সে আমার মানসিক শান্তি পর্ব -১২+১৩

#সে_আমার_মানসিক_শান্তি
#পর্ব_১২
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

প্রতিদিনে’র মতো আজকে-ও রজনী আগে জাগা পেয়ে গেল।ফজরের আজান কানে আসতে-ই রজনী আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসলো।আস্তে করে আবরারের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে,ওয়াশরুমে চলে গেল।একটু পরে অজু করে এসে,নামাজে দাঁড়িয়ে গেল। নামাজ শেষ করে।আয়াতে’র কথা ভাবতে শুরু করল।কালকে মেয়ে’টা ঠিকমতো,ঘুমোনোর জায়গা পেয়েছে,
কি না।জেদ ধরে তো’ নিয়ে আসলাম।এখন কি করবো।আয়াতে’র জন্য মন’টা ভিষণ অস্থির হয়ে উঠেছে।চাইলে-ও রুম থেকে বেড়িয়ে,আয়াতে’র কাছে যেতে পারছে না।কেউ দেখলে কি ভাব্বে?ভেবে-ই রজনী মলিন মুখ করে বসে থাকলো।হঠাৎ করে রজনী’র মাথায় বুদ্ধি আসলো।আয়াত’কে ফোন দিলে,কেমন হয়।যেই ভাবনা।সেই কাজ!আয়াত’কে ফোন দিল।কিন্তু আয়াতে’র কাছে থেকে কোনো রেসপন্স আসলো না।রজনী অস্থির হয়ে বসে রইলো।নামাজ শেষ করে,
রজনী’র আর ঘুম আসে না।বাসায় থাকলে,নামাজ শেষ করে,পড়তে বসতো।এখানে তো’ বই-ও নেই।যে,বসে বসে পড়বে।আবরার বেঘোরে ঘুমাচ্ছে।আবরারের দিকে তাকিয়ে রজনী বিরক্ত প্রকাশ করল।

ঘড়ির কাটার আট’টা ছুঁই ছুঁই।রজনী’কে সুন্দর করে সাজিয়ে ড্রয়িং রুমে বসিয়ে রেখেছে।রজনী এখনো আয়াতে’র দেখা পায় নাই।চিন্তায় পড়ে গেল রজনী।এক রাতে মেয়ে’টা গেল কোথায়?আয়াতে’র যদি কিছু হয়ে যায়।তাহলে,সে বাবা মায়ের কাছে কি জবাব দিবে।ভাবতে-ই রজনী’র হাত-পা শীতল হয়ে আসতে শুরু করল।চোখের ইশারা দিয়ে,আবরার’কে ডাকলো।আবরার রজনী’র কাছে এসে বলল।

–কি ব্যাপার বউরাণী যে,নিজ থেকে আমায় ডাকছে।আমার আলিঙ্গনে’র এত শক্তি।যে,এক রাতের মধ্যে একটা মেয়েকে পরিবর্তন করে ফেলল।যে,মেয়েটা আমাকে দু-চোখে দেখতে পারতো না।সেই,মেয়েটা এখন আমাকে চোখের ইশারা দিয়ে ডাকছে।এভাবে যখন-তখন চোখের ইশারা দিয়ে ডাকবে না।লোকে দেখলে,কি বলবে।লজ্জা পাবার ভান ধরে বলল আবরার।আবরারে’র কথা শুনে,রজনী ক্রোধ নিয়ে,আবরারে’র দিকে তাকালো।নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে বলল।

–কালকে আয়াত আমার সাথে এসেছিল।এত লোকজনে’র ভিড়ে কালকে আয়াতে’র দেখা মেলেনি।সকাল থেকে-ও,মেয়ে’টা এক নজর চোখে পড়েনি।আপনি যদি ওকে,আমার কাছে নিয়ে এসে দিতেন।তাহলে আমার ভালো লাগতো।

–আব্রাহাম থাকতে আয়াতে’র চিন্তা করতে হবে না।আব্রাহাম যতদিন বেঁচে আছে।ততদিন নিশ্চিন্তে থাকতে পারো।

–আপনার ভাই’কে নিয়ে-ই আমার বেশি ভয়।বেশি কথা না বলে,যান গিয়ে আমার বোন’কে নিয়ে আসুন।

–কাল রাতে-ই,তো বিড়ালে’র মতো ম্যাও ম্যাও করছিলে।আজকে-ই,আবার নিজের আসল রুপে ফিরে আসলে।আবরারে’র কথা শুনে,রজনী রাগী দৃষ্টিতে আবরারে’র দিকে তাকালো।আবরার কিছু বলল না।হেসে রজনী’র সামনে থেকে চলে আসলো।আবরার আয়াত’কে পুরো বাড়িতে খুঁজেছে।কিন্তু আয়াতে’র দেখে কোথাও মেলেনি।আবরার হতাশ হয়ে ফিরে আসলো।তখন-ই আবরারের চোখ যায়, আব্রাহামে’র দিকে,আব্রাহাম নিজের রুমের সামনে একটা চেয়ার বসে,ফোনে কি জানি করছে।আবরার আশার আলো নিয়ে,আব্রাহামে’র কাছে যায়।অধরের কোণে হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলে বলল।

