মেঘ_বৃষ্টি পর্ব =৪০(অন্তিম)

মেঘ_বৃষ্টি পর্ব =৪০(অন্তিম)
❤❤
রোদ_রোদেলা

#তানিয়া_আনিতা

আজ বৃষ্টি অনেক সুন্দর করে সেজেছে ঠিক এক বছর আগে যেভাবে সেজেছিলো আজও একিভাবে সেজেছে। চোখে গাড় মোটা কাজল,ঠোঁটে লাল টকটকে লিপস্টিক, সারা শরীরে ভারী অর্নামেন্টস, মুখে হালকা সাজ।তবে আজ তার সাজের মধ্যে আলাদা একটা উজ্জ্বলতা রয়েছে তা হচ্ছে মেঘের দেওয়া নোজপিনটা।হুমম বৃষ্টি আজ মেঘের দেওয়া নোজপিনটা পরেছে যেটা মেঘ এক বছর আগে এমন দিনে বৃষ্টির জন্য উপহার হিসেবে এনেছিলো কিন্তু বৃষ্টি সেটা ফিরিয়ে দিয়েছিলো।







সেদিন বৃষ্টির মাঝে ছিল একরাশ ঘৃনা যা বৃষ্টির সৌন্দর্যতাকে মলিন করেছিলো কিন্তু আজ বৃষ্টি মধ্যে রয়েছে এক বুক ভালোবাসা যা তার মধ্যে উজ্জীবিত হয়ে আছে, সাথে আছে মেঘের সে ডায়মন্ডের জ্বলজ্বল করা নোজপিনটা।বৃষ্টি আজ উজার করে দিবে নিজেকে, তার ভালোবাসার কাছে। ভাবতেই কেমন জানি লজ্জায় কুখরে যাচ্ছিলো কিন্তু অজানা ভয় ঘিরে ধরলো বৃষ্টিকে যদি মেঘ ফিরিয়ে দেয়। হঠাৎ সেদিনের কথা মনে পরে যায় বৃষ্টির যেদিন মেঘ বলেছিলো……না ভাবতে পারছে না আর।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মাঝে হালকা বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। ঘড়িতে রাত ১১ টা ছুঁইছুঁই। মেঘ এখনো বাসায় ফিরেনি।বৃষ্টি সেই সন্ধ্যা থেকে কল করছে কিন্তু মেঘ রিসিভ করেনি।একবার রিসিভ করতেই বিজি আছি বলে লাইনটা কেটে দিল, বৃষ্টিকে কিছু বলার সুযোগ দেয়নি।বৃষ্টি জানলার কাছে দাঁড়িয়ে আছে আজ কি তবে মেঘ আসবেনা।ওকি জানেনা আজকের দিনটার কথা। তার মানে কি ভুলে গেছে।






হঠাৎ কারেন্ট চলে গেল। বৃষ্টি ড্রয়ারে থাকা হাফ মোমবাতিটা জ্বালিয়ে দিতেই বাহির থেকে কিছু একটার শব্দ শুনতে পেল।মনে হচ্ছে কারো পায়ের শব্দ। কিন্তু বাসায় তো বৃষ্টি একা।তার শ্বাশুড়ি গেছে রোদেলার বাসায়,বৃষ্টি সব সার্ভেন্টদের ছুটি দিয়ে দিয়েছে যাতে আজ সে একাকী ভাবে মেঘের সাথে এ দিনটি সেলিব্রিট করতে পারে।তাহলে কে হতে পারে, চোর নয়তো।বৃষ্টির কেন জানি এখন ভয় করছে তবুও সাহস জোগাড় করে আস্তে আস্তে সিড়ির কাছে আসতেই কেউ তার চোখ বন্ধ করে দিলো।এখন বৃষ্টির সামনে সব অন্ধকার। তারপর কেউ বৃষ্টির হাতের কব্জি ধরে নিচে নামতে লাগলো। বৃষ্টি তো ভয়ে একাকার তবুও চিৎকার দিয়ে বলছে,

———–কে কে আপনি আমার হাত ধরেছেন কেন, চোখ বন্ধ করেছেন কেন, কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন, কি হলো কথা বলুন দেখুন আমার সাথে ওলট-পালট কিছু করলে কিন্তু ভালো হবে না ছাড়ুন বলছি।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
বৃষ্টি একসাথে কথাগুলো বলছে কিন্তু অচেনা লোকটির সেদিকে কোনো মনোযোগ নেয়।বৃষ্টি যখন নিজের হাত ছাড়ার জন্য ধাপাধাপি করছে, আর না পেরে মানুষটি তাকে কোলে তুলে নেয়।তারপর এক জায়গায় এসে বৃষ্টির চোখ খুলে দেয়।বৃষ্টির চিৎকার দিতে যাবে তখনি সামনের দিকে তাকিয়ে হা হয়ে যায়। কারণ তার সামনে বড় ব্যানারে রঙিন কাগজে বিভিন্ন ডিজাইনে খুব গরজিয়াছ করে লেখা ❤Happy anniversary ❤।পুরো ড্রয়িংরুমটা রঙিন ক্যান্ডেলে ভর্তি যা দিয়ও লেখা আছে ❤শুভ বিবাহবার্ষিকী ❤।হঠাৎ পেছন থেকে কেউ একজন বলে উঠল,

———Happy anniversary bristi.








