মেঘ_বৃষ্টি পর্ব =৩৮

মেঘ_বৃষ্টি পর্ব =৩৮
❤❤
রোদ_রোদেলা

#তানিয়া_আনিতা

বৃষ্টি বারান্দায় দাঁড়িয়ে যখন এসব ভাবনায় মত্ত তখনই গাড়ির শব্দে বৃষ্টির ভাবনার ছেদন ঘটল।গাড়ির শব্দ শুনে বৃষ্টি বুঝতে পারল মেঘ এসেছে। বারান্দা থেকে রুমে এসে ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখে রাত ৯ টা বাজে।বৃষ্টি অবাক হয়ে গেল কারণ সে অতীতে এতোটাই ডুবে ছিল যে কখন বিকেল গড়িয়ে রাত হয়েছে টেরও পায়নি। বৃষ্টি নিচে গিয়ে দেখে মেঘ অলরেডি নিজের রুমে চলে গেছে।








বৃষ্টি মেঘের জন্য সরবত করে ওপরে নিয়ে গেল।রুমে যেতেই দেখে মেঘ এখনো ওয়াশরুম থেকে বের হয়নি।বৃষ্টি গ্লাস রেখে আসতেই মেঘ বের হয়।মেঘ বের হয়ে গ্লাসটা নিয়ে সরবত টুকু খেয়ে নেয়।তারপর নিজের কাজ করতে থাকে,বৃষ্টি তখনও ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে বৃষ্টিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে,

———– কি হলো অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছো মনে হচ্ছে কিছু বলতে চাইছো, কিছু কি বলবে,

———-হুমম আসলে আজ বিকেলে রোদেলা ফোন করেছে।

———-ও তো কিছু কি বলেছে,

———–হুমম।রোদেলা বলেছে ও নাকি প্রেগনেন্ট।গতকাল ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলো ওখান থেকে জানতে পারে ওর প্রেগনেন্টের ১ মাস হয়েছে। আপনাকেও নাকি কল দিয়েছিলো কিন্তু বিজি থাকায় আমাকে জানায় আর বলেছে আপনাকেও জানাতে।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
বৃষ্টি একনাগাড়ে কথা গুলো বলে ফেলে এদিকে মেঘ রোদেলার প্রেগনেন্টের কথা শুনেই স্তব্ধ হয়ে যায়। কারণ তার বোন মা হতে চলেছে, তার ছোট্ট সে বোন যে কিনা কিছু দিন আগেও তাদের কাছে ছোট ছিলো আজ সে মা হতে চলেছে আর মেঘ হবে মামা।এর চেয়ে খুশির সংবাদ আর কি হতে পারে। মেঘ আজ এতোটাই খুশি ছিল যে তার চোখ থেকে যে অশ্রু ঝরছে সেদিকে তার ভ্রুক্ষেপ নেই।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
বৃষ্টি মেঘের দিকে তাকাতেই দেখে মেঘ কাদছে কিন্তু তার মুখে হাসি বিদ্যমান।তা দেখে বৃষ্টির মুখে এক চিলতি হাসি ফুটে উঠল। সে বুঝতে পারল মেঘ খুশিতে এতো ব্যস্ত যে নিজের চোখের জলের দিকে পর্যন্ত নোটিশ করে নি।আজ মনে হচ্ছে রোদেলা তাদের দুজনকে পৃথিবীর সবচেয়ে খুশির সুখ টুকু দিয়েছে। রোদেলা নিজের জীবনের সাথে সাথে বৃষ্টির জীবনে সুখের জোয়ারে ভরে দিয়েছে।







