#মেঘ-বৃষ্টি
❤❤পর্ব=১০
রোদ-রোদেলা
#তানিয়া[আনিতা]
বৃষ্টি সন্ধ্যার দিকে ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘরে গেল কিন্তু বৃষ্টির শ্বাশুরি বৃষ্টিকে দেখে তার দিকে এগিয়ে গিয়ে
——কিরে মা এখানে কি করছিস কিছু লাগবে
——আসলে মা রুমে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছিলাম তাই এখানে এলাম আর রোদেলাকেও দেখছি না
—— ও তাই বল আসলে কাল তো অনুষ্ঠান তাই রোদেলা ওদিকে একটু বিজি আছে আর মেঘ একা তাই মেঘের সব কাজে রোদেলা অনেক সাহায্য করে আসলে মেয়েটাও হয়েছে ভাই পাগল তার ওপর একমাত্র ভাই এর বিয়ে তাই নিজ দায়িত্বে সব কিছু করছে।
বৃষ্টি কিছু না বলে কাজে হাত দিতে যাবে ওমনি তার শ্বাশুড়ি বলে উঠল
—— আরে আরে কি করছিস তুই কেন হাত লাগাতে যাচ্ছিস বাসায় কি সার্ভেন্টের অভাব আছে যে তুই কাজ করছিস যা রুমে গিয়ে রেস্ট নে কাল তো অনুষ্ঠান তোকে দেখতে সুন্দর লাগতে হবে এখন যদি রান্নাঘরে থাকিস তবে ফেস কালো হয়ে যাবে যদি কিছু লাগে তবে সার্ভেন্টদের বলবি ওরাই সব হাতের কাছে দিয়ে দিবে বলেই ওনি কাজে লেগে পরলেন
বৃষ্টি রুম থেকে বের হতেই রোদেলাকে দেখতে পায়, রোদেলাও দেখে বলে
——ভাবী নিচে এলে যে কিছু কি লাগবে
——না আসলে রুমে ভালো লাগছে না তুমি কাজে বিজি একা একা তাই
বৃষ্টি একটু মুখ কালো করে বলল
—— সরি ভাবী তোমাকে সময় দিতে পারছি না আসলে বুঝতেই তো পারছো একা হাতে সব দিকে সামলাতে হচ্ছে ভাইয়া সেই কোন সকালে বেরিয়েছে এখনো ফেরে নি তার ওপর কাল তো অনুষ্ঠান ভাইয়ার ওপর তো বেশি চাপ পরে যাচ্ছে তাই এদিকের কাজ গুলো আমি একটু করে নিচ্ছি যাতে ভাইয়ার একটু কষ্ট কম হয় কিন্তু চিন্তা করো না আমি একটু পর পর গিয়ে তোমার সাথে দেখা করে আসব বলে আবারও কাজের দিকে ছুটে গেল
,
,
,
,
এদিকে বৃষ্টি তাকিয়ে আছে রোদেলার যাওয়ার দিকে আসলে মেয়েটা খুব মিষ্টি। অনেক ভাবে পরিবারের কথা। মেঘকে তো খুব ভালোবাসে মেঘের সব কাজে সাহায্য করে। সবার সাথে মিশুকও বৃষ্টির সাথে অল্প কথা হয়েছে এরমধ্যে অনেক ভাব জমে গেছে দুজনের মাঝে। বৃষ্টি চিন্তা করে মেঘ তার পরিবারের কাছে কতোনা ভালো যদি তারা সত্যিটা জানতে পারে তবে। এসব ভাবতে ভাবতে বৃষ্টি ওপরে চলে গেল।
,
,
,
,