শব্দটা শুনেই বৃষ্টি পেছনে ফিরে অবাক হয়ে গেলো।কারণ মেঘ দাঁড়িয়ে আছে কালো রঙের স্যুট সাথে সাদা শার্ট, চুলগুলো স্পাইক করা,মুখে হালকা দাড়ি,একহাত পকেটে দিয়ে বৃষ্টির মুখ বরাবর দাঁড়িয়ে আছে আর বৃষ্টি সেতো অবাক হয়ে দেখছে তার বরকে,কতো সুন্দর লাগছে আজ তাকে।মনে হচ্ছে এ মুহূর্তে গিয়ে মেঘকে ছুয়ে দিক।মেঘ আস্তে আস্তে বৃষ্টি সামনে এসে দাড়ালো।বৃষ্টি এখনো এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে মেঘের দিকে, তা দেখে মেঘ বলে,

———কি হলো অবাক হচ্ছো কি মনে করেছিলে আমি ভুলে গেছি।

———হুমম, আপনার মনে আছে আজকের দিনটার কথা, তাহলে দেরি করলেন কেন। আমি কতোবার কল করেছি বিজি বলে কেটে দিলেন।

———-মনে তো থাকবেই কি করে ভুলে যায় এদিনটার কথা, এদিনেই তো আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটা করেছিলাম, তোমাকে বিয়ে করে। যার জন্য বিগত এক বছর ধরে আমাকে প্রতিনিয়ত আমার ভুলের মাসুল গুনতে হয়েছে। শুধু মাএ আমার জন্য তোমাকে,রোদ রোদেলাকে,এমনকি আমার মাকেও এর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই আমি জেনে শুনে আর কোনো ভুল করতে চাই না। আর দেরির কথা বলছিলে,আসলে তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজের ব্যবস্থা করছিলাম তাই ওটা ঠিক করতে করতে দেরি হয়ে গেছে।

———সা..র…সার…সারপ্রাইজ কি…কি….সারপ্রাইজ।

মেঘ ধীরে ধীরে তার স্যুটের ভেতর থেকে একটা কাগজ বের করে তারপর সেটা বৃষ্টির হাতে দিতেই বৃষ্টি কাঁপা কাঁপা হাতে কাগজটা নিয়ে জিজ্ঞেস করে,

———-এ..এটা কীসের পেপার।

———–পরে দেখো তাহলে বুঝতে পারবে
,
,
,
,
,
,
,
,
.বৃষ্টি আস্তে আস্তে কাগজটা খুলে।কাগজটা খুলতেই বৃষ্টির মাথায় আকাশ ভেঙে পরে।কেন জানি মনে হচ্ছে তার চারদিক অন্ধকারে চেয়ে গেছে। চোখ জোরা ঝাপসা হয়ে গেছে। বৃষ্টি ছলছল চোখে মেঘের দিকে তাকিয়ে বলে,

———– ডি…..ভো……ডিভোর্স লেটার। আপনি আমার জন্য ডিভোর্স লেটার এনেছেন তাও সারপ্রাইজ হিসেবে।

———হুমম তুমি খুশি হওনি,তুমি তো আমাকে শাস্তি হিসেবে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলে ৬ মাস আগে।আমি তো তখনি সব ঠিক করে রেখেছিলাম কিন্তু মাঝখানে এমন একটা ঘটনা ঘটে গেলো যে আমি আর এসবে মাথা ঘামাতে পারিনি।তোমার তো খুশি হওয়ার কথা, ডিভোর্স পাওয়ার জন্য তুমি এতোদিন আমার অসুস্থতায় আমার সেবা করছিলে আমার পাশে ছিলে।তাই ভাবলাম যেটা দেওয়ার সেটা অপেক্ষায় রেখে লাভ নেই। তাই ভাবলাম যেদিন আমদের সম্পর্কের শুরু হয়েছিলো সেদিনই না হয় সে সম্পর্কের অবসান ঘটুক।







বৃষ্টি এতোক্ষণ মেঘের কথা গুলো শুনছিল। তার বিশ্বাস হচ্ছে না যে মানুষটা তাকে এতোদিন ধরে পাগলের মতো ভালোবেসেছে, শুধু তাকে পাওয়ার জন্য সবার সাথে অন্যায় করেছে আজ সে মানুষটাই তাকে ডিভোর্স দিতে চাইছে।এমনকি এতোদিন বৃষ্টির সেবাকে শুধু মাএ প্রতিদান হিসেবে দেখেছে,এর পেছনে বৃষ্টির যে ভালোবাসা ছিল সেটা একবারও মেঘের নজরে পরে নি।বৃষ্টির নিরবতা দেখে মেঘ আবারও বললো,

