মিশে_আছো_আমার_অস্তিত্বে❤️ পর্ব ৬+৭

#মিশে_আছো_আমার_অস্তিত্বে❤️
#মেঘ পরী🍀🍀
#Part-৬+৭💞

তৃষা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না যে তার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে তাঁর নিজের চাচাতো বোন রিনা আর তার স্বামী আকাশ।তাহলে কী রিনা ই হল আকাশের সেই রিনা!!ভাবতেই তৃষার সমস্ত শরীর কাপতে শুরু করে দিয়েছে।এতো দিন সে আকাশের মার মুখ থেকে শোনা কথা অনুযায়ী রিনা সম্পর্কিত তথ্য জেনেছিল কিন্তু এখন…

এখন তো সে নিজেই জানে যে রিনার কেমন স্বভাব।না না তৃষা জেনে শুনে আকাশের এতবড়ো ক্ষতি কিছুতেই নিজের চোখে দেখতে পারবে না।নিজের চাচা আর চাচাতো বোন কেমন তা তৃষার থেকে ভালো কেউ জানে না।

তৃষা সামনের দিকে তাকাতেই দেখতে পেল আকাশ আর রিনা শপিং মল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।তৃষা আর কিছু না ভেবে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল,,তাকে এখন তার বাবার সাথে দেখা করাটা অত্যন্ত জরুরি।
.
.

আজ তৃষা একটু হলেও মনের দিক দিয়ে শান্তি পাচ্ছে কারণ তার বাবা আজ তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে।হ্যাঁ প্রথমে তিনি অনেক রেগে গিয়েছিলেন তৃষার উপর,,কিন্তু পরে নিজের মেয়ের মলিন মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি তার অভিমান ভাঙতে বাধ্য হলেন শেষমেষ।ওখান থেকে বের হতে তৃষা বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল,,তাই বাসায় পৌঁছাতে কিছুটা লেট হল।বাসায় এসে দেখলো তার শাশুড়ি মা তার জন্য বসে আছেন।তৃষা কে দেখেই তিনি জিজ্ঞাসা করলেন তার বাবা কেমন আছেন??তারপর আরও কিছু কথা জিজ্ঞাসা করলো।তৃষা‌ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে,,নিজের রুমে চলে এলো।আসার সময় বলে এলো যে সে রাতে কিছু খাবে না। শাশুড়ি মা অবশ্যই তাকে জোড় করেছিল একটু কিছু মুখে দেওয়ার জন্য কিন্তু তৃষা নিজের মায়ের হাত থেকে আজ এত খেয়ে ফেলেছে যে তার আর কিছু খেতেই ইচ্ছে করছে না।

রুমে ঢুকে দেখলো আকাশ সোফায় বসে টিভি দেখছে,,আকাশকে এইসময় রুমে দেখে তৃষা‌ কিছুটা অবাক হয়ে ঘড়ির দিকে তাকাতেই তার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল।রাত দশটা!!এত রাত পর্যন্ত সে বাড়ির বাইরে ছিল ভাবতেই অবাক হয়ে যাচ্ছে।এইসব চিন্তা করতে করতে আলমারি থেকে নিজের ড্রেস বেড় করতে যাবে এমন সময় আকাশ বলে উঠলো-;

-:এত রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলে??

-:বাবার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।

-:ও তা তোমার শ্রদ্ধেয় বাবা তোমাকে ক্ষমা করলো‌??(কিছুটা তাচ্ছিল্য ভাবে)

-:মানে কী বলতে চাইছেন??

-:মানে বলতে চাইছি তিনি কী তোমাকে মাপ করেছেন??

