শেষ বিকেলের আলো পর্ব ১৪

শেষ বিকালের আলো
তানিশা আহমেদ
পর্ব ১৪

আজ সকাল থেকে রুমাইসা এক মিনিট বসার সময় পাচ্ছে না। আজকে ও কে দেখতে খালা শ্বাশুড়ি আর মামা শ্বাশুড়ির ফ্যামিলি আসবে। শ্বাশুড়ি সবাইকে ডেকে সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছে যে, অভি আর রুমাইসার ব্যপার নিয়ে যেন চর্চা না হয় ওদের সামনে। যে তুলবে তার শাস্তি কম হবে না।

শ্বাশুড়ি বাসার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার উপরে সাধারণত কেউ কথা বলে না , আবার তার কথা কে অগ্রাহ্য করার ও কেউ নেই। মিলি কে উনি বিশেষ করে সাভধান করল। কারণ কাজের মানুষ , কাকে কি বলে দিবে বলা যায় না।
রুমাইসা কে একা সব রান্না করতে হবে। পোলাও, টিকা,রোস্ট, কোরমা, গরুর কালো ভুনা, সবজি, জর্দা, ফিরনি, ভাত, মুরগি,গরুর মাংস ভুনা, ডাল৷ করলা ভাজি, মাছ ভুনা, চিংড়ি মাছ ভুনা, শুটকি মাছ, বেগুন ভাজি, পটল ভাজি, আলু ভর্তা। সবগুলো আইটেম রুমাইসা কে করতে হচ্ছে। রুমাইসা ভেবে পাচ্ছে না এরা কেমন মানুষ । মিনিমাম ৬০ জন আসবে৷ এদের রান্না বাবুর্চি দিয়ে করালেই বা কি হত। না ওর শ্বাশুড়ির এক কথা সব রুমাইসা কে রান্না করতে হবে। সকাল ৫ টায় উঠেছে ঘুম থেকে । সকালে ইহানের ধমকে ইহিতা কে খাওয়াতে খাওয়াতে রুমাইসা খিচুড়ি খেয়েছে। কোন মতে শেষ করে মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে আবার রান্না ঘরে ছুট। হাত পা কোমড় ব্যথা করছে কাজ করতে করতে। সংসার জীবন কতটা কষ্টের এখন বুঝছে। শাশুড়ি দুই তিনবার এসে এটা সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। মিলি ঘর গুছাচ্ছে এদিকে আসে নি।সব একা হাতে রুমাইসা কে করতে হচ্ছে। মেয়েটাকে কোলে নেওয়ার সুযোগ নেই। ননদ কয়েকবার কোলে নিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে নিজের রুমে।ইহান ও এটা সেটা কিনে আনতে ব্যস্ত। তৃষা তো আড়চোখে বারবার রান্নাঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখে যাচ্ছে রুমাইসার কাজ কর্ম।

আরো ৪ টা আইটেম আছে এখনো রান্না বসায় নি। দুপুর ১২.৩০ টা বাজে। এখনো গোসল করা রেডি হওয়া হয় নি। অথচ শ্বাশুড়ি চিল্লাচিল্লি করছে।

“বুঝি না কেমন বউ ঘরে আনসি। সেই কখন থেকে রান্না করতাসে। আমার কি মান সম্মান নাই নাকি। কামের বেটির মত ঘুরতাসে। যারে দেখতে আসব সেই কামের বেটি হইয়া বইসা আসে। যত্তসব। আমরা যেমন এগুলা আর করি নাই জীবনে। ”

রুমাইসার কান্না পাচ্ছে খুব সেই সকাল থেকে দুই চুলাতে রান্না করছে বড় বড় পাতিলে। অথচ তারপর ও শ্বাশুড়ি খোটা দিয়ে যাচ্ছে। আর কতক্ষন করবে কাজ। মেয়েটাকে খাওয়াতে গেলেই কয়েকবার বলেছে “এই যে নবাবের ঝি, মেয়ে কি তোমার ই আছে দুনিয়ায় আর কারো নেই। কাজ বাকি আর বাহানা দিয়া আরাম করতে বস। ”

রাগে অপমানে রুমাইসা মেয়েকে কান্না অবস্থায় রেখেই রান্না ঘরে চলে এসেছে।ইহান থাকলে এখন এমন হত ই না। ইহান কে খুব অনুভব করছে এখন। লোকটা যত ই নিজের স্বার্থ স্বার্থ বলুক আসলে ইহিতা আর রুমাইসাকে একটু কষ্ট করতেও দেয় না। ১.৩০ টা বাজে খালা শ্বাশুড়ির বাসার মানুষ আসতে শুরু করল। এই তো মাত্র ১০ মিনিট আগে শ্বাশুড়ি এসে রুমাইসা কে তৈরি হতে পাঠিয়েছে। আর সে ফিরনি রান্না করছে।

