সীমাহীন ভালোবাসার নীড় পর্ব -১১+১২

#সীমাহীন_ভালোবাসার_নীড়
#লেখিকাঃনওশিন আদ্রিতা
#পার্টঃ১১
,
,
,
,

সেকেন্ড মিনিট ঘন্টা দিন পেরুতে সময় নেয় না তাই তো দেখতে দেখতে পুরো তিনটা মাস কেটে গেলো। সেদিন কার পর থেকে আদ্রির মনে নির এর জন্য রেসপেক্ট বেরে গেছে।মেহের এর সাথে সম্পর্কটাও অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে তারা এখন বেস্ট ফ্রেন্ডস।এই ৩ টা মাসে নির অনেক ট্রাই করেছে নিজের রাগ কমানোর কিন্তু বলেনা সিংহ তার গর্জন করা থামাতে পারে না তেমনি নির ও পারেনা মাঝেমধ্যে রাগ কন্ট্রোল করতে এই তো কিছু দিন আগের কথা। নতুন কিছু স্টাফ নেওয়া হয়েছিলো অফিসে। তার মধ্যে একজন ছিলো আবির নামের।প্রথম দেখায় আদ্রিকে তার ভালো লেগে যায় সব সময় ওর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করে যা নির এর মেজাজ বিগরে দিতে সক্ষম ছিলো কিন্তু তবুও আদ্রির কথা ভেবে নিজের রাগ কে যথাসম্ভব দাবানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু আবির ঘুমন্ত সিংহ কে জাগানোর জন্য কথার ছোলে আদ্রির হাত ধরে ব্যাস আর কি লাগে সবার সামনে যে হাত দিয়ে আদ্রির হাত ধরেছিলো সে হাত ভেংগে ফেলেছে আর মারতে মারতে প্রায় আধমরা করে ফেলেছে বেচারা এখন সিটি হস্পিটালে ভর্তি।

আদ্রিয়ান আর নওমির ফ্রেন্ডশিপ টাও অনেক গভির হয়ে গেছে।আদ্রিয়ান নওমির বাচ্চামোকে ভালোবেসে ফেলেছে। নওমি এখন অনেকটাই সুস্থ কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ হয় নি এখনো।
আদৌ হবে কি না সেটার ও ভরসা নায় তার।

আদ্রি আর আদ্রিয়ান দুইজনে এখন একসাথে থাকে আদ্রিয়ান সে বাড়ি ছেড়ে দিয়েছে।মিসেস খান অনেক চেষ্টা করেছিলেন ছেলেকে মানানোর কিন্তু মানে নি। এদিকে মিথিলা নির এর কাছে অপমানিত হয়েও তার লজ্জা হয়নি তাই তো সিলেটে যেয়ে সেখানকার একটা বড়লোক ছেলেকে বিয়ে করেছে ছেলে বলা চলেনা দুইটা ছেলে আছে তার তাদের ও বিয়ে হয়ে গেছে।

_______

পুরো রেজওয়ান মেনসান খুব সুন্দর করে ডেকোরেট করা হয়েছে।নির এর গ্রুপ অনেক বড় একটা ডিল ক্রেক করে সেটা কম্পিলিট ও করা হয়েছে যার ফলে চৌধুরী গ্রুপ ওফ ইন্ডাস্ট্রি এখন ঢাকার টোপ 3 ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের আসন লাভ করেছে। সে খুশি তে আজকে গ্রেন্ড সেলিব্রেশান হচ্ছে। ঢাকার সকল বিজনেস ম্যান এই পার্টিতে ইনভাইট।

আদ্রি সকালে চলে এসেছে নির এর বলাতে হাজার হোক পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট। আদ্রি সকাল থেকে সকল ব্যবস্থাপনা দেখছে আর নির তার আদর পাখিকে। নির এর দুই চোখ আদ্রিতেও সীমাবদ্ধ।

নিহারিকা রেজওয়ানঃআদ্রি মা (আদ্রির কাধে হাত দিয়ে)
আদ্রিঃজ্বি নানি(মুচকি হেসে)
নিহারিকাঃঅনেক কাজ করেছো বাকি কাজ এরা সামলে নিবে তুমি গোসল৷ সেরে তৈরি হয়ে নেও কেমন। (থুতনি তে হাত দিয়ে)
আদ্রিঃঠিক আছে নানি। কিন্তু আমি তো কোন রুমের কিছু জানিনা।
(মাথা নিচু করে)

