সে কে ছিলো -০৩

#সে-কে-ছিলো
সিজন টু
পর্ব ৩

#সমুদ্রিত সুমি

আপনার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা আমার জন্য নয়।যে করিয়েছে সে অন্য কেউ। আমি তাঁর হুকুম মানছি শুধু। আমি নিজেও তাঁর কাছে বন্দী ।আমার খুব মূল্যবান একটি সম্পদ তাঁর কাছে বন্দী আছে।আমাকে মাফ করবেন আমি কিছু জানি না এই বিষয়ে।আর যে এগুলো করছে, সে আপনার আপন কেউ। এর বেশি কিছু আমার বলা বারন। আপনাকেও সে ছেড়ে দিবে,কিন্তু তাঁর আগে আপনার থেকে আপনার মূল্যবান জিনিস কেঁড়ে নেওয়ার পর।আমিও নিরুপায়। আমারও কিছু করার নেই।তাই আমাকে আর কখনো কোন প্রশ্ন করবেন না।লেখা গুলো পড়ার পর মনি চোখ তুলে লোকটার দিকে তাকালো।মনির কি এমন মূলবান জিনিস আছে যা মনির থেকে কেঁড়ে নেওয়া হবে।কি সেটা।কিছু ভাবতে পারছে না মনি।বুক ফেটে কান্না আসছে কি করবে কোথায় যাবে।আর কিছুদিন পরেই তো ডেলিভারির ডেট।তখন কি করবে। অনেকের থেকেই মনি শুনেছে একটু এপাশ ওপাশ হলেই, যে কারো মৃত্যু হতে পারে।মনির মৃত্যু হোক সেটা নিয়ে মনির কোন আফসোস নেই। কিন্তু মনির সন্তান।এই সন্তান নিয়ে তো কতো স্বপ্ন দেখেছে নিয়াজ।যদি এই সন্তানের কিছু হয়ে যায় তখন মনির বেঁচে থেকে কি লাভ।কি জবাব দিবে মনি নিয়াজকে।এসব ভাবতেই অজানা এক ভয় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে নিলো।ধীরে ধীরে মনি তলিয়ে গেলো গভীর ঘুমে।মনি জানে না তাঁকে খাবারের সাথে হাল্কা ডোজের ঘুমের ঔষধ দেওয়া হয়েছে। মনির দু-চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়া চোখের জল শুকিয়ে গিয়ে মিলিয়ে যাবে হয়তো শূন্যের কোঠায়।কিন্তু মনির কষ্ট দেখে যে বাহিরে সেই পাষাণ মনের মানুষটারও যে বুক ফেটে যাচ্ছে,তা মনি দেখতে পেলো না। কিন্তু সে যে কিছুই করতে পারবে না।তাঁর যে হাতে কিছু নেই।সেও যে অতি লোভ করতে গিয়ে ফেঁসে গেছে।যদি লোভ না করতো তাহলে কি আর নিজের হাতে নিজের আপন মানুষ গুলোকে কষ্ট দিতো।লোকটার চোখের কানিস বেয়ে পড়া দু’ফোটা চোখের জল মুছে ওখান থেকে চলে এলো। দরজা বন্ধ করে একটি চেয়ারে বসতেই বেজে উঠলো ফোন।ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলো সেই কঠিন হৃদয়ের গড়া মানুষটার ফোন। ফোনটা হাতে নিয়ে রিসিভ করে কানে ধরতেই কঠিন কন্ঠে সে বলে উঠলো।

তোর মনে ভয় নেই। তুই জানিস আমি চাইলেই তোর ভালোবাসাকে মেরে ভৈরব নদীতে ফেলে দিতে পারি।তুই নিয়াজকে ফোন করেছিস।আমি কিন্তু ওয়ানিং দিচ্ছি শেষ বারের মতো।

আপনি তো ওকে মেরেই ফেলেছেন।আর কি মারবেন।তাঁর থেকে ওকে পুরোপুরি মেরে ফেলুন আমিও মুক্তি পেয়ে যাই।নিজের চোখের সামনে নিজের আপনজনকে আঘাত দিতে আর পারছি না।

বা,বা ভূতের মুখে রাম রাম।তুই তো ওকে ধর্ষণ করেছিলি।এই মধ্যেই ভুলে গেলি।

না ভুলে যাইনি।আপনি আমায় বলেননি ও কে ছিলো।শুধু বলেছিলে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করতে হবে,যার বিনিময়ে আপনি আমায় টাকা দিবেন।আর তখন আমার টাকা গুলোর প্রয়োজন ছিলো।তাই তো না দেখেই নিজের—-

রাখতো তোর অনুশোচনা। আরে আরো টাকা দিবো।সুখে থাকবি ভালোবাসার মানুষটি নিয়ে।

দরকার নেই সেই সুখ!যে সুখ তৈরি হয়েছে কারো সুখের মাটি দিয়ে।

বাহ বাহ মুখে দেখি অনেক বুলি ফুটেছে। মুখে লাগাম দে। তোরই ভালোর জন্য বলছি। আর শোন আমার সোনার পাখির যেন কোন অযত্ন না হয়।আর মনে রাখবি ও অসুস্থ হয়ে পড়লেই আমাকে ফোন দিবি।সাত মাস চলছে,তাই সাবধান।

আপনার ভয় হয় না।

কিসের ভয়।

সবার মুখোমুখি হওয়ার ভয়।

হা হা হা, হাঁসালি। আমি ভয় পাই না।আমার ভালো লাগে ওই মনিকে কষ্ট দিতে।কারণ ওই সে যে আমার কষ্টের কারণ ছিলো।আমার সাথে যে যে অন্যায় করেছে আমি সবাইকে শাস্তি দিয়েছি।শুধু ও বাকি।ওই মনি যেমন আমার প্রিয়জনকে কেঁড়ে নিয়েছে। আমিও কেঁড়ে নিবো ওর প্রান প্রিয় সন্তান কে।

ওর প্রান প্রিয় সন্তান কেন।ওর প্রান প্রিয় ভালোবাসাকে কেঁড়ে নিন।

না না,

কেন গায়ে লেগে গেলো।

ওই তুই বড্ড বেশি কথা বলিস।আর একটা কথা বললে কিন্তু যে শ্বাসটুকু নিচ্ছে তোর প্রিয়া।সেটুকুও কেঁড়ে নিবো।মনে রাখিস।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here