ওয়াশরুমে ঢুকে কান্নায় ভেঙে পড়ল রুমাইসা। সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যথা আর জ্বালা হচ্ছে। ইচ্ছে করছে একটু গা এলিয়ে শুয়ে পড়তে। কিন্তু সংসার জীবনে বুঝি এত ব্যথা, যন্ত্রনা সহ্য করেই এগিয়ে যেতে হয়। গোসল করে বের হয়ে আলমারি থেকে একটা শাড়ি নিল। ইহিতা কে ওর ফুপু রেডি করেছে। আজ ওর জন্য অনেক কঠিন। এই বাচ্চার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে কি বলবে রুমাইসা এখনো জানে না। ইহান কোথায় গেছে জানা নেই। শাড়ি টা পড়তে পড়তে এসব ই ভাবছিল। হুট করে দরজা খুলে ইহান ঢুকে গেল। রুমাইসার চোখ পড়ল ওর দিকে। ইহান ও তাকাল রুমাইসার দিকে। সবেমাত্র কুচি টা দিয়ে আচল দিতে যাবে আর ইহানের সম্মুখীন হল। ইহানের চোখ টা পড়ল রুমাইসার দিকে। লজ্জায় রুমাইসা ঘুরে গেল আর ইহান ও ব্যপার টা তোয়াক্কা না করে মোবাইল আর ঘড়িটা হাত থেকে খুলে ফ্রেশ হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল।

রুমাইসা শাড়ি টা পড়েই ইহানের দিকে ঘুরল। ইতস্তত করে জিজ্ঞেস করল “গোসল করেছেন না করবেন? ”

“করব।” ইহানের ছোট একটা জবাব।

“আচ্ছা একটা কথা ছিল। ” রুমাইসা শাড়ির আচল টা বারবার শুধু কাধে উঠাচ্ছিল। ওর কেবলি মনে হচ্ছে আচল পড়ে যাচ্ছে।

“হুম বল। ”

রুমাইসার ইহানের কাছ থেকে তুমি সম্বোধন শুনে কেমন শান্তি শান্তি লাগছে।

“আসলে আজকে তো সব মেহমান আসবে। আমি কাউকে চিনিও না। ইহিতার কথা জিজ্ঞেস করলে কি বলব? ”

ইহান কোন জবাব দিল না। ড্রয়ার থেকে তোয়ালে নিয়ে ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় বলল “রেডি হও আমার সাথে বের হবে রুম থেকে। ”

চুল শুকিয়ে টুকটাক হালকা সাজ দিয়ে রেডি হল রুমাইসা। ইহান সবেমাত্র গোসল করে টাওয়াল গায়ে পেচিয়ে বের হল। মাথা থেকে পানি পড়ছে টুপটাপ করে। ইহান উচ্চস্বরে বলল “রুমাইসা তোমার টাওয়াল টা দেও তো। আমার টা ভিজে গেছে। আর আমার পাঞ্জাবি বের কর আলমারি থেকে সবুজ রং এর টা। ”

রুমাইসা ওর টাওয়াল এগিয়ে কাজ করতে ব্যস্ত হল। ইহান পুরো মাথায় আর মুখে টাওয়াল টা দিয়ে মুছতে লাগল। টাওয়াল থেকে যেন অন্যরকম স্মেল আসছে। ইহান এর কেমন যেন মাতাল মাতাল লাগছে। ইচ্ছে করছে না সরাতে মুখ থেকে।কেমন যেন আবেশে জড়িয়ে পড়ছে ও। রুমাইসা দেখল ইহান মাথার উপর টাওয়াল টা ধরে আছে কিন্তু মাথা মুছছে না।

ও কাছে যেয়ে বলল “কি ব্যপার মাথা দিয়ে তো পানি পড়ছে, মুছছেন না কেন? ”

ইহান তবুও চুপচাপ দাড়িয়ে আছে ওইভাবেই। রুমাইসা সাহস করে একদম কাছে যেয়ে টাওয়ালে হাত দিল। রুমাইসার কেন যেন মনে হচ্ছে এগুলোর অধিকার ওর আছে। আর মন কেমন যেন টানছে।