–আব্রাহাম তুই আয়াত’কে দেখেছিস।রজনী কাল থেকে,আয়াত’কে দেখতে না পেয়ে,অনেক চিন্তা করছে।

–আব্রাহাম গা-ছাড়া ভাব নিয়ে বলল,তোমার বউ চিন্তা করছে তো’ আমি কি করবো।আমাকে এসব কথা বলছো কেনো?নিজের বউয়ের কথা!পর-পুরুষ কাছে এসে,বলো।তোমার লজ্জা করে না।কেমন স্বামী তুমি?আব্রাহামে’র কথা শুনে,আবরার রাগী দৃষ্টিতে আব্রাহামে’র দিকে তাকালো।আব্রাহাম আবরারে’র দৃষ্টি’কে উপেক্ষা করে,নিজের কাজে মন দিল।তা’ দেখে আবরার দিগুন,রেগে গেল।

–আব্রাহাম আমি সিরিয়াস।আয়াত’কে সত্যি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।আয়াতে’র যদি কিছু হয়ে যায়।তাহলে আয়াতে’র বাবা-মাকে কি জবাব দিব আমরা?

–তোমার মতো আমি কেয়ারলেস না।আয়াত আমার রুমে আছে।এখনো ঘুমোচ্ছে।একদম বিরক্ত করবে না।ওর ঘুম পরিপূর্ণ না হলে,ওকে ঘুম থেকে জাগালে,
সারাদিন ওর মাথা ব্যথা করে।তুমি ভালো করে-ই জানো।বিয়ে বাড়িতে,রাতে ঘুমোনো নিয়ে, কি কি হয়।এত কোলাহলে’র মধ্যে আমি আয়াত’কে কষ্ট করে, ঠেসাঠেসি করে ঘুমোতে দিব।এটা তুমি ভাবলে,কি করে।ওকে আমার রুমে ঘুমোতে দিয়ে,আমি সারারাত রুমের বাহিরে বসে ছিলাম।যেনো কেউ ওকে,বিরক্ত করতে না পারে।দেখছো,আমার বসে থাকা’টা কাজে লেগেছে।না হলে,তোমার মতো আরো কয়টা উজবুক আসতো।আর আয়াতে’র ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করতো।মেয়ে’টা সারাদিন মাথা ব্যথায় কষ্ট পেত।

আবরার অবাক হয়ে,আব্রাহামে’র দিকে তাকিয়ে আছে।কারো ভালোবাসা এতটা নিখুঁত হতে পারে।এতটা নিখুঁত ভাবে ভালোবাসলে,যে কেউ কারো মায়ায় জড়িয়ে যাবে।এখন বুঝতে পারছি।আয়াত সবকিছু জানার পরে-ও কেনো।আব্রাহাম’কে ছাড়তে পারে না।কেনো আব্রাহামে’র কোনো ক্ষতি করতে পারে না।মায়া জিনিস বড্ড খারাপ।যার ওপরে একবার বসে যায়।তাকে ছাড়া একটা মুহুর্ত থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে।নিজের ভালো থাকা’টা তার ওপরে নির্ভর করে।আব্রাহাম হয়তো রাত জেগে নিজের,শান্তি টুকু খুঁজে নিয়েছে।আবরার আর কিছু বলল না।চুপচাপ চলে গেল।

আবরার মলিন মুখ করে রজনী’র কাছে আসলো।রজনী’র পাশে বসে বলল।

–আয়াত আব্রাহামে’র রুমে ঘুমিয়ে আছে।আয়াতে’র ঘুম পরিপূর্ণ না হলে,আয়াতে’র নাকি সারাদিন মাথা ব্যথা করে, তাই আব্রাহাম রাত জেগে,আয়াতে’র রুমে সামনে বসে ছিল।যেনো আয়াত’কে কেউ বিরক্ত করতে না পারে।আবরারের কথা শুনে রজনী বলে উঠলো।

–এই জন্য-ই আব্রাহাম’কে আমার এত’টা ভালো লাগে।ছেলেটা’র ভালোবাসা ভয়ংকর সুন্দর।রজনী’র মুখে অন্য ছেলের প্রশংসা শুনে,না চাইতে-ও আবরার বুকের মধ্যে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করল।তবে কি সত্যি আব্রাহামে’র ভালোবাসা সুন্দর।সে,কি ভালোবাসতে জানে না।সে,যদি ভালো-ই বাসতে জানতো।তাহলে,তার বউ কখনো অন্য ছেলের প্রশংসা করতো না।ভাবতে-ই আবরারের মন’টা খারাপ হয়ে গেল।আস্তে করে উঠে চলে গেল।

