#সম্পর্ক
#১৫
‘দিন’ এর সময় শেষ, সে ধীরস্থির ভাবে পৃথিবীর কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছে। ওদিকে ‘আঁধার’ নিজের গোফে তা দিতে দিতে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায়, কখন পুরোপুরি ভাবে নিজের রাজ্য স্থাপন করতে পারবে প্রকৃতিতে।
আহ্নি,প্রান্ত বাদাম খেতে খেতে ঝিলের পাড় ধরে হাঁটছে। প্রান্ত বাদাম ছুঁলছে, আহ্নির হাতে দিচ্ছে। আর আহ্নি খেতে খেতে কিছু একটা নিয়ে গভীর ভাবনায় ডুবে গেছে। প্রান্ত ডাকল, ‘আহ্নি..’
আহ্নি ছোট করে সাড়া দেয়, ‘কী?’
‘কী ভাবছো? এত চুপচাপ হয়ে পড়লে যে!’
‘কিছু না।’ আহ্নি ভাবনাটা এড়িয়ে যায়। এখান থেকে রিকশা নিয়ে চলে যাবে সে। আর প্রান্ত হেটেই বাড়ি ফিরবে। তার বাড়ি এখান থেকে খুব দূরে নয়। ওয়াকিং ডিস্টেন্স…
আহ্নি দাঁড়িয়ে বলল, ‘এবার রিকশা ডাকি?’
‘তুমি কিন্তু বললে না কী ভাবছিলে, নাকি বলতে অসুবিধে?’ বলতে বলতে বাদামের শেষ টুকরোটা হাতে নিয়ে প্যাকেট ফেলে দিলো প্রান্ত, তারপর হাত দুটো ঝাড়তে লাগলো। আহ্নি মাথা নাড়ায়, ‘না, না তেমন কিছু ভাবছিলাম না। ভাবছিলাম আমাদের সম্পর্কের কথা..’
‘আমাদের সম্পর্কের কথা?’ ভ্রু কুঁচকে গেল প্রান্তের, ‘আমাদের কথা নতুন করে ভাববার কী আছে?’
‘তুমি আসলেই অনেক বোকা বুঝছো! ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে না? কীভাবে এই প্রণয় কে পরিণয়ে রূপ দিব, সেটা তো আমাদেরকেই ভাবতে হবে, নাকি?’
‘ও! তাই বলো.. তো কী ভাবলে?’
‘এখনো তেমন কিছু ভেবে পাইনি। আসলে ভাবার সঠিক সময়টা হয়তো এখনো আসেনি। তোমার পড়ালেখা শেষ হোক আগে, তারপর দেখা যাবে…’
‘ততদিন তোমার ফ্যামিলি থেকে কোনোপ্রকার প্রেশার আসবে না তো?’ প্রান্তের কণ্ঠে উদ্বেগ টের পায় আহ্নি, একটু অবাকই হয় সে। কত কম দিনের সম্পর্ক, তার উপর প্রান্ত ছেলে মানুষ, আহ্নিকে চেনেই বা কতটুকু? অথচ এখনি আহ্নিকে হারানোর ভয় পাচ্ছে। আচ্ছা, এটা কী ভালোবাসা থেকে হারানোর ভয় পাওয়া, নাকি কিছুদিন ঘোরাফেরার কারনে একটা মায়া জন্মে গেছে, এই কারনে সাময়িক ভয়? কোনটা?
আহ্নি ভাবতে চায় না। সে প্রান্তের কাছে সাময়িক বা ক্ষণস্থায়ী কোনো বস্তু একদম হতে চায় না। প্রান্ত যেমন তার জন্য একদম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লিখিত দলিল হয়ে গেছে, সেও প্রান্তের কাছ থেকে ততটুকুই আশা করে, ভালোবাসা চায়!