মাঝে মাঝে বৃষ্টির শ্বাশুরি আর রোদেলা এসে বৃষ্টির খোঁজ খবর নিচ্ছে। বৃষ্টির প্রতি ওদের এতো কেয়ার আর ভালোবাসা দেখে বৃষ্টি ভুলেই গেছে যে ও একটা নতুন পরিবেশে এসেছে আর যাদের সাথে কথা হচ্ছে তারা মেঘের মা বোন যাকে কিনা বৃষ্টি দু-চোখেও সহ্য করতে পারেনা এসব চিন্তা করতে করতে বৃষ্টি ঘুমিয়ে পড়ল। অন্য দিকে মেঘ বাসায় আসতে আসতে প্রায় অনেক রাত হয়ে গেল। রুমে ঢুকে দেখে বৃষ্টি ঘুমাচ্ছে তাই নিরবে সব কাজ করে নিজেও বৃষ্টির পাশে ঘুমিয়ে পরে।
পরের দিন সকালে
বৃষ্টি ঘুম থেকে উঠার আগেই মেঘ ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায় নিচে গিয়ে নাস্তা করে কাজে লেগে পরে। ৯ টার দিকে ঘুম ভাঙতে বৃষ্টি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামবে কিন্তু সিড়ির অর্ধেকে এসে থ হয়ে গেল কারণ পুরো বাড়িটা অনেক সুন্দর করে ডেকোরেট করা হয়েছে সিড় থেকে শুরু করে পুরো মেইন গেট পর্যন্ত সাজানো হয়েছে। সিড়ি দিয়ে নামতে যাবে রোদেলা এসে
——কিগো ভাবী ঘুম ভাঙলো এবার চট করে গিয়ে নাস্তা করে নাও একটু পর পার্লার থেকে মেয়ে আসবে তোমাকে সাজাতে তাই
——কি বলো অনুষ্ঠান তো সেই সন্ধ্যায় এখন কেন পার্লারের মেয়ে আসবে
——- ভাবি তুমিও না ওরা তোমাকে কতোরকমের ফেসপ্যাক লাগাবে আরো কতো কাজ আছে দেখবে ওসব করতে করতে সকাল কখন যে সন্ধ্যা হবে তুমি টেরও পাবেনা বলে বৃষ্টি কে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসিয়ে খাইয়ে আবারও ওপরে পাঠিয়ে দিল।
।
।
।
।
এদিকে বৃষ্টি মেঘের সাথে কথা বলার জন্য সুযোগ চাইছে কিন্তু কোনোভাবে পেরে উঠছে না কোনো না কোনো ভাবে ব্যর্থ হয়েছে সেই বিয়ের দিন দেখা হয়েছিল আজ দুদিন হতে চলল এখনো মেঘের দেখা মিলেনি তাই আর বৃথা চেষ্টা ও করল না। মেঘও চাইছে না কোনোভাবে বৃষ্টির সাথে দেখা হোক তাই আড়ালে থাকে কিন্তু ঠিকই দূর থেকে বৃষ্টির ওপর নজরদারি করে তারপর আবারও নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরে। আস্তে আস্তে সন্ধ্যা হয়ে গেল বাড়ির সব আলো জ্বলে উঠল।বাড়িটা দেখতে এখন অন্য রকম লাগছে।চারদিকে আলো আর আলো। বৃষ্টির সাজও প্রায় শেষ। রোদেলা রুমে ঢুকে বৃষ্টিকে দেখে থমকে গেল। রোদেলার এমন আাচরণে বৃষ্টি কিছুটা ইনোসেন্ট ফেস করে বলল
——কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছো কেন দেখতে কি ভালো লাগছে না
