স্পর্শ পর্ব -০৭+৮

#স্পর্শ
#পর্ব_৭+৮
#লেখায়ঃস্বর্ণালি_আক্তার_শ্রাবণ

কোচিং ক্লাস শেষে ইরাকে নিয়ে স্যারের কাছে যায় আসিফ।
আসসালামু আলাইকুম স্যার
ওয়ালাইকুম আসসালাম..জ্বি বলো
স্যার আমি তো নতুন ভর্তি হয়েছি নোট গুলো নেই আর বুঝি ও না যদি একটু..
স্যার হাসিমুখে বললেন পাশেই তো ভালো স্টুডেন্ট দাঁড়িয়ে।ক্লাসের টপ গার্ল।ওর থেকে নিয়ে নিও।তারপর আমি সময় করে বুঝিয়ে দেবো..
ধন্যবাদ স্যার আসি
হু এসো।
স্যারের কাছ থেকে এসে ইরার কাছে নোট চাইলো আসিফ।
আমার কাছে তো নেই এখন সব।
তাহলে কি উপায়
কাল নিয়ে আসি
কাল তো অনেক দেরী হয়ে যাবে।
তাহলে..
যদি কিছু মনে না করিস ফোন নাম্বারটা দে রাতে কল করে জেনে নিবো।ইরা দ্বিমত না করে দিয়ে দিলো।ভালে বন্ধু ভেবেই।আর বলল ১০ টার পর দিস না আমি ঘুমাই ৮ টার আগে দিস।
আসিফ শুধু মাথা নাড়ল।
আসিফের থেকে বিদায় নিয়ে সেন্টার থেকে বেরিয়ে এলো ইরা।বের হতেই দেখে নিহান দাঁড়িয়ে আছে।বেশ ক্লান্ত দেখাচ্ছে নিহানকে।ইরা নিহানের কাছে আসতেই রিকশা ডাকলো নিহান।উঠে বসলো ইরা।নিহান রিকশায় উঠেই ইরার কাধে মাথা রাখল।ইরা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
বাসায় এসে নিজের ঘরে চলে গেলো নিহান।বিছানায় হাত পা মেলে শুয়ে পড়লো।ইরার দ্রুত গোসল সেরে এসে।নিহানের তাওয়াল সবান এগিয়ে দিলো।খাবার সাজিয়ে দিলো টেবিলে।নিহান খেতে বসে বলল খালামণি কোথায়?
মা তার ফুফু শ্বাশুড়িকে দেখতে গেচেন বাবাও গেছেন।উনি অসুস্থ অনেক।ফিরতে রাত হবে।
তাহলে এতসব রান্না কি তুই..
আরে নাহ..মাই রান্না শেষ করে গেছেন।
ও আচ্ছা বস খেতে বস।ভাত দে জলদি।
ইরা নিহানের প্লেটে ভাত তরকারি তুলে দিয়ে নিজেও খেতে বসল।
খাওয়া শেষ করে ইরার ঘরে চলে গেলো নিহান।
ইরা সব কিছু ঘুছিয়ে নিজের রুমে গিয়ে দেখে নিহান উপুড় হয়ে শুয়ে আছে।মাথার কাছে বসে মাআায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল তোমার কি শরীর কারাপ নিহান ভাই??
নাহ্ ঘাড় মাথা ব্যাথা করছে এই যা।
ওহ টিপে দিই
দে
ইরা চুপ করে মাথা ঘাড় টিপে দিচ্ছে।নিহান কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলল ইরা
হু
কাল নারায়ণগঞ্জ শহরে যাবো ১২ দিনের জন্য
কথাটা শুনেই যেন আকাশ থেকে পড়ল ইরা।এক লাফে বিছানা থেকে নিচে দাঁড়িয়ে বলল কত দিন?
নিহান কাত হয়ে ইরার দিকে ফিরে বলল ১২ দিন।বুটিকসের একটা শাখা নারায়ণগঞ্জ শহরে স্থাপিত হবে তাই যেতেই হবে।
ইরা ভ্যাভ্যা করে কেঁদে দিলো।নিহান হা হয়ে বিছানায় মাঝখানে উঠে বসল।
কি রে কাঁদছিস কেন এভাবে…
এতদিনের জন্য… বলেই কাঁদতে লাগল ইরা।
নিহান একটু হেসে বা হাত দিয়ে ইরাকে কাছে টেনে নিজের সামনে বসাল।আরে এত দিন কই দেখতে দেখতে পার হয়ে যাবে।নে আর কাঁদিস না মাথা টিপে দে।
ইরা তবুও কাঁদছে
ইরা মাথা ব্যাথা করছে প্লিজ কাঁদিস না বলেই ইরার চোখ মুছে কপালে চুমু খেলো নিহান।ইরা নিহানের মাথাটা নিজের কোলে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো আর ফুপিয়ে কাঁদতে লাগল।এর আগে কখনোই এত দিন ইরাকে ছেড়ে থাকে নি নিহান।তাই ভেবেই কান্না পাচ্ছে ইরার।