‘আবার কী ভাবতে বসে গেলে?’ অধৈর্য্য প্রান্তের কণ্ঠ শুনে একটু চমকেই উঠে আহ্নি, দ্রুত মাথা এদিক ওদিক নাড়ে, ‘না, কিছু না। তুমি কী যেনো বলছিলে..’
‘বলছিলাম, তোমার ফ্যামিলি থেকে কোনো ধরনের চাপ টাপ দিবে না তো? দেখো আমি মাত্র ভার্সিটিতে উঠলাম বলতে গেলে। গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে এখনো অনেক বছর, ততদিন…’
‘আমাকে ধৈর্য্য ধরে থাকতে হবে, এইতো?’ প্রান্তের মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বলল আহ্নি, আশ্বস্ত করে বলল, ‘তুমি চিন্তা না করে মন দিয়ে পড়াশোনা করো। আমাকে চেনো না? আমি কেমন জানো না? আমাকে প্রেশার দেওয়ার সাধ্য কারো নেই প্রান্ত। তুমি অহেতুক এসবে মন না দিয়ে ঠিকঠাক মতো পড়াশোনা চালিয়ে যাও। ইউ হ্যাভ টু ডু সামথিং গুড সো সুউউউন.. তোমার একলার জন্য না, আমার জন্য হলেও তোমাকে সাকসেসফুল হতেই হবে, তাও খুব জলদি।’
প্রান্তের হঠাৎ করে চোখে পানি এসে গেল। আহ্নির একটা হাত সে নিজের হাতের মুঠোয় নিল খুব শক্ত করে, তারপর ভেজা কণ্ঠে বলল, ‘এভাবে কেউ কখনো আমাকে বলেনি আহ্নি, কখনো না। পরীক্ষার আগেরদিন আমি খুব করে চেতাম, কেউ বুকে টেনে বলুক, তুমি পারবে, তোমার পরীক্ষা বেস্ট হবে। কিন্তু কেউই বলেনি। অবশ্য বলবেই বা কে? কে আছে আমার? আজ মনে হলো, আমার একজন আছে। সেই একজন থাকলেই হবে। আর কাউকেই প্রয়োজন নেই। তুমি প্লীজ, কক্ষনো এই অধম, অপদার্থ, অসহায়কে একা করে চলে যেও না। তুমি আমার শক্তি, আমার সাহস। তোমার প্রতিটি শব্দ আমাকে নতুন উদ্যমে বাঁচতে শেখায়, আমার মনের জোর শতগুণ করে তোলে। তুমি হারালে আমি জীবনের খেই হারিয়ে ফেলব। নির্ঘাত মরেই যাব!!’
বলতে বলতে প্রান্তের কেঁদে ফেলবার অবস্থা। আহ্নির বুকটা মোচড় দিয়ে উঠে হঠাৎ। এই মানুষটা কে ফেলে কোথায় যাবে সে! কোথায়! কী পাগল ছেলে দেখো, রাস্তায় এত এত মানুষ, অথচ এ কাঁদছে!
আহ্নি পরিস্থিতি পাল্টাতে বলল, ‘মানুষ দেখলে ভাববে আমি তোমাকে ছ্যাঁকা দিচ্ছি। এই জন্যে এভাবে কাঁদছো।’
প্রান্তের সম্বিৎ ফিরলো,সে দ্রুত আহ্নির হাত ছেড়ে দিয়ে শার্টের হাতায় চোখ ডলে ডলে মুছলো, বলল, ‘তুমি সাথে থাকলে আশপাশ সব ভুলে যাই।’
‘এখন আমাকে দেখলে আহ্নি দিন দুনিয়া সব ভুলে যাবে।’ কথাটি আহ্নি, প্রান্তের কর্ণকুহরে ঢুকতেই দু’জনেই ঘুরে তাকাল। দেখল, বোরকা পরনে একজন যুবতী দাঁড়িয়ে…
প্রান্ত ঠিক চিনলো না। সে কপালে ভাঁজ ফেলে তাকে চেনার চেষ্টা করছে, ওদিকে আহ্নির হাত-পা কাঁপা-কাঁপি শুরু করে দিয়েছে…
প্রান্ত ঘটনাটা খেয়াল করতেই হতভম্ব মুখে বলল, ‘এই আহ্নি, কাঁপছো কেন? উনি কে?’
