মেঘ_বৃষ্টি পর্ব =৩৯

মেঘ_বৃষ্টি পর্ব =৩৯
❤❤
রোদ_রোদেলা

#তানিয়া_আনিতা

ডাক্তার বের হয়ে আসতেই সবাই ওনাকে ঘিরে ধরে। ওনি সবাইকে শান্ত করে বলে যে,

———-দেখুন গাড়ি সহ উল্টে পরার কারনে মি.মেঘ গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন।তবুও আমরা আমাদের সকল চেষ্টা কাজে লাগিয়েছি।ইনশাআল্লাহ ওনি এখন বিপদমুক্ত। তবে ওনার হাত, পা আর মাথার অনেকাংশ খুব ইনজুরি হয়েছে। ওনার পা আর হাতের অনেকগুলো হাড় প্রায় ভেঙে গেছে। তাই ওনাকে কম হলেও দু-আড়াই মাস সম্পুর্ণ বেড রেস্টে থাকতে হবে অন্যথায় ওনি আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাবে।এখন আপাতত ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে রেখেছি কাল দুপুর ১২ টায় ওনার জ্ঞান আসলে তখন দেখা করবেন।।






শেষের কথা টা শুনে মেঘের মায়ের কান্না আরো বেড়ে গেল। আর বৃষ্টি ধপ করে বেঞ্চে বসে পরল। ওর চোখ দিয়ে অনবরত জল পরছে।বৃষ্টি চোখের জল মুছে দাঁড়িয়ে ডাক্তারের উদ্দেশ্য বললো,

———-মা আপনি শান্ত হোন আমি ওনার কিছু হতে দিবো না আর হ্যা ডাক্তার সাহেব আপনি কীভাবে কি করতে হবে আমাকে জানিয়ে দিন আমি সে মোতাবেক কাজ করবো।একজন স্ত্রী হিসেবে যা যা করতে হয় আমি আমার স্বামীর জন্য সব করবো।

বৃষ্টি ডাক্তার থেকে সব কিছু বুঝিয়ে নেয়। ডাক্তার যাওয়ার পর বৃষ্টির শ্বাশুড়ি বৃষ্টিকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলে,

———-মারে আমি তোর কাছে আমার ছেলে হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,তুই ওকে ক্ষমা করে দিস।ও ভুল করলেও তোর জন্য ওর ভালোবাসা মিথ্যা ছিলো না।ও তোকে ভালোবাসে বলেই এমন অন্যায় করেছিলো।আমি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোস করিনি তাই আমার ছেলে হয়েও আমি ওকে শাস্তি দিয়েছিলাম।কিন্তু আমি তো মা, সন্তান হাজার অন্যায় করলেও আমাকে যে তার সব অন্যায় ক্ষমা করে দিতে হয়।তাই ওকে ওপরে যতোই কঠিন দেখায় না কেন আমার মধ্যে সবসময় মাতৃত্বের একটা নরম আস্তরণ কাজ করে। আজ তুই

একজন স্ত্রী কিন্তু যেদিন তুই মা হবি দেখবি সন্তান দোষ করলেও তুই কখনো তাকে ছেড়ে দিতে পারবি না।আমিও যে এখন একই পথের পথিক মা।তোর কাছে কখনো কোনোকিছু আবদার করি নি আজ করছি আমার ছেলেকে তুই ক্ষমা করে ওকে আপন করে নে,ওকে ছেড়ে যাস না নাহলে আমার ছেলেযে তোকে ছাড়া মরেই যাবে,

বলে তিনি আবারও কান্না করে দিলেন।বৃষ্টি ওনাকে জরিয়ে ধরে বলে,

——–না মা আপনি ওভাবে বলবেন না নাহলে আমি যে আজীবন অপরাধী হয়ে থাকবো, ভুল করলে আমি করেছি পারলে আমায় মাফ করে দিন,আজ আমার জন্য হয়তো ওনার এমন হয়েছে। কিন্তু আপনি চিন্তা করবেন না আমি আমার সাধ্যমতো ওনার সেবা করে ওনাকে সুস্থ করে তুলবো।এটা একজন স্ত্রী হয়ে একজন মায়ের কাছে প্রতিজ্ঞা।








