লুকানো অনুরক্তি পর্ব -০৮

#লুকানো_অনুরক্তি (০৮)
রূপন্তি রাহমান (ছদ্মনাম)

কাউকে প্রণয়ের দহনে পুড়াতে হলে বোধহয় উল্টো নিজেকেই আগে পুড়তে হয়।৷ ভালোবাসার অনলে নিজেকেই দগ্ধ হতে হয়। অপরপক্ষের মানুষটাকে ভালোবাসার সেই উদ্দীপনা স্পর্শ করে না। সে অনুভব করে না মানুষটার যন্ত্রণা।

অবনিকে অভিতপ্ত করতে চেয়েছিল মাহফুজ। তার একতরফা প্রণয়ের লেলিহান শিখায় ভস্ম করে দিতে চেয়েছিল অবনির ভেতরকার সমস্ত জেদকে।জানতে চেয়েছিল কেন তাকে কাছে টেনে নিচ্ছে না। তবে হয়েছে উল্টো। সে নিজে সেই কঠিন মানবীর প্রণয়লীলার প্রজ্বলিত শিখায় অঙ্গার হয়ে ফিরে এসেছে। তার গভীর প্রণয় ছুঁতে পারেনি প্রেয়সীর হৃদয়। ভেবেছিল ক্ষণকালের একটু দূরত্ব হয়তো দু’জনকে কাছে টানবে। অবনি তার ভালেবাসায় সিক্ত হবে। জড়িয়ে নেবে ভালোবাসার চাদরে। তবে তা হয়নি। বেড়েছে আরো দূরত্ব। দুজনের মধ্যকার প্রাচীর হয়েছে আরো মজবুত। ভালোবাসার শীতল স্পর্শ ছাড়া এই প্রাচীর ভেঙে ফেলা সম্ভব নয়। কেবল ভালোবাসাই পারবে এই মজবুত, অটল প্রাচীর কে ভেদ করতে।

আরো একটা ঘটনা যেন তাদের মনের যে দূরত্ব আরো একটু বাড়িয়ে দিয়েছে। অভিমানের পর্দা বেসামাল ভাবে উড়ছে মনের দরজায়।

মাহফুজের ডেস্কে ফাইলের স্তুপ। আগামীকালের মধ্যে সবগুলো ফাইল চেক করে সাবমিট করতে হবে। চেক করার মাঝে মোবাইল বেজে উঠলো তার। স্ক্রিনে ‘মা’ নামটা জ্বলজ্বল করছে। মনোযোগ ফাইলে রেখে কল রিসিভ করে সে।

‘হ্যা, মা বলো। কিছু লাগবে বাসায়?’

‘বাবারে, মেয়ে দু’টো সেই সকালে বের হয়েছে। এখনো ফিরেনি। আমার খুব টেনশন হচ্ছে।’

আফসানা খানম আতঙ্কিত, ভয়ার্ত কন্ঠস্বর শুনে কপালে ভাঁজ পড়ে তার। সময় দেখলো। ঘড়ির কাঁটা পাঁচটার ঘর ছুঁই ছুঁই।

‘ফোন করে দেখেছো কোথায় আছে?’

চাপা আর্তনাদ করে উঠেন তিনি। কন্ঠে একরাশ অসহায়ত্ব।

‘করেছিতো, নাদিয়ার মোবাইল বন্ধ আর অবনির মোবাইল রিং হচ্ছে কিন্তু রিসিভ করছে না। তুই যেভাবে পারিস মেয়ে দুটোকে এনে দে। আমার ভালো লাগছে না কিছু। দিনকাল ভালো না। যাওয়ার আগে খেয়েও যায়নি। আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে।’

‘আমি দেখছি।’ বলে কল কে’টে দিলো মাহফুজ।

কতক্ষণ থম মে’রে বসে রইলো মাহফুজ। সময়ের দিকে তাকিয়ে চিন্তারা বাসা বাঁধে মনের আনাচে-কানাচে। মনের চাপা অভিমানকে পাশ কাটিয়ে বহুদিন পরে কল করে অবনির নাম্বারে। একে একে তিন বার কল করার পরও কোন রেসপন্স করেনি অবনি। ভয়টা বাড়ল। মস্তিষ্কে চরকির মতো ঘুরতে লাগল একটা কথা, ‘রাস্তায় কোনো বিপদ হলো না তো?’