নানি হেসে দিলো আদ্রির বলার ধরন দেখে। তিনি নওমিকে ডেকে ওকে নিয়ে নিজের রুমে যেতে বললো।ওদের যাওয়ার কিছুক্ষন পরেই নির নিচে এলো উপর থেকে আদ্রিকে না দেখে নিচে নেমে এসেছিলো সে।

নিহারিকাঃকি নানুভাই কাকে খুজা হচ্ছে আমার সতিন কে বুঝি(দুষ্টু হেসে)

নির মাথা চুলকে নিহারিকা বেগমের কোলে শুয়ে পরলো
নিরঃকি আর করবো বলো তো সুইটহার্ট। তোমার সতিন কে না দেখলে যে থাকা যায় না
(দুষ্টু হেসে)
নিহারিকাঃতবে রে দুষ্টু(গালে হালকা চাপড় দিয়ে)
মেয়েটার গুন আছে বলতে হবে নাহলে আমার গুমরো মুখো নাতভাইকে হাসানো কি ছোট বিষয়
নিরঃপছন্দ হয়েছে সতিন
নিহারিকাঃআমার নাতির পছন্দ খারাপ হবে নাকি যে অপছন্দ করবো অনেক মিষ্টি একদম তোর মায়ের মতো। তোর আব্বুও তোর মতোই ছিলো রাগী থমথমে স্বভাবের কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসে পরেই আমার গুমরো মুখো ছেলেটা হালকা পাল্টাতে শুরু করলো আর তোর হওয়ার কথা শুনেই তো একদম পালটে গেলো খুব ভালোবাসতো তোদের তোরা জান ছিলি ওর

কথা গুলো বলতে বলতে চোখ বেয়ে পানি পরতে লাগলো মিসেস নিহারিকা রেজওয়ান এর।নির এর চোয়াল ও শক্ত হয়ে আসলো তার এখন ও মনে আছে সে ভয়াবহ সময়। সে তার নানা আর নানুমনির সাথে থাকলেও ফোনে সে নওমির সাথে কথা বলছিলো। হুট করে গাড়ি থামায় ফোন টা পরে যায় নওমির হাত থেকে আর সেটা গরিয়ে পরে সামনের সিটে তখনি ওর কানে আসে ওর আব্বু আর আম্মুর গলা

আব্বু বার বার আম্মু কে বলছিলো যে নওমিকে নিয়ে পালাতে নওমিকে নিয়ে পালাতে কিন্তু মিসেস চৌধুরী কোন মতেই যাবে না স্বামিকে ছাড়া

মিস্টার চৌধুরীঃএরা আমাদের না মেরে দম নিবেনা বুঝার চেষ্টা করো তুমি প্লিজ যাও আমি এদের শত্রূ তুমি না আমাকে পেলে এরা আর তোমাদের কাছে যাবে যাও।

কিন্তু মিসেস চৌধুরী যায় না মিস্টার চৌধুরী আর কোন উপায় না পেয়ে গাড়ি চালানো শুরু করে যদি ফ্যামিলিকে বাচাতে পারে কিন্তু সেটাই তার কাল হয়ে দাঁড়ায় পর পর দুইটা গুলি এসে লাগে গাড়িতে মিস্টার চৌধুরী মিসেস চৌধুরী কে বলে নওমিকে গাড়ি থেকে বের করে দিতে মিসেস চৌধুরীও তাই করে আর আদ্রিকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় কিন্তু এদিকে আদ্রি অনেক আগেই প্যানিক করে অজ্ঞান হয়ে গেছে ওর ছোট মস্তিষ্ক এতো চাপ নিতে পারেনি তার উপরে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়াই একটা পাথরের সাথে বাড়ি খায়।