মেঘের খবর পেয়ে রোদ রোদেলা দুজনি ছুটে আসে।রাত যখন ১ টা তখন রোদরা চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। কেননা রোদেলার এরকম শারীরিক সমস্যার মধ্যে এখন চিন্তা আর জার্নি থেকে দূরে রাখতে হবে। রোদেলা তার মাকে নিজের সাথে নিয়ে যেতে চাইলে ওনি যেতে নারাজ হন।পরে বৃষ্টি আর রোদের জোরাজোরিতে ওনি আর অমত করলেন না রোদেলার সাথে চলে গেলেন।বৃষ্টি তৃনা আর শ্রাবনকে চলে যেতে বললে ওরা বৃষ্টিকে ধমক দিয়ে থেকে যায়।শ্রাবন একটু পর পর দুজনের জন্য কফি নিয়ে আসে।এভাবে নির্ঘুমে কেটে যায় সারারাত।
,
,,
,
,
,
,
,
,
সকাল ১০ টা।মেঘের জ্ঞান ফিরেছে।ডাক্তার যে সময় দিয়েছিলো তার আগেই জ্ঞান ফেরাই সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। বৃষ্টি মেঘের সাথে দেখা করতে চাইলে ডাক্তার নিষেধ করে।কারণ মেঘের সবেমাত্র জ্ঞান আসায় ডাক্তাররা কিছু সময় তাকে একা রাখতে চান। ১ ঘন্টা পর দেখা করতে বলেছে।বৃষ্টি বাহির থেকে মেঘকে একনজর দেখে চোখের জল ছেড়ে দেয়। এরপর বৃষ্টিসহ সবাই ফ্রেশ হয়ে নেয়।

.
.
.
.
.
.
.
সবাই কেন্টিনে নাস্তা করছে এমন সময় শ্রাবনের ফোনে একটা কল এলো। রিসিভ করতেই ওপাশ থাকা ব্যক্তির সাথে কথা বলে কল কেটে বৃষ্টিকে বলে যে মানুষটি তাদের গাড়ির এক্সিডেন্ট করিয়েছে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তাদের এক্ষুনি ওখানে যেতে হবে।বৃষ্টি সহ ওরা পুলিশ স্টেশনে যায়। গিয়েই অপরাধীকে দেখে বৃষ্টি বড়সড় একটা ধাক্কা খায়।কারণ অপরাধী আর কেউ নয়, তানিশা।বৃষ্টি তানিশাকে দেখেই বলে,

———-তানিশা,তুমি,তুমি করেছো আমাদের এক্সিডেন্ট। তুমি এতোটা খারাপ আমরা তো কোনো দোষ করিনি তোমার তাহলে এমন একটা জঘন্য কাজ কীভাবে করলে।আমার কথা না হয় বাদ দিলাম কিন্তু মেঘ ওকেনা তুমি ভালোবাসো তাহলে কীভাবে পারলে ওর এতো বড় ক্ষতি করতে।জানো আজ তোমার জন্য ওনি মৃত্যুর মতো একটা জায়গায় থেকে ফিরে এসেছেন।আল্লাহ সহায় ছিল বলে এমনটা হয়েছে। কিন্তু তুমি কেন করলে এমন।তোমার কি একটু লজ্জা করছে না, এমন জঘন্য কাজ করাতে

———–হুমম আমি করেছি, তোমাদের দুজনকে মারার জন্য এই প্ল্যান টা আমি করেছি কিন্তু আফসোস প্ল্যান টা ফ্লপ করলো।আর কি জানি বলছিলে লজ্জা, হুমম সেটা যদি আমার চেয়ে তোমার থাকতো তাহলে আজ তোমার জায়গায় আমি থাকতাম। কারণ মেঘ তোমার না আমার ভালোবাসা ছিল যেটা তুমি আমার থেকে ছিনিয়ে নিয়েছো।আমার তো ইচ্ছে ছিলো তোমাকে মেঘ থেকে দূরে সরানোর তার জন্য আমি প্ল্যান ও কম করিনি।

