লেডি ডন পর্ব ২

#লেডি_ডন
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_২

–ভিতরের শয়তান টা রক্ত খাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে গেছে!দুই পা পিছনে গিয়ে মায়ার আসল বডিগার্ডের ঘাড় ধরে মট করে ঘুরিয়ে ফেললাম!ব্যস কাম তামাম।সে ঘাড় মটকে মাটির উপরে পড়ে আছে!

পুরো ক্যাম্পাস আর মায়ার লোকেরা আমার দিকে হা করে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে আছে!

কি হলো এটা!কারোর যেনো কিছুই মাথায় ঢুকছে না!

–কিরে ছোটলোক তুই এটা কি করলি?

তখনি হেডস্যার ঘটনাস্থলের দিকে আসে।

–এই এখানে কি চলছে মায়া?কাল না তোমায় বারন করেছি এসব গুন্ডাদের কলেজে আনবে না।তুমি তো দেখছি আমার কথা শুনবে না।একে তো ওদের নিয়ে এসেছো,দ্বিতীয়ত আবার মারামারিও করছো?

–স্যার অতিরিক্ত বলে ফেলেছেন কিন্তু!
দেখছেন না এই ছেলে আমার বডিগার্ডকে মেরে মাটিতে শুইয়ে রেখেছে।মাথা কিন্তু বিগড়ে আছে স্যার।
প্লিজ আপনি চলে যান,আর আমাকে আমার কাজ করতে দিন।

–আরেহ ম্যাম কি বলছেন এসব?
আমি কখন আপনার বডিগার্ডকে মারলাম।সে তো আমার হাত লেগে এমনটা হয়ে গেছে।স্যার প্লিজ আপনি আমাকে বাঁচান।আমি সত্যি উনার বডিগার্ডকে মারিনি।অনিচ্ছাসত্ত্বে আমার হাত উনার ঘাড়ে লেগেছে,আর উনি মাটিতে লুটে পড়েছেন।

–মায়া তুমি তোমার গার্ড ফার্ড নিয়ে কলেজে থেকে চলে যাও।আর কলেজে আমাদের শান্তিতে ক্লাস করাতে দাও।

–নাহ আমি যাবো না,আমি এই ছোটলোক কে মেরেই কলেজ থেকে যাবো।

–মায়া ভুলে যেও না আমি তোমার প্রিন্সিপ্যাল।
আমার কথা যদি না শুনো এখন,তাহলে তোমায় কলেজ থেকে নাম বরখাস্ত করে বের করে দিব।পরে যা হবে দেখা যাবে।হয়তো আমায় মেরে ফেলবে তোমার লোকেরা,সেসব নিয়ে আমার আপত্তি নাই। কিন্তু এটা মনে রেখো,পুরো কলেজের সামনে তোমায় লজ্জা পেয়ে কলেজ ছাড়তে হবে।সেটাতে কিন্তু তোমার সম্মানহানি হবে।

–আরেহ স্যার এই ছেলে আমার সাথে বেয়াদবি করেছে,আমার লোকের গায়ে হাত তুলেছে,আর আপনি তার এই পক্ষ নিচ্ছেন?

–মায়া আমি জানি এই ছেলে কিছুই করেনি।কারন তোমরা সংখ্যায় অনেক,আর সে একা।
তার থেকে বড় কথা তোমার ছোটখাটো বিষয়ে গায়ে লাগে বেশি,সেটা আমি জানি।সো এখন এদেরকে কলেজ থেকে চলে যেতে বলো।কলেজে কোনো মারামারি আমি চাই না।যা করার তোমরা বাহিরে গিয়ে করো,সেটা তোমাদের ব্যাপার।কিন্তু কলেজে না।

–স্যার কাজটা ভালো করলেন না!বাবার জন্য আপনাকে সম্মান দিতে হয় আমাকে।না হয় কিন্তু এখনি দাফন দিয়ে দিতাম আপনাকে।
এই তোরা সব কয়টা কলেজের গেইটে গিয়ে অপেক্ষা কর।শুয়োর টাকে আজ কলেজের বাহিরে নিয়ে গিয়ে মারবো।তারপর দেখবো ওকে কে বাঁচায়।

