#মেঘের_দেশে_তারার_মেলা💚
#Mishka_Moon (লেখনীতে)
#পর্ব_১৪_অন্তীম
“হঠাৎ আপার কথা মনে হলো আপা ঠিক আছে তো?
“নার্সকে তৎক্ষনাৎ জিজ্ঞেস করলাম আমার আপা কেমন আছে? সেন্স ফিরেছে?
“নার্স আমার কথার উত্তর না দিয়ে শুধু তাকিয়ে ছিল। এর মধ্যে ডক্টর চলে আসলো। আমি ডক্টরের কাছে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ডক্টর আমার আপা?
“দুঃখিত অনেক চেষ্টার পরেও আপনার আপাকে আমরা বাঁচাতে পারিনি। উনার অতিরিক্ত র*ক্ত*ক্ষরণ হয়ে ছিল। উনি বলেছিলেন উনার যা হয় হোক কিন্তু উনার মেয়েটাকে যেনো আমরা বাঁচানোর চেষ্টা করি। আল্লাহ রহমতে বাচ্চাটাকে বাঁচাতে পারলেও তাকে বাঁচাতে পারিনি। আমরা দুজনকেই বাঁচানোর চেষ্টা করে ছিলাম। এতটুকু বলে ডক্টর চলে গেলো। কাল রাত থেকে দুলাভাইয়ের খবর পাচ্ছিলাম না। অনেক বার কল করার পরেও একই কথা বলছিল- আপনার ডায়ালকৃত নাম্বারটি এই মূহুর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমি আর তোর বাবা বুঝতেই পারছিলাম না এখন কি করবো। দুলাভাইয়ের জন্য একদিন অপেক্ষা করি আমরা শেষ পর্যন্ত না আসায় আমার বাড়িতে খবর দেই। যতই বাবা মা রাগ করে থাকুক সন্তানের মৃ*ত্যুটা কেউ মেনে নিতে পারে না তারাও পারেনি। সব ভুলে ছুটে আসে। আমরা সবাই মিলে আপার দা*ফন করি।”
“দুদিন পরে খবর আসে দুলাভাই রোড এক্সি*ডেন্টে সেই রাতেই মা*রা গিয়ে ছিল। চেহারা বোঝা যাচ্ছিল না আর কিছু তদন্তের জন্য পুলিশের খবর পাঠাতে দেরি হয়েছে। এমনটাই বলে পুলিশ তবে কথাটা কতটা যুক্তিসংগত আমার জানা নেই। অনেক কা*টা*ছেঁ*ড়ার পর তাকে ছাড়ে। দুদিনের ব্যবধানে সব শেষ হয়ে যায়। তাকে দাফন করে তোকে আমাদের বাসা বাড়িতে নিয়ে যাই।”
“আমি বিধাতার কাছে একটা সন্তান চেয়ে ছিলাম তবে এভাবে চায়নি। আপার মৃ*ত্যুটা আমি মেনে নিতে পারিনি। তবে তোর মুখের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে ভুলেই গেলাম তুই আমার সন্তান না। তোর এক বছর বয়সে আমরা শহর ছেড়ে এখানে চলে আসি। তোর বাবা ব্যবসা করতে শুরু করে। তোর কথা শুনে আমার শাশুড়ী মা মেনে নিতে চায়নি। এখনো হয়তো নিতে পারেনি। শুধু তোর বাবার জন্য কিছু বলতে পারেনি। তবে তোকে পেয়ে এই বাড়ির সবাই খুশি হয়েছিল শুধু তোর দিদুন বাদে। কেনো তিনি মেনে নেননি আমার জানা নেই।
“তুই আমার আপার সন্তান। আমি চায়নি লোকে তোকে এতিম বলুক। তাই নিজের সন্তানের পরিচয়ে বড় করেছি। এতোগুলা বছরের আমি যে এই সত্যিটা ভুলেই গিয়ে ছিলাম রে। আমি কি খুব বড় অন্যায় করে ফেলেছি!? কথা গুলো বলে কান্না করতে করতে বসে পরে পিহুর মা। পিহু নিজের এতো বড় অতীত জেনে স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার জীবনটা যে এখন তার কাছে সিনেমার মতো লাগছে। চারপাশে সবাই চুপচাপ কারো মুখে কোনো কথা নেই। আহিরের মায়ের নিজের কাছে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে। সেও তো পিহুকে ভালোবাসে। এক সন্তানের জন্য সে কি আরেক সন্তান কে খুব বেশি কষ্ট দিয়ে ফেললো? আহিরের শোকে যে সে সব ভুলতে বসে ছিল। পিহুর মুখের দিকে এখন আর সে তাকাতে পারছে না। সবার চোখে পানি ছলছল করছে। কিন্তু কারো মুখে কোনো কথা নেই।”
অন্যদিকে______
“কি!?