ঘুম থেকে উঠে নিহান দেখতে পেলো ইরা কারো সাথে কথা বলছে।কথা শুনেই বুঝতে পারলো পড়ার ব্যাপারে কিছু।নিহান আর মাথা না ঘামিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে ইরা ফোনে কথা বলছে আর হাসছে।
নিহান মাথায় টোকা দিলো।ইরা ইশারায় জিগ্যেস করলো কি?
নিহান ফিসফিস করে বলল চা করে দে।
আচ্ছা এখন রাখছি বায়।বলেই ফোনটা কেটে দিলো ইরা।
হাসতে হাসতে নিহানকে বলল ওই যে রিকশায় ছেলেটার সাথে আসলাম না ও ফোন দিয়েছে।আসিফ নাম খুব হাসাতে পারে।এখানে নতুন।তাই সবার সাথে বন্ধুত্ব করলো।
নিহান শুধু বলল ওহ।
ইরা হেসে রান্নাঘরে চলে গেলো।নিহান ইরার রং ওঠা টাচ্ ফোনটার দিকে তাকিয়ে আছে। ভাবছে একটা নতুন ফোন কিনে দেবে জলদি।তবে এক্সাম দিয়ে চান্স পেলে তবেই।

ধোঁয়া ওঠা গরম চা নিয়ে নিহানের সামনে হাজির ইরা।নিহান চায়ের কাপটা রেখে ইরার কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের কোলে বসায়।ঘাড়ে নাক ডুবাতেই ইরা কেঁপে ওঠে।জমে গেছে একদম।এরকমটা এর আগে কখনো করে নি নিহান
কি করছো নিহান ভাই.. ধরা গলায় বললো ইরা।
খুব করে চাই তোকে ইরা খুব নিহান মুখ গুজেই বললো।
নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করছে ইরা নিহান আরো আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে কোমড়ে।
এবার ইরা শান্ত হয়ে বসে রইলো।চোখ বুঝে অুভব করছে নিহানের ভালোবাসাময় স্পর্শ…..!