——কি বলো ভাবি ভালো মানে অসাধারণ লাগছে এমন ভাবে কেউ দেখলে তোমার দিক থেকে নজর ফেরাতে পারবে না। তাই তো বলি আমার ভাই তোমার জন্য এতো পাগল কেন সত্যি তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে কারো যেন নজর না লাগে বলে চোখের কাজল নিয়ে একটু ছুয়ে দিল তারপর সব গহনা পরিয়ে দিয়ে বৃষ্টি কে নিয়ে রিসিপশনের দিকে পা বাড়ালো।
,
,
,
,
,
,
সিড়ির কাছে আসতেই সব লাইট অফ করে দেওয়া হলো তারপর মেইন লাইটের ফোকাস বৃষ্টির দিকে তাক করা হলো।সবাই মুগ্ধ হয়ে বৃষ্টিকে দেখছে কারন বৃষ্টির পরনে গোলাপি লেহেঙ্গা তার ওপর গোল্ডেন পাথরের কাজ সাথে বিভিন্ন ডিজাইনের গহনা মাথায় টিকলি কানে ভারি ঝুমকো দুল সবকিছু মিলে আজকে বৃষ্টিকে পরীর চেয়ে কোনো অংশে কম লাগছে না। বলতে গেলে অসাধারণ। বৃষ্টি সিড়ি দিয়ে ধীরে ধীরে নামতে লাগলো অর্ধেক নেমে আসতেই সব লাইট জ্বলে উঠল আর সাথে সাথে দেখতে পেল তার সামনে মেঘ দাঁড়িয়ে আছে আর একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বৃষ্টির দিকে। আজকে মেঘকেও অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে তার পরনেও গোলাপি সেরওয়ানি সাথে গোল্ডেনর ছোট ছোট পুঁতির কাজ। তার সুঠাম ও সুন্দর দেহের সাথে সেরওয়ানিটা জাস্ট ফুটে উঠেছে। এভাবে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বৃষ্টি কখন যে নেমে মেঘের সামনে এসে দাড়িয়েছে টেরও পায়নি।মেঘের ডাকে হুস ফিরল বৃষ্টির।দেখতে পেল মেঘ তার দিকে হাত বাড়িয়ে আছে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বৃষ্টি মেঘের হাতে হাত রেখে রিসিপশনের দিকে পা বাড়ালো। তারপর তাকে সিংহাসনের ন্যায় একটা কেদারায় বসানো হলো। সবাই এসে বৃষ্টির সাথে পরিচিত হচ্ছে আর বৃষ্টির প্রশংসা করছে।দরজার দিকে তাকাতেই দেখতে পেল তার মা আর ভাই আসছে। বৃষ্টি দৌড়ে গিয়ে তাদের জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো।
——মা তোমরা এসেছো আমি তো ভেবেছিলাম তোমরা রাগ করে আমার বউভাতেও আসবে না খুব খারাপ লাগছিল তোমাদের জন্য
——হুম ভেবেছিলাম আসবো না কিন্তু মা তো কতোক্ষণ আর রাগ করে থাকা যায় তারওপর জামাই গিয়ে এতো জোরাজোরি করল না এসে পারলাম না মা কি আর সন্তানের ওপর বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতে পারে বল।
——মা আমি খুব খুশি হয়েছি যে তোমরা এসেছো।
.
.
.