টাওয়ালে হাত দিতেই ইহান একটা হাত ধরে ফেলল। কিন্তু রুমাইসা একটুও ভয় পেল না বরং ভেতরে কেমন যেন হার্ট বিট বাড়ছে। ইহান টাওয়াল টা নামাতেই দেখল রুমাইসা মুখ বরাবর দাড়িয়ে আছে। মেয়েটা একদম সাধারণ, অথচ তবুও কেমন যেন একটা মায়া ছড়িয়ে আছে ওর মাঝে। এতটা কাছে এসে দাড়িয়েছে যে একবার হাত দিয়ে না ছুঁয়ে দেখলে বুঝি অন্যায় হয়ে যাবে। মা হওয়ার পর নাকি অনেকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। অথচ রুমাইসা কে আগের থেকে আরো ভালো লাগে।ইহান এক হাত দিয়ে ওর গাল ছুঁয়ে দিল। রুমাইসার শরীর কাটা দিয়ে উঠল এই স্পর্শ পেয়ে। ইহান আরেক হাতে ওর হাতের আঙুলের ভাজে হাত রাখল। রুমাইসা শক্ত কর আঙুল গুলো কে চেপে ধরল।ঠিক এ সময় দরজায় নক করল কেউ।

ইহান রুমাইসা দুজনেই কেমন অস্বস্তি তে পড়ে গেল। রুমাইসা ঢোক গিলে দরজার কাছে গেল। দরজা খুলতেই দেখল সাইয়ারা বাবুকে কোলে দাড়িয়ে আছে। রুমাইসা হাসি মুখে ও কে ভেতরে আসতে বলল।

“নাহ ভাবী তাড়াতাড়ি যেতে হবে। আপনিও আসেন। আম্মু চিল্লাচিল্লি করছে। মেহমান সবাই চলে এসেছে। ”

ইহিতা কে কোলে নিতেই রুমাইসার আত্মা শুকিয়ে গেল। না জানি বাইরে গেলে শ্বাশুড়ি কোন খোটা দিয়ে বসে। ইহান কে তাড়া দিয়ে ইহিতা কে তৈরি করে নিল ও। দুজন একসাথেই মেয়েকে নিয়ে বের হল। ইহিতা ইহানের কোলে আর রুমাইসা মাথায় ঘোমটা দিয়ে পাশাপাশি দাড়িয়ে আছে।

“রুমাইসা এটা তোমার খালা শ্বাশুড়ি আর শ্বশুর। আমার ছোট বোন এটা।ওর নাম নাহিদা ”

“আসসালামু আলাইকুম আন্টি-আঙ্কেল। কেমন আছেন? ”

নাহিদা খালা বসা থেকে উঠে এসে বলল “ওয়ালাইকুম আসসালাম। বাহ রে নাসিমা বউ তো ভালোই পেয়েছিস। দেখতে শুনতে তো ইহানের সাথে বেশ মানিয়েছে। ”

নাসিমা বেগম ফর্মালিটি করে হাসল। হঠাৎ ইহানের সালাম শুনে ওর দিকে তাকাল নাহিদা খালা। বাচ্চা কোলে ইহান কে দেখে বলল “কেমন আছিস বাবা? বিয়ে করলি আর আমাদের জানালি না একবার! তোর খালারা কি খুব খারাপ নাকি রে পাগল। এই বাচ্চা কে দেখি দেখি। ”

ইহান ইহিতা কে কোলে দিয়ে বলল “না খালা মনি তেমন কিছু না। আসলে একটু সমস্যা ছিল তাই বিয়ে করে ফেলেছি তাড়াতাড়ি। ”

“বাচ্চা কি তোর ইহান? ” খালামনি ইহানের দিকে চেয়ে প্রশ্ন করল।

রুমাইসার মুখ টা শুকিয়ে গেল। ইহান খুব স্বাভাবিক ভাবেই বলল “হ্যা খালামনি আমার মেয়ে। ”

ইহানের খালু দাড়িয়ে বলল “তুমি তো দেখা যায় খুব চালু মিয়া।বিয়ার আগেই কাম সাইরা ফেলস। ”

চারিদিকে হাসির শব্দ হতে লাগল। ঠিক সে সময় তৃষা আর সাহিল এসে দাড়াল। এ কথাটা শুনে একজন আরেকজন এর দিকে তাকাল। তৃষার মুখ টা অন্যরকম হয়ে গেল। আর সাহিল চুপসে গেল এসব শুনে।।

ইহান বিন্দুমাত্র জবাব বা পরোয়া করল না।একে একে সবার সাথে পরিচয় হয়ে নিল রুমাইসা। দুই মামা আর তিন খালা ইহানের। আর ভাই বোনের সংখ্যা কম না। সবাই খুব আপন করে নিল রুমাইসা কে। রুমাইসা অবাক হল যে এরা তো একি মায়ের পেটের ভাই বোন। অথচ ব্যবহার এ কত তফাৎ।