“পুলিশ গুলো ভাইয়ার থেকে প্রমাণ গুলো নিয়ে নেই। আর সেগুলো সেই শয়*তান গুলোর হাতেই অনেক টাকার বিনিময়ে দিয়ে দেয়। তখন থেকে তারা ভাইয়ার পেছনে লেগে যায়। অবৈধ কাজের সাথে জড়িত বলে ভাইয়া কে জে*লে পাঠিয়ে দেয়। মা এই খবর জানতে পেরে আমায় নিয়ে থা*নায় যায়। তারা ভাইয়া কে ছাড়তে চায়না। অনেক জায়গায় ঘুরে ঘুরে ভাইয়া কে আমরা বাড়ি আনতে পারি। মা কেজি স্কুলে আর কয়েকটা টিউশনি করিয়ে আমাদের সংসার চালাতো। কিন্তু ভাইয়ার এই ঘটনা শুনে মায়ের কাজ ও চলে যেতে থাকে । মা ভাইয়াকে এগুলো ছেড়ে দিতে বললেও সে রাজি হয় না। মা রেগে একটা থা*প্পড় মা*রে ওকে বলে বের হয়ে যা। কিছু না বলে বাড়ি থেকেবের হয়ে যায়।”
“আমার পরীক্ষা শেষ হয়। তার কিছু দিন পরেই বাড়িয়ালা আমাদের বাড়ি ছাড়তে বলে কোথায় যাবো আমরা? অনেক অনুরোধ করার পরেও তাড়িয়ে দিতে চাওয়া হয় আমাদের। কয়েক মাসের ভাড়া বাকি ছিল। ভাইয়া এর মধ্যে কয়েক বাড়ি আসলেও মা বার বার ফিরিয়ে দেয়। হঠাৎ ভাইয়া আসা বন্ধ করে দেয়। কোথায় থাকতো জানতাম না আমরা। এই সুযোগে বাড়িওয়ালা আমাদের বের করে দেয়। কেউ কিছু বলে না আসে পাশের মানুষ জন শুধু তাকিয়ে দেখে।
“রাস্তা দিয়ে হাটঁতে হাটঁতে হঠাৎ আমি মাঝ রাস্তায় চলে আসি মায়ের হাত ছেড়ে। আমি ছোট না হলেও আমার খেয়াল ছিল না গাড়ি আসছে। আমি বাবা আর ভাইয়ার কথা ভাবছিলাম। মা এই দৃশ্য দেখে চিৎকার করে ওঠে আর কোনো কিছু না দেখে সেন্সলেস হয়ে যায়। সেদিন গাড়িটা আমায় ধাক্কা দেয়নি অল্পের জন্য আমি বেঁচে গিয়ে ছিলাম। গাড়িতে বসে থাকা লোকজন মা কে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। ডক্টর বলে মায়ের মানসিক অবস্থা ভালো না। আস্তে আস্তে পাগল হয়ে যেতে পারে। অনেক গুলো শোক সে মেনে নিতে পারেনি। হাসপাতালে আমি সব সময় মায়ের পাশে বসে থাকতাম। সরকারি হাসপাতাল হওয়ায় টাকা দিতে হয়নি। কিন্তু বেড ছেড়ে দিতে হয়ে ছিল। এক মাস পরে ভাইয়া খোঁজ পেয়ে সেই হাসপাতালে আসে। ততদিনে মায়ের অবস্থা আরো খারাপ। সবাই তখন মাকে পাগলা গারদে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করছিল। ভাইয়া কোনো মতো আমাকে আর মাকে নিয়ে আসে তার কাছে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম ভাইয়া কোনো খারাপ কাজের সাথে জড়িয়ে পরেছে। না হলে এতো অল্প দিনে এতো বড় বাড়ি করা সম্ভব নয়। আমি চলে যেতে চেয়ে ছিলাম কিন্তু কোথায় যাবো?
