গল্প:-#মন_বুঝা_দায় পর্ব:-(০৭)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
আমার স্ত্রী আমার মন কোনো দিন বুঝেনি আর আমি তো তার থেকে দুই লাইন এগিয়ে। এতিহার মনে কখন কি আসে তা বুঝা দায় হয়ে যাচ্ছে। তবে এতিহাকে থাপ্পড়টা দেওয়া একদম ঠিক হইছে।
এতিহাকে থাপ্পড় দিয়ে জুঁইকে সাথে করে নিয়ে বেরিয়ে আসছি। এতিহা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
জুঁই:- এই মেয়েটার সাথে তোমার বিয়ে হইছিলো?
আল:- হ্যা আর এখনো বউ আছে তবে কিছু দিনের মধ্যে ডির্ভোস হয়ে যাবে। আচ্ছা জুঁই তুমি চলে যাও।
জুঁই:- আমি একা একা যাবো? তুমি আমাকে বাড়িতে দিয়ে এসো।
আল:- এতদিন তো তুমি একা একা গেছো এখন গেলে সমস্যা কোথায়?
জুঁই:- প্লিজ আমাকে বাড়িতে নিয়ে যাও।
আল:- দেখো বাহানা তখনি চেয়ে দেখে এতিহা বাহিরে এসেছে। আল সাথে সাথে একটা রিকশা ডাক দিছে। রিকশা আসার আগেই এতিহা এসে হাজির। আল কিছু বলছে না তখন রিকশা এসেছে।
এতিহা:- আল তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে। আজকে অনেক কষ্ট করে সময় বের করেছি প্লিজ আমাকে একটু সময় দাও। আল কিছু বলতে যাবে তার আগেই জুঁই বলে।
জুঁই:- আচ্ছা তুমি কেমন মেয়ে নিজের স্বামীর সাথে এমন ব্যবহার করো। নিজের স্বামীকে কেউ ক্লার টেনে ধরে?
এতিহা:- দেখুন আমাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে আপনি কোনো কথা বলবেন না। আর যদি বলেন তাহলে আপনাকে সম্মান করতেছিনা।
আল:- আচ্ছা এতিহা কেনো আবার এমনটা করছো? তুমি তো আমাকে ভালোবাসোনি আমার জীবনটার বারোটা বাজাতে এসেছো।
এতিহা:- তোমাকে ভালোবাসি কি না ভালোবাসছি সেটার প্রমান তো প্রথম রাতেই দিয়েছি। আল তুমি আমাকে বুঝতেও পারোনি। আচ্ছা যা হইছে তার জন্য সরি আমার সাথে এসো আমারর কিছু কথা আছে বলে চলে যাবো।
আল:- তোমার কোনো কথা শোনার আমার ইচ্ছে নেই। জুঁই রিকশা উঠো। জুঁই রিকশা উঠেছে সাথে আল রিকশা উঠে বসে চলে এসেছে। এতিহা কি বলবে সেটা আমার জানতে ইচ্ছে করছিলো কিন্তু ওর মিথ্যাকথা আর অভিনয় গুলি বড্ড বেশী কষ্ট দিছে।
জুঁই:- আচ্ছা আল এতিহার সাথে বিয়েটা কি করে হইছে? তখন আল জুঁইকে সবটা বলছে। আর বিয়ের পর এতিহা কি কি করছে সব। জুঁই সব শোনে অনেকটা আপসোস করছে। তখন জুঁই আলের হাতটা শক্ত করে ধরে বলে। আল আমাকে একটু বিশ্বাস করো দেখবে আমি তোমাকে এতিহার চেয়েও বেশী ভালোবাসবো।
আল:- জুঁই তোমাদের বাড়িতে এসে গেছি তুমি ভিতরে যাও।
জুঁই:- আল আমাকে বিশ্বাস করা যায়না?