——–কি হলো তুমি চুপ করে আছো কেন খুশি হওনি?তুমি মুক্তি চেয়েছিলে তাই আজ তোমায় মুক্ত করলাম।এবার তুমি মুক্ত আর কখনো তোমার সামনে গিয়ে দাড়াবো না।
,
,
,
,
,
,
,
বৃষ্টি এবার চোখ তুলে তাকালো তবে ছলছল চোখে নয় রক্ত বর্ণ চোখে দেখলেই মনে হচ্ছে এ চোখ দিয়ে মেঘকে জলসে দিবো।হাতে থাকা কাগজটা ছিড়ে কুচি কুচি করে ফেললো তারপর মেঘের সামনে দাড়িয়ে মেঘের কলার টেনে ধরে,

———–বাহ নিজের মন গড়ানো কথা বলে দিলেন, একবারও ভাবলেন না আমি কি বলতে চাইছি।জানতে চাইলেন না আজ আমার মনের অনুভূতির কথা। এতোদিন থেকে একবারও বুঝতে পারেননি আমার ভেতরে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত ভালোবাসাকে।কি জানি বলছিলেন আমি আপনার সেবা করছি ডিভোর্স পাওয়ার জন্য। আপনি শুধু আমার সেবাটায় দেখলেন এর পেছনে যে আমার ভালোবাসা সেটা দেখেন নি।

আমার ভালোবাসার এতো ভালো প্রতিদান দিলেন আপনি।।হুমম মানছি আমি আপনাকে কষ্ট দিয়েছি,ডিভোর্স চেয়েছিলাম কিন্তু সেদিনের পর থেকে আপনার চোখে একবারও আমার পরিবর্তন চোখে পরেনি।কীভাবে পারলেন আমাকে ডিভোর্স দিতে এ আপনার ভালোবাসা যার জন্য আপনি আমার, আমার পরিবার,নিজের পরিবার সকলকে উপেক্ষা করেছিলেন।আমার মনে যে আমি ছোট্ট একটা প্রেমের ঘর তৈরি করেছিলাম সেটাকে আপনি এভাবে গুরিয়ে দিতে একটুও হাত কাঁপলো না। আমি না হয় ভুল করেছি তাই আপনার ভালোবাসা বুঝিনি কিন্তু আপনি তো আমায় ভালোবেসেছিলেন তাহলে।

আমি শুনেছিলাম যে সত্যিকারের ভালোবাসে স নাকি চোখ দেখে মনের কথা বুঝতে পারে।তাহলে আমার চোখে কি কখনো সেটা প্রকাশ পায়নি নাকি আপনার ভালোবাসাটাই মিথ্যা ছিলো,বানোয়াট ছিলো। জানেন তো আজ আমি ভেবেছিলাম হয়তো আপনাকে আমার ভালোবাসার কথা জানাবো,সব কিছু ভুলে নতুন করে শুরু করবো।কিন্তু আমি ভুল ছিলাম।আপনি আমায় সারপ্রাইজ দিলেন কিন্তু এমন একটা সারপ্রাইজ দিবেন সেটা কখনো ভাবতে পারিনি।

জানেন তো খুব অসহায় লাগছে নিজেকে আপনি ঠিকই বলেছিলেন একদিন আমি আসবো আপনার কাছে, কিন্তি আপনি ফিরিয়ে দিবেন,দেখুন না ফিরে যেতে হলো। আপনি চিন্তা করবেন না আমি কাল সকালেই চলে যাবে এ বাড়ি থেকে। কিন্তু যাওয়ার আগে বলে যাচ্ছি আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি,যদি প্রমান হিসেবে আমার জীবন চান তবে সেটা দিতেও আমি পিছপা হবো না।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
বৃষ্টি এতোক্ষণ মেঘকে কথা গুলো বলছিল আর চোখের জল ফেলছিলো।তারপর দৌড়ে ওপরে চলে গেল।মেঘ এখনো নিজের জায়গায় থ মেরে দাঁড়িয়ে আছে।কারণ আজ বৃষ্টি তাকে এতোগুলো কথা বললো যেগুলো মেঘ কখনো আশা করেনি।মেঘের মাথায় এখনো শেষ কথাটা ঘুরছে।ভালোবাসি,আমি আপনাকে ভালোবাসি।
,
,
,
,
,
,
,
,
মেঘ বুঝতে পারল, যে সে বৃষ্টিকে কতোটা হার্ট করে ফেলেছে। তাই সে দৌড়ে রুমে গেল।গিয়ে পুরো রুম তন্নতন্ন করে খুঁজে কিন্তু বৃষ্টিকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। মেঘ ভয় পেয়ে গেলো তার মানে কি বৃষ্টি তাকে ছেড়ে চলে গেলো।তার ওপর বাইরে ঝুম বৃষ্টি, এসময়ে মেয়েটা কোথায় যেতে পারে।মেঘ ধপ করে খাটে বসে পরল। দুহাত ভাজ করে তার ওপর কপাল ঠেকে বসে রইল। পরক্ষণেই তার মাথায় কিছু একটা আসতেই সে দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল ।সোজা চলে গেল ছাদে।