এদিকে ছেলে আর ছেলে বউকে বাচাতে নির এর দাদা দাদী এগিয়ে আসায় ওরা গুলি মেরে দেয়। মেহের এর বাবা মা কেও নেরে ফেলে যাতে তারা কিছু বলতে না পারে কাউকে কিন্তু আড়াল থেকে মেহের এর ড্রাইভার সব দেখে নেই সে আগেই পালিয়ে লুকায় ছিলো ঝোপের আড়ালে।

তারাই ইনফোর্ম করে নির এর নানা নানিকে ওইদিকে ছোট নির এর অবস্থাও খারাপ হয়ে যায় ছোট মস্তিষ্কে এতো চাপ নিতে পারেনা নিজের কানে বাবা মায়ের আন্ত্য চিৎকার ছোট নির কে অনেক আঘাত করে। প্রায় বছর পেরিয়ে যায় নির ওরকুম নিশ্চুপ থাকে। কারো সাথে একটা টু শব্দ করে না।

_______

আয়নার সামনে দাঁড়ায়ে রেডি হচ্ছে নওমি কিন্তু কিছুই তার ভালো লাগছেনা। সব ড্রেস একবার করে নিজের উপর ট্রাই করছে আর বিছানায় ফেলছে।

আদ্রি বের হয়ে নওমির এই সব দেখে নিজের ব্যাগ থেকে একটা শপিং ব্যাগ বের করে নওমির সামনে ধরে নওমি প্রশ্নবোধক চিহ্নে আদ্রির দিকে তাকায়

আদ্রিঃআপনার ডাক্তার ফ্রেন্ড পাঠায়েছে আপনার জন্য
নওমিঃকিন্তু ভাইয়াতো আমাকে নিউ ড্রেস কিনে দিয়েছে কিন্তু ওইটা আমার পছন্দ হয়নি কিন্তু না পরলে ভাইয়ার যদি খারাপ লাগে।
আদ্রিঃআমি তোমার ভাইয়াকে বুঝাবোনি তুমি এখন এটা দেখো তো পছন্দ হয়েছে কি না আমার ভাইয়ার পছন্দ কিন্তু অনেক সুন্দর
নওমিঃদেখি(ব্যাগ থেকে ড্রেস টা বের করলো)

নওমিঃওয়াও আপু এটা খুব সুন্দর শাড়ি টাইপ আমার খুব ভালো লেগেছে এতোগুলা থ্যাংক ইউ
(আদ্রিকে জরায়ে ধরে)
আদ্রিঃআমাকে না আমার ভাইকে বলো আমি না ড্রেস টা সে দিয়েছে
(নওমিকে ছাড়ায়ে)

নওমি খানিকটা লজ্জা পেলো। তারপর নিজেই অবাক হলো যে সে লজ্জা পাচ্ছে কই আগে তো এমন অনুভূতি হতোনা এখন কেন হচ্ছে এমন।

আদ্রি নওমিকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই একটা সার্ভেন্ট এসে ডাক দেয় আদ্রিকে

সার্ভেন্টঃম্যাম নির স্যার আপনাকে ডাকছেন
আদ্রিঃআচ্ছা কিন্তু উনার রুম কোন দিকে
সার্ভেন্টঃআমার সাথে আসুন ম্যাম

আদ্রি সম্মতি জানিয়ে সার্ভেন্ট এর পিছনে হাটা ধরে
আদ্রিকে রুম দেখিয়ে সার্ভেন্ট নিচে চলে যায়।
আদ্রি দুইবার নক করে কিন্তু সারা শব্দ পায়না পুনোরায় নক করতেই দরজা খুলে যায়। হঠাৎ এই ভাবে খুলে যায় হচকচিয়ে যায় আদ্রি।

আদ্রিকে ওইখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এক বলিষ্ঠ হাত এসে আদ্রিকে ভিতরে ঢুকিয়ে ডোর লোক করে দেয়। পুরো রুম অন্ধকার হয়ে আছে চাঁদের আলোয় যেইটুকু আলো আসছে তাতে আদ্রি শুধু নির এর লাল চোখ জোরা দেখতে পেলো যে চোখে সে শুধু নিজের সর্বনাশ ছাড়া কিছুই দেখতে সক্ষম হলোনা।হঠাৎ করে ঘাড়ে কারো ঠোঁটের উষ্ণ প্রশ্ন আদ্রির অন্তর কাপাতে সফল হলো।।
#সীমাহীন_ভালোবাসার_নীড়
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ১২
,
,
,
,
,
অন্ধকারে ডুবে আছে রুমটা। চাঁদের আলোয় সম্পূর্ণ অন্ধকার কাটাতে না পারলেও চাঁদের এক খন্ড আলো এসে পরেছে নির আর আদ্রির উপরে।আদ্রির নিশ্বাস ধীরে ধীরে ঘন হতে শুরু করেছে। নির এর মাঝে থাকা অস্থিরতাও কমে এসেছে আদ্রির সান্নিধ্যে পেয়ে।