আজ বৃষ্টি অনেক ব্যস্ত। কেননা এতোদিন ধরে তাদের কোম্পানি যে প্রজেক্ট টা নিয়ে কাজ করছিল আজ তার জন্য একটা পার্টি থ্রো করা হয়েছে আর সেখানে প্রেজেন্টেশনের দায়িত্ব পরেছে বৃষ্টির ওপর। যদি প্রেজেন্টশনের কাজ যথাযথ ভাবে হয় তাহলে প্রজেক্টের ডিলটা তারাই পাবে।আর তার জন্য বৃষ্টি সকাল থেকে অনেকবার প্রেজেন্টশনের জন্য প্রাক্টিস করছে।
.
.
.
.
.
.
.
.
সন্ধ্যা ৭ টা।মেঘসহ অফিসের সকলে পার্টিতে চলে এসেছে। এখন শুধু বৃষ্টি আসার পালা। বৃষ্টি আসলেই সে তার কাজ শুরু করে দিবে।তৃনা আর শ্রাবন সে কখন থেকে অপেক্ষা করছে কিন্তু এ মেয়ে সবসময় লেট।একটু পর বৃষ্টি ক্লবে এন্ট্রি নিলো।আবারও সবার নজর কাড়লো বৃষ্টি। হলুদ শাড়ি সাথে হলদে রঙের হালকা অর্নামেন্ট, তার লম্বা চুল গুলো কোমর অবধি ছাড়া। আজ তো বৃষ্টিকে জাস্ট অসাধারণ লাগাছে।একটা মেয়ে এতো সুন্দর হয় কীভাবে মেঘ তা ভেবে পায় না।মেঘ যতোবারই বৃষ্টিকে এমন সাজে দেখে ততোবারই তার প্রেমে পড়ে। হঠাৎ তার সেদিনের কথা মনে পরে যায়। তাই তাড়াতাড়ি মেঘ নিজের চোখ সরিয়ে নেয়।.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
বৃষ্টি এতোক্ষণ মেঘের দৃষ্টি ভঙ্গি লক্ষ্য করছিলো।মেঘ যখন চোখ সরিয়ে নেয় তখন বৃষ্টির কেন জানি কষ্ট লাগছিলো।বৃষ্টি গিয়ে নিজের কাজ শুরু করে দেয়। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে বৃষ্টি নিজেদের প্রজেক্টটা ক্লায়েন্টদের সামনে উপস্থাপনা করে।প্রজেক্টের কাজ,দক্ষতা, সুবিধা আর বৃষ্টির সুন্দর উপস্থাপনায় ক্লায়েন্টরা মেঘের কোম্পানির সাথে ডিলটা কনফার্ম করে দেয়। সে খুশিতে সবাই পার্টিতে ইনজয় করতে থাকে।








হঠাৎ বৃষ্টির কল আসায় সে ক্লাবের বাইরে চলে যায়। কারণ গানের শব্দে সেখানে কিছু ই শোনা যাচ্ছিলো না।বৃষ্টি কথা শেষ করে পেছনে ফিরতেই দেখে কিছু ছেলে তার সামনে দাড়িয়ে আছে। সে তাদের ক্রস করে চলে যেতে নিলে একটা ছেলে বৃষ্টিকে টিজ করে। বৃষ্টি তবুও কিছু না বলে স্থান ত্যাগ করতেই একটা ছেলে এসে বৃষ্টির শাড়ি টেনে ধরে। বৃষ্টি এবার সহ্য করতে না পেরে থাপ্পড় বসিয়ে দেয় ছেলেটার গালে।সাথে সাথে সবগুলে ছেলে এসে বৃষ্টির সাথে অসভ্যতামি শুরু করে দেয়। মেঘ ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলে চারপাশে চোখ ঘুরিয়ে দেখে বৃষ্টি নেয় তাই বৃষ্টিকে খুজতে বাইরে আসে।আর বাইরে এসে দেখে বৃষ্টির সাথে ওই ছেলেরা অনেক নোংরামি করছে।বেস আরকি সাথে সাথে রক্ত উঠে গেলো মাথায়।
,
,
,
,
,
,
,
,
মেঘ আশেপাশে তাকিয়ে একটা ভাঙা গাছের টুকরা দেখে, সেটা নিয়ে সে দৌড়ে গিয়ে ঔ ছেলেগুলো আচ্ছা মতো পেটাতে থাকে।বাইরে শোরগোলের শব্দ পেয়ে ক্লাবের সবাই বেরিয়ে আসে। এসে দেখে বৃষ্টি এক পাশে দাঁড়িয়ে কান্না করছে আর কাপছে আর মেঘ ইচ্ছে মতো কতগুলো ছেলেকে মারছে। মেঘ এতোটাই রেগে ছিল যে মারতে মারতে বলতে থাকে,