,
,
,
,
,
,
,
,
,
ছাদে দরজার কাছে দাড়াতেই তার ভেতর থেকে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস বের হয়ে এলো। বৃষ্টি ছাদের কিনারায় রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। তার লম্বা চুল গুলো সারা পিঠে এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে আছে। আর সেগুলো থেকে টুপটুপ করে পানি পরছে।বৃষ্টির সারা শরীর বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাওয়ায় শাড়িটা গায়ের সাথে লেপ্টে আছে। যার জন্য শরীরের অনেক কিছু মেঘের বজ্রপাতের আলোতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।







মেঘ আস্তে আস্তে বৃষ্টির পাশে গিয়ে দাড়ালো। বৃষ্টির মুখ দেখা যাচ্ছে না শুধু তার মুখের একাংশ দেখা যাচ্ছে তাও আবছা আবছা।বৃষ্টি ছাদে দাঁড়িয়ে কান্না করছে। কান্না বললে হয়তো ভুল হবে তার ভেতরে থাকা সকল যন্ত্রণাকে বের করার চেষ্টা করছে। মানুষ চাইলে তো আর নিজের যন্ত্রণাকে কমাতে পারেনা তাই অজস্র চোখের জল বিসর্জন দিয়ে সেটাকে হালকা করার চেষ্টা করছে। মেঘের অস্তিত্বের জানান পেয়ে তার চোখের জল যেন আরো ঝরতে শুরু করলো।আর তার সাথে প্রকৃতির বৃষ্টির জলও যেন পাল্লা দিচ্ছে। কোনোটাই থামতে চাইছে না।না চোখের জল আর না আকাশের জল।যদি বৃষ্টি না পরতো তবে হয়তো আজ বৃষ্টির চোখের জলের পরিমাপ বোঝা যেতো।কিন্তু প্রকৃতির বৃষ্টি, বৃষ্টির চোখের জলকে ধুয়ে নিচ্ছে তাই হয়তো সেটা আর বোঝার উপায় রাখছেনা।মেঘ একদম বৃষ্টির গা ঘেঁষে দাঁড়ালো তারপর বলতে লাগলো,

————-আমি জানিনা তুমি একটু আগে আমাকে ওসব কি বললে, সত্যি বলতে আমি বুঝতে পারছি না তোমার কথা গুলোর অর্থ। কিন্তু তোমাকে শুধু এটা বলবো আজ আমাদের এতোকিছুর সম্মুখে দাড়ানোর কারণ হচ্ছো তুমি।আচ্ছা বলো তো সত্যি অর্থে আমার কি কোনো দোষ ছিল। আমি যা করেছিলাম তা কি সত্যি খুব বেশি অন্যায় হয়ে গেছিলো।আমি তো শুধু তোমায় ভালোবেসেছিলাম।এটাই কি দোষ ছিল আমার।তোমাকে ভালোবেসে নিজেকে পৃথিবীর
সবচেয়ে ছোট জায়গায় নামাতেও দ্বিতীয় বার ভাবিনি।কি না করেছি তোমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য। সবটা উজার করে দিয়েছিলাম।এমনকি তুমি চাওনি বলে বিয়ের পর তোমাকে স্পর্শ ও করিনি।কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত সেদিন রাতে আমার কি হয়েছিল জানিনা নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি।তাই তোমার সাথে জোর ফিজিক্যালি ইনভলভ হয়ে পরি।আর সেই রাতটাই আমার জন্য কাল রাত হয়ে দাড়ালো।তার জন্য তোমার অপমান,মায়ের বিচ্ছেদ, বোনের দূরত্ব কি না সহ্য করতে হয়েছে আমায়।

