মুক্ত_পিঞ্জিরার_পাখি পর্ব ১

১।প্রেমিকের লাশ সামনে রেখে অন্যকাউকে বিয়ে করার অনুভূতিটা নিশ্চয়ই মৃত্যুসম। আর প্রেমিকের হত্যাকারীকে বিয়ে করার অনুভূতিটা নিশ্চয়ই নিজ পায়ে হেঁটে জ্বলন্ত চিতায় শায়িত হওয়ার মতো। এই মৃত্যুর চাইতেও অসহ্যকর বেদনাময় অনুভূতিটাই আজ অনুভব করছে পক্ষী।
হাত ভর্তি মেহেদির মাঝে বড় করে নাম লিখা দুই বছর প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে থাকা প্রেমিক ‘প্রথম’ এর নামটা লিখা, অথচ আজ কবুল বলছে অন্যকারো নামের! তার ভালোবাসার খুনীর নামের!
চোখজোড়াও এখন স্তব্ধ। অশ্রুতে নয়নযুগল জলজল করলেও, কোনো অশ্রুকণাই এখন আর বইতে ইচ্ছুক নয়। কথায় আছে, ‘স্বল্প শোকে কাতর অতি শোকে পাথর’।

“মা, কবুল বল! কবুল বল! সবাই অপেক্ষা করছে তো…”

বাবার কথায় ধ্যান ভাঙে পক্ষীর। নির্লিপ্ত ভঙ্গিমায় বাবার দিকে তাকায় সে; তবে নয়নযুগলে রাগ, দুঃখ, কষ্ট, অভিমান স্পষ্ট। মেয়ের মনের কথা বুঝেও না বুঝার ভান করে, অসহায় যে সে অনেক। আবার বলে,

“মা, কবুল বল! সবাই অপেক্ষা করছে।”

মৃদু গলায় বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলল,

“মনের বৈধতাই যেখানে নেই, সেখানে ধর্মের বৈধতা দিয়ে তো কিছু হওয়ার নয়। সম্পর্কের ভিত্তিটাই যখন কারও দায়বদ্ধতা আর কারও দায়মুক্তি, শুধুমাত্র শারীরিক ও সামাজিক সম্পর্ক স্থাপন তখন এই লোকদেখানো নিয়ম পালনের দরকার নেই তো।”

মুখশ্রীতে কঠোর ভাব আসলো আসলাম দেওয়ানের। ধীর কিন্তু রাগী গলায় বললেন,

“বাপ-মার মরণ দেখতে চাস নাকি মেয়ে? তোর মা-বোন ঠিকই বলতো, তুই আসলেই অপয়া! নাহলে বিয়ের লগ্নে কারো স্বামী মরে নাকি! এখন মানসম্মান যা বেঁচে আছে, তা রাখ! আর আমায় মুক্তি দিয়ে দূর হ আমার বাড়ি থেকে।”

পক্ষী হতভম্ব হয়ে যায়, যেন এক ঘোরে চলে যাচ্ছে সে। বিশ বছরের জীবনে সে অনেক অপদস্থ হয়েছে, কিন্তু বাবা ছিল তার নিরাপদ স্থল। সেই বাবার মুখে বিনাদোষে করা এমন কঠোর অপমান সহ্য করার নয়, বরং সম্পূর্ণ আশ্চর্যজনক এক ঘটনা। যা তাকে পূর্ণরূপে স্তব্ধিত করেছে।

এর মাঝেই কাজি বলে উঠল,

“বলো, কবুল! সময় হচ্ছে তো।”

এক ঘোরেই সে বলে দিল,

“কবুল”

এভাবেই তিন কবুল বলে ফেলল পক্ষী। কাজী সাহেবকে আরিজকে উদ্দেশ্য করে বলল,

“আপনার আসলাম দেওয়ানের বড় কন্যা মাহিমা পক্ষীর সাথে বিবাহ কবুল?”

কয়েক মুহূর্ত কাটার পর সেও ধীর গলায় বলল তিনবার কবুল বলে ফেলল।

কাজী সাহেব খুশিমনে বললেন,

“আলহামদুলিল্লাহ, ধর্মীয়ভাবে আপনাদের বিবাহ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধুমাত্র দুটো সাইন দিলে আইননুসারে আপনাদের বিয়ে হয়ে যাবে।”

আরিজ ও পক্ষীর সাইনের মাধ্যমে পূর্ণ হল এই বিয়ে।

এর মাঝেই কেউ একজন তাচ্ছিল্যের স্বরে বলে উঠে,

“মাইয়ার কপালডা মেলা ভালা, নাহলে এমন বাইট্টা মেয়েলোকের আবার লগ্নভ্রষ্টা হয়া কারো বিয়া হয়? তাও আবার এমন খানদানী পোলার লগে! মনে হচ্ছে রাজপুত্রের গলায় ঝুলসে ঘুঁটেকুড়ুনি।”