“মায়ের পাগলামি বাড়লে মানসিক হাসপাতালে রেখে আসতে আমরা বাধ্য হই। যদিও আমি তখনো চায়নি মাকে দূরে যেতে দিতে কিন্তু ভাইয়া বুঝিয়ে সুঝিয়ে আমাকে রাজি করায়। মা আমাকে, ভাইয়াকে কাউকে চিনতো পারতো না। দেখলেই কেমন করতো। ভাইয়া বলে কয়েক দিন পরেই মা কে নিয়ে আসবে। দুই সপ্তাহ পরে খবর আসে মা পালিয়েছে। কোথায় গেছে কেউ জানে না। পুলিশের কাছে যেতে চাইলে ভাইয়া রাজি হয় না। কারণ পুলিশদের ভাইয়া ঘৃ*ণা করে। সে একাই সৎ ভাবে না পারলেও অসৎ ভাবেই আমার বাবার খু*নিদের শাস্তি দেয়। এসব আমার পছন্দ হতো না তাই আমি বাহিরে চলে যাই একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি হই কারণ এডমিশনের সময় ছিল না। ভাইয়া এখনো মনে প্রাণে চায় মা ফিরে আসুক। একটা রহস্য জনক কথা শুনবেন?
” কি!?
“ভাইয়াকে যারা এই মাফিয়া জগতে নিয়ে এসেছে তারাই আমার বাবার খু*নি ছিল। তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করায় আমার বাবা কে হারাতে হয়েছিল। তারাই ভাইয়া কে নিয়ে আসে এমন সাহসী ছেলে তাদের দরকার বলে। তারা ছিল মোট পাঁচ জন। ভাইয়া ধীরে ধীরে সবার বিশ্বাস অর্জন করে একজন কে দিয়ে অন্য জনের খু*ন করায়। শেষ পর্যন্ত জলে নেমে কুমিরদের মধ্যে মা*রা মা*রি লাগিয়ে সে দর্শক হয়ে দেখতে থাকে। বলতে যতটা সহজ লাগলেও কাজটা কিন্তু সহজ ছিল না। সব শেষ হওয়ার পরেও ভাইয়া এখান থেকে বের হতে পারেনি ততদিনে পুলিশ ভাইয়ার বিষয়ে জেনে যায়। তবে প্রমাণের অভাবে ধরতে পারেনি। ভাইয়া এখন নিজেকে অপরাধী ভাবে সে যদি এমন না করতো মা হয়তো আমাদের সাথে থাকতো। আমিও এটাই মনে করি। এই জন্য আমি তার কাছে থাকতাম না। এতোগুলা কথা শেষ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে মায়শা। আহিরের ভিষণ খারাপ লাগছে।”
“দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ পার হয়ে যায়। আহিরের এখনো কোনো খবর নেই। এখন আর পিহু কে কেউ কিছু বলে না। ঢাকা থেকে আসার পর থেকেই পিহুর জোর এক সপ্তাহ হয়ে গেছে ঠিক হওয়ার নামই নেই। হবে কেমনে! পিহু যে ঔষধ মুখেই তুলে না। সবাই খুব টেনশনে আছে।”
“অন্যদিকে আহির প্রমাণ সংগ্রহ করলেও সে চায়না মায়ান কে ধরিয়ে দিতে। কারণ মায়শা একা হয়ে যাবে। তার যে আর কেউ নেই এই পৃথিবীতে। কিন্তু সে আর থাকতে পারছে এখানে তাকে যেতে হবে পিহুর কাছে। তার মন বলছে তার পিহু ভালো নেই। আহির বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে”
“তোর মনে আছে পিহু? ছোট বেলায় তোর একবার ভিষণ জ্বর এসেছিল। সেই অবস্থাতেই তুই আমার কাছে বায়না ধরেছিলি আইসক্রিম খাবি। আমি কোনো মতেই কিনে দিতে রাজি হয়নি। তখন তুই কি বলেছিলি মনে আছে!?