তৎক্ষনাৎ বৃষ্টির শ্বাশুড়ি এসে হাজির। বৃষ্টি তার মায়ের সাথে তার শ্বাশুড়ির আলাপ করে দিল।তার শ্বাশুড়ি ও তাদের পেয়ে খুব খুশি হলো। তারপর তাদের নিয়ে একটা জায়গায় বসল। বৃষ্টি আবারও রিসিপশনে গিয়ে বসলো আর সেখান থেকে তার মা ও শ্বাশুিরকে দেখছে। দুজনকে দেখে মনে এক প্রশান্তি অনুভব করল।আর অন্য দিকে মেঘ বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে আর আড়চোখে বৃষ্টিকে দেখছে। বৃষ্টির দিক থেকে আজ যেন নজর ফেরানো যাচ্ছে না। কিন্তু লক্ষ্য করল বৃষ্টি যেন কারো অপেক্ষায় আছে আর তাই বারবার দরজার দিকে তাকাচ্ছে। হঠাৎ বৃষ্টি মুচকি হাসি দিয়ে উঠলো। দরজার দিকে তাকাতেই দেখতে পেল রোদ ভেতরে প্রবেশ করছে।মেঘ নিজেকে শক্ত করে আবারও বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে লাগলো।অন্য দিকে রোদেলা দরজার দিকে তাকাতেই হেসে উঠল।তারপর দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে নিলেই পিছলে পড়ে যেতে নেই। তাই ভয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়। হঠাৎ কারো স্পর্শ পেয়ে বুঝতে পারে কেউ তার হাত ধরে রেখেছে।চোখ খুলে তাকাতেই দেখে তার সামনে ব্লু পাঞ্জাবি পরা একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটাকে দেখেই রোদেলা কিছুক্ষন স্থগিত হয়ে রইল। সামনের ছেলেটার কথায় হুস ফিরল রোদেলার।
—— এইযে এভাবে যে দৌড়াচ্ছেন আরেকটু হলে তো পরে যেতেন।
——আসলে আমার বান্ধবীকে দেখে দৌড়ে আসছিলাম বুঝতে পারিনি এভাবে পরে যাব।ধন্যবাদ আমাকে বাচানোর জন্য। কিন্তু আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না।
—— আমি রোদ বৃষ্টির বন্ধু
——ও আচ্ছা ভাবির ফ্রেন্ড। আমি রোদেলা ভাবির ননদ মানে মেঘ ভাইয়ার বোন। আসুন আমি নিয়ে যাচ্ছি।
.
.
.
.
বলে বৃষ্টির কাছে নিয়ে গেল।বৃষ্টি রোদকে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল যেন এতোক্ষণ রোদের অপেক্ষায় ছিল। তারপর রোদকে বৃষ্টির কাছে পৌঁছে দিয়ে রোদেলা চলে গেল। রোদ বৃষ্টিকে ভালো করে পর্যবেক্ষন করতে লাগলো। বৃষ্টিকে আজ একদম পরীর মতো লাগছে কিন্তু মুখটা অনেকটা শুকিয়ে গেছে মনে হচ্ছে অনেকদিন যেন নাওয়া খাওয়া করেনি কোনো কিছু নিয়ে চিন্তিত।তারপরও সৌজন্যতার খাতিরে জিজ্ঞেস করল,
——-কেমন আছিস
——- দেখে কি বুঝত পারছিস না কেমন থাকতে পারি।
——-অনেক সময় বাহির থেকে তো বোঝা যায় না কে কেমন থাকতে পারে।
বৃষ্টি বেশ বুঝতে পারল রোদ কোন এঙ্গেলে তাকে কথাটা বলেছে। তাই কথা ঘুরানোর জন্য বলল
——-জানিস খুব ভালো লাগছে যে তুই আমার কথায় এখানে এসেছিস। তোকে যে অনেক কথা বলার আছে।
——-হুম আমারও তোর থেকে অনেক উত্তর জানার আছে। কথাটা বলতেই কোত্থেকে মেঘ এসে দাড়ালো তাদের সামনে হঠাৎ মেঘকে দেখায় দুজনে একটু চমকে গেল।মেঘ বুঝতে পেরে
——-কি হলো ভুল সময় আসলাম নাকি। তো কেমন আছো রোদ। কেমন লাগছে আজকে।
রোদ বুঝতে পারল মেঘ তাকে টিজ দিয়ে কথা শুনচ্ছে তবুও নিজেকে শক্ত করে উত্তর দিল
——হুম ভালো আর বৃষ্টিকে এমন সাজে দেখে আরও ভালো লাগছে আমি তো নজর সরাতে পারছি না। মনে হচ্ছে আমি স্বপ্নের রাজ্যে বিচরণ করেছি আর আমার সামনে দাড়িয়ে আছে কোনো স্বপ্নের পরী।
কথাটা শুনে মেঘের মেজাজ সপ্তম আকাশ ছুয়ছুয়।কেননা কোনো স্বামীর সামনে অন্য পুরুষ তার স্ত্রীকে নিয়ে স্বপ্নের কথা বলুক সেটা কেউ চায়না যদি সেই পুরুষ তার শএু হয় মেঘের ক্ষেএেও একি তবুও নিজেকে ঠিক করে বলে উঠল,
——-হুম স্বপ্ন দেখা ভালো কিন্তু জানো তো স্বপ্ন যদি অবাস্তব হয় তবে তাকে শেষ করে দেওয়া ভালো শুধু শুধু তাকে নিয়ে চিন্তা করার মানে হয়না। চলো তোমাকে আমার বন্ধুদের সাথে আলাপ করে দেয়।
.