মায়ার কথায় সবাই চলে গেলো।

–আমিও ক্লাসে ঢুকে পরলাম।যাক আল্লাহ বাঁচিয়েছে!
এসেছি নিজেকে মানুষ করতে,কিন্তু সেখানেও অমানুষের দেখা।শুধু দেখাই না,জালেমের মতন অত্যাচার করে তারা পুরো কলেজে।কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।এসবের মাঝে থাকলে যে নিজেকে মানুষ বানাতে পারবো না।আজ যদি স্যারের আসতে আরেকটু দেরি হতো,তাহলে হয়তো শসান বানিয়ে ফেলতাম কলেজ ক্যাম্পাস টাকে।আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া আদায় করলাম।তবে কলেজ শেষ হলে হয়তো কোনো একটা ঝামেলা হবে।সেটা নিয়ে একটু টেনশন লাগছে।ধুর এখন এসব ভেবে লাভ নাই।ক্লাসে মন দেই।দুষমন রা আকাশ মাহমুদকে নিয়ে ভাবে,আকাশ মাহমুদ কাউকে নিয়ে ভাবে না।

ক্লাসে বসে আছি।স্যার লেকচার দিচ্ছে।
চুপচাপ উনার লেকচার শুনলাম।স্যার যেতেই হাজার জনের হাজারটা প্রশ্ন করতে লাগলো।

–এই ছেলে তুমি কি সত্যি মায়ার বডিগার্ডকে মেরেছো?আমাদের না কারোর এই বিশ্বাস হচ্ছে না!চোখ গুলো এখনো ঘোলাটে লাগছে সে সিচুয়েশনের কথা মনে পড়লে!

–ভাই দেখো,আমি কাউকেই মারি নাই।অনিচ্ছাসত্বে এমনটা হয়ে গেছে।আর আমি কোন বীরপুরুষ যে একা এতগুলো মানুষের সামনে একজনকে মেরে মাটিতে শুইয়ে দিব!আমার কি জানের মায়া দয়া নাই?

–হা আমরাও তো তাই বলি,যে ছেলেটার কি জানের মায়া দয়া নাই!তাহলে তুমি ইচ্ছা করে এমনটা করো নি?

–নাহ,আমি ইচ্ছা করে এমনটা করিনি।
আমার মুখ থেকে না জনক উত্তর শুনে সবাই চুপসে গেলো!ধুর যাক চুপসে,তাতে আমার কি!
নিজের প্রচারণা করার জন্য কলেজে আসিনি।
এসেছি পড়তে।আর আমি সেটাতেই ফোকাস করবো।
তবে সবাই বারবার আমাকে এটা কেনো জিগ্যেস করছে তা আমি জানি।কারন সবাই চায় মায়ার মুখের উপরে কেউ জবাব দিক।কিন্ত নৈরাশ হয় সবাই আমার কথায়।

আমি এটাই বুঝিনা,ছোট ছোট কীটপতঙ্গ গুলা শয়তানকে বশে আনতে চায়।তার এটা জানেনা,যেদিন শয়তানের মাথা হাটবে,সেদিন শয়তান পুরো দুনিয়াকে একপাশে রেখে সে অপরপাশ থেকে সবার বিপক্ষে একাই কানামাছি খেলবে।সেদিন রক্তের বন্যা কেউ আর ঠেকাতে পারবে না।সে যত বড়োই শয়তান হোক না কেনো,গডফাদারকে বাক্সে বন্দী করা এতটা সহজ না।এসব নিয়ে ভাবছিলাম,তখনি অন্যস্যার ক্লাসে আসলো।ক্লাসে মন দিলাম।ক্লাস শেষ করে বের হয়ে দেখি,কলেজের গেইটের সামনে হায়না গুলা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।আমি অন্য এক ক্লাসমেটের সাহায্য নিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে পালিয়ে চলে এলাম।

বাসায় এসে দেখি প্রান্ত আমার জন্য গেইটের সামনে অপেক্ষা করছে।সে আমাকে দেখতে পেয়ে…

–কিরে আজ নাকি তুই মায়ার বডিগার্ডকে মেরে কাইত করে দিয়েছিস?

