সুখের পাখি পর্ব -৫৯

#সুখের_পাখি

৫৯
হারুনের মুখে কথাটা শুনে ইহানের সারা গায়ে একটা শিরশিরে ভয়ের স্রোত বয়ে গেল। তনুর অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে! স্পট ডেড? ইহান তার ভাবনা শক্তি হারিয়ে ফেলে হারুনের কলার চেপে ধরল। ইহানের চোখ টকটকে লাল। কলার ধরা হাত দু’টো থরথর করে কাঁপছে।

–‘কে বলেছে তোমাকে তনু মারা গেছে?’

হারুন ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে গেল। স্যারের কী হয়েছে? চারটা বছর স্যারের সাথে কাটিয়েছে ও। কোনোদিন স্যার তাকে ধমক দিয়ে কথা বলেনি। আজ কি-না স্যার তার… কে তনু? যার মৃত্যুর খবর পেয়ে স্যার এমন করছে? স্যারের পরিবারের কেউ? আত্মীয়? তনু স্যারের কী হয়?
তাড়াহুড়ো করে বলতে গিয়ে তোতলাচ্ছে হারুন।

–‘কল এসেছিল। আপনার ফোনে তনু দিয়ে সেভ করা নাম্বার থেকে কেউ একজন কল করে বলেছে।’

–‘কে?’

–‘চিনতে পারিনি স্যার। একটা মেয়ে কন্ঠ…

–‘কোথায় অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে?’

হারুন বলতে বলতেই ইহান ওকে ছেড়ে দিয়ে ঝড়ের বেগে ছুটে বেরিয়ে গেল। হারুন পেছন থেকে ডাকছে।

–‘স্যার দাঁড়ান। আমিও আসছি। ওভাবে বেরুবেন না। বাইরে মিডি…

আর বলেও লাভ নেই। ইহান এতক্ষণে তার দৃষ্টির বাইরে চলে গেছে। হারুন এতক্ষণেও এটাই বুঝতে পারছে না, তনু স্যারের কে হয়? স্যার তনুর মৃত্যুর খবর শুনে এমন পাগলামি করছে কেন?

ইহান কীভাবে এই পথটুকু গাড়ি চালিয়ে এসেছে সে নিজেও জানে না। হারুনের বলা জায়গায় এসে লাফিয়ে নামল সে। কোথায় অ্যাক্সিডেন্ট? এখানে কোন মানুষ নেই কেন? অ্যাক্সিডেন্ট হলে নিশ্চয় মানুষের ভীড় থাকত। নাকি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে? কোন হাসপাতালে নিয়ে গেছে? স্পট ডেড মানে তো… না,না। তনুর কিচ্ছু হতে পারে না। তনু এভাবে তাকে ছেড়ে যেতে পারে না। ইহানের চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। সে পাগলের মত চারপাশে খুঁজতে খুঁজতে বলছে,

–‘সেই পাঁচ বছরের শাস্তিই এখনও শেষ হয়নি তোমার। আরও অনেক শাস্তি বাকি আছে। এখনই তুমি চাইলেও কোত্থাও যেতে পারবে না। আমাকে কম কষ্ট দাওনি তুমি। তোমার কষ্ট পাওয়ার পালা এসেছে বলে তুমি একেবারেই চল…

ইহান তনুকে দেখতে না পেয়ে রাস্তায় বসে পাগলের মতো কাঁদছে।

–‘আমি তোমাকে ভালোবাসি তনু। আমার রাগের আড়ালে লুকানো ভালোবাসা কেন দেখতে পাও না তুমি? সব সময় কি তুমিই আমাকে কষ্ট দিবে? আমি তোমাকে কিছুই ফেরত দিতে পারব না! পাঁচ বছর আমি যেই কষ্ট পেয়েছি তা তোমাকেও পেতে হবে। আর তা আমার সাথে থেকেই পেতে হবে।’

রাস্তাটা পুরোপুরি নির্জন বলে ইহানকে ঘিরে এখনও মানুষ জড়ো হয়নি। ইহান কী করবে ভেবে পাচ্ছে না।

–‘ইহান ভাই!’

পেছন থেকে সেই চিরচেনা গলায় নিজের নাম শুনে ইহান পলকে উঠে দাঁড়ায়। তনু সশরীরে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কিছুই হয়নি ওর। তার মানে অ্যাক্সিডেন্টের খবর ভুয়া। মিথ্যা বলেছে তনু ওকে!

–‘আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন না। তাহলে আমার মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন কেন? আর এভাবে মেয়েমানুষের মত কেঁদেকেটে বুক ভাসাচ্ছেন কেন?’