এইসব তিক্ত বাক্য বুকে পাথর চেপে গলাধঃকরণ করে নিল। মনে মনে বলল,

“শুনেছিলাম, হিন্দুদের শিব দেবতা নাকি বিষ গলাধঃকরণ করেছিল দুনিয়ার রক্ষার্থে, আজ আমি করলাম সবকিছু মুখে কুলূপ এঁটে গলাধঃকরণ পরিবারের মাথা থেকে বোঝা সরাতে।”

আরিজের বাবা আজমল জামান তাড়া দেখিয়ে বলেন,

“আসলাম ভাই, বিয়া তো শেষ হয়েছে। এখন আর দেরি করতে চাচ্ছি না, বাড়ি যেতে হবে আমার আবার রাত তিনটেতে ফ্লাইট আছে চিটাগাংয়ের।”

এই কথাটা বলা মাত্রই পক্ষীর চোখ গেল প্রবেশ দরজার দিকে। দেখতে পেল, প্রথমের পরিবারের সবাই চোখ মুছতে মুছতে প্রথমের রক্তস্নাত দেহকে এম্বুলেন্সে তুলছে, নিজেরেও গাড়িতে উঠে বসে। এখন আর তার চোখজোড়া বেয়ে অজস্র অশ্রুজল বেয়ে পড়ল না, বরং পাথরের মূর্তির নিষ্প্রাণতা ছেয়ে থাকা চোখমুখ।

আনমনেই বিড়বিড় করে বল্ল,

“পেয়েও পাওয়া হয়নি যে তোমায়,
ভুলতে কি পারবো আদৌ?
জানা নেই তো উত্তর এই প্রশ্নের,
তবে জানি তুমি মোর জীবনের অংশ বড়।”

আরিজ ও পক্ষী গাড়িতে উঠার সমউ আসলাম দেওয়ান মেয়ের হাত আরিজের হাতের মাঝে রেখে শুধু একটা বাক্যই করুণ গলায় উচ্চারণ করলেন,

“মেয়েটাকে দেখে রেখো।”

আর কিছু না বলেই চোখজোড়া মুছতে মুছতে বাড়ির ভিতরে চলে গেলেন। তবে এসবে বিন্দুমাত্র ধ্যান নেই আরিজের, বরং, চোখেমুখে শুধুমাত্রই বিরক্তি ও ক্ষোভ। বাবার যাওয়ার দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে পক্ষী, আজ একসাথে দুজন গুরুত্বপূর্ণ পুরুষের ছায়াতল হারালো সে।

এখানেই সমাপ্তি ঘটলো পক্ষীর জীবনের অবিচ্ছিন্ন দুটি অধ্যায়ের। সেই সাথে মূর্তির ন্যায় স্তব্ধ নয়নযুগল থেকে অলৌকিক ভাবে একফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। আজ থেকেই পথ বাড়ালো নব জীবনের দিকে পুরাতন মানুষ ও জীবনকে ছেড়ে।

২।
রাতের অন্ধকারচ্ছন্ন আকাশে ঝিলিক দিচ্ছে তারাগুলো, যুবতী শূণ্য দৃষ্টিতে দেখছে আকাশটা। মৃদু বাতাসে তার খোলা চুলগুলো উড়ছে। আপন মনেই ভেবে উঠলো,

“আজ পাশে প্রথম থাকলে নিশ্চয়ই রবি ঠাকুরের মতো কবিতার ঝুড়িঝুড়ি কবিতা বুনে ফেলতো আমাদের নিয়ে। আল্লাহ, দু’জন মানুষের কাছেই তো ঠাঁই পেয়েছিলাম, তাদেরও ছিনিয়ে নিলে…”

দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার আকাশের দিকে তাকায়। চোখ যেয়ে পড়ে অর্ধচন্দ্রের উপর।

আকাশে শত শত তারার মাঝে একদম অন্যরকম ও আলাদা অস্তিত্ব চাঁদের, তাই তো এত আকর্ষণীয় সে লোকচক্ষুর কাছে। কেউ তো আর দেখে না তার গহীনে, যেখানে শুধুই একাকিত্ব বিরাজমান। মানুষদেরও একই দশা, সবাই বাহির থেকেই বিচার করে যায় ভিতরের অনুভূতিটা জানার আগ্রহও কারো থাকে না।

ঠাশ জাতীয় শব্দে ভাবনার ঘোর ভাঙে পক্ষীর। চমকে উঠে পাশে তাকাতেই দেখে আরিজই দরজাটা ঠাশ করে লাগিয়ে হনহন করে চলে যাচ্ছে।