কলিংবেলের শব্দে ইরাকে ছেড়ে দেয় নিহান।বই নিয়ে বস আমি দেখছি কে এসেছে।ইরা মাথা দুলিয়ে ওড়ানা মাথায় দিয়ে বই নিয়ে বসে পড়লো বিছানায়।
নিহান চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বেরিয়ে গেলো ঘর থেকে।দরজা খুলতেই দেখল খালা মনি -খালু।
দুজনে হাসিমুখে এসে ঘরে ডুকলেন।ইকবাল সাহেব সোফায় বসতে বসতে বললেন ইরা কি করে রে নিহান
আমি তো জানি না খালু আমায় চা দিয়ে গেলো আমার রুমে একটু আগে তারপর নিজের রুমে চলে গেলো।আমি সোফায় এসে বসলাম টিভি দেখবো বলে এমন সময় বেল বাজল।
খালামনি হাসিমুখে নিহানের দিকে তাকালো।
ইকবাল সাহেব বললেন ওহ!পড়ছে হয়ত।তা তুই তো পারিস চা টা খেতে খেতে ওর সামনে বসে থাকতে পারিস..পড়ে না কি করে কে জানে..
সালমা বেগম হেসে বললেন ও বসে থাকলে বুঝি তোমার মেয়ের পড়া হবে..
কথা টা শুনেই কাশি উঠে গেলো নিহানের।দ্রুত চা টুকু গিলে নিজের রুমে চলে গেলো।

সকালে রেডি হয়ে ডাইনিং এ আসতেই সালমা বেগম নিহানকে জিগ্যেস করলো কোথায় যাওয়া হচ্ছে।
ওহ খালামনি তোমায় বলতে ভুলেই গেছি আমায় একটু নারায়ণগঞ্জ শহরে যেতে হবে আজই।আর্জেন্ট।
ও আচ্ছা কবে ফিরবি?
১২ দিন লাগবে
তাহলে নাস্তা করেই বেরিয়ে পর।
নিহান টেবিল থেকে প্লেটে রুটি ভাজি নিয়ে ইরার ঘরে চলে গেলো। ইরা বিছানায় বসে কাঁদছে।
নিহান অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল কিরে কাঁদছিস ক্যান
ইরা কিছুই বলছে না কেঁদেই চলেছে।
নিহান শান্ত হতে বলে পাশে বসল।ইরা জরুরি না হলে যেতাম না।জানি একা একা তোর খারাপ লাগবে কিন্তু ফোনে তো কথা হবেই।মন খারাপ করিস না আয় খেয়ে নে। ইরার হাত টেনে নিজের কোলে বসাল নিহান।তারপর নিজেও খেলো ইরাকেও খায়িয়ে দিলো।
যাওয়ার সময় ইরার হাতে এক হাজার টাকা দিয়ে বলল কিছু খেয়ে নিস।বেরিয়ে পরল নিহান সবার থেকে বিদায় নিয়ে।ইরা কাঁদতে কাঁদতে ফ্লোরে বসে পড়লো।নিহানকে এগিয়ে দিতে গেলো না।
নিহানের ও খারাপ লাগছে এই প্রথম এতদিনের জন্য দূরে যাচ্ছে ও।

