লেডি_ডন
লেখক_আকাশ_মাহমুদ
পর্ব_১
–ক্লাস শেষ করে বের হবো,তখনি দেখি মায়া নামের মেয়েটা একটা ছেলেকে বেরেহেম ভাবে হকিস্টিক দিয়ে মারছে!আর সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে সেই দৃশ্য দেখছে!কিন্তু কেউ ছেলেটাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে না।কি যুগ আসলোরে বাবা,মেয়ে ছেলেকে হকি দিয়ে পিটাচ্ছে!
–এই কুত্তার বাচ্চা,তুই আমার বান্ধবীকে কোনো সাহসে প্রপোজ করেছিস?তুই কি জানিস না,এই কলেজে মায়া নামক কোনো কালনাগিনী বসবাস করে?তা জানা সত্বেও তুই কোন সাহসে রিমিকে প্রপোজ করেছিস?
–মায়া আমার ভুল হয়ে গেছে!প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দাও এবারের মতন।
–হারামির বাচ্চা,তুই আমার নাম মুখে নিলি কোন সাহসে বলে উদুল কেলানি শুরু করে।
আজ তোকে একদম জমের বাড়ি পাঠিয়ে দিব।
ছেলেটাকে মারতে মারতে আধমরা করে ফেলে।
–সবার মতন আমিও হা করে মেয়েটার কার্যকালাপ দেখছি!তা ছাড়া কি আর করার আছে আমার।একে তো কলেজে নতুন।তার উপরে কলেজের কে কেমন,সেসব তো কিছুই জানি না।আর মেয়েটাকে যেহেতু কেউ আটকাতে সাহস পাচ্ছে না,তাহলে মেয়েটা বড় কোনো কিছু হবে।হয়তো তার বাবা খুব প্রভাবশালী।ছেলেটাকে মেরে আধমরা করে মাটিতে ফেলে রেখেছে।ছেলেটার জন্য খুব মায়া হচ্ছে!কিন্তু কি করবো,আমিও যে নিরুপায়।তাই চুপ করেই দাঁড়িয়ে রইলাম।
হটাৎ এই দেখি কলেজের গেইট দিয়ে কয়েকটা কালো গাড়ি প্রবেশ করলো।পরে গাড়ির দরজা খুলে ভিতর থেকে কয়েকটা দানব বেরিয়ে আসলো।যেগুলার উচ্চতা কম হলেও ছয় ফিট।তার কম হবে না কেউ।
মানুষরূপী দানব ওরা।সব কয়টার হাতে অস্ত্র।তাও যেমন সেমন অস্ত্র না,সব গুলা ছিল মোহর মারা অস্ত্র।
যেগুলা দেখলেই মানুষের কলিজা শুখিয়ে যাবে!এই অস্ত্রের একটা বুলেট দিয়ে আগ পিছ করে দাঁড় করিয়ে দিয়ে কম হলেও দুইটা মানুষ মারা যাবে।ওদের দেখে সবাই দৌড়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুলে গেলো!আমি ঠায় সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি।
–ম্যাম আপনার কোনো সমস্যা হয় নি তো?
–না আমার কোনো সমস্যা হয়নি।
আমি ঠিক আছি।
–আচ্ছা ম্যাম আপনি গাড়িতে বসুন,বাকি এখানের বিষয়টা আমি দেখছি।
–মেয়েটাকে সবাই প্রটেক্ট করে গাড়িতে বসালো।
তার সব চাইতে দানব মার্কা বডিগার্ড যেটা ছিলো,সে এসে সজোড়ে চিৎকার করে বলতে লাগলো…
–সবাই কান খুলে শুনে রাখো,এই কলেজে যদি কারোর হুকুমত চলে,সেটা মায়া ম্যামের।মায়া ম্যামের উপরে যদি কেউ উঠতে চাও,তাহলে হাতের এই মেশিন টা দেখছিস?অস্ত্র দেখিয়ে,এটার সব কয়টা বুলেট পেটে পুরে দিব।আর এই ছেলে এখানেই পড়ে থাকবে,কেউ তাকে সাহায্য করবে না।
তারপর গাড়ি স্টার্ট করে চলে গেলো।
–অবাক চোখে তাকিয়ে আছি তাদের চলের যাওয়ার দিকে!এটাই ভেবে পাইনা,মানুষ পাওয়ারের এত অপব্যবহার কি করে করে!ছেলেটার জন্য খুব মায়া হচ্ছিলো।দৌড়ে ছেলেটার কাছে গিয়ে ওকে মাটি থেকে তুললাম।মায়ার বডিগার্ড বারন করে গেছে ছেলেটাকে কেউ সাহায্য না করতে,কিন্তু আমি তো করবোই।
সবাই ভয়ে চুপসে আছে!আমি ছেলেটাকে সাহায্য করছি দেখে সবাই চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে!হুট করে একজন বলে উঠলো..