এর মানে পৌঁছে গিয়েছে সে। দরজাটা খুলে নিজেই গাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। সামনে তাকাতেই স্তব্ধ হয়ে যায়, বিরাট বড় এক পাঁচ তলা এপার্টমেন্ট, সজ্জিতও বেশ। দেওয়ালের উপর কারুকার্য ও প্রবেশদ্বারের রূপই প্রকাশ করছে সৌখিন মানুষের সৌখিনতার বহিঃপ্রকাশ বাড়িটি। নিঃসন্দেহে এই বাড়িটিই তার তথাকথিত স্বামীর বাড়ি।

“এজন্যই ঐ মহিলা বলেছে ঘুঁটেকুড়ানি হয়ে রাজপুত্রের গলায় ঝুলেছি। কিন্তু ঘুঁটেকুড়ুনির এত প্রাচুর্য সয়? আমি তো চাইনি এসব, প্রথমের ছোট্ট কুঠিরেই ছোট্ট সংসার বাধতে চেয়েছিলাম। তবে কেন…?”

এসব ভাবতে ভাবতেই তার শ্বশুর মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন,

“মা, তুমি কিন্তু আরিজের কাজে কষ্ট পেয়ো না। তোমাদের বিয়েটা তো আর আট-দশটা বিয়ের মতো হয়নি তাই…”

উনি এসব বলতে বলতেই পক্ষীর মুখশ্রীর দিকে তাকায়। মেয়েটার বিবর্ণ মুখ দেখে আর পারে না মিথ্যে আশা দিতে।

শুধু মৃদু গলায় বললেন,

“ভিতরে চলো।”

৩।
বর্তমানে মূর্তির মতো বাসরঘরে বসে আছে পক্ষী, ঘরকে বাসরঘর বললে ভুলই হবে। বাসরঘর বলতে ফুল দিয়ে সজ্জিত এবং দু’টি মানুষের প্রণয়ের প্রকৃত অর্থে পূর্ণতা পাওয়ার স্থান তথা ঘরটিকে বুঝায়। আর এই রুমটি উক্ত দুটি শর্তের একটিও পূরণ করে না।

পক্ষীর মোটেও ইচ্ছে করছে না ঐ অনাকাঙ্ক্ষিত খুনি লোকটার জন্য অপেক্ষা করতে। তবুও করতে হবেই হয়তো।

তখনই বড় জা এসে তার হাতে একগ্লাস দুধ ধরিয়ে দিয়ে যায়। সাথে তাকে বেশ ভালোভাবে আদেশ করার নেয় বলে,

“শোনো মেয়ে, আমার দেবর আসা পর্যন্ত এখানে এভাবেই অপেক্ষা করবে। যতো যাই হোক…”

কথাটার বলার ভঙ্গিমায় পক্ষীর বুঝতে বাকি রয়নি যে এই নারীটিও তাকে পছন্দ করে না। কেন যেন মনে হচ্ছে এই বাড়িটিতে তার থাকা বেশ কষ্টসাধ্যই হবে। আবেগে জীবন চলে না তা সে খুব ভালো করেই জানে, যেহেতু এই বাড়িই বর্তমানে তার একমাত্র ঠাঁই তাই তাদের কথা অমান্য করার মানে নিজ পায়ে নিজ হাতে কুড়াল মারা। মনে মনে নিজেকে শক্ত করে নিয়েছে সে। রাগে-ক্ষোভে শেষ ঠিকানা হারালে রাস্তার একদল কুকুর ছিঁড়ে খাবে তাকে।

রাত বারোটা বাজার পরও যখন কারো আসার সাড়াশব্দ না পায়। লোকটি আর আসার নয় ভেবেই খাট ছেড়ে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ায়। ভারি বেনারসি শাড়িতেই কৃত্রিম ঝর্ণা ছেড়ে দাঁড়িয়ে যায়। শোকানুভূতির মাঝে সে আজ সম্পূর্ণ রূপে ডুবে। কোনটা ছেড়ে কোনটার শোকে কাতর হবে ভেবেই পাচ্ছে না। প্রেমিকের মৃত্যুর শোকে অশ্রু ঝরাবে নাকি বাবাও আজ পর করে দিল ভেবে নিরব কষ্ট পাবে নাকি নিজের প্রেমিকের খুনীর সাথে ভাগ্য জুড়ে যাওয়ায় অতি শোকে পাথর হবে নাকি এসব কিছু মিলিয়ে এবং সামনের অন্ধকারচ্ছন্ন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তার মৃত্যুর পথ বেছে নিব; কোনটা করা উচিত তার?