আল:- জুঁই তুমি এখন যাও আমার খারাপ লাগছে। জুঁই কিছু বলেনি জুঁই চলে গেছে। আল মনে মনে ভাবছে আমি যাহা চাই তাহা না পাই আর যাহা না চাই তাহা পাই। সত্যি কবিরাও পারে। আলের বাড়ির সামনে এসে রিকশা ভাড়া দিয়ে ভিতরে গেছে। কারো সাথে কোনো কথা নাহ বলে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ছে আর কখন যে ঘুমিয়ে গেছে ঠিক মনে নেই। আজকের দিনটা কোনো রকম গেছে বার বার এতিহাকে থাপ্পড় দেওয়াটা চোখের সামনে ভাসছে। আলের বড্ড বেশী ইচ্ছে হচ্ছে এতিহা কি বলতে চাইছে সেই কথা গুলি শোনার জন্য। ভাবনার মাঝে আলের ভাবির ডাক।
ভাবি:- আল খেতে এসো সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
আল:- আসছি ভাবি বলে খাবার টেবিলে গেলাম। গিয়ে দেখি সবাই বসে বসে একটা প্ল্যান করছে। আমাকে দেখে সবাই চুপচাপ হয়ে গেছে। আমি খাচ্ছি এমন সময় আম্মা বলে।
আম্মা:- আল গতকাল নাকী এতিহাকে তুই থাপ্পড় দিয়েছিস? আম্মার কথা শুনে কিছুটা না অনেকটা অবাক হলাম। যে আম্মা জানতে পারছে কোথা থেকে? তাহলে কি জুঁই বলে দিছে। আম্মাকে সোজা প্রশ্ন করে বসলাম।
আল:- আম্মা আপনি জানলেন কি করে?
আম্মা:- জুঁইয়ের সাথে আমার দেখা হইছে আর জুঁই বলছে। তা থাপ্পড়টা নাকী জোরে দিয়েছিস?
ভাইয়া:- একদম ঠিক করেছিস। এতিহা একটা বেয়াদব মেয়ে। আমাদের সংসারটা নষ্ট করতে এসেছিলো। আল জুঁই অনেক ভালো মেয়ে তোকে খুব ভালোবাসে।
ভাবি:- হ্যা ঠিকই বলেছো? জুঁই সত্যি অনেক ভালো আমি আর আম্মা গতকাল বিকালে ওদের বাড়িতে গেছিলাম। মেয়ে আমাদের সবার পছন্দ এখন আল তুমি রাজি হলেই বিয়ে।
ভাইয়া:- আল তো রাজি ওরা দুজনে নাকি কফি সপে বসে কফি খেয়েছে। এটা তো আমাকে জুঁইয়ের বাবা ফোনে বলছে।
আম্মা:- আল আমরা কি কথা দিবো জুঁইয়ের বাবা মাকে? তখনি আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই আব্বা বলে।
আব্বা:- এতিহার সাথে আগে ডির্ভোসটা হোক তারপর তোমরা বিয়ের কথা বলো। আর আল তোকে বলি কোনো সিদ্যান্ত নেওয়ার আগে একটু চিন্তা করে নিস। জীবনে সমস্যা থাকবেই সেই সমস্যার মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে সুখ আর শান্তি থাকে।
আম্মা:- এতিহার সাথে দুইয়েক দিনের মধ্যে ডির্ভোস হয়ে যাবে। আর আলের জন্য আমরা সবাই চিন্তা ভাবনা করেই সিদ্যান্ত নিতেছি। তোমাকে এখানে আর জ্ঞ্যান দিতে হবে না।
আব্বা:- আমার ছেলের জন্য আমারো চিন্তা হয়। তোমরা কি করে ভাবলে এতিহা ডির্ভোস দিবে আলকে?
আম্মা:- উকিল আমাকে ফোন করেছে আর বলছে আগামী দুই দিনের মধ্যে যে কোনো একদিনই ডির্ভোস হবে। আর সেটা নাকী এতিহার বাবা নিজে বলেছে। তখনি আল তার মাকে বলে।
আল:- আচ্ছা আম্মা সেই দিন এতিহা যাবার আগে তোমাকে আলাদা করে ডেকে নিয়ে কি কথা বলছে? আমার কথা শোনে আম্মা একদম চুপ হয়ে গেছে। কোনো কথা বলছেনা তখনি ভাইয়া বলে।
ভাইয়া:- আল তুই এখনো এতিহাকে নিয়ে পড়ে আছিস কেনো? যেই মেয়েটা তোকে থানায় পাঠিয়েছে। বাড়ির সবাইকে কত কষ্ট দিয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এতিহার ভাইয়ার জন্য আমাদের এক মাত্র বোনকে হারিয়েছি।
