাত রেখে চোখ বুঁজে শুয়ে আছে। সে ধীরপায়ে হেঁটে বিছানায় বসলো। লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়লো।

আদি কিছুক্ষণ পর শুনতে পেল ইশা কাঁদছে। ইশাকে তার দিকে ফিরিয়ে আনলো। গালে হাত রেখে বলল

সরি মিষ্টি। আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমার আজকে কি হচ্ছে জানিনা। সারাদিন পরীর কথা মনে পড়েছে।

ইশা ফুঁপিয়ে তার বুকে মুখ গুঁজে কেঁদে উঠলো। বলল ‘পরীকে আমি আপনার কাছে নিয়ে আসবো।

___________

ধুর মরার এলার্জি। কোনোকিছু খেয়ে শান্তি নাই।

নীরা বকতে বলতে হাতে ফুঁ দিচ্ছিলো।

মুনা বলল,

এভাবে হাতটা ছিঁড়ে ফেলেছিস? রিপ তোকে কাল বকেনি?

নীরা দু’পাশে মাথা নাড়ালো। মুনা আর কিছু বলল না। তালহা বেগম এসে বললেন

ছোট বউ তোমার নাকি চিংড়ি মাছে এলার্জি আছে? সেটা আগে বলবানা? কাল রিপ তো জানতে চাইছিলো। দেখি হাত দেখি।

নীরা হাত দেখাতে চাইলো না। তালহা বেগম নিজেই দেখে নিলেন। দেখে চমকে উঠে বললেন

হায় আল্লাহ! দেখো কি অবস্থা! ঘরে গিয়ে রেডি হও। ডাক্তারের কাছে যাবে।

নীরা চট করে প্রশ্ন করলো।

কার সাথে?

কার সাথে আবার? রিপের সাথে। সামনের সপ্তাহে তুমি বাপের বাড়ি গেলেনউনারা এইসব দেখলে কি বলবে? হায় হায় চুলকে ছিঁড়ে ফেলেছ দেখছি।

নীরা বলল

ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। একটা মলম আর দুটো ট্যাবলেট নিয়ে আসলে হবে। আমার কাছে প্রেসক্রিপশন আছে।

রিপকে বলো গিয়ে এসব।

নীরা দাঁড়িয়ে থাকলো। গেল না। মুনার পেছনে গিয়ে বলল

বড় আপা তুমি একটু গিয়ে বলবে?

কেন ওতো উপরে আছে। বলে আয়। সমস্যা কি?

কোনো সমস্যা নেই। এমনি। উনার সামনে কথা বলতে গেলে আমি ভুল করে ফেলি।

মুনা হেসে ফেললো। বলল

পাগল মেয়ে। আচ্ছা আমি বলে আসি।

মুনা চলেই যাচ্ছিলো। নীরা ডাক দিল

আপা একটা কথা জিজ্ঞেস করি?

কর।

তোমার ভাই কি আমার নামে কিছু বলেছে?

হ্যা বলেছে তো। বলছে মেয়েটা ভারী মিথ্যেবাদী।

নীরা মন খারাপ করে ফেললো। মুনা হেসে উঠে চলে গেল।

_______

বোরকা পড়ে নীচে চলে এল নীরা। এডভোকেট সাহেব তার প্রেসক্রিপশনকে টুটকো বলেছে। বলেছে ডাক্তারের কাছে যেতেই হবে। নীরা বাধ্য হয়ে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে। পরক্ষণে খুশিও লাগছে। একসাথে কোথাও বেরুচ্ছে এই প্রথম। গাড়িতে পাশাপাশি বসবে। উনি ডাক্তারকে বলবেন এ আমার স্ত্রী, এলার্জি হয়েছে, আমি কাল সারারাত ঘুমাতে পারিনি চিন্তায়। ভাবতেই নীরার লজ্জা লজ্জা লাগলো।
কিন্তু গাড়িতে পাশাপাশি বসে গেলেও ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর ঘটনা ঘটলো উল্টো। নীরা যে উনার স্ত্রী সেটা উনি ঘটা করে বললেন না। চুপ করেই ছিলেন। বরং ডাক্তার নীরাকেই যতসব প্রশ্ন করছিলো।
শুধু চেম্বার থেকে বের হওয়ার সময় জিজ্ঞেস করেছিল চিংড়ি ছাড়া আর কি কি খেতে পারবে না?

কচু।

রিপ বলে উঠলো।

জ্বি?

মানে কচু খেতে পারবে না। এই ধরুন ওলকচু, পানি কচু, কচুশাক, কচুর লতি মানে যত জাতীয় কচু আছে সব। আর ছাগলের মাংস।

ব্যস এতটুকু। তারপর ঔষধ কিনে রাস্তায় নেমে এল তারা। নীরা রিপের পিছুপিছু কাছাকাছি হাঁটছে। ওর হাতটা ধরে হাঁটলে কি হয়? বউ হারিয়ে যাবে এ চিন্তা কি নেই এই উকিলের?