এতসব ভাবনায় অসহ্য মাথা ব্যথার সৃষ্টি হয় দু’হাতে চেপে ধরে মাথা। পার্লারে চুল বাধানো না হওয়ায় চুলগুলো খোপার বন্ধন হতে অনায়াসেই মুক্ত হয়ে যায়।

সে একদৃষ্টিতে মেঝের ধূসরা টাইলসের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলে উঠে,

“আমার সবটা আজ অগোছালো,
একাকিনী আমিই আজ আমার দুনিয়ায়।
হৃদয়ভর্তি তিক্ততা আর একবিন্দু ভালোবাসা
গোটা জীবনের সঙ্গী হল তাই। ”

প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ভিজে বের হতে নেওয়ার সময় দেখল শাড়ি ও অন্যান্য বস্ত্র ভিজে জল টইটুম্বুর। এগুলো পরে বাইরে বের হলে ফ্লোরও অনেকটা ভিজে যাবে।

‘যদি আবার এ নিয়ে কোনো সমস্যা হয়…’

ভেবেই গুটিয়ে নেয় নিজেকে। আজকাল তার জীবনটা অনেক নাটকীয় ভাবে চলছে তাই সবকিছুতেই কেমন দ্বিধা-ভয় কাজ করছে অযাচিত ফলাফল পাওয়ার। বড় নির্মমও লাগে এখন পৃথিবীর মানুষ ও ভাগ্যটাকে পক্ষীর।

যেহেতু ঘরে আরিজ আসার কোনো প্রকার শব্দই সে পায়নি, তাই শুধু টাওয়ালে গায়ে জড়িয়ে বের হওয়াকেই বুদ্ধিমানের কাজ মনে হয়। কিন্তু দরজা খুলে নত দৃষ্টিতে কয়েক কদম এগিয়ে বেডের দিকে তাকাতেই স্তব্ধ হয়ে যায় সে।

আরিজের এমনিতেই মেজাজ খারাপ এই বিয়ের জন্য। তার উপর পক্ষীকে এই অবস্থায় তার সামনে উপস্থিত হতে দেখে গোটা অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হল তার রাগ। কেন যেন তার মনে হল সামনে উপস্থিত মেয়েটা বড় স্বার্থান্বেষী, নাহলে কোনো মেয়ে প্রেমিকের মৃত্যুর দিন অন্যকাউকে বিয়ে করতে পারে?

তীব্র ক্ষোভ নিয়ে বড়বড় পা ফেলে পক্ষীর কাছে যেয়ে একঝললে তার হাত মুচড়ে ধরে হিসহিসিয়ে বলল,

“কী ভেবেছো এভাবে শরীর দেখিয়ে আরিজ জামানকে পটিয়ে ফেলবে? আরিজ জামান তোমার মতো মেয়ের দ্বারা পটবে… আমার বেডে আসতেও যোগ্যতা লাগে! আমি শুধুমাত্র আমার প্রিয়তমার, কথাটা ভালোভাবে মাথায় ঢুকিয়ে নেও! প্রিয়া তোমার জন্য আমার কল ধরছে না, যদি ওর কিছু হয় না। দেন ইউ আর জাস্ট ফিনিশ! ”

বলেই ধাক্কা দিয়ে তাকে নিচে ফেলে বারান্দায় চলে যায়। যুবতী চোখের কোণ জলে জমে গিয়েছে। সে চোখের কোণের জলটুকু মুছে শক্ত ভাবে বলে উঠে,

“সামটাইমস ইউ হ্যাভ টু ইন্ডুউর এভ্রিথিং কুয়াইটলি, জাস্ট টু এস্কেপ ফরেভার।”

ব্যাগ থেকে নিজের একটা থ্রিপিস বের করে ওয়াশরুমে যেয়ে পড়ে আসে। বেডে একধারে আধশোয়া হয়ে ফোনের গ্যালারিতে বিদ্যমান পুরোনো স্মৃতিগুচ্ছ আওড়াতে থাকে।

অপরদিকে আরিজ একহাতে থাকা জ্বলন্ত সিগারেট বারবার দু’ঠোঁটের ফাঁকে গুঁজে নিচ্ছে, অপরহাতে ফোন নিয়ে বারবার প্রিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে।

অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনায় আজ দু’জনের জীবনের পাতার সূচনা হল। অথচ, মেনে নিতে কেউই ইচ্ছুক নয়, রাজি নয়। সবাই পুরোনো অধ্যায়গুলোকে হারানোর শোকে কাতর হয়ে সেসব আকড়ে ধরতে ব্যস্ত,

“ঐ যে উড়ে যাচ্ছে জীবনের অতিত পাতাগুলো,
ধরার শত প্রচেষ্টায়ও ব্যর্থ হচ্ছে মানুষগুলো,
দিনশেষে শুধু হাতের মাঝে রয়ে গেল
একগুচ্ছ স্মৃতি আর হাজার খাণেক পিছুটান।
— ঈপ্সিতা শিকদার”

#মুক্ত_পিঞ্জিরার_পাখি
#পর্বঃ১
#Ipshita_Shikdar

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here