–আরেহ না বেটা,সেসব কিছুই হয়নি।বেফাঁস ভাবে আমার হাত লেগে এমনটা হয়ে গেছে।

–ওহ আচ্ছা,আচ্ছা দেখি তোর হাতটা একটু দেখা তো আমাকে?

–হাত দেখে কি করবি?

–আরেহ এমনি দেখবো।
হাতটা দেখা তুই…

–হাতটা প্রান্তর দিকে এগিয়ে দিলাম।

–আরেহ আকাশ তুই আমায় কি শিখাবি?
তুই কি এটা জানিস আমি মানুষের হাত পড়তে পারি?

–কি বলছিস তুই উল্টা-পাল্টা?

–আরেহ,কিছু না চল বাসায়।গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নে।

–প্রান্তর কথার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারলাম না।কি সব পাগলের মতন কথা বলছে সে!

প্রান্তর সাথে বাসায় ঢুকে গেলাম।খেয়ে দেয়ে নিজের রুমে শুয়ে আছি।হটাৎ এই আগের কথা গুলো মনে পড়লো।আমি আকাশ কি ছিলাম,আর এখন কি অবস্থায় আছি।তবে জানিনা নিজেকে এই ভেসে কতদিন ধরে রাখতে পারবো।এটা নিয়েই খালি মনের মধ্যে ভয় হয়।কখন না জানি আমার আবার আগের রূপে ফিরে যেতে হয়!এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।বিকাল বেলা প্রান্তর ডাকে ঘুম ভাংলো।

–আরেহ,তুই এত সময় পড়ে পড়ে কিসের ঘুম ঘুমাচ্ছিস হ্যাঁ?বিকাল যে হয়েছে,তোর কি সেই খবর আছে?

–বিকাল হলে হয়েছে,তাতে আমার কি?

–আরেহ,তোর কি মানে?তুই যে এই এলাকায় এসেছিস আজ দুইদিন হলো,তুই কি এই এলাকাটা ঘুরে দেখবি না?

–নাহ দেখবো না,আমি ঘুমাবো এখন আরো।

–নাহ,এখন আর ঘুমানো চলবে না।চল দুই ভাই মিলে এলাকাী সীমানা থেকে একটু ঘুরে আসি।

–কি আর করা,প্রান্তর জন্য বিছানা ছেড়ে উঠতে হলো।
পরে দু’জন মিলে এলাকা দেখতে বের হলাম।
দুজনে এলাকার এদিক ওদিক চক্কর খাচ্ছি,আর এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখছি।হটাৎ দেখি কয়েকটা ছেলে দাউ ছুরি হাতে নিয়ে এদিকে এগিয়ে আসছে।এটা দেখেই প্রান্ত দৌড়ে লুকিয়ে গেলো!আমি তো সেখানেই বেকুবের মতন দাঁড়িয়ে আছি!এছাড়া কি বা করবো আমি!ছেলেগুলো একদম আমার সামনে চলে আসলো।এসে সোজাসুজি আমার কলার চেপে ধরেছে!

–এই তোর সাথে যে প্রান্ত ছিলো সে কই?

–তা তো আমি জানিনা।দুজন মিলে হাটছিলাম,কিন্তু হটাৎ সে উধাও হয়ে গেলো।

–সত্যি সত্যি বল সে কই?ওর সাথে পুরনো ঝামেলা আছে আমাদের কিছু।ভালোই ভালোই বলছি ও কই সেটা বলে দে?না হয় তোর অবস্থা কিন্তু খারাপ হয়ে যাবে!