আচ্ছা আমি তো শুধু তোমার ভালোবাসা চেয়েছিলাম,একটু ভালোবাসার কাঙ্গালি তো ছিলাম তার জন্য তুমি আমাকে কতো বড় বড় শাস্তি না দিয়েছো।কিন্তু তাও মুখ বুঝে ছিলাম।তোমার বোঝা উচিত আমি একজন পুরুষ, আমার ও কিছু ফিজিক্যালি আর মেন্টালি নিড থাকতে পারে। কিন্তু তোমার কাছে আমি এসবের কিছুই পায়নি।জানো তো আমার এখন মনে হয় আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি তবে সেটা তোমায় ভালোবেসে আর তার জন্য আজ আমাদের এতো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।আর তুমি তো আমায় ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলে তাও আমার শাস্তি হিসেবে। শুরু থেকে তো তুমি আমার কাছে কিচ্ছু চাওনি শুধু ডিভোর্স চেয়েছিলে,তাই ভাবলাম তোমার এই ইচ্ছে টুকু না হয় পূরণ করে দিই।একজীবনে তো আর সব পাওয়া যায় না,তাই হয়তো তোমাকে পেয়েও না হয় আবারও হারিয়ে ফেললাম।জোর করে কখনো কোনোকিছুর উপর অধিকার খাটানো যায় না।আমি চাই তুমি সুখে থাকো,তাই তোমার সুখের জন্য হলেও আমি তোমায় ডিভোর্সসসসসস…
,
,
,
,
,
,
,
আর বলার সুযোগ হলো না মেঘের, কারণ এর আগেই বৃষ্টি মেঘের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।বৃষ্টি প্রথমে শান্ত থাকলেও মেঘের শেষের কথা গুলো শুনে এতোটাই রেগে ছিলো যে মেঘের মুখ থেকে ডিভোর্স শব্দটা শুনে ওর মাথায় আগুন ধরে গেল।তাই সে নিজের হিতাহিত জ্ঞান ভুলে এমন একটা কাজ করে।বৃষ্টি মেঘের ঘাড়কে একদম নিজের কাছে নিয়ে আসে,তারপর মেঘের দুহাত টেনে নিজের কোমরে রাখে।এরপর নিজেই মেঘের দুপায়ের ওপর ভর করে একহাত মেঘের শার্ট খামচে অন্য হাত মেঘের চুলে গুজে ঠোঁটে দুটো আরো গভীরে নিয়ে গেলো।
,
,
,
,
,
,
বৃষ্টি এমনভাবে মেঘকে কিস করেছিলো মনে হচ্ছে আজ তার দীর্ঘদিনের তৃঞার্ত মনকে সে শান্ত করার লড়াইয়ে নেমেছে। সে পাগলের মতো মেঘের ঠোঁটগুলোকে ছুয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ছেড়ে দিলে এ বুঝি হারিয়ে ফেলবে মেঘকে। মেঘ এতোক্ষণ মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে ছিল, এতোক্ষণ যা হচ্ছে সবকিছু যেন তার মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। সবকিছু যেন কল্পনা মনে হচ্ছে। বৃষ্টি মেঘকে কিস করছে তাও এতো গভীরভাবে সেটা যেন মেঘের বিশ্বাসই হচ্ছে না। বৃষ্টি মেঘের ঠোঁটে যখন মত্ত মেঘ তখন এসব চিন্তা করতে থাকে। বৃষ্টি মেঘের কোনো রেসপন্স না পেয়ে মেঘের ঠোঁটে ছোট্ট একটা বাইট করে।মেঘের ঠোঁট দুটো বৃষ্টির ঠোঁটের ভাজে থাকায় কোনো শব্দ ও করতে পারলো না কিন্তু মেঘ বুঝতে পারল বৃষ্টি তাকে কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
..
.
.
.
.
.
.
.
.
হাজার হোক পুরুষই তো কতোক্ষণি বা এভাবে নিজেকে একটা মেয়ের ছোয়া থেকে কন্ট্রোল করতে পারে তাই আর না পেরে নিজেও বৃষ্টির কোমরটাকে আরো কাছে টেনে এনে, নিজের হাতদুটো বৃষ্টির ঘন চুলে ঢুকিয়ে দিয়ে এবার নিজেও সাই দিলো বৃষ্টির ডাকে।মেঘ বুঝতে পারল বৃষ্টি কান্না করছে হয়তো বৃষ্টির জলে সেটা দেখা যাচ্ছে না কিন্তু বৃষ্টির চোখের জলের গরম ভাব মেঘের মুখে গিয়ে পরছে যেটা মেঘ অনুভব করতে পারছে।কতোক্ষন যে দুজনে এভাবে দুজনের মাঝে ডুবে ছিল তা নিজেরাও জানে না।






প্রায় অনেক্ক্ষণ পর দুজনি সরে আসে তারপর হাঁপাতে থাকে।বৃষ্টি অন্য পাশে ফিরে চোখ বন্ধ করে থাকে আর মেঘ পেছন থেকে বৃষ্টিকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেই তখনও বৃষ্টির চোখ বন্ধ ছিলো।মেঘ বৃষ্টির থুতনিটা তুলে মেঘের দিকে তাকাতে বলে কিন্তু বৃষ্টি চোখ খুলছেনা।মেঘ কয়েকবার বলার পর বৃষ্টি আস্তে আস্তে চোখ জোরা খুললেই দেখে মেঘ তার দিকে তাকিয়ে আছে। বৃষ্টির কেন জানি মেঘের চোখের দিকে তাকাতেই লজ্জা করছে।ঔ চোখে তাকালেই ইচ্ছে করে ডুব দিতে।মেঘ এখনো বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে।

