সীমাহীন ভালোবাসার নীড় পর্ব -২৫+২৬

#সীমাহীন_ভালোবাসার_নীড়
#লেখিকাঃনওশিন আদ্রিতা
#পার্টঃ২৫
,
,
,
,
,
নির আদ্রির হাত ধরে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে গাল দুইটা চেপে ধরে ব্যাথায় আদ্রি চোখ বন্ধ করে ফেলে

নিরঃকি লাগেয়েছিস হ্যা তখন থেকে সমস্যা কি আমাকে বিয়ে হয়েছে তাই দেখে এই মরা কান্না করছিস তাহলে এই কান্না তোকে সারাজীবন কান্না করতে হবে আমি বাকিদের মতো বলবোনা যে যতোদিন না মরছি ততোদিন এই চোখের পানি বের হবে কারন মরার পরেও তোকে এই নির এর নামেই থাকতে হবে। এই নির এর বউ থাকবি আমি না থাকলেও তুই আমার আমি থাকলেও তুই আমার আমি না থাকলেও তুই আমার কথা টা মাথায় রাখিস।

আদ্রিকে বিছানায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে নির সেখান থেকে বের হয়ে আসে রাগে তার মাথা কাজ করছেনা। সে চেয়েছিলো আজকে তার মনের কথা আদ্রিকে বলবে কিন্তু বলা হলোনা

নিরঃএতো কিসের তোর জেদ কেন বুঝিস না আমাকে আমার মন কে।তোকে ভালোবেসে নিজেকে বদলায় নিয়েছে।আর তুই কি করে বুঝাবো তোকে আমার সীমাহীন ভালোবাসার নীড় তোর জন্য অপেক্ষা করছে কবে ফিরবি নিজের নীড়ে আদর পাখি।

ওইদিকে আদ্রি বিছানা শুয়ে ফুফাচ্ছে
আদ্রিঃআমিও চাই আপনার সাথে আজীবন বেধে থাকতে চাইনা আপনি ব্যতিত অন্য কাউকে আপনি আমার শুরু আপনি আমার শেষ। কিন্তু আমি যে নোংরা অপবিত্র যার শরীরে এক হিংস্র পশুর ছোয়া সেদিন আমার সতিত্ব না নিলেও আমার শরীরে তো সে নোংরা ছোয়া টা ছিলো আছে। যার বাবা মা তাকে অপয়া অলক্ষি ভাবে তাকে কি করে আপনি মেনে নিবেন। (হাউমাউ করে দেয়)

আদ্রির কান্নার আওয়াজ বাহির পর্যন্ত শুনা যাচ্ছে যারা জোড় করে আদ্রির বিয়ে দিয়েছিলো তাদের মন টাও ভারি হয়ে আসে

বুড়োঃআমরা কোন ভুল কাজ করে ফেলিনি তো টাকার লোভে এসে মেয়েটা কিভাবে কান্না করছে। আমাদের উচিৎ হয়নি এমন কাজ করা
(আফসোস এর স্বুরে)

অন্য লোকঃআরে চাচা ওদের ভিতরে যদি কিছুই না থাকতো তাহলে ওরা ওই অবস্থায় সেখানে কি করে গেলো হ্যা মানছি আমরা ভুল উদ্দেশ্য নিয়ে কাজটা করেছি কিন্তু কাজটা ভুল ছিলোনা আমরা দুইটা মানুষ কে একটা পবিত্র বন্ধনে বেধে দিয়েছি।

বাকিরাও সবাই এই কথাই মত দিলো। কিন্তু বুড়ো করে চাচা টা কিছু তেই মানতে চাচ্ছে না।

বুড়োঃআমার মনে হচ্ছে এই দুইজনার জীবন বড় ধারনের ঝড় আসতে চলেছে। (মনে মনে)

——

অন্ধকার রুমে নিজের পিঠে একের পর এক চাবুকের বারি দিচ্ছে।ফর্সা পিঠের চামড়া চিড়ে রক্তে বেহাল অবস্থা।