-:হ্যাঁ।

-:বাহ্ এত তাড়াতাড়ি মাপ করে দিল।আসলে তোমাদের মতোন মিডিল ক্লাস ফ্যামিলির মানুষগুলো ঠিক এরকমই হয়।যেই দেখেছে মেয়ে একজন বড়োলোক বিজনেসম্যানের সাথে বিয়ে হয়েছে ওমনি তিনি তার মেয়েকে আপন করে নিলেন।

-:আকাশ!!(চিল্লিয়ে)আপনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমার‌ই বাবাকে অপমান করছেন।আমরা আপনার মতোন বড়োলোক না হতে পাড়ি,,কিন্তু আমাদের বাবা-মা আমাদের এইটুকু শিক্ষা ঠিকই দিয়েছে যে কার সম্বন্ধে কিভাবে কথা বলতে হয়।এখন তো দেখছি আপনার ভিতরে সেই শিক্ষাটার ও অভাব রয়েছে।

তৃষার কথায় আকাশ তৃষাকে নিজের সাথে মিশিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে,, দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো-;

-:কী বললে তুমি আমার মধ্যে শিক্ষার অভাব রয়েছে।ডু ইউ হেভ এনি আইডিয়া এবাউট মাই কোয়ালিফিকেশন??

-:পুঁথি গত বিদ্যাটাই আসল বিদ্যা নয় মিস্টার আকাশ খান। পুঁথি গত শিক্ষার বাইরেও কিছু শিক্ষা থাকে যেটা আপনার মধ্যে নেই।

আকাশের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে,, আবার বলে উঠলো-;

-:আর কথায় কথায় আমার বাবাকে অসন্মান করাটা বন্ধ করে একটু সভ্য মানুষ হ‌ওয়ার চেষ্টা করুন।

এই বলে তৃষা ওয়াশরুমে চলে গেল।আর আকাশ রাগে কটমট করতে করতে তৃষার যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকলো।
.
.

পরেরদিন তৃষা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে,,নিচে নামতেই অবাক হয়ে গেল। সোফায় রিনা বসে আছে আর তার ঠিক পাশেই আকাশ বসে আছে,,দুজনে গল্পে এতটাই ব্যস্ত যে তৃষাকে তারা খেয়ালই করেনি।এত সকালে রিনা এখানে দেখে তৃষা অনেকটাই অবাক হয়।আকাশের মা নিচে নামছিলেন,,তৃষাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে,,বলে উঠলো-;

-:কী ব্যাপার তুই এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন??

আকাশের মায়ের কথায় আকাশ আর রিনা দুজনেই সিড়ির দিকে তাকালো।

-:না মানে এমনি,,তুমি এসো।

-:হ্যা চল।

তৃষাকে দেখে রিনার যেন পায়ের তলা থেকে মাটি সড়ে যাবে এমন অবস্থা।তৃষার দিকে সে অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে আকাশকে জিজ্ঞাসা করলো-;

-:বেবি ও..ওই মেয়েটা কে??

আকাশ তৃষার দিকে তাকিয়ে,,রিনার কাছে সড়ে এসে কিছুটা আস্তে বলল-;

-:আরে এটাতো তৃষা,তার সাথে আমার কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ হয়েছে।সেদিন তো তুমি ওর সাথেই ফোনে কথা বললে।

রিনা অবিশ্বাস্য চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে যেন সে বিশ্বাস‌ই করতে পারছে না যে সেদিন ফোনে সে তার নিজের‌ই চাচাতো বোন তৃষার সাথে কথা বলেছে।

আকাশের মা রিনাকে এমনসময় তার বাড়িতে দেখে কিছুটা বিরক্ত হয়। কিন্তু সৌজন্যতার রক্ষার খাতিরে জিজ্ঞাসা করলেন-;

-:কী ব্যাপার তুমি এখানে??

-:আন্টি কেমন আছেন??আসলে কিছুদিন হলো আমি দেশে ফিরেছি,,আর দেশে ফিরে আকাশের কাছ থেকে যখন জানতে পারি যে আপনি অসুস্থ তখন আপনার সাথে দেখা করতে খুব ইচ্ছে করছিল।তাই চলে এলাম আপনার সাথে দেখা করতে।

-:হুম বুঝলাম,,তৃষা এইদিকে এসো।ও হচ্ছে রিনা আকাশের বান্ধবী।আর রিনা ও হচ্ছে তৃষা খান বাড়ির ব‌উ আর আমার মেয়ে।

আকাশের মায়ের কথায় রিনার গা জ্বলে উঠলো।একেই তৃষাকে এ বাসায় দেখে তার মাথা বিগড়ে আছে তার উপর এই মহিলার এইসব গা জ্বালানো কথা!!কিছুতেই রিনা সহ্য করতে পারছে না এইসব।আজ যদি এই মহিলাটা না থাকতো তাহলে এত ঝামেলা তাকে কোনোদিন‌ও পোহাতে হতো না।