চলবে_

#স্পর্শ
#পর্ব_৮
#লেখায়ঃস্বর্ণালি_আক্তার_শ্রাবণ

নারায়ণগন্ঞ্জ পৌঁছেই ইরাকে কল করে নিহান।
সেন্টারের পেছনের বাগানে বসে ছিলো ইরা তুবা আসিফ।খুব ঠেলেঠুলে নিয়ে এসেছে দুজন।কি যেন জরুরী কাজ..!
কল বাজতেই দ্রুত ফোন বের করে রিসিভ করে ইরা।
আসিফ তুবা আগ্রহ নিয়ে কান পাতে
হ্যালো নিহান ভাই
হ্যা কেমন আছিস
ভালো..তুমি পৌঁছেছো ভালো ভাবে?
হ্যা কি করিস
ইরা এবার দুজনের দিকে তাকালো তারপর আমতা আমতা করে বলল কোচিং এ আছি
কোচিং এ তাহলে এরকম তোতলাচ্ছিস ক্যান
তুবা ইশারায় বলে বল স্যার সামনে
ইরা বলে স্যা স্যার সামনে
ওহ তাহলে রাখ।পরে কল দিবো নি। আমি ব্যস্ত থাকতে পারি।সময় হলে কল দিবো
আচ্ছা বলেই দ্রুত ফোন কেটে দিয়ে শ্বাস নিলো জোড়ে জোড়ে।
তুবা জানা সত্ত্বেও কৌতুহলী হয়ে জিগ্যেস করে কেরে ইরা?
নিহান ভাই..
তোর ভাই?(আসিফ)
হু খালাতো ভাই(ইরা)
তা এ সময়ে কল?কোথাও গেছে বুঝি(তুবা)
হুমম নারায়ণগঞ্জ শহরে গেছে কাজে..জানিস তোদের তো বলাই হয়নি নিহান ভাই আমাকে খুব ভালোবাসে আর আমিও।মেডিকেলে চান্স পেলে আর ওর একটা চাকরী হলেই আমাদের বিয়ে!
আসিফ মনে মনে ঠুনকো হাসি হেসে বলল তা আর হচ্ছে না ইরাবতী।তুমি তো শেষ কিন্তু তোমার নিহানভাইয়ের দোস না থাকলেও আছে!আর তার সাজা তুমিই।তুমি শেষ হয়ে গেলেই সে শাস্তি পাবে।পৈশাচিক হাসি হাসে আসিফ।
তুবা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলল কবে ফিরবে?
১২ দিন পর(ইরা)
আসিফ তুবা দুজনেই মুখ চাওয়া চাওয়ি করলো।
মোক্ষম সুযোগ এটাই।তুবা চেচিয়ে বলল ও গ্রেট।ইরা বিস্মিত হয়ে জিগ্যেস করলো কেন রে?
তুবা হকচকিয়ে গেল। কথা ঘুরিয়ে বলল এমনই মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে ও কিছু না।চল তোকে ফেসবুক আইডি খুলে দিই।
ইরা চমকে উঠে তাকালো তুবার দিকে।কি ফেসবুক না বোন বাবা বা নিহান ভাই জানতে পারলে খুব বকবে।
ইরা তুই কি বোকারে!তুই কি জনে জনে গিয়ে বলবি আমি ফেসবুক খুলেছি আমি ফেসবুক চালাই..!আসিফ রাগী মুড নিয়ে বলল।
তবুও তো..!
তবুও কিছু না দেখ ইরা ফোনে কথা বললে আমাদের কথা শেষই হয় না!অনেক টাকাও কাটে মিনিট ও লাগে।ম্যাসেন্জারে কথা বললে ফ্রিতে কথা বলতে পারবি।তাছাড়া ইনকাম ও করতে পারবি।
ইনকাম কিভাবে?আরেকটু অবাক হয়ে বলল ইরা।
সেটা পরে বলছি আগে দে খুলে দিই।তোর ছবি দিয়ে খুলবো না দে..!
দাঁড়া অনুমতি নিয়ে নি!
আরে ইরা…..
দাঁড়া দাঁড়া.. ইরা নিহানের নাম্বারে কল দিলো..দুবার ফোন বাজলেও রিসিভ করলো না।নিরাশ হয়ে ইরা ফোনটা তুবার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল নে..!
ইরা হাসিমুখে ফোন নিলো।
দাঁত দিয়ে নখ কাটছে। তুবা কাজ শেষ করে বলল নে ডান!ইরা ফোন নিয়ে টিপতে লাগলো।
কিসের ইনকাম শুনবি এবার??আসিফ বলে উঠল।
হু বল।ফোনের দিকে মনোযোগ দিয়ে বলল ইরা।
আমরা একটা পন্যের ছবি বিজ্ঞাপন দিবো।যারা নেবে ওর্ডার করে বিকাশে পেমেন্ট করবে।আসিফ মাল পাঠিয়ে দেবে কাস্টমারের কাছে।তুই আমি অর্ডার নিবো।তুবার কথা শেষ হতেই ইরা ফোনের দিকে মনোযোগ দিয়ে বলল এসব করে কি লাভ?অযথা পড়ালেখার ক্ষতি।
ওলে আমাল বিদ্যান লে..!শোন ইরা আমরা সেইম ক্লাস। পড়ালেখাও সেইম।আমরাও কাজটা করি।তাছাড়া ফ্রীতে টাকা ইনকাম হলে ক্ষতি কি?তুই বরং সাবলম্বি হবি।কারো কাছে হাত পাততে হবে না।
আমরা কি তোর খারাপ চাইবো বল?
ইরা ভেবে দেখলো তুবার কথাটা ফেলে দেয়ার মত না।লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে করবে।আর তখন চাইলেই নিহান ভাইকে সে গিফট দিতে পারবে।আনন্দে উৎফুলিত হয়ে ইরা বলল ওকে করবো যাহ!আসিফ আর তুবার মুখটা খুশিতে ভরে গেলো।ইরা বোকা এটা তারা জনত বিশ্বাস করতো কিন্তু এতোটা বোকা বোঝে নি ভাবতেও পারে নি।কিন্তু জিনিসটা কি?ড্রেস কালেকশন নাকি অন্য কিছু।আসিফ ব্যাগ তেকে সাদা পাউডার জাতীয় কিছুর ব্যাগ ইরার সামনে ধরলো।ইরা হাতে নিয়ে জিগ্যেস করলো কি এটা।এটার ই বিজনেস!
ইরা আরো সামনে এনে বললো কোথায় যেন দেখেছি টিভিতেই তো মনে হয় কিন্তু কি করবে এটা দিয়ে।আসিফ বলো শুকে দেখ
ইরা নাকের কাছে নিয়ে কয়েকবার শুকতেই জ্ঞান হারালো।তুবা ইরা বলে চিৎকার করে উঠল।
আসিফ অভয় দিয়ে বলল প্রথমবার তাই।ভয় পেও না।