আয়াজঃকেন কেন কেন তোমার না আমার হওয়ার কথা ছিলো কেনো হলে তুমি ওর তোমাকে ভালোবাসি এতো ভালোবাসি। তাহলে কেনো মানলে না আমাকে কেনো।কেনো আমার ভালোবাসা পূর্ণতা পেলোনা।কেনো আমার ভালোবাসা অপূর্ণ রয়ে গেলো।

স্ক্রীনে আদ্রি আর নির এর বিয়ের ভিডিও চলছে। আয়াজ পূনরায় নিজের উপরে চাবুকের আঘাত করতে গেলে একটা মহিলা এসে চাবুক টা ধরে নেয়।

আয়াজঃপ্লিজ মামানি আজকে না প্লিজ আমি পারছিনা সহ্য করতে। বলেছিলাম না মামনি ভালোবাসি ওকে। চাই আমি ওকে খুব করে ভিক্ষা চেয়েছিলাম বলেছিলাম শত্রুতাকে ওকে টেনো না কিন্তু কি করলা তুমি আমার পরিটাকে ওই ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলা কেনো (চিৎকার করে কেদে দিয়ে মহিলাটির পা জরিয়ে ধরে)

আরিফা খান ছেলের সামনে বসে পরে।
আরিফাঃআমার ছেলে যা চেয়েছে সব সময় তা পেয়েছে আগেও পাবে এন্ড দেটস মাই প্রমিজ টু ইউ।
তুই সব সময় জানতে চাইতি না আমি কেনো নিহাল এর ফ্যামিলিকে সহ্য করতে পারিনা কিসের এই শত্রুতা তাহলে শুন
আমি তখন খুব ছোট আমার বাবা মানে তোর নানু নির এর দাদার অফিসে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতো খুবই শৎ ছিলেন তিনি কখনো কোন হিসাব বা ফাইল পত্র এদিক ওদিকে করেনি।কিন্তু হুট করে একদিন একটা নতুন স্টাফ চুরি করে আর সে দায় দেয় আমার বাবার ঘাড়ে । বাবাকে সবার সামনে অপমান করা হয় বাবা সবকিছু সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্যা করে। কিছু দিন পরে সব সত্যতা জানা যায়। নির এর দাদার আফসোস হয় আর আমার সব খরচ তিনি নিজের ঘাড়ে নেয়। কিন্তু আমি মানতে পারেনি।নিজের চোখে নিজের বাবার মৃত্যু ছোট মাথায় দাগ কেটেছিলো গভির পারিনি সহ্য করতে মনে মনে প্রতিশোধ এর আগুন জ্বলে উঠেছিলো। কিন্তু প্রতিশোধ এর আগুন নিভে গেছিলো যখন আমি নিহাল এর প্রেমে পড়েছিলাম নিহাল তখন পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছিলো।কিন্তু নিহাল এর মনে জায়গা করে নিয়েছিলো নিলিমা। আমি নির এর দাদুকে বলেছিলাম কিন্তু তার দাদুর আমাকে পছন্দ ছিলোনা ছেলের পছন্দই তার কাছে সেরা তবুও গেছিলাম নিহাল এর কাছে মেনে নেয়নি আমাকে অপমান করেছে। মনে মনে প্রতিশোধ এর আগুন জ্বলে উঠে। নিহাল কে টেক্কা দেওয়ার জন্য বিয়ে করি তোর বাবা নিহাল এর শত্রু মানে নিহাল এর ভাইকে। নিহাল কে মেরে ফেলেছিলাম কিন্তু শান্তি হয়নি তার ছেলেকে আমি কষ্ট পেতে দেখতে চায়। যে কষ্টে আমি রাতের পর রাত ভুগেছে ওই ও পাবে। একজনাকে ভালোবেসে অন্যর কাছে নিজেকে বিসর্জন দিয়েছেন তেমন ই আদ্রিতাকেও দিতে হবে আদ্রি এখানে কোন দোষ না থাকলেও সে দোষী কারন সে নির এর প্রিয়তমা।