আয়াত’কে উঠতে দেখে-ই আব্রাহাম হসপিটালে’র উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়লো।দুপুরের আগে তার কোনো কাজ নেই।তাই বিনা প্রয়োজনে,বাড়িতে থাকার প্রয়োজন মনে করল না আব্রাহাম।ছুটে গেল নিদিষ্ট গন্তব্যে।আয়াত উঠে,ফ্রেশ হয়ে রজনী’র কাছে আসলো।রজনী আয়াত’কে দেখে রেগে বলল।

–কাল থেকে কোথায় ছিলি।বোনের সাথে দেখা করার প্রয়োজন মনে করিস নাই।আমি যে,তোর জন্য চিন্তা করছি।সেটা একবারো মাথায় আসে নাই।

–কালকে তোমাকে হাতের কাছে-ই তো’ পাচ্ছিলাম না।কিভাবে তোমার সাথে কথা বলতাম।কালকে অনেক রাতে ঘুমিয়েছি।ঘুমানোর জায়গা পাচ্ছিলাম না।পরে তোমার শাশুড়ী আমাকে একটা রুমে নিয়ে গেলেন।আমি রাতে,ঐ রুমে-ই ছিলাম।রজনী আয়াতে’র কথায় অবাক হলো,তারমানে আয়াত জানে না।কাল রাতে আয়াত আব্রাহামে’র রুমে ছিল।রজনী’র কেনো জানি বলতে ইচ্ছে করল না।তাই কথা ঘুরিয়ে বলল।

–সকালে খেয়েছিস কিছু?

–আমি মাত্র উঠলাম।আব্রাহাম কোথায়।আব্রাহামে’র সাথে খাব।অনেক দিন হয়ে গেল।ওর সাথে খাই না।আমাকে কত’টা যত্ন করে খাইয়ে দিত।ওর মতো করে কেউ আমাকে ভালোবাসে না।বলে-ই নিজের মুখ চেপে ধরলো আয়াত।আবেগে’র বশে এটা সে,কি বলে ফেলল।রজনী তিক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আয়াতে’র দিকে তাকিয়ে আছে।আয়াত চুপ করে উঠে চলে যেতে লাগলে।আবরার এসে,আয়াতে’র পথ আটকিয়ে ফেলল।

–তুমি যাকে খোঁজার জন্য যাচ্ছো।সে,তোমাকে ঘুম থেকে উঠতে,দেখে-ই হসপিটালে চলে গিয়েছে।এখন অভিনয় করতে লেগো না।তোমার বোন সব জানে।আমি তোমার বোন’কে সবকিছু বলে দিয়েছি।

–দুলাভাই আপনি এসব কি বলছেন?আপনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।আর আমি কাকে খুঁজতে যাব।

–কাউকে খুঁজতে যেতে হবে না।তুই গিয়ে খেয়ে আয়।আবরার আয়াত’কে নিয়ে,আব্রাহামে’র রুমে আসলো।আয়াত’কে আব্রাহামে’র রুমে দেখে,আব্রাহামে’র মা অগ্নি দৃষ্টিতে আয়াতে’র দিকে তাকালো।আয়াত মাথা নিচু করে,আব্রাহামে’র বিছানায় বসলো।আবরার মা’কে উদ্দেশ্য করে বলল।

–মা তুমি আয়াত’কে খেতে দাও।আমি একটু আসছি।বলে-ই আবরার চলে গেল।আবরার চলে যেতে-ই,
আবরারে’র মা দরজা বন্ধ করে দিল।শান্ত হয়ে আয়াতে’র দিকে এগিয়ে আসলো।গম্ভীর হয়ে বলল।

–কেমন আছো?

–জ্বী আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আপনি কেমন আছেন আন্টি?

–আমাদের পরিবারের সুখ কেরে নিয়ে তো’ ভালো থাকবে-ই,এটাই স্বাভাবিক।

–আপনার কথার মানে বুঝতে পারলাম না!