ইহানের দুই খালাতো ভাইয়ের বউ আর এক মামাতো ভাইয়ের বউ ও এসেছে। সবাই একসাথে বসে অনেকক্ষন গল্প করল। রুমাইসা এদের গল্প শুনে অবাক হল। প্রত্যেক এর অবস্থা রুমাইসার মত ই। শ্বাশুরি যত টা ভালো দেখাচ্ছে তত ভালো না। এরা এক হলেই বসে বসে আলোচনা করে বউদের কিভাবে টাইট দিবে। বাসায় কাজ কম করায় না এদের দিয়ে। তৃষা ও বসেছিল এদের সাথে। যদিও রুমাইসার সাথে কথা বলছিল না তবুও কথায় কথায় দেখা যাচ্ছে উত্তর দিতে হচ্ছিল।

তৃষার মুখে শুনল , যদিও বড় বাড়ির মেয়ে। ওর শ্বাশুড়ি অন্য সময় ও কে দিয়েও কাজ করিয়ে নেয়। এমন সময় খাবার দিতে রুমাইসার ডাক পড়ল। রুমাইসা মেয়েকে শুইয়ে রেখেই ছুটে গেল। রুমাইসা যেতেই বাকিরা বলতে লাগল তৃষা কে উদ্দেশ্য করে “মাগো মা, মেয়ের কপাল দেখ তৃষা। বিয়ের আগে প্রেগন্যান্ট তাও ইহান ভাই বিয়ে করসে। এই যুগে এমন হয় ই না। ”

তৃষার মুখ শুকিয়ে গেল। তবুও মুচকি হাসি দিল ওদের কথায়। মেয়েকে একজন কোলে নিয়ে আদর করতে করতে বলল “বাহ, মেয়ে তো বাপ চাচাদের মত হবে। নাক দেখ তোরা। ঠোট গুলা মায়ের মত হবে মনে হয়। ”

তৃষার ভেতর অস্বস্তি বেড়ে যাচ্ছে। সহ্য হচ্ছিল না এসব। এমন সময় ওর শ্বাশুড়ি এসে সবাইকে খেতে ডাকল। দুই তিনবার বলার পর সবাই বাবুকে আর তৃষা কে রেখে উঠে গেল। পুরো রুম জুড়ে দুজন মানুষ। তৃষার দিকে বাবু চেয়ে আছে আর হাত পা নাড়ছে। তৃষা ও গভীর দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকাল। এই সেই বাচ্চা যেটা ওর স্বামীর পরকীয়ার ফল। ইচ্ছে করছে গলা টিপে মেরে ফেলতে। হঠাৎ তৃষার কি যেন হল। ও ওর হাত দুটো ইহিতার গলার কাছে নিল। আজ মেরেই ফেলবে বাচ্চাকে। তারপর রুমাইসা কে মারবে। সাহিল শুধু ওর, আর কারো না।

হাত দুটো গলার কাছে আগাতেই ইহিতা কান্না করতে লাগল। তৃষার হাত থেমে গেল তখনি। খুব জোরে জোরে কান্না করছে। তৃষা মুহুর্তেই ভুলে গেল একটু আগের উদ্দেশ্য । বিরক্ত হয়ে গেল কান্না শুনে। আশেপাশে তাকাতে লাগল কেউ আছে কিনা দেখার জন্য।কোন মতে নেমে বাহিরে উকি দিল। সবাই খাওয়াচ্ছে আর এটা সেটা এগিয়ে দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা রুমাইসা খাবার দিচ্ছে সবাইকে।

বাধ্য হয়ে ইহিতা কে কোলে তুলে নিল। এতদিনে এই প্রথম কাছ থেকে দেখছে ইহিতা কে। ইহিতার চোখ দুটো একদম সাহিলের মত। কপাল টাও সাহিলের মত কুচকে আছে। কান্না আসে তৃষার। এত বড় অন্যায় টা ও কেন করল। শুধু মাত্র একটা বাচ্চা হচ্ছিল না বলেই এমন কিছুতে পা বাড়াল সাহিল। বাবু কান্না থামিয়ে তৃষা কে দেখছে। তৃষা আসতে করে বলল “তুই আমার স্বামীর পাপের ফল। অথচ আজ তুই আমার কোলে শুয়ে আছিস। জানিস ইচ্ছা করছে তোকে মেরে ফেলতে।কিন্তু আমিও মা, আমারো বাচ্চা হবে। তোর কান্না শুনলে মনে হয় আমার বাচ্চা ভেতর থেকে কান্না করে। ”

তৃষা বুকের সাথে লাগিয়ে নিল ইহিতা কে। ইহিতাও চুপ হয়ে আছে। তৃষা ইহিতার গালে কয়েকটা চুমু দিল। সাহিল দরজায় দাড়িয়ে দেখল চুমু দেওয়ার দৃশ্য টা। নিজের মেয়েকে খুব ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে ওর। কিন্তু ওর মত পাপী ব্যক্তি আর হয় না। নিজের সন্তান কে নিজের হাতে ফেলে দিয়েছে। এরপর আর অধিকার নেই ওর। কোন দাবীতে হাত দিবে ইহিতার গায়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here