-” আহির ভাই আমাকে তাড়াতাড়ি আইসক্রিম কিনে দে নইলে কিন্তু খুব বিপদ হয়ে যাবে?
-“কেনো কি বিপদ!?
– ” আমাকে মা*রা মা*রি ছাড়াতে যেতে হবে। কিন্তু এখন তো আমার জ্বর।আইসক্রিম না খেলে তো জ্বর ঠিক হবে না। আর ঠিক না হলে আমি যেতেও পারবো না।”
-“কি বলছিস কার মা*রা মা*রি লাগছে!?
-“চাঁদ মামা আর সূর্য মামার।”
-“মানে!?
-” আরে আহির ভাই তুই তো কিচ্ছু জানিস না। আমি বলছি তুই শোন। মেঘের দেশে তারার মেলা হচ্ছে। সেই মেলা দেখতে গিয়ে ছিল চাঁদ মামা আর সূর্য মামা। সেখানে গিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। আর ঝগড়া থেকে মা*রা মা*রি লেগে যায়। তাদের ঝামেলা থামানোর জন্য তারাদের রানী আমাকে খবর পাঠিয়েছে। আমি আইসক্রিমের জন্য যেতে পারছি না। এখন তারাতাড়ি কিনে এনে দে আমাকে যেতে হবে।”
“এমন কথা তোর পক্ষেই বলা সম্ভব রে পিহু। ভাবলেও অবাক লাগে সেই ছোট্ট পিহুটা এখন আমার বউ।”
“এতক্ষণ দরজায় দাঁড়িয়ে সব শুনছিল মায়শা। আহির আজকে দরজা লক করতে ভুলে গিয়ে ছিল। তবে আহির যে বিবাহিত এটা সে জানতো না। জানলে কখনোই আহির কে এখানে নিয়ে আসতে বলতো না।”
– আপনি বিবাহিত!?
“হঠাৎ কারো কন্ঠে চমকে ওঠে আহির। মায়শা কে দেখে শান্ত ভাবেই উত্তর দেয় -হুম। হঠাৎ গু*লির শব্দে দুজনেই চমকে উঠে। পুলিশ আহির কে খুঁজতে খুঁজতে এখান পর্য়ন্ত পৌঁছে গেছে। মায়ান দৌড়ে আসে মায়শা আর আহির কে নিয়ে পালানোর জন্য কিন্তু আহির তাদের দুজনকে চলে যেতে বলে। মায়ান আহির কে রেখে যেতে চায়না। কিন্তু মায়শার যতই কষ্ট হোক সে চায়না কারো ঘর ভাঙতে। তাই মায়ান কে বলে উনি আমাদের সাথে গেলে আমি যাবো না। মায়ান বাধ্য হয়ে মায়শা কে নিয়ে পালাতে থাকে। আহির অবশ্য তাদের পালাতে সাহায্য করেছে। আহির এতো বড় সুযোগ হাত ছাড়া করবে মায়ান ভাবতে পারেনি। যাওয়ার আগে আহির তাকে একটাই কথা বলেছে। “সব পুলিশ কিন্তু খারাপ হয় না” আশা করবো এখন থেকে ভালো হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। উত্তরে মায়ান শান্ত চোখে তাকায়।
“আর মায়শা! সে আর পিছু ফিরে তাকায়নি।”
♪
♪
♪
“আহির দেরি না করে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেয়। সকালে ঘুম ভেঙে সামনে থাকা ব্যক্তিকে দেখে চমকে যায় পিহু। চিৎকার দিয়ে উঠে বাড়ির সবাই দৌড়ে আসে। বাড়ির সবার সকল অভিযোগ শুনে ভোর রাতে পিহুর পাশে এসে ঘুমিয়ে ছিল আহির। সকাল সকাল পিহুর চিৎকারের কারণ তার মাথায় ঢুকলো না। সবাই এক সাথে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে রে পিহু!?