বিলম্ব করল না একছুটে বসে রুমে গেল সে। চেক করে রাখা ফাইল গুলো উনার সামনে রেখে বলল,

‘স্যার, আমার এই মুহূর্তে ছুটি দরকার।’

ফাইলগুলো হাতে নিয়ে তিনি বললেন,

‘আর দু’ঘন্টা পরে তো অফিস আওয়ার শেষই হয়ে যাবে। বাকি ফাইল গুলো চেক করে একেবারে যান।’

‘ইট’স আর্জেন্ট স্যার। আমার বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভার্সিটি থেকে ফিরেনি। আমার মা খুব টেনশন করছে।’

তিনি জবাব না দিয়ে তাকিয়ে রইলেন।

‘স্যার ফাইলগুলো আমি সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি। কালকের মাঝে মাঝেই চেক করে আপনার টেবিলে রাখবো।’

‘আচ্ছা মাহফুজ সাহেব। আপনার বোনকে পেলে একটা টেক্সট করে দিয়েন।’

অনুমতি পেয়ে আর দাঁড়ায় না মাহফুজ। বাইক নিয়ে ছুটলো ভার্সিটির দিকে।

কথায় আছে বিপদ যখন আসে তখন চারিদিক দিয়েই আসে। ট্রাফিকে আটকা পড়েছে মাহফুজ। সামনে গাড়ির লম্বা সিরিয়াল। পিছনে যাওয়ার পথ নেই। নিরূপায় হয়ে সেখানেই বসে রইলো সে।আর একটু পরে পরে অবনির নাম্বারে কল করে যাচ্ছে। ভয়, রাগ আর আতঙ্ক যেন একসাথে জড়ো হয়েছে। একবার মন বলছে হাতের কাছে পেলে ঠাটিয়ে চড় লাগাবে। আরেকবার মন বলছে, কিছু বলবে না সে। বিনিময়ে ওরা ভালো থাকুক।

পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়েছে সূর্য। দিনের আলো নিভু নিভু করছে। মাহফুজ অপেক্ষা করছে জ্যাম ছাড়ার আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। বর্তমানে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। হঠাৎই তার চোখ আটকায় ট্রাফিক সিগন্যালের অপর পাশের শপিংমলে। অবনি আর নাদিয়া বের হয়েছে সাথে একটা ছেলে। মুখে মাস্ক থাকায় ছেলেটাকে চিনা গেল না। অবনির হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ছেলেটাকে কি যেন বলল। তারপর ছেলেটার পিছু পিছু পাশের রেস্টুরেন্টে চলে গেল।

এতোক্ষণ মনের মাঝে বড়সড় বিপদের হওয়ার যে ভয় আর আতঙ্ক বাসা বাঁধেছিল। তা মুহূর্তেই বদলে গেল তীব্র ক্ষোভে। প্রগাঢ় ক্রোধে মুখের অভিব্যক্তি বদলে গেল তার। চোখজোড়া ঈষৎ লাল। রাগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নিলো। মাথা উঁচিয়ে তাকায় সামনের সারি সারি গাড়ির দিকে। বেশ সময় লাগবে জ্যাম ছুটতে। বাইক থেকে নেমে দাঁড়ায় সে। পকেট থেকে মোবাইল বের করে কল করল আফসানা খানমের নাম্বারে। রিসিভ হওয়ার সাথে সাথে, ‘ ওদের পেয়েছি।’ বলে কল কে*টে দিল। উনাকে কিছু বলার সুযোগ দিলো না। তারপর হনহনিয়ে গেল রেস্টুরেন্টের দিকে।

রেস্টুরেন্টে গিয়ে চারপাশে নজর বুলায় মাহফুজ। তারপর নজরে এলো নাদিয়া আর সোহেল নামক ছেলেটিকে। ছেলেটাকে দেখে রাগের পারদ আরো কয়েক গুণ বেড়ে গেল তার। মাথায় র’ক্ত চেপে গেল। দ্রুত কদম ফেলে গায়ের সর্বস্ব শক্তি দিয়ে চড় বসিয়ে দিল নাদিয়া গালে। আশেপাশের মানুষ কাউকে তোয়াক্কা করল না। রাগে গা রি রি করছে তার।

মেন্যু কার্ড দেখছিল নাদিয়া আচমকা গালে চড়ের অস্তিত্ব পেয়ে থমকে গেল সে। সামনে মাহফুজকে দেখে ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল তার। ভয়ে থরথর করে কাঁপতে লাগল। গালে হাত দিয়ে মাথা নুইয়ে দাঁড়িয়ে রইলো নাদিয়া। মাহফুজ রাগে গজগজ করছে।

অবনি ওয়াশরুমে গিয়েছিল। ফিরে এসে এমন একটা দৃশ্য দেখবে ভাবতে পারেনি। দৌড়ে নাদিয়া কাছে এসে আগলে নিলো তাকে।

‘কি করছো তুমি? আশেপাশের মানুষ দেখছে।’

মাহফুজ ঠোঁটের কাছে আঙুল এনে বলে,

‘হুঁশশশ! একদম কথা বলবি না।’

নাদিয়ার দিকে আঙুল তাক করে বলল,

‘জীবনে রেস্টুরেন্টে খাসনি? নাকি রেস্টুরেন্ট জীবনে দেখিসনি?’