আহ্নি জবাব দেওয়ার আগেই, ছদ্ম গাম্ভীর্য ভাব মুখ থেকে সরিয়ে, হাসিযুক্ত ঠোঁটে রতি জবাব দিল, ‘আমি আহ্নির রতি ভাবি।’
‘রতি ভাবি..’ বিড়বিড় করে শব্দটা উচ্চারণ করল প্রান্ত, যখন মাথায় ঢুকলো, রতি ভাবি কে, তখন সেও কাঁপা-কাঁপি লাগিয়ে দিলো…
রতি দুই বাঁদরের অবস্থা দেখে হা হা করে হেসে উঠল। আহ্নির ভয় সঙ্গে সঙ্গে উবে গেল।
সে বুকে থুতু ছিটিয়ে অভিমানী স্বরে বলল, ‘কী ভয়টাই না পাইয়ে দিয়েছিলে, হু!’
‘লুকিয়ে সম্পর্ক করার মজাই তো এটা। একটু ভয়, একটু চিন্তা, একটু কাঁপা-কাঁপি না হলে মজা কই?’
বলতে বলতে এগিয়ে আসলো রতি। প্রান্ত ততক্ষণে নিজের কাঁপা-কাঁপি থামিয়েছে। সে বুঝে গেছে, আহ্নির ভাষ্যমতেই এই ভাবিটি খুব খুব খুউউউব ভালো।
‘এবার বলো পাজি মেয়ে, তোমার কী শাস্তি দেওয়া যায়?’ বলল রতি।
‘কীসের শাস্তি?’ ভ্রু কুঁচকালো আহ্নি।
‘এই যে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করছ, আবার আমাকে বলোওনি একবারও! আবার বলো কীসের শাস্তি?’
আহ্নির বাম কানটা খপ করে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে নিলো রতি, তারপর আলতো করে কান মলা দিয়ে দিলো। আহ্নি অভিনয় করল, যেন সে খুব ব্যথা পাচ্ছে!
‘আউউউ, আউ ভাবি! আহ হা, ভাবি, ছাড়ো প্লীজ, আচ্ছা এই যে সরি বলছি, সরি আমি… উউউউ, ভাবি গো…’
রতি হাত সরালো না, বরং এবার জোরে কানটা মলে দিতে দিতে বলল, ‘কত ভালো অভিনয় হ্যাঁ!’
‘এবার সত্যি সত্যি লাগছে, ও ভাবি… উউউ….’