–এই ছেলে তোর কি জানের মায়া নাই নাকি রে?
মায়ার বডিগার্ড যদি জানতে পারে,যে সে বারন করা সত্বেও তুই তাকে সাহায্য করেছিস,তাহলে তোর মৃত্যু নিশ্চিত!
–আরেহ ভাই,ভয় আপনারা পেলে পেতে পারেন,কিন্তু আমি পাই না।ওরা আমায় মারবে তো?ওকেহ আমিও রেডি মা’র খাওয়ার জন্য,কিন্তু তবুও অসহায়ের সাপোর্ট নিব।
–এই ছেলে,তুই মনে হয় কলেজে নতুন?
–হা তো?
–এই জন্যই তো এতো উড়া উড়া ভাব গায়ে।
কিছুদিন থাক কলেজে,তারপর জেনে যাবি মায়া কে!
আর তার পাওয়ার কতটুকু।
–হা,হা ভাই হাসালেন!
দুনিয়ায় তাহলে এখন পাওয়ারের খেলা চলে!
হায়রে দুনিয়া!আর ভাই আপনি আমাকে নিয়ে টেনশন করতে হবে না।আমার টা আমিই দেখে নিব।
–ভাই তোর কলিজা আছে বলতে হয়!
–মুচকি একটা হাসি দিয়ে আমি আমার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরলাম।ছেলেটাকে হাত ধরে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে সিএনজিতে তুললাম।ছেলেটার অবস্থা বেশি একটা ভালো না।নাক,মুখ দিয়ে অনবরত ব্রিডিং হচ্ছে!
সিএনজি নিয়ে সোজা হসপিটাল।হসপিটাল নিতে নিতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে!
রাত বাজে দশটা,আমি এখনো ছেলেটাকে নিয়ে হসপিটাল।এগারোটার দিকে ছেলেটার জ্ঞান ফিরে আসে।তার আশেপাশে কেউ নাই।নার্স আমায় ডেকে বললো তার জ্ঞান ফিরেছে।আমি কেবিনের বাহিরে ছিলাম।কেবিনে গিয়ে দেখি আসলেই তার জ্ঞান ফিরেছে।সে আমায় দেখতে পেয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে!
–ভাই জানি না তুই কে!আর তুই কেনোই বা আমায় বাঁচিয়েছিস!তবে এটা বলবো তুই আমার জীবন বাঁচানোর জন্য দেবতা হয়ে এসেছিস।
–আরেহ ভাই কি বলছো এসব!আমার কর্তব্যবোধ থেকে আমি তোমায় বাঁচিয়েছি!
–তুই যেটাই বলিস না কেনো,তবে সত্যি এটাই যে আমাকে বাঁচানোর জন্য খোদা তোকে পাঠিয়েছে!আজ তুই না থাকলে হয়তো সেখানেই আমি মরে পড়ে থাকতাম।কেউ আমায় বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসতো না।আর তার থেকে বড় কথা তুই এখনো হসপিটালে আমার জন্য পরে আছিস!কে ভাই তুই?আর কোথায় থাকিস?তোকে তো আগে কোনোদিন আমাদের কলেজে দেখিনি!
–আমি আকাশ মাহমুদ।এই শহরে আমি নতুন।তোমাদের কলেজেও আজ আমার প্রথম দিন।আর থাকি কোথায় সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারবো না,তবে রাতে গিয়ে বাসা খুঁজবো।পেয়ে গেলে তোমায় উত্তর দিয়ে দিব আমি কোথায় থাকি।
–ভাই তুই শহরে নতুন।তোকে হয়তো কেউ বাসা দিবে না,তবে তোর চিন্তার কোনো কারন নেই।আমি আছি তোর পাশে।তুই আজ থেকে আমার ঘরেই থাকবি।থাকা খাওয়া নিয়ে কোনে টেনশন নেই তোর।
–আরেহ ভাই কি বলেন,আমি বাসা খুঁজে নিব।তোমার শুধু শুধু টেনশন করতে হবে না।
–ভাই মনে আঘাত দিস না।তুই আমার জন্য যা করেছিস,বলতাম তো সেটা কেউ করতো না।প্লিজ তুই না করিস না।
–আচ্ছা ভাই,তোমার বাসায় এই থাকবো।
–খুবই খুশি হলাম রে!আচ্ছা তুই কোন ইয়ারে এডমিনে নিয়েছিস?
–আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে এডমিশন নিয়েছি।
–আরেহ,কি বলিস!তাহলে তো তুই আমার ক্লাসমেট।
–হা..
–তাহলে তুই আমার সাথে ফর্মালিটিস কেনো দেখাচ্ছসি?তুই করে বল।
–আচ্ছা ঠিক আছে।কিন্তু তোর নামটাই তো জানা হলো না।তোর নাম কি রে?
–আমার নাম প্রান্ত..
–তোর বাসায় কে কে আছে রে?আর আগে কোথায় থাকতি?
–বাসায় কেউ নেই।আর আগে কোথায় থাকতাম বলতে একটা বাসা ছিলো আমার,কিন্তু সেটা সমস্যার কারনে ছেড়ে দিয়ে চলে আসছি।
–আচ্ছা তুই চাপ নিস না।তোর পাশে আমি আছি।যখন যা লাগে আপন ভাই হিসেবে আমায় বলবি।
আর এখন ডক্টরের সাথে কথা বলে চল বাসায় চলে যাবো।
–আরেহ প্রান্ত কি বলছিস তুই!তোর শরীর ভালো না,তোর হসপিটালে থাকা উচিৎ,কিন্তু তুই বাড়ি যেতে চাইছিস কেনো?
–দোস্ত বাসায় মা আর ছোট বোন টা একা রে।আজ সারাদিন হয়তো অনেক খোঁজ করেছে আমার।এখন না গেলে খুব টেনশন করবে রে।
–কি আর করা,প্রান্তর জন্য ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হলো।পরে ওকে নিয়ে ওর বাসায় চলে গেলাম।বাসায় যাওয়ার সাথে সাথে তো প্রান্তর মা সে কি কান্না।
–আরেহ মা কান্না করছো কেনো?দেখো আমার কিছুই হয়নি।শুধু একটু এক্সিডেন্ট করেছি।
–প্রান্ত ওর বাসায় মিথ্যা বলেছে।তবে কারনটা আমার আমি জানি।সে হয়তো বাসায় টেনশন দিতে চায় না।
সে তার মায়ের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিলো।
–মা,আজ থেকে আকাশ আমাদের বাসায় থাকবে।এই ছেলে না থাকলে আজ তোমার ছেলে হয়তো মরে যেতো।আর তাছাড়া ওর ও থাকার জায়গা নেই।শহরে এসেছে পড়ালেখা করার জন্য।আজ প্রথমদিন ক্লাস করে বাসা খোঁজ করার কথা ছিলো,কিন্তু সে সারাটা সময় আমার সাথে না খাইয়ে হসপিটালে কাটিয়েছে।
–বাবা তোমায় কি বলে যে ধন্যবাদ দিব,তা আমার জানা নাই।তবে আজ থেকে এই বাসায় তুমি আমার ছেলের মতোই থাকবে।
–উনার কথা শুনে ভিতরটা খুশিতে ভরে গেলো!
নিজের মা নাই,কিন্তু অন্য একটা মায়ের মতন মানুষকে পেয়ে গেলাম।প্রান্তর মা,খাবার দাবারের ব্যবস্থা করলো।দুজনে মিলে খেয়ে নিলাম।প্রান্তর মা ওকে খাইয়ে দিচ্ছে।এটা দেখে নিজের জন্মদাত্রী মা কে খুব মিস করতে লাগলাম।চোখ মুখ পুরো কালো হয়ে গেলো!এটা হয়তো প্রান্তর মা বুঝে নিয়েছে..
–বাবা,আমি কিন্তু কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি।
তোমায় আগেই বলেছি,তুমি আমার বাসায় আমার ছেলের মতোই থাকবে।হা করো,আমি তোমায় খাইয়ে দিচ্ছি।
–উনি আমায় খাইয়ে দিচ্ছে,চোখের জ্বল যেনো ঝর্ণার মতন বয়ে পড়বে এখন।তাও নিজেকে কন্ট্রোল করে নিলাম।খাওয়া দাওয়া শেষে আমাকে একটা রুম ঠিক করে দিলো।
–বাবা,আজ থেকে তুমি এখানেই থাকবে।
–রুমে এসে নিজের ব্যাগটা রেখে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছি।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে নিলাম।পরে রেডি হচ্ছি কলেজের জন্য,তখনি প্রান্তর আম্মু এসে বললো…
–আকাশ নিচে নাস্তা লাগিয়েছি,যাওয়ার আগে খেয়ে যাবে কিন্তু।
–আচ্ছা,আন্টি।
নাস্তা করে আমি কলেজে চলে আসলাম।
প্রান্ত কলেজে আসেনি।আর আসবেই বা কি করে,মায়া গতকাল তার কি হাল করেছে।
আমি কলেজের গেইট দিয়ে ঢুকতে ধরবো,তখনি দেখি কলেজের ক্যাম্পাসে মায়ার বডিগার্ড সহ আরো প্রায় শতাধিক চেলাপেলা বসে আছে।আর মায়া টেবিলের উপরে পা তুলে বসে আছে।আমি তাদের দেখেও না দেখার ভান করে কলেজে প্রবেশ করতে ধরলাম,কারন ওদের দিয়ে আমাক কাজ কি?আমি এসেছি পড়াশোনা করতে।সেটাই করবো আমি।হটাৎ এই মায়ার বডিগার্ড আমায় ডাক দিলো…
–এই ছোকড়া এদিকে আয়?
