সাইকো_লাভার পর্বঃ১৪

সাইকো_লাভার পর্বঃ১৪
#লেখিকাঃসাদিয়া_সিদ্দিক_মিম

রায়ান ভাইয়া বেরিয়ে যাওয়ার পর আমি পিছন ফিরে দেখি আদি কেমন মায়া ভরা দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,আদিকে কিছু জিজ্ঞেস করব তখনই চাচ্চু প্রবেশ করে আমার কেবিনে।আর এসেই রেগে আদিকে বলে,

চাচ্চুঃ তোমার সাহস ত কম নয়,তুমি এখানেও এসে হাজির হয়েছো,তোমার কী লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই।দিয়া যে তোমাকে শয্য করতে পারে না সেটা জানার পরও কেন দিয়াকে বিরক্ত করছো।

দিয়াঃ চাচ্চু বাদ দাও না,ভালো লাগছে না এসব।

চাচ্চুঃ তুই রায়ানের গায়ে হাত তুলেছিস কেন?

চাচ্চুর কথা শুনে আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি,কী বলব চাচ্চুকে।আদিকে আমি যতই ঘৃনা করি বলি না কেন?আমি যে আদিকে এখনও ভালবাসি,অর গায়ে কেউ হাত তুললে যে আমি এখনও শয্য করতে পারি না।কী বলব আমি চাচ্চুকে এখন।আমি চুপ করে দাড়িয়ে আছি তাই চাচ্চু এবার ধমকে বলল,

চাচ্চুঃ তুই কী ভুলে গেছিস এই ছেলেটা একটা খুনী,এই ছেলেটার জন্য আমি আমার বউ,বাচ্চা সব হারিয়েছি।

আদিঃ আমি খুনি নই,আমি কাউকে খুন করি নি।আর কতবার বলব আমি কাউকে খুন করি নি।(রেগে চিৎকার করে)

দিয়াঃ আদি তুমি এখন যাও এখান থেকে।(নরম স্বরে)

আদি এবার আমার দুই কাঁধে হাত রাখে,আমি আদির দিকে তাকিয়ে দেখি আদির চোখ ছলছল করছে।ঐ চোখে লুকিয়ে আছে হাজার কষ্ট।

আদিঃ দিয়া তুমি বিশ্বাস করো আমি কাউকে খুন করি নি,ঐদিন আমি কাউকে খুন করি নি দিয়া,আমাকে সবাই অবিশ্বাস করেছে,তুমি ত আমাকে খুব বিশ্বাস করো তাই না,একবার বলো না জান আমি কাউকে খুন করতে পারি না।

আমি আদির হাত ঝাড়া দিয়ে ছাড়িয়ে রেগে বললাম,

দিয়াঃ হে,,,,আমি তোমাকে বিশ্বাস করতাম,কিন্তু সেই বিশ্বাস করাটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।সত্যিটা এটাই হল যে তুমি একটা খুনি।

কথাটা বলার সাথে সাথে আমার গালে ঠাসস করে একটা থাপ্পড় পড়ল,এমনিতেই মাথায় আঘাত,তার উপর থাপ্পড় আমি আর নিতে না পেরে জ্ঞান হারাই।

আদি সাথে সাথে দিয়াকে কোলে তুলে নেয় দিয়ার চাচ্চু কিছু বলবে তার আগেই আদি দিয়ার চাচ্চুর উদ্দেশ্য বলে,

আদিঃ আপনি এবার আমার পথ আটকালে আপনার ভাতীজির চেহারা আর আপনি দেখতে পারবেন না।আমি ভালোর ভালো কিন্তু রাগলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না,সরে দাঁড়ান।(ধমকে)

দিয়ার চাচ্চু আর বাদা দেয় না কারন উনি দিয়াকে নিয়ে কোন রিক্স নিতে চায় না।আদি দিয়াকে নিয়ে বেরিয়ে যায়।

দিয়ার চাচ্চুঃ আমার কিছু একটা করতেই হবে,এই আদির থেকে আমার মেয়েটাকে বাঁচাতে হবে।আমার আর কোন ক্ষমতা নেই কাউকে হারানোর।বড্ড ক্লান্ত আমি।আমি দিয়ার কিছু হতে দিব না।আমি আমার বউ আর বাচ্চাকে রক্ষা করতে পারি নি কিন্তু দিয়াকে যেভাবেই হোক আমাকে রক্ষা করতেই হবে।তার আগে আদির থেকে দিয়াকে দূরে সরাতে হবে।(কান্নাজড়িত কন্ঠে)

🍁আমার যখন জ্ঞান ফেরে তখন একটা অন্ধকার রুমে কারো বুকের মধ্যে নিজেকে আবিষ্কার করি,,,সাথে সাথে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করি,সফলও হই।আমি ছাড়া পেয়ে বেড থেকে নামতে যাব তখনই কেউ আমার কোমড় জড়িয়ে ধরে।

আদিঃ কই যাও জান অন্ধকারের মধ্যে হুম,,,চুপচাপ ঘুমাও,,,আর আমাকেও ঘুমাতে দাও।

দিয়াঃ আপনি আমাকে এখানে এনেছেন কেন?

আদিঃ পরে বলব,,,এখন ঘুমাব আমি,,,আসো ত বুকে আসো ঘুমাব আমি।

বলেই আদি আমাকে টেনে বিছানায় ফেলে আমার গলায় মুখ গুজে শুয়ে পড়ল,,,তার কিছুক্ষণ পর আমার গলায় একটা ব্যাথা অনুভব হল,,,,তারপরেই আমি তলিয়ে গেলাম গভীর ঘুমে।

আদিঃ সরি জান,,,,তোমার ঘুমের প্রয়োজন আছে,,,এখন তোমাকে ভালো করে বললে ঘুমাতে না,,তাই এই ব্যাবস্থা।আর তুমি যতদিন না সুস্থ হবে ততদিন তোমাকে আমার কাছেই রাখব।আজ তুমি যতটা কষ্ট পেয়েছো তার থেকেও বেশি কষ্ট আমি পেয়েছি।খুব ভালবাসি যে তোমায়,,,,তোমাকে ছেড়ে যে আমি বাঁচতে পারব না জান।

বলেই আদি দিয়ার কপালে একটা চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ল।

🍁অন্যদিকে🍁

অচেনাঃ চৌধুরী পরিবার নির্বংশ হওয়ার সময় হয়ে গেছে,,,,কাউকে ছাড়ব না আমি,,,,আমার পথে যে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের কাউকে ছাড়ব না,,,আদিল আদনান শরীফ খুব বড় ভুল করলে আমার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে,,,আমার কাজ হাসিল করতে হলে পথ থেকে আগে তোমাকে সরাতে হবে,,,আর আমি সেটাই করব।

#চলবে…

(আমার শরীর ভালো না থাকায় এ কদিন গল্প দিতে পারি নি,,,,তার জন্য Sorry,,,এখনও শরীর তেমন ভালো না,,,ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতে সমস্যা হচ্ছে,,,,,তারপরও ছোট করে এক পার্ট দিলাম,,,,শরীর ভালো হলে বড় করে দিব)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here