আদ্রি নির এর ঠান্ডা স্পর্শ পেয়ে যেনো বরফের ন্যায় শক্ত হয়ে গেছে সে। নির এর উষ্ণ স্পর্শ বার বার কেপে তুলছে তাকে না চাইতেও।

নির অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে আদ্রির থেকে দূরে সরে গেলো। আদ্রি তখন ও চোখ জোড়া বন্ধ করে দুই হাত দিয়ে শক্ত করে নিজের জামা খামছে ধরে আছে। চোখ। চোখের পাপড়ি অনবরত কেপে চলেছে।

নির মুচকি হেসে আদ্রির সারা মুখ জুরে ফু দিয়ে দিলো। গরম নিশ্বাসের ছোয়া পেয়ে চোখ জোড়া মেলে তাকালো আদ্রি।

কিন্তু সেকেন্ডের বেশি চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে সক্ষম হলোনা তাই তো লজ্জায় চোখ জোড়া নামায়ে অন্যদিকে ফিরে চায়লো।ইচ্ছা করছে ছুটে বের হয়ে যেতে কিন্তু নির একদম দরজার সাথে লেগে দাঁড়ায় আছে তার চোখ জোড়া তার লজ্জাবতী কে পর্যবেক্ষন করতে ব্যস্ত।

নিরঃএই ভাবে লজ্জা পাচ্ছো কেনো গো
(আদ্রির কাধের উপরে দুই হাত দিয়ে)
আদ্রির লজ্জা যেনো দ্বিগুন বেরে গেলো

নিরঃজানো এই ভাবে লজ্জা পেলে না একদম বউ বউ লাগে। হবে আমার বউ (আদ্রির চোখের দিকে তাকিয়ে)

আদ্রি অবাক নয়নে তাকায় নির এর দিকে সে স্বপ্নেও ভাবেনি নির এমন কোন কথা বলবে।

আদ্রির অবাক নয়নে চেয়ে থাকতে দেখে হাহা করে হেসে উঠে নির।আদ্রি বিব্রত অবস্থায় পরে।

নিরঃলুক এট ইউর ফেস তোমার সত্যি মনে হলো আমি তোমাকে এটা বলবো এইভাবে (হো হো করে এসে দিয়ে)

আদ্রির গায়ে লাগলো কথাটা সে মটেও এমন কিছু ভেবে ছিলোনা। কিন্তু নির এর হাসিতে তার আত্নসম্মানে লাগে খুব। সে জানে সে নির এর অযোগ্য সে কোন দিন এটা নিয়ে ভাবেও নি।

আদ্রি চোখ জুরে কালো মেঘ এসে হানা দিলো। দৌড়ে বাহিরে চলে গেলো সে।যে লোক তাকে অপমান করেছে তাকে কোন ভাবেই সে তার চোখের জল দেখাতে চায় না।

আদ্রি রুমে এসে রেডি হয়ে ন্যায় কালো গোলাপি মিশালো রঙের শাড়ি পড়েছে।চোখে কাজল আর ঠোঁটে হালকা রেড সেড এর লিপস্টিক হাতে চুড়ি আর পায়ে পায়েল পড়েছে ব্যাস আর লম্বা কালো কেশ পিঠ জুড়ে ছেয়ে রয়েছে।

সিড়ি দিয়ে নামার সময় সবার নজর নওমি আর আদ্রির উপরে। দুইজনকেই অনেক সুন্দর লাগছে বিশেষ করে নওমিকে বেশি সুন্দর লাগছে।