আদ্রি তোর হবে দুইজনে পুরবে আদ্রিকে তোর হতেই হবে যেভাবে হোক। আর নির সে তার ভালোবাসাকে হারিয়ে জীবত্ন লাশ এ পরিনত হবে।

আয়াজ তার মাকে দেখছে সে কোন দিন ভাবেনি তার মায়ের মনে এতোটা ভয়ংকর কোন প্ল্যানিং চলছে।

আয়াজ আজকে বুঝতে পারছে যে তার মাথায় এতোটা জেদ রাগ সাইকোনেস কি করে আসলো আসলে রক্তটাই এমন।

——-

পরেরদিন,,,

আদ্রিয়ান নওমিকে পড়াছে আর নওমি ঘুমে ঢুলছে।
আদ্রিয়ান এবার রেগে ধমক দেয়
আদ্রিয়ানঃকি সমস্যা তোমার হ্যা কিসের এতো ঘুম ধরছে হ্যা এতোক্ষন যে ওই ছেলেটার সাথে হেসে হেসে কথা বলছিলা তখন তো ঘুম ধরছিলোনা (রেগে টেবিলে থাবা দিয়ে)
নওমিঃসে কি আর আপনার মতো বরিং বরিং চ্যাপ্টার পড়াছিলোনা।
আদ্রিয়ানঃহ্যা দেখছিলাম তো কি করছিলো
(রাগে গিজগিজ করতে করতে)
নওমিঃস্যার আগুন লেগেছে কোথাও
আদ্রিয়ানঃহোয়াট
নওমিঃনাহ আসলে পুরা পুরা গন্ধ বের হছিলো তাই আর কি (মজা করে)

আদ্রিয়ানঃদিবো এক থাপ্পড় পড়ো চুপচাপ (রাগি কন্ঠে)
নওমিঃউহু আমি পরবোনা আগে অন্যকিছু দেন (চোখ টিপ দিয়ে)
আদ্রিয়ানঃকি বলছো কি দিবো(ভ্যাবাচেকা খেয়ে)

নওমি চেয়ার থেকে উঠে আদ্রিয়ান এর কোলে বসে পরে।
আদ্রিয়ান এর ভ্রু জোড়া কুচকে যায়

আদ্রিয়ানঃনওমি তোমার সব মনে পরে গেছে(অবাক হয়ে)
নওমিঃমনে পরে গেছে মানে(অবাক হয়)
আদ্রিয়ানঃএই সব কি হচ্ছে হ্যা
নওমিঃআর বইলেন না প্রথম দেখায় আপনাকে ভালো লেগে গেছে। বয়স তো আর কম হলোনা এই সব পড়াশোনা না করে বিয়েটা করে নিলেই তো পারেন আমাকে। (চোখ টিপ দিয়ে)
আদ্রিয়ানঃতোমার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে নামো
নওমিঃউহু বিয়ে করবেন বলেন নাহলে ভাইয়ার পিএ যেটা সকালে এসেছিলো তার সাথে চইলে যামু কইয়া দিতাছি হু(নাক ফুলায়ে).
আদ্রিয়ানঃপাগলী (নওমি কে নিজের সাথে জরায় নেয়
নওমিঃনা নাহ খালি জরায় ধরলে হবে না কিস করতে হবে কালকে মুভি তে দেখেছিলাম নায়ক নায়কাকে কিস করে উফফ।আপনিও করেন
আদ্রিয়ানঃতাই তো বলি বউটা আমার মুভি দেখে রোমেন্টিক হয়ে গেছে আল্লাহ আর কি কি দেখতে হবে এই পাগলীটার।
(মনে মনে)