–তুমি এতটা-ও ছোট বাচ্চা না।যে,আমি কি বলতে চেয়েছি।সেটা বুঝতে পারো নাই।

–আমি সত্যি আপনার কথার মানে বুঝতে পারি নাই।

–আব্রাহামে’র জীবন থেকে সরে যাও।আমি চাই না।তুমি আব্রাহামে’র জীবনে থাকো।আজ তোমার জন্য আামর ছেলেটা আমাদের আদর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত।তোমার জন্য আমার ছেলে’টা,নিজের বাসায় কারো থেকে ভালো ব্যবহার পায় না।তোমার জন্য আমার ছেলে’টা,তার বাবার সাথে যুদ্ধ করে।তোমার জন্য বাবা ছেলের মধ্যে এত রেষারেষি চলে।তুমি আব্রাহামে’র জীবন থেকে সরে যাও।আমি আমার বোনের মেয়ের সাথে আব্রাহামে’র বিয়ে দিব।আমার আব্রাহাম আবার আগে’র মতো,আমাদের ভালোবাসবে।আমাদের পরিবার’টা আবার আগের,
মতো সুখ শান্তিতে ভরে যাবে।তুমি আমাদের পরিবারের সমস্ত সুখ কেড়ে নিয়েছো আয়াত।তুমি আব্রাহামে’র জীবন থেকে,সরে যাও।আমি জানি,তুমি সরে গেলে,
আমার আব্রাহাম আবার আগে’র মতো হয়ে যাবে।

–আপনার মেজো ছেলে,আমাকে আর আব্রাহাম’কে আলাদা করে দিয়ে,নিজে আমার বোন’কে বিয়ে করল।এতে-ও আপনাদের শান্তি হয় নাই।এখন আব্রাহামে’র জীবন থেকে সরে যেতে বলছেন।সব সময় আমি আর আব্রাহাম-ই কেনো স্যাক্রিফাইস করবো।আমরা কি মানুষ না।আমাদের ইচ্ছে করে না।একে ওপরের পাশে থাকতে।আন্টি পৃথিবীতে মানসিক শান্তির থেকে,বড় কোনো শান্তি নাই।যার কাছে যার,শান্তি মিলে,মানুষ তার কাছে-ই নিজের ঠাই খুঁজতে যায়।আমি’ও তার ব্যতিক্রম নয়।আপনার ছেলে,আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।আমার ভালো থাকার কারনে হয়ে গিয়েছে।আপনি হয়তো আমার থেকে ভালো মেয়ে দেখে,
আপনার ছেলেকে বিয়ে করিয়ে দিতে পারবেন।কিন্তু আপনার ছেলেকে মানসিক শান্তি এনে,দিতে পারবেন না।যেটা,শুধু আব্রাহাম আমার কাছে থেকে পাবে।আমি চাইলে,রজনী আপু আর আবরার ভাইয়া’র বিয়ে’টা ভেঙে দিতে পারতাম।কিন্তু আমি আপনাদের মতো স্বার্থপর না।ভালোবাসার মূল্য আমি বুঝি।তাই আপনার ছেলের ভালোবাসা’কে মূল্যায়ন করে,বুকে পাথর চেপে আব্রাহামে’র কাছে থেকে দূরে সরে আসছি।এখন যদি বলেন,আব্রাহামে’র থেকে সারাজীবনের জন্য দূরে সরে যেতে,তাহলে আমি বলবো।এটা কখনো-ই সম্ভব না।আমি বেঁচে থাকতে,আব্রাহামে’র কাছে থেকে দূরে সরবো না।আব্রাহাম যদি নিজ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।তাহলে ভেবে দেখতে পারি।ছারবো,এটা কিন্তু বলি নাই।

–আব্রাহাম যদি তোমাকে নিজ থেকে ছেড়ে দেয়।তাহলে কি করবে?

–আমি’ও দেখতে চাই আব্রাহাম কি করে,আমাকে ছেড়ে দেয়।

–আব্রাহামে’র প্রতি এতটা বিশ্বাস!

–আমি নিজের থেকে-ও বেশি বিশ্বাস আব্রাহাম’কে করি।

–কাল রাতে আব্রাহাম ছিল।তাই কিছু বলতে পারি নাই।তুমি কোন সাহসে এই রুমে আসছো।এই রুমে আব্রাহাম ছাড়া,কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ।

–আপনার ছেলের অনুমতি নিয়ে-ই,এই রুমে প্রবেশ করেছি।কি আমার কথা বিশ্বাস হয় না।আপনার ছেলেকে ফোন করে জেনে নিন।আমার আপুর জন্য চিন্তা হচ্ছে,আপু কি করে এমন বাড়িতে সংসার করবে।আমার বাবা কি কোনো বড় ভুল করে ফেলল।যে,মা নিজের ভালোবাসা,দাঁড়ি পাল্লায় মেপে ছেলেদের ভালোবাসে,সেই মায়ের কাছে আমার বোন কি ভালো থাকবে?