আল:- আমরা যেমন আমাদের বোনকে হারিয়েছি ঠিক এতিহাও তার ভাইয়াকে হারিয়েছে। ভাইয়া এতিহাকে নিয়ে পড়ে থাকা নয়। কথা হচ্ছে এতিহা আম্মার সাথে কি এমন কথা বলবে বলে আলাদা করে ডেকে নিয়ে কি কথা বলছে সেইটা আমার জানতে খুব ইচ্ছে করছে।
আম্মা:- তোর খুব জানতে ইচ্ছে করছে তাহলে শোন এতিহা বলে তোকে ওদের বাড়িতে ঘর জামাই থাকতে। আর আমি যদি অনুমতি না দেই তাহলে তোকে থানায় পাঠিয়ে দিবে। আর ঠিক তাই হইছে। আচ্ছা বল তুই কি এতিহার সাথে ওদের বাড়িতে গিয়ে থাকতে রাজি হবি? তখন আল বলে।
আল:- শুধু এই কথাটা বলেনি আরো কিছু বলছে সেই গুলি বলেন? এবার ভাইয়া রেগে গিয়ে আমাকে থাপ্পড় দিয়ে বলে।
ভাইয়া:- তোর সাহোস হয় কি করে আম্মার সাথে এমন আচরন করার? আম্মা যা বলছে তার পরেও তুই এতিহার পেছনে পড়ে আছিস। এতিহা যদি তোকে এতটা ভালোবাসবে তাহলে তোকে পুলিশের সাথে থানায় যেতে দিলো কেনো? আল কিছু বলছে না চুপ চাপ খাবার টেবিল থেকে উঠে সোজা ছাদের উপরে এসেছে। ব্যাঞ্চের উপরে বসে বসে চিন্তা করছে এই একটা কথা বলার জন্য আলাদা ভাবে ডেকে নিবে কেনো? চিন্তা করতে করতে ব্যাঞ্চের উপরে ঘুমিয়ে গেছেে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়তে চলে গেছে আল। নামাজ পড়ে বাড়িতে এসেছে কাওকে কিছু না বলে আজকে একটু তাড়াহুরা করে বেরিয়ে গেছে। এতিহার কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এতিহা আসেনি। আজকে আর এতিহা কলেজে আসেনি। আল বাড়িতে গেছে সারাদিন পর তখন ওর মা এক গুচ্ছ কাগজ এনে বলে।
আম্মা:- আল এই দেখ এতিহার উকিল ডির্ভোসের কাগজ পাঠিয়েছে। আল কথাটা শোনে থমকে গেছে। তাহলে এতিহা সত্যিই ডির্ভোস চাই মনে মনে ভাবতেছে।
আল:- দেখি কাগজ গুলি। আল কাগজ গুলি হাতে নিয়ে পড়তে আরম্ভ করছে। ডির্ভোসের কাগজে সব দোষ আলের নামে উল্লেখ করা হইছে। আল রাতে দেরী করে বাড়িতে আসে। মদ খেয়ে বাড়িতে এসে প্রতি রাতে এতিহাকে অত্যাচার করে। অন্য মেয়েদের নিয়ে মাঝে মধ্যে বাড়িতে এসে অবৈধ কর্মকান্ড করে। এত কিছু সহ্য করতে না পেরে আমি এতিহা ইসলাম ডির্ভোস দিতে বাধ্য হলাম। এমন ভাবে আরো অনেক কিছু লিখা আছে সাথে এতিহার সাক্ষরটা দেওয়া তবে আমার মন কেনো জানি বলছে এখানে অনেক বড় কোনো মিথ্যা লুকিয়ে আছ। তখনি আম্মা বলে।
আম্মা:- কিরে এখনো বসে থাকবি সাইনটা করে দিয়ে দে আমার আবার কাগজ গুলি পাঠাতে হবে।
আল:- আচ্চা কাগজ গুলি থাকুক আমার কাছে আমি পাঠিয়ে দিবো।
আম্মা:- থাক তোর আর কষ্ট করতে হবে না আমার কাছে দে আমি পাঠিয়ে দিবো।
আল:- বলছি তো পড়ে সাইন করে পাঠিয়ে দিবো। আল আর কিছু বলেনি সোজা কাগজ গুলি নিয়ে হেটে চলে আসছে রুমে। রুমের দরজাটা বন্ধ করে এতিহার নাম্বারে ফোন করছে কিন্তু বার বার ফোন বন্ধ বলছে। সারা রাত ট্রাই করে খোলা পায়নি। তবে আল এতিহার বাড়িটা পর্যন্ত চিনেনা চিনবে কি করে এতিহার বাড়িতে তো আল কখনো যায়নি। আল নিজেকে অনেক মনে মনেনে বকা দিলো। সকালে নামাজ পড়ে সোজা এতিহার কলেজের সামনে গিয়ে এতিহার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো কিন্তু এতিহা আজকেও কলেজে আসেনি। আল চিন্তা করতে লাগলো এতিহা কোথায় গেছে। হঠাত করে ঐ রাসেলের সাথে দেখা। আল দৌরে গিয়ে রাসেলের সাথে কথা বলে। হাই আমি আল ইসলাম আপনার নাম রাসেল তাইনা?