———-কি করলে এটা।তুমি নিজে আমার সাথে এমন করলে।কীভাবে পারলে।একসময় তো তুমি নিজেই আমার থেকে দূরে যেতে চেয়েছিলে তাহলে আজ কেন এতো কাছে এলে,কি হলো চুপ করে আছো কেন উত্তর দাও।

———-কেন করেছি এর উওর আমার কাছে জানা নেই তবে মনে হয়েছিল আপনাকে নিজের ভালোবাসা বোঝানোর জন্য জন্য এটা করাটা জরুরি ছিলো।নাহলে আমার তো আর কোনো উপায় ছিল না আপনাকে বোঝানোর যে আমি কতোটা ভালোবাসি আপনাকে।আচ্ছা আর কি কি করলে আপনি বুঝতে সক্ষম হবেন যে আমি আপনাকে কি পরিমাণ ভালোবাসি। বলুন না,কি হলো বলুন না। আজ আমি আপনার জন্য সব করতে রাজি আছি যদি বলেন আমার প্রানটাও দিতে।

———-তুমি কি জানো তুমি কি বলছো।তুমি নিজেই তো আমার ছোয়া থেকে দূরে চলে যেতে চেয়েছিলো, তুমি তো বলেছিলে আমার ছোয়া তোমার কাছে বিষের মতো লাগে তাহলে তুমি নিজেই কেন সে বিষ সেচছায় পান করতে চাইছো, মৃত্যুর ভয় করছে না।

———-না ভয় করছে না কারণ এটা হচ্ছে এমন বিষ যা খেলে মৃত্যুর ভয় নয় বরং নতুনভাবে বাচার অনুপ্রেরণা পায় তাই আমি আজীবন এ বিষের স্বাধ নিতে চাই, আমার সারা শরীরে এ বিষে ছেয়ে দিতে চাই।

———-বলো তো এ তোমার কেমন পাগলামি একবার বলছো আমায় ডিভোর্স দিতে চাও,আবার বলছো আমার বিষের ছোয়া নিতে চাও আসলে তুমি চাইছোটা কি?????

———–আমি আজ যা চাইছি তা কি আপনি আমায় দিবেন? আমি চাই আপনাকে, আপনার প্রতিটি ছোয়াকে,আমি চাই আমার চোখে লেগে থাকা কাজলেকে লেপ্টে যেতে, ঠোঁঠে থাকা রঙটুকু ছড়িয়ে যেতে, আমার গুছানো শাড়িটা এলোমেলো হয়ে যেতে,৷ দেখুন না আজ আমি ঠিক সেদিনের মতো সেজেছি যেভাবে এক বছর আগে সেজেছিলাম। আমি চাই আমার এ গুছানো সাজটা না হয় আজ অগোছালো হয়ে যাক।

সবসময় গুছানো সবকিছু দিয়ে জীবন শুরু হয়না, কখনো কখনো অগোছালো ভাবেও কিন্তু নতুন জীবন শুরু করা যায়। তৈরি করা যায় নতুন গল্প। আমিও এমন একটা গল্প সৃষ্টি করতে চাই যাতে আপনার ছোয়া থাকবে।।আর এও দেখুন সেই নোজপিনটা যেটা আপনি আমার জন্য এনেছিলেন।আমি চাই সেদিন যে কাজটা অপূর্ণ ছিলো আজ সেটার পূর্ণতা পেতে,মিশে যেতে চাই আপনাতে, এমনভাবে মিশতে চাই যাতে কেউ কোনো দিন আপনার থেকে আলাদাও করতে না পারে।একদম আপনার গভীরে, ধারণ করতে চাই আপনার অস্তিত্ব আমাতে, আমার গর্ভে, যেটার টানে কখনো আপনাকে ছাড়া তো বৈকি দূরে যাওয়ার কথা ও ভাবতে পারবোনা।

আপনি না আমার ইচ্ছা পূর্ণ করতে চাইছিলেন তাহলে পূরণ করুন না আমার এই ইচ্ছেটুকু।সেদিন হয়তো আমি ভুল ছিলাম তাই আপনাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম সরিয়ে রেখেছিলাম নিজেকে দূরে কিন্তু আজ আমি আপনার কাছে নিজেকে সপে দিতে চাইছি, ফিরিয়ে দিবেন না, তবে এ পৃথিবীতে বেচে থাকার শ্বাস টুকু বন্ধ হয়ে যাবে।কারণ আমার প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাসে শুধু আপনার অস্তিত্ব। আপনি বিহীন আমি অস্তিত্ব হীনা।