–আয়াত?খুব কথা হয়েছে তাই না।তোমার কথা কি করে,বন্ধ করতে হয়।সেটা আমার ভালো করে-ই জানা আছে।

–আপনার যেটা ইচ্ছা হয়।আপনি করে নিতে পারেন।

–আব্রাহামে’র সাথে থেকে একদম আব্রাহামে’র মতো বেয়াদব হয়ে গিয়েছো।

–মা হয়ে,নিজের ছেলেকে বেয়াদব বলেন,কেমন মা আপনি?আবরারের মা রেগে আয়াতে’র দিকে তাকালো।আবরারের মায়ের ইচ্ছে করছে,আয়াতে’র গালে কষে দু’টো থাপ্পড় বসিয়ে দিতে,কিন্তু আজাদ শিকদারে’র কথা চিন্তা করে,কোনো কথা না বলে,হনহন করে রুম থেকে বেড়িয়ে গেল।

চলবে…..

(কেমন হয়েছে সবাই জানাবেন।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।সবাই রেসপন্স করবেন।ধন্যবাদ)#সে_আমার_মানসিক_শান্তি
#পর্ব_১৩
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

রৌদ্রতপ্ত রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে,আয়াত ও’ আরহা।আরহা আয়াতে’র বেস্ট ফ্রেন্ড।রজনী’র বিয়ে হয়ে গিয়েছে,বেশ কয়দিন হলো।সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।স্বাভাবিক হতে পারে নাই,
আয়াত,আব্রাহাম,রজনী।আবরার রজনী’র সাথে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে মানিয়ে নেওয়া’র চেষ্টা করছে।কিন্তু সময়ে’র সাথে,আবরারের প্রতি রজনী’র অবহেলা দিগুণ ভাবে বেড়েই চলেছে।এতে আবরার রজনী’র প্রতি এতটুকু’ও বিরক্ত হয় না।রজনী’র মন মতো হয়ে চলার চেষ্টা করছে।আয়াত হাঁটতে হাঁটতে আরহা’কে উদ্দেশ্য করে বলল।

–আমাকে একটা কিছু দিয়ে আঘাত কর।তারপরে সামনে’র হসপিটালে আমাকে নিয়ে যাবি।বলল আয়াত।

–তোর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে আয়াত।আমি কেনো তোকে আঘাত করতে যাব।বলল আরহা।

–অনেক দিন হয়ে গিয়েছে আব্রাহাম’কে দেখি না।আব্রাহাম’কে অনেক দেখতে ইচ্ছে করছে।প্লিজ না করিস না।কাউকে দেখার তৃষ্ণা জাগলে,তাকে দেখতে না পেলে,কি ভয়ংকর কষ্টের অনুভূতি সৃষ্টি হয়।সেটা যদি তুই এক বিন্দু অনুভব করতে পারতি।তাহলে আমাকে প্রশ্ন না করে,এতক্ষণে সাথে সাথে আঘাত করে ফেলতি।বলল আয়াত।

–তোর আবেগে’র কথা তোর কাছে রাখ!আমি কিছুতে-ই তোকে আঘাত করতে পারবো না।এমন পাগলামি করিস না।তুই এমনি গিয়ে দেখা করে আয়?

–অসম্ভব!আব্রাহাম এই কয়দিনে আমার খোঁজ নিয়েছে।যে,আমি আব্রাহামে’র খোঁজ নিতে যাব।আমি রোগী হয়ে যাব।দেখে চলে আসবো।এতে আমি’ও ছোট হবো না।আবার আমার চিকিৎসা’ও হয়ে যাবে।

–আব্রাহাম আব্রাহাম করে,তোর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।আমি এসবের মধ্যে নাই।আমাকে এসব কথা বললে,তুই সারাজীবনে’র জন্য আমাকে হারিয়ে ফেলবি।

–তুই আমার কিসের বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েছিস।যে,আমাকে বিপদে সাহায্য করছিস না।

–তুই যেটা’কে বিপদ বলছিস।সেটা’কে কোনো বিপদ বলে না।এটা’কে পাগলামি বলে।তুই যদি আর একবার আঘাত করার কথা বলছিস।তাহলে আমি সোজা।আংকেলে’র কাছে যাব।আর তোর সব পাগলামি’র কথা আংকেল’কে বলবো।

আয়াত আরহা’র কথায় বেশ বিরক্ত হলো,কিন্তু প্রকাশ করল না।এই দুনিয়ায় কেউ,কারো জন্য কিছু করে না।নিজের’টা নিজেকে-ই গড়ে নিতে হয়।আয়াত হতাশার শ্বাস ফেলে,বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিল।

–আচ্ছা আব্রাহাম এই বাসায় থাকে না কেনো?বলল রজনী।

–তোমার বোনের জন্য!তোমার বোন,আমার ভাই’টাকে পরিবারের থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।বলল আবরার।