নওমি আদ্রিয়ান এর চুল এর ভাজে নিজের হাত দিয়ে খেলছে।আদ্রিয়ান আর কি করবে সে বউকে কোলে নিয়ে বউ এর খেলা দেখছে।।।।
,
,#সীমাহীন_ভালোবাসার_নীড়
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ২৬
,
,
,
,
,
,
আদ্রি নির পাশাপাশি বসে আছে গাড়ি চলছে তার নিজ গতিতে এসি বন্ধ করে জানালা খুলা রয়েছে। জানালা থেকে আসা বাতাসে আদ্রির খোলা চুল গুলো খেলা করছে। নির এর বুকের ভিতরে আলাদা এক ব্যাথা করছে। ভালোবাসার মানুষ টাকে নিজের করে পাওয়াতে যতোটা না সে প্রশান্তি পেয়েছে তার চেয়ে দ্বিগুন তার বুকের ভিতরে ঝড় বেয়ে যাচ্ছে আদ্রির এই অবস্থা দেখে।

নির এর হাত চলছে না সে গাড়ি সেখানে বন্ধ করে সিটে হেলান দিয়ে বসলো। আদ্রি এখনো জানালার বাহিরে তাকিয়ে আছে। আদ্রির মটেও ইচ্ছা করছেনা নির কে জিজ্ঞেস করার কেনো সে মাঝ রাস্তাই গাড়ি টা থামালো ইচ্ছা করছে না চরিত্র হীন খুনিটার দিকে তাকাতে।যাকে ভালোবেসে না পেয়ে এতোক্ষন কষ্টের সাগরে ডুবেছিলো। তাকে নিজের বাবার হত্যাকারী আর হাজারো মেয়ের জীবন বরবাদ করেছে নিজের চাহিদা পূরনের জন্য তাকে ভালোবাসে সে ভাবতেই তার সারা শরীর গুলিয়ে যাচ্ছে।

কিছুক্ষন আগে নির বাহিরে গেছিলো ড্রাইভার কে ফোন দিতে এমন সময় মুরব্বি করে সে লোকটা এসে আদ্রির হাতে একটা ডিভিডি আর কিছু ছবি এনে আদ্রিকে দেয়। আর বলে তার নামে পার্সেল এসেছে। আদ্রির মাথায় আর কাজ করেনা যে এই ঠিকানা কেউ কেনো তাকে পার্সেল দিবে। সে ডিভিডি ওন করে দেখে নির তার বাবাকে সুট করছে। আদ্রি আৎকে উঠে।যতই খারাপ আচরণ করুক বাবা ছিলো তিনি আদ্রির আর একটা মেয়ের জন্য তার বাবার জায়গায় ঠিক কোথায় হয় সেটা কেউ ভাষায় প্রকাশ করতে পারবেনা একটা মেয়ে যতোটা না তার মায়ের ক্লোজ হয় তার চেয়ে হাজার গুনে বেশি ক্লোজ হয় তার বাবার কাছে তার বাবা তার কাছে সুওয়ার হিরো হয়। সে বাবাকে চোখের সামনে মরতে কোন মেয়েই সহ্য করতে পারেনা।

তাও কাপা কাপা হাতে ছবি গুলো হাতে নেয়। আর সেটা দেখে তার শরীর গুলিয়ে যায়। ঘৃণায় চোখ জোড়ায় পানি চলে আসে। নির অর্ধনগ্ন অবস্থায়
মেয়েদের সাথে রয়েছে।

সব কিছু দেখে আদ্রি নির এর কাছে যেতে নিলেই আদ্রির ফোনে কল আসে।
আদ্রি রিসিভ করতেই একটা মেয়ে কান্না করতে লাগে আর বলতে শুরু করে
মেয়েটাঃপ্লিজ আপু আপনি এইসব দেখে এখুনি নিরকে বলেন না সে যে ভাবে হোক আমাকে খুজে বের করে আমাকে খুন করে ফেলবে প্লিজ আপু আপনি আমার সাথে কালকে বিকালে ********* এই ঠিকানাই পৌঁছে যাবেন প্লিজ।