আদ্রিয়ান কিছু কাজের জন্য পার্টিতে পৌঁছাতে লেট হয়ে যায় ভিতরে ঢুকতেই তার চোখ যায় সিড়ির উপরে তার দুই মায়াবতিকে দেখে তার চোখ জুরায় যায়।

আদ্রিয়ানঃইশ পিচ্চিকে আজকে একদম বড় বড় লাগছে। মনে হচ্ছে এখনি বিয়ে করে ফেলি। উফ কবে বড় হবিরে আমার যে আমার সহ্য হচ্ছেনা।

নওমি তো আদ্রিয়ান কে দেখে দৌড় দিয়েছে কিন্তু শাড়ি পরায় পা বেজে পরে যেতে নেয় আদ্রিয়ান সেটা দেখে দৌড়ে তার কাছে যেতে নিলেই একটা ছেলে এসে নওমির কোমর জরায় ধরে পরা থেকে আটকায়।

ছেলেটাঃআর ইউ ওকে মিস(নওমিকে দাড় করায়ে)
নওমিঃহ্যা আমি ঠিক আছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছেলেটাঃইটস মাই প্লেজার এরকুম সুন্দরী মেয়েকে বাচানো আমার ভাগ্য।
(খানিকটা ঝুকে)
নওমি ছেলেটার বলার ধরন দেখে খিলখিল করে হেসে দেয়।

ছেলেটা নওমির কথা বলার ধরন দেখে অবাক হয় এতো বড় মেয়ে কেমন বাচ্চাদের মতো কথা বলছে কিন্তু তবুও সেই দিকে তেমন পাত্তা দেয়না এই দিকে আদ্রিয়ান রাগে তার কপালের রগ ফুলে উঠেছে।সাদা কপালে নিল রগ ফুটে উঠেছে স্পষ্ট।

নওমিঃআচ্ছা টাটা
ছেলেটাঃকই যাও গো সুন্দরী
নওমিঃমিস্টার হ্যান্ডসাম এর কাছে
ছেলেঃমানেহ
নওমিঃওই যে মিস্টার হ্যান্ডসাম(আদ্রিয়ান কে দেখায়ে)

ছেলেটার মুখ কালো হয়ে যায়।আদ্রিয়ান এর দিকে তাকাতেই ছেলেটা আৎকে উঠলো।আদ্রিয়ান এর চোখ জোড়া কেমন যেনো অশান্ত হয়ে আছে।

ছেলেটা ভয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।
নওমি হঠাৎ চলে যাওয়ায় অবাক হলো। কিন্তু সেদিকে খেয়াল না করে আদ্রিয়ান এর কাছে গেলো

নওমিঃআদি। তুমি এখানে দাঁড়ায় আছো কেন হুম আমাকে কেনো আসতে হলো তোমার কাছে। জানো এখানে আসতে যায়ে আমি পরে যেতে নিয়েছিলাম

নওমি বক বক করেই যাচ্ছে কিন্তু আদ্রয়ান চুপচাপ
দাঁড়ায় আছে।নওমি আদ্রিয়ান কে চুপচাপ থাকতে দেখে আদ্রিয়ান এর দাড়ি ধরে দেয় টান।

আদ্রিয়ান রাগী চোখে তাকায় কিন্তু সেদিকে পাত্তা দেয় না নওমি।উল্টা আদ্রিয়ান চুল গুলো এলোমেলো করে দেয়।

আদ্রিয়ানঃকি হয়েছে এমন করছো কেন (ঝাড়ি মেরে)
নওমির অভিমান হয় প্রচুর। সরি বলে সেখান থেকে চলে যায়। আদ্রিয়ান মাথা চুলকে নওমির পিছনে যায়।

আদ্রিয়ানঃরাগ করেছো
নওমিঃনাহ(অভিমানী গলায়)
আদ্রিয়ানঃসরি। আসলে মাথা ঠিক ছিলোনা তোমাকে ওই ছেলেটার সাথে কথা বলতে দেখে রাগ হচ্ছিলো(সোজাসাপটা বলে দেয়)
নওমিঃকেনো(বোকা চাহনি দিয়ে)
আদ্রিয়ানঃবুঝবা না গো। এবার বলো ঔষধ খেয়েছো(কথা ঘুরাতে)
নওমিঃভুলে গেছি(মাথা নিচু করে)
আদ্রিয়ানঃভুলে গেছো মানে কি হ্যা যানোনা এটাতে তোমার কতোটা ক্ষতি হবে যাও এক্ষনি ঔষধ খেয়ে আসো
নওমিঃহুম দাড়াও