রতি ছেড়ে দিতেই আহ্নি হেসে উঠল, ‘একটুও লাগেনি। বুদ্ধু বানাইলাম।’
‘তবে রে..’ রতি চোখ রাঙিয়ে আবার কানটা ধরতে যেতেই আহ্নি দ্রুত সরে দাঁড়াল। দু’হাতে কান ধরে অপরাধী মুখ করে বলল, ‘এই যে, সরি, সরি, সরি… আর কক্ষনো কোনোকিছু তোমার থেকে লুকোবো না। প্রমিস।’
রতির পাতলা ঠোঁট দুটি হাসিতে নেচে উঠল। প্রান্তের সাথে প্রাথমিক আলাপটুকু সাড়তে সাড়তে একটক ফুচকার দোকানে বসলো তিনজনে।
_____________
অনেকক্ষণ যাবত বিছানায় এপাশ ওপাশ গড়াগড়ি করে আবির উঠে বসলো। সে সৌদি আরবে এসেছে, আজ নিয়ে চারদিন। যেদিন এসে পৌঁছেছে, সেদিন রতির সাথে কথা হয়েছিল, এরপর আর হয়নি। রতিকে চাইলেই সে কল দিতে পারে, কথা বলতে পারে, কিন্তু কোথাও একটা জড়তা কাজ করে তার ভেতর। আবার রতির সাথে কথা না বলেও অসহ্য লাগছে তার, কেমন অস্থির হয়ে আছে ভেতরটা। এরকম কেন হচ্ছে সে জানে না…
আবির পায়ে পায়ে হেঁটে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াল। আবিরের কোম্পানি থেকে তাকে যে বিল্ডিং এ থাকতে দেওয়া হয়েছে, বিল্ডিং টি পনেরো তলা। সে থাকে এগারো তলার একটি ফ্ল্যাটে। এখানে ছয়জন মিলে তারা তিনটে রুম শেয়ার করে থাকে। তার রুম মেটের নাম আসিফ,সেও বাংলাদেশের নাগরিক। তার বাড়ি খুলনার বাগেরহাটে।
ফ্ল্যাটটি অনেক উঁচুতে হওয়ায়, নিচের দিকে তাকালে সবকিছু লিলিপুটের মতো ছোট ছোট দেখা যায়। রাস্তাটাও এক হাত সমান লম্বা লাগে দেখতে। সেই চিকন রাস্তায়, ছোট ছোট খেলনা গাড়ির মতো গাড়ি গুলো ছুটে ছুটে যাচ্ছে। সেদিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলো আবির…
একটা উষ্ণ বায়ু তাকে সহ সবকিছু ছুঁয়ে চলে যেতেই আবিরের সম্বিৎ ফিরলো। ঠিক তখনি তার মন জানান দিল, সে ভয়ংকর এক অনুভূতির বেড়াজালে আঁটকা পড়েছে। এই অনুভূতি, আগুন অনুভূতি। এই অনুভূতি ভেতরের সবকিছু ঝলসে দেয়, এই অনুভূতি জীবিত মানুষকে মৃতও বানাতে সক্ষম, এই অনুভূতি একজন সুস্থ মানুষকে চোখের পলকে দুর্বল করে দুমড়েমুচড়ে দিতে পারে!
আবিরের শ্বাস কষ্টের মতো হয়। সে বড় হা করে ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিয়ে ফুসফুসটাকে বাতাস ভর্তি করে, মিনিট দুয়েক পর একটু শান্ত হত। তৎক্ষনাৎ আকাশের দিকে দু’হাত তুলে কাঁপা-কাঁপা কণ্ঠে প্রার্থনা করল, ‘ইয়া রব, আপনি এমন একজন কে ভালোবাসালেন, যাকে আমি পেয়েও হারিয়ে ফেললাম। এখন আবার এমন একজনের প্রতি আমার অনুভূতি জাগ্রত হচ্ছে, যাকে আমি কোনোদিন হাজার সাধনায়ও পাবো না। আমার জীবনে আমার বাবা-মাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ… এমনকিছু আপনি হুকুম কইরেন না, যেনো আমার বাবা-মা আমার কারণে কষ্ট পায়। আপনি সহায় হন, আপনি আমার ভেতরকার সমস্ত আগুন অনুভূতি নিভিয়ে দিন। আমাকে কাজে পরিপূর্ণ মনোযোগ দিয়ে দিন। আমাকে সাহায্য করুন খোদা, সাহায্য করুন।’
____________
লাল রঙের ফাইলটা গতকাল রাতেও ওয়ারড্রবের উপরে ছিল, অথচ এখন কোথাও নেই! কী আশ্চর্য!
আরাফ হন্য হয়ে ফাইলটা খুঁজতে লাগল। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফাইল। নেক্সট প্রজেক্টের সব ডকুমেন্টস ওটায় আছে। ওই কাগজের এক্সট্রা ফটোকপিও নেই। ওটা হারালে আরাফের চাকরিও চলে যেতে পারে। যে টাইট বস!