এদিকে তৃষা টেবিলে ব্রেকফাস্ট সাজিয়ে সবাইকে ডাকলো নাস্তা করার জন্য।রিনা হুট করেই উঠে দাঁড়িয়ে বলে উঠলো-;

-:আচ্ছা আমি এখন আসছি।

-:আরে তুমিতো‌ সকালে না খেয়ে এখানে চলে এসেছো আগে নাস্তা করে নাও তারপর আমি তোমাকে বাসায় দিয়ে আসবো।(আকাশ)

-:না মানে বাপি কল করেছিল,,আমাকে এক্ষুনি বাসায় যেতে হবে।আমি পরে আবার আসবো।এখন আসি।

আকাশের মা আর আকাশকে বিদায় জানিয়ে চলে গেল।
.
.
.
.
[বাকিটা নেক্সট পর্বে]
.
.
.
“””বেশ অনেক দিন আমি গল্প দিইনি এর কারণটা কিছু মানুষ নিশ্চয় জানেন।আসলে আমি বাথরুমে পড়ে গিয়ে হাতে এবং পায়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছিলাম।হাতের থাম্ব মেটাকারপাল(thumb metacarpal) আর মিডেল মেটাকারপাল(middle metacarpal) চির খেয়েছিল।আর পায়ের ফিমার(femur) আর পেটেলা(patella) মানে হাঁটর হাড়ে চোট পেয়েছি বেশ ভালোভাবেই।এক্স-রে করেছিলাম,,তাই হাতে প্রেশার দিয়ে লিখতে পারিনি।ডাক্তার‌ও বলে দিয়েছিল হাতে প্রেশার না দিতে।তাই গল্প দিতে পারিনি কিছুদিন।আশা করি আপনারা আমার প্রবলেম বোঝার চেষ্টা করবেন।আর এখন আমি লিখতে পারছি তাই রেগুলার পার্ট দেবো কিন্তু পার্ট ছোটো হতে পারে।কারণ আমার হাত পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন””

#Part-৭💞

আকাশ অফিসে চলে যাওয়ার পর তৃষা বাসার সমস্ত কাজ সেড়ে,,শাশুড়ি মায়ের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে নিজের রুমে গেল ফ্রেস হতে। ওয়াশরুম থেকে বের হতেই তৃষার ফোন বেজে উঠলো।ফোন হাতে নিয়ে দেখলো একটা আননোন নম্বর থেকে ফোন এসেছে,,ফোন ধরবে কি না এই নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ফোনটা কেটে গেল।তৃষা‌ ফোনটা বেডে রাখতে যাবে ঠিক এমন সময় ফোনটা আবার বেজে উঠলো।তৃষা এইবারে ফোনটা রিসিভ করেই ফেলল।ফোনটা রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকে একজন বলে উঠলো-;

-:এত সময় লাগে ফোনটা রিসিভ করতে??

-:কে??

-:বাহ্ আমাকেই চিন্তে পারছিস না।এত তাড়াতাড়ি তুই আমাকে ভুলে গেলি??

-:রিনা আপু তুমি??

-:হুম তাহলে শেষমেষ চিন্তে পারলি আমাকে।

-:কি জন্য তুমি আমাকে ফোন করেছো??

-:তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।তুই আজ আমার সাথে দেখা কর।

-:কিন্তু আমি কীভাবে যাবো??

-:আমি জানিনা,,প্লিজ বোন আমার একটি বার দেখা কর আমার সাথে।

-:কোথায় দেখা করতে যেতে হবে??