‘তুমি কিন্তু,,,,,

ধমকে উঠে মাহফুজ। ‘ তোকে আমি চুপ থাকতে বলেছি অবনি।’

গভীর তমসা ঘনীভূত হয় অবনির চোখেমুখে।

‘আমার মা সেই দুপুর থেকে টেনশন করতে করতে ম*রছে। আর তোরা ছেলে নিয়ে ঘুরাঘুরি করছিস? একটা বার কল করে বলে দিলে মানুষটার এতো টেনশন করা লাগে না। কোথায় থাকে মোবাইল? মোবাইল মানুষ সাথে কেন রাখে? এটা শো-পিস? সাজিয়ে রাখার জিনিস? ছেলেদের সাথে এতো ঘুরাঘুরি শখ থাকলে তুই একা ঘুর না। আমার বোনকে কেন টেনে আনছিস? নাকি ছেলে সাথে থাকলে দিন দুনিয়ার খবর থাকে না?’

শেষের কথাটায় চমকায় অবনি। মাথা উঁচিয়ে চারপাশ দেখল। সবাই কেমন তামাশা দেখছে। চোখ ঝাপসা হয়ে এলো তার। অপমানে, লজ্জায় ফোপাঁতে লাগল সে।

‘দেখুন আপনি ভুল বুঝছেন। ওদের কোনো দোষ নেই।’

হাত দিয়ে সোহেল নামক ছেলেটিকে থামিয়ে দেয় মাহফুজ।

‘ফেমিলি ম্যাটারে আপনি ইন্টারফেয়ার করবেন না । আমি আমার বোনকে শাসন করছি। আমি আপনার কাছে কিছু জানতেও চাইনি। যেচে কিছু এক্সপ্লেন করতে আসবেন না।’

নাদিয়ার হাতটা শক্ত করে ধরে মাহফুজ টানতে টানতে বাইরে নিয়ে চলে গেল।

সেখানে দাঁড়িয়ে কাঁদতে লাগল অবনি। কান্নার প্রকোপে ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে তার শরীর।

সোহেল অপরাধীর সুর টানে।

‘স্যরি! অবনি। আজ আমার জন্য তোমাকে এতোগুলো কথা শুনতে হলো।’

ব্যাগ টা কাঁধে ঝুলায় সে। মলিন, বিষাদভারাতুর কন্ঠে বলে, ‘তোমার দোষ নেই। সব দোষ আমার নিয়তির।’

হির হির করে টানতে টানতে বাইরে এসে হাত ছেড়ে দিল নাদিয়া। বাইকের কাছে যেতেই নাদিয়া শুষ্ক ঠোঁট জোড়া জিহবা দ্বারা ভিজিয়ে নিল। ভয়ার্ত কন্ঠে বলল, ‘অবনি?’

‘যার সাথে ডেংডেং করে শপিং করতে এসেছে সেই পৌঁছে দিবে।’

অবনির রিক্সা এসে থামল বিল্ডিংয়ের সামনে। চারিদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। সোডিয়ামের টিমটিমে আলোয় জ্বলজ্বল করছে চারপাশ। রিক্সা থেকে নামে অবনি। ভাড়া মিটানোর জন্য ব্যাগে হাত দিতেই দেখল হাজার টাকার একটা নোট ছাড়া আর কিছু নেই। মোবাইল বের করে সে। অসংখ্য মিসডকল দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে। ডায়াল করে আফসানা খানম এর নাম্বারে। দুই বার রিং হতেই তিনি রিসিভ করেন তিনি।

‘ওরা সেই কখন বাসায় চলে এসেছে। তুই কোথায় অবনি?’

‘আশি টাকা নিয়ে নিচে নামতে পারবে ফুফু? ভাংতি টাকার জন্য ভাড়া দিতে পারছি না।’

তিনি ‘আচ্ছা’ বলে মিনিট পাঁচেকের মাথায় নিচে নেমে এলেন।

টাকা টা রিক্সাওয়ালাকে দিয়ে বলেন, ‘আমার কাছেও ভাংতি ছিলো না মাহফুজের থেকে নিলাম। তোরা যে কি করিস না। আমার কত টেনশন হচ্ছিল জানিস? একটা বার কল করে বলে দিবি না?’