–আজকে হসপিটাল থেকে আসার সময়।আব্রাহাম’কে সাথে করে নিয়ে আসবে।বাড়ির ছেলে,বাড়িতে থাকে না।এটা কেমন দেখায়।সবকিছুর জন্য তোমরা সবাই মিলে,আমার বোন’কে দোষ দাও কেনো?আমার বোন বলেছিল।আব্রাহাম তুমি সবার সাথে সম্পর্ক খারাপ করে ফেলো?বলল রজনী।

–তোমার বোন আব্রাহামের জীবনে আসার পরে থেকে,আব্রাহাম আমাদের থেকে দূরে চলে গিয়েছে।

–আমার বোনই তোমাকে দয়া করেছে।আমার বোনের দয়ায় তুমি আমাকে বিয়ে করতে পেরেছো।এত তাড়াতাড়ি উপকারির উপকার ভুলে গেলে।

–বাজে কথা বলবে না রজনী।আমি আমার নিজের চেষ্টায় তোমাকে জয় করে নিয়েছি।তোমার বাবা’কে বুঝিয়েছি।আমার বাবা’কে রাজি করিয়েছি।তারপরে বিয়ে হয়েছে।

–আয়াত আর আব্রাহাম বিয়ে’টা হতে দিয়েছে।তাই বিয়ে’টা করতে পেরেছো।সবাই তোমার মতো স্বার্থপর না।তুমি দু’টো ফুল’কে আলাদা করেছো।বিচ্ছেদের যন্ত্রণা দিয়েছো।প্রতিটি রাতের ঘুম কেঁড়ে নিয়েছো।অন্য কারো মুখের হাসি কেঁড়ে নিয়ে,তুমি আমাকে অর্জন করেছো।তারপরে-ও বলবে,তুমি নিজের যোগ্যতায় আমাকে অর্জন করেছো।

রজনী’র কথায় আরবার মাথা নিচু করে ফেলল।কোনো কথা না বলে,হনহন করে বেড়িয়ে চলে গেল।রজনী আবরারে’র যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।

ঘড়ির কাঁটার রাত বারোটা ছুঁই ছুঁই।ফাঁকা রাস্তায় আব্রাহাম গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে।হঠাৎ করে চারজন লোক এসে,আব্রাহামে’র গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালো।আব্রাহাম দ্রুত গাড়ি থামিয়ে দিলো।গাড়ি থেকে নেমে রেগে গিয়ে বলল।

–আপনাদের মাথায় কোনো সমস্যা আছে। এভাবে কেউ,গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়!

ভারি দেহের কালো পোশাক পড়া,একজন লোক বলল।

–এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে আয়াত ম্যাডাম’কে আর দেখতে যেতে হবে না।আপনি চাইলে আয়াত ম্যাডাম’কে আপনার বাড়ির বউ করে নিয়ে যেতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে আমাদের সাথে যেতে হবে।

লোকটি’র কথায় আব্রাহাম মৃদু হাসলো।আব্রাহামে’র শান্ত মুখের হাসি,মুহূর্তের মধ্যে চারজন মানুষের চোখে ভয়ে তৈরি করে ফেলল।আব্রাহাম মুখ’টা গম্ভীর করে।ধীর কণ্ঠে বলল।

–আহনাফ ভাই পাঠিয়েছে?

–জ্বী না স্যার। আপনি আমাদের সাথে চলুন।আমাদের সাথে গেলে-ই দেখতে পাবেন।উনি অনেকক্ষণ ধরে,
আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন।লোকটি’র কথায় আব্রাহাম কিছু সময় ভাবতে শুরু করল।ঠান্ডা মাথায় ভেবে’ও আব্রাহামে’র মস্তিষ্কে কারো নাম এসে ধরা দিল না।কোনো কথা না বলে,লোক গুলোর সাথে যেতে রাজি হলো।শহর থেকে একটু দূরে আব্রাহাম’কে নিয়ে আসা হয়েছে।চারিদিকে অন্ধকার,গাছ-পালার ঘেরা একটা বাগানে’র মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ওরা”।আব্রাহাম বেশ বিরক্ত।তবে কিছু বলছে না।একা থাকার চেয়ে রাতে আঁধারে অপরিচিত কারো সাথে ঘুরে বেড়ানো’টা অনেক ভালো।একাকিত্বের মতো ভয়ংকর অভিশাপ!আল্লাহ তায়ালা যেনো কাউকে না দেন।যা” আব্রাহাম প্রতিনিয়ত অনুভব করে যাচ্ছে।প্রায় এক ঘন্টা হাঁটার পরে আব্রাহাম রেগে গিয়ে বলল।