ইহানের চোখে এতক্ষণ কষ্ট ছিল। এবার সেভাবে রাগ দেখা দিয়েছে। ধক করে জ্বলে উঠল সে। এই মেয়ে তাকে কী পেয়েছে? ওর যেভাবে খুশি সেভাবে ইহানকে নাচাচ্ছে! ভুয়া মৃত্যুর খবর দেবার সাহস পেল কোথায়? তনু হয়তো ভাবেওনি। ইহান ওকে মারবে। গালে হাত দিয়ে ফ্যালফ্যাল চোখে ইহানকে দেখছে তনু। ইহান কী করত? রাগ সামলাতে পারেনি।

–‘আপনি আমাকে মারুন। বকুন। কাটুন। শুধু এটুকু বলুন আমাকে তো আপনি ভালোবাসেন না। তারপরও কেন ছুটে এলেন? আমাকে না পেয়ে কেন কাঁদছিলেন?’

এক চড় দিয়েও ইহানের রাগ কমছিল না। সে পারলে তনুকে কাঁচা চিবিয়ে ফেলে। ইহান একটা মুহূর্তের জন্য ভেবেছিল তনু বুঝি সত্যিই… তার মন নিয়ে, তার ইমোশন নিয়ে প্রথম থেকেই খেলা করে আসছে তনু। আজও তার ব্যতিক্রম করেনি। ইহান তনুকে কোন জবাব না দিয়ে চলে যেতে নিচ্ছিল। তনুর এবার জেদ চেপে গেল। এত রাগ! এত ইগো! এখনও রাগ কমছে না! সে আর কী করলে ইহান ভাইয়ের রাগ কমবে? তনু আর কী করলে ইহান ভাই তাকে ক্ষমা করবে! তনু চেঁচিয়ে বলতে লাগল,

–‘আপনি যদি এখন এখান থেকে চলে যান, তাহলে যে মিথ্যা খবরটা পেয়ে ছুটে এসেছেন ওটা সত্যি হতে বেশি সময় লাগবে না। তখন কান্নাকাটি করেও আর আমাকে পাবেন না। আপনি আপনার রাগ নিয়েই থাকুন। আমার বাঁচা মরাতে যেন আপনার কিছু না আসে যায়। সত্যি সত্যিই যখন কোন গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়াব তখনও আপনি রাগ করে থাকবেন।’

ইহান যেতে যেতে দাঁড়িয়ে পড়েছে। এক পাক খেয়ে তনুর কাছে আবার ফিরে এলো সে। তনুর গলা চেপে ধরে বলল,

–‘একটা কথা শুনতে চাই না তোর মুখ থেকে। একটা টু শব্দ করলে আমি তোকে পুতে ফেলব।’

তনু রাগছে না। কষ্টও পাচ্ছে না। মৃদু হাসছে সে। ওকে হাসতে দেখে ইহানের মাথায় আগুন জ্বলে যাচ্ছে। শক্ত করে তনুর দু’বাহু চেপে ধরে দাঁত কিড়মিড় করে বলল,

–‘ মরার অনেক শখ হয়েছে তোর,না? মরতে চাস তুই? নিজে নিজে কেন মরবি? আমার হাতে মরবি তুই। আমি তোকে মারব। অনেক কষ্ট দিয়েছিস। এখনও দিচ্ছিস। কী পেয়েছিস তুই আমাকে? আমি তোর হাতের পুতুল! কিছু সময় নিয়ে খেলা করবি। তারপর মন ভরে গেলে ছুড়ে ফেলে দিবি! পাঁচটা বছর তোর জন্য বেঁচে থেকেও নরকের জ্বালা ভোগ করেছি। তোকে তো আমি এত সহজে মরতে দিব না। একটু একটু করে কষ্ট দিয়ে মারব।’

ইহান ওকে ধরে রাখা অবস্থায়ই তনু কাঁদতে কাঁদতে ওর বুকে মাথা রাখল।

–‘ক্ষমা করে দিন না আমাকে, ইহান ভাই।’

–‘কোন ক্ষমা নাই তোর। শাস্তি পেতে হবে তোকে।’

–‘তাহলে শাস্তিই দিন। আমি মাথা পেতে নিব। শুধু আপনার থেকে দূরে ঠেলে দিবেন না। তাহলে সহ্য করতে পারব না।’

–‘পাঁচটা বছর তো ছিলি।’

–‘সে আমি কীভাবে ছিলাম তা শুধু আমিই জানি।’

–‘দোষ কার ছিল?’

–‘আমার। সেই ভুলের সুন্দর একটা সংশোধন করতে দিন আমায়।’

–‘আমি যে কষ্ট পেয়েছি তার কী হবে?’