.
.
.
বলেই রোদকে সেখান থেকে নিয়ে গেল। রোদ বৃষ্টি দুজন বুঝতে পারল যাতে তারা কোনোমতে কথা বলতে না পারে তাই তাদের আলাদা করা হয়েছে। বৃষ্টি তবুও সুযোগ খুজছে কীভাবে রোদের সাথে আালাদা কথা বলা যায়। তাই সে প্ল্যান করে ওপরে চলে যায়। এদিকে মেঘ কোনোভাবে রোদকে যেতে দিচ্ছে না কোনো না কোনো ভাবে আটকে রেখেছে। হঠাৎ রোদের ফোনে একটা মেসেজ আসল।মেসেজটা খুলতেই দেখতে পেল বৃষ্টির।
——-আমি ওপরের বা দিকে রুমে আছি তুই চলে আই
মেসেজটি দেখে রোদ বলল
——- আমি একটু ওয়াশরুমে যাব বলে সেখান থেকে বের হয়ে এলো। তারপর ওপরের দিকে পা বাড়ালো। মেঘেী চোখ রিসিপশনের দিকে যেতেই দেখতে পেল বৃষ্টি নেই তাই সেও ওপরের দিকে চলে গেল।এদিকে বৃষ্টি রোদকে একটা রুমে নিয়ে দরজা টেনে দিল,
——-রোদ তুই এখন কোনো কথা বলবি না আমার সব কথা শোনার পর যা বলার বলবি আমাদের হাতে সময় খুব কম যেকোনো সময় মেঘ এখানে চলে আসতে পারে তাই আমি যা বলছি শোন।তারপর বৃষ্টি এক এক করে সব কথা খুলে বলে রোদকে।বৃষ্টির কথা শুনে রোদের মাথা হয়ে গেল গরম সে বুঝতে পারল মেঘ কীভাবে তাদের ঠকিয়েছে শুধু তাই নয় তাদের আলাদা করার জন্য কতটা জঘন্য কাজ সে করেছে। সে পারছে না মেঘকে এক্ষুনি শেষ করে ফেলতে তবুও নিজেকে ঠিক করে বৃষ্টিকে বলল,
——বৃষ্টি আমি বুঝতে পারি নি ওই মেঘ এতোবড় একটা কাজ করবে আর আমি না জেনে তোকে অনেক কথা শুনিয়েছি প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দে আসলে মেঘ এমনভাবে পুরো ঘটনা সাজিয়েছে যেখানে তোর দোষটা সবার চোখে পরেছে। সত্যি আমরা কেউ তোকে বুঝতে পারিনি।বৃষ্টি রোদকে শান্তানা দিচ্ছে
——-যা হওয়ার হয়েছে আমি যে তোর ভুল ভাঙতে পেরেছি এটাই অনেক চল নাহলে আমাদের খুঁজে না পেয়ে মেঘ এখানে চলে আসবে।বলেই দুজন রুম থেকে বেরিয়ে গেল। তাদের পেছন থেকে মেঘ বের হয়ে বলল
——- সব সত্যি তো জেনে গেলে কিন্তু কি মনে করেছো বৃষ্টিকে তুমি আর পাবে কখনো না কারন সেটা এই মেঘ আহমেদ কখনো হতে দিবে না বলেই একটা শয়তানি হাসি দিল।
.
..
.
.
.
.
চলবে………