নওমি ওর নানুমনিকে সাথে নিয়ে উপরে চলে গেলো ঔষধ খাওয়ার জন্য। সে সুযোগ এ আদ্রয়ান গেলো নওমির নানার কাছে।

আদ্রিয়ানঃমিস্টার রেজওয়ান (নানার কাছে যেয়ে)

শামসের রেজওয়ান কিছু পরিচিত ডিলার দের সাথে আলাপ করছিলেন আদ্রিয়ান এর ডাক শুনে তাদের কাছ থেকে বিদায় নেন

শামসেরঃইয়েস ইয়াং ম্যান বলো কিছু দরকার ছিলো।
আদ্রিয়ানঃজ্বী আসলে আমি ওতো ঘুরায় পেচায়ে কথা বলতে পারিনা আমি আপনার নাতনিকে পছন্দ করি বিয়ে করতে চায় (মাথা নিচু করে এক নাগারে বলে দেয়)
শামসেরঃএই সব কি বলছো তুমি। জানো এর মানে কি দাড়াচ্ছে(গম্ভির গলায়)
আদ্রিয়ানঃআমি সব জেনে বুঝেই প্রস্তাব টা দিচ্ছি মিস্টার রেজওয়ান আমার পক্ষে আর সম্ভব না নওমিকে ছাড়া থাকা। আর ওই আমার সাথে ২৪ ঘন্টা থাকলে আমি ওকে ভালো করে ওভজারব করতে পারবো।
শামসেরঃএটা কোন ছেলে খেলা না আদ্রিয়ান। ভবিষ্যতে কিছু ১৯ ২০ হলে কি করবা বলো।নওমির ঠিক হওয়ার চান্স খুব কম সেটা তোমার থেকে ভালো কেও জানেনা।
আদ্রিয়ানঃআমি সব দিক ভেবেই এই প্রস্তাব দিয়েছি প্লিজ না করবেন না
শামসেরঃআমি না হয় মানলাম কিন্তু নির আর নওমি তারা
আদ্রিয়ানঃনওমিকে মানানোর দ্বায়িত্ব আমার তাকে নিয়ে সমস্যা হবেনা।
শামসেরঃঠিক আছে আমি নির এর সাথে কথা বলে ভেবে চিনতে সিধান্ত জানাবো।
আদ্রিয়ানঃধন্যবাদ মিস্টার রেজওয়ান।

________

মেহের আর আদ্রি বসে আছে ড্রিংক কর্নার এর সাইডে। দুইজনেই কথা বলছে বলতে গেলে শুধু মেহের কথা বলছে আর আদ্রি শুধু হ্যা হু না করছে। কিন্তু আদ্রির উওরের দিকে তেমন একটা পাত্তা দেয় না মেহের সে নিজের মতো কথা বলে যাচ্ছে।

হঠাৎ সেখানে নির এর বেস্ট ফ্রেন্ড রিয়াজ শেখ উপস্থিত হলো।
রিয়াজ কে দেখে মেহের মুখ ভাংগালো সেটা দেখে মৃদু হাসলো রিয়াজ।

রিয়াজ আদ্রির সামনে হাত বেরিয়ে দিলো হ্যান্ডশেক করার জন্য সেটা দেখে মেহের এর মুখটা ছোট হয়ে গেলো। আদ্রি হাত না মিলিয়ে মুখে সালাম দিলো। রিয়াজ সালামের উওর নিলো।

রিয়াজঃকেমন আছেন মিস টক ঝাল
(মেহের কে উদ্দেশ্য করে)
রিয়াজ এর ডাকে তেতে উঠলো মেহের। রাগে রি রি করতে করতে সেখান থেকে চলে গেলো মেহের।রিয়াজ ও তার পিছে উঠে গেলো। আদ্রি তাদের যাওয়া দেখে ছোট নিশ্বাস ফেললো।

চলবে!!!!!
চলবে!!!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here