–আমাকে আপনাদের পাগল মনে হয়।এভাবে কখন থেকে হাঁটাচ্ছেন!আব্রাহামে’র চিৎকারে সবাই মৃদু কেঁপে উঠলো।চারিদিকে রাতের অন্ধকার,আশেপাশে নেই একটা’ও মানুষ।কেমন গা ছমছম করা পরিবেশ।এমন হঠাৎ চিৎকারে ভয় পাওয়া’টা-ই স্বাভাবিক।একজন লোক শান্ত হয়ে বলল।

–স্যার আমরা চলে এসেছি।সামনের বাড়ি’টা দেখছেন।আমরা ওখানে যাব।কেউ আর কোনো কথা বলল না।বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করল সবাই।পুরো রুম জুড়ে আলো জ্বল জ্বল করছে।মাঝখানে একটা চেয়ারে মাঝ বয়সী একজন লোক বসে আছে।কালো পোশাক পরিহিতা লোকগুলো বলে উঠলো।

–স্যার আপনার কথা মতো।আব্রাহাম স্যার’কে নিয়ে এসেছি।লোকগুলোর কথা শুনে লোক’টি সামনের দিকে ঘুরে বসলো।লোকটি’কে দেখে আব্রাহাম বলল।

–আপনি!

–আয়াত’কে চাই।

–সে আপনি বললে-ও চাই।আর না বললে-ও চাই।আমাকে এতদূর কষ্ট করে নিয়ে আসলেন কেনো?আপনার কি দিন আসলো।একটা ছেলেকে গাড়ি করে নিয়ে আসার মতো ক্ষমতা নেই।আপনার টাকা নেই।আপনি আমাকে বলতে পারতেন।আমি আপনাকে টাকা দিতাম।

–একদম বাজে বকবে না।এটা আমার গোপন কক্ষ।এই জায়গার হদিস কেউ জানে না।আজকে তোমাকে প্রথম নিয়ে আসলাম।দিনের বেলায় তোমার সাথে কথা বলা’টা,খুব রিস্ক হয়ে যায়।তাই রাতের আঁধারে ডেকে নিয়ে আসলাম।

–আপনি কি করে জানলেন,আমি রোজ এই রাস্তা দিয়ে যাই।

–পাগল কখনো বলে না আমি পাগল।ঠিক তেমন-ই সবাই জানে,আব্রাহাম নামের এক পাগল আয়াত নামের একটা মেয়ে বড্ড বেশি ভালোবাসে,তাকে না দেখে এতদিন রয়েছে।সেটা কেমন অবিশ্বাস্য দেখায় না।তাই আমি তোমাকে ফলো করতাম।ফলো করতে করতে ঠিক জানতে পারলাম।রাতে সব কাজ শেষ করে,তুমি শিকদার বাড়ির দিকে যাও।

–আপনি কি জানেন,এক পাগল জানে আরেক পাগলের খোঁজ রাখে।না হলে,এই মাঝ রাতে এক পাগল আরেক পাগলের সাথে,দেখা করার জন্য শহর থেকে এত দূরে নিয়ে আসে।শহরে কি জায়গার অভাব পড়েছে।

–তুমি কিন্তু আমাকে অপমান করছো।তাহলে আমি তোমাকে ডাকলাম।আর তুমি চলে আসলে কেনো?তোমার প্রাণের ভয় নেই।লোকটি’র কথায় আব্রাহাম শব্দ করে হেসে উঠলো।আব্রাহামে’র দিকে সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।আব্রাহাম’কে হাসির কোনো কথা বলা হয়েছে।

–বেয়াদবে’র মতো হাসছো কেনো?আমি তোমাকে হাসির কোনো কথা বলেছি?

–আপনাদের প্রাণের ভয় নেই।একজন ডক্টর’কে এত দূরে নিয়ে এসেছেন।এখন আমি যদি আপনাদের পিস পিস করে নদীতে ভাসিয়ে দেই।আমি কিন্তু কাটাকাটি বেশ ভালো করতে পারি।আমার সাথে প্রতিযোগিতা লাগবেন।আসুন সবাই মিলে,কাটাকাটি করি।কে,আগে কাকে কত টুকরো করতে পারে।যে,মরে যাবে।সে হেরে যাবে।আর যে,বেঁচে থাকবে।সে,জিতে যাবে।আব্রাহামে’র কথা সবাই চোখ বড় বড় করে আব্রাহামে’র দিকে তাকিয়ে আছে।যে,লোকটি আব্রাহামে’র সাথে রাস্তায় কথা বলেছিল।সেই লোকটি আব্রাহামে’র দিকে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।নিরবতা কাটিয়ে মাঝ বয়সী লোকটি বলে উঠলো।

–বারতি কথা না বলি।মূল কথায় আসা যাক।তুমি চাইলে,আমি তোমার আর আয়াতে’র বিয়ের ব্যবস্থা করে দিতে পারি।