–‘সব শোধ করে দিব। তার থেকেও হাজার গুণ বেশি ভালোবাসা দিয়ে পুষিয়ে দিব।’

তনু ইহানের শার্ট খামচে ধরে ওর বুকে মুখ রেখে কাঁদছে। ইহান আর কঠিন থাকতে পারছে না।

–‘না। এত সহজে…

–‘প্লিজ ইহান ভাই। এভাবেও আমি মরে যাচ্ছি। আপনি পাষাণ হলে শুধু শরীরের সমাধিটুকু দিয়ে দিব।’

–‘আজকের পর আর কোনোদিন মরার কথা মুখে আনলে আমি সত্যিই তোকে মেরে ফেলব তনু।’

তনু মুখ না তুলেই হেসে বলল,

–‘আপনার মুখে তুই কথাটা শুনতে ভালো লাগছে। অনেকের মুখেই তুই মানায় না। আপনাকে সুন্দর মানিয়েছে।’

ইহান এতদিনের জমিয়ে রাখা সব মান অভিমান ভুলে গিয়ে তনুকে আপন করে নিল। তনুকে কষ্ট দিতে তার আরও বেশি কষ্ট হচ্ছিল। একটু আগে অ্যাক্সিডেন্টের কথা শুনে তার দুনিয়াটাই অন্ধকার হয়ে এসেছিল। তনুর কিছু হলে তার বাঁচার শেষ ইচ্ছেটুকুও শেষ হয়ে যেত।

ইহান তনুকে তার ফ্ল্যাটে নিয়ে এলো। পুরোটা পথ একটি বারের জন্যও তনুর হাত ছাড়েনি সে।

–‘আপনি মিতাকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছে?’

–‘ওর কেউ ছিল না। মেয়েটা ভেঙে পড়েছিল।’

–‘ফুলি আপাকেও ভুলেননি। ওর ছেলের নাম আমার সাথে মিলিয়ে রেখেছেন।’

হাসল ইহান।

–‘শান্তির সাথে আমার দেখা হয়েছিল। আমাদের বিয়ের ডেট জানতে চেয়েছে। দাওয়াত নাকি পাঁচ বছর আগেই দিয়ে রেখেছেন।’

তনু খুশিতে পটরপটর কথা বলেই যাচ্ছে। ইহান নীরবে তার কথা শুনছে। গেট দিয়ে গাড়ি ঢোকার সময় তনু বলল,

–‘ওইদিন আমি এসেছিলাম। দারোয়ান ব্যাটা ঢুকতে দেয়নি।’

–‘তখন তো দারোয়ান জানত না কার বাড়িতে কাকে ঢুকতে দিচ্ছে না। বাড়ির মালকিনের সাথে কথা বলছে ও জানলে নিশ্চয় হার্টফেল করত।’

তনু হেসে ফেলল। তারপর হঠাৎ মন খারাপ করে বলল,

–‘আপনার অনেক মেয়ে ভক্ত। সবাই আপনার জন্য কত্ত পাগল।’

–‘তোমার ভয় নেই। সবার মাঝে আমার চোখ তোমাকেই খুঁজে নিবে।’

–‘দেখলাম তো সেদিন। আমাকে দেখলেনই না।’

–‘কে বলল দেখিনি?’

–‘দেখেছিলেন! কী বাজে আপনি!’

বলতে বলতে তনু মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে ফিরে বসল। ইহান নিজে গাড়ি থেকে নেমে তনুকে কোলে তুলে নিল।

–‘আরে আরে! কী করছেন? আমি কি হেঁটে যেতে পারব না? নামান আমাকে।’

ইহান ওর কোন কথাই শুনলো না। তনু ইহানের বাড়ি দেখছে না। ইহানের উপর থেকে তার চোখ সরছে না।

–‘মা’কে জানিয়ে দাও আজ তুমি তোমার বান্ধবীর বাসায় থাকবে।’

তনু ভ্রু কুঁচকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকাল। ইহান পাত্তা না দিয়ে বলল,

–‘তুমি তোমার বাড়ি ঘুরে দেখো। আমি ফ্রেশ হয়ে আসি। এমনভাবে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছ রেকর্ডিং ছেড়ে ছুটে যেতে হয়েছে।’

ইহান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে দেখে তনু দেয়ালে ঝুলানো তার ছবিগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে আছে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। সে যে বেরিয়েছে এই খেয়াল নেই। ইহান গিয়ে পেছন থেকে তনুর ঘাড়ের উপর ঝুঁকে দাঁড়াল।

–‘কী দেখছো?’