————জানোয়ারের বাচ্চা, কু**র বাচ্চা তোদের সাহস কি করে হয় ওর সাথে নোংরামি করার, ওর গায়ে হাত দেওয়ার, তোরা জানিস তোরা কার সাথে অসভ্যতামি করেছিস, তোরা আমার কলিজায় হাত দিয়েছিস আজ তোদের আমি শেষ করে ফেলবো।তোদের সাহস কেমন হয় আমার ওয়াইফের গায়ে হাত দেওয়ার তার শাড়ির আঁচল ধরার, এই হাত দিয়ে ধরেছিস তাই না আজ এ হাত আমি ভেঙে ফেলবো,বলে একজনের হাত মুচরে দেয়।

আমার বউয়ের দিকে চোখ খারাপ চোখে তাকিয়েছিস আজ সে চোখ ওপরে ফেলবো বলে এগোতে গেলে শ্রাবনসহ আরো কয়েকজন কলিগ দৌড়ে গিয়ে মেঘকে ধরে ফেলে।মেঘ ওদের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে আবারও দৌড়ে ওদের মারতে থাকে, আজ আমি কাউকে ছাড়বো না ওরা আমার জানের দিকে হাত বাড়িয়েছে ওদের আজ মেরেই ফেলবো বলে আবারও মারতে থাকে। অনেক কষ্টে মেঘকে দূরে সরে আনলে ছেলেগুলো সবাই পালিয়ে যায়।

মেঘকে কোনোভাবে শান্ত করা যাচ্ছে না। সে চিৎকার করে বলছে,ওদের যেতে দিবে না ওরা আমার ভালোবাসার গায়ে হাত দিয়েছে ছাড়ো আমায়, বলে চিৎকার করছে আর তার চোখগুলো রক্তের ন্যায় ধারণ করেছে আর দেখে মনে হচ্ছে সেখানে থেকে রক্তিম জল গরিয়ে পরছে । মেঘ যখন কিছু টা শান্ত হয় তখন বৃষ্টির সামনে গিয়ে,

———এ মেয়ে এই তোমার সমস্যা কি, এমনি তো খুব সাহসী ভাব দেখাও যখন ছেলেগুলো অসভ্যতামি করছিলো তখন দৌড়ে চলে যেতে পারোনি নাহলে চিৎকার করতে পারোনি গায়ে কি শক্তি ও নেই। আজ যদি আমি না আসতাম তাহলে।আর একা একা কেন বের হয়েছিলে বলো উত্তর দাও বড় এক চিৎকার দিয়ে।
,
,
,
,
,
,
মেঘের চিৎকারে বৃষ্টি সহ উপস্থিত সবাই চুপসে যায়। তারপর আর কারো দিকে না তাকিয়ে বৃষ্টিকে টানতে টানতে গাড়ির ভেতর নিয়ে যায়। এরপর গাড়ি স্টার্ট করে দেয়। এদিকে অফিসের সবাই এখনো দাঁড়িয়ে আছে তারা বুঝে উঠতে পারছে না এতোক্ষণ তারা কি দেখলো বা কি শুনলো।বৃষ্টি মেঘ স্যারের ওয়াইফ এটা যেন কারো রো বিশ্বাস হচ্ছে না। তার মানে এতোদিন তারা দুজনি সবার থেকে সবকিছু লুকিয়েছে।




আর টিনা সেতো রাগে ফুঁসতে লাগলো কারণ তার এতোদিনের স্বপ্ন মেঘকে বিয়ে করা সেটা আর হলো না অন্য দিকে তৃনা আর শ্রাবন এখনো ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে তাদের নিজের কানকেও যেন তারা বিশ্বাস করাতে পারছে না। এমন সময় শ্রাবন তার পেছন থেকে কিছু কথা শুনতে পেলো। শ্রাবন কিছু টা এগিয়ে যেতেই শুনতে পাই,

———-জ্বি ম্যাম আপনি যেমনটা কইছেন ঠিক তাই করছি।ঔ মেঘ পোলাটা আর ঔ মাইয়াটা এখনি গাড়ি নিয়ে চইলা গেছে। আপনার কথা মতো আমি গাড়ির ব্রেকফেল তারটা কাইট্টা দিছি।এখন শুধু অপেক্ষা করেন ওনাগো মৃত্যুর কথা শোনার লাইগা।