কথা গুলো বলেই মেয়েটা ফোন কেটে দেয়।আদ্রি হতদম্ভ হয়ে বসে ছিলো।

,
বর্তমানে,,
নির এক টানে আদ্রিকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে।
নিরঃবুঝিস না এই বুকের তুফান কে হ্যা সব কথা কি মুখে বলতে হয়।ভালোবাসি তোকে বুঝিস না কেন। দেখিস না আমার চোখে তোর জন্য ভালোবাসা। তোর এই শুকনো মুখটা যে সহ্য হচ্ছেনা আমার। বুকে যে ব্যাথা করছে খুব রে। এমন করিস না।
(চোখ বেড়িয়ে দুই ফোটা পানি বেরিয়ে আসে)
,
,
,
আদ্রি কিছু না বলে লেপ্টে আছে নির এর বুকে। নির যদি শুধু অন্য মেয়েদের সাথে সম্পর্ক থাকতো তাহলে সে হয়তো মাফ করে দিতো কিছু বলতোনা। কিন্তু সে তার বাবা কে মেরেছে নির্মম ভাবে না জানি কতোটা কষ্ট হয়েছে তার বাবার। না জানি কতোটা রক্ত ঝরেছে কতোটা না আর্তনাদ করেছে।

(বিদ্রঃভিডিও মিউট করে রাখা ছিলো তাই শুনতে পায়নি)
,
,
আদ্রিঃআমিও আপনাকে ভালোবাসি খুব বেশি(মুখ থেকে নিজের অজান্তেই বের হয়ে গেলো আদ্রির।কেন যেনো মনে হচ্ছে তার বাবার মৃত্যুর পিছনে কোন একটা কিন্তু আছে।)

আদ্রিঃজানিনা নির আপনার চোখ দেখে মেয়েটা আর ওই ডিভিডির উপর বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করছেনা মনে হচ্ছে আমি যেটা দেখেছি সেটা সম্পূর্ণ সঠিক না। আমি বের করেই ছাড়বো নির(মনে মনে)

এদিকে নির নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছেনা।নির যেনো হতদম্ভ হয়ে গেছে সে কোন দিন ভাবেনি আদ্রিও তাকে ভালোবাসে

নিরঃতুমি কি বললা। ওই বলোনা কি বললা(আদ্রিকে বুকের উপর থেকে তুলে)
আদ্রিঃআই লাভ ইউ আই রেয়লি লাভ ইউ ভালোবাসি খুব চাইনি আপনাকে জানাতে এই অপবিত্র জীবনে চায়নি জুরাতে কিন্তু পারবোনা আপনাকে ছাড়া থাকতে।
নিরঃএক থাপ্পড় দিবো কিসের অপবিত্র হ্যা। তুমি হলে সে পবিত্র ফুল। নিশ্বাপ।
আদ্রিঃআমিও সেটা চাই ওই জানোয়ার এর ছোয়া থেকে রেহায় চায় নিজের ছোয়া দিয়ে সে ছোয়াকে আমার থেকে দূর করে দিন নিজের ভালোবাসায় রাঙায়ে পবিত্র করে ফেলুন।
নিরঃকিন্তু আদর পাখি এখন আমাদের এক হওয়া সম্ভব না আমার অনেক কাজ বাকী আছে আমি জানিনা সেগুলো করে আদৌ আমি বেচে ফিরবো কি না।
আদ্রিঃআপনি ফিরবেন অবশ্যই জানিনা কিসের এমন কাজ যেটাতে আপনার জীবনের ঝুকি কিন্তু আমি জানি আমার নির ফিরবে তার আদর পাখির জন্য কারন আদর পাখি যে অসহায় তার #সীমাহীন _ভালোবাসার_নীড় কে ছাড়া।
নিরঃকিন্তু

আদ্রি নির কে থামিয়ে দিয়ে নির এর গলা জড়িয়ে নির এর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।
আদ্রিঃজানিনা আপনাকে কোন দিন আর পাবো কি না আপনার কাছে।জানিনা ভাগ্য কোন দিকে ঘুরবে জানিনা আপনার বুকে আর কোন রাত ঠায় পাবো কি না আজকেই নাহয় আপনাকে আপন করে নি (মনে মনে)