–‘ও বাবা!’ ভয় পেয়ে গিয়েছিল তনু। পেছন ফিরতে নিয়ে ইহানের সাথে ধাক্কা খেল।

–‘ইহান ভাই!’

ইহান তনুর এক হাত পেছনে নিয়ে ওর সাথে মিশিয়ে ধরল। অন্য হাতে চোখের উপর আসা চুলগুলো কানের পাশে গুঁজে দিয়ে পলকহীন দৃষ্টিতে ওকে দেখতে লাগল। তনুর ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছে।

–‘ইহান ভাই, আমি আপনাকে খুব কষ্টে দিয়েছি, তাই না?’

–‘তা অবশ্য দিয়েছ। ব্যাপার না। আমি শুধে আসলে পুষিয়ে নেব।’

তনু ইহানের বুকে মুখ লুকিয়ে বলল,

–‘আমি কোনোদিনও আপনাকে অবিশ্বাস করব না। আমায় ক্ষমা করুন।’

ইহান মুচকি হেসে তনুর মাথায় চুমু খেল।

–‘চলো বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখাই।’

তনু বাড়ি কী দেখবে? সে ইহানকে দেখেই শেষ করতে পারছে না। ইহান সেটা লক্ষ করেও কিছু বলেনি।

–‘কেমন লাগলো?’

–‘ভীষণ হ্যান্ডসাম!’

ইহান হো হো করে হেসে ফেলল। বলল,

–‘বাড়ি নাকি বাড়ির মালিক?’

–‘বাড়ির মালিক। চাপ দাড়িতেও কাউকে এত সুন্দর লাগতে পারে আমার জানা ছিল না। কেমন বেহায়া হয়ে গেছি দেখছেন না? প্রকাশ্যে, চুরি করে বারবার দেখতে গিয়ে ধরা পড়ছি। লজ্জাও পাচ্ছি। তবুও বেহায়া মন, দেখার লোভ সামলাতেই পারছে না।’

–‘আমার এত শখের বাড়িটাকে তুমি কষ্ট দিচ্ছ। কোন আগ্রহই দেখাচ্ছ না।’

–‘আমার সব আগ্রহ যে বাড়ির মালিক নিয়ে রেখেছে।’

ইহান লক্ষ করছে তনু আগের মত তাকে এতটা লজ্জা পাচ্ছে না। কথার পিঠে কথা বলে যাচ্ছে। আগে তো এক কথা বলতে গিয়ে লজ্জায় জ্ঞান হারানোর দশা হতো। সে তনুকে লজ্জা দেওয়ার জন্যই বলে বসল,

–‘বাসর কোথায় করবে? ওই বাড়ি নাকি এই বাড়ি?’

তনুর চোখ বড় বড় হয়ে গেলেও দ্রুত সময়ে সামলে নিল।

–‘আপনার ওই কবুতরের খোপ চিলেকোঠায়।’

সাবিনা শোয়ার সময় স্বামীর সাথে কথা বলছেন। লাইট অফ করে দিয়ে স্বামীর পাশে শুয়ে বললেন,

–‘ছেলে দু’টার বয়স তো আর বসে থাকছে না। বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেল কবেই। এখনও কি ওদের বিয়ে করাবে না?’

–‘তোমার ছেলেরা বিয়ে না করলে আমি কি ওদের জোর করতে পারব? ওরা তো এখন ছোট না। নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

–‘তনু ফিরে এসেছে। আর নাকি যাবে না।’

–‘সাবিনা, তনুকে আমার প্রথম থেকেই ভালো লেগেছে। ওর মত মেয়ে আমার চোখে পড়ে না। ওর মনে কোন প্যাঁচ নেই। ইহানের সাথে যদি ওর…

–‘আহানকে রেখে ইহানের বিয়ে করাব? তনু যে স্বভাবের মেয়ে তাতে ওর আহানের মত শান্তশিষ্ট কাউকে লাগবে। ইহানটার তো নাকের আগায় রাগ। তনু ওকে সামলাতে পারবে না।’

–‘তাহলে দেখো তুমি কী করবে।’

–‘তুমি বলো কী করব।’

–‘আমার কাছে আমার দুই ছেলেই সমান। আহান প্রথম থেকেই গোছগাছ। এই কয় বছরে ইহান নিজেকে যতটা গুছিয়ে নিয়েছে তাতে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। পৃথিবীর যেকোনো মেয়ে ওকে স্বামী হিসেবে পেলে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করবে।’

–‘হুম। তারপরও তনু ফেরার পর থেকে আহানকে আমি লক্ষ করেছি। আমার মনে হয় আহান তনুকে পছন্দ করে ফেলেছে।’

চলবে🍂
#জেরিন_আক্তার_নিপা
গ্রুপ
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here