–হা বলেন?
–কাল আমি শাসিয়ে যাওয়ার পরেও নাকি তুই সেই ছোকড়াটাকে সাহায্য করেছিস?
–হা করেছি,কারন আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি।
–তুই কি জানিস তুই কার কথা অমান্য করেছিস?এই এই শহরের নাম নেতা আলিফ সাহেবের মেয়ের কথা অমান্য করেছিস।এর জন্য তোর সাজা হচ্ছে মৃত্যু!
–হা,হা,হা,কি বললি তুই?
তুই আমার মারবি?খুব হাসি পাচ্ছে আমার!
–তুই কিন্তু আরো একটা বেয়াদবি করলি।তোকে এমন দরদানাক মৃত্যু দিব,তোর শরীরের অস্তিত্ব সহ কেউ খুঁজে পাবে না।
–আরেহ যা তো,যা পারিস কর।মেরে ফেলবি আমায়?
নে মেরে ফেল।তবেএকটা কথা মাথায় রাখবি,এই আকাশ মাহমুদ মৃত্যুকে ভয় পায় না।উল্টো মৃত্যু আরো আকাশ মাহমুদকে ভয় পায়।একটা শহরের রাজত্ব করতে পেরেই এতটা দাপট তোদের?তাহলে আমার কি করা উচিৎ? যেই ছেলে পুরো দেশকে মুঠো করে দশবার গিলে খেয়ে ফেলেছে!
–এই ছোটলোক,অনেকক্ষন ধরে দেখছি তুই বহু বকবক করছিস!এই তোরা তাকিয়ে তাকিয়ে কি দেখছিস?মার এই ছোটলোক কে।ওকে মেরে ওর লাশ সহ নদীতে ফেলে দিয়ে আসবি।খুব বড় বড় কথা বলছে দেখছি এই ছোটলোক টা।
–আরেহ ম্যাডাম কুল!এত উত্তেজিত হওয়ার কিছুই নাই।আমি আগেই বলেছি,যে আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না।সো মেরে দিয়ে আমার লাশ গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়ে আসেন।
–কিহ,তোর এতবড় সাহস তুই আমার মুখের উপরে কথা বলিস?দাঁড়া তোর হাড়গোড় প্যাকেট করছি।
এই মার তোরা সব কয়টা মিলে ওকে।
–মায়ার কথা অনুযায়ী হুট করে কেউ একজন এসে আমায় শরীরের মধ্যে পিছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে।আমায় মেরে উল্টো তার লাঠিই ভেঙ্গে গেছে!
ভাবছি আবার নিজের রূপে ফিরে যাবো কিনা।যদি নিজের রূপে ফিরে যাই,তাহলে তো আজ এই কলেজ ক্যাম্পাসে কয়েক শতাধিক লাশ পড়বে।ভিতরের জানোয়ার টা জেগে উঠলো!এখন যদি ওদের কিছু না বলি,তাহলে ওরা আমায় মারতে মারতে আধমরা করে ফেলবে।তার থেকে ভালো আমিই ক্যাম্পাস টাকে শসান বানিয়ে দেই।দুনিয়া ইছ বাত পে চালতি হে,ইয়া তো মারো,ইয়া তো খুদ মার যাও!লেকিন মে তো মারনে ওয়ালোমেছে নেহি হু।কিউ কি বাপ হামেশা বাপ হি হোতে হে!ভিতরের শয়তান টা রক্ত খাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে গেছে!দুই পা পিছনে গিয়ে মায়ার আসল বডিগার্ডের ঘাড় ধরে মট করে ঘুরিয়ে ফেললাম!ব্যস কাম তামাম!সে ঘাড় মটকে মাটির উপরে পড়ে আছে!
পুরো ক্যাম্পাস আর মায়ার লোকেরা আমার দিকে হা করে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে!
চলবে..?
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।