বলে ফোনটা কেটে পেছনে ফিরতে যাবে ওমনি শ্রাবনকে দেখে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়। পালাতে যাবে তার আগেই শ্রাবন লোকটাকে ধরে কয়েক গা মারলে লোকটা সব জানিয়ে দেয় যে সে একজনের কথাতে মেঘের গাড়ির তার কেটে দিয়েছে যাতে মেঘ আর বৃষ্টি দুজনে এক্সিডেন্ট করে মারা যায়। শ্রাবন দ্রুত পুলিশকে কল করে লোকটাকে ধরিয়ে দেয় যাতে আসল দোষিকে খুঁজে পাওয়া যায় তারপর তৃনাকে সাথে নিয়ে টেক্সি করে মেঘের গাড়ি ধরার উদ্দেশ্য বের হয়। যে করেই হোক ওদের থামাতেই হবে।
,
,
,
,
,
,
,
মেঘ এতোটাই উন্মাদ ছিল যে সে পাগলের মতো গাড়ি ড্রাইব করতে থাকে আর বৃষ্টি তাকে বারবার থামানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু মেঘ তো নিজের মতো করে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ তাদের সামনে একটা ট্রাক আসলে মেঘ ব্রেক করতে গিয়ে দেখে সেটা কাজ করছে না এদিকে ট্রাকটা তাদের অনেক কাছেই চলে এসেছে। মেঘ আর না পেরে বৃষ্টিকে জোরে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় আর মেঘ বের হওয়ার আগেই ট্রাকটা সজোরে গাড়িকে ধাক্কা দেয়। মেঘ গাড়ি সহ উল্টে এক খাদে গিয়ে পরে।আর বৃষ্টি রাস্তার সাইডে এক পাথরের সাথে বারি খেয়ে জ্ঞান হারায়।

রাত ৯ টা।বৃষ্টি আদো আদো চোখ খুলতেই তৃনা দৌড়ে এসে,

———-বৃষ্টি তুই চোখ খুলেছিস থাঙ্ক গড আমরা তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম তোর জ্ঞান না আসাতে।দাড়া আমি শ্রাবনকে জানিয়ে দেয় তোর জ্ঞান ফিরেছে ও তো ডাক্তারের সাথে কথা বলতে গিয়েছে। বলে তৃনা যেইনা বের হতে যাবে ওমনি বৃষ্টি তৃনার হাত ধরে বসে,

———-আ…মি…আমি এখানে কি করে এলাম আর মেঘ ওনি কোথায়

মেঘের কথা জিজ্ঞেস করতেই তৃনার মুখটা কালো হয়ে গেল তা দেখে বৃষ্টি আবারও জিজ্ঞেস করে

———কিরে চুপ করে আছিস কেন বলনা ওনি কোথায় আর আমার কি হয়েছে।

———আসলে তোদের গাড়ি ব্রেকফেল করেছিলো আর আমরা তোকে পায় রাস্তার একপাশে যেখানে তুই পাথরের সাথে আঘাত খেয়ে জ্ঞান হারিয়েছিলি।আর স্যার

———-স্যার,কি হয়েছে স্যারের বলনা কি হয়েছে,

———-আসলে ওনি গাড়ি সহ খাদে পরে যায় তাই ওনি গুরুতর ভাবে আহত হন।ওনাকে ওটিতে নেওয়া হয়েছে এখনো কোনো জ্ঞান আসেনি।





মেঘের অবস্থার কথা শুনতেই বৃষ্টি নিজের হাতের স্যালাইন খুলে দৌড় দিল ওটি রুমে।সেখানে গিয়ে কান্না কাটি শুরু করে দেয়। তৃনা আর শ্রাবন কোনোভাবে থামাতে পারছেনা বৃষ্টিকে। শেষে একজন ডাক্তার এসে তাকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে বেডে শুয়ে দেয়।

এক ঘন্টা পর বৃষ্টির ঘুম ভেঙে গেলে তৃনা অনেক কষ্টে ওকে শান্ত করে। কেননা তখন মেঘকে অপারেশন জন্য নেওয়া হয়েছে তাই এখন যাতে কোনো চেচামেচি না করে।