–আমি নিজের ব্যবস্থা নিজে করে নিতে পারি।আমার কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয় না।

–সব সময় সব এত বেশি কথা বলো কেনো?চৌধুরী পরিবার আর শিকার পরিবার।দুই পরিবার হাসি মুখে তোমার আর আয়াতে’র বিয়ে দিবে।এতে তুমি রাজি আছো।

–আমি এখন আয়াত’কে বিয়ে করতে পারবো না।কারন আমার আহনাফ ভাই’কে খুঁজতে হবে।আব্রাহামে’র কথায় লোকটি’র অধরের কোণে তৃপ্তির হাসির রেখা ফুটিয়ে তুললো।একটা স্বস্তির শ্বাস ছেড়ে বলল।

–কিছু পেতে হলে,কিছু দিতে হয়।এই কথা’টা তোমার জানা আছে।

–এমন কথা বলার কারন?

–আহনাফ’কে পেতে হলে,তোমাকে আয়াতে’র চোখে খারাপ হতে হবে।লোকটি’র কথায় আব্রাহাম আগ্রহ নিয়ে,লোকটি’র দিকে তাকালো।আব্রাহাম’কে আগ্রহী হতে দেখে,লোকটি হালকা হাসলো।তারপরে একটা শ্বাস ছেড়ে বলতে শুরু করল।

–সাতদিনে’র মধ্যে শিকদার বাড়ি থেকে,তোমার আর আয়াতে’র বিয়ের প্রস্তাব যাবে।তুমি’ও বিয়েতে রাজি হয়ে যাবে।কিন্তু বিয়ের দিন আয়াতে’র বাসায় উপস্থিত হতে পারবে না।বিয়ের সময়ে তুমি যাবে,আহনাফ আর আরোহী’কে নিয়ে আসতে।

–অসম্ভব আমি কিছুতেই আয়াত’কে কষ্ট দিতে পারবো না।এই আঘাত’টা মেয়ে’টা সহ্য করতে পারবে না।এত বড় আঘাত বাচ্চা মেয়েটা’কে তিলে তিলে শেষ করে ফেলবে।আপনার যত টাকা লাগে,আমাকে বলুন।আমি আপনাকে টাকা দিব।আপনি শুধু আহনাফ ভাইয়ের খোঁজ’টা আমাকে দিন।আমি আর এই অপরাধের বোঝা বইয়ে নিয়ো বেড়াতে পারছি না।

–স্যরি আমার শর্তে রাজি না হলে,আমি তোমাকে আহনাফ আর আরোহী’র খোঁজ দিতে পারবো না।তুমি ভেবে দেখো।তোমার সিদ্ধান্ত আমাকে এখনই জানাতে হবে।কারন আমার হাতে সময় নেই।লোকটি’র কথায় আব্রাহামে’র বুকের মধ্যে চিনচিনে ব্যথা করতে শুরু করল।দম নিতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে আব্রাহামে’র,কোন বিপদের মধ্যে ফেঁসে গেল আব্রাহাম।একদিকে প্রিয় মানুষ,অন্য দিকে ভাই।কোন দিকে যাবে,আব্রাহাম।কষ্টে আব্রাহামে’র ভেতর’টা ভারি হয়ে আসছে।মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার মতো কেউ।এত চিন্তা কিসের,আমি তো আছি তোমার পাশে,এই কথা টুকু বলার মতো কেউ নেই।আব্রাহাম’কে চিন্তায় পড়ে যেতে দেখে,
লোক’টা নিঃশব্দে হেসে হেসে উঠছে।আব্রাহামে’র দু-চোখ লাল হতে শুরু করেছে।প্রায় পরেনো মিনিটের মতো থম মেরে বসেছিল আব্রাহাম।বুকে পাথর চেপে রেখে বলল।

–আমি আপনার শর্তে রাজি।কিন্তু শিকদার বাড়ির কেউ আমাকে পছন্দ করে না।তারা কি রাজি হবে।তাদের মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিতে?

–এসব চিন্তা তোমাকে করতে হবে না।আজকে আর আয়াতে’র কাছে যেতে হবে না।আজকে তুমি চৌধুরী বাড়িতে চলে যাও।কালকে সকালে দেখবে,আয়াতে’র পুরো পরিবার তোমাদের বাসায় চলে গিয়েছে।আব্রাহাম লোকটি’র দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকলো।লোকটি আব্রাহামে’র দৃষ্টি উপেক্ষা করে রুম থেকে বেড়িয়ে গেল।আব্রাহাম রক্তিম চক্ষু নিয়ে,অসহায়ের ন্যায় বসে রইলো।

চলবে…..

(আসসালামু আলাইকুম।কেমন হয়েছে সবাই জানাবেন।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।সবাই রেসপন্স করবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here