মেঘকে যাতে তুমি ভুল বুঝো তার জন্য আমি তোমার জন্য আনা শাড়িটা পরে তোমাকে দেখে ওর সাথে অভিনয় করেছিলাম, পার্টির দিন ওর গ্লাসে যৌন উত্তেজক ঔষধ মিশিয়ে দিয়েছিলাম যাতে ওকে নিয়ে ফিজিক্যালি ইনভলভ হতে পারি,রোদকে নিজের হাতের মুঠোয় এনে তোমাকে ছাড়াতে চেয়েছিলাম কিন্তু ও আমার কথাকে রিজেক্ট করে তাই তুমি যখন ওর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলে তখন আননোন নাম্বার থেকে মেঘকে কল করে সেখানে পাঠায়।

তুমি জানো শুধু মেঘকে পাওয়ার জন্য আমি কিনা করেছি, নিচু কাজ থেকে জঘন্য কোনো কাজই বাদ দিই নাই কিন্তু দুঃখ কোথায় জানো এতো কিছুর পরও ওকে নিজের করে পেলাম না তাই সিদ্ধান্ত নিই ওকে আমি না পেলে তোমাকেও পেতে দিবো না। তাই ওই বখাটে ছেলেগুলোকে আমি ঠিক করি,তারপর মানুষ ঠিক করে তোমাদের গাড়ি ব্রেকফেল করেদি কিন্তু দেখো ঠিকই তুমি বেচে গেলে আর আমার মেঘ মরতে বসলো।যদি ও বেচে গিয়ে তুমি মরতে তাহলে হয়তো আমি আমার মেঘকে পেতাম।আচ্ছা বলো তো তুমি কি কই মাছের প্রান এতো কিছুর পরও তুমি বেচে যাও কীভাবে,






এতোক্ষণ স্টেশনে থাকা সবাই নিস্তব্ধ হয়ে তানিশার কথা গুলো শুনছিল। একটা মানুষ কতোটা খারাপ আর কতোটা নোংরা মেন্টেলেটির হলে এতোসব কুৎসিত কাজ করে তারা কেউ ভেবে পায়না।বৃষ্টি গিয়ে তানিশাকে সজোরে থাপ্পড় দেয় যার জন্য সে দূরে গিয়ে ছিটকে পরে, বৃষ্টি ওর চুলের মুঠি ধরে টেনে তুলে বলে,

———–তুই কি মনে করেছিস তোর মতো একটা খারাপ মেয়ে এমন সব নোংরা কাজ করে জিতে যাবি।আরে সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন যিনি কখনো তার বান্দাদেরকে বিপদে ফেলে রাখেন না। যে কোনোভাবে তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবেই। আরে তুই কি বুঝবি ভালোবাসা কি, তুই তো কখনো ভালোবাসতে শিখিস নি,যদি জানতি তবে কখনো নিজের ভালোবাসাকে মারার জন্য এমন সব প্ল্যান করতি না।তুই ঠিকই বলেছিস আমি কই মাছের প্রান, কারণ আমার প্রানটা হচ্ছে মেঘ, তাই মেঘ যতোদিন বেচে থাকবে ততোদিনে আমার কোনো ক্ষতি হবে না।

তোর মতো হাজারো শয়তান আসলেও কখনো আমাকে আমার মেঘ থেকে আলাদা করতে পারবেনা।কারণ আমরা আল্লাহর দেওয়া একটা পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ, যেখানে পাচ কালিমা পরে আমরা একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে গেছি আজীবনের জন্য। আল্লাহ ওর ভাগ্যের সাথে আমাকে জীবন জুরিয়ে দিয়েছেন তাই তুই চাস আর না চাস মেঘ বৃষ্টির ছিল, আছে আর থাকবে।অফিসার নিয়ে যান ওকে আর এমন শাস্তি দিন যাতে জেলে পঁচে ওকে মরতে হয়, কখনে জেল থেকে বের হতে না পারে।