বৃষ্টি, তৃনা আর শ্রাবন বসে আছে ওটি রুমের সামনে।বৃষ্টি পুরো পাথর হয়ে গেছে। কোনো নড়চড় নেই। তৃনা বৃষ্টিকে জিজ্ঞেস করে আজ যা যা হলো তা কি আদো সব সত্যি কিনা।বৃষ্টি একে একে শুরু থেকে সবটা তৃনাকে খুলে বলে।সব শুনে তৃনা বলে,

————তুই এতোদিন আমার কাছ থেকে এতোকিছু লুকিয়েছিস,কি হতো আমাকে বললে আমি কি তোর কষ্টের ভাগ একটু হলেও কমাতে পারতাম না। এই আমাকে তুই বন্ধু ভাবিস।সত্যিকার অর্থে তুই আমাকে কখনো এতো আপন ভাবতি না, নাহলে কীভাবে পারলি এতোদিন আমার কাছ থেকে এতো কথা লুকিয়ে রাখতে।

———–হুমম আমি জানায়নি কারণ সিচুয়েশনটা এমন ছিল যে আমি কাউকে এই বিষয়ে কিছু জানাতে চাই নি।আমি ভেবেছিলাম হয়তো সময় হলে তোকে সব জানাবে।শুধু তাই নয়,আমি তোকে খুব শীঘ্রই সব জানাতাম কিন্তু আমি জানতাম না আমার জন্য সামনে এমন একটা ঝড় অপেক্ষা করছে।

————থাক আর ওসব ভেবে কি হবে যা হওয়ার হয়েছে এখন আল্লাহকে ডাক ওনি পারবে সব ঠিক করতে,

———–বিশ্বাস কর আমি ওনাকে কষ্ট দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু কখনো ওনার খারাপ কিছু হোক তা আশা করিনি।আচ্ছা ওনি ঠিক হয়ে যাবে তো।দেখ ওনার কিছু হলে আমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো না।আমি যে ওনাকে বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি।

———–আমি বুঝতে পারছি তোর অবস্থা কিন্তু এখন শুধু ওপরওয়ালাকে ডাকতে হবে আর ডাক্তাররা তো তাদের মতো চেষ্টা চালাচ্ছে। তুই ধৈর্য হারা হোসনা প্লিজ।দেখ তুই যদি ভেঙে পরিস তাহলে কি করে হবে।







তৃনা বৃষ্টিকে এসব কথা বলছে এমন সময় তার শ্বাশুড়ি চলে আসে।আর আহাজারি করতে থাকে।তিনি গিয়ে ওটির সামনে জোরে জোরে কান্না করতে থাকে আর বৃষ্টি গিয়ে ওনাকে সামলানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কোনোভাবে সামলানো যাচ্ছে না, কীভাবে সম্ভব ওনি তো মা আর সন্তানের এমন অবস্থায় কোনো মাই নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না,এমন সময় ওটির দরজা খুলে একজন ডাক্তার বেরিয়ে আসেন।ডাক্তারকে দেখে সবাই ওনাকে ঘিরে ধরে মেঘের অবস্থা জানার জন্য। অবশেষে ডাক্তার তাদেরকে শান্ত করে বলে যে…….










————আমরা দুঃখিত আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টার পরও আমরা ওনাকে বাচাতে পারলাম না। হি ইজ ডেড।

ডাক্তারের কথা টা শোনার সাথে সাথেই মেঘের মা চিৎকার করে কাদতে কাদতে ওখানেই জ্ঞান হারান আর বৃষ্টি সাথে সাথে মেঝেতে বসে পরে।তৃনা গিয়ে বৃষ্টিকে অনেকবার ধাক্কানোর পর বৃষ্টি নিথর দেহটি লুটিয়ে পরে মেঝেতে।
,
,
,
,
,
,
চলবে……..

(আসসালামু আলাইকুম। আজকের পর্বটা কেমন হয়েছে জানাবেন বিশেষ করে শেষের অংশটুকু।আসলে আপনারা তো সবসময় নাইস,নেক্সট করেন তো তাই এন্ডিংটা এমন দিছি🤣🤣।মজা করছি আসলে আপনাদের কাছে জানতে চাইছি ওদের এন্ডিংটা কি হ্যাপি দিবো নাকি সেড।আজকে আপনাদের মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে আমি আগামীর পর্ব দিবো। ধন্যবাদ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here