বৃষ্টি এতোক্ষণ শান্ত হয়ে কথা গুলো বলছিল আর মেঘ মুগ্ধ নয়নে তার প্রতি টা কথা শ্রবন করছে।বৃষ্টির প্রতিটি কথায় মেঘের কানে বারি খাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি অবাক হচ্ছে বৃষ্টির এমন শান্ত ব্যবহারে যা মেঘকে বারবার তার দিকে আকৃষ্ট করেছে।মেঘের নিরবতা দেখে বৃষ্টি আবারও জিজ্ঞেস করল,

———-কি হলো কিছু বলছেন না কেন। তবে কি ফিরিয়ে দিচ্ছেন আমায়।

মেঘ এবারও চুপ করে রইলো।বৃষ্টি এবার তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে,

———-ও তার মানে আপনি আর আমার সাথে থাকতে চাইছেন না। তাই তো। ঠিক আছে আমি আমার উত্তর পেয়ে গেছি।
..
.
.
.
.
.
.
.
বলে বৃষ্টি আর কোনো শব্দ না করে মেঘকে ছেড়ে চলে আসতে নিলে পেছন থেকে তার শাড়ির আঁচল টান পরে।পেছনে ফিরতেই কিছু বোঝার আগেই মেঘ বৃষ্টিকে কাছে টেনে এনে আবারও বৃষ্টির ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবায়। ৫ মিনিট পর ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে বৃষ্টিকে পাজকোল করে নেয়। তারপর ধীর পায়ে নেমে আসে সিড়ি দিয়ে। ছাদ থেকে রুমে আসার সময় টুকু দুজন চেয়েছিলো দুজনের দিকে।বৃষ্টির মুখে আর কোনো বুলি নেয় সব যেন হাওয়া হয়ে গেছে। তার শরীরে মনে হচ্ছে বিন্দুমাএ শক্তিটুকু নেই। সে নিজের শরীরের সমস্ত ভার মেঘের ওপর ছেড়ে দিলো।মেঘ আস্ত করে বৃষ্টিকে বিছানায় শুয়ে দিলো।
.
.
.
.
.
.
.
বৃষ্টি এখনো এক ধ্যানে চেয়ে আছে মেঘের পানে।তারপর তার ওপরে ঝুকে গিয়ে ওর সারা মুখে কিস করতে থাকে।তারপর আবারও ঠোঁঠ জোরা নিয়ে নেয় নিজের দখলে। ঠোঁট ছেড়ে ধীরে ধীরে গলায় ঠোঁট দিয়ে স্লাইড করে আর বৃষ্টি চোখ বুঁজে তা অনুভব করতে থাকে।মেঘ তার শাড়ির আঁচল কাধ থেকে সরাতে যাবে তার আগেই বৃষ্টির কানে ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করে,

————আমি কি পারবো আজ তোমার এই সাজটুকু অগোছালো করতে,দিবে কি সেই অনুমতি????
,
,
,
,
,
,
,
,
মেঘের কথায় বৃষ্টির চোখ গরিয়ে জল পরছে বৃষ্টি আর না পেরে আবারও মেঘের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবায়।মেঘ তার উত্তর পেয়ে গেছে। স্বামী হিসেবে আজ সে সার্থক। পেরেছে সে নিজের ভালোবাসাকে নিজের করে নিতে।এতোদিনের অপেক্ষার প্রহর যেন আজ অবসান ঘটলো।দীর্ঘ ৫ বছর অপেক্ষা যেন শেষ হতে চলেছে আজ।দুজন ডুব দিলো দুজনের মাঝে । এ যেন আজ নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।নতুন অস্তিত্বের সন্ধানে।
,
,
,
,
,
একজন পেরেছে নিজের সকল ঘৃনাকে উপেক্ষা করে ভালোবাসাতে অন্য জন পেরেছে সে ভালোবাসাকে জয় করতে।আজ মনুষ্য মেঘ বৃষ্টির ভালোবাসায় যেন প্রকৃতির মেঘ বৃষ্টি ও হার মানছে। বাইরের মেঘের গর্জনে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দের মাএা যেভাবে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে এই চার দেয়ালের মাঝে মেঘের ভালোবাসায় যেন বৃষ্টি নিজেকে সম্পূর্ণ এক নতুন রূপে সৃষ্টি করছে। এতোদিন ধরে নিজেদের মধ্যে থাকা রাগ,অভিমান,ঘৃনার দেয়াল ভেঙে যেনো ভালোবাসায় নতুন আবরন তৈরি হয়েছে। থাক না সময়টুকু থেমে। যেখানে দীর্ঘ ৫ বছরের পিপাসার্ত একজোরা দম্পতি আজ এক হয়েছে নিজেদের ভালোবাসায়।