দুমাস পর……

মেঘ এখন পুরোপুরি সুস্থ। ডাক্তার বলেছিল মেঘের সুস্থ হতে কমপক্ষে আড়াই মাস লাগবে কিন্তু বৃষ্টির সেবাযত্নে মেঘ তার আগেই সুস্থ হয়ে উঠেছে।হসপিটালে মেঘকে এক সপ্তাহ রাখার পর মেঘকে ডিসচার্জ করা হয়।এরপর থেকে বৃষ্টি দিন রাত এক করে মেঘের সেবা করে গেছে। এমনকি ঘরের পাশাপাশি বৃষ্টি অফিস ও সামলিয়েছে কারণ মেঘ অসুস্থতার জন্য অফিসে যেতে পারেনি তাই বৃষ্টি একা হাতে দুদিক সামলিয়েছিলো।শুধু তাই নয়,মেঘের যে অবস্থা ছিল তাতে এক গ্লাস জল গরিয়ে খাওয়ার মতো সামর্থ্য ছিলো না। বৃষ্টি খাওয়া থেকে শুরু করে গোসল করানো, ফ্রেশ করানোসহ যাবতীয় কাজ বৃষ্টি করে।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
প্রথম দিকে ডাক্তার একদিন পর পর আসলেও পরে পরে ওনি সপ্তাহে একবার আসতেন।এতো দ্রুত মেঘ সুস্থ হয়ে ওটায় ডাক্তার নিজেও অনেক অবাক হোন।কারণ এমন ধরনের রোগীরা সাধারণত বিপদ কেটে উঠলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে ৬ মাসের অধিকও সময় লাগতে পারে যেখানে মেঘের লেগেছে মাএ দুমাস।কেনো নয়,বৃষ্টি শুধু সেবায় নয়,মেঘের জন্য দিন রাত আল্লাহর দরবারে পরেছিলো,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, তাহাজ্জুদ,রোজা এমনকি প্রতি সপ্তাহে গরিব মিসকিনদের খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছে।
,
,
,
,
,
,
,
একজন স্ত্রী হিসেবে বৃষ্টি মেঘের সেবায় কোনো এুটি রাখেনি।সর্বস্থায় বৃষ্টি মেঘকে সাহস জুগিয়েছিল যা মেঘের মনে শক্তির সঞ্চয় করেছে।মেঘ এখন আবারও আগের মতো অফিস জয়েন করেছে। অফিসে গিয়ে সকল কাজের হিসাব নিয়ে মেঘ অবাকের শীর্ষ পর্যায়। কারণ এতোদিন অফিসের সবকিছু বৃষ্টি নিখুঁত ভাবে দেখা শুনা করছিলো যার জন্য মেঘের অন্য কোনো বিষয়ে মাথা ঘামাতে হয়নি।বৃষ্টির ব্যবস্থাপনা দক্ষতা এতো ভালো মেঘের তা জানা ছিলো না।








মেঘের অসুস্থতার সময়ে রোদ রোদেলা অনেকবার এসেছিলো তাদের বাসায়।অনেক সময় রোদেলা দুতিনদিনের জন্য থেকে যেতো।যদিও রোদের মা তাকে রাখতে দিতেন না।কারণ রোদেলার এখন চারমাসে পরেছে এ সময় তিনি চান রোদেলা একটু কম নড়াচড়া করুক।তাছাড়া রোদেলার এ সময়টাতে তার মাও তার সাথে থাকে।তাই মা আর শ্বাশুড়ি উভয়ে রোদেলার যত্নে কোনো কমতি রাখেন না।আজ বিকালেও রোদ রোদেলা দুজনি এসেছে মেঘকে দেখতে যদিও মেঘ পুরোপুরি সুস্থ কিন্তু বোন তো তাই মনের মধ্যে কচকচ করতেই থাকে।বৃষ্টি ওদের নাস্তার ব্যবস্থা করে কিচেন সামলিয়ে ছাদে যায় তখন সবাই নিচে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। বৃষ্টি ছাদে দাঁড়িয়ে পশ্চিম আকাশে চেয়ে আছে, পেছন থেকে রোদ জিজ্ঞেস করে,