রাসেল:- হ্যা কিন্তু আমি তো আপনাকে চিনতে পারিনি।
আল:- চিনতে পারবেন কি করে আমার সাথে আপনার দেখা হইছে কখনো?
রাসেল:- কথা না ঘুরিয়ে বলেন কি বলতে চান।
আল:- এতিহার বাড়িটা কোথায়? তখন রাসেল আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর বলে।
রাসেল:- কেনো কি করবেন ওর বাড়ির ঠিকানা দিয়ে।
আল:- প্লিজ দেন আমার খুব দরকার আছে। তখনি রাসেলকে আল সবকিছু বলছে রাসেল সবকিছু শোনে বলে।
রাসেল:- ওরা তো গতকাল অস্ট্রেলিয়া চলে গেছে আর এতিহাদের বাড়িটা বিক্রি করে দিছে। শোনেছি ঐখানে একটা ছেলের সাথে এতিহার বিয়ে হবে। কিন্তু এতিহার সাথে সত্যিই আপনার বিয়ে হইছে?
আল:- হ্যা হইছে আল ভেঙ্গে পড়ছে। আল কি করবে কিছু ভাবতে পারছে না। এভাবে এক সাপ্তাহ দুই সাপ্তাহ এমন কি এক মাস চলে গেছে এতিহার সাথে আলের কোনো রকম যোগাযোগ করতে পারছে না। আর এদিকে আলের মা ভাইয়া জুঁইকে বিয়ে করার জন্য বলতেছে। আল সিদ্যান্ত নেই কাওকে না জানিয়ে দুরে কোথাও চলে যাবে আর আল সেই কাজটা করে। ছোট একটা কাগজে লিখে আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি দূরে কোথাও। মোবাইলটা রেখে সোজা বেরিয়ে যাই। দেখতে দেখতে দুই বছর বাড়ির কারো সাথে কোনো রকম যোগাযোগ নেই। আলের বাবা মা ভাইয়া ভাবি সবাই আলের জন্য থানায় জিডি করে কিন্তু তাতে কোনো লাভ হইনি। এভাবে আরো দুই বছর পেরিয়ে গেলো হঠাত আল একটা পত্রিকাতে দেখতে পেলো আলের ছবি আর লিখা আছে ছেলের শোকে মা আজ মৃত্যুর দার প্রান্তে। আল ছবিটা দেখে সোজা বাড়ির দিকে রওনা আজ চার বছর পর আল বাড়িতে যাচ্ছে এর মাঝে এতিহার কথা প্রায় মনে পড়ছে কিন্তু সময় যেতে এখন আর মনে পড়েনা। আল আজ চার বছর পর বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বাড়িটার রংটা কালচে হয়ে গেছে বাহির সুন্দরয্যটা আগের মত নেই। অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়ে গেছে। আল ক্রয়েন বেল চাপ দিছে আলের ভাবি দরজটা খুলে আলকে দেখে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলছে। কি বলবে খোঁজে পাচ্ছেনা তখনি বলে।
ভাবি:- আম্মা আল এসেছে আপনারা কোথায় ভাবির চিৎকার শোনে দৌরে এসেছে আব্বা আম্মা ভাইয়া। আম্মা আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরে কি কান্না শুরু করতে আরম্ভ করছে।
আম্মা:- আজ চার বছর পরে তোর আমাদের কথা মনে হইছে। এক এক করে সবার সাথে কুশোল বিনিময় করে ফ্রেশ হয়ে খেতে বসেছি। তখনি ভাবির কোলে একটা সুন্দর ছেলে বাচ্চা।
ভাবি:- আল এই নাও তোমার ভাতিজা।
আল:- নাম কি ওর?
ভাবি:- সাজিদ।
আল:- অনেক সুন্দর তো। সাজিদকে কোলে নিয়ে কিছুটা সময় পার করেছি। সবাই আমাকে দেখে অনেক খুশি। বাড়িতে আসছি এক সাপ্তাহ হয়ে গেছে আম্মা এখন একদম সুস্থ হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। আম্মা রান্না করতে যাচ্ছে তখনি আব্বা বলে।
আব্বা:- আরে কি করছো তোমাকে তো ডাক্তার কাজ করতে বারণ করছে। তুমি রান্না করতে যাচ্ছো কেনো?
আম্মা:- আমার ছেলে এসেছে আমি এখন সুস্থ। আব্বা আর কিছু বলেনি। আল সুফায় বসে আছে এমনি ভাবি এসে বলে।
ভাবি:- আল জুঁইয়ের তো বিয়ে গেছে। তা তুমি কি বিয়ে কি করেছো?