–আরেহ ভাই সে কই আমি কেমনে বলবো!আমি আসছি আজ এলাকায় নতুন।তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হইছি,আর তোমরা এসে আমার কলার ধরে চাপাচাপি করছো!

–চাপাচাপি না,কোপাকুপি হবে।একটু ওয়েট কর খালি।ভাই আসছে।তারপর তোকে কিমা বানাবো।

–চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি।ঘনটার আগামাথা কিছুই জানিনা,আর তারা এসে আমায় শাসাচ্ছে!আবার কাকে জানি ফোন ও দিচ্ছে।যে ভাই..

মালটাকে পাইনি,তবে তার সাথে আরেকজন ছিলো তাকে পেয়েছি।তাকে এখন আমরা আটকে রেখেছি,আপনি আসেন।

–ভাই আমি তো আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারছি না!আমি কি কোনে ভুল করেছি?

–না তুই ভুল করিস নি,তবে ভুল মানুষের সাথে হেঁটেছিস।তার জন্য তোর সাজা হবে আজকে।
এখন চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক।দেমাগ গরম করিস না।

–তাদের কথা মতন চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম।
একটু পর একটা বিএম সিরিজের কার এসে সামনে দাঁড়ালো।কে সে দেখতেও পাচ্ছি না।তার ছেলে পেলে আমায় ঘিরে রেখেছে।

–মালটা কোথায়?

–বস মালটা ঐ যে!

–এত সময়ে চেহারা দেখতে পেলাম লোকটার!
লোকটা আমাকে দেখে সেখানেই আটকে গেলো!
এক পাও আর সামনে আগাচ্ছে না।

–বস কি হলো মালটাকে দেখবেন হা আপনি?

–লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কুন্তু মিনাজ জোয়ালিমিন!আজ আর কারোর রক্ষা নাই!তোরা বাঘকে খাঁচায় বন্দী করেছিস।জীবনের মায়া যদি থাকে,তাহলে এখান থেকে দৌড়ে পালা,না হয় তো দাফন করার জন্য লাশটাও খুঁজে পাবি না!এটা বলেই বস নিজে গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে চলে গেলো!কিসের ড্রাইভার কিসের কি,নিজের জান বাঁচানো আগে ফরজ।

সাঙ্গুপাঙ্গু সবাই বসের কান্ড দেখে অবাক!
সবাই এখনো সেখানে দাঁড়িয়ে আছে।বসের কথা যেনো তাদের কিছুই বুঝে আসলো না।একটা ছেলে বসকে ফোন লাগায়।অনেক কয়বার রিং করে,কিন্তু বস ফোন ধরে না।শেষমেশ গিয়ে ফোন ধরে..

–বস আপনি এভাবে চলে গেলেন যে?

–তোরা এখনে সেখানে রয়ে গেছিস!
তাড়াতাড়ি সেখান থেকে পালা।যাকে তোরা আটক করেছিস,সে কোনো সাধারণ মানুষ না।সে একটা মনস্টার!প্রান প্রিয় ছোট ভাই,তাড়াতাড়ি পালারে তোরা সেখান থেকে।না হয় সে একাই তোদের সব কয়টাকে গিলে খাবে।তোদের সাথে হয়তো আমার আর শেষ দেখা হবে না!

নেতার এমন কথা শুনে সবাই আকাশকে ছেড়ে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে চলে গেলো!

আকাশের যেনো কি হচ্ছে কিছুই মাথায় ঢুকছে না।তবে এটুকু সে বুঝতে পেরেছে,হয়তো আকাশকে তাদের বস চিনে।

–বাসায় চলে এলাম।এসে দেখি প্রান্ত বসে বসে রুমে হাঁপাচ্ছে।
কিরে তুই আমায় ছেড়ে চলে এলি কেনো?
আর তোদের সাথে ওর কিসের ভেজাল?