———–কিরে তুই এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন, মন খারাপ।

———-না আসলে কি বলবো বুঝতে পারছি না, মন ভালো বলতে পারছি না আবারও খারাপও।

———–আমি জানি তোর মনের অবস্থা। আচ্ছা তুই তো মেঘকে ভালোবাসিস তাহলে বলে দিচ্ছিস না কেন।আর কতো কষ্ট দিবি নিজেকে।একদিন তুই তো আমায় বলেছিলি যাতে অতীতকে পেছনে রেখে বর্তমানের সাথে মানিয়ে নিতে তাহলে আজ তুই কেন নিজেকে মানাতে পারছিস না।সেদিন যদি তোর কথা না শুনতাম তাহলে হয়তো রোদেলার মতো জীবন সঙ্গীনিকে হারিয়ে ফেলতাম।যেখানে তুই আমাকে রোদেলার সাথে কমপ্রোমাইজ করতে বলেছিস সেখানে তুই কেন এখনো নিজের ইগো নিয়ে বসে আছিস।

———–হুমম সত্যি বলেছিস তবে এটা আমার ইগো নয় বলতে পারিস ভয়।মেঘকে হারানোর ভয় কারন আমি এতোদিন মেঘকে জেনে শুনে অনেক কষ্ট দিয়েছি আজ যা যা হয়েছে তার জন্য আমিও অনেকাংশ দায়ী।আমার খুব ভয় হচ্ছে আমি যদি ভালোবাসার দাবী নিয়ে মেঘের কাছে যায় তবেও আমাকে ফিরিয়ে দিবে নাতো।

———-তুই এমনভাবে ভাবছিস কেন হতেও তো পারে মেঘ হয়তো তোর মুখ থেকে ভালোবাসার কথা শোনার অপেক্ষায় আছে। আমি বলছি তুই সব দ্বিধাকে দূরে রেখে নিজের কথা মেঘকে বলেদে।

মেঘ রুমে কাজ করছিল বৃষ্টি মেঘের সামনে গিয়ে শাড়ির আঁচল আঙুলে পেছাতে থাকে, তা দেখে মেঘ বলে,

———–অনেক্ক্ষণ ধরে আঙুলে কাপড় পেছাচ্ছো কিছু কি বলবে।

———-হুমম যদি আপনার কাল কোনো কাজ না থাকে তবে দ্রুত চলে আসবেন।

———-কেন আর্জেন্ট কাজ নাকি।

———আপনি হয়তো কিছু একটা ভুলে গেছেন তাই এমন বলছেন।ভুলে যেহেতু গেছেন তবে আমি মনে করিয়ে দিবো না সেটা না হয় সারপ্রাইজ থাক,কিন্তু আগামীকাল তাড়াতাড়ি আসবেন বেস।

বলেই মুচকি হেসে বৃষ্টি রুম থেকে বেরিয়ে গেল আর মেঘ সেদিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে,

———–কীভাবে ভুলবো কালকের কথা কাল যে খুব স্পেশাল একটা দিন হয়তো কালই তোমার আমার মাঝে শেষ সময়। কাল তোমার জন্য অনেক বড় সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে বলেই একটা বাকা হাসি দিলো।
,
,
,
,
,
চলবে…….

( 😭😭😭😭😭কি বলবো দুঃখের কথা সন্ধ্যা থেকে আমি এই গল্প নিয়ে রণক্ষেত্র লাগিয়ে দিয়েছি ভেবেছিলাম হয়তো আজকে শেষ করবো কিন্তু গল্প এতো বড় হয়ে গেছিলো যে এানে পুরোটা শো করছে না। দুবার দিছি দুবার ডিলেট করছি।তাই আবারও ঠিক করে এখনো দিলাম আগামীকাল পরেরটা পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here