খুব সাহস করে দুজন মিলে ইরাকে তুবাদের বাসায় নিয়ে গেলো।তুবার মা বাবা বাসায় নেই।খুব সহজেই বাসায় পৌঁছে যায়।ইরাকে বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে আসিফ অন্য ঘরে চলে আসে। তুবা কিছু এলোমেলো ছবি তুলে ইরার।
দুজন মিলে লাঞ্চ সেরে নেয়।ইরার সেন্স এলেই দুজন মিলে ইরাকে ওদের বাসায় নিয়ে যায়।সালমা বেগম দরজা খুলে ইরাকে দেখে চেঁচিয়ে বলে উঠলো ইরা কি হয়েছে ওর এই ইরা..
আন্টি ঘাবড়ানোর কিছু হয় নি ও একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে।তুবা মাথা নামিয়ে বলল।
হঠাৎ কি হলো চিন্তিত হয়ে পড়লেন সালমা বেগম
সালমা বেগম ইরাকে ধরে ওর ঘরে নিয়ে গেল।আসিফ তুবা সোফায় বসে আছে।সালমা বেগম ওদের সাথে এসে বসল।নাস্তা দিয়ে কথা বার্তা বলল।কিছু সময় কথা বার্তা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে এলো আসিফ তুবা।

পরদিন কোচিংয়ে যেতে পারে না ইরা।সারাদিন ঘুমিয়ে কাটায়।দুদিনপর কোচিংয়ে যায়।আর নানা ছলছুতা তৈরী করে ইরার মন ভালো করে বিশ্বাস স্থাপন করে নেয় আসিফ তুবা।সেদিনের পর থেকে এভাবেই শুরু হয় আড্ডা। তিলে তিলে জীবনঝুঁকিতে পরে ইরা।নিহানও কাজের চাপে কল করে না ইরাকে।সে সুযোগে আসিফ তুবাও ইরাকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে দেয়।দিন যেতে থাকে এভাবেই।।
কখনো কখনো বন্ধু বান্ধবীরাও জীবন নাশের কারণ হয়।সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ..! এটাই ঘটেছে।
…চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here