–আগে তুই সেটা বল তোকে ওরা আস্তো ছেড়ে দিয়েছে কি করে?আমি তো তোর জন্য টেনশন করতে করতে মরে যাচ্ছি!

–সে তো আমি নিজেও জানি না।তাদের নেতা আসলো,পরে আমায় দেখে সে গাড়ি স্টার্ট করে চলে গেছে।

–যাক কলিজাটা একটু ঠান্ডা হলো।

–আরেহ এখন তো বল কি ঝামেলা তাদের সাথে তোর?

–ভাই বলিস না রে,আগে খুব মারামারি করতাম আমি।একবার আমাদের ফ্রেন্ড’দের মধ্যে একটা মারামারি হয়।তার ছোট ভাই ও আমাদের ফ্রেন্ড।সে আমাদের সাথে গুটি করেছিলো,পরে আমরা মিলে তাকে কেলাই।
এরপর থেকে পিন্টু ওর বড় ভাই,সে আমাদের পিছু লাগে।ওর বড় ভাইয়ের মোটামুটি পাওয়ার আছে।

–ভাই তোরা পারিস ও বটে!
আর তুই টেনশন নিস না।আজকের পর হয়তো তারা আর তোকে কিছু করবে না।

–মানে বুঝলাম না,তারা আমায় আজকের পর আর কিছু করবে না,তুই সেটা জানিলি কি করে?

–আরেহ এমনি বললাম।হয়তোবা আর কিছু করবে না।এখন চল আন্টি নাস্তা লাগিয়েছি টেবিলে,খেতে যাবো।

তারপর দু’জন মিলে খেয়ে নিলাম।
সেদিনটা সারাদিন প্রান্ত আর আমি রুমেই কাটিয়ে দিলাম।

পরেরদিন সকালে উঠে কলেজে যাবো।রেডি হয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।প্রান্ত এখনো পুরোপুরি সুস্থ না।তাছাড়া মায়া তাকে কিছু একটা করে দেওয়ার ভয় আছে।শুধু প্রান্তকে না,মায়া আজ আমাকেও ছাড়বে না।আমি সেই রকমের প্রস্তুতি নিয়ে গেলাম।রিক্সা করে কলেজে যাচ্ছি।হটাৎ এই দেখি মায়া মাঝ রাস্তায় লোকজন জড়ো করে আমার জন্য বসে আছে!আমি তাদের সামনে যেতেই তারা আমায় রিক্সা থেকে টেনে নামিয়ে ফেললো।আর মারতে আরম্ভ করলো!মায়া আমার কাছে এসে কয়েকটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিলো গালে।

–এই আমি চললাম।বেটাকে কোনো মতেই তোরা ছাড়বি না।আধমরা করে ফেলবি একদম।

এটা বলে মায়া চলে যায় সেখান থেকে।

–ভিতরে ভিতরে খুব ভয় হচ্ছে,আল্লাহ না জানি আজ ওদের কি হয়!নিজেকে নিয়ে ভয় নাই।কিন্তু যারা আমায় মারতে এসেছে,তাদের নিয়ে ভয় হচ্ছে!আমি যদি একবার আমার রূপ নিয়ে নেই,তাহলে কারোর বাপের সাধ্য নাই আমাকে আটকানোর!মনে মনে খোদার কাছে দোয়া করতে লাগলাম।আল্লাহ তুমি আমার হাত থেকে ওদেরকে রক্ষা করো।

তখনি কোথা থেকে জানি কয়েক শতাধিক ছেলেপেলে চলে আসে গাড়ি করে।তাদের সবার মুখে কাপড় বাঁধা।
কারোর চেহারাই দেখা যাচ্ছে না।এসেই মায়ার লোকদেরকে ইচ্ছে মতন মারতে শুরু করে।মারতে মারতে রক্তের নহর বানিয়ে ফেলেছে সেখানে।
আর আমি তাদের কান্ড দেখে”থ হয়ে তাকিয়ে আছি তাদের দিকে”!
কে এরা?
চলবে…?

ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here