কথা গুলো ভাবতেই চোখ থেকে বেরিয়ে আসে দুই ফোটা অশ্রু।

নির আদ্রিকে নিজের কাছ থেকে ছাড়য়ে নিয়ে গাড়ি চালানো শুরু করে।আদ্রির অভিমান হয় এই ভাবে ছেড়ে দেওয়ায়।

গাড়ি থামায় একটা হোটেল এর সামনে।
নিরঃচায়নি এই ভাবে তোমাকে আপন করতে ভাবেছিলাম যেদিন আমরা এক হবো সেদিন সময় টা খুব স্পেশাল করতে কিন্তু জানিনা আসলেই ভাগ্য কি আছে চায়না অসম্পূর্ণ ইচ্ছার মৃত্যু।

আদ্রির চোখে পানি চলে আসে। সেটা দেখে নির বলে উঠে।
নিরঃচলেন ম্যডাম ভিতরে যাওয়া যাক আজকে আপনাকে ভালোবাসা কতো প্রকার দেখাবো

আদ্রির এবার লজ্জা লাগে এতোক্ষন নির্লজ্জ হয়ে সব কিছু বললেও এবার লজ্জায় গাল দুইটা লাল হয়ে যায়।

নির আদ্রিকে কোলে তুলে নেয়।হোটেল টা নির এর হওয়াই নির এর কোন ফর্মালিটি পূরন করতে হয়না হোটেল এর সবচেয়ে লাক্সারি হানিমুন সুইট নির দের দেওয়া হয়।

আদ্রি ভিতরে ঢুকে অবাক হয়ে যায়। পুরো রুম মোমবাতির আলোয় ঝোলমোল করছে। ফুলের গন্ধে চারিদিকে মৌ মৌ করছে।

আদ্রি যখন রুম দেখতে ব্যস্ত ছিলো নির তখন মোমবাতর আলোর মাঝে আগুন সুন্দরীকে দেখতে ব্যস্ত ছিলো।

নির আদ্রিকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে আদ্রির কাধে মুখ ডুবিয়ে দেয় এক হাত আদ্রির শাড়ির নিচে উমুক্ত পেটে বিচরণ করছে।
আদ্রির সারা শরীর জুড়ে আলাদা এক কাপনি উঠে যায়। আলাদা শিহরণে পাগল প্রায় অবস্থা তার।

নির আদ্রিকে কোলে তুলে বিছানায় শুয়ায় দেয়।

দুইজনে মেতে উঠে আদিম এক খেলায়। নির তার প্রতি স্পর্শে আদ্রিকে নিজের ভালোবাসা বুঝিয়ে দিচ্ছে। আদ্রিও নির এর পাগল করা স্পর্শ পেয়ে যেনো আলাদা এক জগতে পারি দিয়েছে।

——–

নির আদ্রি ব্যল্কনিতে দাঁড়িয়ে ডুবন্ত সূর্যের দৃশ্য উপভোগ করছে।দুইজনার মুখেই আলাদা প্রশান্তি।।

নির আদ্রির গলায় মুখ ডুবায়ে রেখেছে কিন্তু আদ্রির চোখ সামনের দিকে

আদ্রিঃনির একটা কথা জিজ্ঞেস করবো
নিরঃহুম
আদ্রিঃবাবাই কোথায়।(সোজা সাপটা প্রশ্ন)
নিরঃতোমার বাবাকে মারা গেছে।আমি জানি তুমি কথাটা জানো।
আদ্রিঃআমি তোমার মুখে সব শুনতে চাই। তুমি যেটা বলবা আমি সেটাই বিশ্বাস করবো।

নির মুচকি হেসে সব কিছু খুলে বললো সব শুনে আদ্রি ফুপায়ে উঠলো।নির দুই হাতে আগলে নিলো।

চলবে”!!!
,
,
,
চলবে!!!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here