প্রতিটি পবিএ সম্পর্কে আল্লাহ কখনো ঘূর্ণন ধরতে দেয় না।কারণ আল্লাহর নাম নিয়ে যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয় তা কখনো শেষ হওয়ার নয় যদি সেখানে থাকে সত্যিকারের ভালোবাসা।চাইলেও যে বের হওয়া যায় না সে পবিত্র বন্ধন থেকে। যেভাবে বের হতে পারেনি বৃষ্টি মেঘের মায়া থেকে।অনেক ঝড়, অনেক সমস্যা এসেছিলো দুজনের মাঝে কিন্তু অবশেষে এক হলো দুজনি।ভালোবাসার ক্ষেএে ইগো,জেদ জিততে পারে না তাই বারবার বৃষ্টির ইগো হেরে গিয়েছিলো মেঘের কাছে।আর এতোকিছুর পরও মেঘ ফিরিয়ে দিতে পারেনি বৃষ্টিকে।কীভাবে পারতো যার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য মেঘ মরিয়া হয়ে উঠেছিলো তার ডাকে কীভাবে সারা না দিয়ে থাকতো।তাই পারেনি মেঘ ফিরিয়ে দিতে বৃষ্টি কে।পূর্ণতা পেলো দুজন দুজনাতে💓💓।
,
,
,
,
,
,
সমাপ্ত

(আসসালামু আলাইকুম। আাশা করি ভালো আছেন।অবশেষে শেষ হলো #মেঘ_বৃষ্টি /রোদ_রোদেলা গল্পটি।আসলে আমি গল্পটাতে ৩ জোরা দম্পতির এক হওয়ার যে লড়াই তাই তুলে ধরেছি।ভালোবাসায় যে শুধু ছেলেরাই ত্যাগ করে বা শুধু মেয়েরাই ত্যাগ করে তা কিন্তু নয়। এ গল্পে আমি ছেলে, মেয়ে কীভাবে সকল বাধাকে দূরে রেখে নিজেদের ভালোবাসাকে আপন করে নিতে পারে সেটাই প্রকাশ করেছি।বৃষ্টির ভালোবাসা পাওয়ার জন্য মেঘকে কিনা সহ্য করতে হয়েছে? শুধু কি তাই, মেঘের শাস্তি ভোগ করতে হয়েছিল রোদেলাকে,রোদের করা সকল অন্যায়ের কারণ বুঝতে পেরেও চুপ ছিলো রোদেলা অবশেষে জয় করেছিলো রোদের ভালোবাসা। তৃনা আর শ্রাবনের সম্পর্কেও কম সমস্যা পোহাতে হয়নি।এতোকিছুর পরেও এ ৩ জোরা দম্পতি পেরেছে এক হতে নিজেদের ভালোবাসায়।

গাল্পটা পরেই বুঝতে পারছেন লিখতে কতোটা সময় লেগেছে। চাইলেই তো আর সমাপ্তি দেওয়া যায় না। সবকিছুকে গুছিয়ে চিন্তা করে তারপর গল্পটার সমাপ্ত করা হয়েছে। যাতে আপনারা পড়তে আনন্দ বোধ করেন।গত পর্বে যখন মেঘকে মারার কথা বলেছিলাম তখন সবাই নিজেদের মন্তব্য জানিয়েছিলেন, বিশ্বাস করুন আপনাদের মতামত গুলো পরে আমার খুব ভালো লেগেছিলো।তাই দীর্ঘ সময় ধরে, অনেক চিন্তা ভাবনা করে গল্পটা শেষ করেছি।বলতে গেলে সম্পূর্ণ কাঁচা হাতের লেখা। এটাই আমার প্রথম দীর্ঘ ধারাবাহিক গল্প। জানিনা আপনাদের জন্য কতোটা বিনোদন মূলক ছিলো তবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে গল্পটা লিখেছি।তাই আজ আমি আপনাদের সবার কাছে গল্পটা শুরু থেকে শেষ অবধি কেমন হয়েছে তা জানতে চাইছি।সবাই নিজেদের মন্তব্য গুলো ছোট করে হলেও লিখে যাবেন।দয়া করে যারা নাইস, স্টিকার ব্যবহার করেন তারা এসব করা থেকে বিরত হোন।আর হ্যা আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ যারা শুরু থেকে আমার গল্পটা শেষ পর্যন্ত পরেছেন।যদি আপনারা পাশে না থাকতেন তবে হয়তো আমার পক্ষে এতদূর আসা সম্ভব হতো না। আপনারা আমাকে অনেক উৎসাহিত করেছেন গল্পটা লিখতে তাই আপনাদের আবারও ধন্যবাদ।আরেকটা কথা আপনারা চাইলে আমি এটার একটা স্পেশাল পর্ব দিবো তবে কখন দিবো জানিনা। )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here