-:তুই আগে যে স্কুলে পড়তিস সেই স্কুলের সামনে যে রেস্টুরেন্টটা আছে সেখানে চলে আয় তাড়াতাড়ি।

-:আচ্ছা।

ফোনটা রেখে দিয়ে তৃষা ভাবতে লাগলো তার যাওয়া উচিত হচ্ছে কি না কারণ এটা রিনার কোন ষড়যন্ত্র‌ও হতে পারে।কিন্তু তাকে একবার রিনার সাথে দেখা করাটা অত্যন্ত জরুরী,,কিছু জিনিস ক্লিয়ার করার আছে আবার কিছু প্রশ্নের উত্তর ও জানার আছে।আর সেটা শুধুমাত্র রিনার কাছে গেল‌ই সম্ভব হবে।তাই আর কোন কিছু না ভেবে মায়ের কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে তৃষা বেরিয়ে গেল রিনার বলে দাওয়া রেস্টুরেন্টে।

তৃষা অনেকক্ষণ যাবৎ বসে আছে কিন্তু রিনা এখনো আসছে না। বেশ কিছুক্ষণ পর রিনা এসে তৃষার ঠিক অপজিট চেয়ারে বসলো,,তৃষা কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে উঠলো-;

-:কি বলবে তাড়াতাড়ি বলো আপু।

রিনা বলে উঠলো-;

-:আকাশের লাইফ থেকে সরে যেতে কত টাকা নিবি।

-:মানে!!

-:মানেটা খুবই সিম্পল,আমি এটা খুব ভালোভাবেই জানি যে আকাশের ভালোবাসার মানুষ আমি,,এটা জানার পর তুই কখনোই ওর লাইফ থেকে যাবি না।

-:এটাই কি স্বাভাবিক নয় আপু??

-:শোন আমি এখানে তোর সাথে তর্ক করতে আসিনি,,,তোকে একটা কথা পরিস্কার ভাবে বলে দিচ্ছি আকাশ যেন কোনদিনও জানতে না পারে যে তুই আমার চাচাতো বোন।তাহলে সেটা তোর জন্য বা তোর ফ্যামিলির কারো জন্যই ভালো হবে না।

-:কী করবে তুমি??আমার বাবাকে তো পথে নামিয়েই দিয়েছে তোমার বাবা।ভাবতেই ঘৃণা লাগছে,,চাচা কিভাবে পারলো নিজের ভাইয়ের সাথে প্রতারণা করতে।

-:নিজের ভাই নয় সৎ ভাই।আর শোন আমি এখানে আমার আব্বুর নিন্দা শুনতে আসিনি। তোকে যেটা বলছি সেটা শোন মন দিয়ে তুই যদি আমার আর আকাশের মাঝখানে আসিস তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।

-:তুমি কি সত্যিই আকাশকে ভালোবাসো??

-:তোর কি মনে হয়??

-:আমার তো মনে হয় না।এতে কোনো একটা স্বার্থ নিশ্চয় আছে,,কারন তুমি কখন‌ই কাউকে ভালোবাসতেই পারো না।এই নিয়ে কম ছেলের জীবন তুমি নষ্ট করোনি।

-:বাহ্ আমার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো এখনও তোর মনে আছে??

-:আপু সবে তো তিনবছরের একটু বেশি হলো তোমাদের থেকে আলাদা হয়েছি।আর এমনিতেও মানব‌ মস্তিষ্কের স্মৃতি ধরে রাখার ক্যাপাসিটি অনেক বেশি,,সেই জায়গায় নিজের চাচার বিশ্বাসঘাতকতা আর চাচাতো বোনের অন্যায় কাজগুলোর কথা এত সহজে কীভাবে ভুলে যায় বলো আপু??

-:মুখ সামলে কথা বল।(রেগে)

-:আমি আমার মুখ সামলেই কথা বলি,,লজ্জা করে না তোমার আকাশকে মতোন একটা ভালো মানুষকে ঠকাতে??এতে তোমার কি স্বার্থ আছে??যদি তুমি সত্যিই আকাশকে ভালোবাসতে তাহলে আমি তোমাদের দুজনের জীবন থেকে সারা জীবনের মতো চলে যেতাম কিন্তু আমি এটা নিশ্চিত যে তুমি কোন উদ্দেশ্য নিয়েই আকাশের জীবনে আসেছ।

রিনা কিছুটা তাচ্ছিল্য সুরে বলে উঠল-;

-:ছোটবেলা থেকেই তুই খুব বুদ্ধিমান আর এখন‌ও তাই আছিস।ঠিক বলেছিস এমনি এমনি আকাশের জীবনে আমি আসিনি।

এমনিতেই আকাশের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র ইন্টারেস্ট নেই,,একটা বোকা হাঁদারাম সারাক্ষণ কানের কাছে মা মা করতে থাকে।আমি তো শুধুমাত্র আব্বুর জন্য এত কিছু করছি।

-:চাচার জন্য??