নীরা রাস্তার ওপাশেই আইসক্রিমওয়াল দেখতে পেল। ঘন্টি বাজাচ্ছে। সে বলে উঠলো

ওইতো আইসক্রিম!

রিপ তার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো। নীরা দুহাত জড়ো করে খুশিমনে আইসক্রিম ওয়ালার দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর বলতে শুরু করলো

একবার কি হয়েছে জানেন? বাড়ির নীচে একটা আইসক্রিম ওয়ালা যাচ্ছিলো। তখন সন্ধ্যেবেলা। আমি বাবাকে নিয়ে আইসক্রিম খেতে বের হয়ে গেলাম। আমি দু হাতে দুটো আইসক্রিম নিয়ে খেয়েছি। বাবা আমার জন্য সবসময় দুটো আইসক্রিম কিনতো। ওইদিনও কিনলো। একটা কমলা অন্যটা সবুজ। ওই আইসক্রিমগুলো খেতে খেতে আমার ঠোঁটগুলো কমলা আর সবুজ হয়ে যেত । হি হি হি।

ওর উদ্ভট হাসিটা অদ্ভুত চোখে চেয়ে থাকলো রিপ।
এই মেয়ে নাকি বিএ পাস? এখন তো ভারী সন্দেহ হচ্ছে।

রিপের দিকে চোখ যেতেই বড়সড় একটা চমক খেল নীরা। রিপের সরু দৃষ্টি দেখেই লজ্জায় তার কান গরম হয়ে উঠলো। ছিঃ ছিঃ কি কি বলে ফেললো কে জানে?

সে চোখ সরিয়ে নত করে ফেললো। রিপ একটা অটো ডেকে নীরাকে বসার জন্য ইশারা করলো। নীরা মুখভার করে বসলো।
রিপ রাস্তা পার হয়ে দু হাতে দুটো আইসক্রিম নিয়ে অটোতে নীরার পাশে বসলো। নীরার দিকে বাড়িয়ে দিতেই নীরা চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আইসক্রিম দুটো নিল।

দুটো একসাথে খেতে খেতে মনে হলো তারপাশের জন কি আইসক্রিম খায় না? সে একহাতের আইসক্রিম বাড়িয়ে দিল। রিপ তাকাতেই মাথা নেড়ে আইসক্রিম নিতে বললো। রিপ আইসক্রিমটার দিকে ভালো করে তাকালো। নীরা আঁতকে উঠলো। হায় আল্লাহ সেটা তো সে খেয়েছে একটুখানি। সাথে সাথে অন্য হাতের আইসক্রিমটা বাড়িয়ে দিল। রিপ সেটাও দেখলো ভালো করে। নীরা পুনরায় আঁতকে উঠে আইসক্রিম সরিয়ে নিয়ে দুটোই গালের ভেতর রেখে রিপের দিকে সরল চোখে তাকালো। রিপ হাসি আটকাতে মুখটা পাশে ফিরিয়ে নিল।

__________________

প্লাস্টিকের লম্বা লাল রঙের মোড়াটি টানতে টানতে হাঁপিয়ে উঠলো পরী। রিপ তাকে খুঁজতে খুঁজতে ইশার ঘরটার সামনে এসে দাঁড়ালো। ঘরটা এখন ফাঁকা থাকে। ইশা বেড়াতে এলে থাকে ঘরটায়।
সে দেখতে পেল পরী মোড়ার উপর উঠার চেষ্টা করছে। সে ডাক দিল

মা কি করছো?

পরী ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো। একপাশে গলা কাত করে হাসলো রিপের সাথে। রিপও হাসলো। তার সামনে গিয়ে হাঁটুমুড়ে বসে বললো

কি চায় আপনার?

পরী একটা আঙুল তুলে দেখালো দেয়ালে। দেয়ালে টাঙানো ইশার পুরোনো একটা ছবি। তখন সে হাই স্কুলের ছাত্রী। হ্যাংলা পাতলা, সরু মুখ, গায়ের রঙ শ্যামলা । এখনকার ইশার সাথে মিল নেই তেমন। তারপরও ছবিতে মাকে চিনতে দেরী হলো না পরীর রিপকে এটাই বেশি অবাক করেছে। সে পরীকে কোলে তুলে নিল। ছবিটা নিয়ে পরীকে দিতেই পরী ছবিটা দু’হাতে ধরে খিকখিক করে হেসে উঠে ডেকে উঠলো।

আমমা।

আম্মাকে মনে পড়ে?

পরী রিপের মুখের দিকে তাকালো। হাত ঘুরাতে ঘুরাতে বলল

আমমা নাই? আববা নাই?

আছে।

পরীকে নিয়ে সে ঘরে চলে গেল। নিজের টেবিল গুছিয়ে রাখতে রাখতে পরীকে বলল

মা কি খেয়েছে?