আল:- হ্যা সেটা তো আপনারা সবাই জানেন।
ভাবি:- আরে বোকা আমি বলতে চাচ্ছি চার বছর যে বাড়িতে ছিলেনা এর মাঝে বিয়ে করেছো কিনা?
আল:- নাহ ভাবি করিনি।
ভাবি:- তাহলে বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নাও। অনেক হইছে আর নাহ আম্মা তোমার জন্য মেয়ে দেখছে। এখন বিয়েটা করে নাও।
আল:- ভাবি আর কিছুটা সময় দাও এমনিতেই অনেক আঘাত পেয়েছি আর নতুন করে আঘাত পেতে চাইনা।
ভাবি:- মেয়েটা অনেক ভালো তুমি একবার দেখা করো তাহলে বুঝতে পারবে।
ভাইয়া:- হ্যা আল তুই মেয়েটার সাথে দেখা কর।
আল:- ঠিক আছে করবো।
ভাবি:- তাহলে আগামীকাল আগে আমার সাথে যাবে। প্রথমে তুমি আর মেয়েটার দুজনে আলাদা করে কথা বলো।
আল:- আচ্ছা তাই হবে। আলের কথা শোনে বাড়ির সবাই অনেক খুশি হইছে। আলের মা অনেক খুশি আল বিয়ে করতে চাচ্ছে। পরের দিন সকালে আলের ভাবি আলকে সাথে নিয়ে মার্কেটে গেছে। আচ্ছা ভাবি মার্কেটে কেনো এসেছেন?
ভাবি:- নুসরাত তো বলছে এখানে আসবে।
আল:- নুসরাত কে?
ভাবি:- যার সাথে দেখা করবে সেই নুসরাত।
আল:- মার্কেটে আসবে? মেয়েটার ধান্ধা বেশী সুবিধার নয়। ভাবি মুচকি হাসতেছে। আমি কিছু বলছি না। দাঁড়িয়ে আছি আর ভাবি নুসরাতকে ফোন করছে। দুই মিনিট কথা বলে রেখে দিছে।
ভাবি:- আল নুসরাত আসতে আরো দশ মিনিট সময় লাগবে। আচ্ছা তুমি একটু সাজিদকে কোলে নিয়ে দ্বাড়াও আমি ওয়াশ রুম থেকে আসতেছি।
আল:- ঠিক আছে। আল ওর ভাতিজাকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাবি চলে গেছে হঠাত আলের চোখ এক জায়গাতে আটকে গেছে। আল কিছুক্ষন তাকিয়ে ভালো করে লক্ষ করে বুঝতে পারছে এটা এতিহা আর সাথে সাথে। চোখ সরিয়ে নিয়ে অন্য দিকে ঘুরে গেছে। কিন্তু এর মাঝে এতিহার চোখ আলের দিকে পড়ে গেছে। এতিহা নিজেই আলের দিকে এগিয়ে এসেছে।
এতিহা:- আল কেমন আছো পেছন থেকে এতিহা জিজ্ঞেসা করছে। আল ঘুরে এতিহার দিকে তাকিয়ে বলে।
আল:- আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি কেমন আছো?
এতিহা:- এই তো ভালো। বাচ্চাটা কি তোমার?বাচ্চার মা কোথায়?
আল:- বাচ্চার মা ওয়াশ রুমে গেছে এর মাঝে সুন্দর একটা বাচ্চা মেয়ে এসে এতিহাকে জড়িয়ে ধরে বলে
বাচ্চা মেয়ে:- আম্মু কোলে নাও।
এতিহা:- নিচ্ছি মামুনি বলে মেয়েটাকে কোলে তোলেছে।
আল:- তোমার মেয়েটি তো অনেক সুন্দর আর মেয়ের নাম কি?
এতিহা:- ওর নাম আলো ইসলাম। ওর বাবার নামের সাথে মিলিয়ে রাখছি। আচ্ছা আল ভালো থেকো আর হয়তো দেখা হবে না আমরা আগামীকাল অস্ট্রলীয়া চলে যাবো। ঠিক তখনি আল এতিহাকে বলে স্বার্থপর মানুষ দেখছি কিন্তু তোমার মত স্বার্থপর কমই দেখছি। এতিহা মুচকি হেসে চলে যাচ্ছে।
আল:- এতিহা তোমার স্বামীর নামটা বলে গেলেনা। তখন এতিহা দাঁড়িয়ে গেছে আর সামনে ভাবি নুসরাতকে নিয়ে এসে হাজির।
!!
চলবে,,,