দীর্ঘশ্বাস ফেলে অবনি। ‘মোবাইল সাইলেন্ট ছিল ফুফু। এমন ভুল আর হবে না।’

আর কথা বাড়ায় অবনি। অন্য মনস্ক হয়ে একটা একটা করে সিঁড়ি বাইতে থাকে।

আফসানা খানমও কথা বাড়ালেন না। দেরি করে আসার জন্য কিংবা কল রিসিভ না করার জন্য বকতে পারতেন তিনি। তবে তা করেননি। বকাবকি করা উনার মোটেও পছন্দ না। বকাবকি করলে অনেক সময় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। উনার ধারণা মতে ছেলেমেয়েদের ভালোবেসে সবকিছু বুঝাতে হয়। তবেই হাসি মনে আদেশ মানে তারা। কথা শুনে। তাছাড়া দেরির কারণ নাদিয়ার মুখ থেকে শুনেছেন উনি।

অবনি রুমে গিয়ে ব্যাগটা কোনোরকম রেখে জামাকাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে গেল। সবকিছু দূরে ঠেলে লম্বা একটা গোসল দরকার।

আধঘন্টা গোসল শেষে চুল মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলো সে। মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে ড্রয়ার খুলে। ছোট্ট একটা পার্স বের করে সেখান থেকে একশো টাকার একটা নোট নিলো। তারপর গটগটিয়ে মাহফুজের রুমের দিকে পা বাড়াল।

অন্যদিন মাহফুজের রুমে ঢোকার আগে নক করে। তবে আজ আর নক করল না। সোজা তার সামনে গিয়ে দাঁড়াল।

কেউ সামনে এসে দাঁড়াতেই মাথা তুলে তাকায় মাহফুজ। সদ্য গোসল করে আসার অবনির দিকে ক্ষণকাল অপলক চেয়ে থেকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ফাইলে। মেয়েটার প্রেমে আর মাতাল হতে চায় না সে।

‘তোমার টাকা।’

আবারও অবনির মুখের দিকে তাকায় সে। নির্বোধের মতো জানতে চাইল, ‘কিসের টাকা?’

‘একটু আগে যে আমার রিক্সা ভাড়া দিলে।’

হাতের ফাইলটা রেখে দিল মাহফুজ।

‘নতুন করে আবার রাগাতে এসেছিস?’

‘তোমাকে রাগিয়ে আমার লাভ?’

‘দেখ বহুকষ্টে নিজের রাগ দমন করে কাজে মন দিয়েছি। নিভে যাওয়া আগুনে আর বাতাস করিস না। জ্বলজ্বল করতে থাকা অঙ্গারের তাপে হাত পুড়ে যাবে তোর।’

‘দেখো কথা বলতে আমার মোটেও ভালো লাগছে না। টাকা টা রাখো আমি চলে যাই। কারো কাছে আমি ঋণী থাকতে চাই না।’

বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় মাহফুজ। এলোমেলো চুলের ভাঁজে আঙুল চালায় সে। এক পা এক পা করে এগিয়ে গেল অবনির দিকে। অবনিও পিছাতে পিছাতে দেয়ালের সাথে মিশে গেল একেবারে।

‘ঋণ পরিশোধ করতে এসেছিস? তবে তার আগে আমি যে আকাশসম ভালোবাসা তোকে দিয়েছি সেই ঋণ আগে শোধ কর।’

টলমল চোখে তাকায় অবনি।

‘শোধ তো নিলে। ফিরিয়ে দিয়ে ছিলাম বলে এতোগুলো মানুষের সামনে আমায় অপমান করলে। খুব বাজে ভাবে। আর কি চাও?’

একশো টাকার চকচকে নোটটা মাহফুজের চোখের সামনে ধরে অবনি। পুনরায় বলে,

‘টাকা রাখো। আমি চলে যাই।’

একবার টাকার দিকে তো আরেকবার অবনির মুখের তাকাচ্ছে মাহফুজ। দাঁতে দাঁত পিষে ছুঁ মে’রে টাকাটা নিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলল মুহুর্তেই। তারপর চিবিয়ে চিবিয়ে বলে,

‘হয় আমার চোখের সামনে থেকে যাবি না হয় এর পরবর্তীতে যা হবে তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকবি তুই। এমন কিছু করে বসবো যা কল্পনাও করতে পারবি না।’

#চলবে

দেরি করে দেওয়ার জন্য কেউ বকাবকি করবেন না। আপনাদের যেমন কাজ থাকে আমারও থাকে। আমার পড়াশোনা আছে।তাছাড়া বসলে লিখা হয়ে যায় না। তার জন্য স্পেস দরকার। আমি বলেছি একদিন পরপর দিবো। আপনারাও কিন্তু সায় জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here