-:হ্যা আব্বু সব সময় স্বপ্ন দেখতো টপ বিজনেসম্যান হ‌ওয়ার কিন্তু তিনি কখনোই তা হতে পারেনি শুধুমাত্র দুজন মানুষের জন্য।তাই লাইফে আব্বুর শুধুমাত্র দুজন‌ শত্রু ছিল এক নিজের সৎ ভাই নাজমুল শেখ(তৃষার বাবা)থাকেতো তিনি ছোটো বেলা থেকেই ঘৃণা করতেন আর একজন হলো রাহাত খান যে
আকাশের বাবা।

আকাশের বাবা ছিল টপ বিজনেসম্যান আর তার ঠিক পরেই ছিল তোর বাবার নাম।তাই আব্বু প্রথমে চাচাকে রাস্তা থেকে সরানো প্ল্যান করলো আর কিছুদিনের মধ্যেই সফল ও হয়ে গেল।চাচা অবশ্যই পড়ে সব সত্যি জানতে পেরেছিল কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।

আব্বুর সেকেন্ড টার্গেট ছিল রাহাত খান।খান ইন্ডাস্ট্রির একমাত্র মালিক,, রাহাত খানের পর খান ইন্ডাস্ট্রির একমাত্র মালিক হবে তার একমাত্র ছেলে আকাশ খান।আব্বু খোঁজ নিয়ে জানতে পারল আকাশ বিদেশে গিয়েছে তার স্টাডি কমপ্লিট করতে।আব্বু আবার প্লান সাজালো আমাকে পাঠিয়ে দিল বিদেশে,,আকাশ যেখানে স্টাডি কমপ্লিট করছিল আমাকেও সেই একই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করিয়ে দিল।

তারপর আস্তে আস্তে সেখানে আকাশের সাথে আমার পরিচয় হয়,,তারপর বন্ধুত্ব এবং পরে ভালোবাসার অভিনয়।এইসব শুধুমাত্র আমার আব্বুর জন্য,,বিকস্ আই লাভ মাই আব্বু। ছোটবেলা থেকে আমার আব্বু অনেক কষ্ট পেয়েছে শুধুমাত্র তোর বাবার জন্য।তাই তোর ভালোর জন্যই বলছি আকাশের জীবন থেকে সরে যা নইলে এর ফল ভালো হবে না।চাচার সবেমাত্র অপারেশন হয়েছে এর মধ্যে যদি তিনি জানতে পারেন যে তার একমাত্র আদরের মেয়ে যে বিয়েটা করেছে সেটা আসলে কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ,,তাহলে চাচার কি হবে ভেবে দেখেছিস??তাই বলছি সাবধান!!!

এই বলে রিনা চলে গেল সেখান থেকে।। তৃষা রিনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো-;

-:আপু তুমি আর চাচা সবসময় আমাদেরকে ভুল‌ই ভেবে এসেছো।যদি চাচা কোনদিন বাবাকে নিজের সৎ ভাই না ভেবে আপন ভাই ভাবতো তাহলে হয়তো এই দিনটা দেখতে হতো না।

তৃষা বাড়ি ফিরতে ফিরতে ভাবছে কি করা যেতে পারে,,কারণ সে বেঁচে থাকতে কখন‌ই চাচার এই অসৎ উদ্দেশ্য সফল হতে দেবে না কিন্তু আকাশকে কীভাবে বোঝাবে যে রিনা ভালো মেয়ে নয়।

বাসায় ফিরে তৃষা যা দেখলো তা দেখার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না,,এটা কিভাবে সম্ভব!!!….
.
.
.
.
(বাকিটা নেক্সট পর্বে)
.
.
“”ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।গতকাল আমার HS পরীক্ষার রেজাল্ট।চার মাস আগে পরীক্ষা দিয়েছি আর গতকাল রেজাল্ট দেবে।আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যাতে আমি ভালো রেজাল্ট করতে পারি।ধন্যবাদ।।””

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here