পরী বিছানায় শুয়ে ছবিটা বুকের নীচে রেখে ছবিতে নাক দিয়ে দুম দুম মেরে বলল

আমমা নাই?

রিপ এগিয়ে এল। তার পাশে বসে কোলে তুলে নিয়ে গালে আদর করে বলল

আম্মার কাছে যাবে?

পরী ডাগরডোগর চোখে চেয়ে থাকলো। রিপ বুঝতে পারে এই ভাষা। জন্মদাত্রী মাকে আনমনে হলেও মনে পড়ে তার। রক্তের টান বলে কথা!
সে পরীকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে ভাবে মেয়েকে ছাড়া ইশুর দিনগুলি কেমন কাটছে কে জানে? আদিও কি স্বাভাবিক হয়েছে এখন? নাকি মেয়ের বিরহে এখনো পাগলামি করছে। তাদের বন্ধুত্বটা এখন আগের মতো নেই যে চাইলেই ফোন করা যাবে। আদির সাথে সেবার তার দেখা হয়েছিল হসপিটালের সামনে। আদি কথা বলতে চায়নি। রিপ নিজ থেকে কথা বলতে গেলে বলেছে সে বন্ধু রিপকে চেনে, স্বনামধন্য এডভোকেট রিপ রেজওয়ান খানকে নয়। একজন বাবার কষ্ট বুঝার ক্ষমতা বন্ধু রিপের থাকলেও এমন এডভোকেটদের থাকেনা।

রিপ ভাবলো পরীকে নিয়ে আদির হসপিটালে একবার যাবে। এভাবে চলতে থাকলে সম্পর্কের অবনতি ছাড়া উন্নতি হবেনা কভু।

সে খেয়াল করলো পরী ঘুমিয়ে পড়েছে তার বুকে। সে বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে চলে গেল মুনার কাছে। মুনা তাকে ঘুমিয়ে পড়তে দেখে বলল

এমা। কিছু না খেয়ে ঘুমিয়ে গেল!

ঘুম থেকে উঠলে খাইয়ে দেবে।

তখন খেতে চায় না। কান্না করে।

আচ্ছা আমাকে বলো তখন।

মুনা ওকে কোলে নিয়ে আদর আদর করতে করতে ঘরের দিকে চলে গেল। রিপ ফোঁস করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। এই একটা মেয়ে দুই বাড়ির প্রাণ হয়ে উঠেছে। তাকে ছাড়া একূলওকূল কেউ ভালো থাকবে না।

—————–

বিছানার চাদর ঠিক করছিলো নীরা। হঠাৎ ফোন বেজে উঠায় সে ফোনটা তুলতেই দেখলো বাবা ফোন করেছে। ফোন রিসিভ করে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলো

কেমন আছ বাবা?

আলহামদুলিল্লাহ। আমার নীরা মা কেমন আছে?

আমিও ভালো আছি বাবা।

আমি তোকে খুব মিস করছি রে মা।

নীরা মন খারাপ হয়ে এল। সে বলল

আমিও তোমাকে মাকে সবাইকে খুব মিস করছি বাবা।

জামাই কেমন আছে? তোর শ্বশুরবাড়ির সবাই ভালো আছে? পরী ভালো আছে?

সবাই খুব ভালো আছে বাবা। উনিও।

নীরা মা আমায় একটা কথা বল।

কিহ?

রাজপুত্রের কাছে তুই ভালো আছিস তো?

নীরা ছোট্ট করে জবাব দিল।

হ্যা।

তোর যত্ন করে তো?

হ্যা।

তোর খেয়াল রাখে?

হ্যা।

তাহলে তুই কাঁদছিস কেন?

নীরা নাক টেনে জবাব দিল।

শুধু কথা বলে না বাবা।

রিপ ঘরে চলে আসায় নীরা চট করে ফোনটা কেটে দিয়ে উল্টো করে দাঁড়ালো যাতে রিপ তার মুখ দেখতে না পায়। রিপ টুকিটাকি আওয়াজ করে কি যেন জরুরী জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে গেল। তার যাওয়ার পরপরই নীরা ফুঁপিয়ে উঠে বিছানায় এসে বসলো। বসতেই হাতে ছোঁয়া লাগলো কিছু একটার । একটা ছবির ফ্রেম। উল্টো হয়ে আছে। সে ছবিটা উল্টোতেই ঠোঁটভেঙে কেঁদে উঠলো পুনরায়।

রিপ ঘরে ঢুকতেই তাকে কাঁদতে দেখতে পেল। নীরা চটজলদি ছবির ফ্রেমটা পেছনে লুকিয়ে ফেললো। ভুরু কুঁচকে তাকালো রিপ।

চলবে…

ইয়ে মানে মানে বড় বড় কমেন্ট চাইইইই, নইলে রেগুলার দেব নাহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here