আরাফের কপালের শিরা দপদপ করে জ্বলছে। এর মধ্যে তিনবার দুপুরকে চিৎকার করে ডেকে ফেলেছে আরাফ অথচ দুপুরের টিকিটারও দেখা নেই…
আরাফ আবার পুরো বিছানায়, ওয়ায়ড্রব, তন্নতন্ন করে খুঁজল, তারপর দুপুরকে চারবারের মতো চেঁচিয়ে ডাকলে আহ্নি এসে দরজায় দাঁড়াল।
‘কিছু লাগবে ভাইয়া? আপা বাসায় নেই।’
‘গেছে কই?’
‘আম্মুর সাথে কোথায় গেছে জানি না। তোমাকে এরকম উদ্ভ্রান্তের মতো দেখাচ্ছে কেন? কী হইছে?’
আরাফ কপাল থেকে ঘাম ফোঁটা গুলো মুছে নিতে নিতে বলল, ‘একটা লাল কালারের ফাইল রাখছিলাম, এই যে এখানে। এখন আর কোথাও পাচ্ছি না। একটু দেখ না খুঁজে.. খুব ইম্পর্ট্যান্ট।’
আহ্নি ভেতরে ঢুকলো। সেও আশপাশ সব খুঁজলো। কী মনে করে ওয়ারড্রবের পেছনে একচোখ টিপে তাকাল, তার সন্দেহই ঠিক হলো। ফাইলটা ওয়ারড্রবের পেছনে পড়ে আছে। আহ্নি ডাকল, ‘ভাইয়া এই যে এখানে, পড়ে গেছে। ওয়ারড্রব সরাতে হবে।’
‘পেয়েছিস?’ আরাফ এসে সেও দেখল, চেষ্টা করল কাঠি ঢুকিয়ে বের করার, পারল না। তারপর হাল ছেড়ে দিল, ‘ওয়ারড্রব সরাতেই হবে দেখছি।’
‘হুম, না হলে আনা যাবে না।’
‘আচ্ছা, পরে সরাবো। এখন আর পারব না বাবা। থাকুক ওখানে। আমি শেষ.. ‘
আরাফ বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ল, আহ্নি ক্ষণকাল চুপ করে থেকে ধীর কণ্ঠে বলে উঠল, ‘রতি ভাবি থাকলে তোমার কোনোকিছুই খোঁজা লাগতো না। সে সবকিছু ঠিক তোমার কাজের আগে রেডি করে রাখতো। সোনার কদর সবাই বুঝে না। সবাই খোঁজে ডায়মন্ড!’
আরাফ ঝট করে উঠে বসতেই, আহ্নি দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেলো। ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো আরাফ, তখন পায়ের নিচে কিছু একটার অস্তিত্ব অনুভব হয়। আরাফ নিচু হয়ে জিনিসটা হাতে তুলে নিল, চুল বাঁধার কালো ব্যান্ড। এটা কার? কী মনে হতে আরাফ ব্যান্ডটাকে নাকের কাছে নিয়ে শুঁকলো.. সঙ্গে সঙ্গে তার শিরদাঁড়া বেয়ে কিছু একটা ছুটে গেল। এই চুলের স্মেল রতির.. আরাফ খুব ভালো করেই জানে।
রতি… অনেকদিন পর আরাফের বুকের ভেতর কেমন একটা ধাক্কা দিয়ে উঠল। নিজের অজান্তে সে ব্যান্ডটাকে আরো একবার শুঁকলো, তার ভেতরের সবকিছু দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে….
আরাফ অস্ফুটস্বরে বিড়বিড় করল, ‘তুমি ভালো আছো রতি?’
চলবে…
®অলিন্দ্রিয়া রুহি
*রিচেক করিনি, ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
*মন্তব্য করেন না কেন আপনারা? হোয়াই? 😒