-” ও এখানে!
– “কেনো আপনি বুঝি আমাকে দেখে খুশি হননি?
“বাড়ির সবাই তাদের রেখে কিছু না বলে চলে যায়। তাদের এখন আলাদা সময় দেওয়া দরকার।”
-“তুই কখন এসেছিস?
-“আবার তুই? যাইহোক ভোরের দিকে।
-“আমাকে ডাকিস নি কেনো?
-“যে কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমাচ্ছিল ডাকতে ইচ্ছে করেনি।
-“তোর কি আমার কথা একবারও মনে পরে নি?
-“তোর পরেনি বুঝি? আচ্ছা বাদ দে আইসক্রিম খাবি না? তারাদের রানী বুঝি এবার খবর পাঠায়নি?
“পিহু এবার ইমোশনাল হয়ে যায়। আর সময় নষ্ট না করে আহির কে জড়িয়ে ধরে। কান্না করতে করতে বলে তুই আবার চলে যাবি না তো?
“মেলা তো হচ্ছে তবে মেঘের দেশে নয় আহিরের মনে দেশে। অবশেষে তার সংসার জীবন শুরু হতে চলেছে।”
“সবাই মিলে এখন বেশ ভালো আছে। ফুলমতিও নিজের ফুল বুঝতে পেরেছে। সে আগের যুগের মানুষ। পিহুকে যখন এ বাড়িতে নিয়ে আসে তখন সে ভেবে ছিল তার ছেলের যদি কোনো ক্ষতি হয়। জন্মের সময় বাবা মা মা*রা গেছে। এই মেয়ে তো শুভ নয়। এসব ভেবে উনি পিহুকে আপন করতে পারেনি। তবে এখন তার ভুলটা ভেঙেছে।”
একবছর পর____
“আহির আর পিহুর দুষ্ট মিষ্টি সংসার সুখেই চলছে। তারা আবার শহরে চলে এসেছে। পিহু অর্নাসে ভর্তি হয়েছে। আহিরের কাজও চলছে সমান তালে।”
“ইদানিং পিহুর শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। কিছু খেতে পারে না বমি হয়ে বের হয়ে যায়। আহির দুশ্চিন্তায় পরে যায় ডক্টরের কাছে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু পিহু রাজি হয়না। তার মনে একটা সন্দেহ হয়।”
“পিহু আজকে বিকালে জানতে পেরেছে তারা দুজন থেকে তিনজন হতে চলেছে। আহির কখন বাড়ি আসবে! কখন সে কথাটা বলবে! সময় যেনো যাচ্ছে না। আহির কি খুব বেশিই খুশি হবে!?
– “হঠাৎ পিহুর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কলিং বেল বেজে উঠে। ধীরে ধীরে পিহু দরজার দিকে এগিয়ে যায়। দরজা খুলতেই আহির ভেতরে এসে জিজ্ঞেস করে – কি হয়েছে!? এমন বড়সড় ঘোমটা দিয়েছো কেনো?
” পিহুর হঠাৎ খুব লজ্জা লাগছিল তাই দরজা খোলার আগে ঘোমটা দিয়ে ছিল।”
– “কি হলো কিছু বলো?
– “তুই মানে তুমি,,,
-” আমি কি?
“তুমি বাবা হতে চলেছো! কথাটা বলে এক দৌড়ে ভেতরে চলে যায়। আহির শোক খাওয়ার মতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সে যা শুনলো তা কি সত্যি!?
“এখন থেকে তারা আর দুজন নয় তিনজন।”
সমাপ্ত
(